সিলিকন ভ্যালি আক্ষরিক অর্থেই একটা কসমোপলিটান এলাকা। পৃথিবীর নানা দেশ থেকে আসা পেশাজীবিদের ভিড়ে সাদারা এখানে সংখ্যালঘু। অধিবাসীদের মধ্যে সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি ভারতীয় আর চায়নীজরা। আঞ্চলিক রাজনীতির মতো এখানেও চায়নীজ আর ভারতীয়দের মধ্যে একটা অদৃশ্য বিভাজন রেখা খেয়াল করা যায়। এই সেদিন দেখলাম একটা গ্রোসারী শপের লাইনে দাড়ানো নিয়ে এক চাইনীজ আর ভারতীয় মহিলার মধ্যে একটু দ্বন্ধ বেঁধে গেল। ব্যাপারটা সচরাচর দেখা যায় না। এখানকার ভদ্র মানুষজনদের মধ্যে এতোটুকু সংঘাত দেখাটাও দূর্লভ। আমার সাত বছরের ছেলে রাসীন যখন কোন চায়নীজ বন্ধুর জন্মদিনে যায় তখন সেখানে সে একাই বাদামী চামড়া। আবার অফিসেও দেখি কোন গ্রুপে চায়নীজদের আধিক্য আবার কোথাও ভারতীয়দের। অনেক চায়নীজ একত্র হলে কিছুক্ষন পরেই ইংলিশ ভুলে চ্যাং চুং করে কথা বলা শুরু করে দেয়। এমনকি অফিসেও। তবে বিগ বসরা অধিকাংশই সাদা। ইদানিং ভারতীয়রা আবার এই কাতারে সামিল হচ্ছে। তাদের প্রধান গুন ইংরেজীতে মাতৃভাষার মতো দক্ষতা। সেই সাথে আরো আছে সাহস, পরিকল্পনা, উদ্ভাবনী চিন্তা এবং আর সের্বাপরি যেটা বলতে হয় সেটা হলো ওদের পলিটিকস করার অলৌকিক ক্ষমতা।
আমরা থাকি ফ্রীমন্ট সিটির মিশন এলাকায়। জায়গাটা দেখতে রাঙ্গামাটি বা বান্দরবনের মতো। এখানকার আবাসিক পাড়া প্রকৃত অর্থেই আবাসিক। আমেরিকায় পাবলিক স্কুলে ভর্তির ব্যাপারে একটা নিয়ম আছে। ছেলেমেয়েদেরকে এলাকার জন্য নির্দিষ্ট করা স্কুলে পড়তে যাবে। আমরা যে এলাকায় থাকি সেটা এই সিলিকন ভ্যালির এক নাম্বার স্কুল ডিস্ট্রিক। স্কুলগামী বাচ্চাদের বাবা-মায়েরা এখানে বাড়ি কিনতে না পারলেও অন্তত্ব ভাড়া করে থাকতে চায়। এশিয়ানরা বাচ্চাদের লেখাপড়ার ব্যাপারে খুব সচেতন। তাই দেখা যাচ্ছে দিন দিন সাদাদের হটিয়ে এশিয়ানরা এদের বাড়ি কিনে নিচ্ছে। আমাদের পাড়াটা বেশ নিরিবিলি, খোলামেলা। পাহাড়ের উপরে কালডিসেকের পাশ ঘিরে সাত-আটটা পরিবারের বসবাস। অধিকাংশই এশিয়ান। যেই দু একজন সাদা এখানে থাকে তাদের ছেলেমেয়েরা অপেক্ষাকৃত বয়সে বড়, হাইস্কুলে পড়ে। আশেপাশে এশিয়ানদের ব্যাপারে কিছুটা বিরক্ত। রেসিস্ট বলতে যা বুঝায় ঠিক তা নয়। যেমন সামনের বাসার মিসেস ইউর্থ একদিন বললেন, ’তোমরা এশিয়ানরা ঠিক ঘরবাড়ি উপভোগ করতে জান না (ইউ ডোন্ট এনজয় ইওর হাউস)।’
এখানে পাড়ার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বিকেল হলেই খেলতে বেড়িয়ে পরে। একজন আরেকজনের বাসায় অবাধে যাতায়াত করছে। রাসীন আমার কাছে পপসাইকেল চাইলো। ফ্রিজে তখন তা ছিলো না। আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই সে রোহনদের বাসা থেকে অবলিলায় একটা পপসাইকেল নিয়ে আসলো। তেমনি রোহন বা শিবাও আমার বাসায় এসে কুকির বোয়াম খুলে দিব্যি কুকি খেতে শুরু করে। তবে এর আগে সৌজন্যবশত জিজ্ঞেস করে নেয়। ব্যাপারটা দেখে মজা লাগে সেই সাথে মনের মধ্যে বেশ কিছু কৌতুহলী প্রশ্নও জাগে। ওরা এতো সহজ কেন? আমরা মায়েরা উদার এটা ছাড়াও মনে হয় ওদের জগৎটা ভিন্ন। পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত খাবার অভাবে যে মানুষ মারা যাচ্ছে কিম্বা দু মুঠো খাবার সংগ্রহের জন্য এখনও পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষকে জীবন সংগ্রামে লিপ্ত থাকতে হয় – সে পৃথিবীটা বোধহয় ওদের কাছে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।
দেশে গেলে রাসীনকে টোকাইদের জীবন দেখাই। রঙ্গিন চোখে সবই বুঝি ভালো লাগে। টোকাইদের জীবন ওর কাছে স্বপ্নের মতো বলে মনে হয়। কারণ ওরা সারাদিন খেলতে পারে। শুধু একটাই প্রশ্ন ওরা গায়ে জামা পরে না কেন? কোন বাসায় কারেন্ট চলে গেলে মোমবাতি জ্বালালে জানতে চায় কার জন্মদিন। রিক্সা চড়া মানে ডিজনীল্যান্ডের যে কোন রাইডের থেকেও মজাদার কিছু। লুঙ্গির নাম দিয়েছে রিক্সা মামার প্যান্ট। মনে মনে শংকিত বোধ করি রাসীনের রঙ্গিন জগৎ নিয়ে।
গত দুবছর ধরে আমেরিকায় মন্দা যাচ্ছে। আশেপাশের অনেকের চাকুরী যেতে শুনছি। একেবারে পাশের বাড়ি যোশেফের বাবার চাকুরী চলে যায়। টেক্সাসে চাকুরী হওয়াতে ওরা সেখানে চলে যায়। মালিক খালি বাড়িটার বিক্রির জন্য নোটিশ দেয়। যোশেফ রাসীনের বন্ধু। ওরা ছিল এবিসি। আমেরিকান বর্ণ চায়নীজ। ওদের শূন্য বাড়িটা রাসীনের রঙ্গিন পৃথিবীতে একটু আচর কাটে। স্কুল থেকে একদিন এসে বলে লুসিয়ার বাবার চাকুরী চলে গেছে। আরেকদিন বলে রোহনের বাবার চাকুরী নেই দেখে এবার আর ওর জন্মদিন পালন করা হবে না। আমি ওকে চুল কাটতে নিয়ে যেতে চাইলে বলে উঠে, কী দরকার পয়সা খরচ করবার। আমি মনে মনে হেসে উঠি। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে – এক পরিবেশ থেকে আরেক পরিবেশে যে যার মতো করে কঠিন সত্যটা জেনে যায়।
আমেরিকায় বাংলাদেশীদের প্রায় সবার ঘরে ঘরে এনটিভি, চ্যানেল আইএর সংযোগ আছে। গত দুবছর আগে ডিসেম্বর মাসে টিভিতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালা দেখে রাসীনকে স্বাধীনতার গল্প শোনাই। ঔ সময় তার নানা-নানি, দিদা-দাদা কী রকম সময় পার করেছিলো সে গল্প বলি। ঠিক সে সময়টাতেই জোসেফদের খালি বাড়িতে এক পাকিস্থানী পরিবার উঠে আসে। ছেলে ওসমান রাসীনের থেকে মাত্র এক মাসের বড়, মেয়ে ফাতিমা কয়েক বছরের। নির্ঝর বলে উঠলো, রাসীনকে পাকিস্থানীদের গল্প শুনিয়ে তো বিপদ ডেকে আনলে। আমি তড়িঘড়ি করে রাসীনকে বলি মুক্তিযুদ্ধের কথা আমি ওকে যা শুনিয়েছি ও যাতে সেটা ওসমানকে না বলে। কিন্তু একটা পাঁচ-ছয় বছরের ছেলেকে কিছু বলে তা আবার কাউকে বলতে মানা করলে যে ফল দাড়ায় এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হলো না। দুদিন পর রাসীন এসে বললো, ’ওসমান, ফাতিমা সব জানে। এমনকি ওদের আব্বা-আম্মাও।’ শুধু তাই না, একদিন দেখি পৃথিবীর মানচিত্র দেখিয়ে ওসমান, ফাতিমা, রোহন, আবি, শিবা আর রাইসাকে বুঝাচ্ছে কিভাবে বঙ্গোপসাগর দিয়ে পাকিস্থানী যুদ্ধজাহাজ আর ইন্ডিয়ার উপর দিয়ে জঙ্গী প্লেন এসে বাংলাদেশকে আক্রমন করেছিলো। বলা বাহুল্য এই অংশটুকু ছিল ওর আবিষ্কার। আরো একদিন দেখি দুদলে ভাগ হয়ে ওরা সব যুদ্ধ যুদ্ধ খেলছে। রাসীনের জোর গলা শুনতে পেলাম, ’আমি রাসীন বাংলাদেশের নেতা, ওসমান পাকিস্থানের নেতা। এখন ওসমান আমাদের আক্রমন করবে। আমরা রুখে দাড়াব। আমাদের জিততেই হবে।’ রাতে রাসীনকে বলি, এরকম আর বাংলাদেশ-পাকিস্থান যুদ্ধ যুদ্ধ খেলবে না। রাসীন অবাক হয়ে জানতে চায়, কেন। আমি কোন সদুত্তরর্ দিতে পারি না। আসলে এ ব্যাপারটা আমার মধ্যে এক ধরনের শংকা তৈরী করে। কোন একটা খবরে দেখেছিলাম একবার ভার্জিনিয়াতে জাতিগত বিদ্বেষ থেকে কয়েকজন পাকিস্থানী ছেলে মিলে একজন বাংলাদেশী ছেলেকে মেরে ফেলেছিলো। আমি রাসীনদের মধ্যে এরকম কোন বিদ্বেষ দেখিনি। তবুও সাবধানের মার নেই।
পাড়ায় বাচ্চাদের সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় খুব অলক্ষ্যে চায়নীজরা আলাদা হয়ে গেল। আর ভারতীয়, পাকিস্থান আর বাংলাদেশী দ্বিতীয় প্রজন্মদের মধ্যে দেখা যায় রাসীনকে নিয়ে দুপক্ষের টানাটানি লেগে থাকে। একদিকে রোহন আর শিবা আর অন্যদিকে ওসমান আর ফাতিমাদের দুটো দল গড়ে উঠে। সবারই লক্ষ্য থাকে রাসীনকে নিজ নিজ দলে ভেড়ানো। প্রথম প্রজন্মের রাজনীতি কী অলক্ষ্যে দ্বিতীয় প্রজন্মের মধ্যেও ছড়িয়ে পরে।
একবার আমার শ্বাশুরী প্রশ্ন করেছিলেন, ’তোমাদের প্রজন্ম তো পাকিস্থানীদের খুব ঘৃনা করে।’ আমার প্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব মুহম্মদ জাফর ইকবালের একটা লেখাতেও এমনটা দেখেছিলাম। এরকম কথা শুনলে আমার মধ্যে এক ধরনের সংশয় তৈরী হয়। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন ব্যক্তি সম্পর্কে খারাপ কিছু শুনলে তার প্রতি ঘৃনা বা অশ্রদ্ধা জাগে। কিন্তু পুরো জাতিকে ঘৃনা করতে পারিনা। সংশয়বোধের কারণ, পাকিস্থানকে ঘৃনা করতে পারছি না বলে কী আমি যথেষ্ট দেশপ্রেমিক না? আমি নিজে জানি আমি একজন দেশপ্রেমিক। শুধু কলমে বা হূদয়ে ধারণ করা অনুভূতিতে দেশপ্রেমিক না, কাজেও দেশপ্রেমিক। সে প্রসঙ্গে এখন যাব না। নিজের ভেতর থেকেই উত্তর আসে, অন্ধঘৃনা অন্ধবিশ্বাসেরই নামান্তর। সেটা কোনভাবেই প্রেম প্রকাশের মাধ্যম হতে পারে না। আলো আলোই। ঠিক তেমনি প্রেম প্রেমই। এজন্য অযাচিত কলুষতার দরকার পরে না। তবে যাচিত কলুষতাকে আমি পার পেতে দিব না। তাই আমি কোন পাকিস্থানীকে না জেনেশুনে অকারনে ঘৃনা করতে পারি না। ইসলামিক ভাবধারায় বেড়ে উঠা দ্বিতীয় প্রজন্মের আমেরিকান বাংলাদেশীরা অনেকেই বিভিন্ন ইসলামিক দেশের দ্বিতীয় প্রজন্মদের সাথে সম্পর্ক গড়ছে। আমার বরের দিককার অনেক আত্মীয়স্বজনদের এটা করতে দেখেছি। এমনকি যার আপন ফুফু সেলিনা পারভীন একজন শহীদ বুদ্ধিজীবি, সে একজন পাকিস্থানী মেয়ের গলাতে মালা পরাতে যাচ্ছে। আবার আরেক আত্মীয় এর প্রতিবাদ জানিয়ে সে বিয়েতে যাচ্ছে না।
একবার অফিসের একটা ট্রেনিংএ ফিলিপিনো একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হলো। দুটোদিনে ওর সাথে বেশ ভাব হয়ে গেল। শেষে যখন ও শুনলো আমি মুসলিম, কিছুক্ষন চুপ করে ছিলো। ব্যক্তিমানুষের কারণে না জাতিগত কারণে এই প্রথম অন্যের চোখে আমার প্রতি হালকা ঘৃনার ঝিলিক দেখলাম। ফিলিপিনেও যে মুসলিম মৌলবাদীদের হামলা চলছে সেটা জানতাম। জিজ্ঞেস করে জানলাম ও আমাকে প্রথম থেকেই ইসরাইলী জু মনে করেছিলো। এখানে ইন্ডিয়ান কলিগের মধ্যেও দেখেছি অনেক আলাপ গড়াবার পরে মুসলমান সম্পর্কে ওদের আসল ধারণাটা প্রকাশ করে এবং যেটা খুব একটা ভালো না।
এখানে যেসব ইন্ডিয়ানদের দেখি তারা মূলত দক্ষিন থেকে আসা। উত্তর ইন্ডিয়ানদের কিছুটা পশ্চিমী হওয়ার প্রবনতা আছে। কিন্তু দক্ষিনীরা একই সাথে নিজেদের কালচারের ব্যাপারে রক্ষনশীল আবার নতুন ভালো কিছুকে গ্রহন করার ব্যাপারে যথেষ্ট উদার। এক কলিগ বলল ওদের নাকি একই রাস্তার উপর কিছুদূর পর পর মন্দির, মসজিদ, গির্জা, প্যাগোডা পাশাপাশি সহ-অবস্থান। আমার প্রতিবেশি রোহনের মা বিজয়া আমার দেখা অন্যতম একজন ভালোমানুষ। ঔপনিবেশিকতার সময় বৃটিশ শাসকের নারী শিক্ষা প্রচার কার্যক্রমের এরাই প্রথম এবং সার্থক অংশিদার হয়েছিল। কলিগ চিত্রার বিশ্বসাহিত্য-জ্ঞান আমাকে মু© করে। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ও বা দক্ষিন ভারতীয়রা হিন্দি পারে না – অন্তত্ব আমাদের বাংলাদেশিদের মতো। ওদের রাষ্ট্র ভাষা হিন্দি। প্রথম থেকেই ওদের রাজ্য সরকার ইংরেজীর উপর জোর দিয়ে একরকমভাবে হিন্দিকে অবসৃয়মান করে দিয়েছে। ওদের ওখানে হিন্দি চ্যানেল, হিন্দি ছবির বাজার তেমন একটা নেই। বরং হিন্দি ছবি ওদের ছবির কপিরাইট নিয়ে রিমেক করে। ব্যাপারটা কী অদ্ভূত না! কোন একুশে ফেব্রয়ারী ছাড়াই কিভাবে ওরা স্বকীয়তা বজায় রাখলো! আর আমরা একুশে ফেব্রয়ারী উদযাপন করে বাসায় গিয়ে হিন্দি ছবি দেখছি। বাংলাদেশে দেদারসে হিন্দি চ্যানেলের আধিপত্য দেখে খুব কষ্ট হতো। নব্বইয়ের দশকে যখন হিন্দি চ্যানেল আসতে শুরু করলো, তখন আমার প্রতিবাদে বাসায় এর সংযোগ ঘটেনি। অথচ তখন বিটিভি ছাড়া কিছুই ছিল না। খুব ভালো কোন ছবির নাম শুনলে বা ছাত্রীহলে গেলে মাঝে মধ্যে টিভি দেখতাম। সরকার কেন ইন্ডিয়াতে বাংলাদেশের চ্যানেল প্রচার করছে না এ নিয়ে আমরা তীব্র বিতর্ক জুড়ে দিচ্ছি। কিন্তু আমরা নিজেরা কী একবারও নিজেদের ঘর থেকে হিন্দি চ্যানেল বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছি? নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য দেশী কাপড় কিনলে কী এমন অসুবিধা? কেন ভুলে যাই বিন্দু বিন্দু করেই সিন্ধুর জন্ম। ইন্ডিয়ার সীমানা যেমন বড়, রাজনীতিও তেমন পরিপক্ক। নদীই যখন চলার পথে শক্ত মাটি-নরম মাটি বুঝেশুনে এঁকেবেঁকে চলে, আমরাও একটু বুঝেশুনে চললে অসুবিধা কী?
আমাদের দেশের এখনকার অবস্থাটা আমার কাছে বৃটিশ আমলে ভারতীয় উপমহাদেশের মতো মনে হয়। আমরা দুর্বল আর প্রতিপক্ষ শক্তিশালী। কামানের বিরুদ্ধে তীরধনুক দিয়ে লড়াই করে জয়ী হওয়া যায় না। বিপ্লবের মাধ্যমে নয় রাজনৈতিক পরিপক্কতার মাধ্যমে বৃটিশদের এদেশ থেকে সরানো হয়েছিলো। পার্থক্যটা হলো এই যে ওদের ছিল গান্ধি, নেহেরু আর আবুল কালাম আজাদের মতো প্রজ্ঞাবান নেতা আর আমাদের দেশের নেতানেত্রীদের রাজনৈতিক পরিপক্কতা নিয়ে আর কী বলার আছে। তবে প্রধানমন্ত্রির চেষটার জন্য উনি অবশ্যই সাধুবাদ পেতে পারেন। উনি অনেক বড় ধরনের নেতা হলে তিস্তা সমস্যার সমাধান করে আসতে পারতেন। সেইসাথে বিমান বন্দরে এতো মানুষের ঢল যে প্রধানমন্ত্রীর সন্মান না বাড়িয়ে বরং কমালো – সেটা বোঝার মতো পরিপক্কতা কী উপরের দিককার নেতানেত্রীদের ছিল না? একটা বাচ্চাও বিশ্বাস করবে না এ ভীড় স্বতস্ফুর্ত ছিল। আমাদের বোকামী আমরা আর কতভাবে প্রকাশ করবো?
আমরা যুদ্ধোপরাধিদের বিচার নিয়ে যতোই হইচই করি না কেন, নতজানু সরকার পেট্রোডলারের কাছে অসহায়। সৌদি আরবের রক্ত চক্ষুর ভয়ে ভীত। তাই বলে কী আমরা বিচার চাইবো না? অবশ্যই চাইবো। এর জন্য দরকার সঠিক নেতৃত্ব। নেলসন ম্যান্ডেলা বা বঙ্গবন্ধু সে রকম নেতা ছিলেন বলেই দূর্বল প্রতিপক্ষের নেতা হয়ে সবল প্রতিপক্ষের থেকে হিস্যা আদায় করে নিয়েছিলেন। ভারতীয় সৈন্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর সাথে ইন্দিরা গান্ধির কী কথা হয়েছিলো তা এ প্রজন্ম জানতে পারলে ভালো হয়। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের ’ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম’ বইটা পড়লে দেখা যায় রাজনৈতিক প্রজ্ঞা থাকলে কিভাবে শক্ত প্রতিপক্ষের থেকেও অধিকার আদায় করে নেওয়া যায়। বিশদভাবে এখন আর সে বর্ণনায় গেলাম না।
মোটকথা পরিপক্ক নেতা না আসলে রাজনৈতিক দল শক্ত হবে না। গণতন্ত্রের প্রধান বুনিয়াদই হচ্ছে রাজনৈতিক দল। এখন রাজনৈতিক দলেই যদি গণতন্ত্র না থাকে তাহলে যোগ্য নেতা-নেত্রী বেড়িয়ে আসবে কোনখান থেকে? গতবছর নির্বাচন কমিশনের চাপে যখন দলগুলোর সম্মেলন হলো তখন আমরা আমজনতা নিরব দর্শক হয়ে নেত্রীদের একনায়িকাতন্ত্রের(!) খেলা দেখলাম। আমরা ভুলেই এসব ক্ষেত্রেই আমাদের সবচেয়ে বেশি সরব হওয়া উচিত ছিল। আমাদের দেশে এখন ‘রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র চাই’ এরকম একটা প্লাটফর্মের খুব বেশি প্রয়োজন। নইলে আজকে যাকে চোর বলে গালমন্দ করছি দেখা যাবে কালকে তাকেই হুজুর হুজুর বলে মাথা নুইয়ে কুর্নিশ করছি। এমনটা না করলে দেখা যাবে চাকুরী থাকছে না, হয়তো সাধের জানটাই আর থাকবে না।
এখন আর বাসায় বাংলা চ্যানেল নেই। শেষবার যখন ছিল তখন দেখছিলাম রিয়েলিটি শোয়ের ছড়াছড়ি। কখনও গানের, কখনও নাচের, কখনও বা অভিনয়ের। আচ্ছা নেতা নির্বাচনের কোন রিয়েলিটি শো করা যায় না? আমার আইডিয়াটা এরকম, একটা কাল্পনিক রাজনৈতিক দল থাকবে। এর প্রধান নেতা নির্বাচন করা হবে। প্রতিযোগীদের বয়স ত্রিশ থেকে শুরু হবে। অর্থাৎ অন্যসব রিয়েলিটি শোয়ের উলটো। বিচারক থাকবেন চিন্তাশীল, প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবি, পেশাজীবি, বিজ্ঞানী, শিল্পী, শ্রমিক, কৃষক বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষেরা। বিজ্ঞাপন আর দর্শক টানার জন্য বিখ্যাতরা অগ্রগন্য। আর অন্যান্য রিয়েলিটি শোয়ের মতোই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আগ্রহীদের রেজিষ্ট্রেশন করতে বলা হবে। বিচারকরা দেশ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করবে। উত্তরের ভিত্তিতে প্রথমে জেলা, তারপর বিভাগ পর্যায় থেকে কিছু নেতা নির্বাচন করা হবে। প্রশ্নোত্তর, দেশ-ভাবনা, প্রতিযোগিদের নিজেদের মধ্যে মনোজ্ঞ লাইফ বিতর্ক (স্কুল কলেজের তোতা পাখীর বিতর্ক নয়) আর এসএমএসের উত্তেজনার মাধ্যমে চূড়ান্ত পর্যায়ে একজন নেতা নির্বাচিত হবে। নেতা একজন নির্বাচিত হলেও অংশগ্রহনকারী সবাই থাকবে দলটির সদস্য। মিডিয়াকে ব্যবহার করে এরকম একটা কাল্পনিক রাজনৈতিক দল গড়ে তোলা যায় না? কিম্বা আমেরিকার প্রেসিডেন্টসিয়াল নির্বাচনের প্রাইমারী সিলেকশনের মতো কিছু করা যায়। কেন জানি মনে হচ্ছে এরকম একটা অনুষ্ঠান করলে সেটা খুব জনপ্রিয় হবে।
যারা এই পর্যন্ত পড়ে ফেলেছেন তাদেরকে এই বয়ান শোনার নাম করে পড়ানোর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। বয়ানটা আর অতীতও রইলো না। বর্তমান সময়টাকে ধরার চেষ্টা করলো।
আপু একটানে পড়ে গেলাম পুরো লেখা।ভাললাগা অংশগুলো নিয়ে সমইয় করে বড় মন্তব্য করব।
ভালো করে বিসিএস পরীক্ষা দাও। সরকারের মধ্যে তোমাদের মতো ছেলেরা আসছে ভাবলে ভালো লাগে। আশা করি আমার কথায় যে কষ্ট পেয়েছিলে তা এতোদিনে বুদবুদ হয়ে উড়ে গেছে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু,বিসিএসের বর্তমান যে সিস্টেম(৪৫% মেধায় আর ৫৫% কোটায়) তাতে কোটা বা রাজনৈতিক বিবেচনা ছাড়া ঢোকা খুবই কঠিন।তবে মনে হচ্ছে সেই "কঠিনেরেই ভালবাসিলাম" তাইপ অবস্থা হয়েছে আমার-ভাবসাব যা দেখছি তাতে আগামী কয়েক বছর এর পিছনেই লেগে থাকার সম্ভাবনা আছে-যদি কপাল খারাপ হয়।
আপনার লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের উত্তরণের যে জটিল চিত্র তা অত্যন্ত নিখুঁতভাবে চিত্রিত করেছেন-যেটা আমার কাছে মনে হয় খুব কঠিন কাজ-লেখালেখিতে বেশ ভালো রকমের দখল না থাকলে এটা প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি।আলাদা করে মন্তব্য পরীক্ষা শেষ হলে করব-খালি এটুকু বলি-সিসিবিতে অনেক দিন এরকম লেখা পড়িনি।
অনেক অনেক অনেক বেশি ভাল থাকবেন আপু-আর ভুলেও আমাদেরকে দূরে ঠেলে দেবেননা প্লিজ!
শান্তাপু যতই শক্তিমান হন না কেন, তাই বলে আপনাকে ঠেলে সরানো !!! ওটা সম্ভব না। 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
x-( তোরে খাইছি x-(
এমন কিছু লেখা পড়ার জন্যেই তো সিসিবিতে আসতে ইচ্ছে করে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
:thumbup:
অন্যসময় কোথায় থাক?
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
খুব ভাল লাগলো পড়ে :thumbup: :thumbup:
তোমার সাথে আগে বোধহয় পরিচয় হয়নি। ধন্যবাদ।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
জি আপা আমি নতুন আমদানি 😀 😀
চমৎকার লেখা। অন্ধভাবে কাউকে ঘৃণা করা সমর্থন করা যায় না। আমার মনে হয় আক্ষরিক অর্থে কোন জাতিকেও ঘৃণা করা কষ্টকর, কারণ জাতির ধারণাটাই খুব বেশি অবজেক্টিভ, ঠিক উপলব্ধি করা যায় না। সব মানুষকে সমানভাবে দেখার চেতনাটাই সবার আগে। কারণ বাঙালির চেয়ে 'মানুষ' পরিচয় আগে। এক মানুষের সাথে আরেক মানুষের মিলগুলো খুঁজে বের করাই সবচেয়ে বেশি দরকার।
আমার ধারনাটাও তাই।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
@ মুহাম্মদ,
কমেন্টে :hatsoff:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
এত কঠিন বিষয়গুলো এত সহজ করে কিভাবে লিখেন আপু? অসম্ভব ভালো লাগলো....
ধন্যবাদ মিশেল। ব্লগ জিনিষটাকে এইজন্য আমার এতো ভালো লাগে। এই যেমন ধরো যেটা ভাবছি সেটা নিয়ে আশেপাশে কারো সাথে শেয়ার করতে পারছি না। তখন একটা ব্লগ লিখে ফেললেই হলো। ভারচুয়ালি কথা বলা যায়।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপনি খুব সূক্ষ্ণভাবে ভাবতে পারেন। পোস্ট পড়ে এটা মনে হচ্ছিলো। আমি সবসময়েই বিশ্বাস করি যে উগ্র ভালো বা উগ্র খারাপ মোটামুটি একই জিনিশ। খারাপ। মানুষ এমন প্রাণী যে তার চিন্তা চেতনায় ধূসর অঞ্চলটাই সবচেয়ে বেশি।
বাঙালি যতো বেশি ছড়িয়ে পড়ছে, তার ভেতরে অন্যান্য আচার আর কালচার ঢুকে পড়ছে। আমাদের প্রজন্মের সবচেয়ে বড়ো সংকটের জায়গা মনে হয় এই "সংকর" অবস্থাটাই! আমরা একদিকে যেমন পুরনো ভালো জিনিসগুলো হারাচ্ছি, তেমনি গ্রহণের সময়ে বেছে বেছে খারাপ জিনিসগুলোই নিচ্ছি। এই প্র্যাকটিসটাই খারাপ।
পাকিস্তানিদের ব্যাপারে আমি পুরাপুরি দ্বিমত। আমি বর্ণবাদ ঘৃণা করি। কিন্তু একজন পাকিস্তানি যতো বড়ো মহান, উপকারী, ভালো, সৎ হউক না কেনো, আমি তাকে বিশ্বাস করি না- পছন্দ করি না- তার সাথে কথা বলতে চাই না- তার সাথে মিশতেও চাই না! তার পেছনে কারণ একটাই। পাকিস্তানি শিক্ষাব্যবস্থা এবং মিডিয়া, সরকার এবং সমাজ তাদের একাত্তর-পরবর্তী সকল প্রজন্মকে শিখিয়েছে যে ১৯৭১-এর "গণ্ডগোল" পুরোপুরি ভারতীয় রাজনীতির কারণে ঘটেছিলো। "মুসলিম-মুসলিম" ভাতৃত্বে ভাঙন ধরানোর কূটনীতিতেই পূর্ব আর পশ্চিম আলাদা হয়েছে! যে জাতি নিজের অপকর্ম স্বীকার করা দূরে থাক, সেই অন্যায়ের দায় আরেকটা রাষ্ট্রের ওপরে চাপিয়ে দেয়, এবং জাতিগতভাবে পরের প্রজন্মগুলো সেটাতেই বিশ্বাস করে, তাদের সাথে আমার কোনো এফিলিয়েশন আমি চাই না।
পৃথিবীটা অনেক বড়ো। কেবল ধর্মের মিল, আঞ্চলিকতার মিল "ভাতৃবোধ"-এর মিল (!) আছে বলেই একজন পাকিস্তানিকে আমার সয়ে নিতে হবে এটা আমি মানি না। এখানে কোনো আবেগ নাই, ঘৃণা নাই, কেবলই নির্জলা যুক্তি। আমি এমনকি মুক্তিযুদ্ধের হত্যা, ধ্বংস, ধর্ষণ, লুঠ নিয়েও ভাবছি না। আমি যে কারণে নাৎজিদের খারাপ ভাবি, ভিয়েতনাম-কম্বোডিয়ায় যুদ্ধ বাঁধানো আমেরিকান সরকারকে খারাপ ভাবি, সেভাবেই পাকিস্তানকে খারাপ ভাবি।
আপু, আপনার লেখাটা আমার খুব ভালো লেগেছে। তাই অকপটে কথাগুলো বললাম। আপনার কোনো কথা খারাপ লাগলে আমি দুঃখিত... 🙂
অকপট কথা শো্নার জন্যই তো এখানে আসা।
এ কথাটা জেনারেলাইজ করা যায় না। তুমি যেই ডিজুসদের কথা বলছো তারা কিন্তু সব যুগেই ছিল। এ বিষয় নিয়ে পরে লিখব।
নিজের রুটকে অস্বীকার করলে বরং একটা সংকর অবস্থার মধ্যে পরতে হয়। সেদিন গ্রুপে একটা কালো মেয়ে লুসিয়ানা থেকে এখানে এসে জয়েন করলো। ওর অভিযোগ এই এলাকায় সাদা কালোভেদে কোন আলাদা পাড়া নেই বলে। সবাইই সব জায়গাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। ওর কথা শুনে এটা বুঝলাম যে পূ্্র্রব পুরুষ পাঁচশ বছর আগে আমেরিকাতে এসেও কালোরা এখনও তাদের গোত্রের বাইরে যেতে চায় না।
আমি আমার চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রটাকে উন্মুক্ত করে রাখি। কনভিন্সিং কিছু শুনলে সেটা গ্রহন করি। তবে পাকিস্থানীদের ঘৃনা করার যুক্তিটা মেনে নিলে তাহলে পৃথিবীর একজাতি আরেকজাতিকে শুধু ঘৃনাই করে যেতে হবে। এই যেমন ধরো বৃটিশদের ইতিহাসে শেখায় ভারতীয় উপমহাদেশ একটা বর্বর জাতি ছিল - ওরা এসে আমাদের সভ্য করেছে। আমার কাছে হিরোশিমা- নাগাসাকির থেকে নিষ্ঠুর আর কিছুই বলে মনে হয় না। সেখানেও আমেরিকানদের যুক্তি যুদ্ধ থামাতে এটা করতে হয়েছে। আবার জাপানের উপর যে সহানুভূতিশীল হবো তারও উপায় নেই। কোরিয়া আর চীন এখনও তাদের ক্ষত ভুলেনি। আবার আমাদের হিলট্রাকসএর আদিবাসীদের কাছে আমরা নিশ্চয় পাকিস্থানীদের মতো। এই ঘৃনার কোন শেষ নেই।
মজার ব্যাপার কী জান, দ্বিতীয় প্রজন্মের কমন জায়গাটা হচ্ছে খাদ্যোভ্যাস। মোটামুটি যারা একই রকম খাবার খেতে অভ্যস্ত, তারাই গাটছড়া বাঁধছে। এর বাইরেও অনেক কিছু ঘটছে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
মজার ব্যাপার কী জান, দ্বিতীয় প্রজন্মের কমন জায়গাটা হচ্ছে খাদ্যোভ্যাস। মোটামুটি যারা একই রকম খাবার খেতে অভ্যস্ত, তারাই গাটছড়া বাঁধছে।
:shy: মনে হইতেছে দ্বিতীয় প্রজন্মে আমার মত মানুষের সংখ্যা বেশি :shy:
অনেকটা একমত আর কিছুটা কনফিউসড।
@ আন্দালিব,
তোমার মন্তব্যে খুব ভয় পেয়ে গেলাম যে ভয়টা আমি করি একচোখা বুদ্ধিজীবি আর সুশীলদের হাতে পড়া আমাদের উঠ্তি প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই, ভয় না পেয়ে আমার ভুলটা ধরিয়ে দেন। আমি আমাদের পঠিত ইতিহাস বা চর্চিত সংস্কৃতির বাইরে কোনো বৃহত্তর সত্য থাকলে সেটা জানতে চাই।
কারণ হিসেবে যা বলেছো, তা'র দায় বর্তায় "পাকিস্তানি শিক্ষাব্যবস্থা এবং মিডিয়া, সরকার এবং সমাজ" এর উপর। একজন পাকিস্তানী মানেই কি তাদের শিক্ষাব্যবস্থা/মিডিয়া/সরকার/সমাজ?
- মানুষ ত মানুষই। সবার আগে সে মানুষ, তারপর তার অন্যান্য পরিচয়। মনে রাখা দরকার যে, যে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে আমাদের যে মুক্তিসংগ্রাম সেটা ছিল পাকিস্তানের সরকারের বিরুদ্ধে (যা ছিল সামরিক এবং প্রধানতঃ পাঞ্জাবি), সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে নয়, ইসলামের বিরুদ্ধে তো নয়ই। আর এও মনে রাখা দরকার যে, সেই সরকারের বিরুদ্ধে শুধু আমরাই যুদ্ধ করিনি, খোদ পাকিস্তানেই আরো অনেক মানুষ যুদ্ধ করেছে, এবং এখনো করেই চলেছে, যেমন বালুচ'রা, বা ওয়াজিরিস্থানের ছোটছোট গোত্রগুলো। এইজন্য আমি পাকিস্তানী মানেই খারাপ/ঘৃন্য মনে করিনা (ভারতীয় বা অন্যকোন জাতীয়তার মানুষের জন্যও একই মত)। শান্তাপুও তোমাকে এই কথাটাই বলতে চাইছেন মনে হলো।
তুমি যেমন করে ভাবছো, তোমার প্রজন্মের আরো অনেককেই পাবে যারা এভাবে ভাবে। এর দায়ও কিন্তু বর্তায় তোমার উল্লিখিত সেই একই ফ্যাক্টরগুলোর উপর; শুধু পাকিস্তানি'র স্থলে পড়তে হবে বাংলাদেশী।
আমার ধারণায় নির্যাতিতরা কমন-এনিমি'র বিরুদ্ধে সহজেই এক হতে পারে। কাজেই, মানুষে মানুষে ঐক্যের জন্য আমাদের দরকার মানুষের মাঝে ঐক্য খোঁজা যেখানে নির্যাতক/নির্যাতিত, শোষক/শোষিত একটা সুবিধাজনক (useful) প্যারামিটার হতে পারে। এই পোষ্ট মুহাম্মদের কমেন্টটা এইজন্য আমার ভালো লেগেছে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
@মাহমুদ ভাই, আপনার কমেন্টটা দেখেছি দুপুরে, দুপুর থেকে এখন রাত আটটা অবধি অনেক অনেকক্ষণ ভাবলাম। এতো ভাবলাম কারণ উপরে রকিবের কমেন্টেও একজন পাকিস্তানির কথা আসছে যে আসলে টিপিক্যাল পাকিস্তানি প্রচার মানে না। বাপ-দাদার করা পাপকে চিহ্নিত করতে পারে। আমি এরকম শুনেছি আমারও কয়েকজন বন্ধুর কাছে যারা বিদেশে থাকে, 'পাকিস্তানিদের মাঝে সবাই খারাপ না'।
প্রশ্নটা হলো, ব্যক্তি হিসেবে একজন, দুইজন কোনই উদাহরণ হতে পারেন কী না? (ব্যতিক্রমকে সাধারণীকরণ না করে ব্যতিক্রম হিসেবে চিহ্নিত করা ভালো)। তারা আলাদাভাবে ব্যাপারগুলো বুঝতে পারছেন সেটা তাদের কৃতিত্ব। রাষ্ট্রযন্ত্রের ম্যানিপুলেটেড ইতিহাসের প্রভাব থেকে তারা বের হয়ে এসেছেন।
আপনি যে পাকিস্তান রাষ্ট্র ও সরকারকে দোষী ভাবছেন- সেটা তো পাকিস্তানিদের দিয়েই তৈরি। পাকিস্তান রাষ্ট্রযন্ত্র হিসেবে নিজেকে শোধরায় না, যেভাবে আমাদের শোষণ করেছিলো, এখন বেলুচ বা ওয়াজিরিস্থানকে করছে। আমাদের সাথে যুদ্ধ বেঁধে গেলো আর তারা নির্বিচারে মানুষ মেরে ফেললো, যার জন্যে আজ অবধি ক্ষমা চায়নি। তাদের যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়নি। পুরো অপকর্মের দায়টা তারা ভারতের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার মতো নির্লজ্জতা ধারণ করে! এই কাজগুলো তো সরকার নাম এনটিটি করে নাই- করেছে চালক পাকিস্তানিরাই। আর ব্যাপারটা তো এমনও না যে হাজারে পাঁচজন খারাপ, বাকিরা ভালো। এই পাঁচজনে যা করেছে সেটা বাকিরা সমর্থন করে না। সমর্থক-অসমর্থকের রেশিওটা বড়ো বেশি একপেশে!!
আমি একাত্তর দেখি নাই, যাপনও করি নাই। আবেগটুকু আলাদা করে বিচার করলেও এই পাকিস্তানিদের জন্যে ঘৃণা ছাড়া আর কিই-বা দিতে পারি?
(মুহাম্মদের কমেন্টে আমিও একমত। একটা জাতি খুবই অবজেক্টিভ অস্তিত্ব। কিন্তু জাতিটা যদি পঁচানব্বুইজন খারাপ আর পাঁচজন ভালো লোক দিয়ে গঠিত হয় তাহলে আমি পাঁচজনকে কনসিডার করে পুরো জাতিকে ভালো বলতে চাই না।)
====
@ওয়াহিদা আপু, অনেক বকবক করছি আপনার পোস্টে, আগের কমেন্টে বকা দেন নাই এই সাহসে। এই কমেন্টটাও "চেপে-রাখতে-না-পেরে-বলে-ফেলছি" কথা হিসেবে ধরে নিয়েন! 🙂
@ আন্দালিব
🙁 :no:
- এখানে আর নয়। একটা পোষ্ট দিয়ে আমার বক্তব্য বলার চেষ্টা করবো।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আন্দা ভাই, সত্যি বলতে পজিটিভ অভিজ্ঞতা কেওল ঐএকটি। আর বেশিরভাগকেই এখনো সেই ভ্রান্ত ধারণাতেই বসে থাকতে দেখেছি। আমার নিজের ক্লাস প্রেজেন্টেশনে এর জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ পেয়েছি। সামনের পোষ্টে বিস্তারিত বলবো।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আন্দা তোর কমেন্ট টা বেশ ইন্টারেস্টিং। এ বিষয়ে আমার কিছু কথা মনে আসলো। সেটা হলো পাকিস্তানি শব্দটাতেই আমার ঘৃণা। পাকিস্তানি জাতির প্রতি আমার ঘৃণা কাজ করে। মাহমুদ ভাই শান্তাপুর কমেন্টের কথাগুলো খুবই সত্য, কিন্তু সবকিছুর শেষ আমরা মানুষ সেটাই বড় কথা। তাই মানবীয় ধর্ম সবসময় লজিক মেনে চলে না কিংবা এটা হওয়া উচিত ওর এটা করা উচিত সেই ঔচিত্যবোধ একদিকে আরেকদিকে বাংলাদেশের পরিপার্শ্বের পাকিস্তান বিরোধী ক্রিয়ার মিথষ্ক্রিয়া আমাকে ভাবাত। কিন্তু ভারচুয়াল জগতের কিছুজায়গায় যেখানে চুড়ান্ত সত্য গুলো বেরিয়ে পড়ে সেসব জায়গায় পাকিস্তান ভারত দুপক্ষের বাংলাদেশ নিয়ে উন্নাসিকতায় আমি বিভ্রান্ত সেই সাথে ক্ষিপ্ত যা ঔচিত্যবোধের দেয়ালগুলো ভেঙে দিতে চায়। কোন নাম ম্যানশন করে না পাকি বা ভারতীয় চ্যাট রুমে আমজনতার কাছে বাংলদেশকে বেগার দেশ শুনলে আমাদের এত ভাবনা এত বিবেচনা বোধ থাকতে চায় না মানছি এর দ্বারা আমার ভাবনাও তীব্র জাতীয়তাবাদের দিকে যায়, কিন্তু সত্য যেটা মনে হয় ওদেরকে সেখানে গালি ফিরিয়ে না দিয়ে মহত্ত দেখালে বাকিরা আমার পিঠ চাপড়াবে না বরং বাংগালির ক্লীবতায় হাসবে। মাহমুদ ভাই শান্তাপুর বক্তব্যগুলোতে একমত হওয়ার পরও খাজে কর্মে আমি এই বিবেচনা বোধ আমলে নিতে পারিনা তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণেই হয়তো।
পোস্ট টা আমারও খুব ভালো লেগেছে। পয়েন্ট তু পয়েন্ট ধরে আলোচনা পরে এসে করে যাবো। আন্দার মত আমিও অকপটে বলে গেলাম । আমার চিন্তাভাবনায় খুত অবশ্যই থাকতে পারে। সে ব্যাপারে বড়দের পরামর্ষহ শুনার অপেক্ষায় থাকলাম।
বড় লেখা, অথচ কি ঝরঝরে ভাষায়...একটানে পড়লাম...ভালো লাগল... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:- :-
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
দারুন লাগলো আপু। একটানে শেষ করলাম। আপনি খুব গুছিয়ে লেখেন।
ধন্যবাদ মো`রী
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
পোষ্টটা পাবলিশ হবার সাথেই সাথেই পড়ে ফেলেছি; কিন্তু মন্তব্য করবার সময় পাই নি। 😕
পাকিস্তানি প্রসঙ্গে একটা কথা বোধহয় অনেকাংশেই আন্দালিব ভাই ঠিক বলেছেন (মন্তব্যে); ভুল ইতিহাস শেখানো হয় সেখানে পরবর্তী জেনারেশনগুলোকে। নিজে তাঁর জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ দেখেছি। তবে মাঝে মাঝে দু'য়েকটা ব্যতিক্রমও দেখেছি। আমার নিজের বেশ কিছু পাকিস্তানি সহপাঠি আছে। খুব দহরম-মহরম না থাকলেও দুর্ভাব নেই। একটা ছেলে আছে আদনান নামে; ও এই ১৬ ডিসেম্বরের পর আমাকে একটা কথা বলেছিল বেশ মন খারাপ করে। সম্ভবত ও কোন এক বাংলাদেশিকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছিল; তবে ক্ষুদ্ধ সেই যুবক, ওকে বেশ দু'চার কথা শুনিয়ে দেয়। ওকোন জবাব না দিয়ে চলে আসে। তো আমাকে আক্ষেপ করে বলছিলো, "দোষ করেছিল বাপ-দাদারা; কিন্তু এর বোঁঝা আমাকে বহন করতে হচ্ছে।" ওর সাথে কথা বলে বুঝেছিলাম, হালকা পাতলা হলেও সঠিক ইতিহাসটা মোটামুটি ও জানে। তবে এধরণের মানুষের সংখ্যা খুব কম।
পুরো লেখাটা জুড়েই ভাববার মতো অনেক উপাত্ত রয়েছে। :boss: ভালো লাগলো।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
বাংলাদেশের অভিবাসীদের ক্ষেত্রে লন্ডন একপ্রজন্ম এগিয়ে আছে। আমি শুনেছি ওখানে অনেকেই খুব radical হয়ে যাচ্ছে। ৩য় প্রজন্মের বাংলাদেশী সম্পর্কে পারলে একটু জানিও প্লিজ। বিশেষ করে ব্রুকলিনের বাসিন্দাদের সম্পর্কে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
শান্তাপু, আমি লন্ডনে না; কানাডায় 😕 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
জাতিরাষ্ট্র সব সময়ই আংশিক ইতিহাস তৈরী করে+পড়ায়, কারণ সেই ইতিহাসের পেছনে কিছু বিশেষ মূল্যবোধ থাকে। প্রকৃত ইতিহাসের যে অংশ সেই মূল্যবোধের সাথে যায়, তা'কে হাইলাইট করে, আর বাকি ইতিহাস মুছে ফেলে।
শান্তাপু, লেখা দুর্দান্ত হয়েছে। :boss: :boss:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
সেটাই সব জাতিই তাদের কাজকে জাস্টিফাই করতে চায়। তবে চাইলে কেউ আসল সত্যটা অনুধাবন করতে পারে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু অভিযোগ করতে চেয়েছিলাম কেনো এতো কম লেখেন, পরে মনে হল আপনি নিশ্চয় অনেক যত্ন করে অনেক ভেবেচিন্তে লিখেন বলেই এতো দেরিতে লেখেন, লেখাও অনেক ভালো হ্য়। আপনার লেখার জন্য অপেক্ষাটা কস্টকর, তবে ভালো লেখার জন্য এইটুকু কস্ট করতে ভালো লাগে।
আপনার লেখা পড়ে অনেক কৌতুহল মিটলো।আসলে প্রতিনিয়ত নিজের সাথে যুদ্ধ করি, ভাবি দেশ ছেড়ে আসলে কেমন থাকবো, পরের প্রজন্ম কেমন হবে? যেন কিছু প্রশ্নের জবাব পেলাম। ধন্যবাদ আপু।
গত দুইমাস বোন পরিবারসহ বেড়াতে আসছিলো। অনেক হইচইএর মধ্যে ছিলাম। লেখা হয়েছে কিছু। কিন্তু গল্প ছাড়া এ ধরনের ব্যক্তিগত লেখা দিতে কেন জানি খুব সংকোচ হয়। এ জন্য আর লেখা দেওয়া হয়নি। এ লেখাটাও গত তিনচারদিন চিন্তাভাবনা করার পর এডিট করে সংক্ষিপ্ত আকারে দিলাম। এখন সংকোচ একটু কেটে যাচ্ছে। দ্বিতীয় প্রজন্ম বা প্রবাসী জীবন নিয়ে আরো লিখার ইচ্ছে হচ্ছে। আমার ধারনা আমাদের সমস্যাগুলো মোটামুটি একই। পারলে তোমার ইমেইল এড্রেসটা দিও।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আরে দূর এত ভাইবা কি হইবো কন, "দম ফুরাইলে ঠুস"
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
যতোদিন দম আছে ততদিন ভাইবা যাইতে চায়। নইলে বেঁচে থাকাটা বড়ই নিরস মনে হয়।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
চমৎকার গুছানো লেখা, অনেক চিন্তা করে লিখেছেন বোঝাই যায়। পড়তে বেশ ভালো লাগল আপু।
বিভিন্ন দেশের মানুষদের বর্ণবাদী বলে গালাগালি করি না কেন, টের পাই যে আমি নিজেই একজন বর্ণবাদী। এই সমস্যা থেকে কিভাবে যে উত্তরণ পাব- তাও বুঝি না। শুধু চেষ্টা করি মানুষ হিসেবেই একজন মানুষকে মূল্যায়ন করতে।
ধন্যবাদ তানভীর এতো সুন্দর কথার জন্য। ভালো থেক।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু
অনেক বেশি ভালো লাগলো... প্রিয়তে যোগ করলাম বারবার করে পড়বো বলে... আসলে আপনি অনেকগুলো ব্যাপার অনেক গুছিয়ে আর সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। দু'একটা বলার সুযোগ পাচ্ছিনা... মাথার ভেতর জট পাকিয়ে আসছে...
আপনি আসলে অনেক সূক্ষ্ম করে চিন্তা করেন... আমার চিন্তা আর অনুভূতির সাথে বেশিরভাগ ভাবনার মিল পেলাম...তাই হয়ত আমার উচ্ছ্বাসটুকুও একটু বেশি...
এরকম সুন্দর করে, আর গভীর করে যদি ভাবতে পারতাম!!
আন্তরিক ধন্যবাদ আপু এই সুন্দর লেখাটার জন্য...
আমরা অনেকেই একরকম করে ভাবি আবার কেউ কেউ ভাবি না। ভিন্নতা বা মিল দুটোই খুঁজে পেতে বড় ভালো লাগে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
অনেক সুন্দর লেখা আপু... অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখানে খুব সহজেই উঠিয়ে এনেছেন। একটানে পড়ে ফেলেছি। সবার আলোচনা-সমালোচনা দেখলাম। আমি নতুন করে কিছু যোগ করতে চাচ্ছি না।
আমিও আর নতুন কিছু যোগ করি না ...
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ভালো লিখেছো শান্তা। একটানে পড়ে গেলাম। আশেপাশের মানুষ, শিশুদের মনস্তত্ব, কাজের অবস্থা অনেক কিছুই উঠে এসেছে লেখায়।
পাকিস্তান, ভারত নিয়ে তোমার দৃষ্টিভঙ্গীও সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছো। পাকিস্তানী কারো সঙ্গে প্রথম পরিচিত হলেই এক ধরণের অস্বস্তি এখনো আমার মধ্যে কাজ করে। কিন্তু ঢালাও ঘুণা করি না ওদের। তাহলে তো পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য নিজেকেসহ সব বাঙালিকে ঘৃণা করতে হয়!
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
একমত সানা ভাই।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
এত্ত সহজ করেও লেখা সম্ভব? অসাধারন :boss: :boss: :boss:
আমি নিজে কঠিন লেখা তেমন বুঝি না।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
এমন লেখা একটি পড়েই চিরজীবনের জন্য কারো ফ্যান হয়ে যাওয়া সম্ভব 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
একটু লজ্জা পেলাম। লজ্জার ইমো তো আছেই। :shy:
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আমি তো ২ জনেরই ফ্যান হয়ে গেলাম। :tuski:
আইইউটিতে আমার পাশের রুমে চার বছর পাকিস্তানী থাকার পরও আমি তাদের সাথে কোনওদিন কথা বলিনাই। কারণ আমি ইংরেজিতে কথা বলতে পারিনা, আমার অনেক বন্ধু অবশ্য তাদের সাথে হিন্দীতে হামকরেঙ্গা, তেন করেঙ্গা কথা বলে, আমি তাও পারিনা 🙁
লেখাটা খুব ভালো লেগেছে।
আশা করবো তোমার সেসব না পারাটা আমাদের সবার স্বপ্নের অচিনপুরে যাবার অন্য একটা পথ খুলে দিবে। বিবেকানন্দের একটা সুন্দর কথা আছে " যতো মত তত পথ।" ক্যাডেটীয় স্টাইলের মার্চপাস্টের দরকার কি? তুমি না হয় তোমার বন্ধুদের থেকে একটু অন্যপথেই গেলে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু,
আমি সিসিবিতে ইদানীং একটু আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকি, B-)...আপনার লেখায় কমেন্ট করার জন্য মাটির উপরে আসলাম...
অনেক ভাবনা-জাগানিয়া লেখা...হাতেগোণা দু-একটা ব্যতিক্রম বাদ দিলে পাকিস্তানীদের ব্যাপারে আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়...যাদের সাথে একটু দূরত্বের সম্পর্ক, তারা সু্যোগ পেলেই আমাদের মুসলমানিত্বের একনিষ্ঠতা নিয়ে ঠারেঠোরে কটাক্ষ করতে ছাড়েনা...আর যারা একটু ঘনিষ্ঠ হয়, তারাই দুই মুসলিম ভাইয়ের বিবাদ ঘটানোর জন্য ভারতের মালাউনদের বাপ-বাপান্ত করার চেষ্টা করে...
অবশ্যই সবাইকে ঢালাও দোষ চাপায়ে লাভ নাই...আমার নিজের মধ্যেও পাকিস্তানীদের সংস্পর্শে আসার সময় যথেষ্ট অস্বস্তি কাজ করে...তবে মুহাম্মদের কমেন্টটা খুব অসাধারণ, সব মানুষকে সমানভাবে দেখার চেতনাটা আসলেই দরকার...কবে যে নিজেকে সেই লেভেলে এলিভেট করতে পারবো?
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
সব মানুষকে সমানভাবে দেখার চেতনাটা আসলেই দরকার
শুধু ধর্ম বা জাতির ভিত্তিতে নয়, শ্রেনীভেদেও আমরা যদি সবাইকে একরকম দেখতে পেতাম!
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
এই লেখা পড়ার পর লগ ইন না করে উপায় নায় শান্তাপু :hatsoff:
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
:shy: :shy:
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
এই লেখা পড়ার পর লগ ইন না করে উপায় নায় শান্তাপু :hatsoff:
x-( x-(
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
x-( দাঁড়ায় দেখতেছস কি?শান্তাপু রাগ করছে-শিগগিরি ফ্রন্টরোল শুরু কর x-(
কপি করতে করতে এই ছেলের অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপনার লেখা আমি পড়ি। ভাল লাগে। কিন্তু এইটা সবথেকে অন্যরকম - আমার প্রিয়-পরিচিত বিষয়গুলো আপনার চারপাশের ঘটনার সাথে মিশিয়ে এত সুন্দর করে লিখলেন! খুবই সুপাঠ্য। এত সহজ করে মানুষ লিখে কি করে?
পাকিস্তানি ২য় জেনারেশান যা দুএকজনকে চিনি, ওদের কাছে ভারত, পাকিস্থান বা বাংলাদেশ মানে রাসীনের রঙ্গীন পৃথিবীর মতোই মনে হয় কথা বললে। পাকিস্থানি মানেই শত্রু ধরে নিতে হবে, এটা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। আমার কাছে আসমা জাহাঙ্গীর বা সাবা মাহমুদ যথেষ্ট লিবারেল মনে হয়। সবকিছুর পরও মনের কোথায় যেন একটা খচখচ ঠিকই থেকে যায়। হয়তো আপব্রিরিং একটা বড় ব্যাপার।
রাজনীতবিদদের রিয়েলিটি শো জমতে পারে যদি আমাদের বর্তমান ধড়িবাজ কথাবার্তায় চটুল রাজনীতিবিদদের দিয়ে এটা করানো হয়। রাজনীতিবিদ হান্টিং বোধহয় বাস্তবে সম্ভব নয়। আমাদের রাজনীতির কালচার আর প্রাকটিস তো অন্যরকম। ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম পড়তে হবে। দারুন লিখেছেন আপু, শুনতে চাই মানে অবশ্যই চাই।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
রাজনীতিবিদ হান্টিং এভাবে হয় না। রিয়েলিটি শোটা প্রথমত বিনোদনের জন্য - স্যাটায়ারধর্মীও হতে পারে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপা,খুব ভালো লাগলো আপনার সহজ ভাষায় কঠিন কথা বলার style.সব মানুষের এই গুন থাকেনা.জাফর ইকবাল sir আর এই গুনটা আছে .আরো লিখা চাই.
জাফর স্যারের লেখা আমার খুবই পছন্দ যদিও মাঝে মধ্যে বিষয়বস্তুর সাথে এক হতে পারি না।
এর আগেও একজন জাফরীনের দেখা পেয়েছিলাম। তুমি কি একই জাফরিন?
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
তীব্র সহমত :thumbup: নিজেদের সচেতন হতে হবে সবার আগে।
তীব্র সহমত
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
:)) :)) :)) :))
হাসার কিছু নেই। এইদিকটাতে ওরা আসলেও বস।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু, লেখাটা পড়ে অনেক ভাল লাগলো।
আমি এমনিতে খুবই না-প্রকাশ-করতে-পারা ধরনের একটা মানুষ। ব্লগ লেখার তো প্রশ্নই আসে না, কমেন্টও করা হয় না। কিন্তু কেন জানি পাকিস্তানীদের ব্যাপারে আমি আন্দালিব (তোমাকে চিনি না ভাই, তবে চিনে যাব নিশ্চই) এর সাথে বেশ একমত। আমি বিদেশে আছি, ফলে অনেক পাকিস্তানীর সাথেই পরিচয় হয় মাঝেমাঝে। আমার মনে হয় আসলেই ওদের ৮০% ই এখন বর্বর রয়ে গেছে। আর বাংলাদেশীদের আধা হিন্দু-আধা মুসলমান ভাবার প্রবনতা তো আছেই। আমার অন্য ভাইদের কেমন লাগে জানি না, কিন্তু একজন হিন্দু হয়ে আমার কাছে ব্যাপারটা প্রচন্ড অপমানজনক মনে হয়। যেই জাতি এখনো মনে করে যে ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়া হালাল না, কারণ তাতে কাপড় এর উপর দিয়ে তিনবার পানি যায় না, তাদের নিয়ে কথা বলাটাই আসলে সময় নষ্ট।
কিছু আলোকিত মানুষ ওদের ভেতরেও আছে নিঃসন্দেহে কিন্তু সংখ্যাটা মাইক্রোস্কোপিক।একেবারে পুরো জাতি ধরে কিভাবে একটা দেশের মানুষ বদমায়েশ হতে পারে তা পাকিস্তানিদের না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব না।আপনার অভিজ্ঞতার কথা শুনে খারাপ লাগল সুমন্ত ভাই।
সুমন্ত তোমার আবেগের তীব্রতা অনুধাবন করতে পারছি। আমি অন্য ধর্মের কথা জানি না কিন্তু আমার ধর্মের কিছু মানুষকে ধর্মের নামে খুব কঠিন আচার পালন করতে দেখি। পরবর্তীতে আমার "ধর্ম, সংস্কৃতি এবং প্রবাসী" শিরোনামে একটা লেখার পরিকল্পনা আছে।
কেউ যদি আমাকে বাংগালি বলেই আধা-হিন্দু আধা-মুসলমান বলে ভাববে তখন তাকে আমি অবশ্যই ব্ল্যাক লিস্টেড করবো।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু আপনার লেখাটা পুরাটা পড়ে আপনার ভাবনার স্বচ্ছতা দেখে খুবই ভাল লাগছে । আমি নিজেও প্রবাসী, আপনার চিন্তাধারা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে । পাকিস্তানীদের সাথে খুব একটা ওঠা-বসা হয়না, আর ভারতীয়দের সাথেও একি অবস্থা । একটা জিনিস খেয়াল করছি এরা বাংলাদেশী দেখলে একটু পরিচয় হলেই হিন্দী-উর্দু তে কথা বলা শুরু করে দেয় । আমার ভীষন রাগ হয়, আমি খুব ভালো হিন্দী-উর্দু বলতে পারলেও ওদের সাথে ইংরেজীতেই বলি ।
ধন্যবাদ আদনান। তোমার অস্ট্রেলিয়ার কাহিনী পারলে শুনিও।
আমার বাসায় একবার একজন নেপালী ন্যানি ছিল দুবছরের জন্য আমার মেয়েটাকে দেখাশোনা করার জন্য। সে ইংরেজী ভালো বলতে পারতো না দেখে তার সাথে হিন্দিতে কথা বলতাম। আমার মেয়ে রাইসা দেড়বছর বয়সে দেখা গেল বাংলা, ইংরেজী আর হিন্দি তিন ভাষাতেই কথা বলছে। তবে কি অজানা কারনে সে শুধু হিন্দি বলতো তার ন্যানির সাথে, আমাদের সাথে বাংলা আর রাসীনের সাথে ইংরেজী। এখন অবশ্য স্কুলে যাওয়ার পর থেকে ইং্লিশ বেশি বলে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
অসাধারন লিখেছেন আপু। ব্লগে যোগ দিয়েই আপনার ফ্যান হয়ে গেলাম। আপনার আরও লেখা পড়বার অপেক্ষায় থাকলাম।
সুস্বাগতম। আশা করছি আমাদের ভারচুয়াল কথাবার্তা হবে, তোমার লেখাও পড়া যাবে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপনি বস আপু
এই লেখাটায় আমি অনেকগুলো ফোকাল পয়েন্ট রেখেছিলাম। এই পয়েন্টটা তুমিই প্রথম উল্লেখ করলে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
পুরো পোস্ট টা অনেক মন দিয়ে পড়লাম। অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত থেকে মিস করে গেছিলাম। কমেন্ট সবগুলো পড়িনি। লেখার কিছু জায়গায় আড় কমেন্টে মনে হয় আমার জন্য ভাববার আর বোঝার কিছু ব্যাপার রয়ে গেছে। নিজের ভাবনাগুলো সময় করে বড় করে জানিয়ে যাবো।
আপু এবার একটু বলি, রাজনৈতিক প্রজ্ঞার উপর শুধু ছেড়ে দিলে মনে হয় হবে না, আমার কাছে মনে হয়েছে জাতীয়তাবোধের অভাবটা আামদের মাঝে প্রবল। বাঙালি বা বাংলাদেশী (এটা নিয়ে তর্কই আমাদের জাতির আসল অবস্থা বলে দেয়) জাতীয়তাবাদী নাই। এই জাতীয়তাবাদী ধারা খুব ং্নভাবে দুভাগে ভাগ হয়ে একটা ভারতের দিকে আরেকটা পাকিস্তানের দিকে চলে গেছে। আমাদের সুশীলজনেরা ভারতীয় ধারাকে বাংলার ধারা বলে ভারতের ভাবমূর্তি উদ্ধারে ব্যস্ত অপরদিকে পাকিস্তান পন্থী (হ্যা ভুল বলি নি, অত্যন্ত কষ্টের হলেও এখনও স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানপন্থী লোক আৎকে উঠার মত সংখ্যায়) গুলা নিজেকে বাঞালি বলার আগে মুসলিম বলে পাকিস্তানিদের ভুল গুলোর বৈধতা দিতে চায়। ফল ভয়াবহ। জাতীয় ঐক্য হওয়া সম্ভব নয় তারও চেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে আমদের স্বকীয় জাতীয়তাবোধের অভাব।
আামদের পররাষ্ট্রনীতি নতজানু। আর তিন দিকে ঘিরে থাকা প্রতিবেশী যেখানে আমাদের নির্ভরশীল করে তুলছে তার সাথে সুসম্পর্ক রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ কিন্তু সেই সুসম্পর্ক বজায় রাখতে শুধু নিজেরা দিবো কিন্তু কিছু ই পাবো না এটা কষ্টের। ভারতের সুসম্পর্ক যদি আামদের এত কিছুর বিনিময়ে পাওয়া হয় তাহলে সেটা কষ্ট হলেও মেনে নিতে হবে, কিন্তু সুশীল জনেরা এটার মাঝেও বাংলাদেশের অনেক লাভ হয়েছে বলে বেড়াচ্ছে দেখেই আমার আপত্তি।
ভারতীয়দের সাথে আমাদের জাতিগত পার্থক্য হচ্ছে নিজের লাভের জন্য সে দেশের বিরুদ্ধে কখনও কিছু বলবে না, অথচআমরা হচ্ছি উল্টো।
বাংলা চ্যানেল গুলো নিয়ে আপনি যেটা বললেন সেটার সাথে দ্বিমত। আমরা ভারতের চ্যানেল বর্জন করবো কেন। ব্যাপার হচ্ছে আমমরা চ্যানেল বর্জন করলে কি লাভ হবে? আর এ যুগে কালচারাল এক্সচেঞ্জ তো থাকবেই। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে এখানে কালচারাল এক্সচেঞ্জ চলে না চলে কালচারালি আমাদের নির্ভরশীল বানাবার প্রক্রিয়া। আমদের চ্যানেল কলকাতায় দেখালে সমস্যা কি?
আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে ক্যাডেটকলেজের তেলানি টাইপ প্রিফেক্টদের মত। যারা ক্যাডেটদের সামনে বিরাট হম্বিতম্বি করে যায় পরে অথরিটির সামনে গিয়ে কথা বলতেও ভয় পায়।
াওথচ এদের সম্বর্ধনা দিতে গিয়ে নগরে জট পেকে যায়। আর আমার মত নিরীহ লোকদের ১০০ টাকা ভাঙা ভাঙা রিক্সা ভ্রমণ আর আর মাঝে মাঝে হন্টনে যখন মহাখালি থেকে যাত্রাবাড়ি যেতে হয় তখন আর এদেরকে গালি না দিয়ে তাদেরকে ডিফেন্ড কলরার ত সুশীল হতে পারি না।
আপনার পোস্টের অন্যান্য অংশে প্রায় পুরোই সহমত। সাথে প্রাসী বাঙালি বাচ্চাদের বেড়ে উঠার ব্যাপারেও জানা গেলো।
ভালো থাকবেন আপু।
অরুন্ধতি রায় কিন্তু উল্টোপথে হাঁটছেন।
আলাদা আলাদা ভাবে বাংগালিরা অনেক দূর এগিয়েছে। পৃথিবীর প্রায় সব ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজলে আমাদের দেশের শিক্ষক পাওয়া যাবে। অথচ সামগ্রিকতায় এসে আমরা ক্ষুদ্র হয়ে যায়। আমাদের আলাদা শক্তিতে এক করার মতো কাউকে বড় দরকার। আমরা স্বপ্ন দেখতে ভুলে যাচ্ছি, আত্ম মর্যাদা হারিয়ে ফেলছি। আর কতো?
টিভিতে সার্ফ এক্সেলের এক্টা এড দেখেছিলাম " দাগে যদি ভালো কিছু হয় তবে দাগই ভালো।"
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে ক্যাডেটকলেজের তেলানি টাইপ প্রিফেক্টদের মত। যারা ক্যাডেটদের সামনে বিরাট হম্বিতম্বি করে যায় পরে অথরিটির সামনে গিয়ে কথা বলতেও ভয় পায়।
ভাবতেছি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নিয়া কোন প্রশ্ন আসলে এই লাইনটা ব্যবহার করমু।মন্তব্যে উত্তম জাঝা!!
করমু।মন্তব্যে উত্তম জাঝা!!
নতুন শব্দ শিখলাম।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
সহমত :thumbup: :thumbup:
অসাধারন একটা লেখা :boss: :boss:
আপু আপনাকে :salute: :salute: :salute: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
আপু আমার একটা আব্দার আছে.......নেক্সট টাইম দেশে আসলে, আপনি আমাকে এতো কঠিন কঠিন আর জটিল কথা কি করে এতো সহজ আর সাবলীল ভাবে বলা যায় (বয়ান করা যায়) তা শিখিয়ে দিবেন 😀 😀
দিবেন না আপু ???? পিলিজ আপু পিলিজজজজ....... 🙂 🙂
এমন সব আন্তরিক কমেন্ট দেখে লেখার উৎসাহ বেড়ে যায়।
খুব দেশের কথা মনে করিয়ে দিলে। এই সামারে আসার কথা ছিল। কিছু কাজ আর পরিবারের সবার ছুটি ব্যাটে বলে না মেলাতে আসতে পারছি না দেখে মন কিছুটা খারাপ। তবে ডিসেম্বরের দিকে আসার আশা রাখি।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আমি আপনার লেখা মাঝে মাঝে পরি। ভালো লাগে।তবে আমার গত এক যুগের বিদেশী জীবনে পাকিস্তানিদের সাথে ভালো কোনো অভিজ্ঞতা নাই। থাকলে আপনার সাথে শেয়ার করা যেত।
আমার অভিজ্ঞতা আর এই লিংক এর লেখা এবং লেখার মন্তব্য গুলার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সবই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। লেখার মন্তব্যকারীকে আমি চিনিনা সেও আমাকে চেনেনা। শুধু পাকিস্তানিদের সাথে আমাদের অভিজ্ঞতা গুলো একই। বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো যখন একে অপরের উপর নির্ভরশীল না হয়ে একই ধরনের হয় তখন একটা জাতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তবে এটা সত্যি যে সবাই এক রকম না।
" ইসলাম কি কুমারী মেয়েকে গণধর্ষণ সমথন করে? আমি জানতে চাই। তাসনিম শূন্য চোখে তাকিয়ে বলে;
-যদি শত্রুপক্ষের মেয়ে হয় তাহলে হালাল…।
- তুমি কি জান কত নির্দোষ মেয়েকে তোমাদের আর্মি রেপ করেছে ৭১ এ?
-দু একটা ঘটনা ঘটে থাকতে পারে, তার দায়িত্ব ব্যক্তি নেবে, আমি নিশ্চিৎ তাদের শাস্তি দিতে সরকার কার্পণ্য করেনি!"
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=3653
http://mukto-mona.net/bangla_blog/?p=3473
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=3510
http://mukto-mona.net/bangla_blog/?p=4279