আমরা হলাম ববিতা-শাবানা যুগের মানুষ। আমাদের সময়ে জনপ্রিয় গানগুলোর সাথে কণ্ঠ মিলাতো ববিতা না হয় শাবানা। পাশাপাশি ছিল সুচরিতা অলিভিয়া এরা। পরে আসলো রোজিনা ও অঞ্জু। গানগুলাও ছিল জোস। অশ্লিল গান ছিল না তেমন। বড় জোর শাবানা সমুদ্রের পানিতে ঝাপাঝাপি করে গাইতো ‘ও দরিয়ার পানি তোর মতলব জানি। তোর ছোঁয়ায় যৌবনে মোর লাগলো শিহরণ, লাগলোরে কাঁপন……….’। আফসুস, এই গানটা বহু খুঁজলাম, পাইলাম না। 😛
তবে খুঁজতে যেয়ে পেলাম সেই সময়ের বিখ্যাত কিছু গান।
আমার ব্যাচ
৩৬ তম ব্যাচ। একটা সংখ্যা আমাদের ৫০টি ছেলেকে একই সূতায় বেঁধে রাখে। আজ কেউ জাপানে, কেউ পাকিস্তানে, কেউ বা ইংল্যান্ডে, আর অনেকেই বাংলাদেশে, কিন্তু এই একটি সংখ্যা আমাদের সবাইকে আজ পর্যন্ত এবং আমাদের জীবনভর এক পদতলে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। কেউ যদি আমার সৎ মতামত চায় যে আমাদের ব্যাচ কেমন ছিল, আমি বলব আমরা একটি অতি সাধারণ ব্যাচ ছিলাম। যদিও ক্লাস সেভেন থেকেই আমরা স্টাফ লাউঞ্জে বেশ একটা আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়ে গিয়েছিলাম।
বিস্তারিত»কাজের খবর : আগ্রহীরা যোগাযোগ করো
ভিন্ন ধরণের একটি কাজের খবর আমার কাছে আছে। একটি ত্রৈমাসিক জার্নাল বের করতে আগ্রহী একজন ব্যক্তি। তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বলা যায় এই প্রকল্পটি। তিনি একটি প্রভাবশালী গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। জার্নালটিও এই গণমাধ্যমের সহযোগি প্রকাশনা হবে।
পদ-পদবি কি হবে সেটা আলোচনা করে ঠিক হবে। তবে কাজটা হবে- জার্নালের জন্য সামগ্রিক ও প্রতি সংখ্যার পরিকল্পনা করা, লেখা সংগ্রহ, লেখার তথ্যের যথার্থতা যাচাই করা, প্রয়োজনে সম্পাদনা,
বিস্তারিত»শিরোনামহীন দিনলিপি
অনেকদিন ধরেই কিছুই লেখা হচ্ছে না। আমার সামনে দিয়ে কত ঘটনা ঘটে যায় কত গল্প উড়ে বেড়ায়- কিন্তু তা ধরার ফুরসত মেলে না। অলসতা আর সাথে কিঞ্চিত প্রতিকূলতায় ব্লগে আসা কমে যাচ্ছে। এই পোস্ট টি নিজের অস্তিত্বের জানা দিতে লেখা। আমার কেটে যাওয়া সময়ের গল্প। লিখতে গেলে অবশ্য আমার বরাবরই খাপছাড়া লাগে । গত কয়েকদিনে অনেক ঘটনাই ঘটে গেল। এত দ্রুত পরপর যে আমি নিজেই একটার ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে আরেকটা ঘটে যায়।
বিস্তারিত»সাপ্তাহিক… ৯
খুব একটা ভাল নেই, শারীরিক মানসিক দু দিক থেকেই। প্রথমে পা মচকালো, এক সপ্তাহ বিছানায় শুয়ে থেকে পা একটু ভাল হতেই এক সন্ধ্যায় বের হলাম, মূল উদ্দেশ্য ছিল ভাল-মন্দ কিছু খেয়ে মুখে স্বাদ বদলানো। গুরু ভোজের ইচ্ছা ছিল না বলে ঠিক করলাম বাংলা খাবার খাব, মানে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা-ভাজি। সবচেয়ে কাছাকাছি পাওয়া গেল হোটেল জামান। চট্টগ্রামকে মনে হয় খুব সহজেই হোটেল জামানের শহর বলা যায়।
বিস্তারিত»এক আড্ডা, এক গান
১.
ক্যাডেট কলেজ জীবন শেষ করে যখন ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলাম, তখন যেন অথৈ সাগরে পড়ার মতো অবস্থা হলো। এক পাড়ায় ছিলাম বলে চিনতাম কেবল রতনকে। রতন সিলেট ক্যাডেট কলেজের, কলেজ নাম কাফি (আবদুল্লাহ আল কাফি)। রতন তখন ছাত্র ইউনিয়নের প্রথম সারির নেতা হতে যাচ্ছে, তাকে পাওয়াই যায় না। পরিচয় হলো মোমিনের সাথে। মোমিন ফৌজদারহাটের। আর ছিল তানিম (ওমর), ফৌজদারহাটের। আমরা এই চার জন ছিলাম অর্থনীতি বিভাগের ক্যাডেট।
অভিনন্দন পোস্টঃ নরকবাসীর স্বর্গসম সাফল্য
এই ব্লগের নীলপদ্ম আমার খুব প্রিয় একজন বড়ভাই।আমার মতই খুলনায় বাড়ি এই মানুষটিকে আমি খুবই ভালা পাই।আর নরকবাস ১,২ পড়ার পর লেখক হিসেবে উনার বলিষ্ঠতা সম্পর্কে মোটামুটি আমরা সবাই নিঃসন্দেহ।কিন্তু সমস্যা হইল উনার এত্ত ভাল লেখার ফলে আমরা যারা পাতি ব্লগার তারা অতীব হিংসায় হিংসিত হয়ে কিভাবে উনাকে একটু “বাটে” ফেলা যায় সেই সুযোগ খুঁজছিলাম।”বান্দা যা চায় আল্লাহ তাকে তা দেন” এই অমোঘ বানী প্রমান করতে সেই সুযোগ মিলেও গেল।নিচের সংবাদটা দেখুনঃ
পুলিশ সপ্তাহ-২০০৮ উপলক্ষ্যে ২০০৭ সালে পুলিশ ও র্যাবের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে আইন-শৃংখলা রক্ষার বিভিন্ন বিভাগে প্রতিযোগীতায় সাফল্যের পুরস্কার বিতরণ এবং ২০০৭ সালে ব্যক্তিগত প্রশংসনীয় ভালো কাজের স্বীকৃতী স্বরুপ বাংলাদেশের পুলিশের আইজিপি পুলিশ ও ৠাবের ৬৮ জন সদস্যকে আইজিপির এক্সম্পেলারী গুড ব্যাজ প্রদান করেন
আইজিপির এক্সম্পেলারী গুড ব্যাজ প্রাপ্ত ১৭ জন র্যাব সদস্যরা হলেনঃ
ক্যাটাগরী এ
(১) লেঃ কমান্ডার মোগাম্মদ মাহতাব আলী,
বিস্তারিত»গল্পের খোঁজে
খটখট-খটাখট, কী-বোর্ডে আঙ্গুল চলছে বারবার। চারিদিকে আর কোন শব্দ নেই, আর কেউ নেই। সব ঘুম,
জেগে আছি শুধু আমি। লেখাটা আজকেই শেষ করতে হবে। কিন্তু সামনে এগোচ্ছে না কিছুই। যতই কী-বোর্ডে ঝড় তুলছি ততই বেকস্পেসে চাপ পরছে। কালকেই ম্যাগজিনের জন্য গল্প জমা দেবার শেষ তারিখ। বুঝে উঠতে পারছি না কিছুই কারণ রাত শেষ হতে বেশী বাকী নেই কিন্তু গল্পের এখনো অনেক বাকী।
সন্ধ্যায় মাথায় আসা গল্পের প্লটটা দারুন।
বিস্তারিত»রকিমুন্নেসা ম্যাডামের সর্বশেষ সংবাদ
(লেখাটা মন্তব্যে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু অনেক বড় হয়ে যাওয়ায় পোস্ট আকারে দিলাম-আশা করি সবাই নিজগুনে ক্ষমা করে দেবেন)
প্রিয় সেলিনা আপু এবং অন্যান্য ভাইবোনেরা,
আজ প্রায় আধা ঘন্টা ম্যাডামের সাথে কথা হল।সেলিনা আপুর কথা বলতেই সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন-“সেলিনা আমার অসম্ভব প্রিয় একজন ক্যাডেট”। আমার সাথে উনার শেষ দেখা ক্লাস টেনে থাকতে,এর পর তিনি বদলি হয়ে চলে যান।অবাক ব্যাপার কি জানেন?আমি আমার নাম বলা মাত্র তিনি আমার পুরো পরিবারের কথা গড়্গড় করে বলে দিলেন-আমরা যে তখন চট্টগ্রামে থাকতাম,বাবা বন বিভাগে চাকরি করতেন-আমার এক চাচাতো বোন মগকক তে পড়তেন…সবকিছু,সবকিছু।সেই সাথে আদনানের কথাও বললেন-ও যে গানটা গেয়ে আইসিসিতে মেডেল পেয়েছিল সেটা যে উনার পছন্দ করা এ কথাটি খুব গর্বের সাথে উল্লেখ করলেন।আমি জিজ্ঞাসা করলাম-ম্যাডাম,কিভাবে মনে রেখেন এতকিছু?উনি হেসে বললেন-কখনো শুনেছ যে মায়েরা তার সন্তানদের কথা ভুলে যায়?
বিস্তারিত»রূপবিলাস (শেষ)
৭.
টেবিলটা খালি পরে আছে, সাথে চেয়ারটাও। মানুষটা নেই। সকাল থেকে ফোনগুলো সৌরভ-ই
ধরছে। বিরক্তিকর কাজ। বারকয়েক তার ইচ্ছে হয়েছে ফোনটা ছুড়ে ফেলে দিতে কিংবা তার ছিঁড়ে
ফেলতে। দীঘি এত ধৈর্য্য কোথায় পায় বুঝে না সৌরভ। দীঘি আজ আসেনি, ফোন করেছিল অসুস্থ । সেদিনও কত চটপটে ছিল, এক রাতের মধ্যেই কি এমন হয়ে গেল!
অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (শেষ হইয়াও হইলো না শেষ)
অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (শেষ হইয়াও হইলো না শেষ)
-ওয়াহিদা নূর আফজা
বানরের থেকে আমার পার্থক্য খুব একটা বেশি না। বানরের কোমরে দড়ি বেধে ঘুংগুর বাজিয়ে কেউ তাকে নাচতে বললে সে যেমন নাচতে শুরু করবে ঠিক তেমনি আমাকেও কেউ যদি বাহবা দিয়ে সমুদ্রে ঝাপ দিতে বলে আমিও কিছু না বুঝে অতি উৎসাহে তাই করতে যাব। এই যেমন আবার স্মতিচারণ নিয়ে বসা।
বিস্তারিত»রকিমুন্নেসা ম্যাডাম
রকিমুন্নেসা ম্যাডাম ছিলেন আমাদের ফর্ম টিচার। ভীষণ জাঁদরেল। ম্যাডামের হাউস এবং ফর্ম ফিলিংস আমাদের ক্যাডেটদের কাছাকাছিই ছিল।তার ফল ভোগ করতে হত আমাদেরকে, আমরা প্রতিদিন বকা (ম,গ,ক,ক তে বকাই ছিল, মারামারির গল্প আমি সামিয়ার লেখাতেই প্রথম পড়ি) খেতাম আগের দিনের করা এবং পরের দিনের না করা কাজের জন্য অগ্রীম। (একারণে ‘খ’ শাখার, বেজোড় ক্যাডেট নম্বরধারীদেরকে আমি একটু একটু হিংসা করতাম কারণ ওদের ফর্ম টিচার হতেন মজার মানুষগুলো।) ম্যাডাম খেলাধূলাতেও বেশ ভালো ছিলেন,
বিস্তারিত»পাপমোচন-১
অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (শেষ পর্ব)
অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (শেষ পর্ব)
-ওয়াহিদা নূর আফজা
এদিকে বদলীপ্রাপ্ত সব পাকা চুলের স্যারদের মধ্যে শুধু একজন ছিলেন বয়সে তরুন। উনি রসের বিষয় রসায়ন পড়াতেন। স্যার প্রথম ক্লাস শেষ করে চলে যাওয়ার পর আমরা মেয়েরা ক্লাসে দু ভাগে বিভক্ত হয়ে গেলাম। একদল বলছে উনার গোফ আছে আরেকদল বলছে নেই। আসল সত্যটা জানার জন্য দুদল থেকে দু প্রতিনিধি পলি আর নিলা স্যারের পিছু নিল।
বিস্তারিত»অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (১ম পর্ব)
অতীত বয়ান – কেউ যদি শুনতে চায় (১ম পর্ব)
-ওয়াহিদা নূর আফজা
ক্যাডেট কলেজে আমার তিন বছরের জুনিয়র সেলিনা একদিন এই ব্লগটার সন্ধান দিল। সেই সাথে লিঙ্ক পেলাম ক্যাডেটদের লেখা প্রথম ই-বুকের। প্রথমে ই-বুকটা খুলে পড়তে বসলাম। লেখক যদি ধরে না রাখতে পারেন তবে কোনকিছু এখন আর শেষ পর্যন্ত পড়া হয়ে উঠেনা। অথচ এই ই-বুকটাতে চোখ এমনই আটকে গেল যে রাত প্রায় ভোর হবার উপক্রম।
বিস্তারিত»