বধ্যভূমির শব্দটির উচ্চারণ কেউ করলে প্রথমেই মাথায় চলে আসে রায়েরবাজার বদ্ধ ভূমির কথা। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জন করার পরেও স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে আরেকটি বদ্ধভূমি হবে তা কি কল্পনা করেছে কেউ? তাও আবার বিডিআর এর পিলখানা সদর দপ্তরে? ইউনিফর্ম পরিহিত নিরস্ত্র সামরিক কর্মকর্তাদের নিশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে? একাত্তরের স্বাধীনতার পর রায়বাজারের বদ্ধভূমিতে আমরা পেয়েছিলাম অসামরিক বুদ্ধিজীবীদের লাশ আর স্বাধীনতার পরে আমাদেরকে পিলখানার বধ্যভূমিতে পেতে হলো সামরিক পোশাক পরিহিত সামরিক কর্মকর্তাদের লাশ।
বিস্তারিত»ভালোবাসা
ভালোবাসা ।
মো ও খা ও ৷
কি অমলিন রূপের আভা
কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় বিচ্ছুরিত
সোনালি কোমল দ্যোতনায়
আমি তো দেখেছি তোমাতেই
কপোলে ছড়ানো উদ্ভাসিত ছটায়
নিভৃত সুখের উদ্বেল ভাষায়
মুক বধির চেতনায় বোধহীন
ভালোবেসে শুধু তোমায় ৷
বর্ষার ঘনকালো মেঘ গম্ভীর
নিশ্চুপ নিরব আকাশ ভেলায়
নিকষ কালো যে আমাবশ্যায়
আমি তো দেখেছি তোমাতেই
বুকের কোটরে উদ্বেল দখিনায়
খোপা খোলা এলোকেশী মায়ায়
বিহব্বল চঞ্চল ব্যাথায় মুর্ছিত
ভালোবেসে শুধু তোমায় ৷
যে উচ্ছল ফেনিল ঊর্মি রাশি
সাত সাগরের বুকে টেউ তুলে দোলে
কৃষ্ণচূড়ার লাল আগুন বাসনায়
আমি তো দেখেছি তোমাতেই
শুভ্র শাড়ীর ভাজে মহিমায়
ফাগুনে উদাসী মদির বায়
দিশেহারা প্রান বোবাকান্নায
ভালোবেসে শুধু তোমায়।
শিক্ষকের ডায়রিঃ পর্ব-১০
আমি আগে বলতাম, “The world is full of emotional fools, and teachers are on the frontline.” তবে গত কয়েকদিনের অভিজ্ঞতায় মনে হচ্ছে শুধু শিক্ষকেরাই নয়, তাদের প্রিয় মুখগুলোও ওই ফ্রন্টলাইনের কম্পিটিশনে আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশন আয়োজনের এই দিনগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে অনেক দিন পরে দেখা হলো এমন কিছু প্রিয় মুখের যেসব কাণ্ডকীর্তি দেখলাম, তার সামান্য কিছু নমুনা এখানে দিলাম। এই লেখাটা সোশাল মিডিয়াতেও দিয়েছি,
বিস্তারিত»শিক্ষকের ডায়রিঃ পর্ব-৯
[এই লেখাটার জন্ম বেশ কিছুদিন আগেই। ব্লগের পেইজের কোন একটা সমস্যার কারনে লগ ইন করতে সমস্যা হচ্ছিল। আজ হঠাৎ ব্লগটা ওপেন করতে পারার সাথে সাথেই লেখাটা এখানে দিয়ে দিলাম।]
১৫ জানুয়ারি ২০২৩, সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিঃ
ভার্সিটি থেকে কিছুক্ষণ আগে বাসায় ফিরে মোবাইল হাতে নিয়েই সোশাল মিডিয়ার একটা নোটিফিকেশন পেলাম। ওপেন করতেই দেখি কোন এক পাবলিক পেইজে “Best Teacher You’ll Never Forget”
বিস্তারিত»ভালবাসার সিক্ততাঃ দিনলিপিতে আত্মকথন
৮ জানুয়ারি ২০২৩
১। ৪৭ পার করলাম, ৪৮ শুরু হলো। মানুষ স্বাভাবিক নিয়মে কতদিন বাঁচে? সেই হিসেবে জীবনের পিক স্টেজটা তো পার হয়েই গেল। এখন প্রায়ই মনে হয়, কিছুই তো করা হলো না। শরীরের বয়স বেড়েই চলেছে; অনেক চেষ্টায়, বলা চলে কিছুটা জোর করেই, মনের বয়সটাকে টিন এইজেই ধরে রাখার চেষ্টা করছি। যাই করি, ভালবেসে করি; আর তাতেই মেলে জীবন। তবে শিক্ষকতায় থেকে একটাই ঝামেলা,
বিস্তারিত»বালিশিরা রিসোর্টঃ শ্রীমঙ্গল এর ভ্রমণ কাহিনী
বেশ কিছুদিন যাবত ইচ্ছা হচ্ছিল সিলেট ঘুরতে যাওয়ার । কিন্তু দুঃখের ব্যপার হল, যখন আমি ছুটি পেলাম তখন শুরু হলো মহা বন্যা।বন্যার্ত সিলেট এরকম সময় আমার পর্যটক হিসেবে যাওয়াটা মোটেও শোভনীয় দেখাবে না। তারপর বন্যা শেষ হবার পর শুরু হল আমার জ্বর। ট্রেনের টিকেট কাটা ছিল। কিন্তু যেতে পারি নাই।
অবশেষে পরের সপ্তাহে ট্রেনের টিকেট কাটলাম তবে সিলেট না, শ্রীমঙ্গল ঘুরার জন্য। কারণ ইতিমধ্যে আমার ছুটি প্রায় শেষের পথে।
বিস্তারিত»প্যারেন্টিং নিয়ে আমার ভাবনাঃ অতীত ও বর্তমান
১।
প্যারেন্টিং অত্যন্ত কঠিন। সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিনতম কাজের একটি। একেবারে শূন্য থেকে শুরু করে একটি বাচ্চাকে একটু একটু করে লালন-পালন করার মাধ্যমে কঠিন ও বিপদসংকুল পৃথিবীর জন্য প্রস্তুত করা মোটেই চাট্টিখানি কথা নয়। ছোট বেলায় কথায় কথায় বড়রা বলত- ‘যেদিন বাবা-চাচা-মামা হবি, সেদিন ঠিকই বুঝবি!’ বাবা না হলেও বহুদিন হলো চাচা হয়েছি। সমবয়সীরা (অনেকে একাধিক বাচ্চার) বাবা-মা হয়ে গেছে। কিন্তু, আমি তো বুঝিই না,
বিস্তারিত»শুভ জন্মদিন রক আইকন আইয়ুব বাচ্চু
প্রয়াত মানুষের কাছে জন্মদিনের শুভেচ্ছা হয়ত পৌছায় না। তবুও একটা উপলক্ষ্য। শুভ জন্মদিন রক আইকন আইয়ুব বাচ্চু। আল্লাহ আপনাকে বেহেশত নসীব করুন।
শিক্ষকের ডায়রিঃ পর্ব-৮ (যস্মিন দেশে যদাচার)
২৪ জুলাই ২০২২
আমার বর্তমান কর্মজীবনের নানান অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রায়ই লেখা হয় “শিক্ষকের ডায়রি” সিরিজটাতে। আমার আজকের এই লেখাটা আমার পূর্বের কর্মজীবন এবং কর্মস্থল বিষয়ক কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে।
আমার কর্মজীবনের শুরুটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই। আড়াই বছর নিজের ডিপার্টমেন্টেই বিভাগীয় প্রধানের অফিসিয়ালি এ্যাপয়েন্টেড খণ্ডকালীন সহকারী হিসেবে কাজ করেছি। দারুন অভিজ্ঞতা। শিক্ষকদের বকা খেতে খেতে কাজ শেখা। আমার এযাবৎ কর্মজীবনের সবচেয়ে ভাল সময় ছিল সেটা।
বিস্তারিত»বিক্ষিপ্ত চিন্তামালাঃ পর্ব-২ (বিবেচনাধীন বিষয়ে তথ্যের গোপনীয়তা)
২২শে জুলাই ২০২২
যে কোন সংবেদনশীল (সেন্সিটিভ) বিবেচনাধীন বিষয়ে তথ্যের প্রাতিষ্ঠানিক গোপনীয়তা, গনমাধ্যমের প্রচারনা এবং আমজনতার মুখে মুখে তার রটনা নিয়ে ভাবছিলাম। কিছু সমসাময়িক প্রিন্ট/নিউজ/সোশ্যাল মিডিয়া কেন্দ্রিক বিষয়কে আধার করেই চিন্তাগুলো বিক্ষিপ্তভাবে মাথায় ঘুরছিল।
এমন বিষয়ে/বিষয়গুলোতে আমার একান্ত চিন্তা/ভাবনা হলো, যে কোন প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বিবেচনাধীন বিষয় সম্পর্কিত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার্থে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেয়া অত্যাবশ্যক। এমনকি প্রয়োজনের স্বার্থে গনমাধ্যমের প্রকাশ্য প্রশ্নের জবাবে কিংবা পাব্লিক কোয়েশ্চেন-এর বিপরীতে “নো কমেন্টস”
বিস্তারিত»ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে ….
তখন ১৯৯৪ সাল। দাপ্তরিক কাজে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় জেলায় যেতে হয়েছিল। পাবনায় যখন গেলাম, তখন করণীয় কাজটুকু সেরে ফেলার পর হাতে কিছুটা সময় রয়ে গেল। পাবনার ডাঃ ইসহাক একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক ছিলেন, তার নামে একটি সড়কেরও নামকরণ করা হয়েছে। তার ছেলের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়েছিল, তিনিও এলাকায় বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। তাকে বললাম, পাবনা মানসিক হাসপাতালটি একবার দেখে যেতে চাই। মানসিক রোগীদের ব্যাপারে আমি আজীবন কৌতুহলী।
বিস্তারিত»মেলবোর্নের দিনলিপিঃ সৌজন্য, সহযোগিতা, সুআচরণ এবং সম্মান
উপরে যে কয়েকটি গুণাবলীর কথা উল্লেখ করলাম, তার মধ্যে প্রথম তিনটি যাদের মধ্যে আছে, শেষেরটিও তাদের মধ্যে অবশ্যই পাওয়া যাবে। অর্থাৎ যিনি অপরের প্রতি সৌজন্য, সহযোগিতা এবং সুআচরণ প্রদর্শন করে থাকেন, তিনি অপরকে অবশ্যই সম্মানও করে থাকেন, এবং এ কারণে নিজেকেও অপরের নিকট সম্মানীয় করে তোলেন। অস্ট্রেলিয়ায় এটা আমার তৃতীয় সফর। প্রতিবারে আমি এখানকার পথে ঘাটে, ট্রামে বাসে ট্রেনে, শপিং মলে, রেস্তোরাঁয় এখানকার মানুষের মাঝে এই গুণগুলোর পরিচয় পেয়েছি।
বিস্তারিত»ভারী জীবনের ভারবাহী কিছু মানুষের কথা…..
দিনটি ছিল শনিবার, ১১ জুন ২০২২। ড্যান্ডিনং স্টেশনে নেমে আমরা অন্য লাইনের একটি ট্রেন ধরার জন্য প্ল্যাটফর্ম বদল করতে যাচ্ছিলাম। স্টেশনটি সে সময়ে মোটামুটি জনশূন্য ছিল বলা যায়। কিছুদূর এগোতেই দেখি, প্ল্যাটফর্মের মেঝেতে কে যেন শুয়ে আছে। তার পাশে একজন হাটু গেঁড়ে বসে তার মাথায়, গালে পরম মমতায় হাত বুলাচ্ছে। দু’জন ইউনিফর্মধারী স্টেশন সিকিউরিটি স্টাফ উদ্বিগ্ন চেহারায় শায়িত ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে আছে এবং মৃদু পায়চারি করছে।
বিস্তারিত»শিক্ষকের ডায়রিঃ পর্ব-৭
আমি সচরাচর আমার এক্সিস্টিং কোন ছাত্র/ছাত্রীর কাছ থেকে কোন প্রকারের গিফট/টোকেন রিসিভ করি না। তবে কালেক্টিভলি ছাত্র/ছাত্রীরা যদি ডিপার্টমেন্টের সব শিক্ষকের জন্য (বিশেষ করে তাদের বিদায় অনুষ্ঠানে) স্মৃতিস্মারক হিসেবে কোন কিছু দেয়, তখন তো সেটা নিতেই হয়। অবশ্য এর বাইরেও কখনো কখনো নিতে হয়েছে; যেমন, কেউ হয়তো বিদেশ সফর থেকে ফিরেছে, এবং ডিপার্টমেন্টের সকল শিক্ষকের জন্য কিছু টোকেন নিয়ে এসেছে; আমার কাছে তখন মনে হয়েছে সেটা ফিরিয়ে দেয়া অসামাজিক এবং অসম্মানজনক।
বিস্তারিত»ক্ষণিকের দেখা, এ মায়াময় ভুবনে – ৪
আগের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ ক্ষণিকের দেখা, মায়াময় এ ভুবনে – ৩
এ পর্বে আমি যে দুটো ‘ক্ষণিকের দেখা’ স্মৃতি রোমন্থন করবো, তার প্রথমটি একটি দৃশ্যের, আর পরেরটি একটি (মানুষের) মুখের। অবশ্য প্রথমটি শুধুমাত্র একটি দৃশ্যের হলেও, তার পেছনে ছিল একটি অদেখা, কল্পিত মুখও।
সে বহুদিন আগের কথা। আমার বয়স তখন পঁচিশ-ত্রিশের মাঝামাঝি, আমি সেনাবাহিনীর একজন তরুণ অফিসার। ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে সেনাবাহিনীর বাৎসরিক শীতকালীন যৌথ প্রশিক্ষণ অনুশীলন হয়ে থাকে।
বিস্তারিত»