সবগুলো পর্ব পিডিএফ আকারে পাবার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।
ঢাকা শহরের কথা আপাতত বাদ দেই। এখানে বাস-গাড়ি, অনেক অনেক মানুষ আর সকাল বেলা কাউ কাউ করা কাক ছাড়া আর বিশেষ কিছু দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু প্রত্যেকেই একবার হলেও গ্রামে গিয়েছেন। সেখানে নিদেনপক্ষে কোন সুপারি বাগানে ঢুকলেও দেখা যায়, কত ধরণের পোকা-মাকড়। বাগান থেকে বের হয়ে চারপাশে তাকালে দেখা যায় নানা ধরণের পাখি, পুকুরে মাছ। ব্যাঙ, বেজি আরও কত কী। এ তো গেল গ্রামের কয়েকশ’ মিটার জায়গার কথা। সারা পৃথিবীর কথা একবার চিন্তা করে দেখুন তো। কত কোটি কোটি প্রজাতির প্রাণী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এখানে।
কীসের কারণে প্রাণের এতো বৈচিত্রের সৃষ্টি হলো? কেউ মনে করে থাকেন- এটা সৃষ্টিকর্তার কাজ। অপরদিকে ডারউইন বলে বসলেন একদম ভিন্ন কথা। তার মতে জীবনের এই বিশাল বৈচিত্র্যের কারণ প্রাকৃতিক এক শক্তি। যার নাম তিনি দিলেন “ন্যাচারাল সিলেকশন”/ “প্রাকৃতিক নির্বাচন”। বলা হয়ে থাকে আজ পর্যন্ত যত ধরণের আইডিয়া মানুষের মাথা থেকে এসেছে তার মধ্যে প্রাকৃতিক নির্বাচনেরটাই সবচেয়ে শ্বাসরুদ্ধকর। “প্রাকৃতিক নির্বাচন” বলতে ডারউইন তবে কী বুঝিয়েছেন? প্রকৃতির অন্ধ একটি শক্তি কিভাবেই বা নতুন নতুন প্রজাতির সৃষ্টির কারণ হতে পারে?
প্রকৃতি পাশবিক। এই পৃথিবীতে যে পরিমাণ প্রাণী প্রতিনিয়ত জন্মগ্রহণ করে থাকে তাদের প্রায় অর্ধেকই কোন ধরণের বংশবৃদ্ধি করার আগেই নির্মূল হয়ে যায়। শুধু প্রাণী নয়, একথা সত্য উদ্ভিদের ক্ষেত্রেও। ডারউইনের মতে, প্রকৃতির এই চরম পাশবিকতার কারণে দারুন সুন্দর একটি ব্যাপার ঘটে।
ধরুন একদল হরিন। এই দলটির মধ্যে দুই একটি হরিন আছে যারা অন্যদের থেকে সামান্য আলাদা। হতে পারে তাদের চোখ সামান্য তীক্ষ্ম কিংবা তারা অন্যদের থেকে ভালো দৌড়াতে পারে। যখন একটি বাঘ তাদের আক্রমণ করবে তখন তীক্ষ্ম চোখ কিংবা ভালো দৌড়বিদ হরিনগুলোর চেয়ে অর্থব হরিণগুলোরই মরে যাবার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। অর্থাৎ প্রকৃতির এই পাশবিকতা হরিণের দলটি থেকে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হরিনগুলোকে আলাদা করে দিচ্ছে। ফলে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হরিনগুলোর বেশিদিন বাঁচার সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছে। আর এই কারণেই তাদের বংশবৃদ্ধির করে যাবার সম্ভাবনাটাও বেশি হচ্ছে। অপরদিকে অর্থবরা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। সারভাইবাল অফ দ্য ফিটেস্ট। সময়ের সাথে সাথে যদি এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে তাহলে কয়েক কোটি বছর পর দেখা যাবে হরিণের এমন একটি প্রজাতির সৃষ্টি হয়েছে যাদের দৃষ্টিশক্তি প্রখর, যারা ঝড়ের বেগে দৌড়াতে পারে। আগের হরিণের প্রজাতির সাথে যাদের কোন ধরণের মিলই নেই।
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পরিবর্তনের কারণেও দীর্ঘসময় পর নতুন ধরণের প্রজাতির সৃষ্টি হতে পারে- এককথায় এটিই ছিল ডারউইনের “প্রাকৃতিক নির্বাচন” তত্ত্ব? কিন্তু আসলেই কী তাই?
ডারউইনের বিরোধীতাকারীরা বলে থাকেন, না। কারণ প্রকৃতিতে জটিল বৈশিষ্ট্যপূর্ণ প্রচুর প্রাণীর সন্ধান পাওয়া যায়। যাদের দেখলেই বোঝা যায় বিবর্তনের পথ ধরে তারা এমনটা হয়নি, বরঞ্চ তাদের এভাবেই সৃষ্টি করা হয়েছিল। হামিংবার্ডের পাখার এরোডাইনামিক্স, হৃদপৃন্ডের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া, মানুষের মস্তিষ্কে নিউরনের ফায়ারিং, মানুষের চোখের গঠন ইত্যাদি আরও বেশ কিছু প্রক্রিয়ার দিকেও তারা আঙ্গুল তুলে দেখায়।
দেখা যাক বিজ্ঞান কী বলে? বিবর্তন তত্ত্ব দিয়ে কী এমন জটিল কিছু প্রক্রিয়া আসলেই ব্যাখ্যা করা সম্ভব?
বিবর্তনতত্ত্বের সমালোচনাকারীরা সবচেয়ে বেশি আংগুল তুলেছেন মানুষের চোখের দিকে। চোখের মতো এমন নিখুঁত এবং জটিল একটি যন্ত্র কিভাবে দৈব পরিবর্তন (র্যান্ডম মিউটেশন), প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যেমে সৃষ্টি হতে পারে? হোকনা শত সহস্র বছর।
একটি ক্যামেরার মতো চোখেরও আলোকরশ্মি কেন্দ্রীভূত করার জন্য লেন্স, আলোকরশ্মির পরিমাণ সংযত (কন্ট্রোল) করার জন্য আইরিশ, আর এই আলোকরশ্মি থেকে ছবি আবিষ্কার করার জন্য একটি ফোটোরিসেপ্টর প্রয়োজন। এই তিনটি যন্ত্রাংশ একসাথে কাজ করলেই কেবলমাত্র চোখ দিয়ে কিছু দেখা সম্ভব হবে। যেহেতু বিবর্তন তত্ত্বমতে, বিবর্তন প্রক্রিয়া চলে স্তরে স্তরে- তাহলে লেন্স, রেটিনা, চোখের মণি সবকয়টি একসাথে একই ধরণের উৎকর্ষ সাধন করলো কীভাবে? বিবর্তন সমালোচনাকারীদের প্রশ্ন এটাই।
সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড্যান এরিক নিলসন গবেষণার মাধ্যমে বের করে দেখান যে, কীভাবে কোন প্রাণীর শরীরের উপর আলোক সংবেদনশীল ছোট এবং রঙ্গিন স্থান পরবর্তীতে মানুষের চোখের মতো জটিল যন্ত্রে পরিবর্তীত হতে পারে।
ক্যাম্বরিয়ান যুগে শরীরের উপর আলোক সংবেদনশীল ছোট একটি স্থান বিশিষ্ট প্রাণীরা আলোর দিক পরিমাপের মাধ্যমে ঘাতক প্রাণীদের হাত থেকে বেঁচে যাবার অতি সামান্য সুযোগ পেত। সময়ের সাথে সাথে এই রঙ্গীন সমতল স্থানটি ভেতরের দিকে ডেবে গিয়েছে, ফলে তাদের দেখার ক্ষমতা সামান্য বেড়েছে। গভীরতা বাড়ার পাশাপাশি পরবর্তীতে আলো ঢোকার স্থান সরু হয়েছে। অর্থাৎ দেখার ক্ষমতা আরও পরিষ্কার হয়েছে।
উপরের ছবিটি লক্ষ করুন। একটি অন্ধকার রুম। পেছনে একটি বাতি জ্বলছে। সবচেয়ে বামে একটি সমতল কাগজ লাগানো। যার মাধ্যমে আমরা শুধু বুঝতে পারছি আলো আছে। কিন্তু কোথা থেকে আলো বের হচ্ছে কিংবা বাতিটি কোথায় তেমন কিছুই জানা যাচ্ছে না। তারপরের পিংপং বলটিতে আলো প্রবেশের স্থানটি চওড়া আর গভীরতা কম। তারপরেরটায় স্থানটি আগেরটার চেয়ে সংকুচিত এবং গভীরতা বেশি। সর্ব ডানেরটায় আলো প্রবেশের স্থান সবচেয়ে সংকুচিত এবং গভীরতা সবচেয়ে বেশি। আর এটি দিয়েই আমরা সবচেয়ে ভালোভাবে আলোটির উৎস বুঝতে পারছি।
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি পরিবর্তনই প্রাণীকে কিঞ্চিত হলেও সুবিধা প্রদান করেছে। সময়ের সাথে সাথে শুরুর এই আলোক সংবেদনশীল স্থান রেটিনায় পরিণত হয়েছে, সামনে একটি লেন্সের সৃষ্টি হয়েছে।
ধারণা করা হয়, প্রাকৃতিক ভাবে লেন্সের সৃষ্টি হয়েছে যখন চোখকে পূর্ণকরে রাখা স্বচ্ছ তরলের সময়ের সাথে সাথে ঘনত্ব বেড়েছে। ছবিতে দেখুন সাদা অংশটি তৈরী হচ্ছে চোখকে পূর্ণ করে রাখা স্বচ্ছ তরলের মাধ্যমে। তরলের ঘনত্ব যত বেড়েছে লেন্সের গঠন তত ভালো হয়েছে, দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয়েছে।
বলে রাখা প্রয়োজন বিজ্ঞানীদের তৈরী করা চোখের বিবর্তনের প্রতিটি স্তর বর্তমানে জীবিত প্রাণীদের মধ্যেই লক্ষ করা যায়। এছাড়াও শুধুমাত্র আলোক সংবেদনশীল স্থান বিশিষ্ট প্রাণী ছিল আজ থেকে ৫৫ কোটি বছর আগে। বিজ্ঞানীরা গণনা করে বের করেছেন, এই আলোক সংবেদনশীল স্থানটি মানুষের চোখের মতো হবার জন্য সময় প্রয়োজন মাত্র ৩৬৪ হাজার বছর।
এবার আসা যাক মানুষের চোখ সংক্রান্ত আলোচনায়। আমাদের চোখ কী আসলেই নিখুঁত?
না। যেহেতু বিবর্তন বা প্রাকৃতিক নির্বাচন শুধুমাত্র বিদ্যমান বৈশিষ্ট্যগুলোর ওপর ভিত্তি করে দীর্ঘ সময় ধরে পরিবর্তিত এবং পরিবর্ধিত হয়, তাই খুব যুক্তিসঙ্গত কারণেই প্রাণীদেহে অনেক ত্রটিপূর্ণ অঙ্গপ্রতঙ্গ দেখা যায়। মানুষের চোখও তার ব্যাতিক্রম নয়। মানুষের চোখের অক্ষিপটের ভিতরে একধরনের আলোগ্রাহী কোষ আছে যারা বাইরের আলো গ্রহণ করে এবং তারপর একগুচ্ছ অপটিক নার্ভের (আলো গ্রাহী জাল) মাধ্যমে তাকে মস্তিষ্কে পৌঁছোনোর ব্যবস্থা করে, যার ফলে আমরা দেখতে পাই। মানুষের চোখ যদি কোন বুদ্ধিমান স্রষ্টার ‘সর্বাঙ্গ সুন্দর ও নিখুঁত নকসা’ (perfect design) হত তা হলে নিশ্চয়ই জালের মত করে ছড়িয়ে থাকা এই স্নায়ুগুলো আলোগ্রাহী কোষগুলোর সামনের দিকে বসানো থাকত না! কারণ এ ধরনের নকসায় অপটিক নার্ভের জালিতে বাধা পেয়ে আলোর একটা বড় অংশ ফিরে যায় আর আমরা এমনিতে যতখানি দেখতে পেতাম তার থেকে কম দেখতে পাই। অক্ষিপটের ঠিক সামনে এই স্নায়ুগুলো জালের মত ছড়ানো থাকে, সাথে সাথে এই স্নায়ুগুলোকে যে রক্তনালীগুলো রক্ত সরবরাহ করে তারাও আমাদের অক্ষিপটের সামনেই বিস্তৃত থাকে। এর ফলে আলো বাধা পায় এবং আমাদের দৃষ্টিশক্তি কিছুটা হলেও কমে যায়। স্নায়ুগুলোর এই অসুবিধাজনক অবস্থানের কারণে আমাদের চোখে আরেকটি বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্নায়বিক জালটি মস্তিষ্কে পৌঁছোনোর জন্য অক্ষিপটকে ফুটো করে তার ভিতর দিয়ে পথ করে নিয়েছে। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে একটি অন্ধবিন্দুর (blind spot)।
কুকুর, বিড়াল কিংবা ঈগলের দৃষ্টিশক্তি যে মানুষের চোখের চেয়ে বেশি তা সবাই জানে। মানুষ তো বলতে গেলে রাতকানা, কিন্তু অনেক প্রাণীই আছে রাতে খুব ভাল দেখতে পায়। আবার অনেক প্রাণীই আছে যাদের চোখে কোন অন্ধবিন্দু নেই। যেমন, স্কুইড বা অক্টোপাস। এদের মানুষের মতই একধরনের লেন্স এবং অক্ষিপটসহ চোখ থাকলেও অপটিক নার্ভগুলো অক্ষিপটের পিছনে অবস্থান করে এবং তার ফলে তাদের চোখে কোন অন্ধবিন্দুর সৃষ্টি হয়নি। বিবর্তন তত্ত্বের মাধ্যমে আমাদের চোখের এই সীমাবদ্ধতা বা ত্রুটিকে খুব সহজেই ব্যাখ্যা করা যায়।
বিবর্তন কাজ করে শুধুমাত্র ইতোমধ্যে তৈরি বা বিদ্যমান গঠনকে পরিবর্তন করার মাধ্যমে, সে নতুন করে কিছু সৃষ্টি বা বদল করতে পারে না। মানুষের মত মেরুদন্ডী প্রাণীর চোখ সৃষ্টি হয়েছে মস্তিষ্কের বাইরের দিকের অংশকে পরিবর্তন করে যা অনেক আগেই সৃষ্টি হয়েছিলো, বহুকাল ধরে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কের এই সংবেদনশীল কোষগুলো অক্ষিপটের আকার ধারণ করলেও মস্তিষ্কের পুরোনো মূল গঠনটি তো আর বদলে যেতে পারেনি, তার ফলে এই জালের মত ছড়িয়ে থাকা স্নায়ুগুলোও তাদের আগের অবস্থানেই রয়ে গেছে। কিন্তু অন্যদিকে স্কুইড জাতীয় প্রাণীর চোখ বিবর্তিত হয়েছে তাদের চামড়ার অংশ থেকে, মস্তিষ্কের অংশ থেকে নয়। এক্ষেত্রে ত্বকের স্নায়ুগুলো মস্তিষ্কের মত ঠিক বাইরের স্তরে না থেকে ভিতরের স্তরে সাজানো থাকে, আর এ কারণেই স্নায়ুগুলো চোখের অক্ষিপটের সামনে নয় বরং পিছনেই রয়ে গেছে। আমাদের চোখ যদি এভাবে লাখ লাখ বছর ধরে প্রাকৃতিভাবে বিবর্তিত না হয়ে কোন পূর্বপরিকল্পিত ডিজাইন থেকে তৈরি হত তাহলে হয়তো চোখের এত সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মাথা ঘামাতে হত না।
এতো গেলো শুধু চোখের কথা। হৃদপৃন্ডের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে, নিউরন ফায়ারিং সবকিছুই পুংখানুপুংখভাবে বিবর্তন দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
শেষ কথাঃ-
“সারভাইবাল অফ দ্য ফিটেস্ট” অর্থাৎ ডারউইনের ভাষ্যমতে যদি জীবন সংগ্রাম প্রকৃতিতে না থাকতো তাহলে কী অবস্থা হতো একবার ভেবে দেখেছেন?
হাতী অন্য সব প্রাণীর তুলনায় সবচেয়ে কম বংশবৃদ্ধি করেও তার ৯০-১০০ বছরের জীবনে প্রায় ৬ টি বাচ্চার জন্ম দিতে পারে। অর্থাৎ যদি সবগুলো বাচ্চা বেঁচে থাকে তাহলে এক জোড়া হাতী থেকে ৭০০-৭৫০ বছরে প্রায় ১৯০ লক্ষ হাতীর জন্ম হবে । প্রকৃতিতে প্রায় সব জীবই এরকম বাড়তি শিশুর জন্ম দিয়ে থাকে, একটা ব্যকটেরিয়া প্রতি ২০ মিনিটে বিভক্ত হয়ে দুটো ব্যকটেরিয়ায় পরিণত হয়, হিসেব করে দেখা গেছে যে এরা সবাই বেঁচে থাকলে এক বছরে তারা বংশ বৃদ্ধি করে সারা পৃথিবী আড়াই ফুট উঁচু করে ঢেকে দিতে পারতো। কড মাছ বছরে প্রায় ২০ থেকে ৫০ লাখ ডিম পাড়ে, একটি মেপল বা আম বা জাম গাছে হাজার হাজার ফুল এবং ফল ধরে। এইসব কিছুই যদি সারভাইব করতো তাহলে আজকে পৃথিবীতে থাকার আর কোন জায়গায় থাকতো না। ভাগ্যিস কড মাছের ডিমের ৯৯% ই প্রথম মাসেই কোন না কোন ভাবে ধ্বংস হয়ে যায়, বাকি যা বেঁচে থাকে তার প্রায় ৯০% জীবনের প্রথম বছরেই কোন না কোনভাবে মৃত্যুবরণ করে। অন্যান্য সকল ক্ষেত্রেই তাই। প্রতিটি জীবের মধ্যে প্রকৃতি তুলনামুলকভাবে বেশী উপযুক্ত বৈশিষ্ট্যের অধিকারীদেরই টিকিয়ে রাখে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে ডারউইনের শেষ দাবীটাও সঠিক। অর্থাৎ প্রাণী জগৎ সরল কোষ থেকে বিবর্তিত হয়ে জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে। প্রজাতি থেকে প্রজাতিতে আলাদা হয়েছে। আর পেছনে কারণ হিসেবে কাজ করেছে, প্রকৃতির এক অন্ধ শক্তি- “প্রাকৃতিক নির্বাচন” । পরর
পুরোটা পড়লাম , একটু সময় নিয়েই পড়লাম ।
তারপর ও দেখি কোন মন্তব্য নেই। এখন তাহলে বাধ্য হয়ে ফার্স্ট হলাম 😀
পুরো সিরিজটা ভালো লেগেছে । সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
এই পর্বটা মারাত্মক বোরিং হয়েছে। তারপরও কষ্ট করে পড়লেন দেখে ধন্যবাদ।
x-( মোটেও বোরিং হয়নাই।সামী,তোর অচোগিরি থামা কৈতাছি x-(
:shy:
একটু তাড়াতাড়িই বোধহয় শেষ হয়ে গেলো। 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ধন্যবাদ ভাইডি। ইচ্ছে ছিল তিনটি দাবি নিয়ে লেখা। সেটি হয়েছে।
প্রাকৃতিক নির্বাচন বিশাল একটা ব্যাপার। মাত্র একটা পোস্টে আলোচনা করাটা বেশ কঠিন। ইচ্ছে ছিল হৃদপৃন্ডের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া নিয়েও লিখবো। এছাড়া সারভাইবাল অফ দ্য ফিটেস্ট যদি হয় মূলনীতি তাহলে ময়ূরের মতো অর্থব প্রাণীরা কীভাবে টিকে গেলো এই কারণগুলো নিয়েও লিখার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু বিশাল আকার হয়ে যাওয়ায় ক্ষ্যামা দিলাম।
নাকি "সারভাইবাল অফ দ্য ফিটেস্ট"? নট শিওর, চেক করে দেখবা?
ভালো লাগলো :clap: :clap: । আরও কয়েক পর্ব আশা করেছিলাম 😀 😛 ।
Life is Mad.
থুক্কু। 😛
রায়হান,
তোমার লেখা খুবই ভাল লেগেছে। আমার মতো সাধারণ মানুষের জন্য সাধারণ করে লেখা। কিছু ব্যাপারে খটকা লাগছে।
১। ব্লাইন্ড স্পট তৈরী হচ্ছে “স্নায়বিক জালটি মস্তিষ্কে পৌঁছোনোর জন্য অক্ষিপটকে ফুটো করে তার ভিতর দিয়ে পথ করে” নেয়ার কারণে। তার মানে ঐ এলাকায় আলো পরলে আমরা কিছু দেখব না। এর সাথে রাতে না দেখার কি কোন সম্পর্ক আছে?
[ওহ! আমি কিন্তু আমার সামনের সবকিছুই দেখি!!!]
২। তুমি বলছ, “মানুষের মত মেরুদন্ডী প্রাণীর চোখ সৃষ্টি হয়েছে মস্তিষ্কের বাইরের দিকের অংশকে পরিবর্তন করে” আর “স্কুইড জাতীয় প্রাণীর চোখ বিবর্তিত হয়েছে তাদের চামড়ার অংশ থেকে, মস্তিষ্কের অংশ থেকে নয়”। তারমানে মানুষের চোখের বিবর্তন হতে হয়েছে এমন এক প্রাণী থেকে যার মস্তিস্ক চামড়া দিয়ে ঢাকা ছিল না। আমার বোঝার ভুল হলে ঠিক করে দিও। ভুল না হলে এই ভাবে চোখের বিবর্তন কোন কোন প্রানীর মাধ্যমে আমাদের মধ্যে এসেছে জানিও।
৩। আদম ছয় হাজার আগে এসেছে এই তথ্যের উৎস কি? বাইবেল যদি উৎস হয়, তাহলে অবশ্য আমার কিছু বলার নাই। কেন, তাও নিশ্চয়ই বলার প্রয়োজন নাই।
আরে জাহিদ ভাই যে, নেন এককাপ চা খান। অনেকদিন পর। :teacup:
ঘুমাইতে যাব, এখন চা? আচ্ছা দেও দেখি এক কাপ। চিনি বেশি দিও।
জাহিদ ভাই, অন্ধবিন্দুর (blind spot) সাথে রাতকানা রোগের কোনো সম্পর্ক নেই। রাতকানা একটা রোগ আর অন্ধবিন্দু স্বাভাবিকভাবে সব মানুষের থাকে। এই লিংকটায় দেখুন: http://serviceworksconsulting.com/blind_spot/body_blind_spot.html
বিষয়টা মোটেই এরকমভাবে দেখা ঠিক নয়। এই স্বল্প পরিসরে বিষদ ব্যাখ্যার অবকাশ নেই। বরং এখানে দেখুন: http://en.wikipedia.org/wiki/Evolution_of_the_eye
সৌমিত্র,
ভাইয়া, তুমিতো দেখি আমাকে বোকা প্রমান করলে! রাতকানা, আরো আক্ষরিক অর্থে রাতে না দেখার ব্যাপারটা আমি বলি নাই। লেখক উল্লেখ করেছেন, পড়ে দেখ প্লীজ। আমার ‘খটকা’র তালিকায় ঐটা প্রকাশ করেছি।
তোমার লিঙ্কে আমি নতুন করে কিছু পেলাম না। চোখের বিবর্তনের যে ব্যাখ্যা আবীর দিয়েছে বা সবাই দেয় তা হচ্ছে সেই চোখের যার আলোক-সংবেদনশীল কোষের পেছনে নার্ভ থাকবে ( আলোক-সংবেদী ত্বকের থেকে)। মানুষের চোখের বেলায় তার ব্যতিক্রম, তা তুমিও বোঝ, আমিও বুঝি। এই কারণেই মানুষের চোখকে ‘ভুল ডিজাইন’ বলে চালিয়ে দেয় অনেকে।
বিজ্ঞানে সুক্ষ্ম বিষয়গুলোই বেশী গুরুত্বপূর্ণ। একটা জিনিষ একভাবে প্রমান করে অন্যটাকেও ‘একই ভাবে প্রমান করা যায়’ জাতীয় উদ্যোগ সব ব্যাপারে নেয়া যায় না! বিশেষভাবে যখন দুটো জিনিষের গঠন সম্পুর্ণ পৃথক।
আমি অনেক চেষ্টা করেছি মানুষের চোখের বিবর্তন কিভাবে হয়েছে তা জানতে। পারিনি। এ ব্যাপারে ‘বড়’ পরিসরে একটা লেখা দিতে পার। আগাম ধন্যবাদ সে জন্য।
জাহিদ ভাই, চোখের বিবতর্নের প্রতিটা ধাপ পুংখানুপুঙ্খ ভাবে বের করা গেছে। তে তার বিস্তারিত বর্ণনা নন-একাডেমিকদের মাথার উপর দিয়ে যায় বলে সচরাচর সেসব খুঁটিনাটিগুলো 'পপুলার সায়েন্স' ঘরানার লেখাগুলোতে উল্লেখ করা হয় না। তবু আপনি যেহেতু সব খুঁটিনাটি ব্যাপার জানতে আগ্রহী তাই এই লিংক দিচ্ছি...
http://scienceblogs.com/pharyngula/2007/12/evolution_of_vertebrate_eyes.php
মেরুদণ্ডীদের চোখে অন্ধবিন্দু থাকাটা যদি ডিজাইনের ত্রুটি না হয় তাহলে ক্যামেরার লেন্স আর ফিল্মের মাঝখানে একটা প্রতিবন্ধক (তা সে যত ছোটই হোক) রেখে আলোকে সম্পূর্ণভাবে লেন্সের উপর পড়তে না দেওয়াটাও একটা গ্রহণযোগ্য ডিজাইন হিসেবে ধরতে হবে!
আর একটা কথা, বাইবেলকে যেমন মুসলমানরা পাত্তা দেন না, কোরানকেও খ্রীস্টানরা পাত্তা দেন না। দুপক্ষের কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির ধরণের মধ্যে বিশেষ যৌক্তিক পার্থক্যও নেই। তাই .... ও এটা অমুক গ্রন্থ থেকে নেওয়া, তাইলে কিছু বলার নাই .... এমন কথা শুধু এটাই ইঙ্গিত দেয় যে বক্তা নিজেই ঐ কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে লিপ্ত।
সংশোধনী:
সম্পূর্ণভাবে লেন্সের উপর পড়তে না দেওয়াটাও
এর জায়গায় হবে...
সম্পূর্ণভাবে ফিল্মের উপর পড়তে না দেওয়াটাও
আগের পর্বগুলোতে কমেন্ট করি নাই। শেষ হলে কবো বলে। ভালো লাগলো তোমার লেখার ধরন। এই ধরনের লেখা পড়তে কষ্ট হয় সাধারনত। তোমার টা হয় নাই। কিন্তু আরেকটু বড় হতে পারতো মনে হয়।
ধন্যবাদ রবিন ভি।
রায়হান
ভাইয়া তোমার সবগুলো পর্বই ভালো করে পড়লাম,অনেক সুন্দর করে লিখছো,আর অনেক পরিশ্রম করছো।অনেক ধন্যবাদ।
জ্ঞানের অভাবে অনেক কিছুই বুঝি নাই,আরেকটা কথা হলো অনেক কিছুর অনেক সুন্দর প্রমাণ আছে তাও বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করেনি,ধর্মের বিশ্বাসে আঘাত করে এমন কিছু এখনও মানতে পারিনি,পারতে চাইও না।কেন যেন মনে হয় ধর্মের অনেক দরকার আছে জীবনে।
একটা কথা জিজ্ঞাসা করি যদিও বোকার মত হবে কথাটা....এই যে অনেক ব্যাখা আছে যে সবকিছু এসেছে এককোষী একটা প্রানী থেকে,বিবর্তনের ফলে তাহলে তোমার কি মনে হ্য় এই যে এককোষী প্রানীটা,বিবর্তনের ধারাটা কিভাবে এসেছে।এই অসীম শুন্য তা কোথত্থেক আসলো?আর আর বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে এইটূকু জানি যে একটা ফোর্স ছাড়া কোন কাজ হবে না,তাহলে মহাকাশের সবকিছু কিভাবে ঘুড়ছে,ফোর্সটা কে দিলো??অথবা ঐ টারো কোনো সায়েন্টেফিক ব্যাখা আছে হয়তো ,আমি জানি না।
পারলে জানিও ভাইয়া।
ধর্ম বিশ্বাস করতে মঞ্ছায় 🙁
এই ধরণের প্রশ্ন সবাই ছুড়ে দেন। এর কোন গ্রহণযোহ্য ব্যাখ্যা আপনাকে দিতে পারবো না। তবে আমিও প্রশ্ন ছুড়ে দিতে পারবো। সেটা হলো, মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য যদি ঈশ্বর নামক ফোর্সের দরকার হয়, তাহলে ঈশ্বর বানানোর ফোর্সটা কীভাবে এলো?
আর প্রাণের বিকাশ যেভাবে ঘটেছে সেটা ঘটার সম্ভাবনা অতন্ত্য কম। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন, আরও কত বিলিয়ন বিলিয়ন জায়গায় প্রাণের বিকাশ ঘটতে পারতো। কিন্তু ঘটেনি। ঘটেছে শুধু পৃথিবীতে। অর্থাৎ এই একটা জায়গাতেই সবকিছু খাপে খাপে মিলেছে। বাকি কোথাও মিলেনি।
বিজ্ঞানের মজাটাই এটা। এটা প্রশ্ন করে, উত্তর খোঁজে। যতদিন না পর্যন্ত উত্তর পায়, ততদিন খুঁজতেই থাকে। কিন্তু ধর্ম সাধারণত কোন কিছুর উত্তর না পাওয়া গেলে, তার মধ্যে টুপ করে ঈশ্বরকে বসিয়ে দেয়। গড ইন গ্যাপস।
সবকিছু গড করেছে- এটা না মেনে বিজ্ঞান চলে বলেই আজকে এতো কিছু আবিষ্কৃত হয়েছে।
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কনক রায়হান,
এই লিংকগুলো দেখেন
1. http://www.islam-guide.com/
2. http://www.witness-pioneer.org/vil/Books/MB_BQS/default.htm (The Bible, The Qur'an and Science)
3. http://www.quranandscience.com/index.php?option=com_content&view=article&id=135:dr-keith-moore-confirms-embryology-in-quran&catid=51:human&Itemid=63
(Human Embriology)
বিজ্ঞান ধর্মকে বিশ্বাস করে কি করেনা তা নির্ভর করছে, যিনি নিজেকে বিজ্ঞানী ভাবছেন তার ধর্ম সম্পর্কে কতটুকু জ্ঞান আছে তার উপর।
অনেকের বৈজ্ঞানীক জ্ঞান কিছুটা থাকলেও ধর্মের পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। Dr Keith Moore যার বই আমরা Medical এর Textbook হিসাবে পড়ি দেখুন তিনি কি বলেছেন ধর্ম সম্পর্কে।
আচ্ছা ডক্টর কেইথ মুর বিজ্ঞান আর ইসলামের মধ্যে এতো এতো মিল খুঁজে পাইলেন। উনি কেন মুসলিম হইলেন না।
নাকি পেট্রোডলার কামাই করাটাই মূল উদ্দেশ্য?
মজার একটা কথা শুনেন। বুকাইলি আর মুরের বইয়ের পেছনে পেট্রোডলারের প্রভাব তো ছিলোই, তার সাথে ছিলো কিছু বাড়তি বোনাস! কেইথ মুর তার ‘The Developing Human" গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন, তিনি তার বইটির পেছনে কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের আর্থিক এবং অন্যান্য সাহায্যের কথা স্বীকার করেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ‘ওসামা বিন লাদেন’। ৯/১১ এর পর তিনি তার বইয়ের সংস্করণ থেকে লাদেনের নাম উঠিয়ে দেন। কারণটি সহজেই অনুমেয়। Freethoughtmecca নামের একটি সাইটে ওই ১৯৮৩ সালের বইটির স্ক্যান করা ছবিটি সংযুক্ত ছিলো। সম্ভবত টেরোরিস্ট হুমকির কারণে ইদানিং সাইটটা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
রায়হান আবীর,
ডক্টর কেইথ মুর বিজ্ঞান কেন মুসলিম হইলেন না, সেটা উনিই ভাল বলতে পারবেন (http://www.youtube.com/watch?v=egDYF_oQ4yc&feature=PlayList&p=567A65CE0790309E&index=0&playnext=1)।
উনার বৈজ্ঞানীক ব্যখ্যাগুলো সম্পর্কে আপনার বাকি তথ্যগুলো হাস্যকর।
দেখুন, Discovery Channel এ মহাবিশ্বের সৃষ্টিরহস্য (http://www.youtube.com/watch?v=IIslvqd6hlc&feature=PlayList&p=567A65CE0790309E&index=1&playnext=2&playnext_from=PL)।
কথা হইলো গিয়া উনি মুসলিম হন নাই।
যাই হোক, আরেকটা কথা কন তো। এতো এতো সাইন্টিফিক ইন্ডিকেশন আপনারা বিজ্ঞান একটা জিনিস আবিষ্কার করার পর ধর্ম গ্রন্থে খুঁজে পাইলেন- বিজ্ঞানীদের আগেই আপনারা সেইটা আবিষ্কার করতে পারলেন না কেন?
আর অনেক কিছুই তো এখনও বিজ্ঞান আবিষ্কার করতে পারে নাই। করতে পারলে আমি সিউর কুরয়ানে সেগুলোর কথা আপনারা বুকাইলি ভক্তরা আবিষ্কার করে ফেলবেন। আগেই একটু আবিষ্কার করে দেখান তো।
কে মুসলিম আর কে হবে সেটা ব্যক্তিগত পছন্দ। ধর্মে কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
"এতো এতো সাইন্টিফিক ইন্ডিকেশন আপনারা বিজ্ঞান একটা জিনিস আবিষ্কার করার পর ধর্ম গ্রন্থে খুঁজে পাইলেন- বিজ্ঞানীদের আগেই আপনারা সেইটা আবিষ্কার করতে পারলেন না কেন?" ... ... ...হাস্যকর
কোরআন এসেছে ৭ম শতাব্দীতে এমন একজনের কাছে যিনি নিরক্ষর। এখন science এগুলো প্রমান করছে। সেটাই একজন চিন্তাশীল মানুষের চিন্তার খোরাক যোগায় না।
এখন সত্যিকারের মুসলমানের অভাব। আরব বলেন আর অন্যান্য মুসলমান দেশের কথাই বলেন অনেকের নামই কেবল মুসলিম তারা নন। আপনার সাথে বিতর্ক এখানে সম্ভব না কারন আমার বাংলা type speed খুবই খারাপ।
আর একটা কথা, আপনার বিশ্বাস আপনার, আমারটা আমার।
মৃত্যুর পরের অপেক্ষায় রইলাম, যখন আপনি/আমি সকলেই দেখতে পারব, জানতে পারব আসলে সত্যিটা কি।
আর reply করবনা।
ইসলামি সাইট থেকে কপি পেস্ট মারা এই কমেন্টের কারণ কী?
Rayhan :thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মাথার মধ্যে গেঞ্জাম চলছিল- ডিসকোভারীর হইলোটা কী? কুরানের মিরাকল নিয়ে ডকু বাইর করে। আজকে ভিডিওটা দেখার পর পরিষ্কার হইলো সব কিছু। আপনারা মিথ্যাও বলতে পারেন ভাই। ডিসকভারির ভিডিও কাট কইরা নিজেদের মতো এডিট কইরা ভালোই মিরাকল দেখাইলেন।
আরে, এই পোস্টটা চমৎকার হয়েছে! প্রাকৃতিক নির্বাচন সম্বন্ধে খুব গ্রহণযোগ্য এবং বোঝোনযোগ্য ( ;;; ) লেখা।
আমার আলাদাভাবে বেশি কিছু জানার নাই। চোখের বিবর্তন জানতাম না, নতুন একটা চমৎকার জিনিশ জানা হলো। আচ্ছা এই চোখের বিবর্তনটা কি আগের অর্ডারে (লেমুর--পুরাতন বানর---...----মানুষ) এই ধারায় ঘটেছে?
আরেকটা কথা, পারলে হার্টের গঠনটা কীভাবে বদলে গেল, এটার কোন লিঙ্ক দিও। প্রবল আগ্রহবোধ করছি!
এখানে দেখতে পারেন
পরীক্ষাগারে সামান্য জেনিটিক পরিবর্তন sea squirt এর এক প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট হৃদপৃন্ড দুই প্রকোষ্ঠ বিশিষ্টি হৃদপৃন্ডে পরিনত হয়েছে।
চোখের সবচেয়ে বেশি বিবর্তন ঘটেছে প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগেই। যেহেতু আগেই বলা হয়েছে বিবর্তন স্তরে স্তরে ঘটেছে। তাই "লেমুর–পুরাতন বানর—…—-মানুষ" ঠিক এই ফরমেশনেই সকল বডি পার্টস বিবর্তিত হতে হবে বিবর্তন তত্ত্ব সে কথা বলে না। তবে আরও ইনফরমেশনের জন্য বিশেষজ্ঞ কারও কাছে যোগাযোগ করতে পারেন।
এই পর্বটা অনেক গুছানো- বুঝতে অনেক সহজ হয়েছে।
দারুণ। :thumbup:
🙂
এই পর্বটাই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগল। দারুণ গোছানো লেখা। তবে খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল মনে হলো। এই পর্যায়ে এসে কিন্তু, আমার মতে, আরো অনেক বেশি ব্যাখ্যার প্রয়োজন। প্রচুর বিষয় আছে, যেগুলো নিয়ে আলোচনা করার অবকাশ আছে। আশা করব, সময়-সুযোগ হলে, পরবর্তীতে কখনও সিরিজটা আবার এগোবে।
'Control'-এর বাংলা কি 'নিয়ন্ত্রণ' হতে পারে এখানে?
আবারও বলি, ভালো লাগল লেখাটা, পুরো সিরিজটাই। চমৎকার লেখার জন্য অনেক অভিনন্দন।
কালকে রাতে মাথানষ্ট হয়ে গেছিল এই শালা কন্ট্রোলের জন্য 😛 । শেষমেষ সংযত দিলাম। 😛
বড়ভাই, শরীরটা ভালু? ছোটভাইরা মইরা গেছে না বাঁইচা আছে, সেই খবরও নিতে হবে নাকী? 🙁
শেষটাও ভালো হয়েছে আবীর। অন্যদের মতো আমারো একই মত। আরো কিছু জানার বাকি থেকে গেল। সেসব নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে লিখতে পারো। যেমন বলছিলে, হৃদপিন্ডের বিবর্তন, হাত-পা কিভাবে এই অবস্থানে এলো। অন্য আরো সংশ্লিষ্ট বিষয়। এবারের ধারাবাহিকের মতো, ছবি দিয়ে ব্যাখ্যা করে। অপেক্ষায় আছি। ভালো থেকো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আমার মনটাও খচ খচ করছে। মারাত্মক ইন্টারেস্টিং আরও অনেক জিনিস বাকি আছে।
এখন এই লেখাটাকে সাইজ করবো। এই লেখার উদ্দেশ্যই ছিল মূল তিনটা বিষয় আলোচনা করা। বিবর্তনের একদম প্রাইমারি পর্যায়ের ব্যাপার।
তারপরও আরও ডিটেইল আছে। সেগুলো একদম খটমটে নয়। সেগুলো নিয়ে হয়তো অতিশীঘ্রই লেখা শুরু করবো। সিসিবির পাঠকদের কারণেই। এই বিশাল অনুপ্রেরণা আপনারা দিয়েছেন- এটা ছাড়া আমি দুই পর্বের পরেই থেমে যেতাম হয়তো।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
আলোক সংবেদনশিল প্রানি জে ৫৫ কোটি বছর আগে ছিল তা জানতাম না। তথ্য সূত্র পেলে ভালো লাগত। তেলাপোকার বেচে থাকাটা ব্যখ্যা করা প্রয়োজোন। লেখা খুবি ভালো হয়েছে।
http://www.pbs.org/wgbh/evolution/library/01/1/l_011_01.html
লাস্ট প্যারাটা দেখ।
আমি যা বলতে চাচ্ছিলাম তা লাবলু ভাই বলে দিয়েছেন। তোর প্রশংসা করতে করতে আমি ক্লান্ত। তাই আর প্রশংসা করব না(আমার ওপর বোমা হামলা হলে বড় ভাইয়েরা খিয়াল রাইখেন)।
😀
আন্দালিব ভাই, বিবর্তন কোনোমতেই সরল রৈখিক (Linear) প্রক্রিয়া নয়। ক থেকে খ, খ থেকে গ, গ থেকে ঘ... বিবর্তন মোটেই এভাবে হয়না। বরং অনেকটা শাখা-প্রশাখা আকারে প্রজাতির বৈচিত্র তৈরি হয়। তাই তাকে বলে Tree of Life, লক্ষ্য করুন, Line of Life বলা হচ্ছে না কিন্তু। আর, সব অঙ্গতন্ত্রের গঠন সমানতালে বা একই ক্রমে বিবর্তিত হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। মনে রাখতে হবে, বিবর্তন হলো প্রতিমুহূর্তে ঘটতে থাকা প্রকৃতি-প্রজাতি আন্তঃক্রিয়ার ফসল, যেখানে immediate environment এর সাথে খাপ খাওয়ানোর মতো বৈশিষ্ট অর্জনই মূল কথা। সেটা হতে হলে সবকিছু সমহারে পরিবর্তিত হতে হবে এমনটা প্রয়োজনীয় নয়।
ধন্যবাদ ভাইয়া। মন্তব্যটা দারুন হয়েছে। আগের পর্বেরটাও।
'Tree of life' হলেও এক node থেকে আরেক node পর্যন্ত কিন্তু রেখা। সরলরেখা না, তবে রেখা!!! এবং টানা (continuous) রেখা।
আহারে আমারে দলে টানার জন্য পুলাটা কত কষ্ট করতেসে :gulti:
কুন লাভ নাই :grr:
:)) :)) :))
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
খ্রাপ হইয়া যা। পিলিজ 😛
😀
মজা পাইলাম।
@ সামিয়া, তুমি এক কাজ কর, উলটা ওরে তোমার দলে টানার জন্য উইঠা পইড়া লাগো। দেখি তোমাদের টানাটানি 😉
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
- 😀
=)) =)) =)) =)) =))
এই ব্লগটার খোঁজ পাওয়ার পর থেকে প্রায় নিয়মিতই এখানে আসি। লেখাগুলো খুব ভালো লাগে। পুরোনো সময়কে মনে করিয়ে দেয়। অন্য কিছু ব্লগে লেখালেখি করলেও এখানে কখনও লেখার সাহস হয়ে উঠেনি প্রধানত দুটো কারণে। আমার সমসাময়িক বা সমগোত্রিয় বলতে গেলে প্রায় কেউই নেই।
যাইহোক ভূমিকা ছেড়ে আসল কথায় আসি।
অনেকদিন ধরেই ডারউইন পড়বার পরিকল্পনা করছিলাম। রায়হান ভাইয়া তোমাকে ধন্যবাদ ডারউইন তত্বটা সহজ করে লেখার জন্য।
আধুনিক কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্রাফটিং এর মাধ্যমে আম গাছে জাম ফলানো সম্ভব। কিন্তু প্রাকৃতিকভাবে কখনও আম গাছে জাম ফলবে না। তাই ল্যাবে মানুষের ফুসফুসকে সফলভাবে বানরের ফুসফুস দিয়ে প্রতিস্থাপন করা গেছে জানলেও খুব একটা অবাক হবো না। ফসিলের তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে অন্তত্ব একটা প্রজাতির ক্ষেত্রে এই বিবর্তনের স্বপক্ষে এখন পর্যন্ত কোন প্রমান নেই। বরং এখন জেনেটিক রিসার্চ করে দেখা যাচ্ছে যে আফ্রিকার এক আদিম উপজাতি মানব জাতির সবচেয়ে প্রিমিটিভ জিন বহন করছে। সেখান থেকেই ধারা উপধারাতে মানুষ ভাগ হয়ে গেছে। দক্ষিন ভারতের দ্রাবীরদের সাথে অস্ট্রেলিয়ার এক উপজাতির জিনের আশ্চর্যরকম মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় আফ্রিকা থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে যে ধারাটা দক্ষিন ভারতে গিয়েছিল, তাদেরই একটা অংশ কোন এক সময় সমুদ্র পাড়ি দিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে পৌছেছিল। আর একটা সময় তো সব স্থলভাগই বেশ কাছাকাছি ছিল।
আমি আবার আমার প্রথম কথাতেই আসি। দুটো সমান্তরাল রেখা কখনই এক হবে না যদি না বাইরে থেকে কেউ শক্তি প্রয়োগ করে তাদের এক করে দেয়। সুতরাং ডারউইনের তত্ব ল্যাবে প্রমান করার কোন বিষয় না। এর জন্য আমাদের ফসিল বা জেনেটিক্স রিসার্চের উপর নির্ভর করতে হবে।
যদি কোন প্রোগ্রাম দিয়ে একটা সুপার কম্পিউটারকে র্যানডমলি এক হাজার কোটি নাম্বার উৎপন্ন করতে বলা হয় তাহলে দেখা যাবে যে শতকরা ১০০(%) নাম্বারই কিন্তু স্বতন্ত্র হচ্ছে না। কিছু কিছু নাম্বারের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। অথচ আমরা প্রকৃতিতে কি দেখি? সমগ্র জীব জগতের মধ্যে শুধু যে একেকটা গোত্রই যে তার স্বতন্ত্রতা বজায় রাখছে (এক্ষেত্রে ল্যাব এক্সপেরিমেন্টকে গোনায় ধরছি না) শুধু তাইই না, একটা গোত্রের প্রতিটা প্রাণীর মধ্যেও স্বতন্ত্রতা লক্ষনীয়। প্রতিটা মানুষের আঙ্গুলের ছাপ, চোখ আলাদা আলাদা - এক জনের সাথে আরেক জনের মিলবে না। এখানে যদি কোন কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রন না থাকতো, আমরা যদি সবাই র্যানডমলি জন্মগ্রহন করতাম তাহলে এই মূহুর্তেই হয়তো পৃথিবীর অন্য কোনখানে আমাদের কারো না কারো প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নেওয়া কোন ক্লোনের সম্ভাবনা থাকতো। মানবসভ্যতার ইতিহাসে অন্তত এখন পর্যন্ত কোন প্রাকৃতিক ক্লোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু
আপনার নামটা একটু বাংলায় করে দিন না। দেখতে ভালো লাগে।
সিসিবিতে স্বাগতম।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
Sorry for writing in English. Most of the time I carry my office laptop where I didn't download Avro. In order to write in Bangla, I write in bornosoft then translate it into Bijoy. I wanted to write in my name in Bangla but CCB registration form didn't allow me to do that. IS there any work around?
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু
আপনার প্রোফাইলে গিয়ে নাম-ধাম বাংলায় করে দিন, তাহলেই হবে।
লগ ইন করার পর 'আপনার লকার'এ দেখেন 'প্রোফাইল ' অপশন আছে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
করলাম। ধন্যবাদ।ক্যাডেট
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
শান্তাপু এইটা কি আমারে বললেন? 😛
হাহহহাহ
আপনি খুব ভালো লিখেন সেই খবর ইতিমধ্যে পেয়েছি।
এইবার লেখালেখি শুরু করেন।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
তুমি কে ভাই? এভাবে নতুন মানুষ পুরাতন নামে ডাকলে বড়ই ভাল লাগে (বয়স বেড়ে যাওয়ার লক্ষন)। এরপর তোমার ব্লগে দেখা হবে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
:boss: :boss: :boss:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
বিবর্তন সম্পর্কে ল্যাব এক্সপেরিমেন্ট করেই কিন্তু বিজ্ঞানীরা "হ ঠিকাছে" বলে বসে নেই। প্রাকৃতিক ভাবেও যে সেটা সম্ভবপর এটা তারা জিনতত্ত্বের মাধ্যমে দেখিয়েছেন। হৃদপৃন্ডের প্রকোষ্ঠের সংখ্যা বদলে যাওয়ার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া আমি নিজেই পড়ে দেখেছি।
প্রতিটা মানুষ প্রত্যেকে প্রত্যেকের চেয়ে আলাদা হচ্ছে সে ব্যাপারে আপনি বললেন। সেটার কারণকি আপনি জানেন না?
শিল্পাঞ্জির সাথে আমাদের ডিএনএ এর মিল রয়েছে প্রায় ৯৬% অথচ একটা মানুষ আর একটা শিল্পাঞ্জি দেখতে তো অনেক আলাদা?
এখন যদি একটা মানুষের সাথে আরেকটা মানুষের তুলনায় যাই, তাহলে দেখা যাবে হয়তো তারা দেখতে একই রকম নয়, হাতের গঠন, পায়ের গঠন মাথার চুল সহ অনেক কিছুতেই বৈসাদৃশ্য রয়েছে কিন্তু তাদের ডিএনএর মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। অমিলটা হচ্ছে জিন এ গিয়ে।
এখন প্রতিটা মানুষ একজন আরেকজনের থেকে আলাদা কেন হচ্ছে। আমি কেন পুরোপুরি আমার বাবার মতো হইনি। তার কারণ তো বিজ্ঞানই বলে।
জিনই নির্ধারণ করে আমি কেমন হবো দেখতে। এখন জিনের ভেতরে রাখা তথ্য যখন বংশপরম্পরায় স্থানান্তরিত হয়, তখন দেখা যায় কপি পেস্ট করার সময় কিছু এরর থেকে যায়। এই এররের কারণেই পরবর্তীতে প্রজাতি একটু আলাদা হয়ে যায়। আমার সকল স্বভাব আমার বাবার মতো হলেও দেখা যাবে, তার মাথায় ৭০ বছরেও চুল আছে কিন্তু বিশে এসেই আমি টাক হয়ে গিয়েছি। এমনটা হতেই পারে। কারণ কপি করার সময় সামান্য গেঞ্জাম হয়েছে।
আর আমার এই অতি সাধারণ বিবর্তনের লেখা পড়বে বিবর্তন সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানটাই পাওয়া যাবে। কিন্তু পুরোপুরি তত্ত্বটি জানা যাবে না। কোর বই পড়লে যেটা হবে।
আপনার কী ধারণা বিবর্তন শুধু ল্যাবেই প্রমান করা হয়েছে। আরেকটু ঘাটাঘাটি করে দেখুন তো।
এই লাইনগুলো দিয়ে আপনি নিশ্চয়ই বোঝাতে চেয়েছেন আফ্রিকার ওখানেই আদমকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল? অথচ এইলাইনগুলো পড়ে আমি তো বিবর্তনের সাথে কনফ্লেক্টিং কিছু দেখতে পেলাম না।
আম গাছে কেন জাম ফলেনা- কারণ একটা আম গাছ থেকে আম গাছ হয়। আম গাছের ডিএনএ তে আরেকটা আম গাছ হবার তথ্যই সংরক্ষিত থাকে। জাম গাছের না। বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যদি জাম গাছের তথ্য দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে জামই হবে। আশা করি বোঝাতে পারলাম।
আফ্রিকার আদিম উপজাতি নয়, আফ্রিকার আদিম এক প্রজাতি। সেটা মোটেও মানব প্রজাতি ছিল না। লিংকন তার লেখাতেই লুসির কথা বলেছে যে আদিম আফ্রিকার এই প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই প্রজাতির নাম অস্ট্রালোপিথেকাস অ্যাফারেনসিস। স্পেস অডিসি সিনেমার প্রথম ৩০ মিনিটে যে প্রাণীদের দেখানো হয়েছিল তারা এই প্রজাতিরই অন্তর্ভুক্ত।
অ্যাফারেনসিসরা ইউরোপে আসার পরই নিয়ানডার্থালরা বিলুপ্ত হয়ে যায়। আর এই অ্যাফারেনসিসদের বংশধরেরাই পৃথিবীতে আধিপত্য বিস্তার করে। এই লেখাটায় এ সম্পর্কে কিছু জানতে পারেন:
http://bigganpuri.wordpress.com/2008/10/30/up-to-the-starting-line/
অ্যাফারেনসিসরা শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে শিম্পাঞ্জিদের চেয়ে খুব বেশি উন্নত ছিল না।
লেখা গুছানো হয়েছে।
তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো বলে মনে হয়েছে।
আমারো জানার অনেক কিছু বাকি রয়ে গেল।
বিভিন্ন পর্বে প্রতিক্রিয়ায় কিছু পাল্টা প্রশ্ন এসেছে সেগুলি নিয়ে আরো একটা পর্ব/লেখা এখন দাবি করাই যায়।
গুড জব।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
দেখি। সময় পেলে আবার শুরু করে দিবো। ছোট ভাইয়ের অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী টাইপ লেখার সাথে থাকার জন্য সে যে কী পরিমাণ খুশী হইছে তা বলে বোঝানো যাবে না। 🙂
লেখা পুরোটা পড়লাম । আগেই বলছিলাম পড়ব 😀 তবে লেখাটা ছোট হয়েছে । আরো অনেক জিনিস আসতে পারতো । পুরো সিরিজটা পড়ে ছোটবেলায় পড়া ছোটদের বুক অব নলেজ (দেব সাহিত্য কুটির)বইটার কথা মনে পড়ল । অল্প কথায় ছোটদের বোঝার জন্য অনেক সুন্দর করে বিবর্তন সম্পর্কে লেখা ছিল ।ভাল লাগেনাই ক্রিয়েশনিস্টদের খোঁচা দেয়াটা । একটা জিনিস কেউ খেয়াল করেনা । ধর্ম কিন্তু প্রানের বিকাশ বোঝার জন্য না, একটা নিয়মতান্ত্রিকভাবে মানবজীবন নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে ধর্মের মূল উদ্দেশ্য । সব মানুষ যদি সমান হতো (জ্ঞানে, বুদ্ধিমত্তায়, শক্তিতে.....) তাহলে হয়তো আমাদের জীবনধারা অন্যরকম হতো । এত বিচিত্র ধরনের মানুষকে কন্ত্রোল করার জন্যই ধর্ম । আর তোমার মূল কথা তো মনে হয় আমাদের আজকের এ অবস্থানের পেছনে কোন স্রষ্টা না থেকে আছে হচ্ছে প্রাকৃতিক নির্বাচন । সেটাও তো একধরনের তৃতীয় শক্তি । এখন লেখার কথায় বলি, আমার আপত্তির জায়গাটা বাদ দিয়ে পুরা লেখাটা অনেক সুলিখিত । সবচেয়ে ভাল লেগেছে তোমার পরমত সহিষ্ঞুতা (বানান ঠিক আছেতো) । ঠান্ডা মাথায় সবার কথার উত্তর দিয়েছ । ধর্মকে রিপ্লেস করার মত অবস্থা এখনো আসেনি, কখনো আসবে বলে আমার মনে হয় না । এটা আমার একন্ত নিজস্ব ভাবনা । তবে ভিন্ন ভাবতেই পারো, আমিতো ধর্ম থেকে তাই শিখেছি । ভিন্ন ভাবনাকে আমি সবসময় উতসাহ দিতে চাই যতক্ষন পর্যন্ত তা আক্রমনাত্মক না হচ্ছে । প্রশ্নই সবসময় সত্যকে উদগঘাটিত করে । তুমি সত্যসন্ধানী, ইনশাল্লাহ সত্যের দেখা তুমি পাবেই । (তুই এখন আমিন বলবি 😀 ) অল দা বেস্ট :thumbup:
আমিন 😀 😀
ছুম্মা আমিন 😀 😀
আমিন ভাইরে ডাকেন কেন? উনি এট্টু বিজি আছেন। :-B
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
সুম্মা আমিন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কয়েকটা টার্ম এর বাংলা ব্যাখ্যা সহ নিয়ে একটা গ্লোসারি টাইপ পোস্ট আইলে খারাপ হইতোনা।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
নাহ......কলেজে মানবিক বিভাগ থাকার সুবাদে পুরাটাই মাথার ২০ হাত উপরে দিয়া গেল গা :(( :(( :((
লাফাইয়া লাফাইয়াও পারলাম না ~x(
তয় যা বুঝলাম তুই একখান বিশাল কাম করসস :thumbup:
এখন শোন, এই সপ্তাহে টানা তিন দিন ছুটি......পোলাপাইন লইয়া আইসা পর সিলেট 😡
না বুঝলে চুপচাপ শুনবি আর মাথা নাড়বি। সবাই বুঝবো তুই কতো ওস্তাদ।
আর্টসে তো আমিও ছিলাম; তো কি হইছে। আমার ইস্লামিয়াত ও ছিল।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
চমৎকার।
আসলে পপুলেশন জীববিজ্ঞান সম্পর্কে সাধারণ্যে কোন ধারণা না থাকায় বিবর্তনকে ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যাখ্যা করতে সবাই অভ্যস্ত।
ব্যাপারটা চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞান আর কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানের মত। কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানের অতি সাধারণ তত্ত্বও আমাদের চিরাচরিত ধারণা দিয়ে উপলব্ধি করা কঠিন। কারণ সেখানে একেবারে গোড়া থেকেই ভিন্নভাবে চিন্তা করতে হয়।
পপুলেশন জীববিজ্ঞান এবং বিবর্তন সাধারণ পাঠ্যপুস্তকের আওতায় এলে বোধহয় আস্তে আস্তে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে।
লেখার জন্য লিংকনকে (বিপ্লব)
আগেই পড়ছি। মন মেজাজ ভালো না বলে কমেন্ট করা হয় নাই। পোস্ট টা প্রিয়তে। রায়হানকে অভিনন্দন তার লেখার জন্য,-- অনেকটা আব্দুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিনের মত লিখা। অনেক সহজ বোধ্য। ভালো লেগেছে। তবে এর মাঝে ধর্মের প্রসঙ্গটা আসার যথার্থতা ঠিক পরিষ্কার হলো না।
মুল বিতর্কটা তো হচ্ছে ধর্মের সাথে। এই কারণেই ধর্মের প্রসংগ আসে। ধর্ম যদি এপ্রুভ করতো তাইলে পৃথিবীর অর্ধের মানুষ বিবর্তন বিরোধীতা করতোনা বলেই তো বলে মনে হয়।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
দুর্দান্ত লেখা! আমি তোর ফ্যান হইয়া গেলাম!! জীবনে জীববিজ্ঞান পড়ছি শেষ অষ্টম শ্রেণীতে। কিছুই বুঝতাম না খালি গিলছিলাম! এই সিরিজ পুরা একটানা পড়ে গেলাম পরীক্ষার পড়া ফালায়!! তাইলে বুঝ! আর এইটা সচলে দিস নাই কেন?
আর একটা কথা পৃথিবীতে বিবর্তন সবকিছুর জন্যে প্রযোজ্য আমি বিশ্বাস করি। সেটা ভাষার জন্যে যেমন মানুষের জন্যেও সমভাবে।
আর একটা কথা পৃথিবীতে বিবর্তন সবকিছুর জন্যে প্রযোজ্য আমি বিশ্বাস করি। সেটা ভাষার জন্যে যেমন মানুষের জন্যেও সমভাবে।
:thumbup: :thumbup:
মন্তব্য পেয়ে অবাক হলাম 😀 :hatsoff:
বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবর্তনের আপডেট নিয়ে লেখা এবছর(২০১১) প্রকাশিত বই "Evolution: A View from the 21st Century (-James A. Shapiro)" এর একটা রিভিউ শেয়ার করছি-
http://www.amazon.com/review/R3IN2MHFG4BGD0/
আশা করি আমরা বিজ্ঞানের নিয়মে আপডেট হব।
চমৎকার লেখা।
আমার পূর্ব পুরুষ বান্দর ছিলো এইটা ভাবতে আমার খুব ভালো লাগে।
গাছে গাছে ঝুলতাম এই ভাবনাটা আরো ভাল লাগে।
তয় একটা কুকাম কইরা ফেলছি। এতো সুন্দর লেখা; মোবাইল থিকা রেটিং করতে গিয়া ভুলে ৪ স্টার হইয়া গেছে। কি আর করা। কিন্তু কি যায় আসে!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভালো কথা রায়হান ডারউইন ভুল করতে যাবে কেন?
ভুল আমাদের যারা এখনো বান্দর রইয়া গেছি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হরিণের ব্যাখ্যাটা থিকা প্রশ্ন আসলো মনে। সব হরিণ বেটার হইলে পরে বাঘ- সিংহের হবে কি? অবশ্য বাঘ মামারাও ঐ ভাবে দৌড়াইতে শিখবে আশা করা যায়। আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষেত্রে মেন্ডেলও কিছু ভুমিকা রাখে মনে হয়। নাকি মেন্ডেল ভুল প্রমাণিত হইয়া গেছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ঠিক এরকমটাই হয়, বাঘদের মধ্যেও অধিক জোরে দৌড়াতে সক্ষম ওস্তাদ মামারা তুলনামূলক ভাবে বেশী বেশী খেতে পাবে, অধিক হৃষ্টপুষ্ট হবে, মামী বাঘেরাও তাঁদের প্রতি বেশী আকৃষ্ট হবেন এবং পরবর্তী প্রজন্মগুলোতে এই ওস্তাদদের জিন বহনকারী বাঘেদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকবে। আমাদের artificial intelligence এর লাইনে, robotics and neural network এ predator and prey নামের একটা স্ট্রাটেজি প্রচলিত আছে যেখানে ঠিক এই বাঘ-হরিণের ব্যাপারটার মতই একটা ম্যাথম্যাটিকাল মডেল ব্যাবহার করে করা হয়।
না, মেন্ডেল ভুল প্রমাণিত হন নি। তিনি যা করেছিলেন তা হল, পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্যের বিভিন্নতার প্রবাহের ধরন নিয়ে মূলত স্ট্যাটিস্টিক্যাল পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস। পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে বৈশিষ্ট্যের বিভিন্নতা আসার পরে আসে ন্যাচারাল সিলেকশনের প্রশ্ন। মেন্ডেলের কাজ অতদুর পর্যন্ত যায়নি। তাছাড়া মেন্ডেলের পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্র সীমাবদ্ধ ছিল উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বৈশিষ্ট্যের বিভিন্নতা নিয়ে আর অন্যদিকে ন্যাচারাল সিলেকশন ও বিবর্তনের পেছনের প্রধান চালিকা শক্তি হল জিনেটিক মিউটেশন জনিত বৈশিষ্ট্যের বিভিন্নতা। মেন্ডেল বা ডারউইন, কেউই জিনেটিক্স সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। তাঁরা দুজনেই প্রজন্মের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করে তাঁদের তত্ত্ব দিয়েছেন কিন্তু জিনেটিক্স না জানার কারণে তাঁদের তত্ত্বের পেছনের মুল কারণটা ব্যাখ্যা করতে পারেননি। পরবর্তীতে জিনেটিক্স জানার ফলে, আজকে আমাদের সামনে সব কিছুই জলের মত পরিষ্কার হয়েছে।
অফ-টপিকঃ তোমার আর্টস ছিল, তাই না রাজীব? 😉
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।
যদি ডারউইন রং ই না হবে তাহলে --
প্রাক্রিতিক শক্তির বুদ্ধিমত্তা কি ??
প্রাক্রিতিক শক্তি কম্যুনিকেটিভ না কেন ??
:clap: :clap: :clap:
তোমার এই লেখাটা পরলাম। দারুণ হয়েছে, প্রিয়তে রাখলাম। আগের পর্বগুলো এখনও পড়া হয়নি। আমার মনে হল, এখানে বিবর্তনের কারণে আমাদের চোখের সামনেই প্রতিনয়ত যে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট মাইক্রোব (সুপার বাগ) দের উদ্ভব ঘটছে সেটা নিয়েও কিছু লেখা যেত (যদি আগের পর্ব গুলোতে না লিখে থাকো) । এত ব্যাখ্যার পরেও যারা "প্রকৃতি কিভাবে বুদ্ধিমান হয়?" টাইপের অবান্তর প্রশ্ন করেন তাঁদেরকে মানানোর জন্য এই সুপার-বাগের উদাহরণ কিছুটা হলেও কার্যকর হতে পারে। ~x( ~x(
গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।