মাঝে মাঝে ভাবি জীবনটা অনেক ছোট। এই ছোট জীবনে কেন এত কষ্ট আসে। কি ক্ষতি ছিল যদি জীবনে শুধু সুখ থাকত। আমার আশে পাশে সবাই ভাবে আমি অনেক কষ্টে আছি। সত্যি বলছি আমি একটুও কষ্টে নাই।তবে মাঝে মাঝে ভাবি এমনতো হবার কথা ছিলনা।
আমার এক স্যার বলেছিলেন জীবনটা হল পাশার দানের মত যা হওয়া দরকার তা হয়না। আসলেই তাই কত স্বপ্ন ছিল,থাক ওসব কথা। অনেক দিন পর দেশে ফিরলাম, দশ বছর মনে হয় তারও বেশি হবে। তাও আসতাম না কলেজের রি-ইউনিয়ন আছে বলেই আসা। কতদিন তুহিন,চয়ন,হিমেল সবার সাথে দেখা হয়না।
আমার জীবনের গতি-প্রকৃতি পদ্মার মতই কখন যে ভাঙে আর কখন গড়ে কোন ঠিক নাই। এই যে কলেজ থেকে বের হয়ে আর্মি জয়েন করলাম। আমাকে নিয়ে অহনা কত স্বপ্ন দেখেছিল তখন, আমি ওর স্বপ্ন গুলোকে মিথ্যা করে দিয়েছে। আজ এতগুলো বছর গেল অহনাকে ভুলতে পারলাম না। জীবন নিয়ে আমার কোন আফসোস নাই। সেকেন্ড টার্মে যখন আর্মি ছেড়ে দিলাম সবাই ভাবল আমি বোধ হয় শেষ হয়ে গেলাম। অনেকে বলতও তাই,কিন্তু সবাইকে কষ্ট দিয়ে সেই আশংকার ও সমাপ্তি করেছি।আমি ভাল আছি।
আমি এখন হাটছি নিউমার্কেট থেকে সাইন্সল্যাব এর দিকে।এই রাস্তা ধরে আমি আর অহনা কত হেটেছি। জানিনা অহনা এখন কোথায়। কানাডা যেয়ে প্রথম দিকে কিছু খবর পেতাম ওর এক বন্ধুর কাছ থেকে পরে আর হয়নি।
আজকাল শুধু পুরানো কথা ভাবি। হাটতে হাটতে কখন যে রাইফেলস স্কয়ারের দিকে চলে আসেছি খেয়ালই করিনি। পকেট থেকে সিগারেট বের করে ধরালাম।
পিছন থেকে সাদিক বলে কেউ ডাকল। অনেকদিন পর এই নামে ডাক শুনে অবাক হলাম। আরো অবাক হলাম দেখি যুবায়ের ভাই আমার কলেজ জীবনের সবচেয়ে প্রিয় সিনিয়র।
“সাদিক তুই এখানে কেমন করে।দেশে ফিরলি কবে।”
“আপনি আমাকে চিনলেন কেমন করে”
“আরে চাপাবাজ সাদিককে চিনবনা এটা কেমন কের সম্ভব।”
আমি যুবায়ের ভাই এর সাথে কথা বলতে যেয়ে বার বার থেমে যাচ্ছিলাম কারন ওনার সাথে একটা পরী ছিল। ছোট্ট একটা মেয়ে এত সুন্দর। অবাক হয়ে দেখছি বলে যুবায়ের ভাই বললেন”আমার মেয়ে।”
যুবায়ের ভাই বাসায় নিয়ে যেতে চাইলেন আরেক দিন বলে এড়িয়ে গেলাম।
আমি এখন ধানমন্ডি লেকের ধারে বসে আছি একসময় কারনে অকারনে এখানে আসতাম। আমি জীবন নিয়ে কখনো আফসোস করিনি, কিন্তু আজ নিজকে খুব একা লাগছে। আমার নিজের বলে আসলে কিছু নেই। সংসার নেই,ঠিকানা নেই কিছু নেই। আমি বড় একা। আমার নিজের বলে কেউ নাই। হয়ত একদিন মরে যাব কেউ জানবেনা লাশের গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিবে।
আজ মনে হচ্ছে অনেক কিছু ভুল হয়ে গেছে জীবনে। অনেক বড় ভুল।
৩২ টি মন্তব্য : “আমার”
মন্তব্য করুন
লেখাটা ট্যাগ করাঃ গল্প, তাই বুঝতে পারছি না এটি সত্যি কাহিনী না গল্প। গল্প হলে ভাল লিখেছ...আর যদি কারো জীবনের বাস্তব কাহীনি হয়ে থাকে তবে...
কুংফু পান্ডা কার্টুন এর ডায়লগ,
"yesterday was history,
tomorrow is a mystery,
today is a gift; that is why it is called present"
জীবনের ১৫-২০ বছর গিয়েছে তো কি হয়েছে... আরো ২০-৩০ বছর তো বাকি আছে...লেগে যাও...ইনশাল্লাহ...things will get better....
সহমত......
দশ মাস হবে নাকি? তুমি তো কলেজ থেকে বেরই হয়েছ ২০০৬ এ।
আজ থেকে অনেকদিন পরে কি হবে তার একটা অনুমান করছি
ওহ্! সরি রে ভাই। এটা তো গল্প। 🙂
🙁 আহ্ কান্নাকটি ধরায় দেওয়ার মত লেখা। 🙁
ভুল হইছে
কোথাও কোন ভুল হইছে......।
জীবনটাই ভুল। অহনা কে ফিরায়া দেয়া ঠিক হয়নাই। :dreamy: :dreamy: :dreamy: জীবনে অহনা বারবার আসে না......। 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁
ইশশশশ! প্রথম গল্প হিসেবে ভালো। প্রকাশভঙ্গি খুব সাবলীল হয়া নাই। আরেকটু ঘষেমেজে দিলে আরো মজা পাইতাম...
চালায়া যাও ভাই। আরো সুন্দর সুন্দর লেখা চাই
আসরে কি জানেন আমার জীবনের সাথে গল্পটার মিল আছে তাই লিখতে যেয়ে ইমোশোনাল হয়ে গেছিলাম।চেস্টা করব
ভালৈ লেগেছে পড়তে। সুন্দর প্রকাশভঙ্গি। আরেকটু দীর্ঘ করা যেত কি?
এর পরে আরো আছে খুব তাড়াতাড়ি লেখা পাবেন
আইচ্ছা এইটা আমাগো ইমিডিয়েট সিনিয়র ভাই যুবায়ের নাকি ইমিডিয়েট জুনিয়র যুবায়ের?শিগগিরি ক... 😮 😮 😮 😮 যুবায়ের ভাই বিয়া কৈরা ফেলছে???!!!!
নো কমেন্ট
প্রকাশ ভালো লাগলো। ভালো লেখা। :thumbup:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ধন্যবাদ
লেখা ভাল লাগছে... প্রথমে এটা যে গল্প সেটা বুঝতে পারি নাই। 🙂 🙂
জাফর ভাই এই ধরনের লেখার ঢংকে বলে আত্মকথন মূলক।
লিখতে থাকো। অহনারা শুধুই কষ্ট দেয়........... 😛 😛 😛
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাইজান'রে কয়জন অহনা কষ্ট দিয়েছে? :grr:
জানামতে " অহনা " আমাদের ভাবী হয়ে গেছে এখন। 😛
কেন ভাবী হয়ে গেলেই যদি কষ্ট দেওয়া বন্ধ হত তাহলে ছেলেরা হার্ট ফেল করে মরত না =)) =)) =))
প্রথম গল্প হিসেবে আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে। 🙂
অফটপিকঃ ভাইয়া কি কানাডায় থাকো নাকি?
না ভাবী একজনকে চিরতরে হারিয়ে ফেলেছি ঢাকার বাতাসে তার গন্ধ পাই তাই দেশ ছেড়ে পারাতে চাই,বলতে পারেন আমি কল্পনা করছি অনেক গুলো বছর পরে আমার কি হবে
চাইলেই কি চিরতরে কাউকে হারানো যায়?? 🙁
আমি জানি কখনো আর তার সাথে দেখা হবেনা আমার কোন কষ্ট নাই এ জন্য।কষ্ট শুধু এটুকু আমাকে সে ভুল বুঝল।ভাবি বাবুদের ছবি নিয়ে একটা ছবি ব্লগ লিখুন 😐 😐 😐 😐
অহনারা কেন যে ভালবাসে না 🙁
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
রাশেদ ভাইয়ের ও দেখি একি কেইস !!! 😕
রাশেদ ভাই 😕 😕 😕 😕
কিছু কমু নাহ 😕 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আরে এত মন খারাপ কেন?
সব ঠিক হয়ে যাবে । অহনার পর আরো অনেকে আসবে । তারাও চলে যাবে । আর সব শেষে আসবে যার জন্য এতডিন অপেক্ষা ছিল । তাই সবি হবে ব্যাস আমাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে ।
আসলে আমি অনেক লাকি যে আমার কষ্ট গুলো আমি শেয়ার করতে পারছি
আমার সব সিনিয়র বড় ভাইদের ধন্যবাদ যারা এই ব্লগ টাকে এতদূর নিয়ে এসেছেন
আরে ব্যাটা চিয়ারাপ, চল কামরুল ভাইয়ের বাসায়, তিন প্রহরের বিল দেখে আসব।
ব্যাপারনা 🙁
=))