বৃষ্টি বিড়ম্বনা ও বিভ্রাট

গল্প শব্দবিভ্রাট নিয়ে। বাস্তবে ঘটা এবং সত্য ঘটনা।

সুকুমার রায়ের গল্পে পড়েছি, “দাদা। জল পাই কোথায় বলুন তো?” প্রতিউত্তরে বলেছে “মুশকিলে ফেললেন, এখনতো জলপাই এর সময় না।তবে আম-কাঠাল হলে চলবে?”

আমার গল্প এইসব বিড়ম্বনা বা বিভ্রাট নিয়েই। একবার ক্লাসে এক ম্যাডাম জিজ্ঞাসা করলেন,”এই তোমাদের ক্লাস ক্যাপ্টেন কে?” আমার বন্ধুর সরল মনের উত্তর, “কাদের”।

ম্যাডাম খেপে গিয়ে বললেন, “ফাজলামো করো।একটা চড় দিয়ে দাত কয়টা ফেলায় দেবো।কাদের আবার?

বিস্তারিত»

দুষ্মন্তপুরান-২

রাজা দুষ্মন্ত মধ্যাহ্নভোজন সারিয়া নিদ্রা যাইতেছিলেন। স্বপ্নে দেখিলেন, কাঁচুলি আর কৌপিন পরিহিতা এক পিনোন্নতা গুরুনিতম্বী তাহার চতুর্দিকে নৃত্য করিতেছে। নৃত্য করিতে করিতে এক পর্যায়ে সে রাজার কোলে চড়িয়া বসিল। বসিয়া রাজার চিবুক,ওষ্ঠ্য,ললাট স্বীয় জিহবা দ্বারা লেহন করিতে লাগিল। রাজা উত্তেজনায় শিহরিয়া উঠিলেন। রূপসীকে সুধাইলেন,ওহে অপরূপা, তুমি এতোদিন কোথায় ছিলে? কি নাম তোমার? সে কহিল,ভৌ।

রাজার ঘুম চটিয়া গেল। তাকাইয়া দেখিলেন,এক সারমেয় সন্তান তাহার কোলে চাপিয়া তাহার সর্বাঙ্গ লেহন করিতেছে।

বিস্তারিত»

দুষ্মন্তপুরান (পিজি-১৩)

রাজা দুষ্মন্ত বড়ই চিন্তিত। বিগত দু’দিন যাবৎ শকুন্তলাকে দেখা গিয়াছে মোবাইলে কোন এক অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে ফাইট দিতে। সে ঘন ঘন ছোট বার্তাও পাঠাইতে থাকে। আবার ফিরতি বার্তা পড়িয়া মুচকি মুচকি হাসে। তাহাকে ওই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কথা সুধাইলে সে বলে, তুমার তাতে কি? ইয়েতে চুল্কাচ্ছে?বেটা বুড়া ভাম! আজকাল রিক্সাওলারা পর্যন্ত মোবাইল ইউস করতেসে। আর তুমি একটা আখাইত্তা,নিজের একটা মোবাইল কেনারও মুরোদ নাই,আবার নাম দিসে রাজা,হেঁহ।

বিস্তারিত»

……….ব্যতিক্রমী বিদায়ী ভাষণ……..

[গল্পটা স্থান-কাল-পাত্রভেদে কাল্পনিক।এটা নিছকই ব্লগারের কল্পনাপ্রসূত।তবে এর প্রেক্ষাপট বাস্তবিক হলেও হতে পারে।কোন ব্যক্তিবিশেষের সাথে বিষয়বস্তু বা বর্ণনার বিন্দুমাত্র মিল থাকলে তা অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র।এর জন্য ব্লগার দায়ী নন]

*************************

বেলা প্রায় দুপুর ১২টা।৫ম সেমিস্টারের ক্লাসও দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল।সময় যে কিভাবে কাটে টেরই পাওয়া যায় না।ক্লাস শেষে অ্যাটেন্ডেন্স নিয়ে স্যার বেরিয়ে গেলেন।সবাই যার যার মত ব্যাগ গুছিয়ে বিদায় নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে,মনটা সবারই ফুরফুরে।কারণ,আরো একটা সেমিস্টার শেষ + কয়েকদিনের বিরতি + বিশ্রামের সুযোগ…ইত্যাদি…।কিন্তু একটা ছেলে স্যারের পিছনে পিছনে গিয়ে,

বিস্তারিত»

বক্ররেখায় প্রস্থান

“উফ, একটুর জন্য ম্যচটা হাতছাড়া হয়ে গেল”-বলছিল রাসেলের টিমমেট তারেক। তারেকের দিকে এক পলক তাকিয়েও দৃষ্টি সরিয়ে নিল রাসেল। মনটা তার একটু বেশীই খারাপ। এই টুর্নামেন্টের জন্য তার ২ টা পরীক্ষা মিস হয়ে গেছে। তার উপর এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরারও সে, তারপরও ফাইনালে তার জন্যই কিনা দল হেরে গেল! শেষ ৫ সেকেণ্ডে ফ্রি-শুট পেয়েও স্কোর করতে না পারায় তারা হেরে গেছে ৭৮-৭৭ পয়েন্টে।
‘খুব একা একা লাগছে,

বিস্তারিত»

ছোটগল্প :যেভাবে জন্ম নিতে পারতো একটি গল্প

খুব ধীরে এগিয়ে গিয়ে আমার দরজাটা আধ খোলা করে দিই যাতে পাশের রুম থেকে আমার অবয়ব ধরা পড়ে। আলোহীন ঘরে টেবিল ল্যাম্প জ্বেলে দিয়ে এক ধরণের আদিভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করি। পানি খাওয়ার নাম করে মাঝের রুমে গিয়ে সেখান হতে আমার লিখার পরিবেশের অসাধারণত্ব বুঝবার চেষ্টা করি। গতকালকের চেয়ে কোন অংশেই কম চমকপ্রদ হয়নি। আমার লিখার ঘর দেখেই স্বপন আমার দিকে কড়া দৃষ্টি হানে।” আজকে বাদ দিলে হতো না।

বিস্তারিত»

নির্বাণ

Bare_Trees_by_the_surreal_arts
মানুষকে বোবা করে তোলার সব প্রক্রিয়া যখন সমাপ্ত, তখন তাদের মাঝে এক ধরনের মিশ্র ক্লান্তি দেখা যাবে। অবয়ব পরিষ্কার নয় বলে তারা ঠিক কতোটা ক্লান্ত, সেটা আমি বুঝে উঠতে পারি না। স্যরি, আমি খালি নিজের কথা বলি। বাকিরাও বুঝে উঠতে পারে না। আমি এবং বাকিরা, আমরা সবাই তাদের মুখের রেখা পড়ার চেষ্টা করি। কিন্তু কোনো লাভ নাই, শালাদের মুখই নাই, তার আবার মুখের রেখা?

বিস্তারিত»

ফিরিয়ে নাও জলের প্লাবন

সাদা ওড়নাটা উড়ছে একটু ঠান্ডা, একটু গতিময়, কিন্তু মিষ্টি একটা বাতাসে। দিনের বেলা কিন্তু আলো নেই, আকাশ আঁধার। মেঘ জমছে। বাতাসে বুঝি এজন্যই এমন মিষ্টি গন্ধ। বৃষ্টির আগ দিয়ে যেমনটা পাওয়া যায়।

শীত শীত লাগছে কেন? তুষার-রঙা পোষাক কি এর কারণ? অবশ্য এটা অসহ্য ঠান্ডা নয়, অনেকটা মন ভাল করে দেবার মত। মেয়েটার মন ভাল হচ্ছে না। বিষন্ন লাগছে। আকাশের রং টা আসলেই বোধহয় মরা-মরা।

বিস্তারিত»

একটি জন্মদিন…এবং কিছু প্রেম কিংবা পাগলামি…

পূর্বকথন: ব্লগে দ্বিতীয় লেখা লিখতে যাচ্ছি।আসলে অনেক দিন থেকেই লেখা শুরুর ইচ্ছা থাকলেও সদস্য হওয়ার জটিলতা,আমার অজ্ঞতা,আলসেমি আর একটু ভীতির কারণে দেরী হয়ে গেল।ব্লগে ঢুকলাম কোনো রকম অনুশীলন ছাড়াই।দর্শক হিসেবে বসে থাকতে থাকতে মনে হলো মাঠে নেমে পড়ি।ব্লগ লেখার ইচ্ছার পেছনের কারণ,আমার মাথা ও মনে ঘুরপাক খাওয়া কিছু কাহিনী ও প্যাচাল বাইরে নিয়ে আসা-তো এসব আনাড়ি দের কে দিয়ে ওপেনিং করা সম্ভব নয় বলে অনেক দিন আগে লেখা একমাত্র সভ্য কবিতা বা গান[অন্যের সামনে প্রকাশযোগ্য]কে ফেসবুক নোটস থেকে কপি পেস্ট করে কোনমতে বাংলায় রূপান্তর করে পোস্ট করে দিলাম।ওপেনিং দেখে কিছুটা আশার সঞ্চার হলো তাই এবার অন্যদের ও পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।

বিস্তারিত»

লোভ

মানুষ আসলে খুব বিচিত্র ধরনের প্রাণী,অনেকই আছে যারা কষ্ট পেতে ভালবাসে।আমি তাদেরই দলের একজন।মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করি আমার কষ্টের কি কারণ উত্তর একটাই আমি নিজে।কারণ আমি নিজেকে কষ্ট দিতে ভালবাসি।আমার আশে-পাশের মানুষ গুলো হাজারো কষ্টের মধ্যে কি অবলীল ভাবে সুখী থাকে।আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আসলেই সুখী থাকে না ভান করে।ভান করলেও ওরা ওটা নিয়েই সুখী।আমার মত না।
আমি আসলে সব সুখ থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে রেখেছি।সফল মানুষ বলতে যা বোঝায় তার শর্ত গুলো আমি পূরণ করেছি বহু আগেই।তবুও আমি সুখী না তাহলে কি আমি লোভী সত্যি বলছি আমি তাও না।

বিস্তারিত»

যোগাযোগ

জানালার কাচের ওপর আমি ডান হাত রেখে বসে আছি। আমার পাশে একটা কালো কাচ। কাচের তাপমাত্রা খুব কম। হাতের আঙুলে ঠাণ্ডা লাগছে। বাইরে শিশির পড়ছে। কে বলেছিলো কাচ আসলে তাপ কুপরিবাহী? তাহলে আমার শীত লাগছে কেন! আমি হাত সরিয়ে নেয়ার কথা ভাবলেও সরাই না। আঙুলের ডগা কেমন অবশ হয়ে আসতে থাকে। হঠাৎ কী হলো, আরেকটা হাত এসে কালো কাচটার ওপাশে ঠিক আবার হাতের মধ্যে এসে পড়লো।

বিস্তারিত»

একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত

[আমার লেখা প্রথম গল্প ।]

আজ সকালের নাস্তাটা বেশ জম্পেশ ছিল – ব্রেড টোস্ট, বাটার, জেলী, ওমলেট, কলা আর অরেঞ্জ জুস । কিন্তু মায়ের শত পীড়াপীড়ি আর জিহবার আগা পর্যন্ত জল চলে আসা সত্ত্বেও টোস্টে দুটো কামড় বসিয়েই ১০০ মিটার স্প্রিন্ট দিয়ে বাড়ি থেকে বের হলাম । কেননা আমাদের গাড়ি দুটোর একটা আজ গ্যারেজে, অন্যটাতে আমার ছোট বোন গেছে ইউনিভার্সিটিতে । আমাকে এক্ষুণি এবং এক্ষুণি একটা ট্যাক্সি ক্যাব বা সিএনজি ম্যানেজ করতে হবে –

বিস্তারিত»

ভালোবাসি

(সেই অনেক দিন আগে, তখন মাস্ফ্যদা লুঙ্গি নিয়া এত দৌড়াদৌড়ি করতো না; সিসিবিতে একটা লেখা দিছিলাম। তারপর ফয়েজ ভাই, শওকত ভাই, চা ওয়ালা etc. etc দের জটিল জটিল লেখা পড়ে লিখতে সাহস হতো না। আজ একটা দুঃসাহস করে ফেললাম, যদি বদ হজম হয় হজমি খাওনের ডিউটি নিজের নিজের। )

চোখটা খুললেই এক ফালি আকাশ না হলে এক্ টুকরো অন্ধোকার দেখা যায়। ইদানিং অনেক চাঁদ দেখতে ইচ্ছে করে।এক ফালি না পুরো চাঁদ,

বিস্তারিত»

ছোটবেলা,বড়বেলা আর ছেলেবেলা

১৯৮৫ ডিসেম্বরের ২১ ডিসেম্বরের রাত ২৩টা ৪০ মিনিটে আমার মায়ের সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে লন্ডন টাউনের এক হাসপাতালে আমার বোন পুর্ণতা ও আমি ভূমিষ্ট হই। সাত মাস বয়সে যখন আমরা পৃথিবীতে আসি তখন আমাদের চোখটাও ঠিক মত ফুটেনি। আমার ডান পায়ের সাথে আপির বাম হাতের চামড়া জোড়া লাগানো ছিল। ২মাস পরে আমাদের আলাদা করা হল। আমার মা প্রথম দুই বছর আমাদের নিয়ে অনেক কষ্ট করেছেন। তার পর আরো ছয় মা পর আমার আব্বু আপিকে আমার দাদার কাছে নিয়ে চলে আসেন আর আমার মম আমাকে নিয়ে দারজিলিং চলে আসেন।

বিস্তারিত»