পাচ টাকার জ্যোতিষী একদিন বলল জীবনের অনেক উন্নতির কথা, আর সেটা ভেবে বসে ছিল সায়মা অনেকদিন। ততদিনে তার চোখে চশমা উঠেছে, চশমার ক্ষমতা বেড়েছে সামন্তর প্রগমনে, কামিজ ছোট হতে হতে শার্ট হয়ে গেছে, ঈশ্বরের পরিত্যক্ত পৃথিবীর অবশিষ্ট সুঘ্রাণের নির্যাস জমেছে তার শরীরে, কিন্তু উন্নতির সোপান খুজে দেখে কিছুই পায় নি সে। যদিও আমরা যারা রাস্তায় বাসে টাই ঠিক করি, ঘেমে প্রধানমন্ত্রীকে গালি দেই আর জুম্মা বারে নামাজ পরার সময় আমাদের সেলফোনে দিপীকা পাড়ুকোন অভিনীত সিনেমার সুর বেজে উঠলে বেহেশতে কল্পনা করি স্বল্পবসনা দিপীকাদের,
বিস্তারিত»উপহার
আমার এ গল্পটা অর্থাত্ কিনা আমার জীবনের এ গল্পটা এখন পর্যন্ত কাউকে বলিনি।এমনকি যাদের সাথে “বিন্দু বিন্দু জল ” থেকে শুরু করে “সাগর অতল ” সমান দুঃখগুলো শেয়ার করেছি, কলেজের সেই ক্লাসমেটগুলোকে পর্যন্ত না । হঠাত্ কি মনে করে গল্পটা বলতে ইচ্ছে হলো …
ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার পর পরই একটা অদ্ভুত কারণে বাবার চাকরিটা চলে যায় ।আত্মীয়স্বজনেরা নাকি তখন হিসেব করা শুরু করেছিল ,
বিস্তারিত»গল্প: জয়-পরাজয়
জহির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাঝারি মাপের কর্মকর্তা। তার আলাদা কোনো বিশেষত্ব নেই। এরকম একজন মানুষ পথেঘাটে দেখতে পাওয়া যায় এবং কেউ মনেও রাখে না। সেই তুলনায় রাজিয়া বানু একদমই অন্যরকম। মুখে একটা আলগা লাবন্য আছে, মানুষ বার বার চোখ ফিরায়। রাজিয়া বানুরে রূপসী বলা যায় যে কোনো অর্থেই। তাদের তিন বছর হলো বিয়ে হয়েছে।
কেবল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গল্প কমই থাকে। তাই তৃতীয় একটা চরিত্র আনতেই হয়।
গ্রামটিতে ‘৭১ এ কোন কুকুরই ছিল না!!
১১ মে, ১৯৭১ সাল। পাকিস্তানী সৈন্যরা আসছে জানতে পেরে অনেকেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছে। যারা রয়ে গেছে, তাদের আসলে যাবার আর কোন জায়গা নেই। অবশ্য সুলায়মান, রহমত এবং মফিজ-যারা কিনা বর্তমান ‘গন্ডগোল’ এর বিরুদ্ধে, তারা উলটো অধীর আগ্রহে পাক বাহিনীর জন্য অপেক্ষা করছে।
অবশেষে দুপুরনাগাদ পাকি বাহিনী গ্রামের একেবারে উপকন্ঠে এসে পৌঁছলো। দলটা বেশি বড় নয়, কমান্ডিং অফিসার একজন মেজর। মেজর সরফরাজ গ্রামের একমাত্র পাকা স্কুল ঘরটায় একটা চেয়ার পেতে বসে তার এডভান্স টিমকে নির্দেশ দিলেন,
বিস্তারিত»রেবেকা
আজ রাতে শীত আসলেই বেশি পড়েছে, সামান্য এই চাদরে কিছুতেই মানতে চাইছে না। শীতে খাটের উপর রেবেকা কেমন গুটিশুটি মেরে ঘুমিয়ে আছে, দেখে মায়াই লাগে। আহারে মেয়েটা কত রাত না জানি, না ঘুমিয়ে কাটিয়েছে। কম্বলটাও পুরান, পাতলা। রেবেকার শীত মানছে বলে মনে হয় না, কিন্তু শালা কিছুই করার নেই। বিয়ের পর মেজ ভাই যে নতুন কম্বলটা পাঠিয়েছিলেন করাচী থেকে বেশ ওম হত ওটাতে। কিন্তু সোলাইমানের বাচ্চা সব নিয়ে গেল।
বিস্তারিত»আমরা তিনজন এবং একটি রাত
মাস দেড়েক আগের কথা।
রাতে খেয়ে আমি সুমন আর মিলু যে যার মত পড়ছিলাম।সারাদিন প্রচুর খাটুনি ছিলো।ল্যাব আর ক্লাস।ঘুম ঘুম ভাব সবারই চোখে।তারপরেও কেন যেন ঘুম আসছিল না।তিন জন গল্প শুরু করলাম।যদি ঘুম আসে এই ইচ্ছায়।মিলু বোতল নিয়ে পানি আনতে গেল।আমি আর সুমন প্লান করলাম মিলু ফিরে আসার সময় ওকে দরজার পাশ থেকে ভয় দেখাব।তাড়াতাড়ি লুকিয়ে পড়লাম আমরা ।মিলূ দরজা খুলতেই আমরা হো হো করে হেসে উঠি।কিন্তু মিলুর কোন ভাবান্তর হল না।
বিস্তারিত»বৃহদাঙ্গ
“সবুউউউজ, ঐ সবুজ।”
“কি?”
“কই যাস?”
“শ্যাখেগো বাড়িত যাই।”
“ক্যা?”
“কাম আসে।”
“কি কাম?”
“হেইডা তর দরকার কি?”
“না ভাল লাগতাসে না। আয় কুতকুত খেলি”
“নাহ। মাইয়া মাইনশের খেইল খেলতাম না”।
সাথীর জন্য ২২ গোলাপ
একেই বলে কাকডাকা ভোর। ছোট্ট মফস্বল শহরটায় বাস থেকে এসময়েই নামলো সাগর। মোটেই তার আসার কথা না। সাগর চায়ও না বাসার কেউ দেখে ফেলুক। কিছুসময় থেকেই আবার বাসে উঠতে হবে। পরীক্ষা চলছে, ঢাকায় ফিরে পড়তে বসতে হবে। ফাইনাল পরীক্ষা।
হুট করে হল থেকে বেড়িয়ে এক কাপড়ে রাতের বাসে উঠার পরিকল্পনা সন্ধ্যা বেলায়ও মাথায় ছিল না। তারপরেও চলে আসলো সাগর। জীবনে কিছুটা পাগলামি থাকতেই হয়।
কল স্ক্রিনিং!!
আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকা স্বত্ত্বেও আমরা ছিলাম বন্ধুর মতন। না! বন্ধু না, তার চেয়েও বেশি। নিজেদের মাঝে সব কিছু শেয়ার করতাম। ক্লাস, পরীক্ষা, বন্ধুদের সাথে ঝগড়া বা আড্ডা, পছন্দ-অপছন্দ…সব কিছু। এমনকি, একে অন্যের বন্ধুদের নিকনেম পর্যন্ত জানতাম। আমার জন্য সবচেয়ে কষ্টকর ছিল যখন কোন মুভি দেখে তার গল্প বলত। কারন, ‘ওর’ স্বভাব ছিল এক্কেবারে খুঁটি-নাটি সব শোনানো। হয়ত অনেকেই হাসবেন, তবুও বলি- এমনকি, মুভির গানের অংশে গান গেয়েও শোনাতো!!
বিস্তারিত»গল্প : বৃত্ত
একবছর দুইমাস সাতদিন আগে রফিক শ্যামলী সিনেমা হলের সামনের ফুটপাথে দাড়িয়ে সিনেমার কুৎসিৎ পোস্টারটি পড়ার চেষ্টা করেছিল আর পোস্টারে প্রদর্শিত বিশাল স্তনের একস্ট্রার জন্যে তার পাকস্থলীতে জমা হয়েছিল ঘৃণার পর্বতস্তুপ। তখন দুপুরের সূর্যটা হঠাৎই অসহ্য হয়ে ওঠায় রফিক কাছের একটা টং এর সামনে মেলে দেয়া তেলচিটচিটে কাপড়ের আড়ালে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছিল আর খেতে চেয়েছিল একগ্লাস ঠান্ডা পানি। পকেট হাতড়িয়ে সে একটাকার কয়েন খুজে পায় নি সেদিন এবং ঐ দোকানের চা টাও বিস্বাদ ঠেকেছিল কাঁচা পাত্তির কারনে,
বিস্তারিত»বৃষ্টি বিড়ম্বনা ও বিভ্রাট
গল্প শব্দবিভ্রাট নিয়ে। বাস্তবে ঘটা এবং সত্য ঘটনা।
সুকুমার রায়ের গল্পে পড়েছি, “দাদা। জল পাই কোথায় বলুন তো?” প্রতিউত্তরে বলেছে “মুশকিলে ফেললেন, এখনতো জলপাই এর সময় না।তবে আম-কাঠাল হলে চলবে?”
আমার গল্প এইসব বিড়ম্বনা বা বিভ্রাট নিয়েই। একবার ক্লাসে এক ম্যাডাম জিজ্ঞাসা করলেন,”এই তোমাদের ক্লাস ক্যাপ্টেন কে?” আমার বন্ধুর সরল মনের উত্তর, “কাদের”।
ম্যাডাম খেপে গিয়ে বললেন, “ফাজলামো করো।একটা চড় দিয়ে দাত কয়টা ফেলায় দেবো।কাদের আবার?
বিস্তারিত»দুষ্মন্তপুরান-২
রাজা দুষ্মন্ত মধ্যাহ্নভোজন সারিয়া নিদ্রা যাইতেছিলেন। স্বপ্নে দেখিলেন, কাঁচুলি আর কৌপিন পরিহিতা এক পিনোন্নতা গুরুনিতম্বী তাহার চতুর্দিকে নৃত্য করিতেছে। নৃত্য করিতে করিতে এক পর্যায়ে সে রাজার কোলে চড়িয়া বসিল। বসিয়া রাজার চিবুক,ওষ্ঠ্য,ললাট স্বীয় জিহবা দ্বারা লেহন করিতে লাগিল। রাজা উত্তেজনায় শিহরিয়া উঠিলেন। রূপসীকে সুধাইলেন,ওহে অপরূপা, তুমি এতোদিন কোথায় ছিলে? কি নাম তোমার? সে কহিল,ভৌ।
রাজার ঘুম চটিয়া গেল। তাকাইয়া দেখিলেন,এক সারমেয় সন্তান তাহার কোলে চাপিয়া তাহার সর্বাঙ্গ লেহন করিতেছে।
বিস্তারিত»দুষ্মন্তপুরান (পিজি-১৩)
রাজা দুষ্মন্ত বড়ই চিন্তিত। বিগত দু’দিন যাবৎ শকুন্তলাকে দেখা গিয়াছে মোবাইলে কোন এক অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে ফাইট দিতে। সে ঘন ঘন ছোট বার্তাও পাঠাইতে থাকে। আবার ফিরতি বার্তা পড়িয়া মুচকি মুচকি হাসে। তাহাকে ওই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কথা সুধাইলে সে বলে, তুমার তাতে কি? ইয়েতে চুল্কাচ্ছে?বেটা বুড়া ভাম! আজকাল রিক্সাওলারা পর্যন্ত মোবাইল ইউস করতেসে। আর তুমি একটা আখাইত্তা,নিজের একটা মোবাইল কেনারও মুরোদ নাই,আবার নাম দিসে রাজা,হেঁহ।
বিস্তারিত»……….ব্যতিক্রমী বিদায়ী ভাষণ……..
[গল্পটা স্থান-কাল-পাত্রভেদে কাল্পনিক।এটা নিছকই ব্লগারের কল্পনাপ্রসূত।তবে এর প্রেক্ষাপট বাস্তবিক হলেও হতে পারে।কোন ব্যক্তিবিশেষের সাথে বিষয়বস্তু বা বর্ণনার বিন্দুমাত্র মিল থাকলে তা অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র।এর জন্য ব্লগার দায়ী নন]
*************************
বেলা প্রায় দুপুর ১২টা।৫ম সেমিস্টারের ক্লাসও দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল।সময় যে কিভাবে কাটে টেরই পাওয়া যায় না।ক্লাস শেষে অ্যাটেন্ডেন্স নিয়ে স্যার বেরিয়ে গেলেন।সবাই যার যার মত ব্যাগ গুছিয়ে বিদায় নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে,মনটা সবারই ফুরফুরে।কারণ,আরো একটা সেমিস্টার শেষ + কয়েকদিনের বিরতি + বিশ্রামের সুযোগ…ইত্যাদি…।কিন্তু একটা ছেলে স্যারের পিছনে পিছনে গিয়ে,
বিস্তারিত»বক্ররেখায় প্রস্থান
“উফ, একটুর জন্য ম্যচটা হাতছাড়া হয়ে গেল”-বলছিল রাসেলের টিমমেট তারেক। তারেকের দিকে এক পলক তাকিয়েও দৃষ্টি সরিয়ে নিল রাসেল। মনটা তার একটু বেশীই খারাপ। এই টুর্নামেন্টের জন্য তার ২ টা পরীক্ষা মিস হয়ে গেছে। তার উপর এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরারও সে, তারপরও ফাইনালে তার জন্যই কিনা দল হেরে গেল! শেষ ৫ সেকেণ্ডে ফ্রি-শুট পেয়েও স্কোর করতে না পারায় তারা হেরে গেছে ৭৮-৭৭ পয়েন্টে।
‘খুব একা একা লাগছে,