আমি তোমার চোখ দেখেছি।
এমন দুচোখ আর দেখিনি,
খুব যে কাজল-টানা নিখুঁত – তা নয়
বনলতার পাখির বাসা কিংবা মায়া-হরিণীর সাদৃশ্য? এক বিন্দুও নেই-
নেই সপ্তাকাশের বিশালতা,অতলান্তিক গভীরতা
চোখ পড়লেই থমকে যাবেনা কোনও আনমনা পথিকের হৃৎস্পন্দন,
কোন শিল্পীর তুলিতে বা কবির কলমের নিব-এ জাগাবেনা প্রবল আন্দোলন।
মণিতে নেই বিদেশিনীর চোখের নীল সূর্য,
সাদাতেও অনেক বেশি সাদামাটা।
সত্যি বলতে ,কারো স্বপ্নে প্রবল দাপটে চিড় ধরাবেনা কখনই!
প্রিয় বই- ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ -মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
এক অদ্ভুত রঙ্গমঞ্চ আমাদের এ জীবন।প্রতিটি মানুষের স্বতন্ত্র জীবন বৈচিত্র্য, নর-নারীর এক অমোঘ আকর্ষণ,যুগ যুগ ধরে টিকে থাকা ভুয়োদর্শনের উপর অন্ধবিশ্বাস,সার্থক জীবনের নামে এক মরীচিকার পিছে ছুটে চলা এইসব মিলিয়ে ফুলে-ফেঁপে ওঠা জীবনকে সঙ্গী করে আমাদের বেঁচে থাকা।
বইটিতে মানিক বন্দোপাধ্যায় বলেছেন,এক গ্রাম্য যাপিত-জীবনের গল্প।আপাত দৃষ্টিতে যাকে বৈচিত্র্যহীন,সঙ্কীর্ণ স্বকেন্দ্রিক বলে ভুল হয়।কিন্তু মানিক দেখিয়েছেন এর মাঝেও আছে কত বৈচিত্র্য, কত রহস্য,ক্ষুদ্র-বৃহৎ ঘটনা প্রবাহের কত বিশাল প্রভাব সেখানকার মানুষগুলোর জীবনে।তারা বাস করে এক ঘোর লাগা জীবনে।সেখানে নিজেদের জীবন কেউ পরিবর্তন করতে পারেনা।নিজেদের সৃষ্ট সুতোর জালে নিজেরাই আটকে পড়ে অনেকটা পুতুলের মত নেচে যায় তারা অদৃশ্য কোন শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে।
ইসলামের স্বর্ণযুগ – পর্ব ৬

ইসলামের স্বর্ণযুগ – পর্ব ৬
ড. রমিত আজাদ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
একেশ্বরবাদের উপর গবেষণা করতে গিয়ে আমি ‘স্ট্রীম অব টাইম’ (কালপঞ্জী) বিষয়টি নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করছিলাম। আমার গবেষণা অনুযায়ী অধর্ম (ধর্মীয় নয়) ইতিহাসের বিচারে হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-ই প্রথম একেশ্বরবাদী। হজরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর ইন্তেকালের পরে উনার বংশধরদের মধ্যে আরো অনেকেই একেশ্বারবাদী নবী ছিলেন যেমন,
হযরত লূত্ব (আঃ)(উনার ভাতিজা) , হযরত ইসমাঈল (আঃ) (উনার পুত্র),
কয়েকটি কবিতা

সময়ের প্রহেলিকা
—- ড. রমিত আজাদ
হে সময়!
তুমি কি পরম-ধ্রুব নও?
নও কি তুমি অবিচল-স্থির ঐ হিমশৃঙ্গের মত?
নাকি তুমিও প্রসারিত-সংকুচিত হও,
নব যৌবনা তরুণীর বক্ষস্থলে অবরুদ্ধ অস্থির হৃদয়ের মত?
তবে তোমাকে বেঁধে নেই কোন্ কঠিন শাসনে বলো?
মহাজগতের কালের নিয়মে বাঁধা,
আমিও ক্ষণস্থায়ী প্রাণ,
একদিন কাটিব বাঁধন নির্বন্ধ একালের,
অথবা রাখিব পদ
নতুন কোন বিধানতন্ত্র-লোকে।
প্রেম আমার প্রেম আমাদের
কলা ভবন প্রাঙ্গণ আর রেজিষ্ট্রারের দাফতরিক ভবন, এই দুয়ের মাঝে সরু রাস্তার চেক চেক খোপ আঁকা একখান প্রান্তর, অসমান দূরত্বে বর্ষীয়ান বৃক্ষের বন্ধনে ছড়ানো ঘাসের ময়দান। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে অবসরে পাঁপড়ির মতোন পেখম মেলে আড্ডায় মেতে ওঠে তরুণ-তরুণীরা সেই চত্ত্বরের এখানে ওখানে। আকাশ থেকে দেখতে পেলে দেখা যেতো যেনো, আড্ডায় মানুষ নয়, মেলে আছে থোকা থোকা গোলাপ পাঁপড়িরা।
তরুণীরা সংখ্যায় কম, উচ্ছ্বলতায় অধিক খলবল।
বিস্তারিত»প্রথম দর্শনের প্রেম
দিন পার করছি চরম ব্যস্ততায়। নিজের জন্য সময় বলতে তেমন কিছুই পাচ্ছি না, যাও পাচ্ছি তার প্রায় পুরোটাই ব্যয় করছি ছেলের পিছনে।ফলাফল হিসেবে অন্তর্জালিক জগত থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন, বিচ্ছিন্ন সিসিবির সাথেও। দু তিন দিন পরপর একটু চোখ বুলিয়ে যাই। আজ বেশ কয়েক সপ্তাহ পরে একটা চাপমুক্ত সপ্তাহান্ত পাওয়ায় একটু সময় নিয়েই ফেসবুক ঘাটাঘাটি করছিলাম। এ মুহুর্তে ফেসবুকের আমার সবচেয়ে প্রিয় এপ On This Day’তে গিয়ে বিগত বছরের এই দিনের কর্মকান্ডে চোখ বুলাতে বুলাতে একদম শেষে এসে চোখ আটকে গেল,
বিস্তারিত»২টি পদ্য

তিন সেপ্টেম্বরের কবিতা
১.
সে আমাকে মাতাল করে রাখে
সে ঢালে চোখের নদীয় ঘৃণা
আলোতে বিনম্র মুখ ঢাকে
সে জানায় অকূল আঁচল কীনা।
অকূলের হৃদয় ঘেঁষে হ্রদ
অকূলের মাঝ তরঙ্গে ঢেউ
সে জলে হারায় প্রতি পদ
অন্ধের জগৎ থেকে কেউ।
অতঃপর শান্ত হলে নদী
সাজাই প্রতিশোধের ছক
সে আবার হারিয়ে যায় যদি
কিংবা অন্য কোন লোক-
তাকে নষ্ট করে যদি
যদি তার হেসে বসে পাশে
এ পারে অন্ত নিরবধি
পুড়ে যাবো বিপুল আক্রোশে।
ইসলামের স্বর্ণযুগ – পর্ব ৪

ইসলামের স্বর্ণযুগ – পর্ব ৪
————– ড. রমিত আজাদ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
গত পর্বে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ-জাতির প্রাচীন ধর্মবিশ্বাস ও পলিথেইজম-এর কিছু বিশ্লেষণ করেছিলাম। এই পর্বে মনোথেইজমের উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে এবং মূর্তিপূজা ও মনোথেইজমের বিরোধিতা যেই মহামানবরা করেছিলেন তাদের নিয়ে আলোচনা করা হবে।
গত পর্বে পলিথেইজম-এর কিছু ত্রুটি উল্লেখ করেছিলাম। যেমন,
পলিথেইজম পৃথিবীকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করে,
ইসলামের স্বর্ণযুগ – পর্ব ৫

ইসলামের স্বর্ণযুগ – পর্ব ৫
ড. রমিত আজাদ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
গত পর্বে আলোচনা করেছিলাম পলিথেইজম ও পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণাকারী একেশ্বরবাদী হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর জীবন ও কর্মের উপর। আজকের পর্বে আলোচনা করবো একেশ্বরবাদী পরবর্তি মহামানবের কথা।
উনার নাম জরথুস্ত্র। উনার জীবনকালের সঠিক সময় জানা যায়না। কোন কোন সূত্রমতে উনার জীবনকাল ছিলো খ্রীষ্টপূর্ব ১৮০০ সালে, আবার কোন কোন সূত্রমতে উনার জীবনকাল ছিলো খ্রীষ্টপূর্ব ১২০০ সালে।
বিস্তারিত»কাঁচা হাতের প্রথম লেখা……
গতকাল আমি আমার ছেলেকে নিয়ে লাইব্রেরি তে গল্পের বই কিনতে গিয়েছিলাম……
ছেলে একটার পর একটা গল্পের বই সিলেক্ট করে মোটামুটি একটা স্তুপ করে ফেলল এবং দোকানদারকেও হয়রান করে ফেলল বই খুঁজে বের করাতে করাতে …
আমি পাশ থেকে দাড়িয়ে দেখছিলাম পুরো সময়টা … ।
পুরোটা লাইব্রেরি কেবলই পাঠ্য পুস্তকে ভরা……তার আবার বেশির ভাগটাই বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড বই।
গল্পের বই খুব কম……
দিনলিপিঃ দোবার টেক
প্রতিবেশী গ্রেস পাওয়ারসের বাড়িতে ডিনার শেষে পোর্সেলিনের রেকাবীতে যে মিষ্টান্নটি এলো তার নাম সেক্স ইন আ প্যান!
হোয়াট? এটি কি তোমার দেয়া নাম নাকি, গ্রেস?
আমরা পূর্বের রক্ষণশীল মানুষ; আমাদের খাবারদাবারে এখনো পরিবার পরিজনবর্গ আসেন বটে; কিন্তু সেক্স টেক্স নৈব নৈব চ! মামুর হালিম, বউ খুদ, বড় বাপের পোলায় খায় এসব নাম চলতে পারে কিন্তু ডেভিলড এগ, হাশ পাপি, ডাচ বেবি প্যান কেক,
বিস্তারিত»|| ভ্যাট নিয়ে নাগরিক ভাটায় আগুন ~ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা খাতে ভ্যাট নিয়ে করমচার কড়চা ||
খুব ছোটোবেলায় যখন বাসার সবাই মিলে বাংলা সিনেমা দেখা একটা নিখাদ বিনোদন ছিলো। সেই রকম একটা সময়ে কোনো এক সিনেমায় দেখেছিলাম কমেডি ক্যারেকটারটি (খুব সম্ভবত খান জয়নুল) রান্নার বই দেখে রান্না করছে। কিন্তু মাঝে কিঞ্চিত বিঘ্ন ঘটায় বইটির পাতা উলটে যায়। তারপর মাছ রান্নায় দুধ, চিনি, এমন সব উপকরনের নাম পাঠ করে তার সবই দিতে থাকে সে রান্নার হাঁড়িতে। হল ভর্তি মানুষের হাসিতে দম আঁটকে মরার দশা।
বিস্তারিত»স্মৃতির নিনাদ
ডর্ম ১০ এর ফোর্থ প্লেস। তখনকার সময়ের পুরো আপস্টোর এর সবচেয়ে ভীতিকর প্লেস। প্রতি আফটার লাঞ্চ প্রায় একঘণ্টা ধরে “লুক দেয়ার সাইড” হয়ে থাকা, আর তারপর মাথা ঘোরাবার সুযোগ পেলেই দেখি সামনে যমদূতের মত দাঁড়িয়ে থাকা সিনিয়রদের রক্তবর্ণ চোখের রক্তহিম করা চাহনি। বুঝতে বাকি থাকেনা পরের পর্বটুকু।
তবে আর যাই হোক ঘড়ির কাঁটাটা ৩টা ১৫ এর ঘর স্পর্শ করতেই মুক্তি মিলতো।
বিস্তারিত»লিমেরিক
[ বেসামরিক নন ক্যাডার গেজেটেড কর্মকর্তাদের প্রতি নিবেদিত ]
সোয়া যুগ,একই আসন
না ক্ষত্রিয়, নয় ব্রাহ্মণ
গ্রহের ফেরে
কর্ম দোষে
ইঁদুরকপালে হরিজন।
বিস্তারিত»ধাঁধাঁ
ছিটিয়ে ছাই ইচ্ছে মত
মস্ত নীলাভ গম্বুজে
রঙ হারিয়ে ঝরলো কত
করতে সবুজ অম্বু যে।
সূত্র-http://allpoetry.com/poem/12248049-Sprinkle-of-ashes-by-Tito-Mostafiz
বিস্তারিত»
