আলাপন

ঝিক-মিক-ঝিক তারার ঝিলিক হাজার তারা জ্বলে

শুনতে কি চাও এই তারারা ডাক দিয়ে কি বলে?

আপন আপন কোন আলাপন করছে এসব তারা

যায় না শোনা কোন সে তাদের নীরব সুরের ধারা?

 

ঝল-মল-ঝল সূর্য উজল জগৎ করে আলো

এক নিমিষে দেয় সরিয়ে রাতের আঁধার কালো।

জানতে কি চাও সূর্য এমন ডাক দিয়ে কি বলে?

বিস্তারিত»

কি দেখেছি,কি দেখছি …

তখন সবে এইটে উঠেছি। h.s.c এর আপারা সব পরীক্ষা শেষে farewell নিয়ে চলে যাচ্ছে। যাবার সময় স্যার-ম্যাডামদের সালাম, জুনিয়রদের সাথে গণ হ্যান্ডশেক, জুনিয়র-ক্লাসমেটদের সাথে জড়াজড়ি,কান্নাকাটি, সে কি অবস্থা!! আমি অবাক তাকিয়ে দেখি আর ভাবি,’আদিখ্যেতা! কাঁদতে হবে কেন এত! এক্স-ক্যাডেট হয়ে চলে যাচ্ছে,কী মজা। আর আমার সামনে আরো পাঁচ বছর কারাবাস! বন্ধুদের বলি,”হুহ্,আমি একটুও কাঁদবোনা দেখিস। বের হয়ে মনেই রাখবোনা কলেজকে। ক্লাসমেট ছাড়া আর কারো সাথেই যোগাযোগ রাখবোনা।

বিস্তারিত»

ভাবতে পারো??

ভাবতে পারো? কখন যদি, দুরের আকাশ পরে,

অতি চেনা মেঘ থেকে আর বৃষ্টি নাহি পরে!

ভাবছো? যদি বর্ষা না হয়, কোথায় পাবে জল?

তোমার জন্য শিশির ফোঁটা করবে টলমল।

ভাবতে পারো? চন্দ্র যদি আলোতে দেয় ফাকি;

সৃষ্টি-লীলার খেলা দেখার কতই রবে বাকি!

ভাবছো কেন? জোনাক তবে ছড়িয়ে দিয়ে আলো

আপন দেহের মায়ার আলোয় নাশবে শত কালো।

বিস্তারিত»

৩৬ দিনের দেশ-৩

কুতুব দেখেই আমার কেন যেন ধারণা হয়ে গেছিল সম্রাটেরা বঙ্গ দেশকে খুব একটা পাত্তা দিতে চাইতেন না, তাঁদের নজর ছিল হিমালয়ের কাছাকাছি দিল্লী, রাজস্থান-এসব অঞ্চলে। ভারত ট্যুরের বাকি দিনগুলোতে এ ধারণা আরও পাকাপোক্ত হয়েছিল। সত্য বলতে কি, ভারতের পুরাকীর্তি দেখলে বাংলাদেশের লালবাগের কেল্লা, কি বগুড়ার মহাস্থানগড় সবই কেমন যেন মলিন মলিন লাগে। স্বীকার করতে লজ্জা নেই যে ভারতীয় উপমহাদেশের মূলধারার স্থাপত্য আসলে পুরোটুকুই প্রায় ভারতের ভাগে পরেছে।

বিস্তারিত»

৩৬ দিনের দেশ-২; দিল্লী বড় দূর হে…

সিসিবির কসম আমি তোতলাই না। কিন্তু মাহমুদ ভাইয়ের পোস্টে ঢুকলাম, বিশাল একটা পোস্ট দেখে অলস মনে পড়ব, কি না পড়ব…ভাবতে ভাবতে স্ক্রল করে নিচে নামতেই আমার মুখ দেখে বেরোয় আসলো, কা কা কাইয়ূম ভাই!!
তারউপর গত পরশু অনেক অনেক দিন পর তানভীর ভাইয়ের সাথে দেখা…জ্বী, ভালো ছাত্র তানভীর ভাই, যিনি কিনা জিপি সেন্টারে বসে বসে পঁচতেসেন। উনার সাথে দেখা হওয়ার সাথে সাথেই উনি ডেকে আনলেন টুম্পাপুকে।

বিস্তারিত»

সৌদি আরবে ৮ বাংলাদেশীর শিরশ্ছেদ, আমরা কোন যুগে আছি?

আগামীকাল পরীক্ষা আছে তারপরও গতকাল থেকেই একটা খবরে কোনভাবেই মনটাকে স্থির করতে পারছি না। আট বাংলাদেশীর শিরশ্ছেদ। আমি যেমন আগে একবার বলেছিলাম পৃথিবীতে এমন কোন ঘটনা নেই যেটাতে শতভাগ মানুষের মতের মিল ছিল তেমনি এই ঘটনাতেও দেখলাম নানা মুনির নানা মত। কোন এক ব্লগে দেখলাম একজন বলছে শুধু ৮ জন না ৮০০০ জন বাংলাদেশীর শিরশ্ছেদ করা উচিত, কেউ বলছে আইনের সঠিক প্রয়োগ আছে জন্যেই নাকি সৌদি আরবে সবাই শান্তিতে আছে।

বিস্তারিত»

এক্সক্লুসিভ ঘটনা

এক্সক্লুসিভ ঘটনা1:জনৈক আলিমুজ্জামান স্টাফকে গালি দেয়ার পর Adj অফিসে:

Adj:তোমরা ক্যাডেট হইয়া আলিমুজ্জামানরে গালি দিছ?
ক্যাডেট:জী স্যার
Adj:ক্যান?
ক্যাডেট:আলিমুজ্জামান স্টাফ হইয়া আমাগো E.D দিছে তাই. . . . 😀

এক্সক্লুসিভ ঘটনা2:একুশে ফেব্রুয়ারীতে জনৈক স্যার কলেজ অডিটরিয়ামে ভাষন দিচ্ছেন।এক পর্যায়ে বললেন….’যে সকল ভাষা শহীদেরা মারা গেছেন আমরা তাদের জন্যে তো দোয়া করবোই যে সকল ভাষা শহীদেরা জীবিত আছেন আমরা তাদের জন্যেও দোয়া করব.

বিস্তারিত»

টাপুর-টুপুর কারিনা কাপুর চেষ্টা

এই সময়ের বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় কিংবা এক নম্বর নায়িকার নাম বলতে গেলে কারিনা কাপুরের নামটা চলে আসবে। চার খান সাহেবের সাথে কোন রকম বঝঘট না পাকিয়ে সমান তালে সবার সাথে অভিনয় করে যাচ্ছেন। স্বয়ং শাহরুখ খান নাকি কারিনার ব্যস্ত সময় থেকে তার জন্য সময় বের করতে পারছেন না। ত আমার এই ব্লগের লেখার বিষয় কারিনা কাপুরও নয় অথবা হালের “বডিগার্ড/ রা ডট ওয়ান” হিন্দি ছবির ডিসেকশন করাও নয়।

বিস্তারিত»

প্রত্যেকে আমরা “নিজের” তরে-২

শুক্রবার ৩০ শে সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর ” অন্য আলোতে” প্রকাশিত ‘প্রথম বাঙালি মিলিয়নিয়ের’ রাম দুলাল দে ‘র কাহিনী পরে অনুপ্রাণিত হলাম, কিছু লিখতে!

শূন্য থেকে উঠে আসা রাম দুলাল নিজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অংক, ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ১০ টাকা মাসিক বেতনে কোলকাতা বন্দরে নোঙর করা জাহাজের আমদানি-রফতানির কাজ তদারকি করতেন।

১৭৬০~৭০ সালের কথা ।

মনিব মদন মোহন দত্ত একদিন ১৪ হাজার টাকা নগদ দিয়ে রাম দুলালকে কিছু নিলাম সামগ্রী কিনার জন্যে পাঠালেন ।

বিস্তারিত»

প্রলাপঃ১১ শূন্যতা ও নির্ভার

তুমি নেই তাই আমি ভালো আছি
আরো কাছাকাছি তুলো মেঘেদের ঘেষাঘেষি গা
ঘাম মেখে নেওয়া ফিরিয়ে দিতে কেউ নেই আর
তুমি নেই তাই করি চিৎকার
ভীষণ খুশিতে তিনফুট লাফ,বৃষ্টির দলে এলোমেলো নাচ
শহরের সব সাদা মেয়েদের চেয়ে চেয়ে দেখি ইচ্ছেমতন
সুযোগ পেলেই রিক্সা আরোহী বড় আপুদের চোখ টিপে দেই
বুক টিপে দেই লোকাল বাসের ব্যস্ত সুযোগে
যা ইচ্ছে তাই লিখতে পারি-বিবেচনাহীন অর্থছাড়া
শ্রাবণের শেষ বাদল ধারায়
ভিজি না এখন;ঘরের ভেতরে কাঁথামুড়ি দিয়ে
প্রবল অলস,ল্যাপটপ খুলে সাদা রমণীর অঙ্ক দেখি
শিল্পের কলঙ্ক দেখি

তুমি নেই তাই রাত হলে কোন ব্যস্ততা নেই
সুযোগ পেলেই
নেটে চ্যাটে বসি খুব সুইট সুইট ছোট আপিদের
সুযোগ পেলেই
খাতা খুলে গুনি দুই তিন তিন-চার দুই এক
তুমি নেই তাই জুতোর ভেতরে জেগেছে পেরেক
দুপুর রোদের এলোমেলো হেটে,কাগজ অফিস
প্রেসের দোকান,সম্পাদকের রাগী ফ্যন্টাসি-মরে গেছে সব।

বিস্তারিত»

প্রত্যেকে আমরা নিজের তরে

বেশ কয়েকদিন আগে থেকে গল্পটা শুরু করেছিলাম। নাম বিভ্রাটে এগুতে পারিনি। প্রথম ভাবছিলাম ‘ প্রত্যেকে আমরা “পরের” তরে ‘ দিবো , কিন্তু পরবর্তীতে ভাবলাম তার চেয়ে নাম হোক ‘প্রতি জন আমরা “একজনের” তরে”। কিন্তু শেষ সিদ্ধান্ত ” প্রত্যেকে আমরা “নিজের” তরে ” এবং এটাই আসলে সবচেয়ে যুক্তিগ্রাহ্য ! কেন এই স্বার্থ পর সিদ্ধান্ত ?

গল্প লিখা আমার দারা হয় না এবং ভবিষ্যতেও হবে না।

বিস্তারিত»

চায়ের সাথে (ছবি)টা

[ইহা একটি জগাখিচুড়ি পোষ্ট। ভালো লাগার পংতিগুলোর সাথে নিজের জমানো কিছু কথা মিশিয়ে একটা যেমন তেমন ঘণ্ট বানাই, জোর করে গেলাবার জন্য সাথে ছেড়ে দেই গোটা কয়েক ফটুক। বদহজম অবশ্যই কাম্য নয়; তবে হয়ে যাওয়াটাকেও কাকতাল ধরে নেব না। লিখবার অপারগতা থেকেই এমন বিদঘুটে কুইনাইনের সৃষ্টি। :brick: ]

একটু ভেবে বলুন তো, শেষ কবে বাবার কাঁধে চেপে বসেছিলেন। আচ্ছা ওটা না হয় বাদই দিলাম।

বিস্তারিত»

গ্লোবালাইজড গোলামী

বিবেকঃ

স্বাগতম হে বন্ধু তোমায়,
গোলামীর এই ধরায়,
গোলাম তোমায় হতেই হবে,
নো ওয়ে,
টু এভয়েড। নো ওয়ে।
ভাবছো বকছি প্রলাপ,
কিংবা কাব্যচ্ছলে দাওয়াত।
ভাবতে পারো যা ইচ্ছা হয়,
কেননা-
তোমার ভাবনার নিয়ন্ত্রন
একান্তই তোমার।
আমি এতটুকুই শুধু পারি,
জানাতে সত্য, তাও দাবী।
আমার কাছে যা সত্য,
তোমার বেলায় তা,

বিস্তারিত»

বাঙ্গালী লাদেন!

(প্রারাম্ভ-কথাঃ লেখাটা আরম্ভ করেছিলাম ১৫ আগষ্ট। শেষ করা হয়ে ওঠেনি নানান ঝামেলায়। কিন্তু আজ যখন বাবা তার এক বন্ধুর ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেখাল, তখন হুহু করে লেখাটা চলে আসলো। মনে আরো অনেক কথা ঘুরপাক খাচ্ছে- গুছাতে পারলাম না সেভাবে- দুঃখিত।)

আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবানদের মধ্যে গন্য করি কারণ পরিবার থেকে শ্রদ্ধাভাজনকে শ্রদ্ধা করার মত শিক্ষা পেয়ে এসেছি, নিজের অস্তিত্বের প্রতি সম্মান করতে শিখিছি। আমি আমার জাতি ও নাগরিক সত্বা নিয়ে গর্ববোধ করি আর আমার এই গর্বের কারণ এই দেশের জন্মের ইতিহাস,

বিস্তারিত»

একজন বাঁশীওয়ালা খুঁজে ফিরি

সভ্যতার আদিতে প্রকৃতির কোলেতে স্নিগ্ধ শুভ্রতারই বসবাস ছিল ! তখন এতটা দূষণ ছিলনা বাতাসে। তাইতো হৃৎপিন্ড এখন একটুতেই হাঁপিয়ে উঠে।
শুদ্ধতার মোহে তাড়িত হই আমি পথ থেকে পথে। সবার জীবনেই ছোট বড় দীর্ঘশ্বাস জমে যায়।
এ জন্যই হয়তো শব্দের ছলনায় সেইসব দীর্ঘশ্বাসগুলো আমরা একদম ভুলে থাকতে চাই।
জোর করে আঁকতে চাই শুধুই সুখছবি; তবুও এসে যায় ভায়োলিনের কান্না।
অভিমানে এক বুক আঁধার নিয়ে ছাইমাখা জীবনে উড়ে চলি –

বিস্তারিত»