আমারও লিখতে ইচ্ছে হল…

১।

সিসিবিতে লেখার ইচ্ছে ছিল বহুদিন। সোফির বাপ-মায়ে কম ঠ্যালা দেয় নাই। কিন্তু আমি হলাম গিয়ে- “কত রবি জ্বলে রে/কেবা আঁখি মেলে রে” মতাদর্শের লোক। লেখালেখি করব, আমি? কাভি নেহি। চুপচাপ এসে পড়ে যাই এই তো বেশ। বহুদিন লেখা গুছিয়েছি মনে মনে, শেষমেশ ওই মন পর্যন্তই। নূপুরদার অনুসন্ধানী পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে এবারে মাঠে নামতেই হয়। কে জানত এই কবি মানুষটা আদতে ডাক্তার নয়,

বিস্তারিত»

ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (চ)

শ্যাম্পু কিনতে ভুলে গিয়েছিলাম। বাথরুমে অনেক দিন আগে থেকেই দেখছি মেরিল বেবী শ্যাম্পুর একটি শিশি পড়ে আছে। সম্ভবত আমার ভাতিজি ওয়ারিশার মাস তিনেকের অবস্থানের সময় কেনা হয়েছিল। রাত বাজে প্রায় দেড়টা। ঈদের পরে প্রথম অফিসের আগের রাতে ঘুমাতে দেরী হয়ে যাচ্ছে চিন্তা করতে করতে শিশিটা হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখে নিলামঃ ‘E-09/16’ যাক তাহলে এখনো তারিখ আছে। হাতে নিয়ে মাথায় ডলে দিতেই পরিচিত সেই গন্ধ। শিশুদের গায়ের সেই চিরচেনা গন্ধ।

বিস্তারিত»

Too much Water in Wrong Place (চীনা বিড়ম্বনা, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা – ১)

আমেরিকা আসার পর সবচেয়ে বেশি যা দেখেছি আর মাঝে চাইনিজ মানুষজন অন্যতম। তাদেরকে নিয়ে মনেহয় সবারই কম-বেশি অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি আমার কিছু শেয়ার করলাম।

 ক্লাস শুরুর আগে একটা ইন্টারন্যাশনাল ষ্টুডেন্ট অরিয়েন্টশন হয়। তা অরিয়েন্টশনের দিন, আমার পাশে বসেছিল এক চাইনিজ ছেলে, জনি (ইংরেজি নাম)। তা কথায় কথায় জানতে পারলাম সে পরিবেশ বিজ্ঞানে ০২ সেমিষ্টারের জন্য এসেছে, ট্রান্সফার ষ্টুডেন্ট বলে যাকে। তা নিজের ফীল্ডের কাছাকাছি বলে ভাবলাম কথা চালিয়ে যাই।

বিস্তারিত»

ডক ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় (ভূমিকা পর্ব)

ভানুঃ (গুনগুন করে নিজের মনে কীর্তন গাইছে) 
ভজো দুহাত তুলিয়া ভজো কাঞ্চন গোঁসাই …
তাঁর জোরে সবাই তোমায় বাপ ডাকবে ভাই …
ওরে থাকলে তিনি ট্যাঁকের মাঝে বুকে বাড়ে বল …
স্ত্রী পুত্র ভাই বন্ধু তোমার পদতল …
ওরে টাকাই ধর্ম টাকাই কর্ম কলিযুগের সার …
সত্য নিষ্ঠা আইন কানুনের মাথায় ঝাঁটা মার …
ভজো দুহাত তুলিয়া…

আগন্তুকঃ আরে আরে দেখি,

বিস্তারিত»

স্বার্থান্ধ ব্যাখ্যা আর চর্চাই ধর্মকে দেয় অন্ধত্বের ঠুলি ও পরিচিতি

বৌদ্ধ ধর্মের প্রাথমিক কথায় কলা হয়েছে পাঁচটা বিষয় থেকে দূরে বা বিরত থাকতে, আর চারটা বিষয়কে আত্মস্থ চর্চায় আনতে। বিরত থাকা বা দূরে থাকার বিষয় কয়টা হলো – ১. প্রাণীহত্যা – না করা, ২. আদিন্নাদানা – অর্থাৎ নিজে অর্জন না করে কোন কিছু ভোগে বা দখলে না নেয়া, ৩. মিথ্যাচার – থেকে বিরত থাকা, ৪. কামেসু মিথাচারা – অর্থাৎ কামের বশবর্তী হয়ে খারাপ কোনো কাজ না করা,

বিস্তারিত»

শিরোনামহীন প্রবাস কথন

কিছু একটা লেখার ইচ্ছে ছিল সবসময়। ইচ্ছেটা মাথা মাঝে মাঝেই জেগে উঠে, আবার তা হারিয়েও যায়। তেমন ভাবে লেখা হয় নি কখনই, বলাও হয়ে উঠেইনি। নীরব দর্শক হয়েই থেকেছি বেশিরভাগটা সময়।
সেই ২০১২ সালের অগাষ্ট মাসে পাড়ি জমিয়েছিলাম এই আমেরিকাতে। উদ্দেশ্য হাইড্রোলজি ও জিওস্পেশ্যাল টেকনলোজিতে উচ্চ্তর জ্ঞান আহরন। বাল্টিমোরের পাঠ চুকিয়ে বর্তমানে অ্যামারিলো নামক এক গ্রামে চাকুরির প্রয়োজনে স্থানান্তর। এই তিন বছরের কিছু বেশি সময়ে নানা রকম দেশি-বিদেশির সাথে পরিচয়-আলাপ হয়েছে।

বিস্তারিত»

পুটু

 

নোটঃ ফেসবুকে প্রকাশিত। মুঠোফোনের বাংলায় অভ্যস্ত নই বলে বানান ভুল আছে। ঠিক করতে পারছি না। দুঃক্ষিত।

 

বছর পাচ ছয়েক আগে মামা কোরবানী ঈদের পর একটা খাসী কিনে আনলেন। পরের বছর ঈদে কোরবানী করবেন বলে। খাসী উনি পালন করা শুরু করলেন এমন ভাবে যেন খাসী নয় উনার আরেকটা সন্তান বড় করছেন। মামী নাম দিয়ে দিলেন পুটু। আমি বাড়িতে গিয়ে দেখলাম পুটু শুধু সাদা ভাত খায় না,

বিস্তারিত»

আমি যেদিন জাগব, সমগ্র পৃথিবী প্রকম্পিত হবে — তৈমুর লং

আমি যেদিন জাগব, সমগ্র পৃথিবী প্রকম্পিত হবে — তৈমুর লং
—————————————— ড. রমিত আজাদ

তৈমুর লং-এর জন্ম ১৩৩৬ সালের ৮ই এপ্রিল কেশ নগরীর স্কারদু নামক শহরে, এর বর্তমান নাম শহর-ই-সবজ মানে সবুজ শহর। বর্তমান উজবেকিস্তান রাষ্ট্রের সমরকন্দ শহরের ৫০ মাইল দক্ষিণে এই শহর-ই-সবজ অবস্থিত। সেই সময় তা ছিল চাঘতাই খানশাহীর (Chagatai Khanate) অন্তর্ভুক্ত। তাঁর পিতা ছিলেন বারলাস উপজাতির ছোট মাপের ভূস্বামী। এই বারলাস হলো তুর্কী-মঙ্গোল উপজাতি,

বিস্তারিত»

তীর্থযাত্রা

তীর্থটারে  সামনে রেখে

ব্যবসা ফাঁদে খাদেমে

ভক্তি ভরা যাত্রীসবে

মোক্ষ খোঁজে মরণে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বিস্তারিত»

তোমার জন্য কান্দি।

তোমার জন্য কান্দি
মুহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ

তোমার জনে্য কান্দি আমি তুমি ধরিলে গো কার হাত
তোমার জনে্য বিবাগী আমি তুমি কার সনে কাটাও রাত,
বল সখি কি হবে আর রাখিয়া এ প্রান ।

আমি যে ভাসালেম নাও উজান গাঙের সো্রতে তুমি কোথা গেলে
নদী কুলে কি গো হবে দেখা প্রিয়ে রাখিব এ দেহ তোমার কোলে,
বলি সখি সে আশায় মোর জীবন করিব দান।

বিস্তারিত»

লাইবেরিয়ার ডায়েরি

লাইবেরিয়া এসেছি প্রায় ১ মাস হতে চলল। নতুন একটা দেশে আসলে কেন যেন আপনা থেকেই নিজের দেশের সাথে একটা তুলনা চলে আসে। লাইবেরিয়ার সাথে তুলনা করলে আমরা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতেই পারি কিন্তু লাইবেরিয়া তুলনা করার মত কোন দেশ কিনা সে প্রশ্নটাই প্রথমে আসে, যে দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন চলছে সে দেশের সাথে তুলনা করা কোন কাজের কথা নয়।

লাইবেরিয়ার আবহাওয়া, ভূমি বৈশিষ্ট্যের সাথে বাংলাদেশের অসাধারণ মিল।

বিস্তারিত»

মলিন ঈদ মোবারকঃ দায় নিতে হবে সৌদি আরবকেই!

১। মুসলিম জাহানের অঘোষিত এবং স্বঘোষিত অভিভাবক সৌদি আরব ২০১৪ সালে সামরিক খাতে ব্যয় করেছিল ৮০.৮ বিলিয়ন ডলার (৭৬.২ বিলিয়ন ইউরো)। যা কিনা আগের বছরের চেয়ে ১৭% বেশি।

সারা বিশ্বজুড়ে সিরিয়া শরণার্থী ইস্যুটি যখন ‘টক অব দ্যা মোমেন্ট’ তখন সৌদি বাদশাহ, যুবরাজ, আমির, উজির, নাজির…সবাই ভোগ বিলাসে ব্যস্ত। শুধু সৌদি আরবই নয়, মুসলমানদের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও আই সি’র ও তেমন কার্যক্রম নেই। কেবল সিরিয়া ইস্যু নয়,

বিস্তারিত»

দুঃসংবাদের জন্য দৈনিক পত্রিকা, সুসংবাদের জন্য ফেসবুক


উপরের শিরোনামটি লেখার পর একবার ফেসবুকে ঢুঁ মারলাম। প্রথম খবরটিই ছিল একটি দুঃসংবাদ। জিহাদের বাবা আর এই পৃথিবীতে নেই। আমাদের জিহাদ। এই ব্লগের একজন মুখ্য কারিগর। কত বয়স জিহাদের? ত্রিশের আশপাশ কিছু হবে। সত্তর বছর বয়সে যার মা মারা যান তিনিও দুঃখ পান। অবশ্য বৃদ্ধাশ্রমের অধিবাসীদের সন্তানদের কী অবস্থা তা হয়তো জানি না। সে খবর আপাতত না জানলেও চলবে। জিহাদ এখন কী ভাবছে?

বিস্তারিত»

আমি তোমার চোখ দেখেছি (একটি প্রথম দর্শনে প্রেমের স্বীকারোক্তি)

আমি তোমার চোখ দেখেছি।
এমন দুচোখ আর দেখিনি,
খুব যে কাজল-টানা নিখুঁত – তা নয়
বনলতার পাখির বাসা কিংবা মায়া-হরিণীর সাদৃশ্য? এক বিন্দুও নেই-
নেই সপ্তাকাশের বিশালতা,অতলান্তিক গভীরতা
চোখ পড়লেই থমকে যাবেনা কোনও আনমনা পথিকের হৃৎস্পন্দন,
কোন শিল্পীর তুলিতে বা কবির কলমের নিব-এ জাগাবেনা প্রবল আন্দোলন।
মণিতে নেই বিদেশিনীর চোখের নীল সূর্য,
সাদাতেও অনেক বেশি সাদামাটা।
সত্যি বলতে ,কারো স্বপ্নে প্রবল দাপটে চিড় ধরাবেনা কখনই!

বিস্তারিত»

প্রিয় বই- ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ -মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

এক অদ্ভুত রঙ্গমঞ্চ আমাদের এ জীবন।প্রতিটি মানুষের স্বতন্ত্র জীবন বৈচিত্র্য, নর-নারীর এক অমোঘ আকর্ষণ,যুগ যুগ ধরে টিকে থাকা ভুয়োদর্শনের উপর অন্ধবিশ্বাস,সার্থক জীবনের নামে এক মরীচিকার পিছে ছুটে চলা এইসব মিলিয়ে ফুলে-ফেঁপে ওঠা জীবনকে সঙ্গী করে আমাদের বেঁচে থাকা।
বইটিতে মানিক বন্দোপাধ্যায় বলেছেন,এক গ্রাম্য যাপিত-জীবনের গল্প।আপাত দৃষ্টিতে যাকে বৈচিত্র্যহীন,সঙ্কীর্ণ স্বকেন্দ্রিক বলে ভুল হয়।কিন্তু মানিক দেখিয়েছেন এর মাঝেও আছে কত বৈচিত্র্য, কত রহস্য,ক্ষুদ্র-বৃহৎ ঘটনা প্রবাহের কত বিশাল প্রভাব সেখানকার মানুষগুলোর জীবনে।তারা বাস করে এক ঘোর লাগা জীবনে।সেখানে নিজেদের জীবন কেউ পরিবর্তন করতে পারেনা।নিজেদের সৃষ্ট সুতোর জালে নিজেরাই আটকে পড়ে অনেকটা পুতুলের মত নেচে যায় তারা অদৃশ্য কোন শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে।

বিস্তারিত»