অধ্যায় : তুমি

তোমার নিঃশ্বাসে আমার নির্ভেজাল অধিকার,
তোমার আলিঙ্গনে আমার মুক্তির স্বাদ –
প্রজাপতির পাখার স্মৃতি।

তোমার পদশব্দে  সাত-সমুদ্র-তের-নদির ওপারের হাতছানি,
তোমার কণ্ঠ যেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ‘প্রেমের কবিতা সমগ্র’।
তোমার কপালের ভাজে আমাদের আগামির চিহ্ন –
ভ্রু-যুগলের প্রশ্রয়ে আমার যত ছেলেমানুষি,
গ্রীবার কাঠিন্যে নির্ভারতার নির্ভরতা –
আমার অস্তিত্বের সমর্পণ।

তোমার দৃষ্টিতে আমার আনন্দ-মৃত্যু –
তোমার ঠোঁটে আবার ফিনিক্সের মত বেঁচে ওঠা,

বিস্তারিত»

আমার ডায়েরীর মলাটে লুকানো তুমি

আমার ডায়েরীর মলাটে লুকানো তুমি
————– ড. রমিত আজাদ

তখন আমরা স্কুল পড়ুয়া,
তোমার ভাই আর আমি সতীর্থ ছিলাম,
পড়ালেখায় দুর্দান্ত শত্রু ছিলাম আমরা দুজন!
কে কাকে হারিয়ে ফার্স্ট হবো,
এই নিয়ে চলতো প্রবল প্রতিযোগিতা।
এভাবে ঝগড়া করতে করতে,
হঠাৎ একদিন আমরা বন্ধু হয়ে গেলাম।

তোমার ভাই বললো,
“চল তোকে আমাদের বাড়ী নিয়ে যাই।

বিস্তারিত»

দি সাইকেল অফ এ্যাবিউজ বা নিপীড়নের দুষ্টচক্র: আপনি কি এ্যাবিউজড???(প্রথম পর্ব)

আমার বাবা মায়ের সংসার জীবন প্রায় তেত্রিশ বছরের, এই তেত্রিশ বছরে একটা দিনও বাবাকে মায়ের সাথে কোনদিন একটা জোরে কথা বলতে শুনিনি| বরং উল্টোটা হয়, কর্মক্ষেত্রে বিশাল ডাকাবুকো আমার বাবা জুতো না খুলে বা পাপোষে পা না মুছে ঘরে ঢুকলে মায়ের বকুনি খেয়ে চুপসে যেতেন প্রায়ই| আমার আর আমার পিচ্চি বোনের কাছে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স বলতে বোঝাতো এটুকুই| তবে সত্যিকার অর্থে এটা এ্যাবিউজ নয়, বরং এ্যাবিউজ হচ্ছে ভয়াবহতম একটি ব্যাধি যা এর ভিকটিমের জীবনটিকে শেষ করে দেয়|

একটু বড় হয়ে জানলাম,

বিস্তারিত»

কি বিষ রেখেছ ঢেলে কোমল অনলে!

কখনো কি ভালোবাসা জীবনের কানাগলি দিয়ে
ভুল করে হেঁটে যাবে পথ?
কোথাও ধুসর দূরে…
ঝাঁক বেঁধে নামে যদি
নম্র-নীল আলোর কপোত!

নিশি পাওয়া মানুষের মতো
ভুল ঠিকানায় কড়া নেড়ে নেড়ে…
খোয়া গেলে আরো কিছু কাল
রক্তে বৈদগ্ধ যদি মেশে;
প্রাচ্যের বেশে তবু প্রতীচী আবেশে!

তবু আমি দেখে যেতে চাই
ওই নীলে, নোনা-নীল জলে..

বিস্তারিত»

চেতনায় একেশ্বরবাদ, হৃদয়ে বুদ্ধের বাণী – পর্ব ১

চেতনায় একেশ্বরবাদ, হৃদয়ে বুদ্ধের বাণী – পর্ব ১
———————- ড. রমিত আজাদ

প্রোথিত হৃদয়ের কথা
——– ড. রমিত আজাদ

কি উজ্জ্বল সুন্দর এই নীল আকাশ!
কেমন ঝলমলে রোদ তাকে আলোয় উদ্ভাসিত করে!
কেমন দুঃসাহস নিয়ে উড়ে যায় শঙ্খচিল!
নির্ভয় বিহঙ্গ ঐ আকাশ করবে জয়!

নীলিমার নীল গায়ে মেখে
ধ্যানমগ্ন পর্বতের নিশ্চল উপবেশন,
হঠাৎ ঝলকে ওঠে কপোতাক্ষের অবিরাম ধারা,

বিস্তারিত»

তুমি রবে নীরবে

[এই ব্লগে আমার বয়সে বড় অনেক আপু ও ভাইয়ারা আছেন সবাইকে আগেই গল্পের বিষয় বস্তুর জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।গল্পের উপস্থাপন ও ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমি আমার সর্বোচ্চ সাবধনতা অবলম্বন করেছি তার পরও কোন বাহুল্যের জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।আর একটি কথা আমি চিটাগং এর ছেলে না তাই আঞ্চলিক ভাষা ব্যাবহারের ক্ষেত্রে ভুল হলে,সংশোধন করতে সাহায্য কামান করছি।]
রেডী হই লন………কথাটা বলেই মোবাইলে কল জুড়ে দিল।আমার চতু্র্দিক কেমন জানি অন্ধকার হয়ে আসছে,মাথা ঝিমঝিম করছে।

বিস্তারিত»

টিকটিকির কাটা লেজ

20150611_161248
ছবির এই লোকের নাম আমি জানি না। জানতে ইচ্ছেও হয়নি। কারণ আমি তখন অবাক বিস্ময়ে তাকে দেখছিলাম। তার মুখ দিয়ে গল গল করে ফেনা বের হচ্ছিলো আর সারা দেহ কাঁপছিলো ঠিক টিকটিকির কাটা লেজের মত। টিকটিকির সদ্য কাটা লেজ জীবনে না দেখলে আমি হয়ত এই লোকের কাঁপাকাঁপির কোন উপমা খুঁজে পেতাম না।

এভাবেই সে DMCH এর admin wing এর সামনে মাটিতে পড়ে ছিল।

বিস্তারিত»

ছন্দে আনন্দভ্রমণ ১

‘আমোদ’ শব্দটি আমার খুব প্রিয়। যে জিনিশ খুব প্রিয় হয় মানুষ সবখানেই তার অবয়ব খুঁজে ফেরে। ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ যেমন পেয়েছিলেন ‘অভিধানে আমোদ’। আমি তেমনি ছন্দে আমোদ খুঁজি। ইচ্ছে হলে আপনিও আমার এই আনন্দভ্রমণে সাথী হতে পারেন।

ইংরেজিতে ‘ফিকোয়েন্সি’ বলে একটি শব্দ আছে। বাংলায়  তার বৈজ্ঞানিক পরিভাষা ‘কম্পাঙ্ক’। আমাদের আনন্দভ্রমণে আমরা এমন কাঠখোট্টা শব্দকে সাথে নেব না। কিন্তু যদি আমাদের নেচে নেচে চলবার সাধ জাগে–সবাই যদি একই তালে নেচে নেচে চলতে চাই–তবে ‘ফ্রিকোয়েন্ট’

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল

জীবনের জার্নাল

প্রায় একষট্টি বছর আগে কোন এক শীতের বিকেলে অগ্রহায়নের শেষ দিনে, রোববারে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনীতে আমার জন্ম হয়। এমনিতেই ছোট দিন, তখন দিনেরও প্রায় শেষ, একটু আগেই আসরের নামাজীরা মাসজিদ থেকে ঘরে ফিরে গেছে। ক্লান্ত সূর্য্টা দিগন্তে রক্তিমাভা ছড়িয়ে অস্ত যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে, পাখিরা ঘরে ফেরার। এমনি এক সময়ে আমি দিনের শেষ আলোটুকু ধরার জন্যই যেন পৃ্থিবীর বুকে ভূমিষ্ঠ হ’লাম।

বিস্তারিত»

কোয়াড্রোলজি ~ পর্ব ৩ | শান দেই মুষ্ঠি ও মগজে

বাংলাদেশে এমন কোনো গ্রাম নাই যে গ্রামে পঞ্চাশ বছর ধরে আওয়ামী লীগ করেন এমন একটা অন্তত পরিবার নাই । বাংলাদেশে এমন কোনো গ্রাম নাই যে গ্রামে পঁচিশ বছর ধরে নিরন্তর রাজনৈতিক মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিএনপি করেন এমন একটা পরিবার আছে । এর পেছনে কারণ এই দুই রাজনৈতিক দলের জন্ম ও এর বিকাশের ইতিহাসে উচ্চারিত । সেই প্রতিটি গ্রামের শেকড়ে প্রোথিত দল আওয়ামী লীগ ১৯৯১ এবং ২০০১ এর নির্বাচনে কেন হারলো এবং একবার অতি শোচনীয় ভাবে হারলো ?

বিস্তারিত»

শেষের থেকে শুরুঃ এই আমি

There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx (Preface to the French Edition of Das Capital, 1872).

সিসিবিতে আজ আমার নিজের কথা বলবো, আকাশ ছুঁয়ে ফেলার যে স্বপ্নটা দেখা শুরু করেছিলাম ১৯৯৬-এর দিকে, সেই স্বপ্নের কথা।

সিসিআর থেকে পাস-আউটের পর আর সব ক্যাডেটের মতোই হঠাৎ করে পাওয়া স্বাধীনতার মাঝে খাবি খেতে থাকলেও মনের মধ্যে জন্মানো সমাজ পাঠের আকাঙ্ক্ষাটি কখনো হারিয়ে যায়নি।

বিস্তারিত»

কোয়াড্রোলজি ~ পর্ব ২ | . . . কেমনে সকাল হবে !!!

যতো মিথ্যে বলা হয় ততোই নাকটা বড় হতে থাকে পিনোকিওর গল্পের মতোন । বাড়তি বেঢপ নাক ছাঁটতে, মিথ্যেবাদীর পরিচয় আড়াল করতে, একেবারে সহজতম সমাধান যেনো নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা । ইচ্ছে হচ্ছে চারপাশের ঘটমান অবিমৃষ্য ধারাবাহিকতা নিয়ে নতুন ধরনের রূপকথার গল্প লিখে ফেলি কয়েক ঝুড়ি ।

আমাদের ছেলেমেয়েদের ইস্কুল নেই বেতাল রাষ্ট্রযন্ত্রের মোহনীয় উপহার শিক্ষা বিরতির কল্যাণে । যা কিছু দু-এক চিলতে খেলার মাঠ খুঁজে পেতে বাচ্চারা হাত-পা ছুঁড়তে যায় –

বিস্তারিত»

তিনটি গানের অনুবাদ

তিনটি গানের অনুবাদ
———- ড. রমিত আজাদ

আমার ভালো লাগে এমন দুটি বাংলা গান খুব দুর্বল হাতে অনুবাদ করলাম। অনুবাদে ত্রুটি থাকাটা স্বাভাবিক, আমার অনুরোধ কেউ ত্রুটি পেলে সংশোধন করে দেবেন। পাশাপাশি আরেকটি বিদেশী গান-এর বাংলা অনুবাদ করলাম।

রশিদ উদ্দিন-এর লেখা আর বারি সিদ্দিকীর গাওয়া এই আধ্যাত্মিক গানটি খুব ভালো লাগে। তাই খুব দুর্বল হাতে ইংরেজী অনুবাদ করলাম। কোন ত্রুটি থাকলে ধরিয়ে দেবেন কাইন্ডলি।

বিস্তারিত»

দখিন দিকে সূর্য নাকি?

কেমন আজব সকাল দেখি
দখিন দিকে সূর্য নাকি?
বিড়াল বসা গাছের ডালে,
ফিশ বোলে কি চড়ুই নাকি?

কচলে দুচোখ কিচেন রুমে
গিয়ে দেখি বিশাল ঘুমে
শুয়ে আছে সাপের ছানা!
নেউল তাকে জড়িয়ে ধরে
শুয়ে আছে কেমন করে?

কি হল আজ ভাবছি যখন,
ঠিক তখনি ‘ক্রিং’ টেলিফোন
ধরে শুনি আমার নাকি
বউ ভেগেছে দিয়ে ফাকি!

বিস্তারিত»

আবার কলকাতা ৯

আবার কলকাতা ৮
আবার কলকাতা ৭
আবার কলকাতা ৬
আবার কলকাতা ৫

এক দুপুরে ছোট মেয়ে বলল, বাবা কস্তুরিতে আর খাবোনা, অন্য কোথাও চল।
– অন্য কোথায়? প্রিন্সে খাবা?
– না প্রিন্স তো ওই একই খাবার।
– একই খাবার মানে,তুমি জানলা কী ভাবে? আমরা তো প্রিন্সে যাইনি

বিস্তারিত»