প্যারেন্টিং নিয়ে আমার ভাবনাঃ অতীত ও বর্তমান

১।

প্যারেন্টিং অত্যন্ত কঠিন। সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিনতম কাজের একটি। একেবারে শূন্য থেকে শুরু করে একটি বাচ্চাকে একটু একটু করে লালন-পালন করার মাধ্যমে কঠিন ও বিপদসংকুল পৃথিবীর জন্য প্রস্তুত করা মোটেই চাট্টিখানি কথা নয়। ছোট বেলায় কথায় কথায় বড়রা বলত- ‘যেদিন বাবা-চাচা-মামা হবি, সেদিন ঠিকই বুঝবি!’ বাবা না হলেও বহুদিন হলো চাচা হয়েছি। সমবয়সীরা (অনেকে একাধিক বাচ্চার) বাবা-মা হয়ে গেছে। কিন্তু, আমি তো বুঝিই না, যাদের চিনি বা দেখি তাদের বেশিরভাগের মধ্যেও বোঝার কোন প্রমাণ পাই না। প্রায় সবাই-ই বাবা-মা হিসেবে খাবি খাচ্ছে। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে আমাদের জেনারেশনের ৭০/৮০ ভাগেরই বাপ-মা হবার প্রস্তুতি (মানসিক, পারিবারিক, আর্থিক, সামাজিক) ছিল না এবং এখনও নেই। শুধু আমাদের জেনারেশনই বা বলি কেন, ২০০০ এর পর থেকে সবার জন্যই এটি প্রযোজ্য।

একক পরিবার, বাবা-মা উভয়ই কর্মজীবী, আধুনিক জীবনের ব্যস্ততা, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের আধিক্য, বাচ্চাকে ভাল প্রমাণ করার পিয়ার প্রেশার (সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য বাপ-মায়ের কারণে), খেলার মাঠ বা পার্কের অভাব, স্কুল-কলেজের চাপ, ফাস্ট ফুড, ভেজাল খাবার, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ইত্যাদি নানা কারণে বাচ্চা-লালন দিন দিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে।

তাহলে কি আমাদের আগের জেনারেশন ভাল বাবা-মা ছিলেন? প্যারেন্টিং ভাল জানতেন? মোটেই না। আমার ধারণা তারা সার্বিকভাবে আমাদের চেয়েও খারাপ ছিলেন। কেননা, বেশিরভাগই অপরিণত বয়সে বাবা-মা হয়েছেন। প্রথম বাচ্চাটি ছিল তাদের গিনিপিগ, প্যারেন্টিং শেখার টুল। একে তো কম বয়স, তার উপর অনভিজ্ঞতা- ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রথম সন্তান মানুষ হয়েছে দাদা-দাদী, নানা-নানীর কাছে। বেচারা প্রথম সন্তানটি বাবা-মার কাছে আদর-ভালোবাসার চেয়ে শাসনই বেশি পেত। দ্বিতীয় বা পরের সন্তানগুলো তুলনামূলক ভাগ্যবান হত। বয়স, অভিজ্ঞতা, অর্থনৈতিকভাবে আগের চেয়ে ভাল অবস্থানে আসা কিংবা গিলটি ফিলিং- যে কারণেই হোক না কেন, পরের সন্তানগুলো আদর আহ্লাদ বেশি পেয়েছে। এ কারণে, সাধারণত প্রতিটি বাড়ির বড় সন্তান শান্ত-স্থির এবং ছোটগুলো চঞ্চল ও অস্থিরমতির হত।

তাহলে এতদিন ধরে প্যারেন্টিং হয়েছে কিভাবে? জেনারেশনের পর জেনারেশন দুর্বল প্যারেন্টস থাকার পরও বাচ্চাগুলো মানুষ হয়েছে কিভাবে? কেন আমাদের সমাজ এখনো উচ্ছন্নে যায় নি? এটা নিয়ে আমার একটি নিজস্ব মতবাদ আছে। আমি এটাকে নাম দিয়েছি সোশ্যাল প্যারেন্টিং বা বাচ্চার সামাজিকভাবে লালন পালন।

২।

সোশ্যাল প্যারেন্টিং শব্দটির প্রচলন পশ্চিমেও আছে। ওদের মতে বাচ্চার সাথে রক্তের সম্পর্ক নেই এমন কেউ যদি লালন-পালনের ভার নেয় সেটাকে সোশ্যাল প্যারেন্টিং বলে। যেমন- ফস্টার প্যারেন্টস, সৎ মা-বাবা, লিগাল গার্জিয়ান ইত্যাদি। কিন্তু উপমহাদেশে, বিশেষ করে আমাদের দেশে সোশ্যাল প্যারেন্টিং এর ব্যাপ্তি অনেক বেশি বিস্তৃত এবং অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।
ছোটবেলায় আমরা কখনও একা মানুষ হই নি। সবসময়ই সমান বা কাছাকাছি বয়সের একটি দল থাকত। আমরা একসাথে খেলতাম, পড়তাম, স্কুলে যেতাম, সাঁতার শিখেছি, মারপিট করেছি। প্রত্যেকের পরিবারেরই দুর্বলতা এবং শক্তিমত্তার জায়গা ছিল। আমাদের সার্কেলে সামাজিক বিজ্ঞান যে চার ধরণের প্যারেন্টস এর কথা বলে (অর্থাৎ Authoritative, Authoritarian, Permissive এবং Neglectful) সব ধরণেরই ছিল। ফলে, গড়ে আমরা সবাই সবকিছুর ছোঁয়া পেতাম। কারও বাবা-মা খুব ফ্রেন্ডলি ছিল, কারও খুব কড়া। কেউ পড়ালেখার ব্যাপারে প্রচণ্ড চাপ দিত, কেউ একেবারেই দিত না, কারও মায়ের রান্না অসাধারণ ছিল, কারও বাসায় ইচ্ছে মতন হৈ চৈ করা যেত, টিভি ভিসিআর দেখা যেত, কারও বড় ভাই ছিল, কারও বড় বোন।

আমি নিজের জীবন থেকে একটি উদাহরণ দিতে পারি- আমার বড় বোন নেই। তবে, একাধিক বন্ধুর বড় বোনের কাছে এত আদর, স্নেহ, ভালোবাসা পেয়েছি যে খুব বেশি অভাব বোধ করি নি। এসবের পাশাপাশি পাড়া-প্রতিবেশীও আমাদের চোখে চোখে রাখত। কেউ বেশি দুষ্টুমি করলে, খেলার সময় গ্যাঞ্জাম-মারামারি বাঁধলে খুৎবা দেয়ার লোকের অভাব হত না। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় নামকরা কিছু বড়-ভাই বোন থাকতেন যারা ছোটদের জন্য মডেল স্টুডেন্ট বা গাইড হিসেবে কাজ করতেন। বড় হয়ে কোন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কোন বিষয় নিয়ে পড়া ঠিক হবে ইত্যাদি বিষয়ক নির্দেশনা তারাই দিতেন। সর্বোপরি প্রতিটি বাসায় দাদা-দাদী, নানা-নানী কেউ না কেউ থাকতই। ফলে, বাপ-মা’র অনেক ভুল ত্রুটি তারা ধরিয়ে দিতেন। শাসন বা সোহাগের লাগাম টেনে ধরে স্বাভাবিক পরিমাণে রাখার চেষ্টা করতেন। এভাবেই পুরো সমাজ মিলে একটি ছেলে বা মেয়ের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করত। আমার মতে এটাই সত্যিকারের সোশ্যাল প্যারেন্টিং।

এখনকার বেশিরভাগ বাবা-মা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এখন কেউ আগ বাড়িয়ে অন্যের বাচ্চাকে ছবক দিতে যায় না। সাহসই পায় না। বাচ্চা বা তার বাপ-মা কিভাবে রিয়াক্ট করবে কে জানে? তাছাড়া অন্যের জন্য কারই বা এত সময় আছে? সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত। বাড়িতে বাপ-মা থাকলেও তারা খুব বেশি সাহায্য করতে পারেন না। কেননা, গত দুই দশকে তথ্য-প্রযুক্তিগত উন্মেষের কারণে আমাদের জীবন এত বদলে গেছে যে এক জেনারেশনের জ্ঞান পরের জেনারেশনের জন্য বাতিল হয়ে যাচ্ছে। আমাদের বাপ-মা’র ধ্যান-ধারণার সাথে আমাদের খুব কমই মিল রয়েছে। ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, সোশ্যাল মিডিয়া এসে সব কিছু খুব বেশি জটিল হয়ে গেছে। ফলে, এখনকার দাদা-দাদী, নানা-নানী তাদের নাতি-নাতনীদের সামলাতেই পারেন না, মানুষ করতে পারা তো অনেক দূরের কথা। কিছুক্ষণ চেষ্টার পর হাল ছেড়ে দিয়ে ‘তোরা যা ভাল বুঝিস তাই কর’ বলে অভিমান করে বসে থাকেন।

৩।

তাহলে উপায় কি? আমাদের পরবর্তী জেনারেশনের লালন-পালন কিভাবে হবে? যেসব সুপারিশ বা পরামর্শ মাথায় আসছে তা এক এক করে লিখছি-

ক। মা সন্তানসম্ভবা হবার পর থেকেই দুজনকে প্রচুর পড়াশুনা করতে হবে। বাইরের দেশগুলোয় এক্সপেক্টিং প্যারেন্টসদের গ্রুপ থাকে। তারা নিজেদের মধ্যে তথ্য, জ্ঞান আদান-প্রদান করে। বাচ্চা লালন-পালনের ট্রেনিং নেয়, কাউন্সিলিং করে ইত্যাদি। অনেকের ধারণা যৌনতা, বিয়ে, বাচ্চা লালন-পালন, পারস্পরিক সম্পর্ক, বন্ধুত্ব ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশুনার কিছু নেই। মানুষ এক সময় নিজেই শিখে যায়- কথাটি একেবারেই ভুল। নিজে নিজে শিখতে গিয়েই বরং ভুল হয়। এসব ব্যাপারে এক্সপার্টদের কাছে শেখায় বা পড়াশুনা করে শেখায় লজ্জার কিছু নেই। প্রয়োজনে বাচ্চার দাদা-দাদী, নানা-নানীকেও বর্তমান আমলের প্যারেন্টিং বিষয়ে জানার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যদিও এটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে।

একটি কথা- কোন কিছু জানা ও শেখার সময় খেয়াল রাখতে হবে সোর্স যেন অথেনটিক হয়। আবজাব পোর্টাল পড়ে বা ইউটিউব ভিডিও দেখে বাচ্চার উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না।

খ। স্যাক্রিফাইস করার মানসিকতা থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে বাচ্চা যে কোন একজনের দায়িত্ব নয়। এটি টিম জব। সবাই মিলে দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে। প্রয়োজনে নিজের জীবনের কিছু জিনিস স্যাক্রিফাইস করতে হবে। যে করতে পারবে না, তার প্যারেন্ট হবার প্রস্তুতি বা যোগ্যতা নেই।

গ। বাচ্চার বেড়ে ওঠার সময় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার সীমিত করতে হবে। বর্তমানে অনেক বাচ্চার ক্ষেত্রেই স্পিস ডিলে, মনোযোগের অভাব, খাওয়া-দাওয়ায় অনীহা, অসামাজিক, অতি মাত্রায় ভীতু ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মূল কারণ স্ক্রিন টাইম। হয় বাবা-মা বেশি সময় মোবাইল-ট্যাব-টিভি-কম্পিউটারে ব্যস্ত, অথবা বাচ্চা। স্ক্রিন টাইম কন্ট্রোল করতেই হবে। একই সাথে বাসার সবার খাদ্যাভ্যাসও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বাসার বড়দের দেখেই ছোটরা সবার আগে শেখে। আপনি যদি সফট ড্রিংক, ফাস্ট বা রিচ ফুড খাওয়া নিয়ন্ত্রণ না করেন, বাচ্চারও তেমন হবার সম্ভাবনা প্রবল। যা ওর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ঘ। উচ্চাশা কমাতে হবে। আমার বাচ্চা সেরা, আমার বাচ্চা এটা পারে, ওটা পারে, পরীক্ষায় বেশি/কম পেয়েছে এই ধরণের মানসিকতা থেকে বের হতে হবে। অমুকের বাচ্চা এটা-ওটা পাচ্ছে, আমাকেও দিতে হবে- টাইপ চিন্তা করা যাবে না। এই ধরণের অসুস্থ প্রতিযোগিতা বাপ-মা’র জীবনের মানসিক শান্তি তো বটেই, সন্তানের শৈশব-কৈশোর, স্বাভাবিক জীবন নষ্ট করে দিচ্ছে। বাচ্চাকে অল্পতেই সন্তুষ্ট হবার ট্রেনিং দিতে হবে। পড়ালেখার ব্যাপারেও তাই। একটি বাচ্চা আজ যা শিখছে, আজ থেকে দশ বছর পর সেসবের ৯৯% ই কোন কাজে আসবে না। সুতরাং, এখনকার সাফল্য/ব্যর্থতা নিয়ে এত খুশি বা বিচলিত হবার কিছু নেই। ভাল করলে ‘শাবাশ’ বলুন, খারাপ করলে ‘ব্যাপার না, পরের বার ভাল হবে’ বলুন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার দরকার নেই। বেশি বললে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনাই বেশি।

ঙ। আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে- টাইপ চিন্তা করা যাবে না। বাচ্চার জীবনেও ছোট খাট অভাব, স্ট্রাগল থাকতে হবে। তাহলে ছোট থেকেই ওর মধ্যেও মাটিতে পা রাখার ব্যাপারটি থাকবে। নিজের কাজ তো বটেই, বাসার কাজেও সাহায্য করতে উৎসাহ দিতে হবে। নিজের প্লেট নিজে ধোয়া, নিজের ঘর-টেবিল নিজে গোছানো, গাড়ি ধোয়া, বাগানে পানি দেয়া, ওভেনে খাবার গরম করা, ওয়াশিং মেশিনে কাপড় দেয়া, বাসায় ময়লা নিতে আসলে তাকে সাহায্য করা। একই সাথে শেখাতে হবে বাথরুম ম্যানার, বাড়িতে লোক আসলে বা বাইরে গেলে সেখানে কেমন আচরণ করত হবে, খাবার টেবিল কিংবা হোটেল-রেস্টুরেন্ট ম্যানার, অন্যদের সাথে শুভেচ্ছা-শুভ কামনা বিনিময়…

বর্তমান আমলে আরেকটি ব্যাপার অত্যন্ত জরুরী তা হল নাগরিক দায়িত্ব দেখানো- যেখানে সেখানে ময়লা-থুথু না ফেলা, ট্রাফিক আইন মেনে চলা, অযথা হর্ন না দেয়া, লাইন না ভাঙা, নম্রতা ও বিনয়ের সাথে কথা বলা ইত্যাদি।

চ। বাচ্চার সামনে কখনোই রাগারাগি, ঝগড়াঝাঁটি করা যাবে না। করা যাবে না মানে- যাবে না। ব্যাস! ছোটবেলার ছোট্ট একটি ঘটনাও যদি বাচ্চার মনে দাগ কেটে যায় তাহলে সে আজীবনের জন্য মানসিকভাবে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। এমনও হতে পারে যে সে পরিবার বা রিলেশনশিপের ব্যাপারেও নেতিবাচক ধারণা পোষণ করা শুরু করেছে। সাবধান!

ছ। খেলাধুলা বা শারীরিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করতে হবে। রাস্তায় হাঁটবে, পার্কে যাবে, মাঠে যাবে, কাদায় মাখামাখি করবে, বৃষ্টিতে ভিজবে। মোট কথা শিশু বা কিশোরকে তাদের মতন হতে দিতে হবে। মনে রাখবেন বাপ-মা যত কড়া হবে বাচ্চা তত ভীত এবং মিথ্যেবাদী হবে।

জ। ফ্রেন্ডলি হতে হবে। তাকে জানাতে হবে আপনারা তাকে ভালবাসেন। বিশ্বাস করেন। তাকে নিয়ে গর্ব বোধ করেন। সে যেন জানে যে ভুল সবাই করে, তবে ভুল থেকে যারা শিক্ষা নেয় তারাই জীবনে উন্নতি করে। ভুল করলে যেন স্বীকার করার সাহস থাকে এবং সেটার কর্মফল ভোগ করার সৎ সাহস থাকে।

তবে সবচেয়ে যেটা বোঝা ও জানা জরুরী- যে কোন পরিস্থিতি, যে কোন সময় সে আপনাদের সাথে যে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারে, কথা বলতে পারে। You are always there for him or her!

ঝ। আগেই বলেছি আমাদের জেনারেশনের জন্য প্যারেন্টিং অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কাজ। মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে আমাদের মাথার উপর চেপে বসেছে করোনা অতিমারী। বড়রা তো বটেই যাদের বয়স ৫ বা আর কম তাদের উপর করোনা কী প্রভাব ফেলেছে তা আমরা কেউই এখন ঠিকমত জানি না। শারীরিকভাবে তো বটেই মানসিকভাবেও ছোট ছোট বাচ্চাগুলো গত দুই বছরে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। হয়ত আজ থেকে ৫/১০ বছর পর সে সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে পারত। তার আগ পর্যন্ত ধরেই নিতে হবে গত দুই বছর ধরে ওদের বেড়ে ওঠা স্বাভাবিকভাবে হয় নি বা এখনও হচ্ছে না। অন্তত মানসিকভাবে তো নয়ই। এখন থেকেই যে কোন কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সাবধান হতে হবে।

৪।

কেউ আগ বাড়িয়ে বলার আগেই জানিয়ে রাখি এসব কোনটাই অবভিয়াস কারণে আমার নিজের জীবন থেকে শেখা নয়, অন্তত ফার্স্ট পারসনে তো নয়ই। অন্যদের দেখে কিংবা অনলাইন-অফলাইনে পড়াশুনা করে যা শিখেছি সেসব মিলিয়ে লিখলাম। ভুল-ত্রুটি থাকাই স্বাভাবিক। ব্যক্তিগত মতামত বলে লেখাটি খুব বেশি সিরিয়াসলিও নেয়ার কিছু নেই। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।