বাংলাদেশে সারা বিশ্বের মধ্যে যে কয়টা বিষয় নিয়ে গর্ব করতে পারে , তার মধ্যে অন্যতম হল শান্তিরক্ষী হিসেবে পুরো পৃথিবীর কাছে অর্জিত সুনাম। সঠিক তারিখ না বলতে পারলেও এইটুকু বলতে পারছি ৯০ এর দশকের গোঁড়ার দিকে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে সেনা প্রেরন শুরু করে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য , দেশের মানুষের কাছ থেকে অধিকাংশ সময় প্রাপ্য সন্মান না পেলেও কেন জানি এই সংঘাতময় দেশের মানুষগুলো সব সময় ই এই সেনাদের খুব বেশিই আপন করে নিয়েছে।
বিস্তারিত»হোয়ের হেভ অল দা ফ্লাওয়ারস্ গন ?
মেয়েটির নাম ধরা যাক লিজা। আমার দেখা রমণীদের মধ্যে একজন অনন্য অসাধারন ব্যত্তিত্ব।বয়স ত্রিশের কোঠায়, ছিপছিপে একহারা গঠন।জিন্স- টি শার্টে আরো অল্প বয়সি মনে হয়। জন্ম, বেড়ে উঠা দুটোই প্রাশ্চাত্যে হলেও বাঙালি বাবা মার কল্যানে পুরোপুরি বাঙালি। আমাকে ওর বাবার দিকের একমাত্র জীবিত আত্মীয়, -কাজিন হিসাবে ওর সমাজে, সকলের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে গর্ব বোধ করে।
এই পরিচয় দানের পেছনের ইতিহাসটা বেশ মজার।
বিস্তারিত»শিরোনামহীন লেখা
লেখালেখি জিনিসটা সবাইকে দিয়ে হয় না। আমার ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি প্রযোজ্য। তবুও আজ লিখতে বসলাম।
ফেসবুক এ গতকাল বসেই প্রথমেই একটা খবর চোখে পড়ল , “প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত , ফ্লাইং কর্মকর্তা নিহত”।
খবরটা পড়েই মনের মধ্যে কেমন জানো একটা ব্যাথা অনুভব করলাম। এভাবে আর কত গুলো জীবন ঝরে যাবে? আর কতগুলো মৃত্যুর পর জেগে উঠবে সবাই এবং খুজে বের করবে সব অজানা রহস্য গুলো……
বিস্তারিত»দয়ালু জমিদার আর বাঁশের গল্প
দয়ালু জমিদার আর বাঁশের গল্প
এক গাঁয়ে এক জমিদার ছিল। জমিদার বলতেই যেই পাষাণ অত্যাচারি একটি লোকের অবয়ব ভেসে ওঠে আমাদের মনে, ঠিক সেরকমটি তিনি ছিলেন না। আর দশজন জমিদারের চাইতে একটু ভিন্ন প্রকৃতির। তিনি ছিলেন দয়ালু। একবার দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা গেল। সারা দেশে হাহাকার, খাওয়া নাই-দাওয়া নাই, ক্ষুধা-তৃষ্নায় মানুষ কাতর। এসময় এই দয়ালু জমিদার খাঁজনা আদায়ের চিন্তা বাদ দিয়ে, সকলকে অন্ততপক্ষে দিনে একবার খাবার দেবার ব্যবস্থা করলেন।
বিস্তারিত»খোলা চিঠি
তোমার খুব অবাক লাগবে
আমার কথাগুলো শুনে
কিন্তু ঠিক অস্বীকার করতে পারবে না।
তুমি খুব ভিত হও
কেন তোমার মুখের কথা
এতো বেশি বেশি শুনতে চাই
পাছে সব কথা এক দিনে ই শেষ হয়ে যায়।
কিন্তু তুমি জানো না
তোমার প্রতি কথার ভিতর
আমি নতুন করে আবিষ্কার করি
আমার স্বপ্নগুলোকে
আমার ভেতরকার আমি কে।
মুঠোফোনের কবিতা- ২৫ ও ২৬
২৫
ফুল জড়ালে চুলে,
মন পোড়ালে ভুলে।
দিন কাটাবার ছলে-
জীবন জুড়ে এলে।
বলো সখি ,কোন সে পথে
আমায় ফেলে গেলে-
সব হারাবার কালে?
২৬
ঘর বেধেছি সুখের বাসায়
পথ ভুলেছি পথের আশায়
পর করেছি আপন সকল,
হঠাৎ কোন ভাষায়।
দিন কেটেছে দুখের ঘোরে
মন রয়েছে একলা পড়ে,
রাত ফুটেছে ভোরের শেষে;
৭১ এর জেনোসাইড (নিক্সন-কিসিঞ্জার)
বটমলেস বাকেট অর্থাৎ তলাবিহীন ঝুড়ি খ্যাত হেনরি কিসিঞ্জারের সেই বিখ্যাত উক্তি কম বেশি আমরা সবাই শুনেছি।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিদেশী বন্ধুদের কথা(তালিকা দেবার প্রয়োজন বোধ করছি না) আমরা সব সময় হৃদয়ে রাখবো। কিন্তু একজন বিদেশী যুদ্ধাপরাধীর কথা না বলে আর পারছি না, মানবতা পায়ে ঠেলার মতো উপমা শুনেছি,হেনরি কিসিঞ্জারের কথা জেনে উদাহরণ জানার বিলাসিতাও হয়েছে।
ব্যবচ্ছেদ করলে একটা সহজ সমীকরণে আসা যায় খুব সহজে।
বিস্তারিত»শিরোনাম দেওয়ার কিছু পেলাম না
প্রথম আলো খুলে ই সকালে দেখলাম “সাকা চৌধুরীর বিচার শুরু; একাত্তরে গণহত্যা, নির্যাতন, লুটপাত করেছেন সাকা “ শীর্ষক খবর। পুরো হেডলাইনে। ভালো কথা। আমি পুরোপুরি একাত্তরে মানবতা বিরধী কর্মকাণ্ডের বিচার চাই। পুরোপুরি পক্ষে। নিউজ টা দেখে বেশিরভাগ মানুষের ই খুশি হওয়ার কথা। আমি এখন একটু বর্তমানে আসি। নিচে আমি বর্তমানে ঘটেচলা ঘটনার একটি তুলে ধরছি। আপনারা ই মিলিয়ে দেখুন যে বর্তমানের ঘটনার অপরাধ ও ওই সাকার একাত্তরের অপরাধে কি মিল পান কি না।
বিস্তারিত»মুঠোফোনের কবিতা – ২৩ ও ২৪
২৩
বৃষ্টি আমায় ডেকেছিল;বিষাদ পার্বণে,
সবটুকু তার লুকিয়ে রেখে;নয়ন গহনে।
পুড়িয়েছিল স্বপ্ন যত;নীরব প্রত্যাখ্যানে,
আজো পোড়ায় বৃষ্টি আমায়;
স্মৃতির দহনে।।
২৪
বিজনে বসিয়া; ভাবি আনমনে,
উতলা হাওয়ায়; শুধাই জনে জনে,
আমারে কী হায় রাখিবে স্মরণে?
জনম গেল তাহার বিহনে,
জুড়াইবে কী এ জ্বালা একক মরণে?
না কী পোড়াইবে জনম জনমে!
আমাদের বাবা
ছিঁচকাঁদুনে বলতে যা বোঝায় আমি হুবহু ওইরকম। মাঝে মাঝে আমি নিজের উপর ই মহা বিরক্ত। ছোটবেলায় নাকি কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি উঠে একবার মরতে বসেছিলাম দম আটকে। সেই থেকে আমার বাপ মা হাজার অপরাধ করলেও আমাকে একটু প্রয়োজনের বেশি ই ছাড় দিত। ফলাফল হচ্ছে এখনকার একগুঁয়ে আমি । বাড়িতে লাটসাহেবের মত আরামের জীবন ছেড়ে ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার ছিলনা। তাও যখন আমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে কলেজে পাঠাইল,
বিস্তারিত»আরশী নগরের পড়শী
আমি নিয়মিত ভারতীয় ক্যাডবেরি খাই, আর আমার ঐ যে, ওকেও কিনে দেই। আমি ভারতীয় টাইটানের ফাস্টট্র্যাকের ঘড়িও পড়ি, সুন্দরী মেয়েরা যাতে আমার দিকে ছুটে ছুটে আসে সে আশায় আমি ভারতীয় বডি স্প্রেও ব্যবহার করি। কিন্তু আমার সমস্যা অন্যখানে।
আমাদের বাড়ির পাশের আরশী নগরের পড়শী রাষ্ট্র অখাদ্য স্বাদহীন চাল, ডাল, পিয়াজ, রশুন, সুস্বাদু ফেন্সিডিল আর বর্ডারের বিএসেফ এর গুলি ছাড়াও আরো কিছু সংকৃতি পাঠাচ্ছে।
বিস্তারিত»জীবনের ওপারে আকাশগঙ্গা…..
মৃত্যু- যখন আসার কথা তখনই আসবে। সময়মতোই এসে হাজির হবে-
উদার কপাটে-
থামানো যাবে না তাকে কোনমতে।
ক্ষয়রোগ বাসা বেঁধেছে- চলে যেতে কীটস এর পথে। শরীরটা শেষ ঝাকুনি দিয়ে
থেমে যাবে অবশেষে- চির দুখী বিদায়ে।
ভাবতেই পারি না কোনভাবে- নাহ! মানতেই পারি না যে!
এই আলোর মতো জীবনটা, এই চৈত্রের হলকা হলকা হাওয়ার মতো জীবনটা
আমার- নাই হয়ে যাবে একেবারে!
আর্থ আওয়ার( ধরিত্রী উদ্ধার)
শনিবার ছিল। হাফ ডে। তাই কিছু একটা করবার লোভ সামলাইতে পারছিলাম না। আর যদি সেটা হয় ধরিত্রী উদ্ধার তাহলে তো কথাই নাই।
সন্ধ্যা সাড়ে আট থেকে সাড়ে নয় পর্যন্ত ধরিত্রী উদ্ধার করে ফিরে আসলাম। এক ঘণ্টা রুমে সব বিদ্যুৎ বন্ধ রেখেছি কম কি?
উৎসব ছিল হেরমিটেজ প্রাঙ্গনে। বিশাল এক চত্তর। ক্যামেরা ভালো না আমার,তবু সবার সাথে শেয়ার করতে চাই












সব শেষে একটা বিষয়,হয়ত অনেকেই জানেন।
বিস্তারিত»লিখছি নয়, পড়ছি
বিভিন্ন ব্যাস্ততায় লেখা হয়ে ওঠেনি বেশ কিছুদিন। তবে সময় পেলেই ব্লগে ঢু মেরে গেছি, অন্তত মন্তব্যগুলো মিস না করার চেষ্টা করেছি। সময় যেটুকু পাচ্ছি পড়ে পার করছি।
হুমায়ুন আজাদ এর বইগুলো আবার পড়ছি। বাংলাদেশে থাকলে একই অনুভূতি (বই পড়ার) হতো কিনা বলতে পারছি না। এই বিদেশের মাটিতে ব’সে, বিশেষ ক’রে এই স্বাধীনতার মাসে ছাপ্পানো হাজার বর্গমাইল পড়ার অনুভূতি কিছুটা আলাদা বৈকি।
বিস্তারিত»জীবনের টুকরো – দেশবিদেশে (পূবের মানুষ যখন পশ্চিমে – ৩)
৯
বাংগালিরা নাকি খুব সমালোচনাপ্রবণ। আমার কাছে এক্ষেত্রে পশ্চিমাদের খুব একটা ধোয়া তুলসী পাতা বলে মনে হয় না। সমালোচনা পৃথিবীর সব জায়গাতেই হয়। বরং আমি বলব পশ্চিমে পাবলিক ফিগারদের যে রকম চুলচেরা বিশ্লেষন এবং জবাবদিহিতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, পূবে সেরকমটা হয় না বললেই চলে। এর একটা উকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে দুই প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের কথা ধরা যাক। একজন পশ্চিমের বিল ক্লিনটন আর আমাদের এরশাদ।
বিস্তারিত»