আমাদের ট্রেনের নাম কালকা মেইল,স্লিপার ক্লাস।সিট অনেকটা আমাদের দেশের শোভন শ্রেণীর মত,তবে সাইজে অনেক বড় এবং পুরোটাই একজনের জন্য।আছে ফোন চার্জ দেওয়ার সুব্যবস্থা।সেইটা দেখে প্রেমিককুলের মুখের হাসি ছিলো দেখার মত।
ট্রেনে উঠে দেখি আমাদের উপরের বাংকে পা ঝুলিয়ে বসে আছেন দুই ভদ্রলোক।আমাদের সীট বলতেই বললেন,ঘুমানোর সময় বললেই নেমে যাবেন।উনারা যাবেন আসানসোল কিংবা বর্ধমান পর্যন্ত।
জানা ছিলো,এই ট্রেন দিল্লীতে যেতে কমপক্ষে ২৪ঘণ্টা সময় নেবে।আমি আগেই সবাইকে বলেছিলাম,যে চাইলে এই ট্রেনে আমরা কালকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে ২ঘণ্টায় সিমলা পৌছাতে পারি।কিন্তু আমার ব্লগ পড়া জ্ঞানে ওদের ভরসা ছিলনা।অথচ ট্রেনে উঠেই পাশের সীটের এলাহাবাদগামী দাদা যখন একই কথা বললেন,তখন সবাই রাজি হয়ে গেল।আর আমরা রেডি হলাম,লাইফের দীর্ঘতম ট্রেন জার্নি করতে।সবাই ফুলানো যায় এমন বালিশ,কম্বল নিয়ে উঠেছিলাম।একটু পরেই ট্রেনের লোক ডিনার করবো কিনা জানতে আসলো।দুই ধরণের খাবার,ভেজ-ননভেজ।হালাল-হারাম বিবেচনায় ভেজ নিলাম সবাই।
বিস্তারিত»