২৫শে ফেব্রুয়ারীতে পিলখানায় শহীদ’দের স্মরণে হেলাল মুহাম্মদ এর ‘হৃদয়ের রাজপথে’ থেকে শোক গাঁথা

 

২৫ শে ফেব্রুয়ারী। দেখতে দেখতে পিলখানা হত্যাকান্ডের আর ও একটি বছর পার হয়ে গেল। ফেব্রুয়ারীতে কেন যে এত শোক! শোকের এই দিনটির উপলক্ষ্যে আপনাদের সাথে নিচের কবিতাগুলো ভাগাভাগি করলাম। কবিতগুলো নেয়া হয়েছে এবারের একুশে বইমেলায় হেলাল মুহাম্মদ (সিলেট ক্যাডেট কলেজ এর ক্যাডেট, সেনাবাহিনীর প্রাক্তন মেজর) এর লেখা কবিতার বই ‘হৃদয়ের রাজপথে’ (প্রকাশকঃ পাঠসূত্র, স্টল নং- ৩০৭) থেকে। কবিতাগুলো ২০০৯ এর ফেব্রুয়ারীতে  পিলখানায় শহীদদের স্মরণে লেখা ।

বিস্তারিত»

“নগর সভ্যতা”

“নগর সভ্যতা”

 

হে নগর –

সভ্যতার নিশান দিগ্বিদিক উড়িয়ে

আজ তুমি তিলোত্তমা,

লাল-নীল এই শহরে তুমি আজ

অপ্সরা- তব দেহে মেখে নিয়ে মৃদু লাজ

সুরম্য দালান আর অট্টালিকা-প্রাসাদ মাঝে

করিছ মানবের জয়গান।

 

হায়, তবে ভুলিছ বসি

ঐ প্রাসাদ-পরে ঢাকিয়াছ যারে

ছায়াময় সে কোণে

জড়াজড়ি করে বাস শত শত

মানুষ-রূপী দ্বিপদের –

বিস্তারিত»

বাংলা বনাম ইংরেজি – ভিন্নমত

১।    খুব ভয়ে ভয়ে লিখছি। যদিও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে আমি বরাবরই খুব বাড়াবাড়ি রকমের স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড। বাংলা আর ইংরেজি নিয়ে আমাদের যে দ্বিধাবিভক্তি আর ফেব্রুয়ারি মাস এলেই যে বাংলা প্রীতিটা হঠাৎ যেন পূর্ণিমার তিথিতে সাগরের বাণ ডাকার মত ফুসে উঠে; এই ব্যাপারটা নিয়ে লিখার হালকা পাতলা লোভটা সামলাতে পারলাম না। বিশেষ করে ব্লগে, টিভিতে, কাগজে (ইন্টারনেটের কল্যাণে প্রবাসে বসেও বাংলা পত্রিকা পড়া যাচ্ছে) সর্বত্র বাংলার এমন ব্যান্ড বাজতে দেখে লিখতে বসে গেলাম।

বিস্তারিত»

প্রসঙ্গ : ইংরেজি মন্তব্য

সিসিবিতে বেশ কিছুকাল পর আবারও লোক সমাগম বেড়েছে। তবে সেই সাথে একটা ব্যাপার পরিলক্ষিত হচ্ছে: ইংরেজি হরফে করা মন্তব্যের আধিক্য হঠাৎ করেই আগের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে।

সিসিবি একটি বাংলা ব্লগ। আমরা আমাদের দৈনন্দিন কথা বার্তায় যেভাবে ইংরেজির ব্যবহার করি, সেইভাবে পোস্টে এবং মন্তব্যে ইংরেজি বাংলা মিশিয়ে কিংবা ইংরেজির প্রাধান্য বা ইংরেজি অক্ষরের ব্যবহার সিসিবিতে সবসময়ই ভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়ে থাকে। ইংরেজি বা অন্য ভাষায় করা মন্তব্য প্রকাশের নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে না।

বিস্তারিত»

অ-তে অজগর। অজগরটি আসছে তেড়ে।

একঃ

জীবনে প্রথমবার বই কিনেছিলাম ঊনিশশো নব্বইয়ের ডিসেম্বরে -বড় আপার বার্ষিক পরীক্ষা শেষে। ‘বর্ণ পরিচয়’ নামের সে বইয়ের প্রথম বাক্যটায় আঙুল রেখে বড় আপা বলতো- “বল্। অ-তে অজগর। অজগরটি আসছে তেড়ে।” আমি বড় আপার আঙুল রাখা ছবিটায় তাকাতাম- দেখতাম, বিদঘুটে একটা সাপ অ-এর দিকে ছুটে যাচ্ছে। মনে হতো, সেই বিদঘুটে অজগর অ-এর গায়ে এক্ষুণি আঘাত করবে। অ-এর জন্য আমার মন কেমন করে উঠলে বড় আপাকে বলতাম,

বিস্তারিত»

আ’মরি বাংলা ভাষা

আমরা যে হুজুগে বাঙালি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাঙালির হুজুগ নিয়ে গল্প কেচ্ছারও শেষ নেই। শেষ হবেও না। সৈয়দ মুজতবা আলীর গাঁজা নিয়ে একটা মজার গল্প আছে। অনেকেই পড়েছেন হয়তো। যারা পড়েননি তাদের জন্য স্মৃতি থেকে একটু তুলে দিচ্ছি। দেশভাগের পর কোন এক নিয়মের গ্যাড়াকলে পড়ে তৎকালীন পূর্ব বঙ্গ থেকে ভারতে গাঁজা রপ্তানি বন্ধ। (সাধুসন্ন্যাসীদের আবার এই মহার্ঘ বস্তুটি না হলে চলে না। আমাদের লাল মিয়া ওরফে সুলতানের নাকি দৈনিক ৫০০ টাকার গাঁজা লাগতো।

বিস্তারিত»

আফ্রিকা থেকে…

মাসখানেকের বেশি সময় অন্তর্জালবিহীন থাকার পরে গত কিছুদিন যাবৎ আবারো এই জালে জড়িয়ে পড়ছি। এই সাময়িক বিরতিতেই অনেকখানি অনভ্যস্ততা চলে এসেছে, আগের মত সেই তাগিতও বোধ করি না অন্তর্জালে ঢুঁ মারার জন্য। এর মাঝে অনেক পরিবর্তনও এসেছে, কিছু পছন্দ হয়েছে, কিছু হয়নি। নতুন নতুন অনেক কিছুও চোখে পড়েছে। তবে সবচেয়ে ভাল লেগেছে একটা পুরোনো হয়ে যাবার ঘটনা, সিসিবির পুরোনো হয়ে যাওয়াকে। কী এক যাদুমন্ত্রে জানি সিসিবি আবারো জমে উঠেছে,

বিস্তারিত»

আশরাফ এবং আমি

১.
কখনো ভাবিনি আশরাফকে নিয়ে কিছু লিখব বা লিখতে হতে পারে। শরিফের আশরাফকে খুব মনে পড়ে লেখাটি ব্লগে দেখে আমারও লিখতে ইচ্ছা হল। আমি কদাচিৎ ব্লগ পড়লেও কখনো লিখি না। পড়াটাও খুবই অনিয়মিত। কুমিল্লার তৌহীদ আমাকে শরিফের লেখাটা পড়ে না শুনালে হয়ত পড়াও হত না। লিখা-লিখির অভ্যাসটা একদমই নেই। তবুও চেষ্টা করব।

২.   
আশরাফকে আলাদা করে চিনতে পেরেছিলাম প্রথম ক্লাস এইটে থাকতে।

বিস্তারিত»

“এ কে – ৪৭” (একে ৪৭ এর জনক কালাশনিকভ এর কাহিনী অবলম্বনে রচিত)

“এ কে – ৪৭”
(একে ৪৭ এর জনক কালাশনিকভ এর কাহিনী অবলম্বনে রচিত)

 

কালাশনিকভ –
তুমিও তো চেয়েছিলে কবি হতে-
পাতা কুড়োনো শৈশবে – যখন ঘোরলাগা পৃথিবী
কবিতার পংতির মতোই ঝিরি ঝিরি বহমান –
হতে পারতে দিগ্বিজয়ী তুমি
রবীন্দ্রনাথ, শেলী কিংবা রুমীর মতো
অক্ষরের মালায় যারা এখনো গাঁথে
আমাদের হৃদয়ে ভালবাসার অমর কাব্য-গাঁথা ।

বিস্তারিত»

রানওয়ে

আজ দিনের শুরুটা হলো মগজ দৌড়িয়ে। যেমনে পারি গজগজ করে মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় উগড়ে দিতে পারলে বাঁচি। কিন্তু আফসোস, পড়াশোনার ইচ্ছার সাথে পাল্লা দিয়ে পড়া মুখস্থ করার ক্ষমতা কমছে ধীরে ধীরে। সেটা বুঝলাম পরীক্ষা দিতে বসে। প্রশ্ন কমন নিয়ে প্রস্তুতি নিলে যেটা হয়, ‘কমন পাইলে কোপাও আর না পাইলে কোপ খাও’, আজকে কমন পেয়েও কোপানোর ধারে কাছে যেতে পারলাম না। উৎসাহ নিয়ে একেকটা প্রশ্ন উত্তর করা শুরু করি,

বিস্তারিত»

একুশে বইমে্লাতে প্রকাশিত সিসিবি এর লেখক হেলাল মুহাম্মদ এর লেখা ‘হৃদয়ের রাজপথে’ থেকে দুটি কবিতা

সিসিবি ব্লগের লেখক হেলাল মুহাম্মদ (সিলেট ক্যাডেট কলেজ এর ক্যাডেট, বাংলাদশ সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর) এর কবিতার বই ‘হৃদয়ের রাজপথে’ একুশে বইমেলাতে ‘পাঠসুত্র প্রকাশনী (স্টল নং- ৩০৭)’থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

আমাদের  পাঠকদের জন্যে ‘হৃদয়ের রাজপথে’ থেকে দুটি কবিতা দেয়া হলঃ
“মোগাদিসু থেকে বলছি”

 

এক মুঠো ভাত…

সাকুল্যে এক মুষ্টি খাদ্য চাই

এক বোতল পানি…

এক কোটি সোমালীয় বসে আছি বুভুক্ষায়,

বিস্তারিত»

জন্মদিন ব্লগ

সিসিবি কয়েকদিন ধরে খুব নিশ্চুপ ছিল। রকিব ভাই এর মেসেজ পেয়ে বিরাট এক ধাক্কায় অনেক গুলো লেখা আমরা পেয়ে গেলাম। পুরান ব্লগার সবাই মিলিত হল সিসিবিতে।
এখন আবার আগের মত না হলেও খারাপ না। ভালোই ব্লগ আসতেসে, ফেসবুকে প্রচুর সিসিবির লীংক দেখা যায়। খুব ভালো লাগে তখন।
আগে সিসিবিতে কামরুল ভাই, মাসরুফ ভাই, জিহাদ ভাই, মরতুজা ভাদের লেখা দেখলে খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তাম।

বিস্তারিত»

গল্পটা ছিল অহংকারের

সুনিতা প্রথম যেদিন ক্লাসে এসেছিল সেদিন অন্য সবার মত আমিও তাকে স্প্যানিশ ভেবে ভুল করেছিলাম। সুনিতা স্প্যানিশ না হোক, নিদেনপক্ষে কলম্বিয়ান তো হতে পারতো। এমনটা হয়নি। সুনিতা একজন নাক উঁচু দক্ষিণ ভারতীয় ছিল। ওর আবার ছিল বাড়তি সুবিধা। সুনিতার চোখ টানা টানা না হলেও সে চোখের গভীরতার জন্য তাকে অনায়াসে দশে সাড়ে আট দিয়ে দেওয়া যায়। নীল চোখের মেয়েদের প্রেমে পড়ে যাওয়াটা যাদের অভ্যাস ছিল,

বিস্তারিত»

সিসিবি জিটুজিঃচুয়াডাঙ্গা চ্যাপ্টার(মালসিংহীয় পোস্ট)

চাকুরিতে ঢুকার পরে সিসিবি জিটুজিতে আর যাইতে পারিনা।২০১১ এর আগে যখন নিজেরা জিটুজি করার সময় লাইভ ব্লগ, ফটোব্লগ ইত্যাদি দিয়া প্রবাসী এবং উপস্থিত হইতে না পারা সবার কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিতাম-এখন আমি নিজেই তার শিকার।আমারে ফাঁকি দিয়া জিতুপি ইচ্ছা মত জিটুজি করে,আমি খালি তাকায় তাকায় দেখি।

কিন্তু আপনাদের মাস্ফ্যু কি আর বইসা থাকার পাত্র? আপনারা জিটুজি করবেন আর আমি খালি ছুপারুস্তমের মত বিরাট কইরা “দেগ-ঘ-শাঁস”

বিস্তারিত»

৬ ফাল্গুনঃ শুভেচ্ছা লও কবি

কেউ বলেন তিনি আধুনিকতম কবি; সময়ের অনেক আগেই জন্ম নেওয়া সাহিত্যিক। রবীন্দ্র-যুগের উদ্ভাস কালে জন্মেও তিনি ছিলেন রবীন্দ্র-ছায়ার বাইরে। কেউ বলেন বিষণ্ণতার কবি; লেখনীর পরতে পরতে বিষণ্ণতার-চাপা দুঃখের বীজ বুনে যান; মন খারাপের ছায়ায় লুকিয়ে থাকা ছত্র লিখে যান কালজয়ের জন্য। এতটা অবশ্য বুঝে উঠতে পারি না। আমার জন্য তিনি জীবনের কবি, মন খারাপের কবি, প্রেমের কবি… সৃষ্টির কবি-মৃত্যুর কবি।

কি অবলীলায় তিনি বলে ফেলেনঃ

আলো — অন্ধকারে যাই — মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়,

বিস্তারিত»