আমি সচরাচর আমার এক্সিস্টিং কোন ছাত্র/ছাত্রীর কাছ থেকে কোন প্রকারের গিফট/টোকেন রিসিভ করি না। তবে কালেক্টিভলি ছাত্র/ছাত্রীরা যদি ডিপার্টমেন্টের সব শিক্ষকের জন্য (বিশেষ করে তাদের বিদায় অনুষ্ঠানে) স্মৃতিস্মারক হিসেবে কোন কিছু দেয়, তখন তো সেটা নিতেই হয়। অবশ্য এর বাইরেও কখনো কখনো নিতে হয়েছে; যেমন, কেউ হয়তো বিদেশ সফর থেকে ফিরেছে, এবং ডিপার্টমেন্টের সকল শিক্ষকের জন্য কিছু টোকেন নিয়ে এসেছে; আমার কাছে তখন মনে হয়েছে সেটা ফিরিয়ে দেয়া অসামাজিক এবং অসম্মানজনক।
বিস্তারিত»ক্ষণিকের দেখা, এ মায়াময় ভুবনে – ৪
আগের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ ক্ষণিকের দেখা, মায়াময় এ ভুবনে – ৩
এ পর্বে আমি যে দুটো ‘ক্ষণিকের দেখা’ স্মৃতি রোমন্থন করবো, তার প্রথমটি একটি দৃশ্যের, আর পরেরটি একটি (মানুষের) মুখের। অবশ্য প্রথমটি শুধুমাত্র একটি দৃশ্যের হলেও, তার পেছনে ছিল একটি অদেখা, কল্পিত মুখও।
সে বহুদিন আগের কথা। আমার বয়স তখন পঁচিশ-ত্রিশের মাঝামাঝি, আমি সেনাবাহিনীর একজন তরুণ অফিসার। ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে সেনাবাহিনীর বাৎসরিক শীতকালীন যৌথ প্রশিক্ষণ অনুশীলন হয়ে থাকে।
বিস্তারিত»আমার জীবনে নারীঃ পর্ব-৩
A TRIBUTE TO A MOTHER
মাতৃতুল্য অতি ঘনিষ্টজন গতরাতে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেছেন, তিনি আমার সুখ-দুঃখের সাথী এমনই এক বন্ধুর মা। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন।
আমার এই বন্ধুটির সাথে আমার পরিচয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে, ১৯৯৫ সাল থেকে, একই ডিপার্টমেন্টের সহপাঠী হিসেবে। আমাদের দুজনের এলাকা ভিন্ন এবং পরবর্তীতে বেশ ভিন্ন কর্মজীবনে থাকা স্বত্ত্বেও সুখে-দুঃখে অনেক স্মৃতিতেই আমরা একে অপরের সাথে জড়িয়ে আছি।
বিস্তারিত»কবীর সুমনের এক অপরিচিত গান
সুমন শুনছি অনেক বছর ধরেই। তবে তিরিশ পেরোনো এই বয়সের ঘরে– সুমনকে যেন নতুন করে চিনছি, শুনছি, অনুভব করছি। সেদিন টিএসসির এক আড্ডায়, কেউ একজন গাইলেন সুমনের এক অপরিচিত গান। গানের কথাগুলো মুহূর্তেই মিলিয়ে গেল মনে। গুগল করে কোথাও লিরিক্স খুঁজে পেলাম না। পরে যিনি গানটা গাচ্ছিলেন তিনি জানালেন, কবীর কোন এই লাইভ কনসার্টে গানটি গেয়েছিলেন। ইউটিউবে গানটা পেলাম। ২০০৭ সালের এক লাইভ কনসার্টে গাওয়া।
বিস্তারিত»ক্ষণিকের দেখা, মায়াময় এ ভুবনে – ৩
এর আগের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ ক্ষণিকের দেখা, এ মায়াময় ভুবনে -২
২০১৮ সালের ১১ জানুয়ারী, আমরা দুই বন্ধু মিলে সস্ত্রীক ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার (সম্ভবতঃ) পদ্মা তীরবর্তী মৈনট ঘাটে বেড়াতে গিয়েছিলাম। যদিও এটাকে অনেকে ঢাকার ‘মিনি কক্সবাজার’ বলে থাকেন, আমার কাছে তেমন আহামরি কিছু মনে হয়নি। তবে যাওয়ার পথে থেমে থেমে এটা ওটা করে বেশ আনন্দ করেছিলাম, যেমন সরিষা ক্ষেতে নেমে সোঁদা গন্ধের মাটিতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা,
বিস্তারিত»ক্ষণিকের দেখা, এ মায়াময় ভুবনে -২
এর আগের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ ক্ষণিকের দেখা এ মায়াময় ভুবনে-১
আজকের এ পর্বে ক্ষণিকের দেখা তিনটি চরিত্রের কথা বলবো, ঘটনার দিন-তারিখ উল্লেখসহঃ
০১ জনুয়ারী ২০২১, সকাল দশটা। গত চারদিন ধরে আম্মা রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল হাসপাতালের সন্নিকটস্থ ‘ডক্টর্স ক্লিনিক’ এ চিকিৎসাধীন আছেন। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হচ্ছে বিধায় চিকিৎসক জানিয়েছেন যে আজ কালের মধ্যে ওনাকে ছেড়ে দিবেন। আমরা চাচ্ছি যে হাসপাতাল থেকে বাড়ী নিয়ে আসার আগে তাঁকে আমাদের প্রস্তাবিত (কল করা) আরেকজন নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা করে দেখুক।
বিস্তারিত»আমি অবাক হয়ে যাই
আমি অবাক হয়ে যাই
শিল্পী: হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল
সুর সংগীত:আইয়ুব বাচ্চু
কথা: বাপ্পী খান
অ্যালবাম: তুমিহীনা সারাবেলা
লেবেল: সাউন্ডটেক
আমি অবাক হয়ে যাই,
আমি সুরের দেশে হারাই,
আমি দুঁচোখ বুঁজে কাঁদি হাসি,
শিস দিয়ে গান গাই।
আমি অবাক হয়ে যাই আমাকে দেখে।।
আমি ভালোবাসা পাই অনেক,
আমি সুরের ভিড়ে পাগল,
হেমন্তের কথা
আজ পহেলা অগ্রহায়ণ। আজ থেকে শুরু হলো হেমন্ত ঋতুর দ্বিতীয় মাস। আমার জন্ম-মাস। শৈশবে-কৈশোরে পর পর কয়েকটি শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় বাংলা রচনা লিখার জন্য “তোমার প্রিয় ঋতু” একটি অবধারিত বিষয় ছিল। আমি সাধারণতঃ বাংলা বা ইংরেজী রচনা, কোনটাই মুখস্থ লিখতাম না। কারণ মুখস্থ লিখেছি বুঝতে পারলে শিক্ষক মহোদয় সে রচনায় কম নম্বর দিতেন। নিজে চেষ্টা করে লিখলে, যে রকমই লিখি না কেন, মুখস্থ লেখার চেয়ে ভালো নম্বর পেতাম।
বিস্তারিত»শিক্ষকের ডায়রিঃ পর্ব-৬
লেখালেখিতে সাহিত্যচর্চা বনাম বানিজ্যিক চিন্তাভাবনা
সোশাল মিডিয়ায় কিছুদিন আগে আমার ক্যাডেট কলেজের বেশ কয়েক বছরের এক বড় ভাইয়ের (সিনিয়র ক্যাডেট) “লেখালেখি” এবং “ছাপানো লেখা/বই বিক্রি করা” নিয়ে একটা রম্য ক্রিটিসিজম পড়েছিলাম। সেই সিনিয়রের লেখার বিষয়বস্তুটা আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হওয়াতে সেখানে মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি সেটাও বেশ খানিকটা বড় আকার নিয়ে ফেলেছে। অবশ্য এমনটা এবারেই প্রথম নয়; কারো লেখার বিষয় বা উপস্থাপন কোনভাবে ভাবনাগুলোকে স্টিমুলেট করে ফেললে তাতে মন্তব্য এবং পাল্টা-মন্তব্য বেশ ইন্টারেস্টিংভাবেই চলতে থাকে;
বিস্তারিত»ক্ষণিকের দেখা এ মায়াময় ভুবনে-১
গত ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে অস্ট্রেলিয়া-নিউযীল্যান্ড সফর শেষ করে ঢাকা ফিরে এসে দীর্ঘদিন খুবই কঠোরভাবে ‘স্বেচ্ছাবন্দী’ (Self Quarantined) হয়ে ঘরের মাঝে নিজেকে আটকে রেখেছিলাম। যা কিছু ঘোরাঘুরি পায়চারি, ঐ ঘরের মধ্যেই। তিনমাস এভাবেই ছিলাম। তারপর ধীরে ধীরে একটু একটু করে এ নিয়মে শৈথিল্য আসে। এখন মাসে একবার করে ডাক্তারের পরামর্শ/ঔষধ সংগ্রহের জন্য সিএমএইচ এ যাই, ব্যাংকের কাজগুলোও জমিয়ে রাখি একই দিনে করার জন্য। কয়েকমাস পর পর পেনশনও তুলি ঐ একই দিনে,
বিস্তারিত»শিক্ষকের ডায়রিঃ পর্ব-৫
ইংরেজি শেখার এবং শেখানোর ব্যার্থতা
আজ সকালে অন্য ক্যাডেট কলেজের এক বড় ভাইয়ের (সিনিয়র ক্যাডেট) একটা লেখায় পড়লাম, চাকরির ইন্টারভিউয়ের লিখিত পরীক্ষায় ২০ জন স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারি চাকরিপ্ররার্থীকে ১০০ শব্দের মধ্যে ইংরেজিতে নিজের সম্পর্কে প্যারাগ্রাফ লিখতে দেয়া হলে, তাদের কেউই ৩৩% নম্বর অর্জন করতে পারেনি। সেই লেখায় মন্তব্যের ঘরে আমার দেড় যুগেরও বেশি সময়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা লিখেছিলাম। এই লেখায় সেই কথাগুলোকেই কিছুটা সাজিয়ে লেখার চেষ্টা করছি।
বিস্তারিত»ফাহিয়ানের গল্প
এ ব্লগটা একটা পাবলিক প্ল্যাটফর্ম। এখানে ব্যক্তিগত কথা না বলাই ভাল, এ আমি ভাল করেই জানি। তবুও এখানে আমার অনেক লেখাই আছে, শুধু ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ নিয়ে। আমার লেখা ভ্রমণ কাহিনীগুলোতেও প্রায় সময় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাই বিবৃত হয় বেশী। এটা ব্লগের হয়তো অনেকে পছন্দ করেন না, তবে এর পেছনে আমার একটা লক্ষ্য থেকে থাকে। এসব পাঁচালিতে আমি মানবতার কথা বলতে চাই, আমার চোখে দেখা প্রকৃতির সৌন্দর্যের কথা বলতে চাই,
বিস্তারিত»টরেটক্কা টরোন্টো – আগমন (পর্ব-২)
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
পত্রিকাতে বিজ্ঞাপন দেখে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির এক গবেষণা প্রকল্পের ‘গবেষণা প্রকৌশলী’র পদে অ্যাপ্লাই করি। গবেষণার বিষয়বস্তু হচ্ছে ‘ই-লার্নিং’ এবং লক্ষ্য হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির শিক্ষা পদ্ধতিতে বাস্তব সম্মতভাবে কিভাবে ই-লার্নিং-কে সম্পৃক্ত করা যায় সেই বিষয়ে অনুসন্ধান ও সুপারিশমালা প্রণয়ন। গবেষণা প্রকৌশলীর পদে আসলে একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলীকে খোঁজা হচ্ছিল যার কাজ হবে সুপারিশমালার ‘প্রুফ অব কনসেপ্ট’ তৈরি করা –
বিস্তারিত»মায়ের সাথে ঈদ শেষে বিষণ্ণ মনে ঘরে ফেরার কড়চা… (২)
বাস ছাড়ার পর থেকেই মনে মনে ভয়ে ছিলাম কখন না যেন কোন বড় যটে আটকা পড়ে যাই। আমি দূরপাল্লার বাসে যাতায়াতের সময় সাধারণতঃ সামনের দু’সারির মধ্যেই বসি এবং প্রথমেই একবার বাস চালকের আকৃতি প্রকৃতি নিরীক্ষণ করে নেই। তার বেশভূষা, মেজাজ মর্জি এবং সহকারীদের সাথে কথোপকথন মনযোগের সাথে খেয়াল করি। সবকিছু ইতিবাচক মনে হলে আমি বেশ রিল্যাক্স করে জার্নি করতে পারি,
বিস্তারিত»