জানার আছে অনেক কিছু – ১৯ দিনের একটি মাস

কিভাবে সম্ভব…??? ব্যাপারটা শোনার পর আসল কাহিনি জানতে ইচ্ছা হল, আর আসল কাহিনি জানার পর মনে হল অনেকেই হয়তো আমার মত ব্যাপারটা জানেন না। তাই আমার মত ব্যাপারটা যারা জানেন না তাদের জন্য ঘটনাটা সিসিবিতে শেয়ার করার ইচ্ছা হল।
————————————————————————

২ সেপ্টেম্বর ১৭৫২। এইদিন রাতে স্বাভাবিক নিয়মে সবাই ঘুমাতে গেলেও অনেকটা সরকারী নির্দেশেই সবার ঘুম ভাঙ্গে ১১ দিন পর অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে।

বিস্তারিত»

কাটপেষ্ট কৌতুক -২

১.
ইঞ্জিনিয়ারিং এ সদ্য ভর্তি হওয়া তিন ছাত্রের তর্কের বিষয়বিস্তু ‘মানবদেহ কে নকশা করতে পারে?’
প্রথমজন বলল, ‘বোধহয় মেকানিক্যাল এঞ্জিনিয়রের কাজ। লিভার, পিভট প্রভ্বতি সবকিছুই তো আছে মানব দেহে। এটা মেকানিক্যাল না হয়ে যায় না’

বিস্তারিত»

এ জার্নি টু দা ক্যাপিটাল অফ ম্যাংগো

গত এপ্রিলে আমার বন্ধূ মাহবুবের শশুড় বাড়ী রাজশাহী গিয়েছিলাম। তখনি বললো জ়ুনে ‘আম খেতে চাপাই নবাবগঞ্জের ভোলাহাট যাওয়ার প্ল্যান আছে। ব্যাপারটা মাথায় রাখিস। সময়মতো ডেট জানানো হবে’। ভোলাহাট ওর মামা শশুড়ের বাড়ী।

প্ল্যান মাফিক বৃহস্পতিবার ছূটি ম্যানেজ করলাম। এখন যে ল্যাংড়া আমের সিজন। আগামী সপ্তাহে ফজলী। ১৭ জ়ুন বুধবার অফিস করে বাসায় গিয়ে কল্যাণপূর যাওয়ার জন্য বের হই এবং অবধারিত ভাবে ৪০ মিনিট দাড়িয়ে থাকার পর সি এন জ়ি পাই।

বিস্তারিত»

সদ্য কবির পদ্য

(অনুবাদ – সনেট ০৩ এ জিহাদের মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে রচিত প্রতিবাদ…)

‘পদ্য লেখা অতি সোজা’, সদ্য কবি বলে,
‘মগজ থাকুক, না-ই বা থাকুক ঘটে;
কাগজ এবং কলম হলেই চলে!’
শুনে এমন কথা, বললো সবে, ‘বটে!
ওহে লেখো দেখি, তাই যদি হয়, তবে
পদ্য এমন মহান, যাতে একসাথে
রইবেন রবি, শেক্সপিয়ারও রবে-
উঠবে ফুটে সমস্ত এক নকশাতে।’

কবি বলে,

বিস্তারিত»

দ্বার খোলো , প্রেম

উড়ন্ত চুম্বনে বিশ্বাস নেই আমার,
অধরে অধর না মিলিলে কি চুম্বন হয়?
প্লেটোনিক প্রেম? হাহ্, সে কি হয় কখনো?
আমার প্রেম দেবরাজ জিউসের মতো।
হৃদয় জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি আমার, ধমনীতে তপ্ত লাভা,
প্রেমিকার চোখেমুখে উন্মত্ত কামনা, নেই লাজরাঙা আভা!
হৃদয়ের উত্তাপ দেহের উত্তাপে হিম হয় যখনি,
প্রেম তার সবকটি দ্বার খোলে তখনি।

মুস্তাকিম (৯৪-০০)
২০ তম ইনটেক
রংপুর ক্যাডেট কলেজ
৩০ জুলাই,

বিস্তারিত»

অনুবাদ – সনেট ০৩

নিদ্রা যান প্রেম-দেব একদা অঘোরে
শয্যাপাশে প্রেম-শর বহ্নিতপ্তজ্যোতি,
সতীসাধ্বী রূপসীকূল ইত্যবসরে
চলেছে সে পথে, তারি শ্রেষ্ঠ রূপবতী
লহে সেই অগ্নিবাণ অনাঘ্রাত হাতে
তাপ লভিয়াছে যার হৃদয় কতনা;
তপ্ত কামনার প্রভু গভীর নিদ্রাতে
নিরস্ত্রীকৃত, নিকটে কুমারী ললনা
জুড়ায় শীতল কূপে প্রেমাগ্নি-তূণীর,
বারি তার লভে তাপ চির-হুতাশনে,
হয়ে ওঠে ধন্বন্তরি রোগহরা নীর;
একদা গেলেম সেথা, প্রিয়ার শাসনে,

বিস্তারিত»

আমার প্রিয় দুই উপন্যাস

ছুটি হলেই আমাদের যেতে হতো নানা বাড়ী। মনে আছে আমার খালারা রোববার দুপুরের পর সবাই মিলে রেডিওর নাটক শুনতো। আমরাও শুনতাম। আমারা মা-খালা সবারই বই পড়ার অভ্যাস ছিল। তারা সদ্য পড়া বইটি নিয়ে আলোচনাও করতো। সে সময়ই আমি শুনি দৃষ্টিপাতের কথা। চারুদত্ত আধারকার নামটি সে সময়েই আমার মুখস্ত হয়ে যায়।
বইটি আমি হাতে পাই অনেক পড়ে। আমার মায়ের বেশ কিছু বই ছিল। আমার মা বই কিনতো।

বিস্তারিত»

পরাজয়

(আজ একটা মৌলিক কবিতা হয়ে যাক…)

পৃথিবীর প্রতিটি পুরুষ
কবিতা লিখেছে কোনো নারীকে নিয়ে;

হয়তো রাফখাতার শেষ পাতায়,
মনের কোনো অযতন কোণে,
মুহূর্তের ভাবালুতায়…

প্রকাশিত কিংবা অপ্রকাশিত।

বিস্তারিত»

ওমর খৈয়ামের একটি রুবাইয়াত

সন্ন্যাসী আর বিজ্ঞানীতে তর্ক চলে যে দরবার
কৌতুহলে সেইস্থলে যাইতাম আগে বারংবার
কত্তোরকম তত্ত্বকথা, তর্ক শেষে দুইজনে
বাহির হতেন একই পথে, যেথায় আমার প্রবেশদ্বার।

বঙ্গানুবাদ: সৌমিত্র চক্রবর্তী

বিস্তারিত»

অনুবাদ – সনেট ০২

তিন সত্যি কাটে প্রিয়া প্রায় প্রতিদিন
জানি সবই মিছে, তবু করি বিশ্বাস,
পাছে সে আমায় ভাবে কাণ্ডজ্ঞানহীন,
ছলনা বুঝিনা বলে করে পরিহাস।
বুঝি মোরে যুবা ভাবে, ভাবি অকারণ,
যদিও সে জানে সেই দিন আর নেই,
অসৎ রসনা তার করি আরাধন:
সততা পড়েছে চাপা দুই পাশেতেই।

বিস্তারিত»

ফ্ল্যাশব্যাক ০৫

১।আমাদের কলেজ়ে মাঝে মাঝেই সাডেন ইন্সপেকশন হতো। একাডেমি ব্লকে এসে ক্লাশ টাইমে হঠাৎ আমাদের চাবি চেয়ে নিয়ে হাউস ডিউটি মাস্টাররা এবং এডজুট্যান্ট স্যার লকার চেক করতেন। তখন ত সবার আত্নারাম খাঁচাছাড়া। কিছু স্যার আবার ছিলেন বেশ উদার। ইংরেজীর শফিক স্যার আমাদের একজনের লকার থেকে এডুর চোখ ফাঁকি দিয়ে ‘পুস্তিকা’ নিজের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন।
আরেকদিন চাবি নেয়ার পর আমাদের একজন মোকসেদুল ইসলাম রাজা স্যারকে কাঁচুমাচু করে বলল-
“স্যার আমার লকারটা একটু…”
স্যার দ্বায়িত্ব নিয়ে সেভ করলেন এবং পরে ঝারি দিলেন “ এত সস্তা জিনিস পড় কেন,

বিস্তারিত»

……..কলেজেই আমার প্রথম সিগারেট খাওয়া……..

তখন আমি ‘পৌনে নাইনে’ পড়ি……শব্দটা আমারই উদ্ভাবিত বোধহয়…..যার অর্থ হলো এইটের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়নাই…….

যা হোক আমার ৪বছরের (নাইন-টুয়েলভ) রুমমেট বাশাদের সাথে ইতিমধ্যে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি…….এবং এইখানেও ওর অনিবার্য উপস্থিতি…….

বাশাদই প্রথম আমাদের হাউসে প্রথম সিগারেট ধরে আমাদের মধ্যে……পরপরই নাভেদ……তো ওরা রেস্ট টাইমে টয়লেটের ভিতর লুকিয়ে সিগারেট খেত…..(অফটপিক: প্রথম গোল্ডলিফে টান দিয়ে এই বাশাদই ‘ফিট’ হয়ে গেছিল :chup: ……)

যা হোক আমি নিতান্তই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে টয়লেটে গিয়ে ওদের দুইটাকে পেলাম……কিছুক্ষণ পাহাড়াদারের কাজও করলাম…

বিস্তারিত»

সেরা বড়দের ছবি

স্কুলে পড়ি, তখন আমাদের ভাইবোনদের ববি আর কুরবানি দেখতে দেওয়া হয়নি। এগুলো বড়দের ছবি। ববিতে ডিম্পল আর কুরবানিতে জিনাত আমান বিকিনি পড়েছিল, ব্যস তাতেই এগুলো বড়দের ছবি হয়ে যায়।
আমার দেখা প্রথম বড়দের ছবি ব্লু লেগুন। রীতিমত আয়োজন করে দেখা। বয়সে বড় খালাতো ভাইয়ের বন্ধুরা সবাই মিলে দেখেছিল, আমিও কেমনে যেন ঢুকে যাই সে দলে। আমাদের সময়ে বড়দের বড়দের বড়দের ছবি দেখানো হতো বেগম বাজারে,

বিস্তারিত»

ট্যুর ডি টাঙ্গাইল

গত কয়েকদিন যাবৎ আমি বেশ মনোদৈহিক যাতনার মধ্যে আছি। ব্যাপারটা প্রিন্সিপাল স্যার অবগত। ডেস্কজব করলে যা হয় আর কি, ব্যাকপেইন। হওয়াটা খুব ইজি বাট খতরনাক এন্ড লং লাস্টিং ।আমার ঠিক এখনো হয়নি কিন্তু সেরকমই ঈঙ্গিত দিচ্ছে। তাই সময় থাকতে সাধু সাবধান হও নীতিতে তৎপর। এখনি এইটার মূলোৎপাটন করাটা বাঞ্ছনিয়। এখানে বলে রাখা ভাল আমার শরীর ছিল বিশ্রি রকমের ভাল। ক্যাডেট কলেজে ফাঁকি মারার জন্য খুব কমই সিক রিপোর্ট করতে পেরেছি।

বিস্তারিত»

অগোছালো এই আমি…

অনেকদিন পর সিসিবিতে আসলাম। ফয়সালের লেখাটা পড়ে মনটা ভাল হয়ে গেল। সবার অনেক লেখা দেখে খুব লিখতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু আজ মনটা খুব খারাপ লাগছে। হঠাৎ বাবার কথা খুব বেশি মনে পরছে। কাল এক বন্ধুর সাথে প্রথম কথা বলতে গিয়ে জানলাম আমার এই বন্ধুটির বাবা নাই। ডিফেন্সে চাকরির সুবাদে তার বাবাকে কুয়েতে যেতে হয় এবং তিনি ওখানে মারা যান। আজ ২৫শে জুলাই তার ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী।

বিস্তারিত»