” দোস্ত, কেমন আছিস ? অনেকদিন তোদেরকে দেখিনা। খুব দেখতে ইচ্ছা করে। আমার একটু খারাপ সময় যাচ্ছে, তাই তোদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারিনা… ঠিক হয়ে গেলেই আমাকে পাবি… দোয়া করিস আর অনেক ভাল থাকিস…”
চোখে পানি এসে গেল। খারাপ লাগতে লাগল খুব। কেমনে ভুলি তোদের ?
স্লামডগ মিলিওনিয়ার চায়েওয়ালা রকিব মিয়াকে চেনেনা এমন লোক সিসিবিতে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। হাসিখুশি যে ছেলেটা কানাডাতে পড়াশোনা করার পাশাপাশি এখন সিসিবিতে চা বিলিয়ে বেশ ভালোই টু পাইস কামাচ্ছে। যে কোন নতুন সিসিবিয়ান কে চা দিয়ে স্বাগতম জানানো কিংবা নিজেদের কারো জন্মদিনে ধোঁয়া ওঠা চা এর পাশাপাশি গরম গরম পোস্ট দেয়ার বিজনেজ পলিসি করে তার দিনে দিনে উন্নতির রহস্যও মোটামুটি আমাদের সবার জানা।
৫.
জুতোর ভিতরে পায়ের আঙ্গুলগুলো যেন ফুটবল খেলছে। অনেকদিন জুতো পরা হয়নি সৌরভের, তাই কেনার সময় বেখেয়ালে কিভাবে যেন পায়ের মাপের চেয়ে বড় হয়ে গেল জুতোটা। বেশিক্ষণ হাঁটে না সে, বারকয়েক হোঁচটও খেল। সৌরভের টেবিলটা ঠিক দীঘিরটার সামনে। কিন্তু এই পর্যন্ত্য একবারও চোখাচোখি হল না। এই-ই ভাল; কেউ তাকিয়ে থাকলে অস্বস্থি বোধ হয় তার। কিন্তু কিছু একটা করা দরকার।
ফুলার রোডে এক বন্ধুর বাসায় যাচ্ছিলাম গত পরশুদিন দুপুরে। বনানী থেকে সিএনজি অটো নিলাম। মিটারে যে ভাড়া উঠবে তার থেকে দশ টাকা বেশি দিতে হবে তাকে। অবাক হলাম। সিএনজি অটোর জগতে এরকম হাজী মহসিন টাইপের ড্রাইভার আজকাল পাওয়া যায় না। শবে বরাতের দিন। রাস্তাঘাট খালি। পরীবাগ পার হয়ে বারডেমকে বামে রেখে আমি সোজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে চলে যাব। বারডেমের ওভারব্রিজ পার হয়ে একটু সামনে আমার সিএনজি।
ভয়াবহ এক সপ্তাহ শেষ করলাম। ফায়ারিং এ গিয়েছিলাম, দিন শুরু হতো ভোর(নাকি রাত?) সাড়ে চারটায়, রুমে আসতে আসতে রাত। বৃহঃস্পতিবার পর্যন্ত এই রুটিন চলল, রবিবার আবার পরীক্ষা। ছুটির দুদিন গেল পড়তে পড়তে। আজ পরীক্ষা শেষ করে যেন একটু হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
এতো কিছুর মাঝেও সিসিবিতে ঢু না মেরে থাকতে পারিনি, সব লেখার উপরেই চোখ বুলিয়ে গিয়েছি। তবে এর মাঝে এহসান ভাইয়ের ফ্যান্টাসি ফুটবলের পোস্ট মাথায় পোকা ঢুকিয়ে দিল।
(এই কবিতাটা বহুদিন আগে লেখা, তবে এতোদিন অপ্রকাশিত ছিল। কবিতাটার পেছনে একটা ঘটনা আছে, সেটা বলি। তখন সবে ক্যাডেট কলেজ থেকে বেরিয়ে কোচিং করার জন্য ঢাকায় এসেছি। মেস করে থাকি। আমরা ঝকক’র সাতজন। এর বাইরে কলেজের পোলাপানের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বিশেষ হয় না। তো বহুদিন পর এক ইনটেক-মেটের সাথে দেখা। ‘সুখের-দুখের কথা’ বলে ‘প্রাণ জুড়া’চ্ছি। একসময় আমার বন্ধুটি বললো যে এক বিয়ের পার্টিতে গিয়ে এক অপরূপ রূপবতী মেয়ের সাথে তার নাকি পরিচয় হয়েছে।
ঢাকা শহরের কথা আপাতত বাদ দেই। এখানে বাস-গাড়ি, অনেক অনেক মানুষ আর সকাল বেলা কাউ কাউ করা কাক ছাড়া আর বিশেষ কিছু দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু প্রত্যেকেই একবার হলেও গ্রামে গিয়েছেন। সেখানে নিদেনপক্ষে কোন সুপারি বাগানে ঢুকলেও দেখা যায়, কত ধরণের পোকা-মাকড়। বাগান থেকে বের হয়ে চারপাশে তাকালে দেখা যায় নানা ধরণের পাখি,
মনটা খুব ভাল।একে তো অনেকদিন পর সিসিবিতে লিখছি আবার একটা খুশির খবর পেলাম একটু আগে।কিভাবে শুরু করব বুঝতে পারছি না।
খবর টা খুব সাধারণ।আমি চাচা হচ্ছি। :party: আমার কোনো বড় ভাই নাই তবু চাচা হচ্ছি।চাচা ডাক শুনার খায়েশ আমার মিটছে আমার রুমমেটের জন্য।দোস্তের নাম শাওন।অনেক নাম আছে ওর। :grr: সবচেয়ে ভদ্র নাম টাই দিলাম এইখানে।কাল রাতে ফেইসবুকে দেখলাম লিখছে যে “going to be a F_A_T_H_E_R.”
বিবর্তন তত্ত্বমতে জীবনের সূচনা হয়েছিল একটি অথবা সামান্য কয়েকটি সরল এককোষী জীব থেকে। লক্ষ কোটি বছরে এই ধরণের সরল এককোষী জীবরা বিবর্তিত হয়ে পরিণত হয়েছে ভিন্ন একটি প্রজাতিতে। এভাবে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে প্রজাতি থেকে প্রজাতিতে জীবন বিবর্তিত হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে প্রজাতির সংখ্যা বেড়েছে, বেড়েছে বৈসাদৃশ্য এবং প্রাণীদের গঠন হয়েছে জটিল থেকে জটিলতর।
অনেক দিন ধরে ভাবছি মাঝে মাঝে লিখব। কী লিখব? কোথায় লিখব কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কিন্তু আমার লেখার খুব শখ। শুধু শখ থাকলেই তো হবে না। কারন লেখা একটা শিল্প, যা সবাই পারেনা। আমিও পারিনা। তারপরও জোর করে কিছু লিখবো-এরকম একটা জেদ নিয়া বসলাম। জোর করে ভিতর থেকে কিছু বের করতে পারলাম না। পারার কথাও না। আমি তো আর কামরুল না যে চাইলাম আর লিখে ফেললাম।
আমার এই কামলাগিরির সবচেয়ে বড় পাওনা হল দেশবিদেশের বিভিন্ন জাতের মানুষ ও সংস্ক্বৃতি দেখা । সেই সুযোগ পারত:পক্ষে আমি হাতছাড়া করতে চাই না। আজ আমার এক কলিগের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। তাই সেজেগুজে রওনা হলাম ট্রেডিশনাল নাইজেরিয়ান বিয়ের আসরে। নাইজেরিয়ানরা স্বভাবতই খুব প্রানোচ্ছল ও হাসিখুশি। বিয়ের আয়োজনও নাইজেরিয়ানদের মতই বর্নময় ও আনন্দমুখর। আমি নিজে খুব উপভোগ করেছি , এমনকি নাইজেরিয়ান দের মতো অংশগ্রহনও করেছি। তার কিছু কিছু মুহুর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
বিগল যাত্রা থেকে ফিরে আসার প্রায় বাইশ বছর পর, ১৮৫৯ সালে “দ্য অরিজিন অফ স্পেসিজ” বইটি প্রকাশ করেন ডারউইন। দ্যাট বুক রকড দ্য ওয়ার্ল্ড লাইক এ হারিকেন। ৪৯০ পৃষ্ঠার এই বইটিতে ডারউইন মোটা দাগে তিনটি প্রধান দাবির কথা বলেন।
১। জীবনের সৃষ্টি নিকট অতীতে নয়, বরঞ্চ তা এর থেকে অনেক অনেক আগে।
“অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান…” গানটি আমার খুবই প্রিয়।এর পেছনে অবশ্য সাবিনা ইয়াসমিনের কোনো হাত নেই,ক্লাস ফোরে স্কুলের প্রোগ্রামে ক্লাসের একটা মেয়ে গানটি গেয়েছিলো।সেই থেকে গানটি ভুলতে পারি না,যখনই শুনি চোখের সামনে
ওই মেয়েটা ভেসে আসে।আমি কেমন আনমনা হয়ে যাই।
মেয়েটার নাম তাসনিমা।আমার ছোট বেলার নায়িকা।অকালপক্কতার সবচেয়ে সেরা উদাহরণ হয়ে সেই বয়সেই মেয়েটার প্রেমে পড়ে গেলাম।যাকে বলে একেবারে সিরিয়াস টাইপের প্রেম।নীল সাদা স্কুল ড্রেসটাতে ওকেই যেন সবচাইতে বেশি মানাতো।সবার জামার রঙ নীল,ওর টা আকাশী,সবাই হাফ শার্ট পড়তো আর ও ফুল শার্ট ফোল্ড করে আসতো,সবাই কেমন ফালতু বোতলে করে পানি আনতো আর ও আনতো চমৎকার একটা ফ্লাস্কে করে…সবকিছুতেই অন্যরকম।আমি দেখি আর মনে মনে কত কিছু ভাবি।