অনিশ্চিত তীর্থযাত্রা-২

অনেক প্রতীক্ষার পর গত ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ তারিখে অবশেষে আমার আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা “জীবনের জার্নাল” বইটি ‘বইপত্র প্রকাশন’ এর স্টলে ( নং ১২৭-১২৮) আবির্ভূত হয়। ঐদিন সন্ধ্যের পর আমি বইমেলায় গিয়েছিলাম। বইটিকে স্টলে দেখতে পেয়ে মনটা প্রফুল্ল হয়ে উঠেছিলো। অনেকক্ষণ বসেছিলাম, দেখি অনেকেই এসে স্টলের অন্যান্য বই এর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ আমার বইটা হাতে নিয়ে পৃষ্ঠা ওল্টাতে থাকে। আমি বেশ রোমাঞ্চিত বোধ করতে থাকি,

বিস্তারিত»

প্রজন্ম-প্রজন্মান্তর

রংপুর ক্যাডেট কলেজের আমাদের ব্যাচ (১৯৮৮-‘৯৪)-এর দুজন (লেঃ কর্নেল হুমায়ুন এবং অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন শহীদ)-এর সন্তান বর্তমান প্রজন্মের ক্যাডেট। হুমায়ুনের বড় ছেলে ফৌজদারহাটে ক্লাস এইটে পড়ছে, আর শহীদের বড় মেয়ে আজ জয়পুরহাটে সপ্তম শ্রেনিতে ভর্তি হলো। নতুন প্রজন্মের সবার জন্য দোয়া, অভিন্দন, শুভকামনা এবং ভালবাসা!

আমার মেয়েটার কেবল সাড়ে তিন বছর বয়স। স্বপ্ন দেখি তাকেও ক্যাডেট বানানোর। কিন্তু ইদানিং কালের দূর্ঘটনাগুলো আসলেই মনে চাপ ফেলছে।

বিস্তারিত»

বইমেলার টুকিটাকি

এবারের একুশে বইমেলায় নিজের বই বিক্রী হোক বা না হোক, কোন কোন দিনে বেশ চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। যেমন একদিন একটা নয় দশ বছরের বাচ্চা মেয়ে আমার “জীবনের জার্নাল” এর প্রচ্ছদের ছবিটার দিকে অনেকক্ষণ ধরে তাকিয়ে দেখছিলো। তার পরে কয়েকটা পৃষ্ঠা উল্টিয়ে একটা চ্যাপ্টার পড়া শুরু করলো। দুই একটা পৃষ্ঠা একনাগাড়ে পড়লো। ততক্ষণে ওর মা কয়েকবার ওকে ডেকে পাশের একটা স্টলের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন।

বিস্তারিত»

পথ খোঁজা রাতগুলো

প্রতি রাতে চেয়ে দেখি ঘুরে-ফিরে,
ফেলনা সব খেলনা খুঁজে, যুদ্ধের আয়োজন চলে।

গাছের পাতায় হাওয়ার মাতম শেষ হলে- কাকেদের ঘরে শান্তি আসে।
তাদের ঘুম না ভাঙ্গিয়ে চুপিচুপি হেঁটে যায় কেউ,
চোখ মেলে ঊর্ধ্বাকাশে।

বেচাকেনার হাট বসে সাইনবোর্ড ছাড়া;
কে কেনে আর কে বেচে, বুঝে ওঠার আগেই মিলিয়ে যায় হাট।
পড়ে থাকে জঞ্জাল, মানুষের ঘাম।
রাস্তা বয়ে চলে সংবাদের গাড়ি,

বিস্তারিত»

শেখ আমিন ঘুমিয়ে পড়েছে বন্ধুরা।

শেখ আমিন ঘুমিয়ে পড়েছে বন্ধুরা।

জীবন এমনই , এত হাসি এত কথা এত চিন্তা এত কল্পনা এত ভাবনা শেষ হয়ে যায় হঠাৎ করেই। জানিনা ” মরন কি টেনে দেবে অন্ধ আবরন” – উপলব্ধি থেকে কত কবিই তো কত কিছু লিখে গেছে। শেখ আমিন চলে গেলো, আমরাও যাবো কিন্তু মনে হয় জীবন এমনি মাতাল যে এত কাছে থেকে ও আমাদের একটু সময় হয়না কাছে বসার ,

বিস্তারিত»

পিতা-কন্যার হ্যাং আউট-১

অনেক সময়ই দেখা যায়, একটা বয়সে পৌছুলে পুত্ররা আর বাবা-মায়ের সাথে বেরুতে চায় না।
এটার একটা কারন হতে পারে এই যে, মামা’স বয় বা ড্যাডি’স বয় – এদুটো পরিচয়ের কোনোটাই তারা পেতে চায় না।
কন্যারা এই দিক দিয়ে সুবিধায় থাকে। মামা’স গার্ল হতে কিছু আপত্তি থাকলেও ড্যাডি’স গার্ল হতে তাদের কারোরই কোনো আপত্তি থাকে না।
বাবার সাথে তারা শুধু যে বেরোয়, তাই না,

বিস্তারিত»

টুকিটাকি – ৩


কারমা আর নিউটনের তৃতীয় সূত্র এক নিয়ম মেনেই কাজ করে। কে ভেবেছিল পলাশীতে যে সূর্য ডুবেছিল ২৫০ বছর পরে তাই আবার একদিন উদিত হবে সিলিকন ভ্যালিতে। স্বর্গ আর নরকের মাঝামাঝি নো ম্যানস ল্যান্ডে এসে নবাব সিরাজুদ্দৌলা নাকি উত্তেজিত স্বরে লর্ড ক্লাইভকে প্রায়ই শাসিয়ে যায়, ‘ তোমাদের ছিল কূট বুদ্ধি আর আমাদের হলো ইঞ্জিনিয়ারিং বুদ্ধি।’
‘ইয়োর মাজেস্টি, তার জন্য কী আমাডের প্রণীট এডুকেশন দায়ী নয়?’,

বিস্তারিত»

কলেজে গেলে ঘুমুতে ইচ্ছে করে না

আমাদের ক্যাডেট কলেজে গেলে আমার ঘুমুতে ইচ্ছে করে না। নাহ, যা মনে করছেন, তা নয়। না ঘুমিয়ে সারারাত গান শুনবো বা ডিজে’র সাথে সবার নাচ দেখবো সেকারণেও নয়। কলেজের আকাশে ফানুষ ওড়ানো দেখবো সেজন্যেও নয়।
শুধু মনে হয় ঘুমুলেই সময় নষ্ট হবে, কলেজটাকে মন ভরে দেখতে পারবো না। কবে সারা জীবনের জন্য ঘুমিয়ে যাই তার ঠিক নেই! তাই, না ঘুমিয়ে কলেজটাকে যত বেশি পারি দেখে নিতে চাই,

বিস্তারিত»

টুকিটাকি – ২


আশির দশকের একজন স্মার্ট নায়িকা ছিলেন দিতি। অনেক সংগ্রামী জীবন। অনেকটা সেলফ-মেড। এখন তিনি অসুস্থ। সহকর্মীরা তাঁর জন্য দোয়া করছেন। আবার বাংলাদেশের মতো রক্ষণশীল সমাজে নায়িকা মানেই শুধু একজন অভিনয়শিল্পী নয় – যেন অন্যকিছু। তাকে সম্মানিত করতে নেই, তার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ংকর পরিণতি। একটি রক্ষণশীল সমাজ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এই ভয়ংকর পরিণতির ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে। তাই সে সমাজে কোন সৃষ্টিশীলতা নেই, গতিময়তা নেই।

বিস্তারিত»

বার বার তিন বার

কথায় বলে বার বার তিন বার, ইংরেজিতে দে কাম ইন থ্রিজ। বিশেষ করে ফাঁড়া গর্দিশে ইত্যাদি। তেমনি এক তিন ফাঁড়ার গল্প বলছি।

সেদিন হিউষ্টনের বিরাট চীনা বাজারে গিয়েছি। কেনাকাটা সেরে কিউতে দাঁড়িয়ে আছি। আমার আগের খদ্দের গোটা চারেক দুরিয়ান কিনেছেন। সেগুলো কাউন্টারের উপরে ডাঁই করে রাখা। এই বিশেষ ফল সম্পর্কে দুটো কথা আগে বলে রাখা দরকার। কাঁঠালের মত চেহারার এই ফল প্রাচ্যদেশীয়দের কাছে খুবই পছন্দের জিনিষ।

বিস্তারিত»

ফাঁদ পাতা এই দুনিয়ায় – আরেকটি তথ্য ভাগাভাগিকরন প্রচেষ্টা

দেখতে পাচ্ছি, আমার এই ইনফরমেশন শেয়ারিং বা তথ্য ভাগাভাগিকরন প্রচেষ্টাগুলোতেই আজকাল পাঠকদের আগ্রহ বেশি।
তাই ভাবলাম, এ নিয়েই বরং আরও কিছু লিখালিখি করি।

গত লিখাটায় নারীকে ব্যবহার করে এক ধরনের বিরল প্রতারনার তথ্য দিয়েছিলাম। আজ আর বিরল না, নারীকে – বিশেষ করে বিবাহিত এবং/অথবা মধ্যবয়সী নারীকে টার্গেট করে পাতা একধরনের ফাঁদ নিয়ে আলাপ করবো।

ফেসবুকে মোটামুটি একটিভ নারীরা নানান বয়সী অপরিচিত র‍্যান্ডম পুরুষের কাছ থেকে বন্ধুত্বের রিকোয়েস্ট হর-হামেসাই পেয়ে থাকেন।

বিস্তারিত»

একটি নতুন ধরনের হাইব্রীড প্রতারনা সম্পর্কে সতর্কিকরন ব্লগ

নানা ধরনের এনালগ প্রতারনা তো যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে।
জীবন-যাত্রা ডিজিটালাইজড হবার সাথে সাথে শুরু হয়েছে নানাবিধ ডিজিটাল প্রতারনাও।
আবার এই দুইয়ের সংমিশ্রনে এক পর্যায়ে শুরু হয়ে যায় হাইব্রিড প্রতারনাও।

নানা ধরনের হাইব্রিড প্রতারনা থাকলেও, সম্প্রতি এক নতুন ধরনের হাইব্রিড প্রতারনার গল্প শুনলাম।
শোনার পর মনে হলো, তথ্যটা শেয়ার করে অন্যদের সতর্ক করা দরকার। বিষয়বস্তু জানা থাকলে অন্যরা হয়তো প্রতারিত হবার হাত থেকে রক্ষা পেতেও পারেন…

বিস্তারিত»

নিহোন এর দিনলিপিঃ শেষ পাতা

২৮.০২.২০০২

০৭.৫০ খুব ক্ষুধা লেগেছে। অথচ কাংগোফু ( নার্স) এখনও খাবার নিয়ে আসেনি। ০৮.১৫ কলম হাতে নিয়ে ডায়েরীর পাতা উল্টাতে শুরু করতেই দরজায় নক। : হাই : ওহাইও গোজাইমাছ (সুপ্রভাত) : ওহাইও গোজাইমাছ : দোজো ( খাবার এনেছি, প্লিজ খান) জাপানীদের সামনে একটা জাপানী শব্দ বললেই ওরা মনে করে খুব ভাল জাপানী ভাষা জানি। তখন সমানে জাপানী ভাষায় বকবক করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বলতে হয় ওয়াকারি মাছেন ( বুঝিনা ),

বিস্তারিত»

প্রকৃত বন্ধুর ভাবনা

গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে বেশ ক’জন পরিচিত মুখ ক্ববরে শায়িত হয়ে গেল! প্রায় প্রতিদিনই মাইকে ঘোষণা শুনতে পাইঃ …. নিবাসী …. নং রোডের …. নং বাড়ীর অমুক গতরাতে ইন্তেকাল করেছেন। মরহুমের নামাজে জানাজা আজ বাদ জোহর …. মাসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার পর তাকে … কবরস্থানে দাফন করা হবে।

আবার এ সময়টা বিয়ে শাদীরও ভরা মৌসুম। এমতাবস্থায়, গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে প্রায় প্রতিদিনইঃ
১।

বিস্তারিত»

দেখে এলাম ভারতবর্ষঃ পর্ব ১

২০০৯ সাল থেকেই শুরু বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া।ক্যাডেট কলেজের বন্ধু,বড় ভাই,ডিপার্টমেন্টের বন্ধু,অন্য কলেজের বন্ধু…সবার সাথে একের পর এক ট্যুরে বেড়িয়েছি।কখনো পাহাড়ে,কখনো চরে,কখনো বা নির্জন দ্বীপ,সমুদ্র সৈকতে।২০১৫তে এসে ঠিক করলাম আমরা কয়েকজন,লেভেলটা এবার বাড়িয়ে নিতে হবে,ট্যুরে যাবো দেশের বাইরে।

সবাই স্টুডেন্ট আমরা,টিউশনি করে চলি।আমাদের পক্ষে থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুর যাওয়া সম্ভব নয়,অবধারিত ভাবেই ডেস্টিনেশান প্রতিবেশী দেশ,ভারতবর্ষ।কাশ্মীর যাওয়া অনেক খরচ,প্ল্যান হোল তাই,ঘুরে আসবো সিমলা-মানালি-দিল্লী-কোলকাতা। প্রায় একবছর ধরে প্ল্যানিং আর স্টেপ বাই স্টেপ আগানোর পর গত ২২ডিসেম্বর পা বাড়াই আমরা ইন্ডিয়ার পথে।সেই ট্যুরের অভিজ্ঞতা নিয়েই এই ব্লগ লেখা।আশা করি কারো হয়ত কাজে আসবে।

বিস্তারিত»