অবিশ্বাসে ছেয়ে আছে মানুষের মন। সবার মাঝেই যেনো একই প্রশ্ন, এরা তো অভাবী পরিবারের সন্তান নয় যে এভাবে নিজেকে বিকিয়ে দেবে। নি:সঙ্গ এতিম নয় যে এক বিন্দু পিছুটান নেই, কিংবা এমন নয় যে যাদের কৃপায় বেঁচে থাকা তাদের প্রতি আছে অপার দায়। আলোকিত, নামে উজ্জ্বল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে তো তাদের মনের কোনায় এমন অন্ধকার লুকিয়ে থাকবার কথা নয়। মৃদুভাষী, অমায়িক, বন্ধু বৎসল, নির্দ্বিধায় আর দশ জনের চেয়ে এক কাঠি বেশী ইতিবাচক বলবে এদের যারা চেনে তারা সবাই।
বিস্তারিত»~ প্রাণঘাতী মৌলবাদী সন্ত্রাসের নীলনকশার তীর, তীরন্দাজ, ফলভোগী ও ভুক্তভোগী নিয়ে কিছু বীক্ষণ ~
আমি বিশ্বাস করি কোনো ধর্মই অশান্তি সহিংসতা হত্যা এসবকে সমর্থন করেনা বা মদত দেয়না। এটা সুদূর অতীতের সেই যুগও না যে বল প্রয়োগ করে ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে হবে বা ধর্মালম্বীকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আর তা না করতে পারলে ধর্ম কিংবা ধর্মালম্বী বিপন্ন হবে।
এই যে গুটিকয় সন্ত্রাসী জেহাদি সাফল্যের আকাক্সক্ষায় ক্রুসেডার হত্যার মিশন নিয়ে প্রাণঘাতী অপকর্মটি ঘটালো। তাতে ইসলামের কি কি প্রাপ্তিযোগ ঘটলো?
বিস্তারিত»আমাদের হারুন স্যার
আমাদের হারুন স্যার
(কোন ফর্মাল মা দিবস , বাবা দিবস, ভালবাসা দিবস, এমনকি নিজের জন্মদিনও আমার ভেতরে খুব বেশি উদ্দীপনার সৃষ্টি করেনা! কারন সম্ভবত এর প্রায় সবগুলোই আমার বর্তমান আধুনিক জীবনে নব সংযোজন! এমনকি নিজের জন্মদিনও ছোটবেলায় কিভাবে, কখন চলে যেত টের পেতাম না! মনে করিয়ে দেবারও কেউ ছিলনা! একারনেই আমি স্ত্রীর জন্মদিনও ভুলে যাই! মোট কথা বিশেষ দিবস সম্পর্কিত কোন কালচারই আমার ভেতরে ডেভেলপ করেনি!
বিস্তারিত»তাহমিনা এবং হিপোক্রেসি
আমার কলিগ একদিন আমাকে জিজ্ঞেস করলেন,
ঃভাই আপনি কি সকল কর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী?
ঃ আলবৎ!
ঃ কর্ম কর্মই। সকল কর্মের মানুষ সমান মর্যাদার অধিকারী এই ধারনা পোষন করেন?
ঃ আলবৎ
ঃ ধরেন আপনি উন্নত বিশ্বে জীবিকার জন্য গেলেন। সেখানে আপনাকে অড জব করতে হলো আপনি কি করবেন?
ঃ করব।
ঃ ট্যাক্সি চালাতে হলো।
বিস্তারিত»IGCCSM-2016 এবং আমার কিছু ভাবনা :
মাত্রই ফিরলাম ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ময়মনসিংহ থেকে। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এ ধরণের প্রতিযোগীতা সঞ্চালনের সুযোগ পেলাম। ধন্যবাদ সংশ্লিস্ট সবাইকে, আমাকে এ কাজে যোগ্য ভেবে নেয়ার জন্য। প্রতিযোগীতার সার্বিক আয়োজন এবং অন্যান্য দিক যথারীতি মানসম্পন্নই ছিল-কলেজ কর্তৃপক্ষকে সেজন্যে ধন্যবাদ।
যদিও আমার আজকের আলোচনার বিষয় এগুলোর কোনোটাই নয় বরং সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি প্রসঙ্গে আলোকপাত করাই আমার আজকের উদ্দেশ্য।
আমাদের দেশে বিভিন্ন কারণে খেলাধূলায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশ কম।
কাহার অভিষেকের তরে সোনার ঘটে আলোক ভরে
(এ লেখাটি গত ০৯ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে আমার ফেইসবুক পাতায় এবং অন্য একটি ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিলো। ঈষৎ সম্পাদনা করে আজ এখানেও প্রকাশ করছি। হয়তো এক্স ক্যাডেটরা এবং আমার প্রাক্তন সতীর্থরা এ লেখায় তাদের অভিজ্ঞতার সাথেও অনেক মিল খুঁজে পেতে পারেন)
“এদিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিল দ্বার?
আজি প্রাতে সূর্য ওঠা সফল হল কার?
কাহার অভিষেকের তরে সোনার ঘটে আলোক ভরে
উষা কাহার আশিস বহি হল আঁধার পার?
~ অপঘাত, হত্যা, রক্তপাত ও আমাদের স্বাভাবিক মনস্তাত্বিক উর্বীরূহ ~
ফিল্মি ফ্যান্টাসিতেই এতোকাল সম্ভব ছিল এমন নির্মমতা। এবার কল্পলোক থেকে বুঝি তা নেমে এসেছ তা বাস্তব জীবনের রোজনামচায়। নিত্য নিত্য ঘটছে হত্যাকাণ্ড। ঘটছে বারংবার। ভয়ংকর রকম ক্ষুদ্র বিরতিতে। আজ পাদ্রী তো কাল সাদা চামড়ার স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক। একদিন এনজিও কর্মী তো অন্যদিন মসজিদের ইমাম বা মুয়াজ্জিন। কোনদিন সমকামী বা তৃতীয় লিংগের মানবাধিকার সমর্থক কি পরদিন হিন্দু দর্জী। কোনোদিন খ্রীস্টান মুদি দোকানী তো পরদিন মন্দিরের পুরোহিত।
নির্জনতা প্রিয়তা
নির্জনতা প্রিয়তা
(আমার নিচের এই লেখার ওপরের উদ্ধৃতিটা আমি অনুঘটক হিশেবে ব্যবহার করেছিলাম ২০০৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তুরস্কের অন্যতম প্রধান লেখক ওরহান পামুকের লেখা হতে! গতকাল অর্থাৎ ১৯৫২ সালের ৭ জুন তারিখে জন্মগ্রহনকারী প্রিয় লেখকের জন্মদিনে আমার এই ছোট্ট স্মৃতিকথনকে তার প্রতি আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি হিশেবে ব্যবহার করলাম। তার লেখা উপন্যাস ‘ISTANBUL’ এর প্রতি আকর্ষিত হয়েছিলাম ছোটবেলায় প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁর ‘ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র’ পড়ে!)
“প্রত্যেকদিন রাতে,
বিস্তারিত»লেষ্টার রহস্য
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ২০১৫-১৬ মৌসুমের শিরোপা জিতেছে লেষ্টার সিটি ফুটবল ক্লাব। মৌসুমের শুরুতে কেউ ঘুনাক্ষরেও এটা কল্পনা করেনি। বিগত শত বছরে তারা কখনো চ্যাম্পিয়ন হয়নি। তাহলে এমন অভাবনীয় ঘটনা ঘটার পেছনে কি কারন থাকতে পারে?
কারন খুঁজতে হলে চলে যেতে হবে ইতিহাসের গহীনে, প্রায় পাঁচ শত বছর আগে। রাজা তৃতীয় রিচার্ড তখন ইংল্যন্ডের সিংহাসনে আসীন। তিনি ছিলেন ধর্মপ্রান ক্যাথলিক। অত্যন্ত ন্যায়পরায়ন প্রজাবৎসল এই রাজার শাসনামলে গোটা ইংল্যান্ড জুড়ে ছিল সুখ আর সমৃদ্ধির অপার বিস্তার।
বিস্তারিত»ভবঘুরের গপ্পোঃ দেবশিশু দর্শন
জগৎ সংসারে মায়া দুই প্রকার – অপরাপর মানুষের মায়া এবং তাহার চারপাশের নশ্বর পৃথিবীর কিয়দংশের প্রতি সৃষ্ট মায়া। ব্যক্তি বিশেষের মায়া ছাড়িয়া থাকিলে একাকীত্ব চাপিয়া ধরে, আর পরিপার্শের বস্তুসর্বস্ব নিবাসের প্রতি মায়া উঠিয়া গেলে মানুষ হইয়া যায় ভবঘুরে। কথায় আছে না – এক জায়গায় বেশিদিন থাকিলে মায়া পড়িয়া শেকড় গজাইয়া যায়? আমাদের নরেন বোধহয় এই শেকড়ের ভীতিতে কাবু। নইলে ছোটাছুটি করিবার আর কোন হেতু আছে বলিয়া মনে হইতেছে না।
বিস্তারিত»আমি কি? শিক্ষক? – ১ম পর্ব
আমি কি? শিক্ষক? – ১ম পর্ব
আমি কি? শিক্ষক? – ২য় পর্ব
শিক্ষকতার পেশায় এক যুগেরও বেশি সময় পার করে আজ আমি ভাবতে বসেছি, আমি কি? আমি কি পড়াচ্ছি? আসলেই কি পড়াতে পারছি? আমি জানি যে, আমি নিজেও অনেক কম জানি। যত দিন যাচ্ছে, নিত্যনতুন বিষয় জানছি। নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাও টের পাচ্ছি। আসেপাশের কারো কাছে যেকোন ধরনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয় যখনই পাচ্ছি,
বিস্তারিত»শেয়ার পার্টনার
A person attached to another by feelings of affection or personal regard who gives assistance, patron, support.
dictionary.com এর মতে এটাই ফ্রেন্ডশিপের সংজ্ঞা।
এয়ারটেল বলে “Sharing is caring. ”
ফ্রেন্ডশিপ অনেকটা সেটাই। শেয়ারিং।
ছোটবেলায়…. খুব বেশি ছোট না, আম্মু বলেছিল নিজের কথাগুলো ফ্রেন্ডদের সাথে শেয়ার না করতে। এতে কোন শেয়ারিং হয় না। বরং ওদের কাছে নিজেকে ছোট করা হয়। বরং দরকার হলে বাবা-মার সাথে শেয়ার করো।
শুভ জন্মবার্ষিকী (২৪ মে…)
আজ আমার ২৮তম (দ্বিতীয়) জন্মবার্ষিকী। ১৯৮৮ সালের এই দিনে আমার আগের আমি-কে ভেঙেচুড়ে… … পূনর্বিন্যস্ত করে……… নতুন আমি-কে সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো।
আজকের যে আমি…… ভালো-মন্দ মিলিয়ে সকলই… সে সব আমার কলেজের (পরিবেশ/সিস্টেম, শিক্ষক/শিক্ষিকা, ষ্টাফ) অবদান।
আর, আমার বুকের ভিতরে যে বিরাট সাহস, যে কোন বাধা/ সমস্যাকে আল্লাহর রহমতে ডিঙিয়ে যেতে পারার যে আত্মবিশ্বাস… সে সব আমার বন্ধুদের জন্য…
আমার কলেজের (জেসিসি) আমার ব্যাচের সব বন্ধুরা তো বটেই… আমি সাহায্য পেয়েছি আমার ব্যাচের (৮৮-৯৪) যাদের কাছাকাছি এসেছি… তাদের সবার কাছ থেকে-ই।
বিস্তারিত»গভীর তমসায় আলোক রশ্মির সন্ধানে….
ডাঃ মোঃ আনিসুর রহমান, দেশের প্রখ্যাত এনডক্রিনোলজিস্ট। বারডেম হাসপাতালে চাকুরী করতেন, দীর্ঘদিন ধরে প্র্যাকটিস করেন ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে। মাঝে মাঝে সপ্তাহান্তে ছুটির দুই দিন সিলেটেও প্র্যাকটিসের জন্য বসেন তার ভক্ত রোগীদের আহ্বানে। মাস ছয়েক আগে চাকুরী থেকে অবসর নিয়েছেন। আমার বাল্যবন্ধু, ১৯৬৭-৭৩ সালে মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজে এক সাথে পড়াশুনা করেছি, একই হাউসে ছিলাম। সেইসব দিনগুলো থেকেই তাকে দেখেছি, ক্যাডেট কলেজের কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলা তার পছন্দের ছিলনা।
বিস্তারিত»কৈশোরের চাঞ্চল্য, একটি অপমান ও কিছু কথা (২)
(প্রথম পর্বের পর)
পুরো ক্লাস কে নাস্তা নাবুদ করার পর ভিপি স্যার আমাকে দাঁড় করালেন। বাঘ তার শিকার কে পাকড়াও করার পর যেমন একটা বিজয়ীর হাসি/হুঙ্কার দেয়, তার মুখে তেমন এক ক্রুর হাসি। নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়েছিল সেদিন, কমপ্লিটলী ডিফেন্সলেস 🙁 কোন উত্তর নেই আমার কাছে।ছোটবেলা থেকে ভাল ছাত্র ছিলাম, তাই অপমানটা বেশি গায়ে লেগেছিল। জানিনা অতটা অপমানিত হওয়া ঠিক ছিল কিনা।
বিস্তারিত»