বিপ্লব, যুদ্ধ এবং শৈশব (দ্বিতীয় পর্ব)

বিপ্লব, যুদ্ধ এবং শৈশব (দ্বিতীয় পর্ব)   

‘‘একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে/ লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে/ ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে/ কখন আসবে কবি? / …শতবছরের শত সংগ্রাম শেষে/ রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে/ অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন/ …কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?/ গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি/ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,/ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।/ সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের।’’ –  

বিস্তারিত»

প্রজন্ম-প্রজন্মান্তর

রংপুর ক্যাডেট কলেজের আমাদের ব্যাচ (১৯৮৮-‘৯৪)-এর দুজন (লেঃ কর্নেল হুমায়ুন এবং অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন শহীদ)-এর সন্তান বর্তমান প্রজন্মের ক্যাডেট। হুমায়ুনের বড় ছেলে ফৌজদারহাটে ক্লাস এইটে পড়ছে, আর শহীদের বড় মেয়ে আজ জয়পুরহাটে সপ্তম শ্রেনিতে ভর্তি হলো। নতুন প্রজন্মের সবার জন্য দোয়া, অভিন্দন, শুভকামনা এবং ভালবাসা!

আমার মেয়েটার কেবল সাড়ে তিন বছর বয়স। স্বপ্ন দেখি তাকেও ক্যাডেট বানানোর। কিন্তু ইদানিং কালের দূর্ঘটনাগুলো আসলেই মনে চাপ ফেলছে।

বিস্তারিত»

গল্প হলেও সত্যি

ছেলেটি পড়ত রংপুর ক্যাডেট কলেজে।নাম আসিফ।দুষ্ট ক্যাডেটডের লিডার ছিল সে।কিন্তু মনটা পানির মত পরিস্কার আর সরল।আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।তাই বলে তাকে এই কমপ্লিমেন্ট দিচ্ছিনা।যে বা যারা তাকে চিনে সবাই একই কথাই বলবে।
মেয়েটি পড়ত জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজে।নাম নিশাত।শান্ত শিষ্ট লেজ বিশিষ্ট মেয়ে।মনের দিক দিয়ে হয়তো সৃষ্টিকর্তা ই তাদের এক বিন্দুতে মিলিয়েছিলেন।তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে গল্পের এই ২ চরিত্র কলেজ জীবনে একে অন্যকে সেভাবে চিনতই না।বলে রাখা ভাল যে ছেলেটার আগে আমি নিজে মেয়েটার বাসা ঘুরে এসেছি!!!:-p
চেনা বলতে ছেলেটার বাসা ছিল গাইবান্ধায় আর মেয়েটির কুড়িগ্রামে।তো মেয়েটির কিছু কলেজমেটের বাসা ছিলো গাইবান্ধায় আর ছেলেটির কিছু কলেজ মেটের বাসা ছিলো কুড়িগ্রামে।তো দেখা যেত যে ছুটির পরে কলেজে গিয়ে তারা সারাদিনই ছুটির গল্পই কেবল করত।এটুকুই তাদের একে অন্যকে চেনার পর্ব ছিল শুরুতে।

বিস্তারিত»

বইমেলার টুকিটাকি

এবারের একুশে বইমেলায় নিজের বই বিক্রী হোক বা না হোক, কোন কোন দিনে বেশ চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। যেমন একদিন একটা নয় দশ বছরের বাচ্চা মেয়ে আমার “জীবনের জার্নাল” এর প্রচ্ছদের ছবিটার দিকে অনেকক্ষণ ধরে তাকিয়ে দেখছিলো। তার পরে কয়েকটা পৃষ্ঠা উল্টিয়ে একটা চ্যাপ্টার পড়া শুরু করলো। দুই একটা পৃষ্ঠা একনাগাড়ে পড়লো। ততক্ষণে ওর মা কয়েকবার ওকে ডেকে পাশের একটা স্টলের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন।

বিস্তারিত»

ঘোলা জল – পরিষ্কার জল – পুরানো কথা – নতুন কথা

জাতি হিসাবে আমরা বেশ অদ্ভুত। যদিও নিকট অতীতে এক সার্ভেতে আমরা ১১তম সুখী রাষ্ট্র কিন্তু পরচর্চা, পরনিন্দা, পরকে ঘৃণা করা আমাদের জাতীয় বৈশিষ্ট্য বললে মনে হয় কম বলা হয় না। প্রতিবেশি ব্যাগ উপচে পড়া বাজার নিয়ে ঘরে ফিরলে বলি, এই দুর্মূল্যের বাজারে এতো টাকা পায় কই! আর খালি হাতে বা তলানি নিয়ে বাড়ি ফিরলে বলি, ছোটজাত, কোনদিন খেয়েছে নাকি, বাজার করা শিখবে কোথা থেকে!
আমরা ভালো কে ভালো,

বিস্তারিত»

আমরা বুড়িকে মেরে ফেলেছি

ইতালির টুরিস্ট সিটি ভেনিসের মূল আকর্ষন তার খালগুলো, খাল্গুলোকে কাজে লাগিয়েই শহর চলছে, লন্ডন, সেন্ট পিটারসবার্গ, আর্মস্টারডাম ইত্যাদি শহরের চমৎকার অতিথিপরায়নতার মধ্যে আছে নদী, নেভা নদী, রাইন নদী। নদী আমাদেরও ছিল, ঢাকার মধ্যেই ছিল, নদীর নাম বুড়িগঙ্গা। বুড়িগঙ্গায় গত দশ বছরেও নাকি মাছ নেই, আগে হেথায় সেথায় দু একটা শুশুক লাফিয়ে উঠত, এখন সেটাও নেই।

পৃথিবীর বসবাস অযোগ্য শহরের মধ্যে ঢাকা শহর এক নাম্বারে অবস্থান করছে,

বিস্তারিত»

বিপ্লব, যুদ্ধ এবং শৈশব (প্রথম পর্ব)

বিপ্লব, যুদ্ধ এবং শৈশব (প্রথম পর্ব)

শান্তির সময়ে শিশুদের বয়স দ্রুত বাড়েনা! কিন্তু আন্দোলন, বিপ্লব, যুদ্ধ, এমনকি দুর্যোগ বা দুর্ভিক্ষের সময়ে তারা দ্রুত বেড়ে ওঠে। আমি এই কাল, সেই কাল, এই দেশ, সেই দেশ এবং যুদ্ধ বা শান্তির সময়ের পরিক্রমা থেকে এধরনের একটা সিদ্ধান্তেই উপনীত হয়েছি! কারন এই সময়গুলোতে বড়রা এমন সব বিষয়ে নিজেদেরকে সর্বক্ষণ নিয়োজিত রাখেন যে, শিশুরা কখনই তাদের স্বভাবগত শিশুসুলভ কোন বৃত্তি সমূহকে লালন বা পরিচালনা করতে পারেনা।

বিস্তারিত»

সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায় (৫ম পর্ব)

সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায় (৫ম পর্ব)

লুনসারের লৌহ পাহাড়ে!

আমার ব্যক্তিগত মত হল পৃথিবীতে স্বাধীনতা বা স্বাধিকারের জন্যে যুদ্ধই হল ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ; অন্য যে কোন ধরনের যুদ্ধই মানুষের জন্যে অকল্যাণকর। ন্যায় সঙ্গত যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মানুষদের আচরন, চলাফেরা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রন করার কোন প্রয়োজন নেই, কারন এই সময়গুলোতে মানুষেরা তাদের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মৌলিক চিন্তাভাবনা এবং আচরণকেই সকল সময়ে প্রতিবিম্বিত করে থাকে। ঠিক যেমনটা ঘটেছিল আমাদের ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে।

বিস্তারিত»

পথ খোঁজা রাতগুলো

প্রতি রাতে চেয়ে দেখি ঘুরে-ফিরে,
ফেলনা সব খেলনা খুঁজে, যুদ্ধের আয়োজন চলে।

গাছের পাতায় হাওয়ার মাতম শেষ হলে- কাকেদের ঘরে শান্তি আসে।
তাদের ঘুম না ভাঙ্গিয়ে চুপিচুপি হেঁটে যায় কেউ,
চোখ মেলে ঊর্ধ্বাকাশে।

বেচাকেনার হাট বসে সাইনবোর্ড ছাড়া;
কে কেনে আর কে বেচে, বুঝে ওঠার আগেই মিলিয়ে যায় হাট।
পড়ে থাকে জঞ্জাল, মানুষের ঘাম।
রাস্তা বয়ে চলে সংবাদের গাড়ি,

বিস্তারিত»

পরিবারের ভবিষ্যত

এমন না যে আমি নতুন কোন কথা বলছি। কিন্তু বাংলা ব্ললগস্ফিয়ারে এই নিয়ে তেমন কোন কথাবার্তা আমার চোখে পড়েনি, তাই এই ব্যাপারে সবার মতামত জানার আগ্রহ থেকেই এই লেখা। আশা করবো সবাই খোলামেলা মত দিয়ে বিষয়টার আরো বিভিন্ন দৃষ্টিকোণকে সামনে তুলে আনবেন।

মানুষের ইতিহাসকে যারাই বস্তুবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যখ্যা করতে যান, সেটা বৈজ্ঞানিকই হোক আর মার্কসবাদী হোক অথবা মেইনস্ট্রিম সমাজ গবেষণাই হোক, সব গবেষণার মুল সুরটা থাকে সমাজের পরিবর্তনের একটা সাধারণ প্যাটার্ন বের করা যেন তার আলোকে ভবিষ্যৎকে আরো নিখুঁতভাবে ব্যখ্যা করা যায়।

বিস্তারিত»

রূপ আর বাবা মা’র গল্প

এখানে হুট করেই সন্ধ্যা নামে। মুরং পাড়ার ওপাশে শেষ ঝুপড়িটার ধার ঘেঁষে সূর্যটা হারিয়ে যায়। আঁধার নেমে এসে ঢেকে দেয় পাহাড়ের মাঝখানে দূরত্বটা। অনেক গুলো জোনাকি হঠাত করেই জেগে ওঠে আলোর মিছিল নিয়ে। একটা তক্ষক নিজের মনেই ডেকে ওঠে, একটানা, অনেকক্ষন ধরে। তারপর কোত্থেকে একটা ব্যাঙ, অনেক গুলো নাম না জানা পোকা থেকে থেকে ডেকে চলে। পৃথিবীর এক প্রান্ত যেন, অদ্ভুত নীরব, অনেকটা অন্যরকম। সন্ধ্যা নামে এই পাহাড়ে।

বিস্তারিত»

জ্বর মস্তিষ্কে অনুর্বর কিছু ভাবনা……

এই ছোট আয়তনের শহরে,
বড় বড় দালান গুলো আকড়ে ধরে থাকে
বড় বড় কর্তা ব্যক্তিরা,
তারা এ শহর ছেড়ে আর অন্যকোন নোংরা মফস্বল শহরে যেতে চান না।
আর তাদের কে ঘিরে হু হু ঢল নামে মানুষের দলের।
সেই মানুষের জন্য আরো গড়ে উঠে দালান-কোঠা, দোকান-পাট
প্রয়োজনে বাড়িয়ে তোলে আরো প্রয়োজনীয়/অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা।
আয়তনে ছোট্ট শহর হয় জনসংখ্যার হিসেবে অন্যতম।

বিস্তারিত»

সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায় (৪র্থ পর্ব)

সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায় (৪র্থ পর্ব)

বুন্স আইল্যান্ড (BUNCE ISLAND )

“এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে
নখ যাদের তীক্ষ্ণ তোমার নেকড়ের চেয়ে,
এল মানুষ-ধরার দল
গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে।
সভ্যের বর্বর লোভ
নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা”। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২০০২ সনের এপ্রিল/মে মাস। ইউনিট অধিনায়ক কর্নেল আসিফের নেতৃত্বে রেজিমেন্টেড জীবন যাপন করতে করতে আমরা ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের অফিসাররা সবাই ইতিমধ্যেই মনে মনে হাঁপিয়ে উঠেছি।প্রত্যহ সকালে সিনিয়রদের দায়িত্বে দল বেঁধে লাল রঙের ধুলা খেতে খেতে দুই/তিন মাইল দৌড়ে যেয়ে ‘লুমলে বিচে’ যাই এবং কিয়দকাল সেখানে অবস্থান এবং কাছিমের মতন নড়াচড়া করার পর সিনিয়দের তত্ত্বাবধানেই ফিরে আসি।

বিস্তারিত»

লেখকের স্বাধীনতা এবং হুমায়ুন আজাদ

কলেজে মাঝে মাঝে খুব মেজাজ খারাপ হতো যখন দেখতাম একটা পার্টি সারাক্ষণ হুমায়ূন আহমেদের লেখা নিয়ে সমালোচনা করতো।ভালো লাগতো তাদের সমালোচনা যদি তারা অন্য লেখকদের বই পড়ে করতো কিংবা কেউ হুমায়ূন আহমেদের বই উপহার পেলে তারা প্রথম সিরিয়াল না দিত। তারা সমরেশ পড়তো না, তারা সুনীল পড়তো না এমনকি সেবা প্রকাশনীর বই ও পড়তো না। তাহলে কার সাথে কম্পেয়ার করে হুমায়ূন আহমেদের লেখাকে খারাপ বলতো বুঝতামনা।

বিস্তারিত»

সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায়! (তৃতীয় পর্ব)

সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায়! (তৃতীয় পর্ব)

গডরিচ জেলেপাড়া

সমুদ্র সৈকতে যাবার অনুমতি এখনো মেলেনি!কারন সিয়েরালিওনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধুলার ভেতরে লালমাটিতে স্থাপিত বাংলাদেশ সেক্টর সদর দপ্তর এখনো আমাদের ওপরে রুষ্ট। তারপরেও সমুদ্র প্রতিনিয়ত আমাদেরকে টানে। কারন মানুষের জীবনে জল একটা প্রধান অনুষঙ্গ।বিবর্তনের প্রাথমিক স্তরে জলজ জীবন থেকেই একদিন সে ডাঙায় উঠে এসেছিলো!

এপ্রিল ২০০২ সন। আমরা ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের সরবরাহকৃত এ্যাম্বুলেন্স সাইজের ফ্রিজের ভেতরের বরফে রুপান্তরিত ফসিলের মতন কঠিন সামুদ্রিক মাছ-মাংশ ভক্ষন করতে করতে প্রথমে নিরাসক্ত এবং পরবর্তীতে ক্লান্ত হয়ে গেছি।বিশাল আকৃতির টার্কি মুরগিগুলোকে ফ্রিজ থেকে বের করার পর সকালের উজ্জ্বল আলোতে শিকারির গুলিতে নিহত হরিন শিশু বলে মনে হয়।

বিস্তারিত»