যখন আমি ক্যাডেট ছিলাম (পর্ব ২)

ওই দেখা যায় ক্যাডেট কলেজঃ

খাওয়ার টেবিলে আজ সবাই খুব চুপচাপ; মাঝেমাঝে চামচের টুংটাং শব্দ হচ্ছে নীরবতা ভেঙ্গে। এমনকি আমার বাচাল ছোট ভাইটাও কথা না বলে খেয়ে যাচ্ছে নিরবে। আজকে আমার পছন্দের খাবারগুলো রান্না করেছে মামনি। রান্না হয়েছেও চমৎকার। অথচ দেখে মনে হচ্ছেনা খাওয়ায় রুচি আছে কারো। নববর্ষের দিন আজ, কিন্তু কেউ বাইরে বের হইনি আজকে, কারণ কালকে আমার ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার দিন।

বিস্তারিত»

বিড়ম্বনা…


চরম ভাবে ছিলাম আমি
আইফোন নিয়ে,
কত কাজই করা যায়
এ ফোন দিয়ে।

হঠাৎ কি এক কারনে
যাচ্ছে না কোন কল।
মেজাজ খারাপ করে আমি
পাড়ছি সমান গাল।

এরি মাঝে এক সৈনিক
আমার কাছে এসে,
“স্যার নকিয়া বেশী ভাল”
বলল মুচকি হেসে।
কথা শুনে টাশকী খেয়ে
বললাম আমি তাই,

বিস্তারিত»

তবুও নিরাপদ সড়ক চাওয়া যাবে না

একদিনে ১৫ টি প্রান । প্রতিনিয়ত হাজারো নাগরিক সমস্যা, হত্যা, ছিনতাই, গুম, ধর্ষন , এত কিছুর ভীড়েও আমাদের মন কে কি একটু নাড়িয়ে দিয়ে যায় না? যায়। কতটা ? আজকের সংবাদ পত্রের পাতায় দেখলাম আগামীকালই তো এটা বাসি খবর। আবার নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ব। প্রতিদিন খারাপ খবর শুনতে শুনতে আমাদের কান অভ্যস্ত হয়ে গেছে। যেদিন পত্রিকার পাতায় এমন কিছু না পাই মনে মনে বলি আজকে গুরুত্বপূর্ন কোন সংবাদ নাই।

বিস্তারিত»

একটি ফলস বার্থডের ইতিহাস

তখন আমরা ক্লাস এইটে পড়ি।বাইরে থেকে দেখতে সবাইকে নিরীহ মনে হলেও আসলে একেকটা ছিলো ভয়াবহ বিচ্ছু। তৌফিক যেমন প্রতিদিন তার প্লেটের সবজি পাশের সিটের সিদ্দিক ভাইয়ের প্লেটে রেখে নিতান্ত ভালো মানুষের মত দাড়িয়ে থাকতো,কিশোর তেমনি ভাইয়াদের টিজ করে ধরা খেয়ে এমন ভাব করে চোখ বড় বড় করে তাকাতো, “আমি?!!!! এ কিভাবে সম্ভব?!!”

সেরকমই এক সময়ে আমি আর তন্ময় ছিলাম টেবিলমেট। তন্ময় ছিল ভয়াবহ টাইপের চালু পিস।(এখনো আছে) ।

বিস্তারিত»

আলোকচিত্র

ছোটবেলা থেকেই ক্যামেরার প্রতি আমার বাড়তি একটা আগ্রহ ছিল। প্রথম কবে ক্যামেরা হাতে পেয়েছিলাম মনে নেই, তবে তখন থেকেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ছবির জন্য পোজ দেয়ার থেকে ক্যামেরা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করা আর অন্যের ছবি তুলে দেবার প্রতি আমার উৎসাহ বেশি ছিল। তবে সেসময় ছবির ব্যক্তি বা মান নিয়ে আমার তেমন কোন মাথাব্যথা ছিল না, সব আগ্রহ ছিল ক্যামেরাকে ঘিরেই।

ইন্টারনেটে নিয়মিত হবার পর থেকেই ছবি তোলা তথা ফটোগ্রাফি সম্পর্কে আমার ধারনাই পালটে গেল।

বিস্তারিত»

অন্ধত্বের পরজীবী

সচলে তারেক অনুর লেখা “শুভ জন্মদিন ডেভিড অ্যাটেনবোরো” পড়ছিলাম,একটা জায়গায় এসে চোখ আটকে গেল,তুলে দিলাম সরাসরি,যদি না আমাকে কপি পেস্ট মামলায় ফাঁসানো না হয়।

সর্বক্ষমতাশালী পরম দয়ালু ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে নিজের জীবনের একটি ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন—আফ্রিকার এক নদী তীরে এক শিশুর চোখে এক ক্রিমি (worm ) বেড়ে উঠতে দেখেছিলাম, এর ফলে শিশুটি নিশ্চিত অন্ধত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। এখন আমাকে বল যদি সব প্রাণের সৃষ্টি এবং পালন সেই দয়ালু ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই হয় তাহলে কেন তিনি সেই ক্রিমির বেড়ে ওঠার জন্য আর কোন জায়গা বেঁছে নিলেন না,

বিস্তারিত»

বিয়ে(!!??!!)

বিয়ের হিসেব যদি করা হয়, তবে অনেকেরই সময় হয়ে আসছে। আর দেড় বছর পর স্নাতক। তারপর চাকরি। এরপরই শুরু আমার সতীর্থদের একের পর এক বিয়ে। যাদের রুজি-রুটির চিন্তা নেই, তাদের দেখা আবে পরিবার থেকেই দ্রুত বিয়ের ব্যাবস্থা হবে। আমার জনৈক বন্ধুর তো তৃতীয় বর্ষেই বিয়েই হয়ে গেল পারিবারিকভাবে। তিনি ধার্মিক মানুষ। তবে তার স্ত্রী……. x-( . থাক বলব না, আমি তো আর দেখিনি। তবে যারা দেখেছে  তারা বলে যে……..থাক,

বিস্তারিত»

মিশনঃ নার্ডিজম!!!

বড় শখ করে I.B.A তে পর্রীক্ষা দিয়েছিলাম, চান্স ও পেয়েছিলাম এবং পড়তেও এসেছিলাম এই জেনে যে এখানে নাকি পড়াশোনা নাই! সবাই মৌজ মাস্তি করে বেড়ায় আর আপুরা প্রায়ই শাড়ি পরে সেজেগুজে ক্লাসে আসে! বিশেষত ইউটিউবে i just got chance ভিডিও টা দেখে(তাও আমারি টিচার আজহার ভাইয়া) আমার ধারনা আরো বদ্ধমূল হয়েছিল!কি শান্তি! সায়েন্সের H.S.C অতঃপর রেজাল্টের বাঁশ, এসবের পর দেখি আল্লাহ বেহেস্তে জায়গা করে দিছে!!!

বিস্তারিত»

একজন রইচ উদ্দিন

বয়স ঠিক কত হবে? ১৩ বা ১৪। নাম রইচ উদ্দিন।সবেমাত্র নবম শ্রেণীর পাঠ চুকিয়েছেন। স্বভাবগত চাঞ্চল্যে মন তার উড়ে বেড়ায়। পরের বাগানের ফল  চুরি করে, নয়ত বিকেলে ফুটবল আর নদীতে ঝাপাঝাপিতে দিন কেটে যায় তার নদীর স্রোতের মত। কিন্তু এরই মাঝে সময়টা থমকে দাঁড়ায়। ৭০- এর শেষের দিকের কথা। মাঝে মাঝে এলাকার বড় ভাইদের কাছ থেকে দেশের অবস্থা শুনে একটুআধটু। ইচ্ছা থাকলেও সবসময় সবকিছু জানা হয়ে উঠে না তার।

বিস্তারিত»

একটি স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর দিন

সব কিছু ঠিকঠাক, কাল সকাল পাঁচটায় বাস ছাড়বে। সবাই দশটার আগে বাসায় গিয়ে ঘুম। কালকের দিনটার জন্য ১ বছর ধরে প্ল্যান করা।
সবার ছুটি ঠিক করা ২ মাস আগে থেকে, বুঝতে হবে ১ বছর আগের প্ল্যান।
৫০ জনের সবাই এই দিনটা একসাথে থাকবে একসাথে তাদের জন্মস্থানে যাবে।

সকাল ৫ টায় বাস থাকবে শাহাবাগ মোড়ে, জাদুঘরের সামনে। ঘুম থেকে উঠে দেখি ৪:৫৫!!!

বিস্তারিত»

ওদিয়েনেতে বসবাস

ছোটবেলার গল্পের বই বা ভূগোল পড়তে গিয়ে আফ্রিকা সম্পর্কে শুধুই ‘অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ’, এই শব্দ-গুচ্ছই মনে পড়ে। পরে আরেকটু বড় হয়ে যখন বিভূতির চাঁদের পাহাড় পড়লাম, তখন যেন শংকরের সাথে আফ্রিকার গহীন বনাঞ্চলে আমিও ছুটে চললাম, রত্নের সন্ধানে। তখন থেকেই আফ্রিকার প্রতি এক অজানা-অচেনা রোমাঞ্চ অনুভব করতাম। না জানি কেমন সে? কত না জানি নাম না জানা গাছপালা, জন্তু জানোয়ার, কেমন তারা মানুষজন। মনের কোনা-কাঞ্চিতে আকুলি-বিকুলি করত।

বিস্তারিত»

দূর্নীতি?? অন্যেরা করে,আমরা সাধু!

দূর্নীতি নিয়ে বোধহয় দূর্নীতিপরায়ন দেশগুলোতেই বেশী শোরগোল লেগে থেকে। প্রায় প্রতিদিন আমাদের মিডিয়া সবিস্তারে দুদক ( দূর্নীতি দমন কমিশন)-এর বিভিন্ন কর্মকান্ড বর্ননা করে। কিন্তু প্রশ্ন হল যতখানি শোরগোল হয় তার ডামাডোলে আসলেই কতখানি কাজ হয়? আদৌ কী এর কোন প্রভাব সমাজে তৈরী হচ্ছে? আমার মনে হয় সামান্য কিছু প্রভাব অবশ্যই পড়ছে, তবে নিশ্চয়ই তা যথেষ্ট নয়। আবার ভাবতে গিয়ে মনে হল হবেই বা কী করে??

বিস্তারিত»

মা, মা, আমি ফার্স্ট ক্লাস সেকেন্ড হয়েছি! :D


ছোটবেলায় সিনেমায় দেখেছিলাম নায়ক জসিম দৌড়ে দৌড়ে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে বলছে, মা, মা, দেখো,আমি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছি!

জীবনের প্রায় মাঝবরাবর এসে, আমি একসময়ের রবিউল থেকে শরীর-স্বাস্থ্যে মাশাল্লাহ জসিমে এসে দাঁড়িয়েছি। এই ‘সুবিশাল’ প্রাপ্তি উদযাপনেরই সম্ভবত একটা সুযোগ করে দিলো রকমারি ডট কম। তাদের কল্যাণে আমি জসিমের মতই আপ্রাণ দৌড়ে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে বলতে পারছি, জনগণ দেখো দেখো, আমি সেকেন্ড হয়েছি।

বিস্তারিত»

দিন যায় কথা থাকে…

প্রসঙ্গক্রমে কিছু কাল্পনিক ঘটনার অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে।কারও কারও বাস্তব জীবনের সাথে মিলে গেলেও যেতে পারে।তবে সে ক্ষেত্রে লেখক দায়ী থাকবে না 😉

সবই আছে,সবাই আছে।কাঁধের উপর পাঁচ দাগ আছে।আছে পিছনে হাত বা পকেটে হাত দিয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হেটে যাবার রাজকীয় ক্ষমতা।এত সব ক্ষমতা আর পাঁচ দাগের ভারে ডান কাঁধটা কবে যেন একটু বাঁকা হয়ে গেছে খেয়াল করার সুযোগই হয়নি।ক্লাস ইলেভেন কলেজের ক্যাডার।মন যা চায় মোটামুটি সবই হাতের নাগালে পাওয়া যায়।খাকী পোশাক গায়ে জড়াবার প্রথম দিন থেকে এই দিনগুলোর জন্য অপেক্ষা।এখন সবই হাতের নাগালে।এতসব কিছুর মাঝেও বুকের মধ্যে কোথায় যেন একটা শূন্যতা কাজ করে।কিছু যেন একটা মিসিং।শুধু আমার একার না মোটামুটি সবারই এক অবস্থা।

বিস্তারিত»

মেধার মূল্যায়ন বিষয়ক কৌতুক

মেধার মূল্যায়ন বিষয়ক কৌতুক

১। আলীশান গাড়ী থেকে নামল ছাত্র, “স্যার আপনি ফুটপাত দিয়ে হেটে যাচ্ছেন? আসুন আসুন স্যার, আমার সাথে আসুন, আপনাকে পৌছে দিয়ে আসি।” ছাত্রের এহেন আলীশান অবস্থা দেখে, শিক্ষক তো মহা খুশী। ছাত্ররা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানেই তো শিক্ষকের সাফল্য। উৎফুল্ল মনে শিক্ষক প্রশ্ন করলেন, “তুমি কি ঐ ব্যাচের যেখানে সবাই স্ট্যান্ড করেছিল?” ছাত্রের উত্তর, ” আরে না স্যার, আমি তার পরের ব্যাচের যেখানে সবাই ফেল করেছিল।

বিস্তারিত»