৫.
জুতোর ভিতরে পায়ের আঙ্গুলগুলো যেন ফুটবল খেলছে। অনেকদিন জুতো পরা হয়নি সৌরভের, তাই কেনার সময় বেখেয়ালে কিভাবে যেন পায়ের মাপের চেয়ে বড় হয়ে গেল জুতোটা। বেশিক্ষণ হাঁটে না সে, বারকয়েক হোঁচটও খেল। সৌরভের টেবিলটা ঠিক দীঘিরটার সামনে। কিন্তু এই পর্যন্ত্য একবারও চোখাচোখি হল না। এই-ই ভাল; কেউ তাকিয়ে থাকলে অস্বস্থি বোধ হয় তার। কিন্তু কিছু একটা করা দরকার। এরকম হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে ভাল লাগে না। দীঘির সাথে কথা বলা যায়; কিন্তু কিভাবে তা ভেবে পায় না সৌরভ। কি বলবে সে? “আপনার টিপটা খুব সুন্দর”… আরে ধ্যাৎ… সে কি প্রেম করছে নাকি অফিসে?! এভাবে বলা যাবে না। কিছু না পেয়ে সাদা কাগজে উদ্দেশ্যহীন আঁকিবুকি করতে থাকে। আচ্ছা দীঘিকে আঁকলে কেমন হয়? একবার দেখে নিয়ে একপাশে সরে আসা চুলগুলো ভালই আঁকল, চিবুকে হালকা টান দিতেই টিপ আকঁতে থাকল সে। আশ্চর্য! এতকিছু থাকতে শুধু টিপটাই আঁকল কেন? আঁকাআঁকিতে কখনই ভাল ছিলনা সে, ছোটবেলায় ছনের ঘর আর পিছনের কলাগাছটা দিয়েই সব পরীক্ষা পার করে এসেছে। চুল ঘেরা টিপটার দিকে তাকিয়েই থাকে, আকাঁ আর এগোয় না। এসময়
দীঘি বলে উঠে,
– কি করছেন?
ধরা পরে গেল নাকি? সামলে নিয়ে বলে,
সৌরভঃ নাহ কিছু না এমনি… কাগজে কলম ঘুরাচ্ছিলাম।
-দেখি কি করলেন?
এ দেখি মহা বিপদ। কথা ঘুরাতে হবে,
সৌরভঃ নাহ কিছুনা… আচ্ছা নীলিমা ম্যাডামের পদবীটা কি?…… না… উনার ঘরটা অন্যরকম-ত; তাই বলছিলাম।
-হুম… প্রথম প্রথম আমিও কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিলাম। পরে বুঝলাম ব্যবসা দেখে রাখেন এমডি স্যার আর স্যারকে দেখে রাখেন নীলিমা ম্যাডাম।
সৌরভঃ তাই নাকি? অবশ্য সেটার কিছুটা আগেই টের পেয়েছি।
-স্যারের স্ত্রী মারা গেছেন, তাই ম্যাডামকে সবসময় কাছে রাখেন। স্যারের একটা ছেলের কথা শুনেছিলাম, কিন্তু এই অফিসের কেউ কখনো দেখেনি তাকে।
ইন্টারকমের ফোনটা বেজে উঠে এই সময়। সৌরভ বিরক্ত হয়। বেরসিক ফোন; বাজার আর সময় পেল না! দীঘি ফোন রেখে জানায় এমডি আহমদ খান তাকে তলব করেছেন। মানুষটার সামনে যেতে ইচ্ছা করেনা তার। যেসব মানুষদের একটুও বুঝে না তাদের সাথে কথা বলতে পারে না সে, এলোমেলো হয়ে যায় সব। কিন্তু বস মানুষ, উপায় নেই। একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে বসা থেকে উঠে পরে।
-আস… আস… বস।
তুমি-আপনি-তুমি! বাহ বেশ…মনে মনে বলে সৌরভ।
ঘরে সিগারেটের ধোঁয়ায় কেমন যেন একটা গুমোট ভাব। বোঝা যায় বুড়ো একের পর এক সিগারেট টেনেই যাচ্ছে। বলতে না বলতেই মুখে সিগারেট পুরে আশেপাশে দেয়াশলাই খুঁজতে লাগলেন।
– তোমার কাছে লাইটার আছে?
সৌরভঃ জ্বী না।
-সিগারেট খাও না? ভাল ভাল…। আচ্ছা কয়টা বাজে বলত?
বলেই হাতের ঘড়িটার দিকে তাকালেন।
-মেয়েটার আসার সময় হয়ে গেল।
ড্রয়ার থেকে এয়ার ফ্রেশনার বের করতে করতে খান সাহেব বলে উঠেন,
-জানালাগুলো খুলে দাও, বাতাস আসুক।
জানালা খুলে ঢাকা শহরের ব্যস্ততা চোখে পড়ে; ঘরে ঢুকে পরে মিশে যায় ছুটোছুটির সাথে। এই ফাঁকে কখন যে নীলিমা পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে টের পায় না সৌরভ, উল্টো ঘুরেই নীলিমার মুখোমুখি হয় সে। খান সাহেবের দিকে তাকায় সৌরভ, অপরাধী মাথা নিচু করে বসে আছে। বাবা-মেয়ের মধ্যে আশু যুদ্ধের আশংকায় একপাশে সরে দর্শক হয়ে থাকে সে।
নীলিমাঃ সৌরভ সাহেব আপনি আমার ঘরে গিয়ে অপেক্ষা করুন, আমি আসছি।
নীলিমার অফিসটার প্রতি বরাবরই আগ্রহ সৌরভের। সুযোগ পেয়ে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগল। টেবিলের ওপাশটায় গিয়ে তাকে থেমে যেতে হল। বিশাল টেবিলের যেখানে ড্রয়ারগুলো থাকার কথা সেখানে লাল, সোনালী মাছগুলো সাঁতরে বেড়াচ্ছে। কটা মাছ হবে; এক দুই…তিনটা। আচ্ছা মাছগুলোর নাম কি? স্মিত হাসি এগাল ওগাল হয় সৌরভের।
এসময়েই ঘরে ঢুকে নীলিমা,
-বসুন।
সৌরভঃ জ্বী।।
-আপনার দায়িত্ব হল, প্রতিদিন বাসাতে যাবার সময় বাবার সাথে থাকবেন, ফাইল দেখতে সাহায্য করবেন, কোন অসুবিধা হলে সবার আগে আমাকে জানাবেন। আর পরের সপ্তাহে ফ্যাক্টরী ইন্সপেকশন আছে, কি কি করতে হবে দীঘির জানা আছে
জেনে নিবেন। আপনার কিছু জানার আছে?
সৌরভ শুনছিল কিনা এ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ নীলিমার। আর সৌরভের মনে ভেসে বেড়াচ্ছিল লাল, সোনালী মাছগুলো। আচ্ছা মাছগুলোর নাম কি?
-আপনার যদি কোন প্রশ্ন না থাকে তাহলে আসতে পারেন।
একটু জোরেই বলে বোধহয় নীলিমা , নিজের আওয়াজে নিজেই চমকে যায়।
সৌরভঃ না কোন প্রশ্ন নেই… ঠিক আছে।
-তাহলে আপনি যেতে পারেন।
নীলিমা সিগারেট মুখে পুরে দেয়াশলাই হাতড়ে বেড়ায়, খাপছাড়া ঠেকে সৌরভের। দৃশ্যটা অনেক পরিচিত মনে হয় তার, কোথায় যেন দেখেছে।
নিজের টেবিলে এসে খেয়াল হয় এঁকে রাখা কাগজটার কথা। সর্বনাশ! দীঘি দেখেনি-ত। দীঘিকে আড়চোখে দেখে সৌরভ, একমনে কাজ করেই যাচ্ছে যেন কিছুই হয়নি। কাগজটা আস্তে করে ড্রয়ারে রেখে দেয় সে। বাবা-মেয়ের মান-অভিমান পর্বে এতটাই মজেছিল যে কাগজটার কথা বেমালুম ভুলে গেল! আপন মানুষগুলোর কাছে সত্যিই সবাই অসহায়, দোষ করে ধরা পরার চেয়ে মনে কষ্ট দেয়াটাই মূখ্য হয়ে পড়ে। তারপরও আশেপাশে ঘিরে থাকা আপন চেহারাগুলোই নীরবে শক্তি যুগিয়ে যায়, সৌরভের যেমন।
৬.
আজকে সৌরভের মন কেমন যেন করছে। অফিসে আসতে ইচ্ছে করছিল না, আজ কি তার অফিসে আসা উচিত? কিন্তু গতকাল খান সাহেব বলে দিয়েছেন সবাইকে আজ সময়মত আসতে, ফিল্ডে যেতে হবে। ফিল্ড মানে কারখানা পরিদর্শন। বেশ রাজকীয় ব্যাপার স্যাপার। বডি গার্ডের সাথে অফিসের চৌকিদারও জুটে যায় দলে। প্রথম প্রথম এসে বডি গার্ডের কথা শুনে সিনেমার নায়কের কথাই মনে হয়েছিল সৌরভের, চোখে কালো গ্লাস, পকেটে নাইন এমএম পিস্তল। কিন্তু কিসের কি! এমডি-র বডি গার্ডের নাম বখতিয়ার হোসেন। ছোট-খাট গড়নের মানুষ, কথা কম বলে। কিন্তু কি এক আশ্চর্য কারণে সৌরভের মনে হয় মানুষটা সারাক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে থাকে। ট্যারা বলেই বোধহয় বা চেহারাটাই মনে হয় এরকম, কে জানে! খান সাহেবের গাঁ ঘেঁষে থাকে সবসময়, ব্যাপারটা যে সাহেবের পছন্দ না তা জেনেও। উপায় নেই; নির্দেশ যে অন্য কার্যালয় থেকে আসা। সেটা গার্ড মহাশয়ও যেমন জানে, তেমনি আহমদ খানও।
চকচকে গাড়ির পিছনের আসনে এমডি-র সাথে সৌরভ বসে। মানুষটা এত কথা বলতে পারে ধারণা ছিল না তার। এই সেই বলার এক পর্যায়ে আহমদ খান বলেন,
– সৌরভ তুমি কখনো খুব অবাক হয়েছিলে কোন বিষয়ে?
এই ঘটনাটা সৌরভ খুব আগ্রহ নিয়ে বলে সবাইকে,
-একবার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবার সময় এক ভিক্ষুক আমার কাছে কোন টাকা না চেয়ে সালাম দিয়ে পাশ কেটে চলে যায়। কিন্তু বরাবরের মত এবারো তার আগ্রহে ভাটা পরে যায়, ছাপিয়ে যায় খান সাহেবের হাসির দমকে,
-হা হা হা… আরে এতে অবাক হবার কি আছে?
সৌরভঃ কিছু না……
উদাস মনে বাইরে তাকিয়ে থাকে সে, মানুষ গুলো যেন স্থির দাঁড়িয়ে আছে। শুধু সেই-ই ছুটে চলছে। ছোট জানালার স্থিরচিত্র বদলে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত, শুধু সেই-ই বদলাতে পারছে না। মানুষগুলোকে চেনার সময় নেই, ক্ষনস্থায়ী স্মৃতির মত ক্ষনিকের বসতি।
………………………
কারখানার মানুষদের দেখে যন্ত্র বলে ভ্রম হয় সৌরভের। কোন দিকে না তাকিয়ে এক মনে কাজ করেই যাচ্ছে। অবশ্য সৌরভকে কিছুই করতে হচ্ছে না। এমডির চারপাশ ঘিরে আছে কারখানার লোকজন, পাশে দাঁড়াবার সুযোগ নাই। কাজ শুধু সাথে নিয়ে আসা ফাইলগুলো একটার পর একটা এগিয়ে দেওয়া। যন্ত্রের দেশে এসে খান সাহেবও যেন যন্ত্র হয়ে গেলেন। এত তাড়াতাড়ি বড় বড় ব্যাপারগুলোতে মত দিয়ে যাচ্ছেন, যেন আগে থেকেই জানেন কি হবে। হঠাৎ-ই বাইরে শোরগোল শুনা যায়। সৌরভ মিটিং রুম থেকে বের হয়ে দেখে মধ্যবয়সী এক মহিলা মরা কান্না জুড়ে দিয়েছে। এমডির সাথে দেখা করতে চায়, ছোট ছেলের অপারেশন। লাখ দেড়েক টাকা না হলেই হচ্ছে না।
অবশেষে যখন যান্ত্রিক কাজগুলো শেষ হল, মহিলাকে ভেতরে ডেকে পাঠালেন খান সাহেব। মহিলা তখনো কেঁদে চলেছে। অশ্রুধারা গড়িয়ে পরছে দু’চোখ বেয়ে; নাকি ভালবাসার রক্ত। ভালবাসার রক্ত বুঝিবা বর্ণহীন।
-স্যার… আমার ছেলেডারে বাচান স্যার। আমি হারা জীবন আপনের কামলা খাটূম মাগনা স্যার… বাচান স্যার। আপনের পায়ে পড়ি স্যার।
বলেই মহিলা সত্যি সত্যি পা ধরে বসে। খান সাহেব কোন মতে সরে এসে বলেন,
-আরে করছে কি? পরিবারে কে কে আছে?
মহিলাঃ স্যার আমার দুই পোলা আর আমি।
-বড় ছেলে কি করে?
মহিলাঃ স্যার গেরাজে কাম করে।
-ওকে এখানে নিয়ে আস। আমি ম্যানেজারকে বলে দিচ্ছি চাকুরীর ব্যাবস্থা করে দিবে। আর সৌরভ; টাকার ব্যাবস্থা কর কোম্পানীর ফান্ড থেকে, মাসে মাসে বেতন থেকে টাকা কিস্তি দিয়ে পরিশোধ করে দিবে মা-ছেলে মিলে।
মহিলাঃ স্যার আপনে ফেরেশতা স্যার… আমার পোলাডারে বাঁচাইলেন স্যার…
বলেই আবার পা ধরতে বসে পরে, বখতিয়ার হোসেন এবার এগিয়ে এসে বাইরে নিয়ে যায় মহিলাকে। মানুষকে বোঝা আসলেই দায়। একটু আগের মহিলার কাছে যেন এই মহিলা ভিনদেশী আগন্তুক, আঁধারে আলো হাতড়াতে এসে যে আভা ছড়িয়ে গেল তা অনেকদিন দেখেনি সৌরভ।
……………………..
ধাতব মানুষগুলোর প্রাণ ফিরে পেতে যতক্ষণ সময় লাগে, ততক্ষণে সন্ধ্যা নেমে আসে। দিনভর ব্যস্ত মানুষগুলো ঘরে ফেরার জন্য আরও ব্যস্ত হয়ে পরে।
গাড়িতে খান সাহেব চোখ বন্ধ করে গাঁ এলিয়ে বসে থাকেন। মনে হয় এটাও তার একটা খেলা।
-তুমি কখনো কারও জীবন বাঁচিয়েছ?
সৌরভঃ জ্বী না।
-আমিও না।
সৌরভঃ কিন্তু আজকে-ত বাঁচালেন…।
-নাহ… আজকে আরও একটা জীবন নিলাম।
সৌরভ হয়ত কিছু বলতে চেয়েছিল কিন্তু নিয়ন আলোয় মৃদু চালে বুড়োর মাথা নাড়ানো দেখে উৎসাহ পায় না। মহিলার চেহারাটা একটা ছবি হয়ে থাকে সৌরভের মনে, জানেনা কতদিন তাড়িয়ে বেড়াবে; ভাবাবে।
(আগামী দুই পর্বে শেষ করার চেষ্টা করব, এই সপ্তাহে)
🙂
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
:salute:
দারুন গল্প ...... :boss: :boss: :boss: :clap: :clap: :clap:
ধন্যবাদ ভাই... 🙂
আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি।
এই অংশটা ভালো লেগেছে।
তোমার গল্পগুলো পড়তে হয় খুঁজে নিয়ে।
🙂
অসাধারণ সিরিজ ছিল, আছে ...
তয় এই লাইন্টার মত অসাধারন কিছুই নাই ...
:khekz: :khekz: :khekz:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
ম্যালাদিন পর হাস্না ... বুখে আয় :hug:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
:hug:
তোমার লেখার অপেক্ষায় ছিলাম অনেকদিন, পড়ে কে যেন বলবো তোমার পিসি আর নেটের কম্বিনেশন হচ্ছে না জন্য তুমি নেটের বাইরে।
কদিন থেকে তোমার কমেন্ট দেখছি, লেখা পাব এটা আশা করিনি। 🙂
ভালো আছো আশাকরি, লেখাটা নিয়ে কিছু বলছিনা কারন শেষ্টা এখনো দাও নি তুমি।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
"পড়ে কে যেন বলবো" এর জায়গায় "পরে কে যেন বললো" 😛
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আসলেই বস পারমুটেশন কম্বিনেশন ঝামেলায় ফেলায় দিছে... :grr:
এই পর্বটা দারুণ লাগল। ঝরঝরে একটা লেখা, পড়তে বিরক্তি লাগেনি। :clap: :clap:
এই সপ্তাহেই শেষ করতে পারবা- খুব ভালো। আগের পর্বগুলোর কথা তো ভুলেই গিয়েছিলাম। 😀
লুঙ্গি বাইন্ধা নামছি ভাই ... এই লেখার শেষ দেইখা ছাড়ুম .. 😀
ভাইরে এত্তদিন পর লিখলি । আমার তো মনে হচ্ছিলো ভুলে গেছি, পড়তে গিয়ে দেখি এখনো মনে আছে । লেখা চলুক, টি্ব্রেক বেশি বড় নিস না ।
:boss:
বস টি ব্রেকের মেন্যু ভাল থাকলে কি করুম.. :grr:
ব্রেক শেষ কর তাড়াতাড়ি x-(
পিছন গিয়া দেখলাম আগেরটা লিখছিলা ৯ ডিসেম্বর, ২০০৮! তা এই পর্বটা এতো তাড়াতাড়ি ছাড়লা ক্যান? আগামী ৯ ডিসেম্বর শুভমুক্তি দিলে হইতো না?? :grr:
কাহিনীতে মোচড় দিচ্ছ মনে হয়! লিখতে থাকো।। :clap:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
:khekz: :khekz:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
:gulti: :khekz:
বস আশা আছে আগামী 9 DEC এই লিখার রিমিক্স ছাড়ব... তাই আসলটা একটু আগে দিয়া দিলাম. 😀 :grr: :grr: :grr:
কতদিন পর হাস্নার লেখা পাওয়া গেল 🙂 কবে সেই ক্লাস নাইনে থাকতে দিছিল একটা তারপর আবার 😛 পুরাটা পড়ে লেখা নিয়ে কিছু বলব তবে এই পর্ব সাবলীল :thumbup:
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
:thumbup:
এই লেখার কথা ভুলতেই বসছিলাম। আগের পর্বগুলাতে আমার কমেন্ট নাই কেন বুঝতে পারছি না। লিখতে থাক হাস্না।
দোস্ত সবকিছু চুরি হইতাছে... এখন আমার লেখায় কমেন্ট চুরি!!! :grr:
আগের পর্বতো ভুইলা গেছি। যাই পইড়া আসি! :grr:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
বস কই গেলেন.... পড়ে ত আর ফিরে আসলেন না ... 😛
এতদিন পর, কই থিকা? 😕
ভাবী বাকি চেয়ে লজ্জা দিবেন না। :shy: :shy: