গল্পের শুরু পেতে সমস্যা হয় তবে গল্প শুরু হয়ে গেলে তার চলতে কোন বাঁধা নেই। প্রতিদিনকার কাজ শেষে নীড়ে ফেরা মনুষগুলোর মতোই ইতঃস্তত চলাফেরা করতে থাকে গল্পটি। তাই গল্পটির পরিসর এলোমেলোভাবে বড় হয়ে উঠে। অথবা বলা যায় গল্পটিই নিজ গুণে আপন পরিসরকে বড় করে তোলে। গল্পটার সীমা তখন আমাদের মাঝে থেমে থাকে না বরং তা সার্বজনীন রূপ নিতে থাকে। আমাদের ছেলেধরা বিষয়ক আলোচনা সন্ধ্যার বাতাসে জমে উঠে নেশার সংশ্রবে।
বিস্তারিত»এক্স ক্যাডেট লাইফের প্রথম কবিতাঃ বৃষ্টি ও প্রেম ১
সেই পুতঃ প্রেম সাগর দোলায়
সেই পুতঃ প্রেম জানলা খোলায়
গ্রীলে ঠেকে মুখ,সে এসে দাঁড়ায়
বৃষ্টি ছুঁতে সে দু’হাত বাড়ায়
দু’হাত বাড়িয়ে জল ছুঁতে চায়
বৃষ্টিস্নাত প্রেম ছুঁতে চায়
বৃষ্টি জলের ঘূর্ণিমায়ায়
আজ কেন সে নীল ছুঁতে চায়!
জলে ভেজে গাল,কেন সে হাসে
জল চুমু খায় জানালার পাশে
তার ঠোঁটে হাতে জল ছুঁয়ে যায়
বৃষ্টির প্রেমে নীল ধূয়ে যায়
জলে ভিজে যেতে দুহাত বাড়ায়
কী নিবিড় হাসি চোখের তারায়!
গল্পটা আসলে গল্পের মত হয়নি ১
কিছু কথা থাকে যা কখনো বলা হয়না । সেই অবাক্ত কিছু কথা বলার ইচ্ছা নিয়েই আজকের এই লেখা । মাঝে মাঝে ভাবি যে কথাগুলো বলার জন্য এত ভনিতা,এত সঙ্কোচ তা কি আদৌ বলা ঠিক হচ্ছে ? সে যাই হোক আজকে আমি আমার সামনে ঘটে যাওয়া এক গল্প শোনাব।যে গল্পে কষ্ট আছে,যাতনা আছে,ভালবাসা আছে,কিন্তু তার মুল্যায়ন নেই।
একটা ছেলে,ধরে নেই তার নাম আকাশ ।
বিস্তারিত»অতঃপর সেই আমি-২
পার্ট ১ এর পর ২ নং টা ছাড়লামঃ
পার্ট ১ পড়তে ক্লিক করুন
ছোট্ট একটা মফস্বল শহর।১৯৬৫ সাল।পূর্ব পাকিস্তানের নরসিংদী এলাকার শ্রীনগর।এলাকার মাঝামাঝি স্থানে পাশাপাশি দুটি বাড়ী।তার একটা জলিল সাহেবের অন্যটা রনজিত সাহার।ধর্মে ভিন্ন হলেও তাদের অন্যান্য কিছুতে তারা ভিন্ন নয়।দুজন একই অফিসে চাকরী করেন।গত আট বছর ধরে তারা পাশাপাশি বসবাস করে আসছেন।দু’ পরিবারে বেশ ভাব।যে কোন অনুষ্ঠান কিংবা পারিবারিক কাজে সবাই যেন পরস্পরের জন্য নিবেদিত প্রান।জলিল সাহেবের পরিবারে আছে তার স্ত্রী সহ দুই ছেলে।জলিল সাহেবের দুই ছেলের মাঝে একজন আমার বড় ভাই ফারুক অন্যজন আমি।রনজিত সাহার দুই মেয়ে,জয়িতা আর সুনন্দা।জয়িতার বিয়ে হয়েছে কলকাতার এক ব্যবসায়ীর সাথে।সুনন্দা আমার সাথে কলেজে পড়ে।সুনন্দাকে আমি সুনু বলেই ডাকি।অন্যান্য মেয়েদের চাইতে সুনু একটু আলাদা।তার মাঝে একটা অন্যরকম ভাব আছে যা অন্যদের মাঝে নেই।সুনুর সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হল সে হাসলে গালে টোল পড়ে।ওর মায়াভরা মুখটা আমার সবচেয়ে আপন লাগে।হাসির মধ্যে একটা শিশুসুলভ ভাব রয়েছে।যদিও ছোটবেলায় ও বেশ মোটা ছিল কিন্তু ও যেন দিনদিন আমার কাছে আলাদা রকম আকর্ষনীয় হয়ে উঠছে।জানিনা আমার আকর্ষন বোধটা অন্য মেয়েদের চেয়ে ওর প্রতি এতটা বেশী কেন।হয়তোবা ওর সেই অন্যরকম বৈশিষ্ট্যের জন্যই।আমরা আলাদা ধর্মের হলেও কখনও সুনু কিংবা আমি পরস্পরকে আলাদা ভাবিনি।মোটকথা সুনন্দাকে আমার বেশ ভাল লাগে।তবে ওকে নিয়ে আমি কখনও সেরকম ভাবনা ভাবিনা।সেরকম ভাবনা বলতে আমি ভালবাসা কিংবা প্রেম-টেম বোঝাচ্ছিনা,আমি বলতে চাইছি আকর্ষনের ব্যাপারটা।
বিস্তারিত»অবশ অনুভূতির দেয়াল
অবশ অনুভূতির দেয়াল
নাহিয়ানঃ দোস্ত তোকে কখনো কোন মেয়ে I love you বলেছে ?
রিশানঃ না । এ যাবৎ তো কেউ বলল না ।
নাহিয়ানঃ মনে হয় তোকে কেউ কোনদিন বলবেও না।
বিস্তারিত»গল্প: নারী শব্দের যৌক্তিকতা এবং আজমেরী দাওয়খানার মালিশ
পাচ টাকার জ্যোতিষী একদিন বলল জীবনের অনেক উন্নতির কথা, আর সেটা ভেবে বসে ছিল সায়মা অনেকদিন। ততদিনে তার চোখে চশমা উঠেছে, চশমার ক্ষমতা বেড়েছে সামন্তর প্রগমনে, কামিজ ছোট হতে হতে শার্ট হয়ে গেছে, ঈশ্বরের পরিত্যক্ত পৃথিবীর অবশিষ্ট সুঘ্রাণের নির্যাস জমেছে তার শরীরে, কিন্তু উন্নতির সোপান খুজে দেখে কিছুই পায় নি সে। যদিও আমরা যারা রাস্তায় বাসে টাই ঠিক করি, ঘেমে প্রধানমন্ত্রীকে গালি দেই আর জুম্মা বারে নামাজ পরার সময় আমাদের সেলফোনে দিপীকা পাড়ুকোন অভিনীত সিনেমার সুর বেজে উঠলে বেহেশতে কল্পনা করি স্বল্পবসনা দিপীকাদের,
বিস্তারিত»উপহার
আমার এ গল্পটা অর্থাত্ কিনা আমার জীবনের এ গল্পটা এখন পর্যন্ত কাউকে বলিনি।এমনকি যাদের সাথে “বিন্দু বিন্দু জল ” থেকে শুরু করে “সাগর অতল ” সমান দুঃখগুলো শেয়ার করেছি, কলেজের সেই ক্লাসমেটগুলোকে পর্যন্ত না । হঠাত্ কি মনে করে গল্পটা বলতে ইচ্ছে হলো …
ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার পর পরই একটা অদ্ভুত কারণে বাবার চাকরিটা চলে যায় ।আত্মীয়স্বজনেরা নাকি তখন হিসেব করা শুরু করেছিল ,
বিস্তারিত»গল্প: জয়-পরাজয়
জহির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাঝারি মাপের কর্মকর্তা। তার আলাদা কোনো বিশেষত্ব নেই। এরকম একজন মানুষ পথেঘাটে দেখতে পাওয়া যায় এবং কেউ মনেও রাখে না। সেই তুলনায় রাজিয়া বানু একদমই অন্যরকম। মুখে একটা আলগা লাবন্য আছে, মানুষ বার বার চোখ ফিরায়। রাজিয়া বানুরে রূপসী বলা যায় যে কোনো অর্থেই। তাদের তিন বছর হলো বিয়ে হয়েছে।
কেবল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গল্প কমই থাকে। তাই তৃতীয় একটা চরিত্র আনতেই হয়।
গ্রামটিতে ‘৭১ এ কোন কুকুরই ছিল না!!
১১ মে, ১৯৭১ সাল। পাকিস্তানী সৈন্যরা আসছে জানতে পেরে অনেকেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছে। যারা রয়ে গেছে, তাদের আসলে যাবার আর কোন জায়গা নেই। অবশ্য সুলায়মান, রহমত এবং মফিজ-যারা কিনা বর্তমান ‘গন্ডগোল’ এর বিরুদ্ধে, তারা উলটো অধীর আগ্রহে পাক বাহিনীর জন্য অপেক্ষা করছে।
অবশেষে দুপুরনাগাদ পাকি বাহিনী গ্রামের একেবারে উপকন্ঠে এসে পৌঁছলো। দলটা বেশি বড় নয়, কমান্ডিং অফিসার একজন মেজর। মেজর সরফরাজ গ্রামের একমাত্র পাকা স্কুল ঘরটায় একটা চেয়ার পেতে বসে তার এডভান্স টিমকে নির্দেশ দিলেন,
বিস্তারিত»রেবেকা
আজ রাতে শীত আসলেই বেশি পড়েছে, সামান্য এই চাদরে কিছুতেই মানতে চাইছে না। শীতে খাটের উপর রেবেকা কেমন গুটিশুটি মেরে ঘুমিয়ে আছে, দেখে মায়াই লাগে। আহারে মেয়েটা কত রাত না জানি, না ঘুমিয়ে কাটিয়েছে। কম্বলটাও পুরান, পাতলা। রেবেকার শীত মানছে বলে মনে হয় না, কিন্তু শালা কিছুই করার নেই। বিয়ের পর মেজ ভাই যে নতুন কম্বলটা পাঠিয়েছিলেন করাচী থেকে বেশ ওম হত ওটাতে। কিন্তু সোলাইমানের বাচ্চা সব নিয়ে গেল।
বিস্তারিত»আমরা তিনজন এবং একটি রাত
মাস দেড়েক আগের কথা।
রাতে খেয়ে আমি সুমন আর মিলু যে যার মত পড়ছিলাম।সারাদিন প্রচুর খাটুনি ছিলো।ল্যাব আর ক্লাস।ঘুম ঘুম ভাব সবারই চোখে।তারপরেও কেন যেন ঘুম আসছিল না।তিন জন গল্প শুরু করলাম।যদি ঘুম আসে এই ইচ্ছায়।মিলু বোতল নিয়ে পানি আনতে গেল।আমি আর সুমন প্লান করলাম মিলু ফিরে আসার সময় ওকে দরজার পাশ থেকে ভয় দেখাব।তাড়াতাড়ি লুকিয়ে পড়লাম আমরা ।মিলূ দরজা খুলতেই আমরা হো হো করে হেসে উঠি।কিন্তু মিলুর কোন ভাবান্তর হল না।
বিস্তারিত»বৃহদাঙ্গ
“সবুউউউজ, ঐ সবুজ।”
“কি?”
“কই যাস?”
“শ্যাখেগো বাড়িত যাই।”
“ক্যা?”
“কাম আসে।”
“কি কাম?”
“হেইডা তর দরকার কি?”
“না ভাল লাগতাসে না। আয় কুতকুত খেলি”
“নাহ। মাইয়া মাইনশের খেইল খেলতাম না”।
সাথীর জন্য ২২ গোলাপ
একেই বলে কাকডাকা ভোর। ছোট্ট মফস্বল শহরটায় বাস থেকে এসময়েই নামলো সাগর। মোটেই তার আসার কথা না। সাগর চায়ও না বাসার কেউ দেখে ফেলুক। কিছুসময় থেকেই আবার বাসে উঠতে হবে। পরীক্ষা চলছে, ঢাকায় ফিরে পড়তে বসতে হবে। ফাইনাল পরীক্ষা।
হুট করে হল থেকে বেড়িয়ে এক কাপড়ে রাতের বাসে উঠার পরিকল্পনা সন্ধ্যা বেলায়ও মাথায় ছিল না। তারপরেও চলে আসলো সাগর। জীবনে কিছুটা পাগলামি থাকতেই হয়।
কল স্ক্রিনিং!!
আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকা স্বত্ত্বেও আমরা ছিলাম বন্ধুর মতন। না! বন্ধু না, তার চেয়েও বেশি। নিজেদের মাঝে সব কিছু শেয়ার করতাম। ক্লাস, পরীক্ষা, বন্ধুদের সাথে ঝগড়া বা আড্ডা, পছন্দ-অপছন্দ…সব কিছু। এমনকি, একে অন্যের বন্ধুদের নিকনেম পর্যন্ত জানতাম। আমার জন্য সবচেয়ে কষ্টকর ছিল যখন কোন মুভি দেখে তার গল্প বলত। কারন, ‘ওর’ স্বভাব ছিল এক্কেবারে খুঁটি-নাটি সব শোনানো। হয়ত অনেকেই হাসবেন, তবুও বলি- এমনকি, মুভির গানের অংশে গান গেয়েও শোনাতো!!
বিস্তারিত»গল্প : বৃত্ত
একবছর দুইমাস সাতদিন আগে রফিক শ্যামলী সিনেমা হলের সামনের ফুটপাথে দাড়িয়ে সিনেমার কুৎসিৎ পোস্টারটি পড়ার চেষ্টা করেছিল আর পোস্টারে প্রদর্শিত বিশাল স্তনের একস্ট্রার জন্যে তার পাকস্থলীতে জমা হয়েছিল ঘৃণার পর্বতস্তুপ। তখন দুপুরের সূর্যটা হঠাৎই অসহ্য হয়ে ওঠায় রফিক কাছের একটা টং এর সামনে মেলে দেয়া তেলচিটচিটে কাপড়ের আড়ালে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছিল আর খেতে চেয়েছিল একগ্লাস ঠান্ডা পানি। পকেট হাতড়িয়ে সে একটাকার কয়েন খুজে পায় নি সেদিন এবং ঐ দোকানের চা টাও বিস্বাদ ঠেকেছিল কাঁচা পাত্তির কারনে,
বিস্তারিত»