১
নিউ ইয়র্কে যখন সূর্যাস্ত বাংলাদেশে তখন সূর্যোদয়। তারপরও পাশ্চাত্য আর প্রাচ্য বলতে আমরা মূলত সংস্কৃতির পার্থক্য বুঝি – দ্রাঘিমার নয়। আমি পূবের মানুষ। থাকি এখন পশ্চিমে। তবে ছোট হয়ে আসা এই পৃথিবীতে প্রবাসী শব্দটার মধ্যে এখন আর কোন জৌলুস নেই। বরং প্রবাসী মানেই রেমিটেন্স নয়তো মেধা-পাচার। এই একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে এমন এলাকা এখন বিরল যেখানে অন্তত: একজনও প্রবাসে থাকে না। তবে বাঙালিদের বিশ্ব-ভ্রমণ আজকালকার বিষয় নয়।
“চলে আসিস ভালবাসার শঙ্খচিল হয়ে”
দেয়াল টপকে আমরা দুই বন্ধু সুন্দর পালিয়ে যেতাম।নদী পাড় হয়ে নীলগঞ্জ চলে যেতাম। ক্ষেত থেকে তুলে খেতাম তরমুজ আর বাঙ্গি।রাডার এর ছাদে গিয়ে আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখতাম।
ভর্তি হয়ে গেলাম ক্যাডেট কলেজে।বন্ধুত্ব ছিঁড়ল না একফোঁটাও।আমার সব ছুটিতে আমার বাসাত নিয়মিত আসতো ও।ও ছিল আমার জন্য জীবন্ত একফোঁটা কৌতুক। মুহূর্তে মুহূর্তে হাসতে থাকা প্রানবন্ত একটা ছেলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলি একবুক স্বপ্ন নিয়ে।ইংরেজিতে গ্র্যাজুয়েট হবি বলে।ফিরে এলি লাশ হয়ে।রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে।শুনলাম সিণ্ডিকেট করে ৩ ছাত্র কে ১ বছরের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।প্রবাদ শুনতাম “লঘুপাপে গুরুদণ্ড”
কাঁচা হাতের কাজ
প্রথমত সবাইকে নতুন বছরের বাসী শুভেচ্ছা। ঝিমিয়ে পরা সিসিবিতে নতুন বছরে অনেক নতুন এর আনাগোনা দেখে খুব ভালো লাগছে। আর নিত্য নতুন বিষয়বস্তুর উপর পোস্ট পড়ছে দেখেও খুব ভাল লাগল। বহুদিন কোন লেখালেখি হয় না, আর কিছু মানুষের মত আমিও এসে কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি করি, ২/১ টা ইমো ছেড়ে মাউসের ক্লিকের উপর থেকেই আবার চলে যাই।
বিগত বছরের হিসাব কিতাব খুলে বসতে চাই না,
বিস্তারিত»ক্যাঁনে ক্যাঁনে
আমাদের এক math এর স্যর ছিলেন, স্যার খালি বলতেন, “এ্যাঁ:, এঁটা করস ক্যাঁনে, ওটা করস ক্যাঁনে”
একদিন ক্লাস নাইন এ principal inspection এর আগে স্যার এসেছেন আমাদের রুমে, পাশের রুম থেকে মফিজুর এসেছিল তখন আমাদের রুমে যেন কি কারনে।
স্যার মফিজুরকে দেখেই বলে উঠলেন “মফিশ, এখানে এসেশো ক্যাঁনে, যাও নিজের রুমে যাও”।
মফিজুর চলে গেল, স্যারও চলে গেলেন।
আমাদের রুমগুলোর ছিল দুইটা দরজা,
বিস্তারিত»বৃষ্টি শেষে
রাতের আঁধার শেষে হঠাৎ পড়ল চোখে আলো
জমে থাকা সব চোখের পানি আমায় ভেজাল।
ক্লান্ত হয়ে বসে আছি কৃষ্ণচূড়ার তলে
অনেকটা পথ হেটে গেছি গল্প বলার ছলে।
আজকে আমার পরছে মনে প্রথম দেখার ক্ষণ
তোমার ছোঁয়া চাইছে পেতে আমার ব্যাকুল মন।
আমায় তুমি বললে হেসে “এই যে দুষ্টু ছেলে,
তিনটি কৌতুক
তিনটি কৌতুক
পোস্ট অফিস
একজন এসে পোস্ট মাস্টারকে বললেন,
: ভাই বিদেশ থেকে আমার একটা পার্সেল আসার কথা, একটু দেখবেন কাইন্ডলি।
: আরে, আপনাকে বলতে হবেনা। বিদেশ থেকে যত পার্সেল আসে, সব আমরা খুলে খুলে দেখি।
উপদেস্টা
একজন বিশেষ সমস্যায় পরে উপদেশ নেয়ার জন্য এক প্রতিস্ঠানের জনৈক উপদেস্টার কাছে গেলেন। : আমার খামারের মুরগীর বাচ্চাগুলো মারা যাচ্ছে।
বিস্তারিত»খিচুড়ি-৬
বছর প্রায় শেষ, সব জায়গাতেই চলছে ২০১১ সালের কাঁটা ছেড়া আর ময়না তদন্ত। সিসিবির ২০১১ সালের সালতামামি নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা মাথায় এসেছিল কিন্তু সে পরিমান সময় হাতে নেই, তবে এরকম একটা পোস্ট পড়তে ইচ্ছা করছে। তাই আইডিয়াটা বাজারে ছেড়ে দিলাম, আগ্রহী ব্লগারেরা চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
শেষ পর্যন্ত ভারতীয় সিনেমা আমাদের সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। এর পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথা হয়েছে।
বিস্তারিত»এই ডিসেম্বরে ছুটির ঝুলি
ত-য়ে তুষারপাত, ঘ-য়ে ঘরে বসে থাক
আমার সব অনুমান ভুল প্রমাণ করে শেষমেষ বরাবরের মতো একটি হোয়াইট ক্রিসমাস হলো এবছরও। ক্রিসমাসের দিন আকাশ ভেঙ্গে সাদা পেঁজা পেঁজা তুলোর মতো তুষারপাত শুরু হলো সারা নগর জুড়ে। দিনভর তুষারপাতে শহরটা চোখের সামনে নিমেষে শ্বেতশুভ্র রহস্যপুরী হয়ে গেলো। এদেশের মানুষজন ক্রিসমাসে তুষারপাতে দারুণ খুশি হয়। জানালা দিয়ে কিছুক্ষন পরপর উঁকি দিয়ে সেই তুষারপাত দেখে আমিও দারুন খুশি!
বাইশ দিনে গড়া
প্রতিটি বিষন্ন দিনের শুরু বুঝি এই
অথচ দেহে কোন ক্লান্ত চিহ্ন নেই
অসহ্য অব্যক্ত কষ্ট কতটা সহজে বলা
আমার স্বভাব তারিলেও,হয়না সহজে চলা।
এতদিনের যত খুনসুটি আজ পালাচ্ছে পিছু দ্বারে
দ্বিধাবোধ যত আঁকড়ে ধরছে তোমার অধরা করে
ক্ষনিকের রক্তক্ষরন বুঝে নিতে পারনি
তবুতো বিপন্ন বিষন্ন রাতে আমাকে ধরে রাখনি
নাজুক লতানো তনু হারিয়ে যাবার ভয়ে
ছোট তরী খুজে ফিরে মধ্য রাতের লয়ে।
বিস্তারিত»তোরা…
বৃহস্পতিবার রাত।
দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের কাছে এটা “চাঁদরাত” বলে খ্যাত।আকাশে চাঁদ থাকুক আর নাই থাকুক,এটা চাঁদ রাত।সারা সপ্তাহের ক্লান্তিকর ল্যাব, ক্লাস, ক্লাসটেস্ট, অ্যাসাইনমেন্টের বোঝা থেকে দিন দুয়েকের জন্য মুক্তির সুবার্তা নিয়ে আসা মহিমান্বিত বৃহস্পতিবার রাত।ক্ষেত্রবিশেষে চাঁদরাত থেকেও আনন্দপূর্ণ।
আজ সেই বৃহস্পতিবার রাত।
রাশা আধশোয়া হয়ে আছে তার বিছানায়।অলস চোখজোড়া ল্যাপটপের স্ক্রীনের উপর বুলিয়ে যাচ্ছে।ফেসবুক ট্যাব ওপেন করা।শতশত নিউজ ফিড।তার প্রায় পাঁচশ ফেসবুক বন্ধুর কেউ না কেউ প্রতি মুহূর্তে কিছু না কিছু করছে।জাকারবার্গের সদ্য পরিবর্তিত ফেসবুক সিস্টেম সেটা তড়িৎবেগে স্ক্রীনের ডানদিকের কোনায় দেখিয়ে দিচ্ছে।ফেসবুকপাগল রাশা অন্য যে কোন দিন হলে চরম আগ্রহভরে প্রতিটা নিউজ দেখত।কিন্তু আজ সে কোন আগ্রহ পাচ্ছে না।নিতান্ত অভ্যাসবশত চোখ বুলিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু চোখ থেকে তথ্য নিয়ে নিউরোন সেলগুলো মস্তিষ্কে বার্তা পাঠাচ্ছে না।তাই ব্রাউজার ক্লোজ করে ড্রাইভগুলোতে ঢুঁ মারতে থাকে রাশা।একটা মুভি দেখা যায়।হয়তোবা তাতে মানসিক অবস্থা একটু পরিবর্তন হবে।
বিস্তারিত»ফটোব্লগঃ জাস্ট সেলোগ্রাফী-১৭, এম সি সি রিইউনিয়ন, ২০১১
এই সপ্তাহে হয়ে গেলো এম সি সি এর রিইউনিয়ন। পোলাপানের সাথে ঘুরে আসলাম। ভাবলাম, এসে দেখবো সিসিবি তে ফটো ব্লগের ছড়াছড়ি। কই? সব আলসে হয়ে গেছে আমার মতো। তাই আমাকেই দ্বায়িত্ব নিতে হলো।
বরাবরের মতোই অনেকদিন পর আমি হাজির আমার সেলোগ্রাফী নিয়ে।
একাডেমিক ভবন
ফজলুল হক হাউস
যে ক্লাসে আমরা ছিলাম
আর্টসেল ইন একশন
নারী শিল্পী (নাম জানি না)
বিস্তারিত»
টিচিং এন্ড টিজিং
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে থাকাকালীন সময় কোন দিন মন এবং যোগ দুটোকে একসাথে বসিয়ে ক্লাস করেছি কিনা তার উত্তর খুঁজে বের করলাম যে, আমার প্রিয় ক্লাস বা যা আমার এখনও মনে পড়ে সেটা শামসুল হক স্যারের ক্লাস। আমাদের তিনি বাংলার ক্লাস নিতেন। আমি প্রথম ক্লাস থেকেই মন্ত্রমুগ্ধ। পরের সারিতে যাদের রাখা যায় তারাও বাংলার জয়নুল আবেদীন আর একরামুল হক। আমি অনেক হিসেব কষে দেখলাম তারা আসলেই উচ্চমানের ক্লাস নিতেন।
বিস্তারিত»বাঙলাদেশ
যেহেতু লেখাটা সংগৃহীত তাই কিছুটা ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার এবং তা প্রকাশ করার লোভ সামলাতে পারলাম না। আজিজ ভাই কিছু মনে করবেন না আশা করি। আর বিজয়ের মাস এখনো বর্তমান, তাই উত্তেজনাও প্রশমিত হয় নাই।
বাংলাদেশ বিশ্বের ৭৬তম ধনী রাষ্ট্র।
ধনী শব্দটার মধ্যে যে প্রাচুর্য রয়েছে তা হয়তো বাংলাদেশের বড়-বড় শহরগুলোর বিপণনকেন্দ্রের দিকে তাকালে কিংবা অত্যাধুনিক গাড়ির দিকে তাকালে খুব সহজেই অনুধাবন করা যায়।
বিস্তারিত»নিষিদ্ধ ফল
রাজিব ভাই একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি ।কুরআন এর আয়াত যদি মানুষ সৃষ্টি হতো তাইলে তো মানুষ নিজের সুবিধা মতো সবকিছু সাজিয়ে নিত। তাইলে তো আর ৪০ দিন রোযা রাখার নিয়ম মানুষ বানাত না না খেয়ে থাকতে হবে বলে, কুরবানি, ফেতরা, দান-খয়রাত রাখত না সম্পদ কমে যাবে বলে , প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ এর পরিবর্তে এক অথবা দুই ওয়াক্ত নামাজ রাখত সময় সাশ্রয় করার জন্য ।এই ক্ষেত্রে আপনার মতামত কি?
বিস্তারিত»অসংলগ্ন ভাবনাচিন্তা ……… প্যাচাল পর্ব
ছোটবেলাতে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলে দাদাবাড়ি বেড়াতে যেতাম। সেই সময় মেহেরপুর থেকে ফেনি যাওয়া ছিলো গোটা দুই দিনের ব্যাপার। মেহেরপুর থেকে বাসে করে ঢাকা, তারপরে ঢাকা থেকে ট্রেনে করে ফেনি। আবার ফেনি ষ্টেশনে নেমে বিলোনিয়া এক্সপ্রেসে করে বা বাসে চড়ে পরশুরাম। সেখান থেকে রিকশাতে করে দাদাবাড়ি। খুবই ক্লান্তিকর ছিলো এই ভ্রমনটা, কিন্তু তারপরেও, গোটা বছর এই ভ্রমনটার জন্যে অপেক্ষা করতাম। বিশেষ করে শেষ তিন/চার দিন তো কোনোকিছুতেই মনোযোগ বসতো না।
বিস্তারিত»