স্বাধীনতাযুদ্ধে ভিনদেশী বন্ধুরা

১৯৭১.
২৬৬ দিন।
তিরিশ লক্ষ জীবন। যেখানে হিসাব করলে দাঁড়ায় প্রতি মিনিটে প্রায় ৮ টি প্রাণ। অগণিত মা- বোনের সম্ভ্রম আর শত- সহস্র মানবিকতা বিরোধী অপরাধের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি পাঁচ বর্ণের একটি শব্দ  “ বাংলাদেশ”। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেদের অবদান অনস্বীকার্য কিন্তু বহির্বিশ্বে অনেক বন্ধু ছিল যারা এই বাংলা মায়ের জন্য যুদ্ধে নেমেছিল। তবে তাঁদের যুদ্ধটা ছিল একটু ভিন্ন। তাঁদের যুদ্ধ ছিল এই ছোট্ট ব-দ্বীপটাতে সত্যিকার অর্থে কি ঘটছে তা বিশ্ববাসীকে অবগত করা।

বিস্তারিত»

স্বাধীনতা দিবস এবং একটি কবিতা

আজ স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে একটা আবৃত্তি শুনছিলাম। তার আলোকে হিসেবটা মাথায় এল- মানুষ নাকী এক সেকেন্ডে চার ফুট যেতে পারে, সেক্ষেত্রে আমরা ষোল কোটি মানুষ একসাথে হাঁটলে প্রতি সেকেন্ডে ৬৪,০০,০০,০০০ ফুট বা ১৯২,০০,০০,০০০ ইঞ্চি বা ৪,৮৭,৬৮,০০০ মিটার বা ৪৮,৭৬,৮০০ কিঃমিঃ যেতে পারি……..অথচ বিষুবীয় অঞ্চলে পৃথিবীর ব্যাস মাত্র ১২,৭৫৬ কিঃ মিঃ এবং মেরু রেখা বরাবর পৃথিবীর ব্যাস মাত্র ১২,৭১৫ কিঃমিঃ!!! মাত্র এক সেকেন্ড যদি আমরা ১৬ কোটি মানুষ এক জোট হয়ে হাঁটতে পারি তবে মাত্র এক সেকেন্ডে আমরা গোটা পৃথিবীটাকে কমপক্ষে ৩৮২৩ বার প্রদক্ষিণ করে আসতে পারব।

বিস্তারিত»

HPর টহল(মেঘনার ঢল অবলম্বনে)

শোন্ রে রহিমম্যা, রেখে দে রে বিড়ি
ত্বরা করে রুমে চল,
এল HP এর বের হওনের
বেলা হালায় দিব টহল।
টয়লেটের ভেতর ঘন ধোয়ায় ভরা
বিড়ি ফেলে দিয়ে রুমে আয় ত্বরা
করিস না দেরি–
আসিয়া পড়িবে সহসা হালার HP
থাকলে হেথায় শুধু শুধু মাইর খাবি।
এখনো যে রহিম আসে নাই ফিরে–
রাত যে বয়ে যায়।

বিস্তারিত»

সংসদে অশালীন ভাষার ব্যবহার ও কিছু কথা

সংসদ অধিবেশনে প্রধান বিরোধী দল বি এনপির যোগদান বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও একটি আশান্বিত হওয়ার মতো বিষয়। সংসদে সরকারি বা বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা রাখা প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই দায়িত্ব। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে বিরোধীদল সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য সংসদ অধিবেশন বর্জন করে। সংসদীয় রীতিতে এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নহে। এবার জাতীয় সংসদের ২৮৫ কার্যদিবসে বিরোধী দলের উপস্থিতি মাত্র ৫৫ দিন। অধিকাংশ দিন অনুপস্থিতির জন্য বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি,

বিস্তারিত»

আজকের কালপুরুষ

আজকের কালপুরুষ
———– ড: রমিত আজাদ

কোটি জনতার আর্ত ওস্ঠধর বারংবার হচ্ছে কম্পিত ,
আসুরিক শক্তির কাছে নতজানু হয়ে বড় বেশী উৎকন্ঠিত।
আমাদের চিৎকার নিরেট দেয়ালে ঠেকে,
বার বার ফিরে আসে আমাদেরই কানে,
বেদনার পংক্তিমালা দুখিনী কবিতা হয়ে,
বেজে ওঠে বিষন্ন কোন অসন্তোষের গানে।

প্রতি বছরই একবার করে সুর্যকে প্রদক্ষীন করে পৃথিবী,
আর আমরা যেখানে ছিলাম ঠিক সেখানেই থেমে থাকি।

বিস্তারিত»

অধরা ফাইনাল

আমার মা বলেন ছেলেদের সৌন্দর্য আচরনে আর কাজে। আমি অবশ্যই এই কথা এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করে দেই সব সময়।

দুপুরে খেলা দেখতে যাবো,এই উত্তেজনায় সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গেল। মিষ্টি আর পরোটা দিয়ে জম্পেশ একটা খাওয়া দিলাম। পলাশি মোড়ের দোকানগুলো একটু ময়লা হলেও খাবার বানায় বেশ। পেট ডলতে ডলতে সবাইকে ফোন দিলাম। সবাই রেডি।

আমি সাবান ডলে গোসল করে,গায়ে ২-৩ টা স্প্রে ছিটায় নেমে পড়লাম রাস্তায়।

বিস্তারিত»

গণতন্ত্রের তন্ত্র-মন্ত্র – ১

গণতন্ত্রের তন্ত্র-মন্ত্র – ১

গণতন্ত্র বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় রাজনৈতিক মতাদর্শ বা দর্শন। কি এই গণতন্ত্র, কোথা থেকে এর উদ্ভব, এই দর্শন প্রতিষ্ঠার পিছনে কারা ছিলেন, বিশ্বের অতিত ইতিহাসে গণতন্ত্র কখন কেমন ছিল, কি করে তা রাষ্ট্রযন্ত্রে স্থান পেল, কতটুকু সফল এই রাজনৈতিক মতাদর্শ, এর বিকল্প কিছু আছে কিনা; বিভিন্ন জ্ঞানী, খ্যাতিমান, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবি ও লেখকেরা এই মতাদর্শের পক্ষে ও বিপক্ষে কি বলেছেন বা লিখেছেন এই সম্পর্কে ধারাবাহিক লিখে যাব।

বিস্তারিত»

বিজয় দেখছি,আবারো দেখতে চাই

অনেক স্মরণীয় হয়ে থাকবে দিনটি। অনেকগুলো মাইল ফলক,অনেক গুলো ইতিহাস আর সব শেষে একটি দুর্দান্ত বিজয়।
এশিয়া কাপে ছিটকে পড়তে না চাইলে আজকের ম্যাচে বিজয় ছিল অনিবার্য। আজ ম্যাচ হারলেই সব শেষ সহজ সমীকরণ। টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন মুশফিকুর রহিম।
ধারা ভাষ্যকারদের মধ্যে কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করেন। বাংলাদেশের দুর্বল দিক হোল ব্যাটিং আর ভারতের বোলিং। তাই আজ ম্যাচে বাংলাদেশ বল করার সিধান্ত নিয়ে ফেলে আগে।

বিস্তারিত»

আজকের সেলিব্রেশনঃ যোগ করুন আপনার পছন্দের কোন ইংরেজি বইয়ের নাম

আমি সাধারণত কোন খেলা দেখি না। প্রাত্যহিক ব্যস্ততা ছাড়াও দল হারলে খুব মন খারাপ হয় বলে। কিন্তু দল জিতলে আনন্দে মেতে উঠতে ভুলি না। আন্তর্জাতিক অংগনে নিজের দলের জয় মানে নিজের দেশের জয়। আমাদের পিছিয়ে পড়া দেশটার জন্য এইসব ছোট ছোট জয়ের অনেক মূল্য রয়েছে। এই আমরাই এক সময় অনেক ঐশ্বর্যময় জাতি ছিলাম। খ্রীষ্টপূর্বের অনেক আগে থেকেই এই বাংলার মানুষেরা জাহাজ নিয়ে সমুদ্র দাপিয়ে বেড়িয়েছে।

বিস্তারিত»

“ মরণ — তোমায় স্বাগতম ”

“ মরণ — তোমায় স্বাগতম ”

 

আমি জানি সে আসবে, ধীর পায়ে, ধীর লয়ে

 

হয়তো তখন মাঝ-দুপুর,

রোদ মেখে মেখে হেঁটে হেঁটে খুব হয়রান আমি

এই ক্লান্ত বেলায় তুমি এলে ধূলিমাখা নগরের রাজপথে

 

অথবা তখন নিশীথ বেলা, আকাশের তারাদের সনে জোনাকীর

মিটি মিটি লুকোচুরি খেলা তখন ও অবিরাম,

বিস্তারিত»

সমুদ্র বিজয় ও উপাখ্যান

বাংলাদেশের সঙ্গে সুনির্দিষ্টভাবে ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ শুরু হয় ১৯৭৪ সালে। ওই সময় আমাদের সংসদে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স এন্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট’ পাস হয়। সেই আইন অনুযায়ী সরকার বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ঘোষণা করে। এই সীমারেখা ভারত ও মিয়ানমারকে জানিয়ে দিলে তারা সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতিবাদ জানায়। একই সঙ্গে তারা এই সীমানা মানতে অস্বীকার করে। তারা সেই সময় জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ যথাযথ পন্থায় তার সীমানা নির্ধারণ করেনি।

বিস্তারিত»

মাকাল-জনতা

আমজনতা শব্দটার পরিবর্তন চাই। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। এদেশের সাধারন জনগন কে আম-জনতা বলাটা মোটেও ঠিক হচ্ছে না । আমি এর ঘোর বিরোধিতা করছি। এই দেশে মোটামুটি ৫০০০(রাজনীতিবিদ ও তাদের পরিবার বর্গ) বাদে বাকি ১৫ কোটি আবালরে শুধু শুধু আমের মত এমন সুস্বাদু, শাঁশালো ফলের সাথে নামাংকিত করে আম-জনতা বলার কোন যুক্তি নাই। এতে আমের অপমান হয়। এই আবালদের কাজ শুধু ৫বছরে একবার ভোট দেয়া,

বিস্তারিত»

আমার বুবু………বুবু আমার

 

লেখাটা যে কোথা থেকে শুরু করবো কোনভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। দুচোখের সামনে এত স্মৃতির আনাগোনা; এত কথা ঝুপি খুলে বসেছে যেন মনে হয় সব একসাথে লিখে ফেলি। কিন্তু কলমটা যেন লিখতে ভুলে গেছে……………………। নিজের আজান্তেই দেখি চোখ বেয়ে পড়ে লোনা জল।

আমার বুবু। বয়সে আমার থেকে ৭ বছরের বড়। বুদ্ধি হবার পরথেকে দেখেছি শুধুই আমার উপর ওর খবরদারি। বুবুর সেই সময়ের খুনসুটি গুলো আমার গায়ে সর্বদা জ্বালা ধরিয়ে দিত।

বিস্তারিত»

একটি হ্যাকিং আর ধরা খাওয়ার গল্প

রাত ১টা, ইয়াহু মেসেঞ্জারে চ্যাট করছিলাম, হঠাত টেং টেং করে মোবাইলে মেইল আসল। আমার মোবাইলে জিমেইলের ইমেইল সিঙ্ক করা আছে তাই সাথে সাথেই মেইল নোটিফিকেশনস পাই আমি। ভাবলাম কি হাবিজাবি মেইল হবে, খুলে দেখি বিশাল রসের মেইল যাতে লেখা আছে,

The password for your Google account – a****y.shuvro@gmail.com – was recently changed.
If you made this change, you don’t need to do anything more.

বিস্তারিত»

চাকা

মহাদেবপুর মহাকূমা থেকে অজগরের মত এঁকেবেঁকে বিশাল রাস্তাটা চলে এসেছে সূত্রাপুর। ইট বসানো পাকা রাস্তা। দু’ধারে কড়ই,নিম আর শাল গাছগুলো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।প্রায় দুশো বছর আগে মহাদেবপুরের জমিদার বিনোদ রায় সিং যশোর থেকে মহাদেবপুর পর্যন্ত ২০০ ক্রোশ লম্বা এই রাস্তা নির্মাণ করেছিল। সূত্রাপুরে তখন কয়েক ঘর লোকের বসতি ছিল। গ্রামের দক্ষিণদিকটায়, খালের পাড়ে। কুমোরপাড়া।

আজ সূত্রাপুরে কয়েক হাজার লোকের বাস।  কুমোরপাড়া,জেলেপাড়া,

বিস্তারিত»