দেয়াল টপকে আমরা দুই বন্ধু সুন্দর পালিয়ে যেতাম।নদী পাড় হয়ে নীলগঞ্জ চলে যেতাম। ক্ষেত থেকে তুলে খেতাম তরমুজ আর বাঙ্গি।রাডার এর ছাদে গিয়ে আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখতাম।
ভর্তি হয়ে গেলাম ক্যাডেট কলেজে।বন্ধুত্ব ছিঁড়ল না একফোঁটাও।আমার সব ছুটিতে আমার বাসাত নিয়মিত আসতো ও।ও ছিল আমার জন্য জীবন্ত একফোঁটা কৌতুক। মুহূর্তে মুহূর্তে হাসতে থাকা প্রানবন্ত একটা ছেলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলি একবুক স্বপ্ন নিয়ে।ইংরেজিতে গ্র্যাজুয়েট হবি বলে।ফিরে এলি লাশ হয়ে।রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে।শুনলাম সিণ্ডিকেট করে ৩ ছাত্র কে ১ বছরের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।প্রবাদ শুনতাম “লঘুপাপে গুরুদণ্ড” এখন বলি গুরুপাপে লঘুদণ্ড।
বলার নেই কিছুই,মানুষ খুব স্বার্থপর প্রাণী।আমি এখন ছাত্রলীগকে ধুয়ে ফেললে হয়ত আমাকে তলব করা হবে,পড়াশুনার যে সুযোগ পেয়েছিলাম সেটাও চলে যাবে।
তুই আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিস জুবায়ের।তুই শরীরে অসংখ্য আঘাত কিন্তু মনে আমাদের সকলের ভালোবাসা নিয়ে আমাদের ছেড়ে গেছিস।এই যে চোখ থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছে আমার,আজ লুকাবো কোথায়।তুই আমাদের সবার মাঝে বেচে থাকবি,তুই আমাদের মাঝে হয়ে থাকবি এক টুকরো খসে পরা তারা।
জুবায়ের আমাদের সবাইকে তুই ক্ষমা করে দিস।ওপারে যদি কোন জীবন থাকে অনেক ভাল থাকিস।আর যদি পুনর্জন্ম হয়,আমদের মাঝে চলে আসিস ভালাবাসার শঙ্খচিল হয়ে।
৫ টি মন্তব্য : ““চলে আসিস ভালবাসার শঙ্খচিল হয়ে””
মন্তব্য করুন
হারামজাদা লীগ গুলাকে কুত্তারবাচ্চা বললে কুত্তার অপমান। বাইঞ্চোত কতগুলা। রাগে আমার গা কাঁপতেসে।
গালি আর দেই না। গালি ভুলে গেছি
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
কুত্তার বাচ্চারা, এর থেকে জামাত-শিবির ভালো x-(
হাসিনার থেকে নিজামীরা ভালো,
নতুন রাজাকারের বাচ্চা, বাপের দোহাই দেয় খালি। x-(
ছাত্রলীগ গুলারে গালি দিলে গালির ও অপমান হবে
কোন কিছুতেই কিছু হবে না, আমরা দুদিন পরেই জুবায়েরের ঘটনা ভুলে যাব। তারপর আবার কিছুদিন পরে সোনার ছেলেরা নতুন কোন ঘটনা ঘটাবে, আমরা অনলাইনে তাদের গালাগালি করে মনের ক্ষোভ ঝাড়বো. সব কিছুর মাঝে বড় বড় নেতারা পপকর্ন হাতে গ্যালারীতে বসে এই সোনার ছেলেদের মাথায় ছাতি ধরে রেখে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷