অদ্ভুত আঁধার এক

১.

গরমটা যা জাকিয়ে পড়েছে এবার। বিশ্রি এক অনুভূতি সারাদিন। উফঃ দিনে কোথাও এক দন্ড বসে থাকার উপায় নেই, ঘামে গায়ের কাপড় ভিজে জব জব করে সারাক্ষন। রাত ৯টা। রোকেয়া হল, মেইন বিল্ডিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রাতের এই সময়টুকুতে বারান্দার রেলিং এ বসে রুমের ক্যাসেটে জোয়ান বায়েজ ছেড়ে অন্যরুমের সুখদুঃখে আড়ি পাতার মতো এক চিলতে আনন্দ ঢাকার আর কোথাও নেই।

বিস্তারিত»

অপু’র তিথি


[এই গল্পের কাহিনী পুরোপুরি কাল্পনিক নয়, কাজেই বাস্তবের কারও সাথে মিলে যাইতেই পারে। খেপে গিয়া আমারে গাইলায়েন না। আমার কিচ্ছু করার নাই] 😛 ;;;

অপুরা নতুন বাসায় উঠেছে খুব বেশিদিন হয়নি। নতুন জায়গা, নতুন বাসা, কাল থেকে নতুন স্কুল-সব মিলিয়ে যার-পর-নাই এক্সসাইটেড অপু। মূলতঃ অপুর বাবা খন্দকার সাহেবের কারণেই সেই টাঙ্গাঈল থেকে ট্রান্সফার হয়ে মানিকগঞ্জ আসা অপুদের। খন্দকার সাহেব বিরাট নীতিবান লোক।

বিস্তারিত»

নিঃশব্দ অনুভূতি

ত্রপাদের বাসাটা ছিলো ঠিক আমাদের গলির শেষ মাথা থেকে দ্বিতীয়টা। তখন আমার বয়স ছিলো তেরো কি চৌদ্দ যখন ওরা এইখানে প্রথম এসেছিলো। আমি বেশ ঘরকুনো ছিলাম তখন। বাসা থেকে বিশেষ একটা বের হতাম না। সেবার শীতে শ্বাসকষ্টটা বেশ ভালোভাবেই ভোগাচ্ছিলো। আম্মু তাই স্কুলে যেতে দিচ্ছিলেন না। আমারও বিশেষ একটা সমস্যা হচ্ছিলো না ঐ ঘরকুনো অভ্যাসটটার জন্য। সকালটা জানালার পাশে রোদে বসে বাসার নীচ দিয়ে ডাকতে ডাকতে যাওয়া ফেরিওয়ালাদের দেখেই কাটতো।

বিস্তারিত»

আলো অন্ধকারে যাই…

Between light and darkness

…We all carry these things inside that no one else can see.
They hold us down like anchors, they drown us out at sea…

না হয় আমি তুচ্ছ আর তুমি গুরুত্বপূর্ণ, তা বলে কি আমার হৃদয় নেই? হৃদয় কোথায় থাকে তা তো তুমিও জানো না। যদি বলো আমার হৃদয় নেই, তাহলে তোমারও হৃদয় নেই। তোমার কেবল একটা হৃৎপিণ্ড আছে যা খালি ধুকপুক ধুকপুক করে রক্ত পাম্প করছে;

বিস্তারিত»

দহন নিরবধি

অমাবশ্যা রাত। ঘুটঘুটে অন্ধকার। কখনো একটানা, কখনো থেমে থেমে শুধু ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। এদিকটায় লোকালয় কম, কিছুটা পথ দূরে স্টাফ কোয়ার্টার। একেবারে তিস্তার তীরে। রেস্ট হাউস আর তিস্তার মাঝে ঝাউবনে লিলুয়া বাতাস লুকোচুরি খেলে। সামনে কিছু ফলজ গাছ বেশ ডাগর হয়ে উঠেছে। একেকটা গাছের সামনে নামফলকে রোপনকারীর নাম এবং রোপনের তারিখ অবহেলায় সময়ের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে।

হুইস্কিটা একটু ধরলে দোতলার লাউঞ্জের ইজি চেয়ায়ে হেলান দেয়া অবস্থায় একটা ঢেকুর ওঠে খান সাহেবের।

বিস্তারিত»

মফস্বল সংবাদ

আমাদের এই ছোট্ট শহরে আমার মত যুবক বয়সী ছেলেপেলেদের আড্ডা দেওয়ার জায়গা আসলে তেমন একটা নেই। এই পাড়ার মুখে, ঐ পাড়ার চায়ের দোকানে কিংবা বালিকা স্কুলের রাস্তার উপর কালী মন্দিরের সামনে। এইসব জায়গায় অবশ্য বহু পোলাপাইন আড্ডা দেয় কিন্তু আমারা তেমন একটা জুত পাই না। আরে আড্ডা দিলে দিতে হয় দিল খুলে কিন্তু এইসব জায়গায় কি আর তার জো আছে? পাড়ার মুখে আড্ডা দিলে হাজারটা মুরব্বির সামনে পড়তে হয়।

বিস্তারিত»

নাম বিড়ম্বনা!

[লেখার প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক এবং লেখকের কল্পনা প্রসুত। কারো নাম বা কাহিনী তার ব্যাক্তিগত জীবনের সাথে মিলে গেলে তা কেবলই কাকতালীয় মাত্র]

১.
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিনত বয়সের প্রেম হয় বিপরীত লিঙ্গের কলিগদের মধ্যে, ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীরা করেন নিজেদের ক্লাশমেট বা দুই এক বছরের ব্যাবধানে নিজেদের গন্ডীরই কারও সাথে প্রেম, ক্লাশ নাইন টেন বা ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র ছাত্রীরা প্রেমে পড়ে পাড়ার হার্ট-থ্রব নায়ক বা পাড়ার নায়িকার।

বিস্তারিত»

(অ)মানবিক!!

১।

-ডক্টর আনিস! ডক্টর আনিস!

অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করার পর অবশেষে সোফি আনিসের ঘুম ভাঙ্গাতে সমর্থ হল। বেচারা গতকাল অনেক দেরি করে ঘুমিয়েছিল। সে কারনেই বোধহয় গভীর ঘুমে আচ্ছ্বন্ন হয়ে পড়েছিল।

-কি ব্যাপার সোফি? এত ডাকাডাকি করছ কেন? তুমি জান না আজ আমি ভার্সিটি যাব না, ছুটি নিয়েছি?
-মাফ করবেন, ডক্টর আনিস। আমি জানি আজ আপনি ছুটিতে আছেন। কিন্তু ডক্টর সোহরাব অনেকক্ষণ ধরে আপনার সাথে কথা বলতে চাইছিলেন।

বিস্তারিত»

দূরের নগরে দু’জন

“Our life always expresses the result of our dominant thoughts.”

– Søren Kierkegaard

সকালে উঠে মনে হয়েছিলো দিন খারাপ যাবে। নির্জলা দুপুরে ঘুঘু যেমন টেনে একঘেঁয়ে স্বরে ডাকতে থাকে সেভাবে মনের ভেতরে কোন্‌ এক পাখি মৃদু অথচ দীর্ঘ সময় ডেকে চললো – কুউউউ কুউউউ। সেই ডাকের তাল কাটাতে রাহাত খুব জোরে জোরে দাত মাজে। ব্রাশটা নতুন, তাই বেশি জোরে ঘষার কারণে মাড়িতে ব্যথা লাগলে থু করে থুতু ফেলে সে,

বিস্তারিত»

ইঁদুর মারার বিষ!

১।

শামীম এবং সূচীর বিয়ে হয়েছে প্রায় ছ’মাস হল। লাভ ম্যারেজ নয়, পারিবারিকভাবে সেটল্‌ড ম্যারেজ। বিয়ের পর তারা আলাদা বাসা নিয়ে বর্তমানে মোহাম্মদপুরে মোটামুটি ভাল মানের একটি ফ্ল্যাটে থাকে। আপাত দৃষ্টিতে এই দম্পত্তিকে সুখী মনে হলেও দুইজনের মধ্যে এখনো ঠিক সত্যিকারের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে নি। অথচ এমন নয় যে ছেলে হিসেবে শামীম কম যোগ্য বা অযোগ্য। বরং সে ব্যক্তিজীবন এবং কর্মজীবনে যথেষ্ট সফল।

বিস্তারিত»

ছোটগল্প: সৈকত-দীপা অথবা ছেলেধরাদের গল্প

গল্পের শুরু পেতে সমস্যা হয় তবে গল্প শুরু হয়ে গেলে তার চলতে কোন বাঁধা নেই। প্রতিদিনকার কাজ শেষে নীড়ে ফেরা মনুষগুলোর মতোই ইতঃস্তত চলাফেরা করতে থাকে গল্পটি। তাই গল্পটির পরিসর এলোমেলোভাবে বড় হয়ে উঠে। অথবা বলা যায় গল্পটিই নিজ গুণে আপন পরিসরকে বড় করে তোলে। গল্পটার সীমা তখন আমাদের মাঝে থেমে থাকে না বরং তা সার্বজনীন রূপ নিতে থাকে। আমাদের ছেলেধরা বিষয়ক আলোচনা সন্ধ্যার বাতাসে জমে উঠে নেশার সংশ্রবে।

বিস্তারিত»

এক্স ক্যাডেট লাইফের প্রথম কবিতাঃ বৃষ্টি ও প্রেম ১

সেই পুতঃ প্রেম সাগর দোলায়
সেই পুতঃ প্রেম জানলা খোলায়
গ্রীলে ঠেকে মুখ,সে এসে দাঁড়ায়
বৃষ্টি ছুঁতে সে দু’হাত বাড়ায়
দু’হাত বাড়িয়ে জল ছুঁতে চায়
বৃষ্টিস্নাত প্রেম ছুঁতে চায়
বৃষ্টি জলের ঘূর্ণিমায়ায়
আজ কেন সে নীল ছুঁতে চায়!

জলে ভেজে গাল,কেন সে হাসে
জল চুমু খায় জানালার পাশে
তার ঠোঁটে হাতে জল ছুঁয়ে যায়
বৃষ্টির প্রেমে নীল ধূয়ে যায়
জলে ভিজে যেতে দুহাত বাড়ায়
কী নিবিড় হাসি চোখের তারায়!

বিস্তারিত»

গল্পটা আসলে গল্পের মত হয়নি ১

কিছু কথা থাকে যা কখনো বলা হয়না । সেই অবাক্ত কিছু কথা বলার ইচ্ছা নিয়েই আজকের এই লেখা । মাঝে মাঝে ভাবি যে কথাগুলো বলার জন্য এত ভনিতা,এত সঙ্কোচ তা কি আদৌ বলা ঠিক হচ্ছে ? সে যাই হোক আজকে আমি আমার সামনে ঘটে যাওয়া এক গল্প শোনাব।যে গল্পে কষ্ট আছে,যাতনা আছে,ভালবাসা আছে,কিন্তু তার মুল্যায়ন নেই।

একটা ছেলে,ধরে নেই তার নাম আকাশ ।

বিস্তারিত»

অতঃপর সেই আমি-২

পার্ট ১ এর পর ২ নং টা ছাড়লামঃ
পার্ট ১ পড়তে ক্লিক করুন

ছোট্ট একটা মফস্বল শহর।১৯৬৫ সাল।পূর্ব পাকিস্তানের নরসিংদী এলাকার শ্রীনগর।এলাকার মাঝামাঝি স্থানে পাশাপাশি দুটি বাড়ী।তার একটা জলিল সাহেবের অন্যটা রনজিত সাহার।ধর্মে ভিন্ন হলেও তাদের অন্যান্য কিছুতে তারা ভিন্ন নয়।দুজন একই অফিসে চাকরী করেন।গত আট বছর ধরে তারা পাশাপাশি বসবাস করে আসছেন।দু’ পরিবারে বেশ ভাব।যে কোন অনুষ্ঠান কিংবা পারিবারিক কাজে সবাই যেন পরস্পরের জন্য নিবেদিত প্রান।জলিল সাহেবের পরিবারে আছে তার স্ত্রী সহ দুই ছেলে।জলিল সাহেবের দুই ছেলের মাঝে একজন আমার বড় ভাই ফারুক অন্যজন আমি।রনজিত সাহার দুই মেয়ে,জয়িতা আর সুনন্দা।জয়িতার বিয়ে হয়েছে কলকাতার এক ব্যবসায়ীর সাথে।সুনন্দা আমার সাথে কলেজে পড়ে।সুনন্দাকে আমি সুনু বলেই ডাকি।অন্যান্য মেয়েদের চাইতে সুনু একটু আলাদা।তার মাঝে একটা অন্যরকম ভাব আছে যা অন্যদের মাঝে নেই।সুনুর সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হল সে হাসলে গালে টোল পড়ে।ওর মায়াভরা মুখটা আমার সবচেয়ে আপন লাগে।হাসির মধ্যে একটা শিশুসুলভ ভাব রয়েছে।যদিও ছোটবেলায় ও বেশ মোটা ছিল কিন্তু ও যেন দিনদিন আমার কাছে আলাদা রকম আকর্ষনীয় হয়ে উঠছে।জানিনা আমার আকর্ষন বোধটা অন্য মেয়েদের চেয়ে ওর প্রতি এতটা বেশী কেন।হয়তোবা ওর সেই অন্যরকম বৈশিষ্ট্যের জন্যই।আমরা আলাদা ধর্মের হলেও কখনও সুনু কিংবা আমি পরস্পরকে আলাদা ভাবিনি।মোটকথা সুনন্দাকে আমার বেশ ভাল লাগে।তবে ওকে নিয়ে আমি কখনও সেরকম ভাবনা ভাবিনা।সেরকম ভাবনা বলতে আমি ভালবাসা কিংবা প্রেম-টেম বোঝাচ্ছিনা,আমি বলতে চাইছি আকর্ষনের ব্যাপারটা।

বিস্তারিত»

অবশ অনুভূতির দেয়াল

অবশ অনুভূতির দেয়াল

নাহিয়ানঃ দোস্ত তোকে কখনো কোন মেয়ে I love you বলেছে ?

রিশানঃ না । এ যাবৎ তো কেউ বলল না ।

নাহিয়ানঃ মনে হয় তোকে কেউ কোনদিন বলবেও না।

বিস্তারিত»