অরন্যের একটি দিন এবং একটি রাত্রি – ১


জুম শটে এক রাশ ধূলা জমে উঠবে ফ্রেমে।
পরের ফ্রেমেই চলে আসবে – রাস্তায় ঝাড়ু দিচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের এর ঝাড়ুদার।
জুম আউট করে খালি রাস্তা – আইল্যান্ড ছুয়ে ক্যামেরা ডান দিকে প্যান করে একটি বাড়ির গেটের সামনে এসে স্থির হবে।
গেটের বাম পাশে শ্বেত পাথরে লেখা – বাড়ী নং ২৬৯ / রোড নং ৪।
তারপর ধীরে শর্ট অ্যাঙ্গেলে পিছনের সাদা দেয়ালে বেয়ে দোতলার জানালা।

বিস্তারিত»

শহুরে অন্ধকারের বিপরীতে

এই স্যাঁতসেঁতে কুৎসিত গলিটাকে আমি ঘৃণা করি ভীষণরকম।

প্রতি সন্ধ্যায় একেকটা ক্লান্তিকর দিনশেষে আমি যখন আমার ফ্ল্যাট নামক কবুতরের খোপে ফিরে আসি, আমাকে এই অন্ধকার গলিটা পার করে যেতে হয়। প্রশ্ন উঠতে পারে এই গলিটার বিশেষত্ব কি? আমি উত্তর দেব এইভাবে,

দুর্গন্ধময়, কর্কশ, অন্ধকার এই শহরের প্রায় সমস্ত কদর্যতার খানিক প্রতিনিধিত্ব করা এই সংকীর্ণ রাস্তাটা আশ্রয় দ্যায় একজন অনিয়মিত ভিক্ষুক, দুটো উপচে পড়া ডাস্টবিন,

বিস্তারিত»

স্মৃতিবিমুখ, প্রমুখ মুখ


চিলতে রোদে পাখনা ডুবাই, মুচকি হাসে শহরতলি
রোজ সকালে পড়ছে মনে, এই কথাটা কেমনে বলি?

~~~

– “বল, জোরে জোরে বল, ক’য়ে আ-কারে কা, ম’য়ে আ-কারে মা, ন — কামান”

ওপাশে খানিক নিশ্চুপ বিরতি, তার চোখের দৃষ্টি ফ্যালফ্যালে। বোবা।

– “কি হলো? চুপ করে আছিস কেন? কি বললাম, পড়্‌!”

ফ্যালফ্যালে চোখের সামনে শক্ত ঝুঁটি ঝলসে ওঠে।

বিস্তারিত»

বাস্তবতা………..

(আজকের এই গল্পটার প্লট আমার না । আমি গল্পটা কলেজে শুনছি । কাজেই কেউ যদি দাবি করেন যে এইটা তার গল্প তাইলে আমার কোনো দোষ নাই ।আমি আমার মত করে লিখলাম।)

আজ রুদ্রর মন খুব খারাপ । মনে বড় আশা নিয়ে সে আজ নিশিকে নিয়ে এসেছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । কিন্তু কিছুতেই কিছু হলোনা । ডাক্তার স্পষ্ট বলে দিয়েছেন কোনো ব্যাক্তি যদি নিজের ইচ্ছায় তার দুটি চোখ দান না করে তবে নিশি কোনো দিনই এই সুন্দর পৃথিবী দেখতে পাবেনা ।

বিস্তারিত»

দ্য নিউ অ্যাডভেঞ্চার অব “লুইচ্চা”


[আগেই বইলা নেই, এই গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিকও হইবার পারে, অকাল্পনিকও হইবার পারে, কেউ মাইন্ড কইরা বয়া থাকলে থাকেন, আমার কী, আমি তো লেখক রে ভাই… B-) B-) ]

খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। একদা এই দেশে ‘মঈন’ নামের এক লুইচ্চা বাস করিত। তাহার আসল নাম জনসম্মুক্ষে আনিতে চাহিতেছি না বিধায় “X-factor”-এর ‘লুইচ্চা মঈন’ বলিয়া অভিষিক্ত করিলাম। লুইচ্চা বলিবার পেছনে যে কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ নাই তাহা নহে।

বিস্তারিত»

অদ্ভুত আঁধার এক

১.

গরমটা যা জাকিয়ে পড়েছে এবার। বিশ্রি এক অনুভূতি সারাদিন। উফঃ দিনে কোথাও এক দন্ড বসে থাকার উপায় নেই, ঘামে গায়ের কাপড় ভিজে জব জব করে সারাক্ষন। রাত ৯টা। রোকেয়া হল, মেইন বিল্ডিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রাতের এই সময়টুকুতে বারান্দার রেলিং এ বসে রুমের ক্যাসেটে জোয়ান বায়েজ ছেড়ে অন্যরুমের সুখদুঃখে আড়ি পাতার মতো এক চিলতে আনন্দ ঢাকার আর কোথাও নেই।

বিস্তারিত»

অপু’র তিথি


[এই গল্পের কাহিনী পুরোপুরি কাল্পনিক নয়, কাজেই বাস্তবের কারও সাথে মিলে যাইতেই পারে। খেপে গিয়া আমারে গাইলায়েন না। আমার কিচ্ছু করার নাই] 😛 ;;;

অপুরা নতুন বাসায় উঠেছে খুব বেশিদিন হয়নি। নতুন জায়গা, নতুন বাসা, কাল থেকে নতুন স্কুল-সব মিলিয়ে যার-পর-নাই এক্সসাইটেড অপু। মূলতঃ অপুর বাবা খন্দকার সাহেবের কারণেই সেই টাঙ্গাঈল থেকে ট্রান্সফার হয়ে মানিকগঞ্জ আসা অপুদের। খন্দকার সাহেব বিরাট নীতিবান লোক।

বিস্তারিত»

নিঃশব্দ অনুভূতি

ত্রপাদের বাসাটা ছিলো ঠিক আমাদের গলির শেষ মাথা থেকে দ্বিতীয়টা। তখন আমার বয়স ছিলো তেরো কি চৌদ্দ যখন ওরা এইখানে প্রথম এসেছিলো। আমি বেশ ঘরকুনো ছিলাম তখন। বাসা থেকে বিশেষ একটা বের হতাম না। সেবার শীতে শ্বাসকষ্টটা বেশ ভালোভাবেই ভোগাচ্ছিলো। আম্মু তাই স্কুলে যেতে দিচ্ছিলেন না। আমারও বিশেষ একটা সমস্যা হচ্ছিলো না ঐ ঘরকুনো অভ্যাসটটার জন্য। সকালটা জানালার পাশে রোদে বসে বাসার নীচ দিয়ে ডাকতে ডাকতে যাওয়া ফেরিওয়ালাদের দেখেই কাটতো।

বিস্তারিত»

আলো অন্ধকারে যাই…

Between light and darkness

…We all carry these things inside that no one else can see.
They hold us down like anchors, they drown us out at sea…

না হয় আমি তুচ্ছ আর তুমি গুরুত্বপূর্ণ, তা বলে কি আমার হৃদয় নেই? হৃদয় কোথায় থাকে তা তো তুমিও জানো না। যদি বলো আমার হৃদয় নেই, তাহলে তোমারও হৃদয় নেই। তোমার কেবল একটা হৃৎপিণ্ড আছে যা খালি ধুকপুক ধুকপুক করে রক্ত পাম্প করছে;

বিস্তারিত»

দহন নিরবধি

অমাবশ্যা রাত। ঘুটঘুটে অন্ধকার। কখনো একটানা, কখনো থেমে থেমে শুধু ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। এদিকটায় লোকালয় কম, কিছুটা পথ দূরে স্টাফ কোয়ার্টার। একেবারে তিস্তার তীরে। রেস্ট হাউস আর তিস্তার মাঝে ঝাউবনে লিলুয়া বাতাস লুকোচুরি খেলে। সামনে কিছু ফলজ গাছ বেশ ডাগর হয়ে উঠেছে। একেকটা গাছের সামনে নামফলকে রোপনকারীর নাম এবং রোপনের তারিখ অবহেলায় সময়ের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে।

হুইস্কিটা একটু ধরলে দোতলার লাউঞ্জের ইজি চেয়ায়ে হেলান দেয়া অবস্থায় একটা ঢেকুর ওঠে খান সাহেবের।

বিস্তারিত»

মফস্বল সংবাদ

আমাদের এই ছোট্ট শহরে আমার মত যুবক বয়সী ছেলেপেলেদের আড্ডা দেওয়ার জায়গা আসলে তেমন একটা নেই। এই পাড়ার মুখে, ঐ পাড়ার চায়ের দোকানে কিংবা বালিকা স্কুলের রাস্তার উপর কালী মন্দিরের সামনে। এইসব জায়গায় অবশ্য বহু পোলাপাইন আড্ডা দেয় কিন্তু আমারা তেমন একটা জুত পাই না। আরে আড্ডা দিলে দিতে হয় দিল খুলে কিন্তু এইসব জায়গায় কি আর তার জো আছে? পাড়ার মুখে আড্ডা দিলে হাজারটা মুরব্বির সামনে পড়তে হয়।

বিস্তারিত»

নাম বিড়ম্বনা!

[লেখার প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক এবং লেখকের কল্পনা প্রসুত। কারো নাম বা কাহিনী তার ব্যাক্তিগত জীবনের সাথে মিলে গেলে তা কেবলই কাকতালীয় মাত্র]

১.
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিনত বয়সের প্রেম হয় বিপরীত লিঙ্গের কলিগদের মধ্যে, ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীরা করেন নিজেদের ক্লাশমেট বা দুই এক বছরের ব্যাবধানে নিজেদের গন্ডীরই কারও সাথে প্রেম, ক্লাশ নাইন টেন বা ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র ছাত্রীরা প্রেমে পড়ে পাড়ার হার্ট-থ্রব নায়ক বা পাড়ার নায়িকার।

বিস্তারিত»

(অ)মানবিক!!

১।

-ডক্টর আনিস! ডক্টর আনিস!

অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করার পর অবশেষে সোফি আনিসের ঘুম ভাঙ্গাতে সমর্থ হল। বেচারা গতকাল অনেক দেরি করে ঘুমিয়েছিল। সে কারনেই বোধহয় গভীর ঘুমে আচ্ছ্বন্ন হয়ে পড়েছিল।

-কি ব্যাপার সোফি? এত ডাকাডাকি করছ কেন? তুমি জান না আজ আমি ভার্সিটি যাব না, ছুটি নিয়েছি?
-মাফ করবেন, ডক্টর আনিস। আমি জানি আজ আপনি ছুটিতে আছেন। কিন্তু ডক্টর সোহরাব অনেকক্ষণ ধরে আপনার সাথে কথা বলতে চাইছিলেন।

বিস্তারিত»

দূরের নগরে দু’জন

“Our life always expresses the result of our dominant thoughts.”

– Søren Kierkegaard

সকালে উঠে মনে হয়েছিলো দিন খারাপ যাবে। নির্জলা দুপুরে ঘুঘু যেমন টেনে একঘেঁয়ে স্বরে ডাকতে থাকে সেভাবে মনের ভেতরে কোন্‌ এক পাখি মৃদু অথচ দীর্ঘ সময় ডেকে চললো – কুউউউ কুউউউ। সেই ডাকের তাল কাটাতে রাহাত খুব জোরে জোরে দাত মাজে। ব্রাশটা নতুন, তাই বেশি জোরে ঘষার কারণে মাড়িতে ব্যথা লাগলে থু করে থুতু ফেলে সে,

বিস্তারিত»

ইঁদুর মারার বিষ!

১।

শামীম এবং সূচীর বিয়ে হয়েছে প্রায় ছ’মাস হল। লাভ ম্যারেজ নয়, পারিবারিকভাবে সেটল্‌ড ম্যারেজ। বিয়ের পর তারা আলাদা বাসা নিয়ে বর্তমানে মোহাম্মদপুরে মোটামুটি ভাল মানের একটি ফ্ল্যাটে থাকে। আপাত দৃষ্টিতে এই দম্পত্তিকে সুখী মনে হলেও দুইজনের মধ্যে এখনো ঠিক সত্যিকারের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে নি। অথচ এমন নয় যে ছেলে হিসেবে শামীম কম যোগ্য বা অযোগ্য। বরং সে ব্যক্তিজীবন এবং কর্মজীবনে যথেষ্ট সফল।

বিস্তারিত»