সুপারশপের শেলফে দেখি সুন্দর করে প্যাক করে রাখা তিলের খাজা। তিলের খাজা! হ্যাঁ তিলের খাজা ই তো!! কি সাংঘাতিক! এতদিন পরে এই জিনিষ দেখলে কি মাথা ঠিক রাখা সম্ভব? এই মুহুর্তে যদি গোটা চারেক না খাই তাহলে আমার বংশ পদবীটাই বৃথা। আবার ওদিকে মধ্যপ্রদেশের আপোষহীন ক্রমবৃদ্ধি আর বাসায় লীডার-অব-দ্য-হাউজের ব্যপক চোখ রাঙ্গানিকে ও তো উপেক্ষা করা সহজ কাজ না।
অনেকক্ষণ ভাবলাম, আশেপাশের অন্যান্য আইলে ঘুর ঘুর করলাম।
১
আশির দশকের একজন স্মার্ট নায়িকা ছিলেন দিতি। অনেক সংগ্রামী জীবন। অনেকটা সেলফ-মেড। এখন তিনি অসুস্থ। সহকর্মীরা তাঁর জন্য দোয়া করছেন। আবার বাংলাদেশের মতো রক্ষণশীল সমাজে নায়িকা মানেই শুধু একজন অভিনয়শিল্পী নয় – যেন অন্যকিছু। তাকে সম্মানিত করতে নেই, তার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ংকর পরিণতি। একটি রক্ষণশীল সমাজ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এই ভয়ংকর পরিণতির ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে। তাই সে সমাজে কোন সৃষ্টিশীলতা নেই, গতিময়তা নেই।
কথায় বলে বার বার তিন বার, ইংরেজিতে দে কাম ইন থ্রিজ। বিশেষ করে ফাঁড়া গর্দিশে ইত্যাদি। তেমনি এক তিন ফাঁড়ার গল্প বলছি।
সেদিন হিউষ্টনের বিরাট চীনা বাজারে গিয়েছি। কেনাকাটা সেরে কিউতে দাঁড়িয়ে আছি। আমার আগের খদ্দের গোটা চারেক দুরিয়ান কিনেছেন। সেগুলো কাউন্টারের উপরে ডাঁই করে রাখা। এই বিশেষ ফল সম্পর্কে দুটো কথা আগে বলে রাখা দরকার। কাঁঠালের মত চেহারার এই ফল প্রাচ্যদেশীয়দের কাছে খুবই পছন্দের জিনিষ।
“আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার”
এটা একটা দুজন অসম বয়সী নারীর সত্য গল্প। দুজনের ভেতরে প্রবল পার্থক্য। একজনের বয়স ৭০ এর কাছাকাছি। অন্য জনের বয়স মাত্র ১৫। দুজনেই অসম্পুর্না। একজনের স্বামী মারা গেছে ২০ বছর আগে। ৫০ বছর আগে তিনি এসেছিলেন তার জন্মস্থান উজানের ‘চিলমারী’ থেকে এই ভাঁটির দেশে। অন্য জনের জন্ম ভাঁটির দেশেই । জন্মলগ্ন থেকেই তিনি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী।
“জঙ্গলে যাবার কোনো দিনক্ষণ নির্ধারিত নেই,
যে-কোনো সময়ে তুমি জঙ্গলের মধ্যে যেতে পারো”।—শক্তি চট্টোপাধ্যায়
ফেলে আসা দৃশ্যাবলী কত স্পষ্ট!
আমার সাথে কখনই তাঁর সামনাসামনি দেখাসাক্ষাৎ হয়নি।কয়েকদিন মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে মাত্র। আমি ক্যাডেট কলেজে ঢোকার অনেক আগেই তিনি কলেজ থেকে পাশ করে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন! তার সাথে আমার পরিচয়ও ভার্চুয়াল। ফেসবুকে আমিই তাকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠিয়েছিলাম এবং তিনি তা গ্রহন করেছিলেন তার ফ্রেন্ডলিস্টের অনেকের সাথেই আমার পরিচয় আছে দেখে।
নিদারুন খরায় পুড়ছে সারা দেশ। আষাঢ় শেষে শ্রাবন এসেছে, মেঘের তবু দেখা নেই। সূর্যটা যেন সারাদিন এক জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে জ্বলতে থাকে প্রচন্ড তেজে। প্রখর রোদে বাইরে কেমন ঘোলাটে দেখায়। প্রকৃতির এমন রুদ্ররূপ আমাদের অচেনা।
গরমের হাত থেকে বাঁচতে ঘরের জানালাগুলি ভারী চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে । চাদরে আর মেঝেতে খানিক পর পর পানি ছিটোনো হয়, তাতে ঘরের ভেততরটা মোটামুটি সহনীয় থাকে। ফারাক্কা বাঁধ চালু হবার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে দেশটা মরূভূমি হয়ে যাবে।
আমাদের ট্রেনের নাম কালকা মেইল,স্লিপার ক্লাস।সিট অনেকটা আমাদের দেশের শোভন শ্রেণীর মত,তবে সাইজে অনেক বড় এবং পুরোটাই একজনের জন্য।আছে ফোন চার্জ দেওয়ার সুব্যবস্থা।সেইটা দেখে প্রেমিককুলের মুখের হাসি ছিলো দেখার মত।
ট্রেনে উঠে দেখি আমাদের উপরের বাংকে পা ঝুলিয়ে বসে আছেন দুই ভদ্রলোক।আমাদের সীট বলতেই বললেন,ঘুমানোর সময় বললেই নেমে যাবেন।উনারা যাবেন আসানসোল কিংবা বর্ধমান পর্যন্ত।
জানা ছিলো,এই ট্রেন দিল্লীতে যেতে কমপক্ষে ২৪ঘণ্টা সময় নেবে।আমি আগেই সবাইকে বলেছিলাম,যে চাইলে এই ট্রেনে আমরা কালকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে ২ঘণ্টায় সিমলা পৌছাতে পারি।কিন্তু আমার ব্লগ পড়া জ্ঞানে ওদের ভরসা ছিলনা।অথচ ট্রেনে উঠেই পাশের সীটের এলাহাবাদগামী দাদা যখন একই কথা বললেন,তখন সবাই রাজি হয়ে গেল।আর আমরা রেডি হলাম,লাইফের দীর্ঘতম ট্রেন জার্নি করতে।সবাই ফুলানো যায় এমন বালিশ,কম্বল নিয়ে উঠেছিলাম।একটু পরেই ট্রেনের লোক ডিনার করবো কিনা জানতে আসলো।দুই ধরণের খাবার,ভেজ-ননভেজ।হালাল-হারাম বিবেচনায় ভেজ নিলাম সবাই।
স্বদেশপ্রেম, দেশের প্রতি ভালোবাসা অথবা জাতীয়তাবাদ, এসব যখন মানুষের চিন্তা-চেতনায় স্থান নেয় তখন এসব নিয়ে মানুষ কখনই তাদের মনে অস্পষ্টতা বা বিভ্রান্তি রাখে না। যদি কেউ বাংলাদেশকে ভালোবাসে তবে সে কখনই বলবে না যে, “আমি দেশকে ভালোবাসি” বরং বলবে, “আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি”—–অবশ্যই সুস্পষ্টভাবে, কোন সংকোচ না রেখেই। অথচ বাংলালিংকের এই বিজ্ঞাপনটা/TVC শুরুই হয়েছে “দেশের” এই শব্দটা দিয়ে। যেহেতু বিজ্ঞাপনে দেশপ্রেমের বিষয়টা মুখ্য সেহেতু “দেশ” শব্দটার পরিবর্তে “বাংলাদেশ” শব্দটা ব্যবহার করতে পারতো।
আবার কালি কলম ব্যবহার করা শুরু করলাম। তবে প্রতিদিনকার লেখালেখির জন্য নয় অবশ্যই। এখন ব্যবহার করি শখ করে। কাগজের সাদা পাতার বুক চিড়ে রোপন করে যাই বুকের ভিতর জমে থাকা অযুত নিযুত শব্দমালা। কেমন যেন অন্যরকম একটা অনুভূতি। ভালোই লাগে। কেন জানি ঠিক এই একই কাজ বল পয়েন্ট কিংবা জেল পেনে আসে না। অরুচিকর লাগে খুব। বল পয়েন্ট আর জেল পেন আমার কাছে প্রানহীন কিছু একটা।
ঈদানীং খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায়, কোথাও না কোথাও ইয়াবাসহ কেউ না কেউ গ্রেপ্তার। ক’বছর আগেও এমন ছিল না। বর্তমানে এই নেশা ছড়িয়ে পরেছে ব্যাপক হারে। আর এই নেশা সেবনকারী কিন্তু সমাজের কোন বিশেষ পর্যায়ের নয়। এটার বিস্তৃতি সমাজের উপরস্তর থেকে একদম নীচুস্তর পর্যন্ত। এ যেন সবার-আপামর-
এই নেশার বিক্রেতারা কিন্তু এখন আর দূস্প্রাপ্য নয়। তাদেরকে কিন্তু এক্কেবারেই হাতের নাগালেই পাওয়া যায়। তারা কিন্তু আবার ঈদানীং পয়সার চিন্তাও করে না।
২০১১ সাল থেকে অনলাইন দুনিয়ায় আমার নিয়মিত পদচারণা। শুরুটা সিনেট.কম দিয়ে। বিভিন্ন সেফ এবং ফ্রি সফটওয়ারের জন্য এটি আমার প্রিয় ওয়েবসাইট।এর পর কম্পিউটার সম্পর্কিত বিভিন্ন ঝৈ ঝামেলা মুক্তির জন্য সামহোয়ার ইন ব্লগ- এর নিয়মিত পাঠক হয়ে পড়ি। ঐ সাইট থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। মাঝে মাঝে ইআরসিসির গ্রুপ মেইলে ঢু মারতাম।ফেসবুকে আসার আমন্ত্রণ পেতে পেতে বেশ বিরক্তও হচ্ছিলাম। ফেসবুক শব্দটা প্রথম শুনেছিলাম ‘ফার্ষ্ট ডেট’ নাটকে।
আজ কনা’র বিয়ে। বিয়ে মানেই আনন্দ, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে হৈ চৈ করে বাজার করা, রঙ্গিন স্বপ্নের জাল বোনা। অথচ কনা’র এগুলো কিছুই করা হয় নি, ওর হয়ে আত্মীয়-স্বজনরাই সব করেছে। কমিনিউটি সেন্টারে কণা বৌ সেজে, স্টেজে চুপচাপ বসে আছে। চারিদিকে বাচ্চাদের চেঁচামেচি আর দৌড়াদৌড়িতে কানে তালা লাগার অবস্থা। মনে হচ্ছে ওদেরই সবচেয়ে বেশী আনন্দ। অথচ কনা’র একটু আনন্দ লাগছে না, বরং সবকিছু বিরক্ত লাগছে। একরকম ভাবলেশহীন।
বছর দেড়/দুই আগেও এই ব্লগটি লেখার কথা কল্পনাও করতে পারতাম না!
সিসিবিতে সেসময় ‘ঠাণ্ডা প্রতিশোধ‘ নামে একটি ওয়েস্টার্ন গল্প লেখা শুরু করেছিলাম। আমার স্বভাব হচ্ছে লেখা পুরোটা (বা অনেকখানি) শেষ করে তারপর ব্লগে দেয়া শুরু করি। এতে করে নিয়মিত লেখা দেয়া সম্ভব হয় এবং যে দুই-একজন শুভাকাঙ্ক্ষী আমার লেখা পড়েন তাদের কাছেও ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। যাই হোক, সিসিবিতে কয়েকটি পর্ব দিয়ে আমি পুরো গল্পটি আমি সেবা প্রকাশনী বরাবর পাঠিয়ে দেই।