১
কবি হিসাবে স্বীকৃতি পাব, এটা চিন্তা করে কখনো কবিতা লিখিনি। যদিও কখন কোন কবিতা কবিতার স্বীকৃতি পায়, বলা কঠিন। জীবনানন্দ দাশ জীবদ্দশায়কবি হিসাবে স্বীকৃতি পাননি। সারা জীবন মুখোমুখি হয়েছিলেন কঠিন সমালোচনার। যদিও এ নিয়ে তার আক্ষেপ ছিলো। আমার এই সমস্যা নেই। কোয়ালিটি/কোয়ান্টিটির চিন্তা না করে মাঝেমাঝেই দুই একটা কবিতা (?) লিখে ফেলি। কেন লিখি?
কারণ, কবিতা লেখাটা সহজ। গদ্য লিখতে গেলে গাদাগাদা শব্দ বাঙলায় টাইপ করতে হয়।
সাপ্তাহিক…৬
এই সপ্তাহটা মনে হলো যেন উড়ে উড়ে চলে গেল। সপ্তাহের শুরুতে একটা পরীক্ষা আর শেষ দিনে আরেকটা। মাঝে একদিন আবার ছুটি, টেরই পেলাম না। আহ, সবগুলো সপ্তাহ যদি এভাবে চলে যেত।
আজ ছিল ব্যবহারিক পরীক্ষা। শুরু করেছিলাম সকাল ৮টায়, শেষ হতে হতে সন্ধ্যা ৭টা। আমার লাইফে দেয়া সবচেয়ে দীর্ঘতম পরীক্ষা। যদিও এর মাঝে বেশিরভাগ সময় পার হয়েছে এক আইটেমের পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তী আইটেমে যাবার জন্য অপেক্ষা করতে করতে,
বিস্তারিত»এইটা একটা আত্মপ্রচারণামূলক পুস্ট
এইটা একটা আত্মপ্রচারণামূলক পুস্ট।
”আপনার মুখ দেইখা সকালে বাইরাইছি বস।”
এই লাইনটা আমার লেখা না। এইটা আমাগো সামুর ব্রগার অচেনা বাঙালী বা আমার ব্লগের হাসান রায়হান ভাইয়ের। অচুদা ফেসবুকে আমার ওয়ালে এইটা দিয়া রাখছে।
কিছুক্ষণ পরে সে একটা নোট দিছে ফেসবুকে। আসেন এইটা পড়ি-
”প্রত্যেকদিনের মত বুয়ার কলিং বেলের আওয়াজ শুনে সকালের ঘুম ভাঙলো। মহা বিরক্তি নিয়ে উঠতে হয় কারণ ভোরের দিকেই ঘুমটা জমে ভালো ।
জীবনের পথে পথে … …
জীবনে প্রথম কুয়াকাটা গিয়েছিলাম সেবার। বন্ধুরা মিলে দুটো দিন বেশ মজায় কাটে। কুয়াকাটার সৌন্দর্য্যের বর্ননা আমি দিব না। তবে কুয়াকাটা থেকে ফিরে আসার সময়ের একটা ঘটনা বলব। কুয়াকাটা থেকে ফেরার সময় গলাচিপা ফেরি মিস্ করে বাস দাড়িয়ে আছে অনেক্ষণ ধরে। মেজাজটা খুবই গরম। ফেরার সময় হাতে খুব বেশি টাকা ছিল না, তাই সবাই মিলে উঠেছিলাম লোকাল বাসে। এমনিতেই বাসের সাইজ এক্কেবারে মুড়ির টিন, তার উপর ভালই ভিড়।
বিস্তারিত»রহস্যে ঘেরা ইস্টার দ্বীপ
আমাদের চেনা পৃথিবীতে ইস্টার দ্বীপ যেন এক অচেনা ভূবন।ইস্টার দ্বীপ আমাদের চেনা পৃথিবী থেকে অনেক দূরে।ইস্টার দ্বীপ থেকে সবচেয়ে কাছের দ্বীপটি হল চৌদ্দশ মাইল দূরে।একজন ডাচ নাবিক ১৭৭২ সালের ইস্টার ডে তে দ্বীপটি অবিষ্কার করেন।এখানে কেন মানুষের বসতি নেই খুব একটা,তবে অতীতে মানুষের বসবাসের প্রমাণ এখানে পাওয়া যায়।ইস্টার দ্বীপটি ঘেরা হাজারো দানবীয় মূর্তি দিয়ে।এর কেনটা ত্রিশ ফুট উচু এবং ওজনে কয়েক টন ভারী।
প্রশ্ন হল এই মূর্তি গুলো কারা বানাল,কেন বানাল,কিভাবে বানাল,কি দিয়ে বানাল????????????????
“আত্ম-কথন”
আজ সকাল দশটায় তোর বাসায় যাব,
আংকেলের অফিস শুরু নয়টায়, পৌনে দশে আন্টির ক্লাস।
আমার ভাংগা সাইকেল তোদের ভিতরের বারান্দায় তুলে,
সাড়ে দশের আগেই শুরু হবে আমাদের তুমুল কথোপকথন।
বুক পকেটে গোলাপী খামের ভিতরে লুকিয়ে রাখব কারুকার্যময় ছুরি
অথবা অমৃত।
আজ তুই হবি নন্দিনী,
আমি চল্লিশ পেরুনো তুমুল যুবক।
অথবা আমি নিখিলেশ
তুই মধ্যরাতের “কুকুরের কান্না”
সারারাত ঘুম হল না!
আমাদের আগের কালের লোকেরা এভাবে বলতেনঃ “সকাল বেলা যদি একটা পিঁয়াজ খাও, এরপর সারাদিন ভর পোলাও কোর্মা, কালিয়া কোপ্তা যা-ই খাও না কেন, রাতে ঘুমানোর সময় যে ঢেকুর দিবা তাতে পিঁয়াজের ই গন্ধ থাকে।”
কি মাস্ত কথা!! কি মাস্ত কথা!! খেয়াল করে দেখারই মত!!
সেই যে ছোটবেলায় অপচয় রোধের পিঁয়াজ খেয়েছিলাম কয়েকটা লাইনের মাধ্যমে, সেটা আজো ঢেঁকুর দেয়, আর দেয় বলেই বোধয় স্রষ্টা আজো প্রদীপ হীন করে দেন না আমার জীবন।লাইনগুলো সবারই জানা-
যে জন দিবসে,
বিস্তারিত»সিসিবির মন খারাপ? এইবার কার্টুন ব্লগ
মন খারাপ হওনটা আজকাইল ফ্যাশনে পরিণত হইছে। পোলাপাইন একটা আরেকটারে ক্ষুদে বার্তা পাঠাইয়া জানান দেয়, হের আজকে মন খারাপ। ক্যান মন খারাপ, কি হইছে, সমস্যাটা কি জিগাইলে কোনো জবাবও পাওয়া যায় না! হুদাহুদিই বলে মন খারাপ!
এফএম রেডিও অহন পুলাপাইনের ক্রেজ। সারাদিন-রাইত হেরা ক্ষুদে বার্তা পাঠাইয়া মুঠাফোন কোম্পানি আর রেডিওওয়ালাদের পকেট ভরায়! তো ওইসব বার্তার মূল কথা কি? কথাবন্ধু আর আরজেগুলারে কয়, “ভাইয়া,
বিস্তারিত»২০ জুলাই- এর গল্প
দিন তারিখের হিসেবটা বেশ কিছুদিন হলো সেভাবে রাখা হয় না, যেভাবে রাখতাম ক্লাশ সেভেন-এইটে। আমি আর তওসীফ ডাইরীর পাতায় পুরো টার্মে যতগুলো দিনছিল ততগুলি দাগ কাটতাম। এরপর দিন যায়, আর একটা করে দাগ লাল কালিতে কাটা পড়তো। ছেলেমানুষী করে প্রতিদিন সেই লাল কালিতে কাটা দাগগুলো গুনে গুনে দেখতাম আর কতটুকু সময় বাকী আছে। তওসীফ আবার আরো এক কাঠি সরেস, ওর হিসেব ছিল চুলচেরা ঘন্টার কাটায়।
বিস্তারিত»শুভ জন্মদিন
আজকের আকাশে অনেক তারা
দিন ছিল সূর্য্যে ভরা
আজকের জোছনাটা অনেক সুন্দর
সন্ধ্যেটা আগুন লাগা
আজকের পৃথিবী তোমার জন্য
ভরে থাকা ভালো লাগায়
মুখরিত হবে দিন গানে গানে
আগামীর সম্ভাবনায়
কবিতারা……..
আধুনিক কবিতা তেমন বুঝি না। উত্তরাধুনিক কবিতা তো নাইই। তারপরেও হঠাৎ হঠাৎ দু’একটা বুঝে ফেলি। যেমন নৃসিংহমুরারি দের এই কবিতা। পশ্চিমবঙ্গে এই নামে যে একজন কামেল কবি আছেন সেটাই তো জানতাম না। কবিতা পাই বুদ্ধিজীবীর নোট বই নামের একটি বইয়ের মূখবন্ধে। আত্মপরিচয়ের সংকট বুঝাতে যেয়ে এই কবিতার এই কটি লাইনের উদাহরণ।
আপনার বাড়িতে ফ্রিজ আছে।
বিদেশী রঙ্গিন টিভি আছে
এবং এন্তার ভিডিও ক্যাসেট আছে।
মীথবাজি: বজ্রের জন্মকথা
** মাঝে কিছুদিন মীথবাজি হলো ব্লগে। সেই সময় আমি ভেবেছিলাম এই পোস্ট টা দিবো। আলসেমির কারণে দিতে দেরি হয়ে গেলো। অনেকদিন আগে ক্ষিতীশচন্দ্র ভট্টাচার্যের একটি ছোট গল্প পড়েছিলাম। তার যতটুকু মনে আছে একরকম মুখস্থ লিখে দিলাম।
অনেকদিন আগে দেবতা আর অসুররা মিলে সমুদ্র মন্থন করেছিলেন। তাতে যা অমৃত পাওয়া গেলো দেবতারা অসুরদের ফাঁকি দিয়ে সব ভাগাভাগি করে নিলেন। অসুরেরা এমনতেই শক্তিশালী তার উপর না আছে কাণ্ডজ্ঞান।
বিস্তারিত»সাপ্তাহিক…৫
আমার রুমের ঠিক পিছনেই বাচ্চাদের একটা স্কুল, কিন্ডারগার্টেন। ইদানিং হয়তো স্কুলের সময়সূচি পরিবর্তন হয়েছে, কারন এখন সকালে ক্লাসে যাবার জন্য যখন রেডি হই তখন জানলা দিয়ে বাইরে তাকালে দেখি ছোট ছোট বাচ্চারা ঘুম ঘুম চোখে বাবা কিংবা মায়ের হাত ধরে স্কুলে আসছে, আগে দেখিনি। দেখতে বেশ সুইট লাগলেও ওদের বইয়ের ব্যাগের সাইজ দেখে কষ্টই লাগে। আর মনে পড়ে যায় ছোটবেলায় ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যাবার কষ্টের কথা।
বিস্তারিত»টেল মি হ্যু ইজ দ্যা টেররিস্ট?
০।
আমার বন্ধু রোকনের একটা শখ ছিল ডায়েরীর ভিতর ছবি জমানো, পুরান খবরের কাগজ থেকে কেটে আনা ছবি। সেইখানে হিঙ্গিস ছিল, কুর্নিকোভা ছিল ছিল আর অনেক আজেবাজে ছবি। সেইখানের একটা ছবি ছিল, এক ফিলিস্তিনী মা তার দুই সন্তান কে বাঁচানোর জন্য আড়াল করার চেষ্টা করছেন আর এক ইসরায়েলী সেনা তার রাইফেল তাক করে আছে তাদের দিকে, সেই ছবির ক্যাপশন ছিল- Tell me who is the terrorist?
বসত
১.
“চারশো স্কয়ার ফিটের উপর হবে। দুই বেড, ড্রয়িং, ডাইনিং, দুটো বাথরুম; মাস্টার বেডরুমটা আবার দখিনমুখী, কোনায় একটা ব্যালকনী, বেশ চওড়া। এত সস্তায় এমন ভালো একটা ফ্লাট আর পাওয়া যাবে না। নিয়ে নেই, নাকি?”- একটানা কথাগুলো বলে খানিকটা হাঁপিয়ে উঠেই স্ত্রীর দিকে তাকালেন জামশেদ সাহেব। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই অনেকদিনের সাধ নিজেদের একটা বাড়িr। বোর্ড অফিসের সামান্য চাকরীতে মাসিক সঞ্চয় সামান্যই। পাশের টেবিলের রহমতউল্লাহ কিন্তু এই সামান্য চাকরীতেই অসামান্য অবদান রেখে শ্যামলীর মতো জায়গায় দু’দুটো প্লট কিনে ফেলেছেন।