বিষণ্ণ আলোয় এই বাংলাদেশ, এ আমারই সাড়ে তিন হাত ভূমি…

বহুদিন পর ব্লগানোর ছুটি পেয়েই সুনীলের কোবতে মনে পড়ল-

কুয়াশার মধ্যে এক শিশু যায় ভোরের ইস্কুলে
নিথর দিঘির পাড়ে বসে আছে বক
আমি কি ভুলেছি সব
স্মৃতি, তুমি এত প্রতারক?

বিস্তারিত»

ঢাকা টু নরসিংদী (ভ্রমন কাহিনী!)

ঢাকা টু নরসিংদী (ভ্রমন কাহিনী!)

আমার বড় মেয়ের ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষা শুরু হওয়া থেকে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি প্রসেস কমপ্লিট হওয়া পর্যন্ত মোট পৌনে এক বছর সময় লাগলো! মার্চ টু ডিসেম্বর ২০১৪! এই সময়ের মধ্যে পুরো পরিবার নিয়ে আমার কোথাও বেড়াতে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কাজেই এই বছরের শুরুতে যখন আমার মিসেসের খালা নরসিংদীতে তাদের বাসায় বেড়াতে যাবার আমন্ত্রন দিলেন, আমরা লুফে নিলাম।

খুব সকালে যাত্রা করলাম।

বিস্তারিত»

অষ্টম বর্ষে সিসিবিঃ আসছে পিকনিক।

৮ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখটি নিয়ে চিন্তা করতে থাকুন। আগামী ৮ ডিসেম্বর সেই তারিখটি অষ্টম বর্ষে পদার্পণ করবে। চিন্তা করে দেখুন আটটি বছর কিন্তু অনেকটা লম্বা একটি সময়। সিসিবির জন্যেও এই আটটি বছর ছিল অনেক লম্বা একটি পথ। এই পথটি ছিল নির্মল আনন্দের, ছিল কোলাহলপূর্ণ, ছিল মত পার্থক্যের, ছিল কলহের, ছিল দুঃখের, ছিল কোলাহলশূন্য, ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর, ছিল পূনর্জাগরণের। এই আট বছরের চড়াই উতরাইকে উদযাপন করতেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সিসিবি এবার লেখক,

বিস্তারিত»

টু হুম ইট মে কনসার্ন – চল্লিশের আত্মকথন

টু হুম ইট মে কনসার্ন – চল্লিশের আত্মকথন

এটা কেবলমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একটা জনসচেতনতামূলক লেখা। নিজদায়িত্বে পড়তে হবে এবং লেখার কোন অংশের জন্য লেখককে কোনভাবেই দায়ী করা যাবে না। লেখাটা কিছুটা পুরুষ মানষ থেকে লেখা; নিজের জেণ্ডার এবং বয়সের উপলব্ধির রিফ্লেকশনস মাত্র। এখানে লেখককে জেণ্ডারবিদ্বেষী না ভাবাই স্বস্তিকর, কারন এটা এই লেখাটার একটা বড় দূর্বলতা, আর নিজের দূর্বলতা কেই বা আলোচনায় আনতে চায়?

বিস্তারিত»

সমান্তরালের জীবনগুলো

সমান্তরালের জীবনগুলো

১৯৮৫ সাল।আমি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট। অপারেশনাল ডিভিশন হবার কারনে ২৪ পদাতিক ডিভিশনে বাৎসরিক শীতকালীন যৌথ অনুশীলন অনুষ্ঠিত হয়না। তারপরেও আমাদের ইউনিটের উপ অধিনায়ক মেজর মুহিব! প্রচণ্ড রকমের প্রফেশনাল অফিসার । সেনাবাহিনীর ‘স্টাফ ডিউটিস ইন দ্য ফিল্ড’ বইটা শুনেছি তিনি নিজ হাতে লিখেছেন। তার ভয়ে শুধু আমরা জুনিয়ররা নই, আমার ইউনিটের অধিনায়ক, এমনকি ডিভিশন সদর দপ্তরের এবং অন্যান্য ইউনিটের তারচেয়ে সিনিয়র অফিসারগন পর্যন্ত তটস্থ থাকেন।

বিস্তারিত»

সুন্দরবনে বন্য প্রাণির আনাগোনা বন্ধ করা হোক!

পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীত্রয়ের অববাহিকায় বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত এই অপরূপ বনভূমি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালি ও বরগুনা জেলা জুড়ে বিস্তৃত। সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভবন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি। ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে। বর্তমানে মোট ভূমির আয়তন ৪,১৪৩ বর্গ কি.মি. (বালুতট ৪২ বর্গ কি.মি. -এর আয়তনসহ) এবং নদী, খাঁড়ি ও খালসহ বাকি জলধারার আয়তন ১,৮৭৪ বর্গ কি.মি.।

বিস্তারিত»

বালিকার সাধ

বালিকার মনে সাধ হয়েছিলো,
বাসবে ভালো।
চখাচখি দেখে মনে জ্বলেছিলো,
প্রেমের আলো।
নক্সীকাঁথায় শুয়ে দেখতো স্বপন,
বুঁজে দু’নয়ন।
সাথে পাশে তার স্বপন দেখার
আপনজন।

বালিকার মনে সাধ হয়েছিলো,
জ্যোৎস্না মাখার,
অচিন দেশে নৌকোয় ভেসে
পাল ওড়াবার।
চুলগুলো ছেড়ে হাওয়ায় ভেসে
দিশা হারাবার,
নিভৃতে বসে অকারণে হেসে
গায়ে লুটাবার।

বালিকার সাধ শুধু রয়ে গেলো
স্বপন মাঝে।

বিস্তারিত»

সেনাবাহিনীর এক্সারসাইজ এবং আমার বন্ধু হারানো!

সেনাবাহিনীর এক্সারসাইজ এবং আমার বন্ধু হারানো!

“হঠাৎ রাস্তায় অফিস অঞ্চলে
হারিয়ে যাওয়া মুখ চমকে দিয়ে বলে
বন্ধু কি খবর বল
কত দিন দেখা হয়নি”!!

১৯৯০ সাল। ‘স্কুল অফ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স’ এর ছাত্র অফিসার হিসেবে অনুশীলনের জন্য কুমিল্লা সেনানিবাস হতে ঢাকায় এসেছি।‘মোবাইল সারভেইলেন্স এক্সারসাইজ’। আমি সাবজেক্ট। অর্থাৎ আমি আমার প্রশিক্ষকদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বা এনটি-সারভেইলেন্স টেকনিক ব্যাবহার করে ছদ্মবেশে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট রাস্তা,

বিস্তারিত»

দৈবায়ত্তং কুলে জন্ম, মদায়ত্তং হি পৌরুষম্

১.
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত গণিতবিদ জি এইচ হার্ডি বিরক্তমুখে তার অফিসে বসে আছেন। কিছুক্ষণ আগে একটি চিঠি এসেছে তাঁর হাতে। শ্রীনিবাস রামানুজন নামে এক ভারতীয় তাঁর মতামত জানতে চেয়ে ১২০ টি গাণিতিক উপপাদ্য পাঠিয়েছে। যার সবগুলোই নাকি সে ‘আবিষ্কার’করেছে! হার্ডি প্রায়ই এরকম উদ্ভট চিঠি পেয়ে থাকেন। এটাও সেরকমই হবে হয়তো। চরম বিতৃষ্ণার সাথে তিনি চিঠিটাতে একনজর চোখ বুলালেন।

বেশিরভাগ উপপাদ্যেরই মাথামুন্ডু স্পষ্ট নয়।

বিস্তারিত»

নির্জনতা প্রিয়তা

নির্জনতা প্রিয়তা

“প্রত্যেকদিন রাতে, আমি যখন কুণ্ডলী পাকিয়ে বিছানায় শুতে যাই, লেপ টেনে নিতে নিতে আমি কী এক মধুর আতঙ্কে তলিয়ে যাই, তলিয়ে যাই স্বপ্ন আর একাকীত্বের মাঝে, জীবনের সৌন্দর্যগুলোর ফাঁকে, এর নির্মমতার খাঁজে; আর ঠিক তখনই আমি কাঁপতে শুরু করি, ঠিক যেরকমভাবে আমি কাঁপতাম আমার ছোট্টকালে, ভয়ের গল্প শুনে বা রূপকথার রাজ্যে…” –ওরহান পামুক

ছোটবেলায় আমাদের বাড়ীতে আমার বয়সী কোন ছেলেমানুষই ছিলনা!

বিস্তারিত»

বিনিময়

বিনিময়

টাকাটা আমার প্রয়োজন ছিল, তবে বিনিময়টা যে এধরনের হবে সেটা আমার ধারনার ভেতরেও ছিলনা!

একটা ‘যা ইচ্ছে তাই’ ধরনের স্বাধীন শৈশব আমি পেয়েছিলাম। আমি সাঁতার শিখেছিলাম সবার অজান্তে এক বিশাল বাঁশঝাড়ের তলা দিয়ে বয়ে যাওয়া সদ্য আসা বানের পানির প্রবল স্রোতের ভেতরে এক দঙ্গল পিঁপড়ের সাথে ঘোলা পানি খেতে খেতে! আগের দিন সারাদিন ধরে আমি এবং আমার বন্ধুরা সবাই মিলে ঝাড়কাটা নদী থেকে এই বানের পানিকে আমন্ত্রন করে এখানে ডেকে এনেছিলাম।

বিস্তারিত»

ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (ছ)

মানুষজন ইদানিং বুঝে রসিকতা করে নাকি দৈব্যক্রমে ঘটে যায় সেটা চিন্তা করি। সেনানিবাস থেকে বাসে করে অফিস যাচ্ছি। ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের এই রুটে ছাড়া নতুন বাস। জ্যামে আটকা পড়ে বিরক্ত কন্ডাক্টর ছেড়ে দিল ধুমধাড়াক্কা হিন্দী গান। মিনিট দুয়েক সহ্য করার পর পিছেন থেকে গোটা কয়েক যাত্রী বজ্রনিনাদে বকাঝকা শুরু করলেন, “ঐ শালা বান্দীর বাচ্চা হেল্পার, এইটা ইন্ডিয়া পাইছস? গান ছাড়লে বাংলা গান ছাড়!” ঘটনার আকস্মিকতায় কন্ডাক্টর তড়িঘড়ি করে গান বন্ধ করে বক্স থেকে আরেকটি সিডি বের করে ছেড়ে দিতেই হেসে দিলাম।

বিস্তারিত»

একজন মৌলিক ‘চাঁদ সদাগর’

[ কবির জন্মদিনে স্মরণ ও শ্রদ্ধা হিসেবে পুরোনো এ লেখাটাকেই সিসিবি-র ফোরামে শেয়ার করলাম ]

স্বপ্ন দেখার সক্ষমতাই সম্ভবত মনুষ্য জীবের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ স্বাতন্ত্র। স্বপ্ন দেখতে পারে বলে মানুষ নিয়ত নির্মাণ করে আপন স্বভাব, সভ্যতা, সৌকর্য; তার আপন প্রভায়। মানুষ মাত্রেই বলতে পারি স্বাপ্নিক। স্বপ্নদ্রষ্টা তাই হয়তো সবাই। কিন্তু স্বপ্নস্রষ্টা ক’জন! কবিরা সম্ভবত স্বপ্নস্রষ্টাদের মাঝে অগ্রগণ্য।

একজন সহজ সরল সাবলীল বিনয়ী মানুষ,

বিস্তারিত»

পাহাড়ের দিনলিপি

DSC_0505

আজকের সুর্যটাও টুপ করে ডুবে গেছে…আমরা কাউন্ট ডাউন করছিলাম…১…২…৩……৩০ পর্যন্ত যেতেই পাহাড়ের আড়ালে সূর্যটা ডুবে গেলো, আমাদের আলোক উজ্জ্বল আকাশটা নিমেষেই সন্ধ্যা হয়ে গেলো, বাতিঘরে জ্বলে উঠলো পানি থেকে উঠে যাওয়ার সংকেত…ঘরের বাতিটা নিভু নিভু…সন্ধ্যার পর এই আধঘন্টার মধ্যে ৪ বার ইলেক্ট্রিসিটি যাওয়া আসা করেছে…আমি টাওয়াল পরে বসে আছি লেখার টেবিলে…স্পীকারে বাজছে আনুশকা শঙ্করের সেতার, বর্ণময় ধ্বনি।

সেতারের শব্দ বর্ণময় হয়?

বিস্তারিত»