ছবিগুলো ই-মেইলে পেলাম। ভাবলাম শেয়ার করি। অনেকের কাছেই পুরনো হতে পারে।
(কোন ছবি বড় সাইজে দেখতে হলে ক্লিক করুন)
ডায়েরীর পাতা থেকে উদ্ধার করা জঞ্জাল – ৬
১২ অক্টোবর ২০০৩ রবিবার
আজকে শবে বরাত তাই ছুটি। সারাদিন ফাউল কাজ করে কাটিয়েছি। রুমে পোলাপান কার্ড খেলছে 29. ফয়সাল, মঞ্জুর, আনোয়ার, ওয়ালিউল্লাহ। হাসান বই পড়ছে জানি না কি। লাঞ্চ হচ্ছে আমি যাই নাই। বিরক্তিকর ডিম ভাজা। অলস দুপুর, গরম, বিদ্যুত নেই সকাল থেকে। ৬ ঘন্টা হতে চলেছে। এমনিতেই কলেজের জেনারেটার নষ্ট। শুরুতে ছিল দানব আকৃতির Rolls Royce এর। ওটা ফুরাতে নতুন একটা নিয়ে এসেছে যেটার ব্র্যান্ড কি জানি না।
আচার ০২১: পরবাসীর রোজনামচা
ফ্যাকাল্টিতে মেশিন শপ দুইটা। একটা স্টুডেন্টদের জন্য। দুইটা মিল, কিছু লেদ, একটা গ্রাইন্ডিং হুইল, একটা শিট মেটাল বেন্ডিং মেশিন, গোটা দুয়েক পাওয়ার ড্রিল- স্টুডেন্টদের জন্য বরাদ্দ এইগুলাই। ইদানীং অবশ্য একটা সি এন সি লেদ ইনভেনটরিতে যুক্ত হইছে। আরেকটা মেশিন শপ হইলো টেকনিক্যাল সার্ভিসেস। মোটামুটি বেশ ভালো এদের যন্ত্রপাতি, অনেক কিছু আছে। এরা ইউনিভার্সিটির বাইরের ফরামায়েশি কাজ কর্ম বেশি করে। এবং এই কাজ করার জন্য অনেক টাকা চার্জ করে।
বিস্তারিত»প্রফেশনাল
লাস ভেগাস মাহমুদ ভাইয়ের লেখার একজন ভক্ত আমি। প্রথমে একটা হাইপোথিসিস দাঁড় করাবেন, তারপর হাইপোথিসিসটাকে ঘিরে আর্গুমেন্ট ডেভলপ করবেন। পুরা গাণিতিক সমীকরণ মার্কা অবস্থা। এই পোস্টটা সেভাবে যদি লিখতে পারতাম, ভালো হইত। মিস্তিরি মানুষ, যুক্তিবিদ্যা পড়া নাই। হাইপোথিসিস টেস্টিং-এ আমার দৌড় পরিসংখ্যান পর্যন্ত, সুতরাং আমার স্টাইলেই লিখতেছি।
প্রফেশনাল মানেটা কি? বাংলা করলে দাঁড়ায় পেশাজীবি। যতোটুকু ইংরেজি জানি, তাতে মনে হয় শব্দটা পেশার প্রতি নিবেদিত হওয়াটাকে বুঝায়।
বিস্তারিত»২০ বছর আগের দুটি ডায়েরি, কয়েকটা কবিতা, কিছু স্মৃতি
পুরানো বুকসেল্ফটা পাল্টাতেই হলো। পোকা এখন সেল্ফ শেষ করে বই-এ আক্রমন করতে শুরু করেছে। মুজতবা আলীর দেশে-বিদেশে বইটাই সবচেয়ে উপাদেয় বলে মনে হলো পোকাদের কাছে। বইটা ধরতেই পৃষ্ঠাগুলো ঝুর ঝুর করে পরলো আমার হাতের মুঠোয়। তাই নতুন একটা বইয়ের সেল্ফ কিনতেই হলো।
আমার বই রাখার সেল্ফ চারটা। পাল্টালাম সবচেয়ে পুরোনোটা। এটার বয়স কম করে হলেও ২৫ বছর। বা তারও বেশি। প্রথম যখন সেল্ফটা কিনি তখন তিন তাকের এক তাক মাত্র ভরতে পেরেছিলাম জমানো বই দিয়ে।
মীথবাজিঃ সিসিফাস ২
আজকাল ডে-লাইট সেভিঙয়ের কারণে বেলা বোঝা যায় না। আমরা, যারা এই বিষুবের কাছাকাছি বাস করে অভ্যস্ত, আমাদের কাছে ছয়টা মানে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা এসে যাওয়া। ধীরে ধীরে আলো কমে আসা। জুলাই মানে বর্ষাকাল, আকাশে গুমগুমে মেঘ বা ঝিরঝির বৃষ্টিতে আরো আগে থেকেই আঁধার ঘনিয়ে আসে। কিন্তু আজকে কাচের দেয়ালে তৈরি অফিস থেকে বের হয়ে সুমনের মনেই হয় না যে ছয়টা বাজে! বাইরে ঝকঝকে রোদ। বাতাস হুটোপুটি খেলছে।
বিস্তারিত»হাবিজাবি।
সহজিয়া-২
আই,ইউ,টিতে শেষ কিছু দিন কাটাচ্ছি।এইতো আর মাত্র কিছু দিন,তার পরেই আবার দিকভ্রান্তের মতো ছোটাছুটি করতে হবে।কি করব কিছুই জানি,কি হবে সেটাও জানি না।কলেজ থেকে যখন বের হলাম যেমন অনুভূতি হয়েছিল এবার ও একই অনুভুতি।সামনের দিনগুলির কথা ভাবলেই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।কতই না মজায় ছিলাম!
আমি এমনি খুব বাসা পাগল।কলেজেও ছিলাম, এখন ও আছি।এখনো আই,ইউ,টি গেলে কবে বাসায় আসবো সেই চিন্তায় বিভোর থাকি।কলেজর শেষের সময়টায় আমার খুব মন খারাপ থাকতো।মায়াটা খুব বেশি বেড়ে গিয়েছিল বোধ হয়।টি ব্রেকের বাশি যখন পড়ত তখন ১ নাম্বার রূমের পাশে দাড়াতাম আর জুনিওরদের ফলিন যাওয়া দেখে মন খারাপ হয়ে যেতো।এত দ্রুত কিভাবে যে সময় টা গেল বুঝতেই পারলাম না!
ফ্রী-নাইটঃ নাটক বিষয়ে অহেতুক সংলাপ
০।
কলেজের স্বাদ এখনও মুখ থেকে যায় নায় তাই বৃহস্পতিবার মানেই আমার কাছে এখনো ফ্রী নাইট, যেই দিন পড়াশুনা ছাড়া আর যে কোন কিছু করা জায়েয। তাই প্রতি বহস্পতিবার আসলেই সন্ধ্যার পর ঘরে থাকা দায় কারণ আড্ডা ছাড়া মানুষ বাঁচে নাকি? এই আড্ডায় ক্লাস, হাসাহাসি, খোঁচাখুঁচি, প্রেম সব চলে সমান তালে সাথে মাঝে মাঝে চলে অহেতুক দেশ উদ্ধার। আজকে এমন এক দেশ উদ্ধার করতে গিয়েই একটা কথা মাথায় ঘুরছে,
হাত বাড়ানোর আহবান
ক্যাপ্টেন রাফির(বিসিসি ১৮, সিপি) বাবার ঢাকা সিএমএইচ এ বাইপাসের জন্য এবি নেভেটিভ রক্তের প্রয়োজন।
কেউ দিতে আগ্রহী থাকলে দয়া করে যোগাযোগ করুন।
০১৭৩০০০৯০০৬(রাফি)। ০১৯১১৮৯৩৭০৮(আরিফ)
ডায়েরীর পাতা থেকে উদ্ধার করা জঞ্জাল – ৪
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৩
বৃহস্পতিবার
মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের শেষ শিক্ষাবর্ষের কয়েকটি মাস বাকি আছে। তারপর মুক্তি, স্বাধীনতা যে যেটাই বলুক না কেন। বিরক্তির চূড়ান্ত সীমায় অবস্থান করছি। কিভাবে যে বেচে আছি তা উপরওয়ালা জানেন। কলেজটা এখন একনায়কতন্ত্রের একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। প্রতিটা পদে আটকানো হচ্ছে আমাদের। নিয়মের মাঝে শক্ত করে বেধে ফেলেছে আমাদের। এতটা কখনই দরকার ছিল না। Red Book এর Reference দিয়ে সব নিয়ম আরোপ করা হচ্ছে।
মীথবাজিঃ সিসিফাস ১
[কামরুল তপু (‘০২) ও রায়হান আবীর (‘০৫) এর দেখাদেখি আমিও! 😀 ]
=====================================
থানাটোসের ঘুম ভেঙেছে সেই ভোরে। সকালে দাঁত মাজতে মাজতে সে দেয়ালে সেঁটে রাখা লিস্টি দেখছিল। মুখ ভর্তি ফেনা থু করে ফেলে দিয়ে কুলি করতে করতে সে শিডিউল মিলিয়ে নেয়। সকালে কয়েকজনের আত্মা তুলে রাখতে হবে। এটা তেমন কোন ব্যাপার না, সকালে সবাই গভীর ঘুমে ডুবে থাকে। খুব সহজেই কাজ সারা যায়।
ফ্ল্যাশব্যাক ০৩
১। আমার ফ্রেণ্ড মাহবুবের ওয়াইফের নাম হাসি। হাসির মামাত ভাই রাজ়ীব মাহবুবকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে ওর এক চাচার সাথে-
চাচা, এইটা হইল হাসির ভাতাড় ।
জামাইকে অনেক জায়গায় ভাতাড় বলা হয়। সম্ভবত ভাতের জোগান দেয়ার পুরস্কার সরূপ এই নাম।
২। আমার মামীর ব্লাড ক্যান্সার। গত মাসে উনি ছিলেন কাকরাইলে ইসলামি ব্যাংক সেন্ট্রাল হাস্পাতালে। ব্লাড দরকার ছিল তাই আমার এক কলিগকে (কৃতজ্ঞতা মাছুম ভাইকে) নিয়ে গেলাম।
বিস্তারিত»আমি আরেকটি কবিতা বলবো, আমার কবিতার নাম-
নূপুর ভাইকে খুঁজছিলাম মনে মনে।
সুকান্ত অনেক অনেক আগে গলা ফুলিয়ে বলে গেছিলেন, কবিতা তোমায় দিলেম আজকে ছুটি।
আমার উল্টোটাই হয়, সারাদিন গদ্য নিয়ে থাকি, মাঝে সাঝে তাই গদ্যকে বিশ্রামে পাঠিয়ে কবিতা নিয়ে পড়ি। এই যেমন এখন আবুলহাসানের ভুতে ধরেছে, এবং তারপরে সেই ভুত, সেই পুরনো দিনের তিনগোয়েন্দার ভুত থেকে ভুতে স্টাইলে আরও অনেকগুলো ভুতকে ডেকে আনলো। সেই ভুতেদের নাম যথাক্রমে হেলাল হাফিজ,