বড় লোকের বিটি লো

[লেখাটা গত ২০ এপ্রিল ২০২০ তারিখে লিখেছিলাম; আজ ১ জুলাই ২০২০ তারিখে সিসিবিতে পোস্ট করা হলো।]

খুব বোরিং এবং আনকনভেনশনাল একটা লেখা এটা। তাই আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছে। লেখার টাইটেল-টা নিশ্চয়ই বলে দিচ্ছে, লোক-সঙ্গীত এবং তার কন্ট্রোভার্সিয়াল প্রেজেন্টেশন নিয়ে লিখতে যাচ্ছি। আমার কথাগুলো খুব বিরক্তিকর মনে হলে, নির্দ্বিধায় এই লেখা এ্যাভয়েড করে যান। আর লোক-সঙ্গীত নিয়ে কিছু ভাবনা ভালবাসায় দুচার মিনিট সময় কাটাতে চাইলে,

বিস্তারিত»

মেলবোর্নের দিনলিপি-৪ঃ ঘরোয়া জন্মদিন পালন এবং ঘরের বাহিরে ইংরেজী নতুন বর্ষবরণ

এর আগের পর্বটি পাবেন এখানেঃ মেলবোর্নের দিনলিপি (৩)… আজ বাইরে কোথাও যাচ্ছিনা, তাই ইতিহাস নিয়ে কিছুটা ঘাঁটাঘাটি

আমরা যখন অস্ট্রেলীয় ভিসার জন্য অপেক্ষমান ছিলাম, তখন হঠাৎ একদিন আমাদের বিয়াই সাহেব (মেজ বৌমার বাবা) আমাদেরকে টেলিফোন করে জানালেন যে ওনারাও নিতান্ত আকস্মিকভাবেই সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটা ভাল অফার পেয়ে মেলবোর্নে যাওয়া-আসার টিকেট করে ফেলেছেন। ওনাদের যাত্রার তারিখ ২৭ ডিসেম্বর রাতে, ফেরত আসার তারিখ ১৬ জানুয়ারী ২০২০ রাতে।

বিস্তারিত»

মেলবোর্নের দিনলিপি (২)… ‘মেরী ক্রিস্টমাস ডে’ – ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

এর আগের পর্বটি পাবেন এখানেঃ মেলবোর্নের দিনলিপি (১)…..

আজ ‘মেরী ক্রিস্টমাস’ দিবস। সরকারী ছুটির দিন। ছেলে বললো, সন্ধ্যায় আমাদেরকে নগরীর আলোকসজ্জা দেখার জন্য সিটি সেন্টারে নিয়ে যাবে। এখন এখানে সন্ধ্যা নামে নয়টায়। আমরা রওনা দিলাম সাড়ে সাতটার দিকে, তখনো বিকেলটা রৌদ্রোজ্জ্বল ছিল। এসব দিনে রাস্তাঘাটে সহজে পার্কিং স্পেস পাওয়া যায় না। ফ্ল্যাগস্টাফ রোডে কোন রকমে একটা পার্কিং স্পেস পাওয়া গেল। সেখানে গাড়ী রেখে আমরা পায়ে হেঁটে মেট্রোরেল স্টেশনে এলাম।

বিস্তারিত»

মেলবোর্নের দিনলিপি (১)…..

এর আগের পর্বটি পাবেন এখানেঃ অস্ট্রেলিয়ার পথে (৩) …. অবশেষে মেলবোর্নের মাটিতে!!!

দিবাকরে দেখা প্রথম দিন (২৪ নভেম্বর ২০১৯):

দুয়ারে দুয়ারে প্রায় ২১ ঘন্টা জার্নীর পর (ঢাকার বাসা থেকে থেকে মেলবোর্নে ছেলের বাসা) গতরাতে শরীরটা বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। তার উপর রাতে শয্যা নিয়েছি অনেক দেরীতে। তাই সকালে ঘুম ভাংলো অনেক দেরীতে। আমার ছেলে ও বৌমা মেলবোর্নে সংসার শুরু করার পর ওদের এই বাসাটা দ্বিতীয় বাসা।

বিস্তারিত»

করোনার দিনগুলি

ডিসক্লেইমারঃ বাংলাদেশে করোনা (কোভিড-১৯) সনাক্ত হবার প্রাক্কালে ২০২০-এর ১৬ই মার্চের পরে যখন প্রথম দফায় পুরো মাস জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধের ঘোষণা এলো, ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে থেকে ডিপার্ট্মেন্টের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে আমার ছাত্রছাত্রীদের জন্য মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন নামে একটা লেখা পোস্ট করেছিলাম। পরে সেটাকে নিজের ওয়ালে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজনঃ পর্ব-১ নামে পোস্ট করি। এর ধারাবাহিকতায় করোনার দিনগুলোতে আমার ওয়ালে কখনো বাংলায় আবার কখনো ইংরেজিতে এই লেখাটা একটার পর একটা পর্বে চলতে থাকে;

বিস্তারিত»

শিক্ষকের ডায়রিঃ পর্ব-৪

১. আমার পরিচিত কাউকে যখন দেখি সামনে অনেক মানুষকে নিয়ে কোন কিছু বোঝাচ্ছে/বোঝাচ্ছেন, আমার অনেক ভাল লাগে বিষয়টা। আমার ক্ষেত্রে এর অন্যতম একটা সম্ভবত এটাই যে, সেই মানুষটা, যিনি নিজে পেশায় শিক্ষক না হওয়া স্বত্বেও শিক্ষকতার পেশায় মনে-প্রানে নিয়োজিতদের আত্মিক প্রশান্তিটা উপলব্ধি করতে পারছেন।

২. তবে আমার কাছে মোটিভেশনাল লেকচার বিষয়টা এখনো একটা আপেক্ষিক ধাঁধা মনে হয়। কারনটা একটু খুলে বলি।

বিস্তারিত»

শিক্ষকের ডায়রিঃ পর্ব-৩

অল্প কিছুদিন হলো আমার এক পুরোনো ছাত্র শিক্ষকতা শুরু করেছে। সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে ইদানিং লিখছে। আমার সেসব পড়তে বেশ লাগছে। তার এক লেখার মন্তব্যের ঘরে নিচের কথাগুলো একান্ত নিজস্ব কিছু অনুধাবন হিসেবে লিখেছিলামঃ

১. ক্লাসে কেউ পড়া/বিষয় না বুঝলে আমার খারাপ লাগে না। নাও বুঝতে পারে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ক্লাসে বিষয়ভিত্তিক আলোচনার সময় কেউ যখন আলোচনার বাইরে অন্য কোন কাজে ব্যাস্ত থেকে নেহায়েতই গাফিলতির কারনে পড়া বোঝে না,

বিস্তারিত»

শাহজাদীর কালো নেকাব

পুরানো এক বাংলা নাটকের নাম থেকে লেখটির নামকরণ। নাট্যকারের নাম যেমন মনে নেই, তেমনি মনে নেই নাটকের কাহিনীও। তারপরও কেন এই শিরোনাম, লেখাটি পড়লেই তা পরিস্কার হবে। এ বছর পবিত্র হজ্জ পালন করার সময় নিকাব নিয়ে ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতাই হচ্ছে এই লেখাটির প্রতিপাদ্য।

হজ্জ পালনের তাগিদ সব সময়ই অনুভব করেছি, কিন্তু “কবে এবং কিভাবে” তার কোন বিশদ পরিকল্পনা কখনোই করা হয়নি। আমার স্ত্রীর হজ্জ করা হয়ে গেছে বিয়ের আগেই।

বিস্তারিত»

এ ট্রিবিউট টু সুধীর কাকু

আমার বাবার কর্মজীবনের শুরু হয় বগুড়ায়, সরকারি আজিজুল হক কলেজের সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে, ১৯৭৩ সালে। আমার জন্মও বগুড়াতেই, ১৯৭৬ সালে। খুব ছোটবেলা থেকেই বাবার বন্ধুদের এবং সমবয়সী ও সমসাময়িক কলিগদের সান্নিধ্য পাবার সুযোগ হয়েছে। সেসময়ের জেলাশহরগুলোতে কলিগদের মাঝে পারিবারিক যোগাযোগ এবং মিলননেলাগুলো ছিল সত্যিই আজকের যুগে প্রায় অকল্পনীয়।

বাবার সমবয়সী তবে অন্য ডিপার্ট্মেন্টের কলিগ ছিলেন সুধীর কাকু। কাকুর সাথে অনেক স্মৃতি আছে আমার।

বিস্তারিত»

অস্ট্রেলিয়ার পথে (৩) …. অবশেষে মেলবোর্নের মাটিতে!!!

এর আগের পর্বটি পাবেন এখানেঃ অস্ট্রেলিয়ার পথে (২) …. আকাশ যাত্রা শুরু হলো!

পানীয় জল সংগ্রহ করে ফিরে এসে দেখি CZ343 CAN-MEL ফ্লাইট এর জন্য অপেক্ষমান যাত্রীরা বোর্ডিং এর জন্য সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে গেছে। আমরাও তাড়াতাড়ি করে লাইনের প্রায় শেষে এসে দাঁড়িয়ে গেলাম। পিঁপড়ের সারির মত আস্তে আস্তে দন্ডায়মান সবাই বোর্ডিং কাউন্টারের দিকে এগোচ্ছি। সংশ্লিষ্ট স্টাফদের অসাধারণ দক্ষতার কারণে খুবই অল্প সময়ে সে দীর্ঘ লাইনটি বিলীন হয়ে গেল।

বিস্তারিত»

বর্ষবরণ

৩১.১২.২০১৩                        সকাল ৮টা

টুকুনঃ এই আজকে কি অফিসে অনেক জরুরী কাজ আছে ?
টিটোঃ কেনগো ?
টুকুনঃ তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবে। আজকে থার্টির্ফার্ষ্ট।
টিটোঃ বসের সাথে দেখা করতে হবে।চোখের সমস্যাটা বেড়েছে। মনে হয় চশমা পাল্টাতে হবে।
টুকুনঃ অন্যদিন যাও।
টিটোঃ আজ ছাড়া আর ফাঁকা দিন কই।হরতাল অবরোধ কবে কাটবে কে জানে ? আচ্ছা দেখি তাড়াতাড়ি ফেরা যায় কি না ।

বিস্তারিত»

অস্ট্রেলিয়ার পথে (২) …. আকাশ যাত্রা শুরু হলো!

এর আগের পর্বটি পাবেন এখানেঃ অস্ট্রেলিয়ার পথে (১)…. অবশেষে এক মাস বিলম্বে যাত্রা শুরু!

অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজীল্যান্ড, দুটো দেশেরই ভিসা একই দিনে প্রাপ্তির পর মনে হচ্ছিল, যেহেতু “মেকা-অস্ট্রেলিয়া গ্লোবাল রিইউনিয়ন” টা ইতোমধ্যে মিস করে ফেলেছি, সেহেতু আবার নতুন টিকেট করার ব্যাপারে এত তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন কেন! তাই সফরসূচী নিখুঁতভাবে চূড়ান্ত করতে আমি একটু সময় নিচ্ছিলাম। বিভিন্ন এয়ারলাইনের ওয়েবসাইট ঘুরে ঘুরে আমি আমাদের জন্য উপযোগী সময় ও সাশ্রয়ী মূল্যের কথা মাথায় রেখে একটা সফরসূচী সাব্যস্ত করলাম।

বিস্তারিত»

অস্ট্রেলিয়ার পথে (১)…. অবশেষে এক মাস বিলম্বে যাত্রা শুরু!

গত ২২-২৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে অস্ট্রেলীয় শহর সিডনীতে Mirzapur Ex-Cadets’ Association (MECA) এর অস্ট্রেলিয়া চ্যাপ্টার কর্তৃক তিন দিন ব্যাপী একটি ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হয়ে গেল, যার নাম MECA-Australia Global Reunion-2019। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের নানা দেশে অবস্থানরত MCC এর এক্স-ক্যাডেটরা সিডনীতে একত্রিত হয়েছিল এক মহা মিলনমেলায়। আয়োজকদের আমন্ত্রণে আমিও সস্ত্রীক সে মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী ও প্রত্যাশী ছিলাম। আমার অবশ্য আরেকটা অতিরিক্ত কারণ ছিল যে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে আমার মেজ ছেলে এবং বৌমাও প্রবাসী।

বিস্তারিত»

মীনাঃ হারিয়ে যাওয়া যেখানে মানা

হজ্জ করতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়নি পরিসংখ্যান নিলে এমন হাজীদের সংখ্যা নেহাত কম হবে না। আমার পরিচিত যারা হজ্জ করতে গিয়েছেন, ফিরে এসে তাদের প্রায় সবাইকেই কিভাবে তারা হারিয়ে গেলেন এবং কেমন করে তারা সেই বিপদ থেকে উদ্ধার পেলেন তার বর্ণনাই করতে শুনেছি বেশ আগ্রহভরে। আমি যখন গত বছর হজ্জে যাই তখন কিন্তু ঘূর্ণাক্ষরেও ভাবিনি যে আমারও সেই একই দশা হবে এবং ফিরে এসে সেই হারিয়ে যাওয়ার কাহিনী লিখতে বসব সবিস্তারে।

বিস্তারিত»

ভবঘুরে, রং আর ক্যানভাসের গল্প

প্রথম পর্বঃ ভবঘুরের দিনলিপি

সন্ধ্যা ৭টা বেজে ১২ মিনিট, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫।
খুলনা রেলওয়ে জংশন।

টয়লেট থেকে বের হয়ে থমকে গেল নরেন। হারামজাদা স্যামুয়েল দাঁত কেলাচ্ছে। গা জ্বলে গেল নরেনের। পেটের যন্ত্রণায় আর বারবার টয়লেটে যাওয়ার ঝামেলায় ওর নিজের লেজে গোবরে অবস্থা, আর এই ব্যাটা এতে মজা পাচ্ছে। অবশ্য ওর মজা পাওয়ার যথেষ্টই কারণ আছে। এই দেশের খাবারে কোন সমস্যা হয়নি স্যামের।

বিস্তারিত»