অল্প কথায় বিরাট খবর

১৯৮০’র ২৮ মে দিনটা বুধবার ছিল,১৮ জানুয়ারী ২০১২ দিনটাও তাই । মিল খুঁজতে গেলে শুধু এইটুকুই । বাকী সবটুকুই অমিল । ৮০ সালের ওই দিনটাতে আমার মা প্রায় ৫ ঘন্টা ভয়ংকর কষ্টের পর আমার জন্ম দেন । পিরোজপুরের মত মফস্বল শহরে তখনকার সবচাইতে ভাল ডাক্তারটাই এক সময় আমার বাবাকে কাছে ডেকে বললেন – “কাকে চাও ? মা নাকি বাচ্চা ?” ৩২ বছর আগে আমার বাবা যে উত্তরটি দিয়েছিলেন আল্লাহ না করুন আজ আমাকেও যদি একই অবস্থায় পড়তে হতো তাহলে আমিও একই উত্তরই দিতাম –

বিস্তারিত»

একটি অপ্রকাশিত স্মৃতিচারণ

৭ মে, ২০০২. আমার এই ক্ষুদ্র জীবনের সবচেয়ে স্মরনীয় দিন। এদিন আমরা ২৫তম ব্যাচের পঞ্চাশজন কিশোর মনের মধ্যে ভয়, উৎকন্ঠা, কৌতুহল আর গর্ব মিশ্রিত আশ্চর্য এক অনুভূতি নিয়ে প্রবেশ করেছিলাম পাবনা ক্যাডেট কলেজ অঙ্গনে। ঠিক সেদিন থেকেই শুরু হয়েছিল আমার ক্লাশ সেভেনের দুঃসহ দিনগুলো। ক্যাডেট কলেজে ক্লাস সেভেনের সময়টা যে কত কষ্টের সেটি আমি সেদিন থেকেই খুব ভালভাবে বুঝেছিলাম। ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা পাওয়ার আগেই আমার cadet life- এর দ্বিতীয় দিনেই আমার গাইড আজহার ভাইয়া আমাকে পাঙ্গাইছিল।

বিস্তারিত»

এলোমেলো-৮: চলো পাল্টাই

জীবন নাকি একটা বহমান নদীর মত। কিন্তু আমার জীবনটা মনে হয় আর নদীর মত নাই, থেমে আছে চুপটি হয়ে। অফিস যাওয়া, বাসায় ফেরা, গেইম খেলা, খাওয়া, ঘুমিয়ে পড়া-এই টাইপ একটা জীবন যাচ্ছে আমার প্রতিদিন। এর মাঝে অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে, সেই দিনগুলোয় মনে হয়- নাহ! পৃথিবীতে সুখ বলে কিছু একটা জিনিস আছে। সেই সুখের স্মৃতিও দীর্ঘস্থায়ী হয়না, পুরনো চক্রে পরে উধাও হয়ে যায়।

চাকরীর জীবন বেড়ে যাচ্ছে,

বিস্তারিত»

হিস্টোলজির অ আ ক খ ( ত্বক)

বিজ্ঞান নিয়ে এটি আমার প্রথম লেখা। এনাটমি কিম্বা প্রাণরসায়ন নিয়ে হয়ত অনেকেই লিখছেন। তাই সেই দিকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি হিস্টোলজি নিয়ে লিখব,এবং সিরিজ আকারে। এক একটি পর্বে এক একটি তন্ত্র অথবা অঙ্গ তুলে ধরার চেষ্টা করব।

প্রথমেই ত্বক/চামড়া/স্কিন নিয়ে লিখব।

ল্যাটিন পরিভাষায় চামড়াকে বলা হয় ডের্মিস। আর ইংরেজি পরিভাষায় স্কিন। স্কিন মানবদেহের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। চামড়াকে মানবদেহের সবথেকে বড় একক অঙ্গ বলা হয়।

বিস্তারিত»

যাচ্ছে জীবন – ৫

আজকে সিসিবি তে এসে অবাক হয়ে গেছি। একবার ভাবলাম যে কোন ঝামেলা হইছে নাহলে কিভাবে এত্তো জন পুরান ব্লগার এক সাথে লেখা দিয়েছে। দুই তিন বার ভালো করে দেখলাম তারিখ ঠিক আছে কিনা। যাইহোক সব ঠিকঠাক আছে। তার একটু পরে দেখি ফেসবুকে আমার ইনবক্স এ দাশুর চিঠি ‘একটা লেখা দেন সিসিবিতে’, তখন বুঝলাম এই কারবার।

সিসিবি প্রতিদিন আসা হয় কিন্তু মিড লাইফ ক্রাইসিস চলতেসে ইদানিং কালে,

বিস্তারিত»

ইসলাম নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক ও মুসলিমবিশ্ব


বইয়ের প্রচ্ছদ দেখে খানিকটা ধান্ধায় পড়ে গেলাম আমি- ইসলামিক বইয়ের প্রচ্ছদ এত ‘কালারফুল’ কিম্বা এমন কাব্যিক কাব্যিক হয় নাকি? প্রচ্ছদ শিল্পী, চারু পিন্টুকে ইমেইলে তা জানালে ওনার মোবাইলে ফোন করতে বললেন আমাকে। চারু পিন্টু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিউট থেকে পাশ করেছেন অনেকদিন আগে। বইয়ের প্রচ্ছদ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। কথায় কথায় জানালেন, অন্তত হাজার খানেকের ওপরে বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকেছেন তিনি এ যাবৎকাল।

বিস্তারিত»

ফাকিবাজী ব্লগর ব্লগর + পাত্রি চাই

১। সাইটের পরিসংখ্যান অনেক দিন পর দেখে ভাল লাগছে। ম্যালা ভিজিটর আর পুরান সদস্যদের আনাগোনা। তবে সবচাইতে অবাক হইছি কাম্রুলরে দেইখা। আমি তো ভাবছিলাম তুমি আন্দামানে পাচার হয়া গেছ। বিয়া টিয়া করছ নাকি?

২। রকিব পোলাডা মনে হয় সবাইরে খোচাইতাছে লেখা দেওনের লাইগা। নইলে আমারে ফেসবুকে তো কেউ কোনদিন মেসেজ দেয় না।

৩। আব্বা আম্মা এসেছিলেন গত বছরের শেষে। এসেই আম্মার মর মর অবস্থা।

বিস্তারিত»

নিবিড় নিশীথ

নিশীথ বানানটা কি ঠিক লিখলাম? দীর্ঘ ঈ-কার হবে? নাকি হ্রস্ব ই-কার? ভাবছি। ইদানিং বানান-ফোবিয়া হয়েছে। বাটে পড়ে কিছু লেখায় বানানশুদ্ধি করতে হয়েছে। ফলে লাভের চাইতে ক্ষতি হলো বেশি। যা বানান ঠিকঠাক জানতাম, শুদ্ধ করতে গিয়ে সেগুলো এখন ভুল জানি। ভুলভাল করে তারপর নিজেই নিজেকে অবোধ দেই, দার্শনিক হয়ে যাই। সক্রেটিস বলেছেন পৃথিবীতে ভুল শুদ্ধ কিছু নাই*। চালাইতে পারলে সবই ঠিক, চালাইতে না পারলে সবই ভুল।

বিস্তারিত»

পুরনো সে দিনের কথা ………. (সিসিবিচারণ)

লেখতে মনে চাইলো আনেকদিন পরে সিসিবিতে। স্মৃতিচারণ মূলক ব্লগ। সিসিবির প্রথমদিকের ব্লগ গুলো স্মৃতিচারণ মূলকই হতো। তবে আমি স্মৃতিচারণ করতে আসছি ক্যাডেট কলেজের না সিসিবির। মানে সিবিবিতে থাকা সাড়ে তিন বছর সময়ের স্মৃ্তিচারণ। সিসিবি আমার কাছে বিশেষ কিছু। সে ফিরিয়ে এনেছিল ক্যাডেট কলেজে কাটানো জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিনগুলোকে। সিসিবির পরিবার বেশ গেঁথে গিয়েছিলো। গিয়েছিলো বলছি কেন, কারণ হয়তো সিসিবিতে আসলে আগের মতো আর খুঁজে পাই না সেই দিন গুলোকে।

বিস্তারিত»

পথ নাটক সমূহ( একটি কঠিন রোমাঞ্চকর সিরিজ)

আমার ভ্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় যাত্রা অধিকাংশ সময়ই অশুভ। রাশিফলে ‘যাত্রা শুভ’ কথাটা আমার ক্ষেত্রে বাই ডিফল্ট অশুভ হয়।

২০০৭ সালের এক ঘটনা দিয়ে শুরু করা যাক।বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দুই মাস পিছিয়েছে। বাড়ি ফিরছি। কমলাপুর স্টেশন থেকে রাত পৌনে আটটার আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস। এই সময়ে খুব একটা ভিড় হয় না। আমার সংখ্যায় তিন জন। আমার সাথের দুই জন বন্ধু ইতিমধ্যে তাদের গতি করে ফেলেছে।

বিস্তারিত»

একটি সত্য ভূতের গল্প

২০০৮, বরিশাল ক্যাডেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর মোটামুটি সবার মুখে একটি কমন শব্দ ছিল তখন জ্বীন। আর না থাকার কোনো কারণও ছিলনা, নিজেদের ক্লাসমেট যদি দাবি করে তার কাছে জ্বীন আসে এবং যদি রাতে তার চোখ মুখ লাল হয়ে যায়।
এতে বলা যায় কলেজ অথরিটি একটু শান্তিতে ছিল, কারণ রাতের বেলার শয়তানি কমে যায় ক্যাডেটদের।
তো যার কাছে তেনারা আসেন, তার নাম আমি আজ বলবোনা,

বিস্তারিত»

মৃত্যুর মতো তুমি তিলোত্তমা

মরনের মত তুমি , তুমি সুন্দর- পিয়াসী হিম গরল
গরলের মত তুমি- কী সুন্দর ! সুন্দরী তুমি !
ঘোর লাগা চাহনি , চালতার মতো বক্ষ বন্ধনী
আহা ! কী সুন্দর তুমি। জানালার পাশে ওড়াওড়ি করা দুষ্ট টুনটুনি।
চঞ্চলা খরগোশ। অস্থির প্রজাপতি।
তুমি অদ্ভুত- সুবাসিত বকুল কুঁড়ি , রঙ জড়ানো সন্ধ্যামনি।
আমার একখন্ড উর্বরা স্বপ্ন জমি।

ঘাস ধুয়ে দেয়া শীতের সুন্দরী শিশির- ঘেমে ক্লান্তি তুমি,

বিস্তারিত»

বোকা বাঙ্গালী বলছি-১

আমি বোকা বাঙ্গালীদের দলে। মৌসুমী বিপ্লবীদের দলে আছি কিনা জানি না। আমিও বোকা বাঙ্গালীদের মতই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছি।কত কমেন্ট পড়ল সেটা নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছি বলে মনে হয় না।  ব্লগ লেখার মত পড়াশুনা, জ্ঞান কোনোটাই নাই তাই ব্লগ লিখি না (বলতে পারেন লিখতে পারি না)। কিন্তু সব ব্লগ পড়ার চেষ্টা করেছি। আপনাদের মত আমিও  আপ্লুত হয়েছি এই ভেবে যে, আমরা সচেতন হচ্ছি। যদিও খুব বেশি লেখালেখি বা জন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এটি আমি বলতে পারবো না যতটা সৃষ্টি হয়েছিল আবু গারাইব কারাগারের নির্যাতন কিংবা দেশীয় এডাল্ট ক্লিপ বের হবার পর।

বিস্তারিত»

আমাদের ছেলেবেলা (এপিসোড ৭)

১)  ১৭তম ব্যাচের স্টাডিট্যুর। বাসের ভিতর হঠাৎ ভাইয়াদের চ্যাচামেচি শুরু হল। গাড়ি থামাও, টয়লেট করব। স্যারেরা কেউ পাত্তা দিল না । এবার শুরু হল বাস থামাও মুতব। এডজ্যুটান্ট স্যার উঠে দাড়ালেন। চিৎকার বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু জনৈক ভাইয়ার সিরিয়াস জোরে চাপছে। পিছনের সিটের জানালা খুলে, অন করে দিছে ট্যাপ। বাকিরা লাফাইয়া সরে গেল। কিন্তু হঠাৎ ভাইয়ারা খেয়াল করল বাসের ঠিক পিছনেই যে ট্রাকটা ছিল। ট্রাক ড্রাইভার তার ওয়াইপার চালু করে দিছে।

বিস্তারিত»

কথাটি আর বলা গেল না

শোন, আজ তোমাকে একটা কথা বলব
সেই কথাটা।
ঐযে সেদিন বলতে চেয়েছিলাম- বিকেল বেলা
মানবজ্যামে আটকে পড়ে আর বলাই হলো না।

আরো একদিন বলতে চেয়েছিলাম ওই কথা।
২৩ অক্টোবর, তোমার জন্মদিন ছিল
নেমতন্ন করোনি বোধহয় কাউকে, অতিথি ছিল না বেশী
শুধু কাছের ক’জন সঙ্গী ছাড়া।
কয়েক রকম ফুলও ছিল টেবিল জুড়ে
ছিল একটা মদের বোতল আর ছাইদানি ভরা ধর্ষিত অগ্নিশলাকা
আনমনে হাত থেকে পড়ে গেল আমার- একথোকা চন্দ্রমল্লিকা
সেদিনওতো কথাটি আর বলা হলো না।

বিস্তারিত»