১. আমার পরিচিত কাউকে যখন দেখি সামনে অনেক মানুষকে নিয়ে কোন কিছু বোঝাচ্ছে/বোঝাচ্ছেন, আমার অনেক ভাল লাগে বিষয়টা। আমার ক্ষেত্রে এর অন্যতম একটা সম্ভবত এটাই যে, সেই মানুষটা, যিনি নিজে পেশায় শিক্ষক না হওয়া স্বত্বেও শিক্ষকতার পেশায় মনে-প্রানে নিয়োজিতদের আত্মিক প্রশান্তিটা উপলব্ধি করতে পারছেন।
২. তবে আমার কাছে মোটিভেশনাল লেকচার বিষয়টা এখনো একটা আপেক্ষিক ধাঁধা মনে হয়। কারনটা একটু খুলে বলি।
… মোটিভেশন তো আসবে জীবনের বাস্তব উদাহরণ থেকে, তা সে ক্লাসরুমে, কর্মক্ষেত্রে, পরিবারে, যেখানেই হোক না কেন। ক্লাসরুমের প্রসঙ্গেই আসি, কারন এটাই এখনকার সময়ে সবচেয়ে আলোচিত, জনিপ্রিয় এবং ক্ষেত্র-বিশেষে সমালোচনার বিষয়। (নিচের প্যারায়)
… কেবলমাত্র মোটিভেশন দেয়াটাই যদি কারো আর্থিক উপার্জনের বা নাম কামানোর বিষয়ে পরিনত হয়, সেখানেই আসলে সমস্যাটা। তখন সেই স্পিকার বা শিক্ষাগুরু ঠিক সেভাবেই আলোচনা করবেন, যা কিনা ছাত্ররা বা উপস্থিত শ্রোতা শুনতে চায়/চান; এমন ক্ষেত্রে বক্তা নিজেই কতখানি মোটিভেটেড থাকেন, তা নিয়ে সন্দেহ বা দ্বিধা থেকেই যায়।
… তবে বিশেষ-কর্মযোগ্যতায় পারদর্শি কাউকে যখন একাডেমিক দৃষ্টিভঙ্গিতে একটা গ্রুপের সামনে কিছু প্রজেণ্টেশন/লেকচার/আলোচনা উপস্থাপন করতে হয়, তখন আমার কাছে শ্রোতা হিসেবেই বিষয়টাকে অনেক উপভোগ্য মনে হয়, আর শিক্ষক হিসেবে তো বটেই। কারন এই ধরণের সেশনগুলো হয়ে থাকে প্রায় শতভাগ একাডেমিক, প্রফেশনাল এবং জীবনঘনিষ্ট; এখানে বক্তার মাথায় এটা থাকে না যে, তাকে এই মোটিভেশন দিয়েই কেবল রুটি-রুজি চালাতে হবে। বরং শ্রোতাদের একটা চিন্তার ধারার মধ্যে নিয়ে আসার ভেতর দিয়ে বক্তার নিজের মনেই একটা প্রশান্তি কাজ করা শুরু করে।
… আমার ব্যাক্তিগত অভিমতে, যে কোন ট্রেনিং সেশন একাডেমিক শীরনামে যাওয়াই শ্রেয়, যার মধ্য দিয়েই মোটিভেশন চলে আসবে। এর পেছনে অনেক কথাই বলা যাবে, তবে আজ আর বাড়াতে চাচ্ছি না।
… আহমদ, সিসিআর, ১৯৮৮-১৯৯৪
… সকাল সাড়ে ৯টা, শনিবার, ১৪ মার্চ ২০২০
এমন ক্ষেত্রে বক্তা নিজেই কতখানি মোটিভেটেড থাকেন, তা নিয়ে সন্দেহ বা দ্বিধা থেকেই যায়