বাংলা বনাম ইংরেজি – ভিন্নমত

১।    খুব ভয়ে ভয়ে লিখছি। যদিও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে আমি বরাবরই খুব বাড়াবাড়ি রকমের স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড। বাংলা আর ইংরেজি নিয়ে আমাদের যে দ্বিধাবিভক্তি আর ফেব্রুয়ারি মাস এলেই যে বাংলা প্রীতিটা হঠাৎ যেন পূর্ণিমার তিথিতে সাগরের বাণ ডাকার মত ফুসে উঠে; এই ব্যাপারটা নিয়ে লিখার হালকা পাতলা লোভটা সামলাতে পারলাম না। বিশেষ করে ব্লগে, টিভিতে, কাগজে (ইন্টারনেটের কল্যাণে প্রবাসে বসেও বাংলা পত্রিকা পড়া যাচ্ছে) সর্বত্র বাংলার এমন ব্যান্ড বাজতে দেখে লিখতে বসে গেলাম। ছোট ভাই শাওনের লেখা গল্পটা অহংকারের আর এ্যাডজুটেন্ট ভাইয়ার লেখা প্রসঙ্গ ইংরেজি মন্তব্য যেন আমাকে আরো একটু উৎসাহ যোগাল।

২।    আমি মনে করি ইংরেজি শিখাটা আবশ্যক, এবং ব্যবহার করতে জানাটা অতি আবশ্যক। কেন? আচ্ছা সিনিয়র ভাইয়ারা যারা ব্লগে আছেন আপনাদের বা আপনাদের পরিচিত পরিমণ্ডলে কজনের স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়ে আছে? এদের মধ্যে কজন তাদের ছেলেমেয়েদেরকে বাংলা মিডিয়ামে পড়াচ্ছেন। আমারটা আগে বলি। আমার ছেলের বয়স ১৪ মাস হতে যাচ্ছে। আল্লাহর বাঁচিয়ে রাখলে এখনো ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াবার ইচ্ছাই রাখি। কারণ আস্তে আস্তে ব্যাখ্যা করছি। আমি নিজে চির জীবন বাংলা মিডিয়ামে পড়লেও বাংলা ব্যাকরণে পারদর্শিতার জন্য বরাবরই বিখ্যাত ছিলাম। যেমন, প্রেপে একদিন খুব মনোযোগ দিয়ে বাংলা টিচারের দেয়া একটা ভাব-সম্প্রসারণ লিখার চেষ্টা করছি। বন্ধু শরিফ আমাকে এত মনোযোগ দিয়ে পড়তে দেখে সন্দিহান! কাছে এসে বলল, তুই কি করছিস? দেখালাম। যে ভাব-সম্প্রসারণটা লিখার চেষ্টা করছি। সবে এক প্যারা হয়েছে। শরিফ ওই এক প্যারাই পড়ল। তারপর হঠাৎ আমার খাতাটা নিয়ে দৌড়ে ক্লাসের সামনে গিয়ে সবাইকে বলল দেখ দেখ!! রাশেদ পুরো এক প্যারা বাংলা লিখেছে, এর মধ্যে একটাও বানান ভুল হয়নি। এই হল আমার বাংলার অবস্থা। যাহোক ইংরেজির জোরে টিকে গেছি। আমার মতে বাংলাটা চর্চার চেয়ে আমাদের চেতনা, মননে, চিন্তায় ধারণ করাটা বেশি জরুরী। শাওনের লিখার কথা বলেছিলাম, কারণ আর কিছু নয়; ঐযে ও বাঘের ছাগলদের ভাষা শেখার গল্প বলল। বাঘ ছাগলের দুধ খাওয়ার জন্য ছাগলের ভাষা শিখলেও হুংকার কিন্তু বাঘের ভাষাতেই দেয়। খুব ভালো লেগেছে। কারণ আমিও ঠিক এটাই বলতে চাই।কেন ইংরেজিটা অত জরুরী হয়ে পড়ল? আচ্ছা হায়ার স্টাডিজে কটা বাংলায় লিখা বই পত্র পাওয়া যাবে? আমি অবাক হয়ে দেখি, এ যাবত যত এয়ারপোর্টে বা দেশে গেলাম বা নামলাম মোটামুটি নিশ্চিত যে, ক্লিনারটা, সুইপারটা বাংলাদেশী। আর ইনফরমেশন ডেক্স, হোটেলের ফ্রন্ট ডেক্স, রেস্টুরেন্টের ওয়েটার, ম্যানেজার, শপিং মলের সেলস বয় বা গার্ল অর্থাৎ স্টাফ বা ম্যানেজারিয়াল পোষ্টগুলিতে হয় ইন্ডিয়ান নয়ত ফিলিপিনো। পাকিস্তানিরাও আছে। বাংলাদেশী আছে খুব কম। আমাদের অনেক শিক্ষিত মানুষেরও পেটে বোমা মারলে দুটি ইংরেজি শব্দ মুখ দিয়ে বের হতে চায় না। আর ওদের স্বল্প শিক্ষিত যুবক/যুবতীরা অবলীলায় ইংলিশ বলে যাচ্ছে। কাস্টমারদেরকে হ্যান্ডেল করছে। দারুণ। আরো মজার ব্যাপার হল এরাবিয়ান বা  ইমিগ্রেশন, পুলিশ বা এই ধরে নর কর্তব্যে নিয়োজিতরা আমাদেরকে দেখলে ভাঙ্গা ভাঙ্গা হিন্দিতে কথা বলার চেষ্টা করে। চিন্তা করে দেখলাম যে স্টাফ বা ম্যানেজারিয়াল পোষ্টগুলি অধিকাংশ ইন্ডিয়ানরা কাজ করাতে তারা আস্তে আস্তে অল্প অল্প হিন্দি শিখে নিয়েছে। আর আমাদের দেশ থেকে যে শ্রমিকরা যাচ্ছে তাদের সাথে ইংরেজি না বলে ওরা হিন্দিতে বলে।আর দুচার জন যাদেরকে একটু ভালো পোশাক আশাকে দেখা যায়। তাদেরকে ওরা ইন্ডিয়ান ধরেই নেয়। আমি বেশ কয়েকবার বলেছি সরি আমি ইন্ডিয়ান না। এরকম অভিজ্ঞতা নিশ্চয় আরো অনেকের হয়েছে। লক্ষণীয় ব্যাপার হল ইংরেজি শিখার কারণে ইন্ডিয়ানরা বাইরে আমাদের লোকজনের চেয়ে ভালো পজিশনে চাকুরী করছে। আবার ঠিক এই কারণেই বিদেশিরা এখন হিন্দি শিখে গেছে। মধ্য পাচ্যে হিন্দির বেশ ভালো প্রচলন আছে। অবশ্য এর পিছনে বলিউডের একটা বড় অবদান আছে।

৩।    বিপুল এই জনসংখ্যা নিয়ে আমাদেরকে জনশক্তি রপ্তানিতে মনোযোগী হতে হবে। এছাড়া আর উপায় নেই। আমি এখন লেবাননে। লেবাননের জনসংখ্যা ২৫ মিলিয়ন। এর মধ্যে ২০ মিলিয়ন প্রবাসী!! মাত্র ৫ মিলিয়ন দেশে বসবাস করে। লেবাননের সম্পদ বলতে তেমন কিছুই নেই। স্রেফ রেমিটেন্সের উপর ভরসা করে দেশটা চলছে। বৈরুতের রাস্তায় যত দামি গাড়ি চলে, তা ইউরোপের অনেক শহরেই চলে না। আমি আনুপাতিক তুলনা করছি। আমাদেরকে সুইপার, গৃহকর্মী রপ্তানির চেয়ে, শিক্ষিত ও স্কিলড ওয়ার্কার পাঠানোর বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। এ্যাডজুটেন্ট ভাইয়ার লিখার ব্যাপারে বলেছিলাম। ভাইয়া লিখেছেন পোষ্টে বা মন্তব্যে আমরা দৈনন্দিন কথাবার্তায় যেমন ইংরেজি বাংলা মিশিয়ে ব্যবহার করি তা না করতে। কিন্তু ভাইয়া না করে উপায় কি? আমার  এই লেখাটাই দেখুন না। কত্ত ইংরেজি শব্দ রে বাবা!! আর আপনার লেখাটাতেও কিন্তু নেহায়েত কম নেই। নিজেই দেখুন।

৪।    অনেকটা ইচ্ছা করেই লেখার প্রথম লাইনে ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেছি। কারণ ঠিক ওই শব্দটার উপযুক্ত বাংলা এই মুহূর্তে মাথায় আসছে না। যে ভাষা যত সহজে অন্য ভাষার শব্দগুলো আত্তীকরণ করতে পারে সেই ভাষা তত উন্নত। আমার মনে হয় এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষার শব্দ বাংলায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ইন্টারনেটেরও এর পিছনে অনেক বড় অবদান আছে। আমি বলতে চাই ভাষা বাংলা ভাষা বলে বছরের কটা দিন অতি ভক্তি না দেখিয়ে আমরা যদি বাংলা মাতৃভাষা হিসাবে আমাদের অন্তরে ধারণ করতে পারি সেটাই ভালো। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন আগে বাংলার বুনিয়াদ গড়ে তারপর ইংরেজি শিখতে। আমাদের সমস্যাটা এখানেই। আমাদের যারা ছেলেমেয়েকে ইংলিশ মিডিয়ামে দিয়েছেন, তারা বাংলা প্রায় বলতেই পারে না। বললেও আবার ইংলিশদের মত করে বলে। আর বাংলা মিডিয়ামের ছেলেমেয়েরা আবার ইংরেজিতে দুর্বল। ফলে উচ্চ শিক্ষায় গিয়ে বা বাইরে গিয়ে তারা অসুবিধায় পড়ছে। আমাদের মনে হয় জাতিগত ভাবে ভারসাম্য জ্ঞানটা কম!!!! আশা করি আমার ভুল বাংলা বানান গুলো আমার ১৬ তম ব্যাচের বন্ধুদের মত আপনারা সবাই আনন্দের সাথে গ্রহণ করবেন। আজ এখানেই শেষ করব।

২,৬২৬ বার দেখা হয়েছে

১৫ টি মন্তব্য : “বাংলা বনাম ইংরেজি – ভিন্নমত”

  1. রকিব (০১-০৭)

    মূল পোষ্টের সুরের সাথে আলোচনা করবার আগে একটা জিনিস বলে নেই রাশেদ ভাই। সিসিবিতে বোধকরি ইংরেজি হরফে মন্তব্যের ব্যাপারে আগে থেকেই নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। শহীদ দিবসকে কেন্দ্র করে হঠাৎ এটা আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে বলে মনে হলো না তাই। তাছাড়া এডু স্যার দেখলাম বলেছেন যে, রিসেন্টলি সবাই আবার সিসিবিতে আগের চেয়ে বেশি সময় দিচ্ছে বলেই হয়তো ইংরেজিতে কিছু মন্তব্য আসছে। সম্ভবত ঐ কারণেই এডু স্যারের পোষ্ট। :grr:

    "

    এ্যাডজুটেন্ট ভাইয়ার লিখার ব্যাপারে বলেছিলাম। ভাইয়া লিখেছেন পোষ্টে বা মন্তব্যে আমরা দৈনন্দিন কথাবার্তায় যেমন ইংরেজি বাংলা মিশিয়ে ব্যবহার করি তা না করতে। কিন্তু ভাইয়া না করে উপায় কি? আমার এই লেখাটাই দেখুন না। কত্ত ইংরেজি শব্দ রে বাবা!! আর আপনার লেখাটাতেও কিন্তু নেহায়েত কম নেই। নিজেই দেখুন।

    "

    এই অংশটুকুর ব্যাপারে বলি এবার; এডু স্যার নিজেই বোধহয় পোষ্টে আরো একটু স্পষ্টভাবে বললে ভালো হতো (একান্তই ব্যক্তিগত মতামত)।
    সিসিবির নীতিমালায় এই লাইন ক'টা দেখলামঃ

    আমরা আমাদের দৈনন্দিন কথা বার্তায় যেভাবে ইংরেজির ব্যবহার করি, সেইভাবে পোস্টে এবং মন্তব্যে ইংরেজি বাংলা মিশিয়ে কিংবা ইংরেজির প্রাধান্য বা ইংরেজি অক্ষরের ব্যবহার চরম ভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। যেমন- Post, Point, Moderator Panel এইভাবে রোমান হরফে না লিখে পোস্ট, পয়েন্ট, মডারেটর প্যানেল এভাবে লেখবার জন্য বলা হচ্ছে। ইংরেজি বা অন্য ভাষায় করা মন্তব্য প্রকাশের নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে না।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. রকিব (০১-০৭)

    ১) আপনার ১ নম্বর পয়েন্টটা ভাইয়া একেবারেই উড়িয়ে দেবার মতো না। দিবস বাণিজ্য খুব রমরমা আজকাল। আজকে একটা ভিডিও দেখলাম ফেসবুকে; ৪-৫ জন নানান বয়সী (আমার মায়ের বয়সী একজন মহিলাও ছিলেন)-দেরকে ২১ ফেব্রুয়ারি পালনের কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তারা উত্তর দিতে ব্যর্থ হন। হয়তো অনেকেই ঠিক ভাবে জবাব দিয়েছে, কিন্তু ভুল গুলোকেই ঐ ভিডিওতে দেখিয়েছে। এমন চিত্র আমি অনেক বেশি দেখেছি। অন্তত যারা শিক্ষিত, ক্লাশ ৫-১০ দেশে পড়াশোনা করেছেন তাদের জন্য জানা থাকাটা তো অন্তত পরীক্ষার খাতায় নাম্বার পাবার মতোই জরুরী ছিল।

    ২) সহমত। একটা নতুন ভাষা জানাটা কোন অপরাধ না। সমস্যা তৈরি হয়, যখন অনেককেই দেখি নিজের ভাষাটা ঠেলে দিয়ে পরদেশি ভাষা যা তার প্রয়োজন নেই কোন ভাবেই ব্যবহারের, কেবল এক্সটা স্মার্টনেস দেখাবার জন্য ব্যবহার করে। আমি সেকেন্ড জেনারেশন প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকের ক্ষেত্রেই দেখেছি, বাংলা বলতে ভালোই আটকে যায়, অনেকে একেবারেই পারে না বলা চলে, কিন্তু হিন্দি বলতে গেলে ভারতীয়রাও অবাক হয় দক্ষতা দেখে। হয়তো বলিউডি কালচারের কারণে। দোষটা আমি বাবা মাকেই দেবো, সন্তানের শেখাবার দায়ভারটা তাদের উপরই বর্তায়।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ভালো লেখা। যুদ্ধটা ইংরেজির সাথে না করে হিন্দির সাথে করা উচিত। এই যে বাংলা বাংলা করা আম্রা কজন পড়ার বইএর বাইরে অন্য বই পড়ি! সরল করে বল্লে বলতে হবে দৈনিক পত্রিকা, হুমায়ুন আহ্মেদ, আর জাফর ইকবাল। মিলন ও আস্তে পারে আর ইদানিং আনিসুল হক। এইত।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  4. সাইফ শহীদ (১৯৬১-১৯৬৫)

    ফৌজদারহাটে পড়ার সময় ক্লাশের বারান্দাতে দাঁড়িয়ে বাংলায় কথা বলার জন্যে এক্সট্রা-ড্রিল খেতে হয়েছে, সাধারণ বাংলার বদলে 'ইজি বাংলা' বাংলা শিখতে হয়েছে, অনেক আরবী-উর্দূ শব্দ আমাদের ভাষাতে তখন ঢুকানো হয়েছে, রেডিও-টিভিতে রবীন্দ্র সংগীতের প্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে - তাতে কি আমার বাংলা শেখার ও বাংলাতে লেখার আগ্রহ কমেছে? তা মোটেই না।

    তবে এখন যেভাবে 'হাই-কোর্ট' ও কিছু 'চামচা' উঠে পড়ে লেগেছে বাংলাকে তাদের ব্যক্তিগত সম্পতি বানাতে - মনে হচ্ছে এই বার যেন ভুলতে হবে বাংলাকে।

    ভাষার মালিক জনগন - তারাই ঠি্ক করবে কোন দিকে যাবে সেই ভাষা।

    ভাষা হোক উন্মূক্ত

    জবাব দিন
  5. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    কিছু জায়গায় দ্বিমত করছি ভাইয়া। প্রথমত, সিসিবি এডজুট্যান্টের লেখার প্রসঙ্গটা এখানে ঠিক যাচ্ছে না। কারণ সিসিবি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই সবাইকে বাংলায় লিখতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এটা সম্ভবত একুশে ফেব্রুয়ারির স্রোতে করা হয়নি বরং হঠাৎ অনেক ইংরেজি মন্তব্য আসছে দেখে করা হয়েছে।

    ইংরেজি শেখা খুবই প্রয়োজন, কিন্তু কথা হচ্ছে বাংলা চর্চা উৎসাহিত করা (একদিনের জন্য হলেও) কি ইংরেজি চর্চাকে নিরুৎসাহিত করার সমার্থক?

    আমার কথা হচ্ছে: ইংরেজি শেখা খুব প্রয়োজন, কিন্তু সেই সাথে নির্বিচারে ইংরেজি সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে দিলে আমাদের সংস্কৃতির জন্য বিপদ। জার্মানির সাধারণ মানুষ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক ভাল ইংরেজি পারে, কিন্তু তার কারণ কি ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করা? তা নয় কিন্তু। ইংরেজি শিখতে ইংরেজি মাধ্যমে পড়তে হবে এমন কোন কথা নেই। আমাদের দেশে সবাই ইংরেজি মাধ্যমের দ্বারস্থ হচ্ছে কারণ সেখানে পড়াশোনার মান এবং ব্যবস্থা ভাল, যেখানে ব্যবস্থা ভাল সেখানে পড়াশোনাও ভাল হবে। আমাদের সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার মান যদি আরও উন্নত করা হয় তাহলে বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীরাই ভাল ইংরেজি বলতে পারবে। ইউরোপের প্রতিটি দেশই যার যার মাধ্যমে পড়াশোনা করে কিন্তু নেদারল্যান্ড বা জার্মানির মত দেশগুলোতে ইংরেজি জানা মানুষের সংখ্যাও অনেক, এই ইংরেজি তারা ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে শিখেনি।

    আমি বরং দেখেছি যে দেশ যত বেশি উন্নত সে তার মাতৃভাষার প্রতি তত মনোযোগী। ইউরোপের অনেকেই মাতৃভাষার বাইরে অন্তত আর একটি ভাষা পারে। বাংলাদেশে সেই আর একটি ভাষা ইংরেজি হোক, সেটা খুবই দরকার, কিন্তু মাতৃভাষাকে অবহেলা করে নয়, কোন স্তরেই (শিক্ষা ব্যবস্থা, সংস্কৃতি কোন স্থানেই) অবহেলা করে নয়।

    সিসিবি প্রসঙ্গে আমার মত হচ্ছে: একটি বাংলা পত্রিকাতে কি ইংরেজি লেখা প্রকাশিত হতে পারে? তাহলে সিসিবিতে কেন ইংরেজি (মূল ইংরেজি বা ইংরেচি হরফে বাংলা) গৃহীত হবে? ইংরেজির জন্য আলাদা ইংরেজি ব্লগ খোলা যেতে পারে, যেটা ভাল উদ্যোগ, কিন্তু যেখানে বাংলা সেখানেই ইংরেজি খুবই বেখাপ্পা লাগে, এটা সেই দূষণের মত মনে হয়। ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করলেও ক্ষতি নেই, কিন্তু সেটা যদি বাংলা বর্ণমালায় না হয় তাহলে কি সেটাকে আমি আমার ভাষায় গ্রহণ করলাম বলতে পারব? table আমরা গ্রহণ করেছি 'টেবিল' লেখার মাধ্যমে, যদি table ই লিখতে থাকতাম তাহলে তা কোনদিনই বাংলা ভাষার শব্দ হয়ে উঠতে পারতো না।
    🙂

    জবাব দিন
  6. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আমাদের দিবস বা মাস কেন্দ্রিকতা আসলেই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, এর থেকে খুব সহসা মুক্তি পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। তবে আমার মনে হয় এডু স্যারের পোস্টটা এই সময়ে দেয়াটা নিতান্তই কাকতালীয়। রোমান হরফে বাংলা আর মাত্রাতিরিক্ত/অপ্রয়োজনীয় ইংরেজি শব্দ কোন লেখায় থাকলে আমার সেটা পড়ার আগ্রহ অনেক কমে যায় আর এই ব্লগেও প্রথম থেকে সেটাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বলে দেখে আসছি।

    ইংরেজি শেখা বা জানার ক্ষেত্রে আমার কোন আপত্তি নেই, আপত্তি হলো নিজের স্মার্টনেস দেখানোর জন্য অযথা ইংরেজির ব্যবহার। দু এক লাইন উধাহরন দিত ভাল লাগতো কিন্তু এ মুহুর্তে পারছি না, অনেকেরই মুখেই এমন বাংলা শুনি যার ৬০% থাকে ইংরেজি শব্দ যার বেশিরভাগই আরোপিত।

    ইংরেজির ব্যবহার তাও মেনে নেওয়া যায়, আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে। কিন্তু হিন্দি যেভাবে আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়ছে তার কোন সুস্থ দিক আমি অন্তত দেখছি না। ছোট বাচ্চারা ভাল হিন্দি বলতে পারলে তা নিয়ে বাবা মা রীতিমত গর্ববোধ করে!

    আর বিষয়টা শুধু ভাষা ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, ভাষার সাথে সাথে তাদের সংস্কৃতিও আমরা অন্ধের মত আকড়ে ধরছি, অবশ্য সংস্কৃতিও একটি পরিবর্তনশীল ব্যাপার, তাই সেটার পরিবর্তনও হয়তো আমাদের মেনে নেয়াই উচিৎ!


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  7. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    ইংরেজী থাকুক ইংরেজীর জায়গায়, বাংলার জায়গায় বাংলা। মাতৃভাষা থাকুক মায়ের মত। সমস্যা নেই।

    সমস্যা মানসিকতায়, ভাষায় নয়।

    এদের মধ্যে কজন তাদের ছেলেমেয়েদেরকে বাংলা মিডিয়ামে পড়াচ্ছেন।

    আমি পড়াচ্ছি, সমস্যা হচ্ছে না, হবেও না বোধকরি।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  8. আন্দালিব (৯৬-০২)

    আমার মনে হয় না বাংলা মাধ্যমে পড়ে কেউ ইংরেজিতে খারাপ হবে। বরং ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে বাংলার অবস্থা দফারফা হয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে বাংলা নিজের ভাষা, এই ভাষায় বুৎপত্তি ভাল না হলে মননের উন্নয়ন ঘটে না। বিদেশি ভাষায় ভুল হওয়াটা দুষণীয় না, কারণ সেটা তার সহজাত এলাকা নয়। কিন্তু মাতৃভাষায় ভুল হওয়াটা দুষণীয়ই শুধু না, রীতিমত অপমানজনক।

    ভাই আপনি বললেন,

    বাংলাটা চর্চার চেয়ে আমাদের চেতনা, মননে, চিন্তায় ধারণ করাটা বেশি জরুরী।

    যদি চর্চাই না হয়, তাহলে ধারণ করবে কীভাবে? চর্চা না হলে এটাও একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে, ল্যাটিন বা অন্যান্য ভাষার মতন।

    আর আমার মনে হয় না বাংলা মাধ্যমের শিক্ষায় কোনো সমস্যা আছে। কাঠামো খারাপ, ওকে। কিন্তু পড়াশোনার প্রতিযোগিতার দিক থেকে এখনো বাংলা মাধ্যম এগিয়ে। বড়োলোক/উচ্চ-মধ্যবিত্ত হওয়া বা শহুরে হওয়া ইংরেজি মাধ্যমের পূর্বশর্ত, যেখানে অনেক মেধাই আসার সুযোগ পায় না।

    জবাব দিন
  9. শরীফ (১৯৯৩-১৯৯৯)

    আরে রাশেদ, তুই তো দেখি ভালই হাত খুলে লিখছিস! তোর ইংরেজী প্রীতি আর বাংলা ভীতি দুটোই অত্যন্ত কৌতুকের বিষয় ছিল কলেজে...। সেই ডাইরীর প্রসঙ্গে ফিরে যাই...আশরাফের লেখার পাশেই তোরও একটা লেখা ছিল...সে লেখাটি ছিল যথারীতি ইংরেজী তে...তখন তো আমরা বাংলা মিডিয়ামেই পড়তাম...

    এখন কিন্তু ক্যাডেট কলেজগুলো ঠিকই ইংরেজী মিডিয়াম হয়ে গেছে...সেদিন পরীক্ষার ডিউটিতে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটদের খাতা দেখে মুগ্ধ হলাম...কি সুন্দর ঝরঝরে ইংরেজীতে পরীক্ষা দিচ্ছে...দেখে একটু হিংসাই হল...আমাদের সময় আমরা নিশ্চিত এরকম পারতাম না...

    জবাব দিন
  10. রাশেদ (১৯৯৩-১৯৯৯)

    রাজীব ভাই, সাইফ ভাই, মুহাম্ম্দ ভাই, আহসান ভাই, আন্দািলব ভাই, ফেয়জ ভাই, শরীফ - ধন্যবাদ পড়বার জন্য।
    মুহাম্ম্দ ভাই এডু স্যােরর েলখাটােক িকন্তু আিম বাংলা বাড়াবািড়র সােথ তুলনা কিরিন। উনার েলখাটার সূত্র ধেরই আমার িলখাটার সূত্রপাত হেয়িছল আমার মেন এই যা। আর উনারটােক আিম আসেল শুধু আমার েলখার উপাদান িহসােব ব্যবহার কের একটা সূত্র স্থাপন কেরিছ। িসিিবেত ইংেরজী চালু করেত বলিছনা।
    আমার মেন হয় আমার েলখার একটা িদক আপনােদর নজর এিড়েয় যােচ্ছ। আিম ভাষা ব্যবহােরর একটা িদক খুব সযতেন তুেল ধেরিছ। আজেক আমরা েকন ইংেরজী পড়িছ? আর এরািবয়ানরা ইবা েকন িহিন্দ িশখেছ? আিম বলেত চাই েয, বাংলােক উপের িনেত হেল আমােদরেকই িনেত হেব। েদেশর পিরমন্ডেলর বাইের এেস িনেজেদরেক প্রিতিষ্টত করেত হেব। তাহেল েদখা যােব েয বাংলার চচর্া শুধু আমরাই না, আমােদর কারেণ িবেদিশেদরেক বাংলা িশখেত হেচ্ছ। েসটা তখুিন হেব যখন আমরা আেগ িবেদিশ ভাষা িশেখ িনেজেদরেক িবিভন্ন জায়গায় প্রতিিষ্ঠত করব। েসই েয বােঘেদর ছাগেলর ভাষা িশখার মত।
    ফেয়জ ভাই আপনার সন্তােনর সেবর্াচ্চ সাফল্য কামনা কির। আমােদর সকেলর মুখ উজ্জ্ল করেব িনশ্চয়ই একিদন।
    আন্দািলব ভাই ল্যািটন ভাষায় েয জািত কথা বলত তারা িক আেছ? দ্রািবড়? আযর্? বাংলা েকাথা েথেক এল? সংস্কৃত?? নািক অন্য িকছু? ভাইয়া আমার ধারণা আেগ জািত িবলুপ্ত বা পিরবিতর্ত হেব। ভাষা নয়। আর জািতর পিরবতর্ন বা িববতর্ন বা িবলুিপ্ত ঘটেল ভাষার ত ঘটেবই।
    শিরফ আিম শুধু ব্যকরেণ কাচা িছলাম। বাংলায় না। হাহাহাহা। এখেনা ব্যকরেণ কাচাই আিছ।...
    সবাইেক আবােরা অসংখ্য ধন্যবাদ জানািচ্ছ।

    জবাব দিন
  11. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)
    এ্যাডজুটেন্ট ভাইয়ার লিখার ব্যাপারে বলেছিলাম।

    কত্ত বড় সাহস!!! আগে ১০ টা ফ্রন্টরোল দে...কমেন্ট নীচে করতেসি!


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন
  12. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

    বাংলা মাধ্যমে পড়লে খুব বেশী ইংরেজীতে কি খারাপ হয়? আমার মধ্যে হয়তো কিছুটা জড়তাবোধ কাজ করে আমার ইংরেজী মাধ্যমে পড়ুয়া ছোট ভাইয়ের তুলনায়, তবে অনেক বেশি খারাপ অবস্থা মনে হয় না।

    আর এই জড়তার মূল কারন হল মাধ্যম দুটির কারিকুলাম, শিক্ষাদান পদ্ধতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ পর্যন্ত বাংলা মাধ্যমে ছিলাম। ক্যাডেট কলেজে ভর্তির আগ পর্যন্ত সব স্কুলেই অনেক বেশি ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা থাকার কারনে শিক্ষকেরা সেভাবে আমাদের "ইন্টার‍্যাক্টিভ" শিক্ষাদানে উতসাহ দিতে পারতেন না। আমি শিক্ষকদের দোষ দিব না কখনই, কারন একজন মাত্র শিক্ষক পুরা ৭০/ ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে একা সামলান, সীমিত সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করতে হয় তাকে। তাই আলাদা করে প্রতিটা ছাত্রকে ক্লাশের মধ্যে "ওপেন-আপ" হতে উৎসাহিত করা তার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। ক্লাশের মাঝখানে একটা কথা বলতে গেলে ছাত্রটিকে থামিয়ে দেওয়া হয়, তাকে নিরুতসাহীত করা হয়। অথচ ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলগুলোতে চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ছাত্র সংখ্যা অনেক কম, তারা বেশীর ভাগই আসে সমাজের উচ্চ-মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত ঘরগুলো থেকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই বাচ্চাগুলোর ইংরেজী ভাষার "এক্সপোজার" সাধারণ মধ্যবিত্ত বা নিম্ন বিত্ত ঘরের বাচ্চাদের চাইতে বেশি। উপরুন্তু, আজকাল প্রায় প্রতিটা ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলগুলো (অবশ্যই ব্যাবসায়িক লাভের কথা চিন্তা করেই) তাদের শিক্ষকদের অনেক বেশী আপ-টু-ডেট, মডার্ন ও পশ্চিমা ধাঁচের টিচার্স ট্রেইনিং দিয়ে থাকে (যদিও আমাদের সরকারি স্কুলগুলোতেও কয়েকমাস অন্তর অন্তরই টিচার্স ট্রেইনিং এর ব্যাবস্থা আছে, কিন্তু তাদের সীমাবদ্ধতাও অনেক)। ইনবনব্জইংরেজী মাধ্যমএ ক্লাশপ্রতি ছাত্র সংখ্যা থাকে বড় জোর ৩০ জন। শিশু ক্লাশ গুলোতে শিক্ষক থাকেন দুই বা ততাধিক এবং সাহায্যকারী থাকেন আরো দুই বা ক্ষেত্রবিশেষে ততাধিক। এই বাচ্চাগুলোকে স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি সুযোগ দেওয়া হয় ক্লাশে কথা বলার জন্য। এবং স্বাভাবিক ভাবেই সেটি হবে ইংরেজীতে। বাচ্চাগুলো খুব ছোট বয়স থেকেই অল্প অল্প করে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা, আপন মনে গল্প বলা, শিক্ষকের সাথে টুকটাক কথা বলার মধ্য দিয়ে ইংরেজীতে দখল নিয়ে ফেলে। আর কথা বলার মাঝে তারা বাধাপ্রাপ্ত হয়না বলে তাদের মধ্যে জড়তাও কম কাজ করে।

    এদিকে ইংরেজী মিডিয়ামের কালচার সম্পর্কে আমার মত অনেকেরই বেশ একটু ভীতি কাজ করতেই পারে। ছেলেপুলে গুলো অধিকাংশই বাংলা ও বাঙ্গালী কৃষ্টি-সংস্কৃতি থেকে অনেকটাই দূরে।

    এখন তাহলে কি করা যেতে পারে? সিদ্ধান্ত অবশ্যই অভিভাবকের নিজস্ব ধ্যান-দারনা-দর্শননির্ভর হবে। আর সেক্ষেত্রে অভিভাবক, তথা পরিবারের দায়িত্ব অনেক বড়। অনেক চিন্তা ভাবনা করে আমি ঠিক করেছি মেয়েকে বাংলা মিডিয়ামে পড়াব। যে সাপোর্টটা সে ইংরেজী মাধ্যমে পেতে পারতো সেটি তাকে আমি বাসায় দেওয়ার চেষ্টা করব। বাসায় ইংরেজীর চল, অনেক বেশি কথার চলনে রাখা একটা উপায় হতে পারে তার মধ্যে থেকে আমার মত জড়তা ভাবটা দূর করার ক্ষেত্রে।

    আর যারা ইংরেজী মাধ্যমে পড়ানোর কথা ভাবছেন, বাসায় বাঙ্গালী স্বত্ত্বা আর বাংলার সাথে সম্পর্কটা ছিন্ন করবেন না। পরিবারের একটা বিশাল ভূমিকা আছে একটা সন্তান গরে তুলবার ক্ষেত্রে। আমরা ওই ইংরেজী মিডিয়ামে পড়ুয়া ছেলে-মেয়েগুলোকে দোষ দিচ্ছি, আর তাদের অভিভাবকদের ভাষ্য, "ছেলে মেয়ে কন্ট্রোলের বাইরে চলে গেছে, কথা শোনানো যায় না।" টিনএইজে এসে হঠাত করে বাবা-মা কথা শোনাতে চাইলে সেই সন্তান বিদ্রোহ করে বসতেই পারে। কিন্তু এই বাচ্চাগুলোকে একেবারে ছোটবেলা থেকেই যেভাবে গড়ে তোলা হবে, ওরা ঠিক সেভাবেই বেড়ে উঠবে। আর তাই সন্তানের সামাজিক বিকাশ, মানবিক বোধ সৃষ্টি, বুদ্ধিবিকাশ, নৈতিকতা... প্রতিটা ক্ষেত্রেই পরিবারের ভূমিকা সব চাইতে বেশি বলে আমি মনে করি।

    অন্য প্রসঙ্গে চলে গেলাম, তাও না বলে পারছি না,
    জন্ম দিয়েই বাবা-মায়ের দায়িত্ব শেষ হয় না, শুরু মাত্র।


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন
  13. রাশেদ (১৯৯৩-১৯৯৯)

    িজতু ধন্যবাদ। েতার নামটার সােথ অবশ্য আিম আেগর েথেকই পিরিচত তেব েবাধহয় েদখা বা কথা হয়িন। আবােরা ধন্যবাদ সুন্দর িলখবার জেন্য। আিম ো একটা ব্যােলন্স রক্ষা কের চলেত বিল।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।