বালিশে মাথা দিয়ে শুয়ে আছি। পাশে ফোন, সাইলেন্ট করা। বাতি জ্বলছে-নিভছে… ফোন আসছে। মানুষের চোখ ১৮০ ডিগ্রিতে না দেখলে হয়তো টের পেতাম না। কে ফোন করছে সেটা তুলে দেখতে ইচ্ছা করছে না, ভীষণ ক্লান্তি। অলসতায় পুরো শরীর চেপে ঠেসে আছে বিছানায়। তবু অনেক কষ্টে তুললাম – দেখি বাপ্পী ফোন করেছে। ধরার সাথে সাথে বলল: “ডুড্, কি করিস? কতক্ষণ ধরে ফোন করছি।”
“আমি ঘুমাই; মানে ঘুম থেকে উঠলাম আর কি।”
ছোটদি (৪)
[ মাঝে মাঝেই কিছু গল্প উপন্যাস পড়ে আমার খুব ইচ্ছে করে এর পরে কি হল কিংবা এই একই ঘটনা যদি অন্য কারো মুখ থেকে আসত তাহলে কি হত। আমার সাথে যদি লেখকদের চেনা জানা থাকত তাহলে আমি খুব অনুরোধ করতাম তাদের এই থিম নিয়ে লেখার জন্য। অনেকদিন ধরে মনে হচ্ছে নিমাই এর মেমসাহেব উপন্যাস (আমার খুবই প্রিয় একটা বই ) এর কথা। মনে হচ্ছিল সেখানে মেমসাহেবের ছোটভাই খোকন এর একটা গল্প বুঝি লুকিয়ে আছে।
বিস্তারিত»ভালো মেয়ে
শান্ত স্নিগ্ধ সকাল। শহুরে কর্মব্যাস্ততা সবে মাত্র ছুই ছুই করছে জনজীবনকে। বিয়ের ৮ বছরের মাথায় এসে আজ হঠাত উপলব্ধি করল এই সকালটা যেন তার জন্যেই। তারিখটা মনে করার চেষ্টা করল, কোন বিশেষ দিন না তো! নাহ! তবে এমন মনে হবার কারণ কি হতে পারে? এতো ভাবাভাবির সময় নেই, হাতে একগাদা কাজ। নাস্তায় আজ আবার উনি সুজির হালুয়া আর পরটা খাবার সাধ করেছেন! মেয়েটাও রোজ রোজ একই টিফিন নিয়ে যেতে চায় না।
বিস্তারিত»রাত পোহানোর আগে
রাত মনে হয় আটটা পার হয়ে গেছে । তবে এখানে থেকে বোঝার উপায় নেই কয়টা বাজে । কারণ আশে পাশে কোন আলো নাই । চারদিকে অন্ধকার, চুপচাপ । সাড়াশব্দ নেই কোথাও । দরজাটা লাগানো । একদম নিথর একটা পরিবেশ । আমার একটু ভয় করতে থাকে । তবে কেন সে ভয় করতে থাকে তা আমি বলতে পারব না ।
অনেকক্ষণ ধরে ভাবলাম কেন আমার ভয় পাচ্ছে ?
বিস্তারিত»তুমি আমার নও
বাড়ী থেকে বেড়িয়ে জোরে একটা দৌড় দিয়েও বাসটা ধরতে পারলোনা ইমরোজ। আরো ৫০ গজ বাকী থাকতেই বুঝলো লাল-সাদা রঙের ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা গড়ীটা তার গতি পেয়ে গেছে। থেমে গেলো ইমরোজ । তাকিয়ে দেখলো দুটো গেটেই সবাই বাদুড়ের মত ঝুলছে। বাসটা ধরতে পারলেও তাতে উঠতে পারতো বলে মনে হয়না। ইমরোজ বাস ধরতে না পারলেও ঠেলা-ঠেলি করে, দাঙ্গা করে উঠতে তার ভালো লাগেনা। সবাইকে ধাক্কা দিয়ে উঠে যাবার মত শক্তি তার আছে।
বিস্তারিত»মডেল বিষয়ক অক্ষমতা আর তার পেছনের গল্প…
প্রশ্নটা করে উনি বেশ খানিকটা সময় একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে, কেমন একটা কৌতুকমাখা নাকি ব্যঙ্গাত্মক এবং প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে, ঠিক বুঝে উঠতে না পারার আগেই স্বতস্ফূর্তভাবেই জবাবটা বেরিয়ে এল মুখ দিয়ে, “যদি আমি রাজি হই?”, ফিক করে হেসে ফেললেন উনি। আর মূহুর্তের মধ্যেই বদলে ফেললেন মুখে ধরে রাখা কোমলতার ছাপটা, আমি কি বুঝতে পারছি, উনার উত্তরটা ঠিক কি আসছে এক্ষুণি??…
উনার সাথে পরিচয় বোধহয় মিনিট দশেকেরও হবেনা।
বিস্তারিত»অরন্যের একটি দিন এবং একটি রাত্রি – ৩
৩
শুভ’র হার্ড ব্রেকে একটা ঝাকুনী দিয়ে ফিল্ডারটি মূহূর্তেই থেমে যাবে।
(ক্লোজ শট)কিছুক্ষণ নিথর থেকে মনে মনে হিসাব কষে নিবে শুভ।
তারপর গাড়িটি রিভার্স গিয়ারে ফেলে পিছাতে শুরু করবে। সারাদিনের চিত্ত বিনোদন নিমিষেই উবে গিয়ে ভর করবে আঁধারে আবৃত অশনী সংকেত।
(হাল্কা জুম আউট ) এতক্ষণে গাড়ির বাকিরাও নড়ে চড়ে উঠবে।
পেছন থেকে স্নেহা (শুভ পত্নী) শুধালো, “কি হয়েছে ?
চৌত্রিশের প্রথম আনুষ্ঠানিক জামাই-কেচ্ছা
মাসখানেক আগে আমার সাবেক রুমমেট আমাকে একদিন ফোন করে বলে: বন্ধু, ঈদের তৃতীয় দিন আমার বিয়ে। চলে আসিস। আমি তো বলা যায় আকাশ থেকেই পড়লাম। সাধারণত বিয়ের মাসতিনেক আগে থেকে বেশ কানাঘুষা শোনা যায়, এর বেলায় সেগুলির কোনো বালাই নেই। আমি জিজ্ঞেস করলাম: কে রে? সেই জন যাকে দেখেছিলুম? উত্তর পেয়ে আশ্বস্ত হলাম।
আফটার অল, আমাদের প্রথম কারোর এরকম ঘটা করে বিবাহ, তাই আমি নিজেকে কোনোভাবেই চুপ রাখলাম না।
বিস্তারিত»অরন্যের একটি দিন এবং একটি রাত্রি – ২
২
ব্যাকগ্রাউন্ডে তখনও বাজছে –
Hooray! Hooray! It’s A Holi-Holiday
what a world of fun for everyone, holi-holiday
Hooray! Hooray! It’s A Holi-Holiday
ফ্রেমে একে একে ভেসে উঠছে রিসোর্টটির লোকেশন।
সবুজ ঘাসে উপর হরিন হেঁটে বেড়াচ্ছে – পাশে সুইমিং পুল।
কৃত্রিম লেকে বোট রাইডিং – ঝিরি ঝিরি বাতাসে গাছের পাতা গুলো দুলছে…
সব মিলিয়ে খুবই প্রানবন্ত একটি বিকেল।
গুরুকে জুতা মেরে তারপর গরু দান
লাউফুল চৌধুরী । একে তো লাউগাছের ফুল তারসাথে আবার চৌধুরী। নামটা নিয়ে সুযোগ পেলেই রসিকতায় মেতে ওঠে ছাত্ররা। নতুনদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে বলা হয়, নামটা শুনে সুন্দরের যত সুবাস পাওয়া যায় নামটা আসলে ততই দূর্গন্ধ ছড়ায়। পোলাপান আড়ালে আবডালে কেউ ডাকে খ্যাক, কেউ ডাকে খ্যাত ।
তিনি আবার শিক্ষক মানুষ। সে সুবাদে স্যার শব্দটাও যোগ হয়েছে সাথে। ইশকুলে তার নাম হয়েছে খ্যাক সাহেব,
বিস্তারিত»মেডিকেল সায়েন্স ফিকশনঃ নাথিং গন ইউসলেস
সায়েন্স ফিকশন মানেই কি রোবট, ইলেকট্রনিক্স, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি …ইত্যাদি…ইত্যাদি? মেডিকেল সায়েন্স নিয়েও ফিকশন হতে পারে। বিশ্বাস না হলে পড়ে দেখেন……]
কার্ডিন-এর শরীরটা গত কয়দিন ধরে খুব খারাপ যাচ্ছে। এমনিতেই সারাদিন-রাত একটানা কাজ করে যেতে হয়, বিশ্রাম নেয়ার এতটুকু সময় পর্যন্ত নেই। তার উপর এখন আবার শরীরটাও খারাপ হওয়া শুরু করলো। আর বিশ্রাম নেবেই বা কেমন করে? ওর উপরে ভরসা করেই তো বেঁচে আছে পুরো রাজ্যটার প্রতিটা নাগরিক।
বিস্তারিত»অপূর্ণ শেষ ইচ্ছা
বাইরে সুন্দর একটি আলো আলো দিন। ঠান্ডাও না, আবার গরমও না। আসিফ সাধারনত অফিস থেকে দেরীতে ফেরে। আগে ফিরেও বা কি করবে। অফিসের অন্যরা প্রায় সবাই চলে গেছে তখন। একা অফিসে থাকতে ভালই লাগে আসিফের। জালনা দিয়ে বাইরের দূর পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে ভাল লাগে। অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায় তার চার তলার অফিস থেকে। এই দিকেই তার ফেলে আসা জন্মভূমি, তবে অত দূর দেখা যায়না।
বিস্তারিত»নিসান-এর 1st Prof. উইথ Buul-X
[মেডিকেল কলেজের Professional Exam-এর আগের রাত্রির বিভিষীকাময় মুহূর্তগুলোর কথা মনে করলে ভয়ে আজও আত্মা শুকিয়ে যেতে চায়। অন্যান্য ফ্যাকাল্টির কথা জানি না, তবে আমার বিশ্বাস তাদেরও same অবস্থা হয়। সেই ভীতিময় রাত্রি নিয়ে সায়েন্স ফিকশন ধাঁচের Prof ফিকশন– নিসানের 1st Prof…..]
ঘুটঘুটে অন্ধকার রুমটা।
শেষের মাথার দিকে ছোট্ট একটা যন্ত্র থেকে নিয়নের মিহি আলোর একটা রেখা বের হচ্ছে।
অরন্যের একটি দিন এবং একটি রাত্রি – ১
১
জুম শটে এক রাশ ধূলা জমে উঠবে ফ্রেমে।
পরের ফ্রেমেই চলে আসবে – রাস্তায় ঝাড়ু দিচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের এর ঝাড়ুদার।
জুম আউট করে খালি রাস্তা – আইল্যান্ড ছুয়ে ক্যামেরা ডান দিকে প্যান করে একটি বাড়ির গেটের সামনে এসে স্থির হবে।
গেটের বাম পাশে শ্বেত পাথরে লেখা – বাড়ী নং ২৬৯ / রোড নং ৪।
তারপর ধীরে শর্ট অ্যাঙ্গেলে পিছনের সাদা দেয়ালে বেয়ে দোতলার জানালা।
শহুরে অন্ধকারের বিপরীতে
এই স্যাঁতসেঁতে কুৎসিত গলিটাকে আমি ঘৃণা করি ভীষণরকম।
প্রতি সন্ধ্যায় একেকটা ক্লান্তিকর দিনশেষে আমি যখন আমার ফ্ল্যাট নামক কবুতরের খোপে ফিরে আসি, আমাকে এই অন্ধকার গলিটা পার করে যেতে হয়। প্রশ্ন উঠতে পারে এই গলিটার বিশেষত্ব কি? আমি উত্তর দেব এইভাবে,
দুর্গন্ধময়, কর্কশ, অন্ধকার এই শহরের প্রায় সমস্ত কদর্যতার খানিক প্রতিনিধিত্ব করা এই সংকীর্ণ রাস্তাটা আশ্রয় দ্যায় একজন অনিয়মিত ভিক্ষুক, দুটো উপচে পড়া ডাস্টবিন,
বিস্তারিত»