স্কুল পালানোর দিনগুলো!

স্কুল পালানোর দিনগুলো!

পলায়নের কাহিনী কখনই গৌরবগাঁথা বা বীরত্বের কাহিনী হতে পারেনা। যেমন ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির ১৭ জন অশ্বারোহী বাহিনীর আকস্মিক আক্রমনের মুখে লক্ষন সেনের রাজপ্রাসাদের পিছনের দরজা দিয়ে পলায়ন অথবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে দক্ষিন এশিয়া থিয়েটারে জাপানিজ আক্রমনের বিপরীতে ‘ব্রিটিশ কমনওয়েলথ ফোর্স’ এবং চাইনিজ ফোর্সের বার্মা থেকে পালিয়ে আসা, এমনকি আহমেদ সফা’র বিখ্যাত উপন্যাস ‘অর্ধেক নারী, অর্ধেক ঈশ্বরী’ উপন্যাসে পুরান ঢাকার মাস্তান ছেলেদের রোষ থেকে বাঁচার জন্যে ‘দুরদানা বেগম’ (শামিম শিকদার) ও আহমেদ সফা’র বাড়ীর মালিকের সহায়তায় পিছনের দরজা দিয়ে সাইকেল যোগে পালিয়ে আসা –

বিস্তারিত»

পাতা ঝরার গান-০২

২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে মিলিটারি একাডেমিতে গেলাম। ছেলে হিসেবে আমার মধ্যে হোম সিকনেস ব্যাপারটা খুব কম। ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুবাদে নিজের কলেজের বন্ধু ছাড়াও বাকি নয় কলেজের আরও অনেক পরিচিত মুখ পেয়েছিলাম ওখানে। প্রথমদিনেই মনে করে নিলাম যে আগামী দুটো বছর যা ই হোক আমার একার সাথে তো আর হবে না। যা হবে সবাইকেই ভাগ করে নিতে হবে। কেউ যদি ভেবে বসেন যে ক্যাডেট কলেজে পড়েছি বলে হোম সিকনেস নেই,

বিস্তারিত»

মোবাইল সুন্দরীর ফেসিয়াল

দিন কয়েক আগে আবিষ্কার করলাম যে আমার HTC Desire 626x দিয়ে আগের মতো sharp ছবি তোলা যাচ্ছে না। মন-মেজাজ খারাপ। কারন মোবাইল সেটটা তো একেবারে জলের দামে কিনিনি। দোকানদার এক গাল হেঁসে আমাকে অভয় দিয়ে বলল যে, “ভাইয়া মাত্র ৮০০.০০ টাকা। লেন্স কভারটা পাল্টে দেই”। আমিও পাল্টা কাষ্ঠ হাঁসি হেসে দোকানিকে ভাব দেখালাম যেন আমি কত্ত বেরসিক। বললাম, “মোবাইলে কিই বা ছবি তুলি আজকাল (যেন ডি এস এল আর ক্যামেরা ছাড়া আমার চলেই না),

বিস্তারিত»

আজব ভাবনা…

“কপি লুয়াক”

এই জিনিসের নাম প্রথম শুনি the bucket list মুভিতে।

Asian palm cat নামে এক প্রজাতির বেড়াল আছে । তাদের ঘ্রাণশক্তি খুবই প্রবল। তারা বেছে বেছে গাছের সবচেয়ে ভাল ভাল কফি বিনগুলো খায়। কৃষকরা তাদের পিছে পিছে ছুটে। মাঝে মাঝে বেড়াল থামে। মল ত্যাগ করে।

কৃষকরা যত্ন করে সেই মল তুলে নিয়ে আসে। তারপর প্রক্রিয়াজাতকরন করে সেই মল থেকে তৈরি হয় বিশ্বের সবচেয়ে দামী কফি “কপি লুয়াক”।

বিস্তারিত»

আমাদের গ্রাম

আমাদের গ্রাম

‘নকশিকাঁথার মাঠ’ এর কবি এবং আমাদের প্রিয় পল্লী কবি জসীম উদ্ দীন নাকি জীবনের শেষ দুই দশক কিছুই লিখেননি, আমার প্রিয় কথাশিল্পী মাহমুদুল হক (‘জীবন আমার বোন’, ‘খেলাঘর’, ‘কালো বরফ’ এর লেখক) প্রবল কোন আত্মাভিমান থেকে লেখাই বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন! আর ইন্দ্রনাথ আর নতুন দা’র সৃষ্টিকর্তা কথাশিল্পী শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নাকি জীবনের শেষ দিকে একটা সোনার কলম বানিয়ে নিয়েছিলেন; আশ্চর্যজনকভাবে এর পর থেকে আর তেমন কিছুই লিখতে পারেননি তিনি!আমরা সাধারন মানুষ।

বিস্তারিত»

সাংহাইয়ের পথে পথে-১

ইউয়ুন গার্ডেনের সম্মুখ ভাগআপনি যদি ঘুরতে ঘুরতে কখনো সাংহাই চলে আসেন তবে প্রথমে কোথায় যাবেন? চোখবন্ধ করে চলে যান ইউয়ন গার্ডেন (ইউ গার্ডেন)। আধুনিক রমরমা এত আকর্ষণ থাকতে কেন আমি আপনাকে প্রথমেই একটি ক্ল্যাসিকাল বাগানবাড়ির কথা বলছি তার অবশ্য কারণ আছে।
‘ইউ গার্ডেন দ্যা ফরবিডেন সিটি’ ওল্ড সাংহাইয়ের উত্তর-পূর্বের অ্যানরেন ঝিতে অবস্থিত। তদানিন্তন মীং সম্রাজ্যের সরকারী কর্মকর্তা প্যান ইউনডন বৃদ্ধ বয়সে বাবা মায়ের সুখ ও শান্তি নিশ্চিত করতে এটি তৈরি করেন।

বিস্তারিত»

একজন অসার্থক বিউগলারের স্মৃতি কথন!

একজন অসার্থক বিউগলারের স্মৃতি কথন!

পৃথিবীর বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর ভেতরে যেমন স্পষ্ট সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিদ্যমান, তেমনিভাবে আমার বিশ্বাস সমগোত্রীয় বিভিন্ন ক্ষুদ্র দল সমুহের ভেতরেও স্পষ্ট সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিদ্যমান থাকতে পারে। অন্ততঃ আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে! ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হবার পর আমাদের ক্লাসের ৫৫ জন ক্যাডেটকে লটারি অথবা র‍্যানডম স্যামপ্লিং এর ভিত্তিতে বিভিন্ন হাউজে ভাগ করে দেয়া হয়েছিল। কাজেই মাত্র ৩০০ জন ক্যাডেট নিয়ে সংগঠিত ফজলুল হক হাউজ,

বিস্তারিত»

মাদার তেরেসাকে ওঝাত্ব প্রদান

তাঁর মানব সেবামুলক কর্মকান্ডের জন্য সেই ছেলেবেলা থেকেই মাদার তেরেসার প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে। তাঁকে শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়েছিল। তাবৎ নোবেল লরিয়েটদের মাঝে এই “শান্তি” শাখায় বিজয়ীদের প্রায় সবার এই অর্জনের আড়ালে আমি রাজনীতির রঙ্গলীলার রসালো উপস্থিতি দেখতে পাই। এঁদের মাঝে মাদার তেরেসা ছিলেন বিরল ব্যতিক্রম। তাঁকে নিয়ে অনেকের অনেক আপত্তি থাকতে পারে, তাঁকে ও তাঁর সংগঠনের কাজকর্ম ঘিরে কিছু কিছু বিতর্ক থাকতে পারে,

বিস্তারিত»

আমি হাম দেখেঙ্গে’র দলে

১। খুশবন্ত সিং এর “জোকস” নামক বইটায় (স্মৃতিশক্তি খুব বেশি প্রতারণা না করলে) সিনেমা নিয়ে একটা গল্প আছে এইরকমঃ

অমিতাভ বচ্চন, তনুজা আর রাজীব গান্ধী বসেছেন একটা মিটিং এ। বিষয় – ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বিশাল বাজেটের একটা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হবার মতোন সিনেমা তৈরী করা হবে। তনুজা বললেন তিনি এই মুভিটা পরিচালনা করে দেবেন, কোন পারিশ্রমিক নেবেন না। অমিতাভ বচ্চন বললেন তিনি বিনা পয়সায় অভিনয় করে দেবেন।

বিস্তারিত»

কিভাবে মেডিটেট করবো – বাংলা – সিম্পল সাইন্টিফিক উপায়ে মেডিটেশন

প্রথম পোস্ট তাই খুবই আশঙ্কায় আছি।

এই ভিডিও ব্লগ এ চেষ্টা করেছি কোন ব্যাপার গুলো আমাদের ক্রনিক স্ট্রেস জন্ম দেয়, কেন মেডিটেশন করা দরকার এবং খুব এ সিম্পল ওয়ে তে কিভাবে মেডিটেশন করা যায়।

আপনাদের মতামত জানাবেন।

ধন্যবাদ।

বিস্তারিত»

অতীত নেই, ভবিষ্যতও নেই কোনখানে!

অতীত নেই, ভবিষ্যতও নেই কোনখানে!

 

“মাহফুজা আমরা যাতে যুদ্ধ থেকে না পালাই, সেজন্য আমাদের পশ্চাতে নিয়োজিত/ প্রশিক্ষিত কুকুর বাহিনী। সামনে শক্রর তরবারি; পিছনে ততোধিক নিষ্ঠুর/ সম্রাটবাহিনী। মাহফুজা, কথা হলো, কে আমাকে যুদ্ধে নামিয়েছে?” – কবি মজিদ মাহমুদ

 

পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষের কোন অতীতই নেই!আমি স্বচক্ষে দেখেছি অন্তত তিনবার!তাই যাদের অন্তত একটা অতীত আছে বা ছিল তাদেরকে আমি সৌভাগ্যবানই মনে করি।

বিস্তারিত»

মৃত্যুঞ্জয়ী

মৃত্যুঞ্জয়ী

১৯৭১ সালে আমাদের মাদারগঞ্জ থানায় পাকবাহিনী ঢুকতে পারেনি।কারন এর পশ্চিম দিকে যমুনা আর অবশিষ্ট তিন দিক যমুনার শাখা প্রশাখা দ্বারা বেষ্টিত থাকার ফলে নদী অতিক্রম করা ছাড়া এখানে প্রবেশ বা অনুপ্রবেশ করা সহজসাধ্য ছিলনা। ফলে যুদ্ধের পুরো সময়েই এই এলাকা ছিল অনেকটা মুক্ত স্বাধীন ক্ষুদ্র একটা রাষ্ট্রের মতন, যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা অভয়ারণ্যের মৃগয়াদের মতন চলাফেরা করত। ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ থেকে নাকি একবার বলা হয়েছিল মাদারগঞ্জ থানার গাছের পাতায় পাতায় নাকি মুক্তিযোদ্ধারা বিচরন করে!

বিস্তারিত»

ধন্যবাদ মিচ. . . . .

“অ্যাশেজ টু অ্যাশেজ, ডাস্ট টু ডাস্ট, ইফ টমসন ডাজন্ট গেট ইউ, লিলি মাস্ট………………” সত্যি সে এক সময় ছিল। লিলি, টমসন, হোল্ডিং, গার্নার রা তখন রাজত্ব করতেন পুরো ক্রিকেট সাম্রাজ্যটা জুড়ে। ২২ গজে দোর্দণ্ড প্রতাপে দাপিয়ে বেড়াতেন ‘দ্যা ফ্যান্টাস্টিক ফোর’। কত রথী মহারথী ব্যাটসম্যান রা তাদের ব্যাটিং পসিশন বদলে ফেলতেন শুধু নতুন বলে মার্ভ হিউজকে ফেস করতে হবেনা ভেবে। ম্যালকম মার্শাল এর এক একটা অগ্নিগোলক যখন ব্যাটের কিনারা ছুঁই ছুঁই করে বেরিয়ে যেত,

বিস্তারিত»

অসভ্য সামরিক ছাউনি !

১। “পার্বত্য চটগ্রামে প্রবেশ করার সময় সামরিক ছাউনির অভ্যর্থনার দৃশ্যের মত কদর্যতম চেহারা একটি রাষ্ট্রের হতে পারে না।”
২। “আপনি একটি শহরে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন আর তখনি প্রবেশ্মুখে আপনাকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে সামরিক বাহিনীর ছাউনি। এটা কোন সভ্য দেশে চলতে পারে না।
৩। “প্রতিনিয়ত সামরিক ছাউনির সঙ্গে এখানকার মানুষের সাক্ষাৎ হবে এটা বাঞ্ছনীয় নয়। এটা কাম্য হতে পারে না।”

সম্প্রতি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ মিজানুর রহমান রাঙামাটি জেলা পরিষদের হলরুমে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি ব্যবস্থাপনা ও বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত’

বিস্তারিত»

পাতা ঝরার গান

স্কুল জীবনের একটু সিনিয়র পর্যায়ে ঠিক কতদিন যে এসেমব্লির পর ক্লাস করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে সেটা আমি হাতে গুনে বলে দিতে পারব। এসেম্বলি হত থার্ড পিরিয়ডের পর। রংপুরে লায়ন্স দিয়ে আমার স্কুলিং শুরু। সে সময় আমি আবার তদানীন্তন কেজি শ্রেনীর বেশ উদিয়মান তারকা ছিলাম। প্রথম ক্লাস টিচার ছিলেন মধুছন্দা ম্যাডাম।ম্যডাম বেশ যত্ন করে আমাদের হ্যান্ড রাইটিং শেখাতেন। সে সময় আমাদের স্কুলে আমরা প্যাচানো হাতের ইংরেজী লেখা শিখতাম।

বিস্তারিত»