ক্যাডেট কলেজের রাতগুলো নগর জীবনের রাতের চাইতে ভিন্ন ছিল। আমাদের ময়মনসিংহের শহরতলীতে সন্ধ্যা নামতো ঝুপ করে। এমজিসিসির তিন দিকে ছিল ধানক্ষেত, বছরের ছয়মাস জুড়ে সেখানে হাঁটু জল থাকতো। কলেজের দক্ষিণে ধারে কাছে কোথাও শেয়ালকূলের ঘর গেরস্থালি ছিল। সন্ধ্যা হতে না হতে পরিবার পরিজন সহ শতেক শেয়াল একসাথে হুক্কাহুয়া রবে চারদিক কাঁপাতো আর আমাদের শহরবাসী অনভ্যস্ত কান সেই ডাকাডাকিতে ভীত হয়ে পড়তো! শৃগাল সংগীত শুরুর আগে গেমস শেষে হাউসের স্বনামধন্য দৌড়বাজ ক্যাডেটরা বাথরুমের দখলদারিত্ব নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে দিত।
বিস্তারিত»স্ট্যাটাস সমাচার
অনেকদিন সিসিবি তে আসা হয় না। আজকে কিছু একটা লিখতে ইচ্ছা হলো। কিন্তু কি লিখবো ভেবে পাচ্ছি না। তাই ভাবলাম সাম্প্রতিক কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাস শেয়ার করি। ব্লগের নিয়ম ভঙ্গ হয়ে থাকলে এডমিন এটা রিমুভ করে দিতে পারেন।
১.
অনেক আফা ই মনে করেন যে ছেলেরা শপিং করতে পারে না/পছন্দ করে না। এই ধারণা একদম ভুল।
তার হাতে একবস্তা টাকা দিয়ে কোনো ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেটস এর দোকানে ঢুকিয়ে দেন,
লিরিকস এণ্ড থটস
লিরিকস এণ্ড থটস
“পিয়ার ইয়ে, জানে ক্যায়সা হ্যায় / কিয়া কাহে, ইয়ে কুছ এ্যায়সা হ্যায় / কাভি দার্দ ইয়ে দেতা হ্যায় / কাভি চ্যায়েন ইয়ে দেতা হ্যায় / কাভি গাম দেতা হ্যায় / কাভি খুশি দেতা হ্যায়।” খুব সম্ভবত হায়ার সেকেণ্ডারিতে পড়ার সময় এটা প্রথম শুনি। এমনিতেই আমি এ.আর.রেহমানের অন্ধভক্ত ছিলাম। এখনও ভাল লাগে এই সুরকারের সুর। কিন্তু টিন এইজের মতন বিশেষ কোন ব্যক্তি বা বিষয়ে সেই অন্ধ আসক্তি এখন কোনখানেই আর কাজ করে না।
বিস্তারিত»অকারণে এলোমেলো…
গত কয়েকদিনে বেশ ক’জন প্রাক্তন সতীর্থ, জ্যেষ্ঠ্য-কনিষ্ঠ বন্ধু ও বন্ধুপত্নীদের গুরতর অসুস্থ হওয়া এবং পরপারে চলে যাবার মর্মান্তিক দুঃসংবাদে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে আছে। অনিবার্য মৃত্যু সম্পর্কে পবিত্র ক্বুর’আনে বহুবার আমাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছেঃ “প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যু আস্বাদন করতে হবে” । (সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং ১৮৫); “তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও”।
বিস্তারিত»পার্সেপশন্স টুয়ার্ডস টিচিং কমিউনিটি
পার্সেপশন্স টুয়ার্ডস টিচিং কমিউনিটি
প্রাইভেট টিউটর হিসেবে অভিজ্ঞতা নিয়ে এক্স ক্যাডেটস ফোরামের ফেসবুক পেইজে কদিন আগে অনেকেই তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছিলেন। সেখানে একটা স্ক্রীণ-স্ন্যাপশটের পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি বেশ লম্বা হয়ে গেল। লম্বা মন্তব্য অন্যদের বিরক্তির কারণ হতে পারে ভেবে তখন লেখাটা আলাদা করে লিখেছিলাম, যেখানে আমি আগেই পরিস্কার করে নিয়েছিলাম যে, আমার লেখাটাতে কেবলমাত্র প্রাইভেট টিউশন নয়, বরং সার্বিকভাবে টিচিং কমিউনিটির প্রতি প্রায়শই অন্যদের যে দৃষ্টিভঙ্গিটা কাজ করে,
বিস্তারিত»মানব মনের বিষন্নতা এবং প্রকৃতিঃ
গত বুধবার সকালে ল্যাপটপে লেখালেখির কিছু কাজ করছিলাম। হঠাৎ ছোট বোনটা ফোন করে জানালো, আম্মার শরীরটা বেশী ভালো নেই, যেন ফোন করি। কয়েকদিন আগেই ফোনে আম্মার সাথে কথা বলেছিলাম, তখন তিনি ভালো ছিলেন। আমার স্ত্রীও আগের দিনই কথা বলেছিলেন, তখনো ভালোই ছিলেন এবং অনেকক্ষণ ধরেই কথা বলেছিলেন। তাই হঠাৎ কি হলো, এ কথা ভাবতে ভাবতেই আম্মাকে ফোন করলাম। আম্মা জানালেন, তার কিছু ভালো লাগেনা। যেন একবার গিয়ে দেখা করে আসি।
বিস্তারিত»আমি কি? শিক্ষক? – ২য় পর্ব
আমি কি? শিক্ষক? – ১ম পর্ব
আমি কি? শিক্ষক? – ২য় পর্ব
যারা ১ম পর্বটা মিস করেছেন, তারা এখানে ক্লিক করে পড়ে আসতে পারেন। ১ম পর্বটা না পড়ে থাকলে ২য় পর্বটা খুব বেশি সাব্জেক্টিভ মনে হতে পারে।
[শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা আমার পুরোনো একটা ব্লগে আমারই একটা প্রাসঙ্গিক মন্তব্যকে বেশ খানিকটা এডিট করে এই ব্লগটা লিখেছি।]
প্রায় ১০/১২ বছর আগের একটা অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেল।
বিস্তারিত»সিডনীর ইফতারের গল্প
এক
গেল বছরের মত এবারও আমেরিকাতে খুব কড়া রোজা চলছে। সতের ঘণ্টার দীর্ঘ দিনে বিকাল চারটার পর মানুষের মুখে আর কথা সরেনা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাড়িতে বসে, খেজুর খুরমা রুহ আফজার রোশনাইতে নিমগ্ন মানুষেরা কী করে দরিদ্র মানুষের দুঃখ কষ্ট বুঝবে সেটি অবশ্য আমার মাথায় ঢোকেনা। সিডনীতে এখন শীতকাল; দিনগুলিও ছোট। বাংলাদেশের আষাঢ় মাসের মত দেখি ঝুম বৃষ্টি হলো এই শীতে। আমেরিকার রোজাটা যদি হয় লাল আটার লোফের সাথে শুকনো মোৎসারেলা তবে সিডনীর রোজাটা হবে নিতান্তই ডাল ভাত!
বিস্তারিত»অস্ট্রেলিয়ার টুকিটাকি
অস্ট্রেলিয়ায় আসা অবধি পঁচিশ কুড়ি মাইলের মাঝে ড্রাইভ করছি বটে; কিন্তু কোন কিছুতেই ঠিক জুত পাচ্ছি না! পুরো সিডনী জুড়ে চাপা চাপা রাস্তাঘাট; সেই সাথে মরার ওপর খারার ঘায়ের মত একটু পরপর রাউন্ড এ্যাবাউট! এদের ড্রাইভারস সিটখানা গাড়ির উল্টো দিকে, রাস্তায় গাড়িও চলে উল্টো দিকেই। দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে পথের ডানদিক বরাবর ড্রাইভ করে এসেছি তাই উল্টো রাজার দেশে এসে খানিক বিড়ম্বনা যে হচ্ছেনা তা নয়।
বিস্তারিত»কাহার অভিষেকের তরে সোনার ঘটে আলোক ভরে
(এ লেখাটি গত ০৯ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে আমার ফেইসবুক পাতায় এবং অন্য একটি ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিলো। ঈষৎ সম্পাদনা করে আজ এখানেও প্রকাশ করছি। হয়তো এক্স ক্যাডেটরা এবং আমার প্রাক্তন সতীর্থরা এ লেখায় তাদের অভিজ্ঞতার সাথেও অনেক মিল খুঁজে পেতে পারেন)
“এদিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিল দ্বার?
আজি প্রাতে সূর্য ওঠা সফল হল কার?
কাহার অভিষেকের তরে সোনার ঘটে আলোক ভরে
উষা কাহার আশিস বহি হল আঁধার পার?
ভবঘুরের গপ্পোঃ দেবশিশু দর্শন
জগৎ সংসারে মায়া দুই প্রকার – অপরাপর মানুষের মায়া এবং তাহার চারপাশের নশ্বর পৃথিবীর কিয়দংশের প্রতি সৃষ্ট মায়া। ব্যক্তি বিশেষের মায়া ছাড়িয়া থাকিলে একাকীত্ব চাপিয়া ধরে, আর পরিপার্শের বস্তুসর্বস্ব নিবাসের প্রতি মায়া উঠিয়া গেলে মানুষ হইয়া যায় ভবঘুরে। কথায় আছে না – এক জায়গায় বেশিদিন থাকিলে মায়া পড়িয়া শেকড় গজাইয়া যায়? আমাদের নরেন বোধহয় এই শেকড়ের ভীতিতে কাবু। নইলে ছোটাছুটি করিবার আর কোন হেতু আছে বলিয়া মনে হইতেছে না।
বিস্তারিত»আমি কি? শিক্ষক? – ১ম পর্ব
আমি কি? শিক্ষক? – ১ম পর্ব
আমি কি? শিক্ষক? – ২য় পর্ব
শিক্ষকতার পেশায় এক যুগেরও বেশি সময় পার করে আজ আমি ভাবতে বসেছি, আমি কি? আমি কি পড়াচ্ছি? আসলেই কি পড়াতে পারছি? আমি জানি যে, আমি নিজেও অনেক কম জানি। যত দিন যাচ্ছে, নিত্যনতুন বিষয় জানছি। নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাও টের পাচ্ছি। আসেপাশের কারো কাছে যেকোন ধরনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয় যখনই পাচ্ছি,
বিস্তারিত»গভীর তমসায় আলোক রশ্মির সন্ধানে….
ডাঃ মোঃ আনিসুর রহমান, দেশের প্রখ্যাত এনডক্রিনোলজিস্ট। বারডেম হাসপাতালে চাকুরী করতেন, দীর্ঘদিন ধরে প্র্যাকটিস করেন ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে। মাঝে মাঝে সপ্তাহান্তে ছুটির দুই দিন সিলেটেও প্র্যাকটিসের জন্য বসেন তার ভক্ত রোগীদের আহ্বানে। মাস ছয়েক আগে চাকুরী থেকে অবসর নিয়েছেন। আমার বাল্যবন্ধু, ১৯৬৭-৭৩ সালে মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজে এক সাথে পড়াশুনা করেছি, একই হাউসে ছিলাম। সেইসব দিনগুলো থেকেই তাকে দেখেছি, ক্যাডেট কলেজের কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলা তার পছন্দের ছিলনা।
বিস্তারিত»“মা” – স্মৃতি রোমন্থন আর অনুধাবন
ছবিটা অসাধারন হয়েছে!
ছবির বক্তব্যটাও আনপ্যারালাল!
ইদানিং ফেসবুকে এই ছবিটা অনেকেই শেয়ার করছেন। বেশ ইমোশন প্রভোকিং একটা ছবি। কিন্তু এটা কি বাস্তব চিত্র, নাকি শুধুই একটা মডেলিং ফটোগ্রাফ, সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কোথায় যেন একটা ত্রুটি আছে এই ফটোগ্রাফে। বাচ্চাটার যে বয়স, তাতে সুঁচ ফোটানোর বিষয়টিতে তার ভয় পাবারই কথা, কিন্তু সেটা তার চোখেমুখে নেই। আবার বাচ্চা যদি এতটাই সাহসী বা সুঁচ ফোটানোতে এতটাই নির্ভীক,
বিস্তারিত»ABCD অথবা বাংলা শক – ১
বিঃ দ্রঃ ঘটনা গুলো সব সত্য, কিছুটা পরিমার্জিত (নাম, পরিচয়, স্থান উহ্য রেখে)। কাউকে অসম্মান অথবা আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং নিজের চিন্তার শুদ্ধতার লক্ষেই এই অসলগ্ন চিন্তাকে লেখায় রূপান্তর। অন্যকারো অভিজ্ঞতার সাথে মিনিয়ে বিচিত্র মানুষের ততধিক বিচিত্র কর্মকান্ডের ব্যাখা খোঁজার অপচেষ্টা।
কালচারাল শক !!! দেশের বাইরে প্রথম যে বিষয়টি ফেস করেতে হয় তা হল, নিজেকে অন্য একটি দেশের/জাতির সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা।
বিস্তারিত»