খুব ধীরে এগিয়ে গিয়ে আমার দরজাটা আধ খোলা করে দিই যাতে পাশের রুম থেকে আমার অবয়ব ধরা পড়ে। আলোহীন ঘরে টেবিল ল্যাম্প জ্বেলে দিয়ে এক ধরণের আদিভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করি। পানি খাওয়ার নাম করে মাঝের রুমে গিয়ে সেখান হতে আমার লিখার পরিবেশের অসাধারণত্ব বুঝবার চেষ্টা করি। গতকালকের চেয়ে কোন অংশেই কম চমকপ্রদ হয়নি। আমার লিখার ঘর দেখেই স্বপন আমার দিকে কড়া দৃষ্টি হানে।” আজকে বাদ দিলে হতো না।
বিস্তারিত»নির্বাণ
মানুষকে বোবা করে তোলার সব প্রক্রিয়া যখন সমাপ্ত, তখন তাদের মাঝে এক ধরনের মিশ্র ক্লান্তি দেখা যাবে। অবয়ব পরিষ্কার নয় বলে তারা ঠিক কতোটা ক্লান্ত, সেটা আমি বুঝে উঠতে পারি না। স্যরি, আমি খালি নিজের কথা বলি। বাকিরাও বুঝে উঠতে পারে না। আমি এবং বাকিরা, আমরা সবাই তাদের মুখের রেখা পড়ার চেষ্টা করি। কিন্তু কোনো লাভ নাই, শালাদের মুখই নাই, তার আবার মুখের রেখা?
ফিরিয়ে নাও জলের প্লাবন
সাদা ওড়নাটা উড়ছে একটু ঠান্ডা, একটু গতিময়, কিন্তু মিষ্টি একটা বাতাসে। দিনের বেলা কিন্তু আলো নেই, আকাশ আঁধার। মেঘ জমছে। বাতাসে বুঝি এজন্যই এমন মিষ্টি গন্ধ। বৃষ্টির আগ দিয়ে যেমনটা পাওয়া যায়।
শীত শীত লাগছে কেন? তুষার-রঙা পোষাক কি এর কারণ? অবশ্য এটা অসহ্য ঠান্ডা নয়, অনেকটা মন ভাল করে দেবার মত। মেয়েটার মন ভাল হচ্ছে না। বিষন্ন লাগছে। আকাশের রং টা আসলেই বোধহয় মরা-মরা।
বিস্তারিত»একটি জন্মদিন…এবং কিছু প্রেম কিংবা পাগলামি…
পূর্বকথন: ব্লগে দ্বিতীয় লেখা লিখতে যাচ্ছি।আসলে অনেক দিন থেকেই লেখা শুরুর ইচ্ছা থাকলেও সদস্য হওয়ার জটিলতা,আমার অজ্ঞতা,আলসেমি আর একটু ভীতির কারণে দেরী হয়ে গেল।ব্লগে ঢুকলাম কোনো রকম অনুশীলন ছাড়াই।দর্শক হিসেবে বসে থাকতে থাকতে মনে হলো মাঠে নেমে পড়ি।ব্লগ লেখার ইচ্ছার পেছনের কারণ,আমার মাথা ও মনে ঘুরপাক খাওয়া কিছু কাহিনী ও প্যাচাল বাইরে নিয়ে আসা-তো এসব আনাড়ি দের কে দিয়ে ওপেনিং করা সম্ভব নয় বলে অনেক দিন আগে লেখা একমাত্র সভ্য কবিতা বা গান[অন্যের সামনে প্রকাশযোগ্য]কে ফেসবুক নোটস থেকে কপি পেস্ট করে কোনমতে বাংলায় রূপান্তর করে পোস্ট করে দিলাম।ওপেনিং দেখে কিছুটা আশার সঞ্চার হলো তাই এবার অন্যদের ও পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।
বিস্তারিত»লোভ
মানুষ আসলে খুব বিচিত্র ধরনের প্রাণী,অনেকই আছে যারা কষ্ট পেতে ভালবাসে।আমি তাদেরই দলের একজন।মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করি আমার কষ্টের কি কারণ উত্তর একটাই আমি নিজে।কারণ আমি নিজেকে কষ্ট দিতে ভালবাসি।আমার আশে-পাশের মানুষ গুলো হাজারো কষ্টের মধ্যে কি অবলীল ভাবে সুখী থাকে।আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আসলেই সুখী থাকে না ভান করে।ভান করলেও ওরা ওটা নিয়েই সুখী।আমার মত না।
আমি আসলে সব সুখ থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে রেখেছি।সফল মানুষ বলতে যা বোঝায় তার শর্ত গুলো আমি পূরণ করেছি বহু আগেই।তবুও আমি সুখী না তাহলে কি আমি লোভী সত্যি বলছি আমি তাও না।
যোগাযোগ
জানালার কাচের ওপর আমি ডান হাত রেখে বসে আছি। আমার পাশে একটা কালো কাচ। কাচের তাপমাত্রা খুব কম। হাতের আঙুলে ঠাণ্ডা লাগছে। বাইরে শিশির পড়ছে। কে বলেছিলো কাচ আসলে তাপ কুপরিবাহী? তাহলে আমার শীত লাগছে কেন! আমি হাত সরিয়ে নেয়ার কথা ভাবলেও সরাই না। আঙুলের ডগা কেমন অবশ হয়ে আসতে থাকে। হঠাৎ কী হলো, আরেকটা হাত এসে কালো কাচটার ওপাশে ঠিক আবার হাতের মধ্যে এসে পড়লো।
বিস্তারিত»একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত
[আমার লেখা প্রথম গল্প ।]
আজ সকালের নাস্তাটা বেশ জম্পেশ ছিল – ব্রেড টোস্ট, বাটার, জেলী, ওমলেট, কলা আর অরেঞ্জ জুস । কিন্তু মায়ের শত পীড়াপীড়ি আর জিহবার আগা পর্যন্ত জল চলে আসা সত্ত্বেও টোস্টে দুটো কামড় বসিয়েই ১০০ মিটার স্প্রিন্ট দিয়ে বাড়ি থেকে বের হলাম । কেননা আমাদের গাড়ি দুটোর একটা আজ গ্যারেজে, অন্যটাতে আমার ছোট বোন গেছে ইউনিভার্সিটিতে । আমাকে এক্ষুণি এবং এক্ষুণি একটা ট্যাক্সি ক্যাব বা সিএনজি ম্যানেজ করতে হবে –
বিস্তারিত»ভালোবাসি
(সেই অনেক দিন আগে, তখন মাস্ফ্যদা লুঙ্গি নিয়া এত দৌড়াদৌড়ি করতো না; সিসিবিতে একটা লেখা দিছিলাম। তারপর ফয়েজ ভাই, শওকত ভাই, চা ওয়ালা etc. etc দের জটিল জটিল লেখা পড়ে লিখতে সাহস হতো না। আজ একটা দুঃসাহস করে ফেললাম, যদি বদ হজম হয় হজমি খাওনের ডিউটি নিজের নিজের। )
চোখটা খুললেই এক ফালি আকাশ না হলে এক্ টুকরো অন্ধোকার দেখা যায়। ইদানিং অনেক চাঁদ দেখতে ইচ্ছে করে।এক ফালি না পুরো চাঁদ,
বিস্তারিত»হায়রে পোলাপাইন…হায়রে প্রেম…হায়রে প্রেমিকা – পর্ব ২
ছোটবেলা,বড়বেলা আর ছেলেবেলা
১৯৮৫ ডিসেম্বরের ২১ ডিসেম্বরের রাত ২৩টা ৪০ মিনিটে আমার মায়ের সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে লন্ডন টাউনের এক হাসপাতালে আমার বোন পুর্ণতা ও আমি ভূমিষ্ট হই। সাত মাস বয়সে যখন আমরা পৃথিবীতে আসি তখন আমাদের চোখটাও ঠিক মত ফুটেনি। আমার ডান পায়ের সাথে আপির বাম হাতের চামড়া জোড়া লাগানো ছিল। ২মাস পরে আমাদের আলাদা করা হল। আমার মা প্রথম দুই বছর আমাদের নিয়ে অনেক কষ্ট করেছেন। তার পর আরো ছয় মা পর আমার আব্বু আপিকে আমার দাদার কাছে নিয়ে চলে আসেন আর আমার মম আমাকে নিয়ে দারজিলিং চলে আসেন।
বিস্তারিত»আই লাভ ইউ, ক্যাডেটস্ !!!
আজ আমার বিশেষ খুশির দিন। কারণটা একটু পরই বলছি। তার আগে একটা গল্প বলি। তবে আগেই বলে নিচ্ছি, এটা শুধুই গল্প, কোন জীবনকাহিনী নয়, বরং জীবনকাহিনীর মত করে লেখা অসংলগ্ন প্রলাপ মাত্র। বাস্তব জীবনের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। 🙂 O:-)
আকাশ। আমার খুব ভালো বন্ধু। দেশের এক স্বনামধন্য ক্যাডেট কলেজ থেকে মাত্র পাশ করে বের হয়েছে, সময়টা ২০০৫ সাল। আমি যখন কোথায়-কিভাবে ভর্তি হব এই নিয়ে টেনশনে দিন-রাত এক করে ফেলছি,
বিস্তারিত»তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৯
ছ্যাঁকার অ আ
(সিসিবি-তে এটাই আমার প্রথম লেখা । লেখার মান বিবেচনায় সবাইকে যথাসম্ভব ক্ষমাসুন্দর হবার অনুরোধ জানাচ্ছি।)
নতুন নতুন ক্লাস নাইনে উঠেছি । ….ছোটবেলা থেকেই কেন যেন আমার ক্লাস নাইনকে তারুণ্যে পদার্পণের একটা ‘ধাপ’-এর মত মনে হত। কাজেই সেই ধাপে পা রাখার সাথে সাথে আমার এ্যাটিচ্যুডে স্বভাবতই কিছু ছোট ছোট পরিবর্তন আনার চেষ্টা করলাম। যেমনঃ
-অকারণে রহস্য উদ্রেককারী ঔদাসীন্য,
-হাঁটার গতি শ্লথ করা,
শ্যাল উই ডান্স?
আলোর সামনে বসে আছে জয়তী। চুল আঁচড়াচ্ছে। বুকের কাপড়টা ঘাড় থেকে পিছলে বুকের মাঝে কোনোমতে বিঁধে রয়েছে। জয়তীর বুকের ছোট ছোট সোনালী লোম আর লোমকুপগুলো দেখা যাচ্ছে। মাটিতে নতুন ঘাসের মতো। আলো পড়াতে সেগুলো আরও উজ্জ্বল লাগছে। জয়তীর নিঃশ্বাসের ওঠানামার সঙ্গে সঙ্গে তার বুকটাও ওঠানামা করছে। সোনায় ঝলসানো লোমগুলোর দিকে শুভ অপলক তাকিয়ে আছে। চেষ্টা করেও পলক ফেলতে পারছে না-পাছে এই দৃশ্য জীবনে আর যদি ফিরে না আসে!
বিস্তারিত»নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকঃ পর্ব ৫ (শেষ পর্ব)
রাইন,
হ্যাঁ, ঘুমান। (বাবা-মায়ের সাথে নাশতা খাওয়ার প্ল্যান বাতিল?)
আপনাকে সারা রাত জাগিয়ে রাখলাম আজকে। অবশ্য এজন্য আমার একটুও দুঃখ লাগছে না… অপরাধবোধও না! কারণ আমি জানি আমার কাছে লিখতে আপনার ভালোই লাগলো, আমারও যেমন। না? 🙂
লর্ড অফ দ্যা রিংস আমারও খুব প্রিয় একটা মুভি। আমরা প্রত্যেকটা হলে গিয়ে দেখসি। কয়েকটা দৃশ্য আছে এতো সুন্দর।
বিস্তারিত»