লিটুকে নিয়ে বড় একটা সমস্যা হয়েছে। বড় বলতে বিশাল। লিটু কয়েকদিন ধরে ঘুমাচ্ছে না।
এমনিতে লিটু বাঁদর প্রকৃতির ছেলে। হেন কোনো অপকর্ম নেই যা লিটু করতে পারে না। ১২ বছরের ছেলের পক্ষে সম্ভব এমন প্রায় সবকিছুই সে ইতিমধ্যে করে ফেলেছে। যেগুলো করেনি সেগুলো সম্ভবত এজন্য যে এখনও সময় হয়ে ওঠেনি। সময় এবং সুযোগ পেলে সেগুলোও সে করবে সে বিষয়ে লিটুকে যারা চেনে তারা মোটামুটি নিশ্চিত।
লিটু তার টিউটরকে ভূতের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়েছে। তাকে পড়াতে আসতেন এক হুজুর, একদিন পড়াতে এসে তার আর ফেরার নাম নেই। রাত হচ্ছে, বাড়ির সবার ঘুমানোর সময় হচ্ছে, কিন্তু দেখা গেলো হুজুর নবীজীর জীবন বর্ণনা করেই চলছেন, উঠবেন এমন কোনো সম্ভাবনাই তৈরি হতে দিচ্ছেন না। লিটুর বাবা ঘড়ি দেখলেন। বাড়ির সবাইকে ঘুমাতে হবে এই তাড়া দিলেন, জানালেন খুব সকালে তার কাজ আছে। হুজুর তবু নির্বিকার। শেষে গলা খাকারি দিয়ে বললেন, হুজুর আপনি খুব ভালো পড়াচ্ছেন। শুনে আমারই মনে হচ্ছে ওদের সঙ্গে বসে যাই। কিন্তু..
হুজুর কথা না শুনেই আরবী আবৃত্তি করেন, আল্লাহ বলেন…। তারপর আরবীতে সুর করে একটা বাণী। যার বাংলা অর্থ হলো পড়তে চাইলে বসে যাওয়াই উচিত। সেক্ষেত্রে বয়স কোনো বাধা নয়। লজ্জারও কোনো ব্যাপার নেই।
লিটুর বাবা গলা খাকারি দিয়ে বললেন, কিন্তু আমার খুব সকালে উঠতে হবে। যেতে হবে অনেক দূর। অফিসের কাজ…
হুজুর তবু থামতে চান না। লিটু বলে, ‘হুজুর। আমার মনে হয় আজ আর বেশি হলে আমাদের ওপর বেশি চাপ হয়ে যাবে। আজ এ পর্যন্তুই থাক!’
‘থাকবে।’ হুজুর করুণ গলায় বলেন।
লিটুর বাবা বললেন, ‘জ্বি। কাল আবার এখান থেকে শুরু হবে। আপনাকে কি একটু এগিয়ে দেবো?’
‘দেবেন!’ রাত ১১ টার সময় বিদায় নিতে তার এত আপত্তি কেন সেটা ঠিক বোঝা যায় না।
বোঝা গেলো যখন দেখা গেলো তিনি চেয়ার থেকে উঠতে গিয়ে উঠতে পারছেন না। পড়েছেন লুঙ্গী, তাই খুব চাপাচাপিও করা যাচ্ছে না, লুঙ্গী খুলে যেতে পারে!
লিটুর বাবা একটু পরীক্ষা করে বুঝলেন, চেয়ারে সুপার গ্লু লাগানো আছে। এবং এ কাজটা যে লিটুর সেটা বুঝতেও তার বিশেষ দেরি হলো না। লিটুকে তার চেয়ে ভালো কে চেনে!
শেষপর্যন্ত হুজুর উদ্ধার পেলেন এবং আর কোনোদিন তাকে এ বাড়ির আশে-পাশে দেখা দেখা যায়নি।
এই হলো কীর্তিমান লিটু। সে স্কুলে গেলে তার বাবা ভয়ে ভয়ে থাকেন, এই বুঝি স্কুল থেকে খবর এল, লিটু দুজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এই বুঝি শোনা যাবে, হেড স্যারকে মাটিতে ফেলে দিয়েছে।
কাজেই এহেন লিটু যে কয়েকদিন ধরে ঘুমাচ্ছে না সেটাকে লিটুরই একটা কারসাজি বলে মনে হয়েছিল সবার।
*** *** *** *** *** ***
লিটুর ছোটকাকু বললেন, ‘ভাত বন্ধ করে দাও। ভাত বন্ধ। তাহলেই দেখবে সব ঠিক।’
কিন্ত প্রথম রাতে আগেই ভাত খেয়ে ফেলায় এই শাস্তির কোনো উপায় রইল না। লিটু সারারাত জেগে রইল। মাকেও জেগে থাকতে হলো। কারণ, লিটুর জেগে থাকা মানেই একটা অনটন। কিছু ভাঙ্গচুর। কিছু পারিবারিক ক্ষতি।
শেষ রাতের দিকে মায়ের ঘুম এসে গেলো এবং সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই তার মনে হলো, বড় ভুল হয়ে গেছে। তার ঘুমের অপেক্ষাতেই তো ছিল লিটু। নিশ্চয়ই মারাত্মক কিছু করেছে।
দেখা গেলো মারাত্মক কিছুই হয়নি। লিটু বারান্দায় বিষন্ন ভঙ্গিতে বসে।
মা সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে তাকালেন। আশেপাশে কোনো ক্ষতির চিহ্ন নেই তো!
লিটু বিষন্ন ভঙ্গিতে বলল, ‘অনেক চেষ্টা করলাম মা। বারান্দায় বেরিয়ে এসে এখানেও ঘুমানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু ঘুম আসে না। আমার ঘুম আসে না।’
লিটু কেঁদে ফেলে। যে কোনো বাচ্চার অসহায় কান্না মায়ের পক্ষে সামলানো মুশকিল, কিন্তু তিনি লিটুর মা, এখনও বুঝতে পারছেন না লিটুর ঘুম না আসাটা সমস্যা নাকি ষড়যন্ত্র?
ছোট কাকু গার্গল করতে করতে বললেন, ‘ভাত বন্ধ করে দাও। ভাত বন্ধ। দেখবে সব ঠিক। একেবারে নাক ডেকে ঘুমাবে।’
লিটু প্রতিবাদ করে না। তার চোখ ছলছল। এবার মায়ের মন গলে যায়। দুষ্ট বটে, তবু তার ছেলে, মায়ের সঙ্গে অতোটা প্রতারণা সে করতে পারে না।
তাহলে! এটা একটা সমস্যা। বাবা বেশি চিন্তিত হয়ে পড়লেন যে লিটু যদি এখন আর না ঘুমায় তাহলে যতটা দুষ্টুমি সে করে তার অন্তত দ্বিগুন করবে এবং তাহলে কী ভয়ংকর ব্যাপার হবে। তিনি পাটিগণিতের মতো অংক করে দেখলেন, এখনকার চেয়ে শতকরা ৬০ ভাগ বেশি দুষ্টুমি সে করবে। এই বাড়তি ৬০ ভাগের ভয়েই কিনা তিনি বারীন্দ্র ডাক্তারের চেম্বারে চলে গেলেন।
বারীন্দ্র ডাক্তার সব শুনে বললেন, ‘বটে। ফাজলামো। ঘুমানো হচ্ছে না। দাঁড়াও দেখছি।’
দেখছি বলে ভেতর থেকে ইনজেকশনের বিশাল একটা সুই নিয়ে এলেন। বললেন, ‘বারীন্দ্র ডাক্তারের ইনজেকশনের ভয়েই এই তল্লাটের সবার ঘুম এসে যায়। তা তোমার ছেলের যদি ভয়েও না আসে, তাহলে ইনজেকশনটা একবার ঢুকিয়ে দেবো।’
ইনজেকশনের আকৃতি দেখে লিটুর বাবারই প্রায় ঘুম পেয়ে গেলো। যদিও তিনি জানেন, তার ছেলে অনেক দিক থেকেই বাবাকে টপকে গেছে।
ডাক্তার ঢুকে বললেন, ‘কোথায় হতচ্ছাড়াটা! ঘুম নেই। না ঢং! আয় এদিকে দেখি।’
লিটুকে দেখে অবশ্য তার যুদ্ধের ক্ষিধাটা মরে গেলো। চোখ ফোলা। চেহারাটা বিষন্ন ভাব। যে কোনো সময় কেঁদে দেবে।
ডাক্তার তবু কর্তব্যবিচ্যুত হন না। জানেন, তার ডাক্তারিতে বিদ্যার চেয়ে ধমকই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেশে গলা পরিষ্কার করে দুনিয়া ফাটিয়ে ধমক দিলেন, ঘুম হচ্ছে না। না!
‘না।’ লিটু ম্লান গলায় বলে।
চেষ্টা করেছিস? ঘুম হচ্ছে একটা তপস্যা। চেষ্টা করতে হয়। বাতি নিভিয়ে, কম্বল গায়ে দিয়ে..
বলতে বলতে তিনি চোখ বুঁজে ফেললেন। এবং সত্যি বললে তিনি প্রায় ঘুমিয়েও পড়লেন। কিন্তু লিটু ঘুমায় না।
বারীন্দ্র ডাক্তারের সেই বিশাল ইনজেকশন ঢোকানোর পরও না।
শহর থেকে বড় ডাক্তার আনা হলো। তিনি বারীন্দ্র ডাক্তারের হাতুড়ে চিকিৎসার বিরুদ্ধে লম্বা একটা ভাষণ দিলেন। সারাংশ হলো, বারীন্দ্র ডাক্তারের ভুল ইনজেকশনের কারণেই বরং তার ঘুম হচ্ছে না।
লিটুর বাবা ম্লান স্বরে বললেন, ‘কিন্তু সমস্যাটাতো আগে থেকেই..’
সমস্যার আপনি কী বুঝেন! মফস্বলের এসব কবিরাজরা…
তিনি দিলেন গুচ্ছের ঘুমের ওষুধ। ঘোষণা করলেন, এরপর এমন ঘুম ঘুমাবে যে আর কোনোদিন ঘুমই ভাঙ্গবে না।
লিটুর মা কেঁদে ফেলেন, ‘এ কী কথা বলছেন! আমার ছেলে কি তবে মরে যাবে।’
মরবে না। অনন্তকাল বেঁচে থাকবে। কিন্তু তাকে ঘুমাতে হবে।
ওষুধ আনা হলো। লিটুকে খাওয়ানো হলো। হাই পাওয়ারের সিডাকসিন। লিটু সেগুলোকে চকলেটের মতো করে খেয়ে ফেলল। কিন্তু কোথায় ঘুম!
লিটুর ঘুম আসে না। দিনে না। রাতে না।
ছোট কাকুর কথামতো ভাত বন্ধ করেও দেখা হয়েছিল। তাতেও কাজ হয় না।
এক কবিরাজ বললেন, সাত ঘাটের জল খাওয়ালে হবেই। তাও যোগাড় করা হলো।
সাত ঘাটের জল খেয়ে তার সর্দি লেগে গেলো। কিন্তু ঘুমটা আর এল না।
*** *** *** ***
পুরো তল্লাটে ছড়িয়ে পড়েছে, লিটু ঘুমায় না। দুর দুরান্ত লোক দেখতে আসে। বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েরা এই উপলক্ষে বাপের বাড়ি আসার একটা উপলক্ষ পেলো। তাদের বাপের দেশে একটা ছেলে না ঘুমিয়ে দিন-রাত কাটিয়ে দিচ্ছে। তাকে দেখতে যেতে হয়। এমন কীর্তিমান তো শ্বশুরের দেশে নেই।
একজন নিয়ে এল তার বাচ্চাকে। সে খালি ঘুমায়। এখন লিটু যদি তাকে ছুঁয়ে দেয় তাহলে নিশ্চিত তার ঘুম কমে যাবে।
লিটুর কাছে বাচ্চাটিকে নিয়ে গিয়েছিল। মহাবিরক্ত হয়ে এক ধাক্কা দিয়ে লিটু তাকে ফেলে দেয়। এবং দুদিনের মধ্যে জানা যায় লিটুর হাতের ছোঁয়ায় ছেলেটির ঘুম কমে গেছে। কৃতিত্বটা রটে গেলো। লিটুর হাতের ছোঁয়ায় অনেক রোগ-শোকও দূর হয়ে যায়।
ঘুমকাতুরের দল লিটুর ছোঁয়া পেতে লাইন দিতে শুরু করল। আস্তে আস্তে দেখা গেলো তার সঙ্গে অসুস্থ, অক্ষম লোকজনও আসতে লাগল। কারো কারো হাতে পানির বোতল। লিটুর ছোঁয়া নিয়ে পানি খাওয়ালেই নাকি কাজ হচ্ছে।
এক বেসরকারী টিভি চ্যানেলের রিপোর্টারও চলে এলেন। তার সাক্ষাৎপ্রার্থীদের লম্বা লাইন দেখে বিস্ময় প্রকাশ করলেন, তার ঐশী ক্ষমতা সম্পর্কে ওদের কিছু মতামতও গুরুত্বের সঙ্গে ধারণ করা হলো, শেষে এলেন লিটুর কাছে।
নানান বিশ্লেষণ দিয়ে শেষে বললেন, ‘আমরা এখন কথা বলছি ঐশী ক্ষমতার অধিকারী লিটু সাহেবের সঙ্গে…’
পাশ থেকে এক ভক্ত বলল, নামটা সম্মানের সঙ্গে বলেন।
রিপোর্টার একটু ভড়কে গিয়ে লিটুর সামনে মাইকটা ধরলেন। লিটু শূন্য দৃষ্টিতে বলল, আমার ঘুম আসে না।
রিপোর্টার এর মানে ঠিক বুঝতে পারলেন না। কিন্তু সমবেত জনতা হুল্লোড় করল। তাদের মতে এটা খুবই গুরুতর কথা। এই ঘুম আসে না-র মধ্য দিয়ে তিনি এমন কিছু বোঝাতে চেয়েছেন যেটা বোঝার সামর্থ্য আমাদের নেই। হুল্লোড়ের মধ্যে রিপোর্টার হারিয়ে গেলেন।
*** *** *** ***
লিটুর ভক্তদের ভক্তি আরও বাড়ে। লাইন আরও বড় হয়। লাইনের লোকদের আপ্যায়নের জন্য একজন চানাচুরওয়ালা, একটা ডাবের দোকান বসে যায়। জুটে কিছু লোকও, যারা দু-চার টাকা নিয়ে সিরিয়াল এগিয়ে দেয়।
লিটুর বাবা ক্ষেপে গিয়ে একদিন ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলেন, কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না।
কাউকে ঢুকতে দেয়া হয় না। নিযুক্ত দারোয়ান তাদের ঠেকায়। গোলমাল হয়। ভক্তরা একটা সমিতি করে বসে। সিদ্ধান্ত হয়, লিটু এখন আর তার বাবার সম্পত্তি নয়। তার জন্য বাইরে একটা ঘর তৈরি করা হবে। সেখানেই সে বসবে।
ঘরের জায়গায় জন্য দাতা লোক পাওয়া যায়। লিটুর খেদমতের জন্য স্বেচ্ছাশ্রম দিতেও কয়েকজন তৈরি।
অবস্থা সুবিধার নয়। লিটুকে তাদের বোধহয় ছাড়তেই হবে।
মা কাঁদেন।
লিটুর বাবা পরামর্শ করতে যান থানার দারোগার সঙ্গে। দারোগা সব শুনে বলেন, মানুষের আবেগকে তো আপনি অবমূল্যায়ন করতে পারেন না। তাছাড়া এটাতো আপনার সৌভাগ্য! লোকে আপনাকে দেখিয়ে বলবে, ওনার ছেলে…
স্কুলের হেডমাস্টার বলেন, ‘একদিক থেকে ভালোই হয়েছে। দেখো লিটু স্বাভাবিক থাকলে, একে মারত, তাকে ধরত। তোমার ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছিল। তার চেয়ে এই ভালো না!’
এই ভালো চলতে থাকে। লিটুকে ঘিরে উচ্ছাস। তাকে নিয়ে বন্দনা।
বাবা অসহায় হয়ে মেনে নেন।
মা কাঁদতে কাঁদতে একসময় ধৈর্য্য ধরেন।
শুধু লিটুর ঘুম আসে না।
একেকসময় চিৎকার করে বলে, আমার ঘুম আসে না।
শুনে ভক্তরা চিৎকার করে। জিগির তুলে।
এখন শুধু ওদের জিগিরটাই শোনা যায়। লিটুর চিৎকারটা আর শোনা যায় না!
____ O _____
হুম্ম!
আয় ঘুমাইগা!
আন্দাজও করতে পারি নাই ঘটনা এই দিকে যাবে।
ভাল্লাগ :clap: :clap: ।
Life is Mad.
আমার সারাদিনই ঘুম আসে 😕 😕 😕
মনে হয় লিটুর ছোঁয়া আনা লাগবে 🙁 🙁 🙁
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
মামুন ভাই, আপনার লেখনীর প্রশংসা করলেও মনে হয় কম হয়ে যাবে।
গল্পের বিষয়বস্তুটা বেশ নাড়া দিল।
ধন্যবাদ এই লেখাটা উপহার দেয়ার জন্য।
:boss: :boss: :boss:
মামুন ভাই... ভাল লাগছে খুব গল্পটা। :clap: 🙂 :boss:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
চমৎকার 😐
কিশোরদের জন্যে লেখা হলেও একই সঙ্গে মজার এবং ভাববার মতো গল্প।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
বারীন্দ্র ডাক্তারের সাথে আমিও ঘুমাই গেসিলাম ... 😀
পুরো গল্পটাতেই কাহিণী অবতারনার কৌশলটা ভাল ছিল।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
:boss:
মামুন ভাই, অসাধারন একটা লেখা। আপনার লেখা পড়ে আবার মুগ্ধ হলাম। এতো ভালো কেম্নে যে লিখেন? ধুর, আমি পারি না কেন।
ছোট গল্পের পারফেক্ট উদাহরন। "শেষ হইয়াও হইলো না শেষ"।
এইটা পইড়া তো আমাদের মুজিবের কাহিনি মনে পইড়া গেলো। তারেক/তানভীর, মনে আছে যে, মুজিব এর সুপার গ্লু এর কাহিনি?
আবার জিগস... 😛 😛 😛
হ্যাপি এন্ডিং আশা করছিলাম...দুঃখ দুঃখ কিছু ভাল লাগে না... 🙁
মোস্তফা মামুন ভাই, যথারীতি... :salute:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আহা!