“একটা রামছাগলের কাহিনী …”
লিখেছেন – Asif Namer Cheleti
আজ আপনাদের একটা রামছাগলের কাহিনী শুনাব……
একদেশে ছিল এক রামছাগল…সরি…বাংলাদেশে ছিল এক রামছাগল। বাড়ি উত্তরবঙ্গে । (আগেই বলে নেই উত্তরবঙ্গের কাউকে হার্ট করতে চাইনি)।
তা রামছাগলের বুদ্ধি না থাকলেও বিদ্যার অভাব ছিল না । বোধহয় বুদ্ধিতে যতটুকু ঘাটতি ছিল, বিদ্যা দিয়েই সে তা পুরনের চেষ্টায় ব্যাস্ত ছিল । সে যাই হোক, কে জানি একদিন তাকে বলল যে প্রেম করলে নাকি অন্নেক মজা পাওয়া যায়। তো সেই মজা পেতে রামছাগলটা প্রেম এর জন্য উঠে পড়ে লাগলো । এভাবে কয়েকদিন গেল, অনেক খুঁজাখুঁজির ক্লান্ত রামছাগল হঠাৎ আবিষ্কার করল যে, সে এতদিন বাগানের সুন্দর প্রজাপতি ছেড়ে দূর আকাশের মেঘ এর পিছনে দৌড়িয়েছে…
আসলে রামছাগলের পাশের বাসাতেই থাকতো এক সুন্দরি বক । ছোটবেলা থেকেই যার সাথে রামছাগলের সেইরকম সম্পরক। তো যেই ভাবা সেই কাজ, একদিন রামছাগল হঠাৎ করে বকটিকে প্রপোজ করে বসল। বেচারি বকটা, প্রথম প্রপোজ বলেই কিনা কিংবা রামছাগলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবেই কিনা, কে জানে সে রাজি হয়ে গেল।
তো এরপর শুরু হল রামছাগলের প্রেমকাহিনী…
বকের সাথে তাকে রাস্তায় একসাথে হাঁটা কিংবা পার্কে হাত ধরে বসা থেকে শুরু করে সব কিছুতেই দেখা যেতে লাগলো । বক ও বেশ মানিয়ে নিচ্ছিল। কিন্তু আমাদের মনে রাখা উচিৎ,
” Once a রামছাগল, Always a রামছাগল ”
তো সাভাবিক ভাবেই রামছাগলের সুখ সহ্য হল না । তাঁর জীবনের প্রথম প্রেম কি সত্যিকারের প্রেম কিনা এইটা নিয়ে সে চিন্তায় পড়ে গেল । প্রচুর ভাবনা চিন্তা করা শুরু করল সে। এবং অবশেষে তাঁর মাথায় একটা রামছাগলীয় প্ল্যান আসে। কিন্তু এই প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য তাঁর দরকার ছিল একজন বিশ্বস্ত বন্ধুর । একটু ভাবতেই পেয়ে গেল সে…
বলে রাখা ভাল, রামছাগলদের বন্ধুরা কিন্তু রামছাগল হয় না।
পরদিন ই রামছাগল তাঁর বিশ্বস্ত দেশি বন্ধু “শিয়াল”-এর সাথে দেখা করল। তা রামছাগলের কথা শুনে শিয়াল তাকে এই মহান কর্ম সম্পাদনের আশ্বাস দিল । অবশেষে রামছাগল শিয়ালকে তাঁর প্লানের কথা বলল…
১ম প্লান, আগামী এক সপ্তাহ রামছাগল বকের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করবে না এবং শিয়ালকে সে বকের নাম্বার দিয়ে দিবে।
২য় প্লান, এই সুযোগে শিয়াল প্রতিরাত্রে বককে ফোন করে বকের সাথে কথা বলবে এবং তাকে প্রেমে ফেলানোর চেষ্টা করবে।
৩য় প্লান, যদি সত্যিই বক ওর প্রেম এ পড়ে যায়, তাঁর মানে এই যে বক এতদিন তাঁর সাথে অভিনয় করেছে এবং সে বককে ছেড়ে দিয়ে তার এই “মিথ্যা” ভালোবাসার অবসান ঘটাবে।
যেই ভাবা সেই কাজ, রামছাগল তাঁর প্লান অনুযায়ী বকের সাথে কথা যোগাযোগ করা বন্ধ করে দিল । এতে যে বক যে সারাদিন না খেয়ে থেকে একা একা রুমের মধ্যে পড়ে থাকলো, সেটা রামছাগল কেয়ার ই করল না। কারণ তাঁর প্লানের মধ্যে নেই যে।
পরদিন রাত্রে আননোউন নাম্বার থেকে কল এলেও বক রামছাগলের ফোন ভেবে ধরল। কিন্তু একটু পরেই বুঝল যে এটা তাঁর রামছাগল না , বরং তাদের ফ্যামিলি ফ্রেন্ড শিয়াল। তাই বাধ্য হয়েই কথা বলতে হল তাকে…
এভাবে এক সপ্তাহ চলে গেল । ততদিনে বকটা কে প্রচণ্ড ভাল লেগে যায় শিয়ালের । সে ভাবে, এত সুইট একটা বক কেন ঐ রামছাগলের কপালে থাকবে!!! নিঃসঙ্গ বক ও হয়তো শিয়াল কে ভাল বন্ধু হিসেবে নিয়ে ফেলে, হয়তো অতটুকু না যতটুকু শিয়াল যেয়ে রামছাগলকে বলল। যা শুনে রামছাগল তো পুরা আগুন ।
রামছাগল ভাবে, তার মানে এতদিন বক রামছাগলের সাথে অভিনয় করেছে ওর মেধার ( ) জন্য… অপমান করে সমস্ত প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সে বকের সাথে। বকের শত অনুরধের পরও রামছাগল একটা কথাও মানল না সে…
টানা এক সপ্তাহ না খেয়ে শয্যাশায়ী ছিল বক। কিন্তু হাদারাম রামছাগলটা একবার দেখতেও গেল না। আত্মহত্যাই করতো হয়তোবা অসুস্থ বকতা, যদি না সেদিন ফ্যামিলি ফ্রেন্ড শিয়াল না থাকতো।
এরপর থেকেই একদম একা বক এর সাথে সে ছায়ার মত থাকা শুরু করল…
এক মাস পরের ঘটনা।
বকের কথা বলি, তাকে আর শিয়াল কে দেখা যেতে লাগলো এক সাথে। চুটিয়ে প্রেম করে তাড়া এখন, মাঝে মাঝে হয়তো রামছাগলের ক্যাম্পাসে যেয়ে রামছাগলের চোখের সামনে।
আর শিয়াল, সে তো বকের কাছে, “রামছাগল আমাকে ছাড়ে না”, তো আবার রামছাগলের কাছে,”বক আমাকে ছাড়ে না” বলতে বলতেই অস্থির…
আর রামছাগল…
সে তো এখনো নতুন প্রেমের সন্ধানে……কে জানে এখন তার “মেধা”র কেউ সঠিক দাম দিচ্ছে না কেন… হয়তো বাজারে মেধার দাম কমে গেছে…
অনেক রিজেক্টের পর সে এখন প্রেমের সন্ধানে ফেসবুকে একাউন্টও খুলেছে। এখন তার একটাই কাজ সুন্দরীদের ফ্রেন্ড রেকুয়েস্ট পাঠানো আর তাকে সেঁকা দেওয়া মহান ব্যাক্তিদের ফেক আইডি খুলে বেরানো…
কাহিনীটি এখানেই শেষ…..
(এই লেখাটি সম্পূর্ণ কাকতালীয়… জীবিত কিংবা মৃত কারো সাথে মিলে গেলে লেখকের দোষ না :D)
পুলাপান রক্সসসসসসসসস!
ভাল হইসে। 😀
thanx vaia... ::salute::
@Asif@