দিন যায় কথা থাকে…

প্রসঙ্গক্রমে কিছু কাল্পনিক ঘটনার অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে।কারও কারও বাস্তব জীবনের সাথে মিলে গেলেও যেতে পারে।তবে সে ক্ষেত্রে লেখক দায়ী থাকবে না 😉

সবই আছে,সবাই আছে।কাঁধের উপর পাঁচ দাগ আছে।আছে পিছনে হাত বা পকেটে হাত দিয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হেটে যাবার রাজকীয় ক্ষমতা।এত সব ক্ষমতা আর পাঁচ দাগের ভারে ডান কাঁধটা কবে যেন একটু বাঁকা হয়ে গেছে খেয়াল করার সুযোগই হয়নি।ক্লাস ইলেভেন কলেজের ক্যাডার।মন যা চায় মোটামুটি সবই হাতের নাগালে পাওয়া যায়।খাকী পোশাক গায়ে জড়াবার প্রথম দিন থেকে এই দিনগুলোর জন্য অপেক্ষা।এখন সবই হাতের নাগালে।এতসব কিছুর মাঝেও বুকের মধ্যে কোথায় যেন একটা শূন্যতা কাজ করে।কিছু যেন একটা মিসিং।শুধু আমার একার না মোটামুটি সবারই এক অবস্থা।

বিস্তারিত»

মেধার মূল্যায়ন বিষয়ক কৌতুক

মেধার মূল্যায়ন বিষয়ক কৌতুক

১। আলীশান গাড়ী থেকে নামল ছাত্র, “স্যার আপনি ফুটপাত দিয়ে হেটে যাচ্ছেন? আসুন আসুন স্যার, আমার সাথে আসুন, আপনাকে পৌছে দিয়ে আসি।” ছাত্রের এহেন আলীশান অবস্থা দেখে, শিক্ষক তো মহা খুশী। ছাত্ররা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানেই তো শিক্ষকের সাফল্য। উৎফুল্ল মনে শিক্ষক প্রশ্ন করলেন, “তুমি কি ঐ ব্যাচের যেখানে সবাই স্ট্যান্ড করেছিল?” ছাত্রের উত্তর, ” আরে না স্যার, আমি তার পরের ব্যাচের যেখানে সবাই ফেল করেছিল।

বিস্তারিত»

একলা ভাসে, একলা ডোবে

একলা ভাসে, একলা ডোবে
—————- ডঃ রমিত আজাদ

ঝম ঝম ঝম বৃষ্টি পড়ে,
ঝিলের জলে, ছলকে ছলে,
শাপলা শালুক উঠল মেতে,
উপচে পড়া জলের স্রোতে,
নৌকা ভাসে, নৌকা ডোবে,
কেউ দেখেনা, ব্যস্ত সবে।

একটি মেয়ে পড়ে লেখে,
একটি মেয়ে স্বপ্ন দেখে,
বৃষ্টি ধোঁয়া, সতেজ ঘাসে,
অংক কষে, মিস্টি হাসে,
একটি ছেলের মন পেয়েছে,

বিস্তারিত»

বাবা হরতাল কি?

বাবা হরতাল কি?

আমার ১০ বছর বয়সের ছোট ছেলেটি প্রশ্ন করল,
ঃ বাবা আজ স্কুলে যাবনা?
ঃ না বাবা আজ হরতাল।
ঃ আমার স্কুলে যাওয়া হলনা, তোমার অফিসে যাওয়া হলনা, কেন বাবা? হরতাল কি বাবা?
একটু চিন্তায় পড়ে গেলাম। এত ছোট ছেলেকে কিভাবে বোঝাব। তারপরে কোনভাবে বোঝানোর চেস্টা করলাম।
ঃ হরতাল হলো যখন স্কুল বন্ধ, অফিস বন্ধ, গাড়ি চলবেনা,

বিস্তারিত»

কাফের ভাই

কাফের ভাই

অনেকগুলো বছর আগের কথা। তখন আমি বিদেশে, ইউরোপীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এসময় সেই শহরে এক বাংলাদেশী ভাইয়ের আগমন। বয়সে তিনি আমার পাঁচ বছরের বড়। তবে সেখানে পড়ালেখার দিক থেকে হয়ে গেলেন আমার দু’বছরে জুনিয়র। শহরের সেন্ট্রাল স্কোয়ারে তার সাথে প্রথম পরিচয়। পড়ালেখায় পিছিয়ে থাকলেও, কথাবার্তায় বেশ স্মার্ট মনে হল। আমাকেও সম্ভবত তার ইমপ্রেসিভ মনে হয়েছে। আমার ডরমিটরির ঠিকানা নিলেন।

বিস্তারিত»

জ্যামিতিক ভালবাসা…

হাসান, সেইসব ছেলেদের মধ্যে একজন যাদের জীবন কখন ও থেমে থাকে না ।

যথেষ্ট মেধাবী, হ্যান্ডসাম এবং সদা হাস্যজ্জল একটা ছেলে সে । মোটামুটি সবার কাছেই জনপ্রিয় একটা মানুষ । আর মেয়ে মহলে ছিল তার অপ্রকাশিত আলাদা একটা স্থান । যদিও সে কখনো সে স্থান এর ধার কাছ দিয়েও মারায়নি । এটা নিয়ে তার মাথা বেথাও ছিল না । কিন্তু এ স্থান এর জন্য দু একবার যে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েনি সে তা না,

বিস্তারিত»

আরেক ফাল্গুন

সেইদিন নীলাকে অনেক বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল।আসলে সেদিন না,হয়ত প্রতিদিন ই।

নীলা, ঢাকা ভার্সিটির একজন নিতান্তই সাধারণ ছাত্রী (পড়াশুনার দিক থেকে নয়) যতদূর ওকে জেনেছিলাম ছোট ছোট বই এর বড় বড় জ্ঞান ওকে কখনই টানত না।তবুও কেন যেন ও অন্য সবার থেকে আলাদা ছিল।

আর আমি তো আমি ই। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অপদার্থের চেয়ে কিঞ্চিৎ খারাপ একজন শিক্ষার্থী ।পড়াশুনা র প্রতি ছোটবেলা থেকেই অনাগ্রহ ছিল চূড়ান্ত পর্যায়ের।

বিস্তারিত»

বলে দিলাম শঙ্খের কাছে, খুঁজে পেলে শুনে নিও

লিখতে আমি ভুলে গেছি
লিখতে বসলে এখন হাত আর চলে না
তবুও লিখছি, হাতটা আজ বেশ চলছে।

আজ তোমায় দেখতে পাচ্ছি না
কানে কানে কিছু বলতে পারছি না
তোমার কোমল মুখটা ছুঁয়ে দিতে পারছি না।
পারছিনা জেনে  আরও বেশি ইচ্ছে করছে
কিছু বলতে, একটু দেখতে …একটু পাগলামি করতে।

তাই এখন হাতরে বেড়াই তোমায় ঘুমের মাঝে
জানি ছুঁতে পারব না
তবু খুঁজতে খুব ইচ্ছে হয়,

বিস্তারিত»

১৫ নম্বর কেবিনের যাত্রী : স্টেশন- মুর্তজা বশীর গল্পসংগ্রহ

অনেকদিন পর লিখতে বসে টের পাচ্ছি, লেখালেখি ব্যাপারটা আসলে অলসদের জন্য বেজায় অসুবিধার। দুচারটে লাইন সাজিয়ে ফেসবুকে “কি, কেমন দেখলে !” টাইপ স্ট্যাটাস দেয়া এক কথা, আর সুস্থির হয়ে বসে একটা- দুটো ভাবনাকে মনমতো হরফবন্দী করাটা আরেক কথা- মেলা ভাবতে হয়! তবু, পানিতে নামতে হলে ঝাঁপটা তো একসময় দিতেই হবে, তাই বসে গেলাম লেখার হাতটা খানিক মকশো করে নিতে ।

কদিন ধরে একটা বই পড়লাম- মুর্তজা বশীর গল্পসমগ্র।

বিস্তারিত»

বোধ !

ও আমার বন্ধু ছিল,
রানা খালকো
বেগম রোকেয়া শিশুনিকেতনে কিছুদিন একসাথে বিদ্যা নেয়া
অদ্ভূত সারল্যের এক বালক দেবতা,

দীঘীর ওপারের সাঁওতাল পাড়া থেকে সাত সকালে

কয়েক কিলো রাস্তা খালি পায়ে হেটে,
কালচে সাদা শার্ট চেপে গায়ে,
কখনো ছেঁড়া ব্যাগে কখনোবা পুরনো বইগুলো হাতে নিয়ে,
অনাহার ভুলে-
এই আদিবাসি বালক ছুটে যেত রোজ- পাঠশালে।

তারপর কিভাবে যেন আবার লুকিয়ে গেল অগোচরে
কেউ খুঁজেও দেখল না!

বিস্তারিত»

চালকের বাংলাদেশ, বাংলাদেশের চালক


হাড়ির একটা ভাত টিপেই বোঝা যায় হাড়ির সব ভাতের অবস্থা। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে বাংলাদেশের অবস্থা বোঝার জন্য সারা বাংলাদেশ না ঘুরলেও হয়। বিভিন্ন যানবাহনের চালকের সাথে গল্প জুড়ে দিলেই হবে। বাংলাদেশে যখন বেড়াতে যাই তখন আমি ছিন্নমূল। নিজের কোন বাহন নেই। তাই অনেকের বাহন ব্যবহার করতে হয়। অনিচ্ছাতেই। দেশে থাকতে আমি সব সময়ই একা চলে অভ্যস্ত। পদব্রজ, পাবলিক বাস, রিক্সা, গাড়ি –

বিস্তারিত»

মাত্রতো একটা যুগের একটু বেশী….

বন্ধূ চয়নকে ফোন দিয়েছিলাম বহুদিন পর- চিনতেই পারেনি।
নাম বললাম- ভালো নামটা, যে নামে স্কুলে প্রতিদিন উপস্থিতি ডাকত রেবেকা আপা
সেই নামটাই বললাম, ডাক নাম অবশ্য ইচ্ছে করেই বলিনি
নাহ! বন্ধু আমাকে চিনতেই পারেনি।
সময়ও অবশ্য কম গড়ায়নি, এক যুগেরও একটু বেশী।
আমার আবেগ এখনো কাঁচা কিন্তু বন্ধুরা কেউ মনে রাখেনি।

যাই হোক, চয়নের কথা বলছিলাম।
ফাল্গুনের নতুন বাতাসে আজিজের দুই তলায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে চয়নকে একবার ফোন দিলাম-
স্নাতক শেষ,

বিস্তারিত»

আজ তাকে শাড়ীতে দেখেছি

আজ তাকে শাড়ীতে দেখেছি

মেয়েটিকে প্রায়ই দেখি,
অসম্ভব সুন্দর, নিস্পাপ একটি মুখ,
বৃষ্টির পরে সবুজ সতেজ ঘাস যেমন,
কখনো তুলনা করি বন ছেয়ে যাওয়া পিংক কাসিয়ার সাথে,
ঐ সৌন্দর্য থেকে চোখ সরানো যায়না।
তার অনুপস্থিতি আমার মাঝে শূণ্যতার সৃষ্টি করে।
আবার কখনো কখনো তাকে দেখি,
অনেক মানুষের ভীড়ে হঠাৎ হঠাৎ দেখা দেয়,
অনেকটা দক্ষিণা হাওয়ার দিনে,

বিস্তারিত»

এক দিনের ভণ্ডামি আর কত???

আমরা বাঙ্গালীরা হুজুগে পাগল, এটা মোটামুটি আমরা সবাই ই এক কথায় স্বীকার করবো। আর তা যদি হয় বিশেষ কোন দিবসকে কেন্দ্র করে তাহলে তো কথাই নেই। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস,শহীদ দিবস কোনটাই এর বাতিক্রম নয়। শুধু ওই বিশেষ দিনটিতেই যেন সবার মনে পরে দিনটির কথা।ক্যালেন্ডার এর পাতা উল্টালেই ভুলে যাই দিনের কথা এবং শুরু হয় পরবর্তী অন্য কোন বিশেষ দিবসের জন্য প্রস্তুতি।

এই হুজুগে মাতাল হওয়া টা খুব বেশি মাত্রায় যেসব দিবসগুলোকে আক্রমন করে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পহেলা ফাল্গুন বা বসন্ত উৎসব,শরত উৎসব,

বিস্তারিত»

শুভ নববর্ষ।

শুরুতেই সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।শুভ নববর্ষ !

এই শুভেচ্ছা সম্বোধনটা যদিও আমাদের জন্যে অপেক্ষাকৃত নতুন। গত দশ পনের বছর ধরে এর চল।

এর একটা অত্যন্ত সুন্দর দিক আছে, আবার ওপিঠে কিছু দিক আছে, যা ভাবনার অবকাশ রাখে।

একদম ছোট্ট বেলায়, মনে পরে গ্রীষ্মের ছুটিতে যখন গ্রামে বেরাতে যেতাম, তখন একটা নতুন, মজার জিনিস উপভোগ করতাম। “হালখাতা”!

হালখাতা অর্থ যাই হোক,

বিস্তারিত»