পলিটিক্স

(বানানগুলো ইচ্ছে করেই অন্যরকম লিখলাম, পরীক্ষামূলক আর কি!)

মঞ্চে উঠে মন্ত্রী যখন শুরু কল্লেন গালি
হয়ে গেলো সামনের সব চেয়ারগুলো খালি
এক্কোণে এক বুড়োটে লোক ঠোঁটে নিয়ে বিড়ি
দেখাচ্ছিল মন্ত্রীকে এক মস্তবড় ছড়ি
মন্ত্রী বলে, ‘মূর্খ ওটা, কচ্ছে ভারত-দালালি’
বুড়ো বলে, ‘একাত্তরে পাকিস্তানে পালালি’

বিস্তারিত»

ছোটবেলায় লেখা অণুকাব্য

রবীন্দ্রনাথ যে বয়সে জল পড়ে, পাতা নড়ে লিখেছিলেন সে বয়সে আমার কাব্য প্রতিভা রবি ঠাকুরের চাহিতে কিঞ্চিৎ বেশী ছিলো। বছর পরিক্রমায় কবিগুরুর কাব্য প্রতিভা চরমভাবে বিকশিত হইলো, আর আমারটা কালের গর্ভে চিরতরে হারিয়ে গেলো। যাহা হউক, আমার শৈশবের প্রতিভার অল্প কিছু ঝলক একটি খাতায় সংরক্ষিত ছিলো আজ আপনাদের সম্মুখে উপস্হাপন করিতেছি।

বিস্তারিত»

পদ্যাতীত : পুনর্লিখন

(সবার গঠনমূলক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কবিতাটা আবার লিখলাম…)

পড়েনা কবিতা কেউ আজকাল আর,
হোক সেটা সাদামাটা, কিবা জমকালো;
পাতা ভরানোর দায় আজ কবিতার-
‘ইটাবৎ কঠিনেষু’ কিংবা রসালো।
হাতে-পায়ে ধরাধরি, করে সাধাসাধি
দু-চার চরণ ছড়া চলে তবু যদি;
বড়জোর লিমেরিক, তা-ও আধাআধি,
অতিশয় গুরুপাক চতুর্দশপদী!

বিস্তারিত»

সবাই সবাই …

আমাদের এক স্টাফ ছিলেন। কালা রাজ্জাক। তার সব কথার আগে পরে থাকতো “সবাই, সবাই”!! এই যেমন, “সবাই সামনে তাকাও, সবাই সবাই”। আরেকজন ছিলেন জামিল স্টাফ। উনি করতেন ঘেউ ঘেউ। ছুটি শেষে কলেজ প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম ফলিন। উনি প্যারেড স্টেট দেওয়ার আগে-“ঘেউ ঘেউউউউ ঘেউউউউউউ, ঘেউউউউউউউউ (তারপর কোমলএবং মেয়েলি স্বরে পড়ুন) ক্যামন আছ সবাই???”

অনেকদিন পর নেট আসলো। নেট কানেক্ট করার পর থেকেই মাথার মধ্যে খালি রাজ্জাক স্টাফ আর জামিল স্টাফের মতো বাজছে,

বিস্তারিত»

যখন আমি বাবার মতো হতে চাই না

বাবাকে আমরা চার ভাই বোন ভয় পেতাম। এমনিতেই দেখা হতো কম, অফিস করতেন। বাসায় আসলে আমরা থাকতাম দূরে দূরে। বাবা এই রুমে তো আমরা দ্রুত অন্য রুমে চলে যেতেন। আমাদের সময় বাবাকে ভয় পাওয়াটাই ছিল রীতি।
সে সময়ে বাবারাও কি ভয়ের সম্পর্ক রাখতে চাইতেন? কখনো কখনো সেটাই মনে হয়। বাবা মানেই গুরুগম্ভীর একজন, বাবা বাসায় থাকা মানেই ফিসফাস কথাবার্তা।
আমার মনে আছে আমি তখন এইটে পড়ি,

বিস্তারিত»

আজ স্বপ্নের দিন

১.
পুরানো কাগজপত্রগুলো গুছাচ্ছিলাম। হঠাৎ কাগজটা চোখে পড়লো, ১২ লাইনের ছোট্ট একখানা কবিতা। আমার খুব প্রিয় একজন মানুষের লেখা। বয়সটা আমার চেয়ে খানিকটা বড়, কিন্তু মনটা বোধহয় বয়সের সাথে পাল্লা দেয়া গাম্ভীর্যের আতিশায্যে আটকা পড়েনি। দেশ ছেড়েছে প্রায় বছর আটেক হলো, আর দেশে ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে পড়েছিল বলে বাংলার সাথে তার সখ্যতাটা সেভাবে গড়ে উঠেনি। কথা ঝরঝরে বাংলাতেই বলেন, কিন্তু লিখতে গেলেই অশনি সংকেত।

বিস্তারিত»

পদ্যাতীত

(আমার ‘বিষাদযোগ’ কবিতায় আদনান ভাইয়ের মন্তব্য হতে অনুপ্রাণিত পঙক্তিমালা…)

পড়েনা কবিতা কেউ আজকাল আর,
কবিতা পড়াটা যেন অহেতুক কাজ।
পাতা ভরানোর দায় আজ কবিতার;
কবি বলতেই লোকে বোঝে ফাঁকিবাজ।
গেলানো যায়না হায় দু’লাইন ছড়া
হাতে-পায়ে ধরাধরি করে সাধাসাধি,
এমন বাজারে চলেনা সনেট পড়া
বড়জোর লিমেরিক, তা-ও আধাআধি!

বিস্তারিত»

অসংলগ্ন ভাবনাচিন্তা ………আজাইরা পর্ব

সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরন —– পুরা আজাইরা প্যাচাল।

ছুটিতে যাবার আগে জেরোম কে জেরোমের থ্রী মেন ইন অ্যা বোট পড়ে ব্যাপক মজা পেয়েছিলাম, ভেবেছিলাম ধারাবাহিক অনুবাদ শুরু করে দেবো কিনা। পরে দেখলাম, সেবা প্রকাশনী আর প্রজাপতি প্রকাশনী দুইটা থেকেই ত্রি রত্নের নৌবিহার নামে অনুবাদ করা হয়ে গিয়েছে। আলসেমি করে আর কিছুই লেখা হয়নি। অবশ্য কি নিয়ে লিখবো সেটাও খুজে পাচ্ছিলাম না। আজ দিহান ভাবী লেখার টপিকও ধরিয়ে দিলেন।

বিস্তারিত»

একজন নগর পরিব্রাজক

এক.
একটা জিনিস আমি অনেক আগে থেকেই খেয়াল করে দেখেছি, সেটা হল, বডি পার্টসের কথা না শুনা। মানে আমি যেটা করতে চাই বা চাই না, আমার কিছু বেয়াদব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ঠিক তার উল্টাটা করে। ধর্মে নাকি আছে শেষ বিচারে এইসব বডি পার্টস তাদের দ্বারা সংঘটিত ঘটনা নিজেরাই বর্ণনা করবে নালিশ হিসেবে। ব্যাপারটা আমার জন্য প্রবল হতাশার হবে কোন সন্দেহ নাই। কারণ একটা জিনিস আমি করতে চাইছিনা,

বিস্তারিত»

শব্দসংহিতা

শব্দনাটের রঙ্গশালায় কতই রঙ্গ রোজ দেখা যায়
শব্দ হাসে শব্দ কাঁদে শব্দমাঝে বাদ্য বাজে
যে শব্দ আজ রাজার বেশে কাল সে দেখ রাজ্য হারায়
শব্দবাণে আঘাত হানে শব্দ জ্বলে চোখের তারায়
শব্দনাটের রঙ্গশালায় কতই রঙ্গ রোজ দেখা যায়

বিস্তারিত»

ড্রামের তালে তালে হাইহিলের শব্দ

আমরা যখন ক্যাডেট কলেজে জয়েন করলাম তখন আমাদের ব্যাচে ছিল মোট ৫৬ জন।একমাত্র আমাদেরই চারটি হাউস। তাই প্রতি হাউসে ১৪ জন করে। আমাদের মধ্যে একজন ছিল সাখাওয়াত উল্লাহ জুয়েল। ওর জ়ন্ম কাতারে হওয়ায় আমরা ওকে বাংলাদেশী হিসেবে মানতে নারাজ় ছিলাম। এ নিয়ে টীজ় করতে কার্পণ্য করতাম না। কাতারের এই ছেলেটির বাংলা হাতের লেখা কিন্তূ ছিল অসাধারণ। তাই হাউসের ওয়ালপেপারে ওর লেখা থাকত।নাইন টেনে একবার সাখাওয়াতের প্রাইভেট টিউটরের বাংলা নোট বেশ জনপ্রিয়তা পেল।

বিস্তারিত»

২২০ এবং ২৮৪ এর মতো বন্ধুত্ব!

পিথাগোরাস এবং তাঁর শিষ্যকূল পিথাগোরিয়ানরা মহাবিশ্বের সবকিছুকে ধণাত্মক পূর্ণসংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব বলে মনে করতেন। তাঁদের মতানুসারে…
ঈশ্বর = ১
নারী = ২
পুরুষ = ৩
আবার, বিবাহ = ২+৩ = ৫
… ইত্যাদি ইত্যাদি।

একইভাব বন্ধুত্বেরও সাংখ্যিক প্রকাশ থাকা চাই। সেটা কেমন? ২২০ এবং ২৮৪ – এই দুটি সংখ্যার কথা ধরা যাক।

২২০ এর উৎপাদকগুলো হল: ১,

বিস্তারিত»

বিষাদযোগ

(কবিতাটা লেখার পর মনে হলো এটা লেখার সময় কাজী নজরুল ইসলামের ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ বুঝি আমার উপর ভর করেছিল…)

আজকে তোমার মনের মাঝে
বাদ্য বাজে
দুঃখ ভরা?
সুখ পাখিটা আজকে কেমন পাগল পারা
মনের মাঝে
আনমনা আজ মনটা তোমার সকল কাজে

বিস্তারিত»

প্যালিন্ড্রোম

রাধা নাচে অচেনা ধারা
রাজণ্যগণ তরঙ্গরত, নগণ্য জরা
কীলক-সঙ্গ নয়নঙ্গ সকল কী?
কীর্তন মঞ্চ পরে পঞ্চম নর্তকী।

(প্রতিটি চরণ উল্টোদিক থেকে পড়লেও একই শোনায়। অবশ্য এখানে পুরোটা মিলিয়ে খুব একটা অর্থবোধক কিছু হয়নি। পাঠক আশাকরি নিজ মেধা ব্যবহার করে কোনো না কোনো অর্থ দাঁড় করিয়ে ফেলবেন, সেটাই ভরসা। আর একটা কথা, চতুর্থ চরণটি সম্ভবত শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের কাছ থেকে ধার করা।)

বিস্তারিত»