নজরুল দ্যাখো চলিয়াছি মোরা, বীর বিক্রমে ফুলে,
“বিদ্রোহী” নাম বুকেতে লাগায়ে,রাজার মতন দুলে।
মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম জানি, তবুও কিসের ভয়ে,
বিধাতার মতো চঞ্চল হয়ে, চলিতেছি ধীর লয়ে।
লজ্জা পেওনা নজরুল তুমি, যদি দেখো চোখ ফাঁড়ি,
ছুটিনা যে মোরা উল্কারও বেগে, হাঁকি শুধু দামি গাড়ি!
আগাইনা মোরা সাহস করিয়া, দুর্গম কোন পথে,
পাঠাওনা কবি “দুরন্ত পথিক”, উঠিব তাহার রথে।
“মানিক বন্দোপাধ্যায় ও তার গল্প লেখার গল্প” -শেষ পর্ব
“মানিক বন্দোপাধ্যায় ও তার গল্প লেখার গল্প” –১ম পর্ব পড়ার জন্য ক্লিক করুন এখানে…
গল্প লেখার গল্পঃ
“একদিন কলেজের কয়েকজন বন্ধু সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করছে। আলোচনা গড়াতে গড়াতে এসে ঠেকলো মাসিকপত্রের সম্পাদকের বুদ্ধিহীনতা, পক্ষপাতিত্ব, দলাদলি প্রবণতা ও উদাসীনতায়। বললাম, ‘কেন বাজে কথা বকছো? ভালো লেখা কি এত সস্তা যে, হাতে পেয়েও সম্পাদকেরা ফিরিয়ে দেবেন? মাসিকগুলি তো পড়ো, মাসে ক’টা ভালো গল্প বেরোয় দেখেছো?
বিস্তারিত»সবুজ মানুষদের গপ্পো
১
সবুজ মানুষের ইশারা পেতেই চিহ্নিত স্থানে
মাটি খুঁড়ে উত্তোলিত হলো গুপ্তধনের সিন্দুক।
ডালা খুলতেই ফুস করে উড়াল দিল
এক ঝাঁক রঙীন প্রজাপতি !
সময়ের হাতে কিডন্যাপ হয়ে যাওয়া
কিছু সুপ্ত ভাব ও ভাবনা…
২
চুপিচুপি উড়ে যায় অভিসারে
চঞ্চলপ্রাণ সকল; এক ঝাপটায় উধাও
ওদের গোপন ডেরায় -সবুজের রাজত্বে।
দেবদারু গাছেরা সীমানায় সারিবেধে;
পাতার প্রাচীর বিচ্ছেদকারী সূর্যকিরন ।
কিছু কৌতুক
প্রশ্নের চাপ
ছোট ছোট দুটি ছেলেকে নিয়ে ট্রেনে উঠেছেন এক ভদ্রলোক। একটির বয়স ৫ আরেকটির বয়স ৭। ভদ্রলোক ট্রেনের একটি বার্থে গিয়ে বসলেন। শিশু দুটি অবিরাম প্রশ্ন করে চলছে, এটা কি? ওটা কি? এমন কেনো? তেমন কেনো? প্রশ্নের চাপে বিরক্ত বাবা একটু পর পর বলছেন, “চুপ কর”। বড় ছেলেটি আবার পাল্টা বলছে, “কেনো চুপ করব?” তার দেখাদেখি ছোটটিও বলছে, “কেনো চুপ করব?” একই বার্থে বসে ছিল এক যুবক।
বিস্তারিত»টেস্ট ক্রিকেটে ‘লুইস-মুন্না-কামাল’ পদ্ধতি!!
চট্টগ্রাম টেস্টের হতাশাজনক পরিসমাপ্তি (?) পর বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মনবেদনা লাঘবে আইসিসির সর্বক্ষমতাময় শারদ পাওয়ার এক ঐতিহাসিক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। ‘লুইস-মুন্না-কামাল’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ী ঘোষণা করেছে আইসিসি।
প্রচলিত ‘ডাকওয়ার্থ-লুইস’ কেন ব্যবহৃত হল না, তা বোঝার আগে আসুন আমরা জেনে নেই ঐ পদ্ধতি কিভাবে কাজ করে।
ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির প্রধান উপাদান হচ্ছে দলের রিসোর্স বা সম্পদ-অর্থাৎ,
১। একটি দলের নির্দিষ্টসংখ্যক ওভারকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো এবং
২।
বিস্তারিত»একজন নার্সের স্মৃতিচারণ
একজন নার্সের স্মৃতিচারণ
– ড: রমিত আজাদ
প্রসব ওয়ার্ডে আমার প্রথম কর্মদিবসে,
দুরু দুরু হৃদয়ে, সেবিকার পরশে।
ভয়ে আধমরা হয়েছিলাম শিশুটিকে গ্রহন করতে,
একটি ছোট্ট শরীর পিছলে পড়েছিল আমার হাতে।
আমি তার কানে কানে মৃদুস্বরে বললাম,
“সোনামনি, এই সুন্দর পৃথিবীতে স্বাগতম”।
সময় গড়িয়ে গেল ধীরে ধীরে কতকাল,
ওয়ার্ড থেকে ওয়ার্ডে কেটে গেল কত সাল।
দেখে দেখে কত শত যাতনার দৃশ্য,
নীল ত্সিকোরী
নীল ত্সিকোরী
মূল: মারিনা রাতনের
ভাবানুবাদ: ড: রমিত আজাদ
স্মৃতির রং – নীল ত্সিকোরী,
অপার্থিব নিসর্গের সৌন্দর্যে প্রস্ফুটিত।
ত্সিকোরীর নীল রঙে ভরা স্মৃতিবিধুর দিনগুলোতে,
প্রিয়তম আমার, তুমি কি অষ্টপ্রহর কেবল আমাকেই ভাবছ?
তুমি আমায় ভালোবেসেছিলে
তুমি আমায় ভালোবেসেছিলে
– ড: রমিত আজাদ
তুমি আমায় ভালোবেসেছিলে,
আমি তোমায় ভালোবাসিনি।
তুমিও জানতে তা,
তবু তুমি এসেছিলে,
পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে উদ্ভাসিত হৃদয়ে।
তোমার ভাষাহীন নির্বাক চোখ,
তমসায় ছেয়েছিল।
তোমার অভিমানি মন,
এ মনে পায়নি ঠাঁই।
পরাজিত প্রেম আকুল হয়ে ছুটেছে নিরুদ্দেশ,
বিস্তারিত»জীবনের টুকরো দেশবিদেশে (অকুপাই ওয়াল স্ট্রীট)
১
প্রথমে ভেবেছিলাম প্রিয় সিসিবির গেট টুগেদার নিয়ে লিখব। পরে মনে হল ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ নিয়ে লিখি। সময়টা বড়ই কঠিন। অন্ধের যেমন হাতি দর্শন আমার তেমনি অর্থনীতি বয়ান। দেশে থাকতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দুই ক্রেডিটের অর্থনীতির একটা কোর্স করেছিলাম। ব্যাস, এই বিষয়টাতে আমার প্রথাগত পুঁথি গেলা এই পর্যন্তই। তাই আমার অর্থনীতি বয়ান হবে অনেকটাই এরকম –
’হাতি দেখতে কেমন?’
’খসখসে।’
২
প্রথমেই আমেরিকার অর্থনীতির কথা বলি।
বিস্তারিত»সঙ্গিনী
যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই,
পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন,
যদি দেখ কেহ নাই, চাও একমুঠো ঠাই,
নিও আমা হতে একরাশ যতন।
যদি ছেড়ে যাও দেশ, পথ হয়ে যায় শেষ,
পথের সঙ্গী করে নিও তুমি আমায়;
খোলা আকাশের তলে, মোরা দুইজনে মিলে,
পথ খুঁজে নেব শত সহস্র তারায়।
বিস্তারিত»ইমরান ভাই এর কলেজ তাণ্ডব !!!!!!
কিছু দিন আগে রাজশাহীতে সকল এক্সক্যাডেট নিয়ে হলো গেট টুগেদার ।সেই খানে ইমরান ভাই এর সাথে পরিচয় ।ইমরান ভাই পাবনা ক্যাডেট কলেজ(আমার কলেজ) এর ১৪ তম ব্যাচ এর একজন এক্সক্যাডেট।গেট টুগেদার এর অন্যতম স্পন্সর ।উনার বাড়িও পাবনা ।সবসময় পাবনার ভাষায় কথা বলেন ।উনার সাথে পরিচিত হবার পর উনার কাছ থেকে তার কলেজ লাইফ এর কিছু মজার ঘটনা শুনি ।সেই ঘটনা গুলো মোটামুটি বর্ণনা করছি :
১)একদিন ইমরান ভাই ও উনার সাথে দুইজন বন্ধু মিলে গেমস টাইম এ ডাব পারতে যান ।যথারীতি উনারা ডাব গাছে ।
বিস্তারিত»মিস্টি আসলে কতো মিস্টি!!
এক. ‘চিনি’ দারুণ মিস্টি শব্দ। বুঝের বয়স থেকেই চিনি বা মিস্টি খেতে পছন্দ করেছি। মা গল্প করেন, ভালোবাসতাম বলে শিশু বয়সে বাবা প্রায়ই অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে আমার জন্য মিস্টি নিয়ে আসতেন। আমি নাকি ছোট ভাইবোনদের তুলনায় একটু বেশি ‘সুযোগ-সুবিধা’ পেয়েছিলাম! স্মৃতিতে ভাসে গুড়ো দুধের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে কতো খেয়েছি। এই কদিন আগেও ফ্রিজ খুলে প্যাকেট থেকে তুলে নিয়ে মুখে চালান করেছি কতো মিস্টি।
বিস্তারিত»হচ্ছে কি এসব?
অনেকদিন পর লিখছি। শেষ লেখাটা লেখার পর পরই ঠিক করে ফেলেছিলাম কি নিয়ে লিখবো।
সাধারণ নিয়মে বছরে ৩৬৫ দিন; লিপ ইয়ারের ঝামেলা যদি বাদ দেই। এই ৩৬৫ দিনের প্রতিটি দিনেই কোন না কোন দিবস পালন হচ্ছে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও। আমি হাতে গোণা কয়টি বাদে বাকিগুলোর হিসাব রাখিনা; ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২৫শে মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর। ১লা বৈশাখ। এইতো। ব্যাক্তিগত দিনগুলির কথা না হয় বাদই দিলাম।
বিস্তারিত»কষ্ট
নিয়তির সাথে লুকোচুরি খেলে স্বপ্নেরা মোরে ডাকে,
স্বপ্নের মাঝে তোমায় পেয়েছি গোধূলি ক্ষণের ফাঁকে।
তবু কিছু স্মৃতি দহন করেছে হৃদয় খানিরে অল্প,
সুখপাখিরা নীরব থাকে শুনে সে আজব গল্প।
মনের মাধুরী মিশিয়ে যাহাকে সপ্নেতে খুঁজে পাই,
বাস্তবতার কঠিন আলোকে হারাতে বসেছি তাই।
বেথাতুর মন, দেখেছে শ্রাবণ, শ্রাবণ মেঘের দিন,
তাই দেখে বুঝি কাকাতুয়া ডাকে বাজিয়ে আপন বীন।
বিস্তারিত»মাঠে এবং মাঠের বাইরে
ক।
এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নিয়ে কেন জানি খুব একটা আশাবাদী ছিলাম না, যদিও সাধারনত আমি খুবই আশাবাদি ধরনের সমর্থক। (এক যুগের বেশি সময় ধরে আর্সেনালকে সাপোর্ট করা বলে কথা)। কিন্তু আমাদের টাইগারেরা যখন টি২০ সিরিজে ওদেরকে হোয়াইট ওয়াশ করলো (হোক না এক ম্যাচের সিরিজ) তখন ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠলাম। কিন্তু সে আশায় যথারীতি গুড়ে বালি। এখন শেষ ওয়ানডে বাকি মান সম্মান বাঁচানোর জন্য।