রাত শেষ হয়ে আসছে ধীরে ধীরে। আকাশের দিকে তাকালে এখনও সময়টা আন্দাজ করা যায় না। আমি উঠে পড়ি। এপাশ ওপাশ অনেকক্ষণ তো হলো! বিছানাবালিশ ধীরে ধীরে উষ্ণ মনে হচ্ছে। আর কতোক্ষণ এভাবে গড়াগড়ি করা যায়?
আমি উঠে পড়ি। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি কিছু পরিষ্কার হয় না। তাও কী মনে করে তাকিয়েই থাকলাম। হালকা কুঁজো হয়ে বসলাম। আমি সবসময় এভাবে বসি। ছোটবেলায় নানী রেগে যেত, বলতো “পিঠ সোজা কইরা বয়। ব্যাঁকা হইয়া যাইবো জন্মের লাহান।”
আমার নানী একেবারেই অল্পশিক্ষিতা। মনে হয় তাঁর ছোটবেলার বড়োবোন বা গুরুজন শিখিয়ে দিয়েছিল, পিঠ বাঁকা করে বসলে ওরকমই হয়ে যায়। ভীতু মনে সেটা নিশ্চয়ই গেঁথে গেছে! তাঁর ধমকে আমি তখন তড়িঘড়ি পিঠ সোজা করে বসতাম।
কিন্তু এখন তো আর আমাকে কেউ দেখছে না। তাই আমি জবুথবু হয়েই বসে থাকি। এভাবে থাকতে আমার ভাল লাগে। বৃদ্ধবয়সের অনুশীলন করছি বলে মনে হয়।
পাখিরা ঝাপ-ঝাপ করে উড়তে শুরু করেছে। আকাশ ফর্শা হওয়ার আগেই ওরা উঠে যায়। রাত যে তাড়াতাড়ি এসেছিল ওদের ঘরে, সন্ধ্যে নামতেই। আমি সন্ধ্যের পরে ওদের দেখি নাই। খড়বুননের পেলব সংসার! নিশ্চয়ই অতোটুকুন জায়গার মধ্যে তিন-চারটা জীবন। এখন পাখা ঝাপটে রাতঘুম ভেঙে উঠে পড়ছে। অথচ আমি কেন ঘুমাতেই পারলাম না! ওরা তো এখন হাই তুলবে, পাখা টানটান করে আড়মোড়া ভাঙবে। তারপরে উড়তে বেরুলেই আমাকে দেখে অবাক হবে।
মানুষ-ছানা কেন লাল চোখে, ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে বসে আছে! ওরা তো সারাক্ষণ কথা বলে। হৈহুল্লোড় করে। শব্দ করে গান শোনে।এখন কেন এমন নির্বাক, চুপচাপ? নিশ্চয়ই এসব ভেবে মাথা নেড়ে ওরা চলে যাবে উড়ে। ওদের তো সময় নেই আমার মতো।
“কালকে কয়েকটা চিঠি সকালেই পাঠাতে হবে বাইরে।”
“ক্লায়েন্ট আসবে, অথবা ফোন করবে, কবে আসতে পারে সেকথা জানাতে। টেকনিক্যাল টীমগুলো খুবই চামারের মতোন। এসেই নাক শুঁকতে থাকবে।”
“বসের গত পরশু থেকে মন মেজাজ দেখছি চড়া, কালকে আমার উপরে না ঝাড়লেই হয়।”
এইরকম নানাবিধ চিন্তাগুলো পাখির পাখা ঝাপ্টার সাথে মাথায় ঢুকে পড়ে। কিন্তু এগুলো আমি ভাবতেই চাই না। সারাদিনই তো এসব নিয়ে থাকি। আজকে ফেরার পথেও তো এসব ভাবছিলাম। প্রতিদিনই ভাবি। মানুষ কেমন প্রাণী! একটা সময়ে, যখন শিশুর মতো ভাবতাম, তখন সারাদিনের চিন্তাগুলো কতোই না অন্যরকম ছিল।
“আজকে কি আম্মা আইসক্রিম কিনে দিবে?” (পলিথিনের লাঠির ভেতরে কমলা রঙের আইসক্রিম পাওয়া যেত। ওটা খেলেই মুখে ঠাণ্ডা লাগতো! আর ঠোঁট-জিহ্বা সব লা…ল হয়ে যেতো!) “দিবে তো?”
“কালকেই আমার রাবারটা ফেরৎ নিতে হবে নাজমুলের কাছ থেকে। ওর ভাবভঙ্গি সুবিধার না। নিয়ে নিলে আমি অতো সুন্দর রাবার কোথায় পাব?”
“ইস! খেয়াল করি নাই। জুতাটা ময়লা হয়ে গেল! এখন? আম্মা তো চেইতা ফায়ার হয়ে যাবে। কী বিপদ!!”
এরকম নিরন্তর-দুশ্চিন্তাগুলো কেন হারিয়ে গেল? কবে এভাবে ভাবা বন্ধ করেছি মনে নাই। কোন নোটিশ এসেছিল কি? “অদ্য রবিবার হইতে এই সকল অনুৎপাদনশীল বিচ্ছিন্ন চিন্তাক্রিয়া রদ করিতে নির্দেশ দেয়া হইলো। আদেশক্রমে, কর্তৃপক্ষ।”
কই, আসে নাই তো এমন কিছু। তাহলে আমি কেন এভাবে সব বদলে ফেলেছি? এখন সেগুলো চিন্তা করে হঠাৎ বিষাদ কামড়ে ধরলো। ঘুনঘুনে কাশির মতো দলা দলা দুঃখ বুকের মধ্যিখানে জমে রইলো।
আমি আজকাল কেবলই অফিসের কথা ভাবি। বাবা-মা’র কথা ভাবি, বুড়ো হয়ে গেছেন ওঁরা। মাঝে মাঝেই অসুখ-বিসুখ। বয়স হলে মানুষ একটু ঘ্যানঘ্যান করা শুরু করে। খুব ক্লান্ত থাকলে আমিও হয়তো কটু কথা বলে ফেলি আর একটু পরেই সেজন্যে খারাপ লাগে। তাঁরা তো কিছু বলেন না, অভিমান চেপে রাখার একটা সিন্দুক আছে ওঁদের দু’জনেরই…
আমার বন্ধুগুলোকেও দেখি সবাই ব্যস্ত। চাকরি, সংসার, ছেলে-মেয়ের স্কুল আর বেতন, চাল-ডালের দাম, সরকার, ট্যাক্স, ফ্ল্যাট-লোন এসবেরই চিন্তা করে সারাদিন। কেউ কেউ আরেকটু সময় পেলে ব্যক্তিগত হয়। “মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে, রাতে ঘুম হয় না” ( শুনে আমি তাকে আপন ভাবি, আমার মতোই তো!)। কেউ কেউ “অফিসের সহকর্মীর সাথে…” “বাসায় বনিবনা নাই। ছোট ছেলেটা…” বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে থেমে থেমে। আমি বুঝি, আর দেখি ওদের শার্টে, কামিজে লেগে থাকা শৈশবের সব রঙ, ঝিমধরা দুপুরের ফেরিওয়ালারা নিরাশ হয়ে নিরুদ্দেশ হয়।
আমিও কি ওদের মতোই হয়ে গেছি না কিছুটা? এই জীবনটা, এভাবেই পেরিয়ে যাচ্ছি সব সেকেন্ড-মিনিট-দিন-সপ্তাহ। সারাদিনের একটাই কার্যকর চিন্তা, তা হলো অফিসের কাজগুলো ঠিকঠাক করছি কী না। এমনকি এই ফর্শা হয়ে ওঠা ভোরের কাছাকাছি সময়েও আমি তাই ভাবছিলাম! এখনও?
পাশে হঠাৎ নড়াচড়া শুরু হয়। কাঁথার নিচে পরিচিত শরীর নড়ে। পা দুটো বুঝতে পারি। এমনকি চওড়া পিঠের আদলটাও স্পষ্ট। ক্রমশ ঝটপটানো। পাখির পাখার চেয়েও দ্রুত। ছোটবেলায় একটা খোঁড়া পাখি ধরেছিলাম দু’হাতের মাঝে। সেই ধুকপুকানির মতো বিছানা দুলে ওঠে! কী হচ্ছে! কী ঘটছে! প্রবল আশঙ্কায় আমি আমূল কেঁপে উঠি।
আমি বিছানা থেকে সরে গিয়ে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। মনে হচ্ছে ধপ করে পড়ে গেলাম। পায়ের মাঝে একেবারেই সাড় নাই। দ্রুত ভাবার চেষ্টা করি, হয়তো অনেকক্ষণ বসে থেকে ঝিঁঝিঁ ধরে গেছে। এখনই আবার এটাও টের পাই যে আমার পুরো শরীরেই আর কোন ভারবোধ নাই। একটু আগেও যে কুঁজো হয়ে বসে ছিলাম, সেই ওজনটা টের পাই না আর। ফর্শা চাদরের নিচে শরীরটা ততক্ষণে নিথর। বাইরের আকাশটাও চাদরের মতোই… ফর্শা ধাঁধানো রঙ নিচ্ছে। জানালার সামনে তারজালি। মাঝখানে কাঁচ। তার বাইরে গরাদ। ওপাশে দূরে, অনেক দূরে, আকাশের শেষমাথায় নিঃশব্দ দুদ্দাড়ে কমলা ভোর আসছে। ঠিক স্কুলের বাইরের সেই আইসক্রীমের মতোন। আমি ভরহীন হয়ে আশৈশব আকাঙ্ক্ষার কমলা আইসক্রীমের দিকে তাকিয়েই থাকি!
***
২২.৩.৯
১ম :awesome:
মাত্র সামুতে দেখলাম। তয় ওয়েট করতাসিলাম কখন এইখানে দেস।
এখন একসাথেই দেই। এইটাতে আর ঐটাতে! 🙂
মাথার ভিতরে এই শব্দগুলা ঢুকে বহুত ঝামেলা করছে। এখনই ভাবতেছি জীবনের নানা সময়ে অবসর কাটানোর চিন্তা গুলা নিয়ে অগোছালো একটা পোষ্ট দিব কিনা।
দিয়ে দে। আমরা সবাই পড়ি! :-B
আমি আইসক্রীম খাবো...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
নে খা!
ধন্যবাদ দোস্ত... নে তুই ও একটা খা...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ওক্কে! 😀
শৈশবগ্রস্থতায় আক্রান্ত মনে হচ্ছে। বিষণ্ণতা ছোঁয়া লেখাটা পড়তে পড়তে আমাকেও ছুয়ে গেলো বিষণ্ণতা।
যায় দিন ভালো আসে দিন খারাপ। সামনে গেলে এই সময় হয়তো কখনো মধুর হয়ে ঢরা দিবে।
আমি সামনে যাপো(কপিরাইটঃ মাস্ফু)
একা যাইস না। ভাবীরে লয়া যাইস। 🙂 🙂 🙂
ভাবী পামু কই দোস্ত, পান্থ ভাইয়া এখনো বিয়ে করেনাই তো। আর ভাবী তো যাইব ভাইয়ারে নিয়া আমার লগে কি যাইব নাকি?
আমিও তোদের জন্যে ভাবী চাই
আইচ্চা তাইলে খোলসা কইরা কই, তপুভাবীরে লয়া যা। 😀 😀
কি ব্যাপার আন্দালিব? তুমি হঠাৎ করে তোমার ছেলেবেলাকে খুব মিস করছ নাকি?
হায়রে আমার নানান রঙ্গের দিনগুলো!
সচলে আগেই পড়েছিলাম। খুব ভালো লাগল। লেখা দারুণ হয়েছে! :thumbup: :thumbup:
ছেলেবেলা নিয়ে কিছু লেখার চিন্তা ভাবনা করছিলাম। তখন দেখলাম, লেখার চাইতে, স্মৃতিকাতর বেশি হচ্ছি। হয়তো সেজন্যে লেখায় সেগুলো চলে আসছে।
এই গল্পের মূল অংশ কিন্তু ছেলেবেলা না! 😉
সেইটা তো বুঝছি। 🙂
কবিতায়ও দেখলাম ছেলেবেলা, এখানেও ছেলেবেলা- তাই :just: বললাম আর কি! 😀
আপনি যে বুঝবেন সেটা জানি। নিচে দেখলাম একজন বুঝে নাই, তাই ধরায়ে দেয়ার জন্যে... :just: .....! B-)
নাহ, ভাবছিলাম বুঝছি কিন্তু এখন তো দেখি 😕
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:)) :)) এইটা আন্দালিবের লেখা। এতো সহজে বুঝতে চাস? 😉
:shy:
তানভীর (৯৪-০০) বলেছেন:
মার্চ ২৫, ২০০৯ , ৫:১৪ অপরাহ্ন
আহসান আকাশ (৯৬ - ০২) বলেছেন:
মার্চ ২৫, ২০০৯ , ৫:১৪ অপরাহ্ন
আবারো সেরকম টাইমিং :thumbup:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
সেকেন্ডের হিসাব রাখা দরকার সিসিবিতে। মডুভাই, এডুস্যার একটা ব্যবস্থা করেন! :boss: :boss:
আহসান, আন্দার যে কোন লেখা পড়লে জীবনানন্দের সাথে কানেক্ট করার চেষ্টা করবি। তাইলেই কিছু একটা বাইর হইবো। 🙂 🙂
(চামে টিপস দিয়া দিলাম। নিজেই তো মনে হয় ঠিক মত বুঝি না।)
আহসান, আরেকবার পড় কষ্ট কইরা। তাইলে ধরতে পারবি! 🙂
হমম (আবার জিগাইসনা কি বুজছি)
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
জিগাইলামঃ কী বুজছিস?? :chup: :khekz:
:gulli2:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
দিলি মনটা খারাপ করে 🙁
স্যরি আদনান ভাই। ওয়াজন'ট ইনটেন্ট টু... 🙁
মন খারাপ কইরেন না। উপরে একটা আইসক্রিম আছে, আহসান দিছে আমাকে, নেন দুই চামুচ খান! 🙂
দু:খ বিলাসিতার ব্যাপার নয় তবু তাকে লালন করে চললে একজন আন্দালিব হওয়া যায় :hatsoff:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
এইসব কী?? দুঃখবিলাসিতা আমার জিনিস। আন্দারে এইটা দেওনের জন্য টিটো ভাইয়ের ব্যঞ্চাই।
অফটপিক: টিটো ভাই দিখি সামুতে আমারে চিনবার পারেন নাই??
কুংফু পান্ডা সিনেমাটার একটা ডায়লগ খুব ভালো লেগেছিলো -
YESTERDAY IS HISTORY, TOMORROW IS MYSTERY, TODAY IS A GIFT. THAT'S WHY IT'S CALLED- PRESENT
তারপরেও আমরা সব সময় আনন্দ বেদনার অতীত নিয়ে দুঃখ পাই বা অজানা ভবিশ্যতের চিন্তাতে মগ্ন থাকি। বর্তমানকে অনুভব করার কোনো সময় আর থাকে না।
তোমার লেখাটা অসাধারন লাগলো ভাই। তবে বর্তমান নিয়ে তোমার একটা লেখা আশা করছি। এটার মতন, একেবারে তোমার নিজের অনুভুতি নিয়ে।
অফ টপিক, এর আগের লেখাটা পরে মনে হয়েছিলো, তুমি কোনো ভার্সিটিতে শিক্ষক। ঠিক নাকি ব্যাপারটা ?? আর ঠিক হলে, বাই এনি চান্স, সাহিত্য পড়াও নাকি ??
যেকোন সময়েই বর্তমানই আমার কাছে মুখ্য। তবে এই লেখাগুলো, গল্পগুলোতে আবহ তৈরির জন্যে অতীত-চারণ জরুরি মনে হয় বলে টেনে আনি। আর পুরানো দিনের কথা মনে করতে কার না ভাল লাগে! বর্তমান নিয়েও লিখবো ভাই, একটু সময় দেন।
আমি ভার্সিটির শিক্ষক, তবে তড়িৎকৌশল পড়াই, সাহিত্যের সাথে আমার দুরত্ব যোজন যোজন। 🙂
আন্দালিব, তোমার ছোট্ট একটু ভুল হয়েছে...বিশ্বমন্দার প্রভাব ইতোমধ্যেই আমাদের রেমিটেন্সের উপর পড়া শুরু হয়েছে...আজকে দ্যা নিউ এজ এ এর উপর একটি লেখা এসেছে...তাতে বলা হয়েছে......
...
...
তবে লেখার মূল ভাবের সাথে আমি একমত... :thumbup:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
হ্যা, মূল ভাব টা কিন্তু বেশ সম্পর্কীত মন্দার সাথে, টাইটেলটাও। :just: ভোরের একটু আগে আগেই কিন্তু মিশ্ব মন্দার প্রভাবটা পড়া শুরু হইছে। :-B
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
দূর হয় নাই, এইটা বুঝা যায়, এইটায় মন্দার কথা কয় নাই আন্দালিব।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:dreamy:
:thumbup: ;;; :gulli2: :gulli:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
নায়ক কি মইরা গেল নাকি? তব্দা লাগল ক্যান? 😕
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বলেন, আপনার কী মনে হয়। আপনার যা মনে হবে, সেটাই ঘটেছে!
অসাধারণ একটা লিখা। কত্তো সহজএ এক জীবনের পুরোটা গল্প বলে দেওয়া।
অনেক ধন্যবাদ সামি ভাই! খুব খুশি হলাম পড়লেন বলে।
আন্দালিব ভাই লাস্টে কি অইলো? 😕
বলো দেখি, লাস্টে কী হইলো?
ঘটনাটা কি ???? :-/
আমি দিন দিন :-B হইতাসি নাকি আন্দালিব ভাই আমাগো বুঝবার লাইগ্যা ইস্পিশাল লেখা দিতাসে ????
যাউগ্যা...লেখা পুরাই সাঁ-ঝুপ 😀 :gulli2:
তুমিই ধীরে ধীরে :-B হইতেছ। বা আমি দিন দিন ঘিলু-ঢিলা হইতেছি। আজকাল আর কঠিন লেখা বের হয় না। 🙁
এখন আমি লেখা সহজ কিন্তু ভাল বা নতুন ধরনের করার চেষ্টা করতেছি।
হ্যালো আন্দালিব,
ভোর হচ্ছে। উঠে পড়ো।
অফিস যেতে হবে।
হাহাহা!
অফিসে গিয়ে ভাল ঘুম হলো। এমন ঘুম যে আজকে এসে কমেন্টের জবাব দিচ্ছি! 😛
অমলিন স্মৃতিচারণ।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..