এলোমেলো-৫: বাংলা

১.
খুব সম্ভবত ক্লাস নাইনের ঘটনা। আমাদের পছন্দের বাংলার এক ম্যাডাম ক্লাসে এসে আমাদেরকে একটা দরখাস্ত লিখতে বললেন। বিষয়- গ্রামে একটা দাতব্য হাসপাতাল স্থাপনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন । খুব ভালো কথা, আমিও ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে দরখাস্ত লিখতে বসে গেলাম। আমাদের গ্রামেই কেন লোকজনের দাঁতে খুব ব্যথা হয় এবং এই ব্যথা উপশমের জন্য কেন হাসপাতাল স্থাপন করা খুব জরুরী- এই সংক্রান্ত অনেক চাপাবাজী এক পৃষ্ঠার মধ্যে লিখে (দরখাস্ত এক পৃষ্ঠার মধ্যে লেখার নিয়ম ছিল) ম্যাডামের কাছে জমা দিয়ে দিলাম।

বিস্তারিত»

অসংলগ্ন ভাবনাচিন্তা ……… বয়েস এবং পেশা পর্ব

অনেক প্রস্তুতি নেয়া সত্ত্বেও ম্যাচটা মিস করলাম। একেবারে ঠিক খেলা শুরু হবার ত্রিশ মিনিট আগে টেরও পেলাম না কখন ঘুমিয়ে পড়েছি। সাড়ে বারোটার পরে ঘুম থেকে উঠে দুরুদুরু বুকে লাইভস্কোরের ওয়েব সাইটটা খুলে দেখি ব্রাজিল জিতেছে। কলেজে থাকতে দেড়টা বিশ্বকাপ পেয়েছিলাম। ৯৪ সালেরটা গোটাটাই কলেজে দেখেছি, ৯৮ সালেরটাতে, সম্ভবত, কোয়ার্টার ফাইনালের সময় আমরা এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি চলে যাই। ২০০২ এর সময় বুয়েট বন্ধ থাকার কারনে খেলাগুলো দেখেছিলাম আকিকের বাসায়।

বিস্তারিত»

আমাদের মোল্লা স্যার

একটা কথা ছিলো না……সেই ১৯৫৩ সাল থেকে…..তেমনি, সেই কোন সাল থেকে মোল্লা স্যার আমাদের ক্যাডেট কলেজ প্রাঙ্গনকে উনার পদভারে কম্পিত করেছিলেন, তা আমার এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না। তবে আমার মতো আন্ডাবাচ্চা থেকে শুরু করে আন্ডাবাচ্চার বাপ হওয়া পর্যন্ত সব এক্স ক্যাডটরা যে মোল্লা স্যারকে চেনেন, এ ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। তিনি আমাদের নুরুজ্জামান মোল্লা স্যার, গণিতের শিক্ষক।
মোল্লা স্যারের যে জিনিসটা সবচেয়ে ইউনিক,

বিস্তারিত»

মালায়শিয়ার চিঠি – ০৮


ঈদ আসছে আবার। ছেলেবেলায়, সারা বছর অপেক্ষা করে থাকতাম এই দিনটার জন্যে। অনেক মজার একটা দিন, পড়াশুনার বালাই নেই, নেই বকা ঝকা। সারা দিন ইচ্ছেমত ঘুরা আর টিভি দেখা। এখন অনেক বড় হয়ে গেছি, পড়াশুনা আর করা লাগে না, বকা ঝকার দিনও দেখতে দেখতে শেষ হল। তাই হয়তো ঈদ গুলো আর সেই ছেলে বেলার মত রঙ্গিন নেই আজকাল। তার পরেও গত দুই বছর বেশ মিস করেছি ঈদ।

বিস্তারিত»

সাপ্তাহিক ১০

ক। রোজা শুরু হবার পর থেকে দিনের রুটিন খুব সরল হয়ে গিয়েছে, ভোরে উঠে সেহেরি খাওয়া তারপর আবার ঘুম, ৯টা থেকে ৩টা ক্লাস, তারপর ইফতারের আগ পর্যন্ত টিভি, ইন্টারনেট মাঝে মাঝে ঘুম, ইফতারের পর ডিনারের আগ পর্যন্ত সামান্য আড্ডাবাজি আর সে টিভি/ইন্টারনেট, ডিনারের পর ইন্টারনেট আর মুভি, মুভি দেখতে দেখতেই ঘুম। মাঝে অবশ্য পরীক্ষার জন্য দুদিন এই চক্র ভেঙ্গে গিয়েছিল, তারপর আবার যেমন ছিলে

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট কলেজ

কলেজ থেকে আসার সময় আমার খুব গর্ব হচ্ছিল যে আমি ৬ বছর কলেজে থাকতে পারলাম। একদম ক্রেষ্ট নিয়ে বের হতে পারলাম। B-) কলেজ থেকে আসার পর যখন বাসায় আসলাম তখন প্রথম দিন ভাবলাম যাহ কি মজা আর ভেকেশান থেকে কলেজে যাবার কথা চিন্তা করতে হবেনা।
কিন্তু এই অনুভুতিটা বেশিক্ষণ থাকতে পারলোনা ওইদিন রাতেই ঘুমাতে গিয়ে দেখি ঘুম আর আসেনা যখন ভাবতে লাগলাম আমি আর কমন রুমে গিয়ে আয়েশ করে বসে টিভি দেখতে পারবোনা আমাকে দেখে আর জুনিয়ররা চেয়ার থেকে উঠে জায়গা করে দিবেনা রিমোটটা আমাদের ক্লাসের কারো হাতে তুলে দিবেনা,

বিস্তারিত»

ফ্রেমে বন্দী সিসিবি ইফতার পার্টি

যারা দেশের বাইরে আছেন কিংবা ব্যস্ততার কারণে মিস করেছেন তাদের জন্য … … দু:খ করবেন না, একদিন আপনিও দেশে আসবেন, আপনিও আমাদের খাওয়াবেন এবং তখনো আমরা আবার এভাবে সিসিবিতে তা তুলে ধরব … … তো কে কবে দেশে আসছেন – ছবি দেখতে দেখতে সেটা ঠিক করে ফেলুন … …

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট লাইফ এবং প্রবাস লাইফ (২য় পর্ব)

কলেজে আমি ছাত্র হিসাবে ছিলাম মিডিয়াম ক্যাটাগরির আর ক্যাডেট হিসাবে ছিলাম টপ বদমাইশ। প্রথম টার্মে ছিলাম ১৮ দিন এবং এরমধ্যে ২/৩ টা ঘটনা ঘটালাম।আমার প্রথম ক্যাড্ট ক্রাইম হিসেবে সুরু হল , জুম্মার নামাজের সময় , আমার দুই ফ্রেণ্ডের পাঞ্জাবির কোনা গীড়া দিয়ে দেয়া।দুঃখজনকভাবে আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার পাঁঠা তা দেখে ফেলল এবং তাঁর আভ্যাসমত কান ধরে মলা এবং ৮২ শিক্কার একটা থাপ্পর ! ক্লাস সেভেনে এইরকম কাজ করার জন্য তিনি আতিশয় আশ্চয’

বিস্তারিত»

ফ্লার্ট নিয়ে কথকতাঃ

ফ্লার্ট করা কি তা এই ব্লগের ইঁচড়ে পাকা জুনিয়র পোলাপাইন থেকে শুরু করে সম্মানিত বড় ভাইয়েরা-মোটামুটি সবার নখদর্পনে।আর ইয়ে মানে আমার পড়াশুনাটা যেহেতু দেশের নামকরা ডিজুস ইউনিভার্সিটি এন এস ইউতে-তাই মিলিটারি একাডেমি থেকে “ম্যায় হু না” এর মেজর রামের মত সরাসরি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির চক্করে পড়া এই আমার ফ্লার্টিং নিয়ে অভিজ্ঞতার ঝুলিটাও একেবারে খালি না।আপনারা জানেন যে আপনাদের মাস্ফ্যু অতি ভদ্র ছেলে তাই ব্যক্তিগত জীবনে তার ক্যারিয়ারে কালো দাগ নাই বললেই চলে।কিন্তু আশে পাশের রথী-মহারথীদের কীর্তি কাহিনী এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কখনো কখনো এতই বিনোদন-উদ্দীপক ছিল যে ভাবলাম কিছু কিছু শেয়ার করি আপনাদের সাথেঃ

১)জাতীয় ভাইয়া-আমাদের কাশেম ভাই ছিলেন পুরা রোমিও টাইপ।প্রতি সেমিস্টারে ক্যাম্পাসে কোন ডিপার্টমেন্টে কোন সুন্দরী তরুনীর আগমন ঘটেছে সে ব্যাপারে উনার জ্ঞান ছিল অনেকটা কিংবদন্তী পর্যায়ের।আশ্চর্যের বিষয়-সেই সব তরুনীদের সাথে কিভাবে কিভাবে জানি উনার ভাবও হয়ে যেত।কিছুদিন উনাকে বেশ লাজুক মুখে ঘুরতে দেখা যেত ওই তরুনীর সাথে-একসাথে গ্রুপ ডিসকাশন আর এসাইনমেন্ট সল্ভিং হত লাইব্রেরিতে-এবং সবচাইতে উল্লেখযোগ্য যেটা হত-এক মাসের মধ্যে সেই মেয়ে উনাকে “ভাইয়া”

বিস্তারিত»

ইফতার পার্টি (অপেক্ষায় আছি…………)

আসেন সবাই।
সময় হইয়া গেছে।

সিসিবিতে বইসা না থাইকা অজু কইরা ‘আল্লাহ ভরসা’ বইলা রওনা দেন। 😛

বিস্তারিত»

বিষন্নতা নিয়ে একটু রসকথা

(লেখাটি আগে অন্য একটি ব্লগে দিয়েছিলাম।)

বিষন্নতাকে বিষন্নভাবে না দেখে একে নিয়ে একটু রসকথা বললে কেমন হয়? এই যেমন অন্ধকার না থাকলে আলোর কোন মূল্য নেই ঠিক তেমনি সুখ কিম্বা আনন্দকে আরাধ্য করে তুলবার জন্য বিষন্নতার ভূমিকা অপরিহার্য নয় কি? ছোট্টবেলায় বাবা মায়ের বকুনী, ক্লাসে ভালো করতে না পারা, সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়া, প্রেমে ব্যর্থতা, চাকুরীর অনিশ্চয়তা, জীবনযুদ্ধে অন্যের চোখে পিছিয়ে পরা এরকম আরো নানা অব্যক্ত মূহুর্তে কে কখনই একদম বিষন্নতায় ভোগেননি বলেন?

বিস্তারিত»

মা

“সাহিদ রাহিদ এসেছিস?” মিসেস রহমান রান্নাঘর থেকে চুলার ওপর থেকে চোখ না সরিয়েই জিগ্যেস করলেন। “হ্যা মামনি” রাহিদের জবাব আসল। “সাহিদ তোর সাথে এসেছে?”মিসেস রহমানের প্রশ্ন। “না”; ছেলে জবাব দিলো। “কোথায় সে?” জিগ্যেস করাতে ছেলের জবাব “কোথায় আবার..সব সময় যেখানে থাকে স্কুলের পর।” মামনি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। তার বড়ো ছেলেটার ইদানিং ভিডিও গেম খেলার কি একটা নেশা হয়েছে। রাস্তার পাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা খোপের মত দোকানগুলোতে বসে থাকে।

বিস্তারিত»

খালাম্মা কাহিনী

কলেজে সবসময়ই একটা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের গ্রুপ থাকে। আমারো ছিল। তো এইরকম আমার এক দোস্তর লগে আমগো ব্যাচেরই মগকক এর এক ক্যাডেটের :just: ভালো রিলেশন ছিল। তো ওরে এর :just: বান্ধবী একটা গিফট দিছিলো, একটা ফটো ফ্রেম। বলারর দরকার নাই আমার দোস্তে ওই ফেরেমে কার ছবি বান্ধায়ে রাখছিলো 😀
তো আমার দোস্তের বান্ধবী কিঞ্চিত স্থূল হইবার কারণে আমরা ওরে খালাম্মা কইয়া ডাকতাম। 😀 😀 দোস্ত আমার হেব্বি মাইন্ড খাইতো :grr:
কাহিনী শুরু হইলো ইন্সপেকশনের দিন।

বিস্তারিত»

রকিব মিয়ার হোম ডেলিভারি সার্ভিস!!

রকিব মিয়ার চায়ের ব্যবসা ইদানিং ভালো যাচ্ছেনা। রোজার মাস বলে , নাকি রকিব মিয়ার নিয়মিত দোকানদারিতে আলসেমি – প্রকৃত কারণ কোনটা সেটা নিয়মিত ক্রেতারাই ভালো বলতে পারবেন।
তবে চায়ের মান ও গুনাগুন বৃদ্ধির ব্যাপারে দোকানদার কর্তৃপক্ষ কিন্তু সবসময়ের মতই সচেতন।

তাই আসছে ইদুল ফিতরকে সামনে রেখে চায়ের দোকানকে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। এখন আর কষ্ট করে দোকান অবধিও হেঁটে যেতে হবেনা। সবার জীবনযাপনকে আরো দুই চিমটি সহজ করতে শুরু হয়ে গেল রকিব মিয়ার হোম ডেলিভারি সার্ভিস!

বিস্তারিত»

আমাদের রসায়ন শিক্ষা

স্যার এর নামটা বললাম না।তবে যারা বেশি কৌতুহলি তাদের জন্য একটু সহজ করে দিলাম। ইংরেজিতে স্যার এর নাম দাঁড়ায় cowboy catch the moon. কেউ যদি চিনে ফেলেন তার জন্য আমি দায়ী নই।যাই হোক কাজের কথায় আসি।স্যার পড়ান খুবই চমৎকার।ওনার পড়ানোর ধরনটা তবে একটু ভিন্নধর্মী।অনেকের হয়ত মনে আছে এসএসসির বইতে অধাতুর একটা অধ্যায় ছিল।তার একটা বিশাল অংশ জুড়ে ছিল সালফার।সেই সালফার স্যার আমাদের এমন ভাবে পড়িয়েছেন যে আজো ভুলিনি।তাই স্যার এর মত করেই আজকে শিখব-
‘‘আজকে আমরা পড়বো সালফার।তোরা জানিস ইহা অধাতু ।তবে ইহার চরিত্র মোটে ও ভালনা।

বিস্তারিত»