আজকাল খুব ব্যস্ত পড়াশোনা আর থিসিস নিয়ে। কাজ করতে অনেক রাত হয়ে যাই সকাল ঘুম থেকে উঠে আবার পুরান গৎবাধা জীবন।আমি এখন সবার থেকে দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করি সবার থেকে কারণটা হল আমার একটা দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে গেছে সেটা হল আমার প্রিয় জিনিষ গুলো আমার কাছ থেকে কেন জানি দূরে সরে যাই হাজার চেষ্টা করেও আমি আমার কাছে নিজের করে রাখতে পারিনা।তাই অজানা ভয়ে প্রিয় মানুষ গুলোর কাছ থেকে দূরে দুরে থাকার চেষ্টা আমাকে করতে হয়।
বিস্তারিত»“একটা চিঠি” ……(বাবা-মায়ের লেখা, যা পোস্ট করা হয়নি)……….
প্রিয় সন্তান,
…………
আমি যখন বার্ধক্য উপনীত হবো…।আমি আশা করবো.. “তুমি আমাকে বুঝবে এবং আমার সাথে ধৈর্যশীল হবে”
ধরো আমি যদি হঠাৎ থালা ভেঙ্গে ফেলি,অথবা টেবিলে স্যুপ ফেলে নষ্ট করি…..
কারণ আমি আমার দৃষ্টিশক্তি হরিয়ে ফেলছি….। আশা করি তুমি আমার প্রতি চিৎকার করবে না।
বয়স্ক মানুষ খুব স্পর্শকাতর….……
তুমি যখন চিৎকার করে কথা বলো তখন তারা নিজের কাছে খুব ছোট হয়ে যায় ,
কোন আশ্রয় নেই বলেই … ..
ছুটি দেখতে দেখতে একেবারে শেষপ্রান্তে এসে গেল। ব্লগ লেখাই হলো না। এর মাঝে মনে পড়ে গেল গত সপ্তাহের কথা। অন্যরকম দিনগুলোর স্মৃতিময়তায় লেখা এই স্মৃতিকথা…
দ্বিতীয় পর্বের সবচেয়ে বড় এক্সারসাইজ ছিল লৌহকপাট। আর এখন তৃতীয় পর্বের প্রথম বড় এক্সারসাইজ রণগতি। এটার কষ্ট একটু বেশী যে হাঁটতে হয় অনেকটুকু পথ।
“দেখতে দেখতে লৌহকপাট থেকে রণগতি। আজ লেখার এই সময়টা চমকপ্রদ। সেবার পুরো একটা নোটবুক লিখেছিলাম ট্রেঞ্চ এ বসে।
বিস্তারিত»“ভিনগ্রহের জাতি ও আপনার করণীয়”
************
একটা Geek Website -এ এই অদ্ভুত আর্টিকেলটা পাইলাম। প্রথমে পড়তে অনেক ফালতু লাগলেও পরে দেখলাম যে কত জটিল কিছু point এই লেখাটায় উঠে এসেছে। কষ্ট করে পুরোটুকু পড়লে বোঝা যাবে কি বলতে চাচ্ছি। ইংরেজী থেকে অনুবাদিত। খানিকটা ‘বাংলা কালচারায়িত’।
************
আসুন, মনে করি,
যে, কোন কারণেই হোক, আপনি মানব ইতিহাসে প্রথম ব্যাক্তি যার সাথে ভিনগ্রহের কেউ (সহজ বাংলায় alien) সরাসরি যোগাযোগ করেছে।
বিস্তারিত»একটি ছোট গল্প
কোন বিতর্ক সৃষ্টি নয়, just ভাল লাগলো, তাই শেয়ার করলাম।আশা করি ভাল লাগবে
মিথ্যা তুমি দশ পিপড়া।
শাহাদুজ্জামান
যুবকের তিনটি চিঠি আমদের হাতে। প্রথম চিঠিটি তার মায়ের কাছে। সম্ভবত তখন প্রশিক্ষনের সবেমাত্র শুরু। যুবকের বিহ্বলতা।
মা/
তোমাকে সশস্ত্র সালাম। এখানে এসে এই নতুন রকমে সালাম দেওয়া বেশ কায়দা করে শিখছি। সকাল বিকাল মাথা উচু ,শিরদাড়া সোজা আর সিনা টান করে কুচকাওয়াজ করে চলেছি।
বিস্তারিত»তোমার জন্য, প্রেমা
প্রেমা,
আজ তোমাকে খুব খুব মনে পড়ছে। কেমন আছো? নিশ্চয়ই ভালো, কারণ শেষবার যখন তোমাকে দেখি, খুব সুখীই লাগছিলো। ভুলে গেছো, না! আসলে এটাই স্বাভাবিক। জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না। তোমার বা আমার, কারোরই নয়।
জানো, আজ খুব বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিকে আমি বলতাম “রোমান্টিক বৃষ্টি”। বর্ষার এই দিনগুলো তোমার সাথে ব্যালকনিতে বসে থাকতে কি যে ভালো লাগতো! মনে আছে তোমার,
বিস্তারিত»অবচেতন মনের অসচেতন প্রার্থনা …
পড়ে আছে বাবা, মাথার ক্ষত দিয়ে রক্ত গড়িয়ে ভাসিয়ে দিচ্ছে মেঝে। ক্ষতটা ডানহাতে চেপে ধরে বাবার নিথর দেহটা কোলে নিয়ে বসল সামী। বাবাকে হত্যা’র দায় কাঁধে নিয়ে …
বাবা মা কে সামী কখনই কম ভালবাসেনি, বাসেও না। তাদের কষ্টের সময়ে, অসুস্থতার সময়ে রাতের পর রাত মাথার পাশে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেছে, আদর্শ সন্তানের মত সামলে নিয়েছে সব। অথচ সেই সামী’রই ইদানিং আর বাবাকে, মাকে সময় দেয়ার মত সময় হয়না ।
বিস্তারিত»অপত্য
নার্স এসে যখন কাপড়ের পুঁটলিতে মোড়ানো ছেলেটাকে দিয়ে গেল তাসলিমের কোলে, ওর বিশ্বাসই হচ্ছিল না বাবা হয়ে গেছে সে এখন। কাপড় সরিয়ে ছেলের মুখের দিকে তাকাল তাসলিম, ঘুমন্ত ছোট একটা মুখ। পাশ থেকে মা বললেন, একদম তোর মতো হয়েছে। তাসলিম অবশ্য কোন মিল খুঁজে পেল না। আনমনে ছেলের মুখ থেকে চোখ না সরিয়েই বলল, হুঁ।
এরপরের কয়টা দিন যে কিভাবে কেটে গেল বুঝতেই পারেনি তাসলিম।
বিস্তারিত»স্মৃতির শোকেস
২য় বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষার সময় আমার পাশে একটা সিট সবসময় খালি থাকতো। পরীক্ষার্থীর নাম ছিল নীলিমা আচার্য।
মনে পড়ল সেই পরীক্ষারই মাত্র দু’বছর আগে প্রথম যখন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্লাসে ঢুকছিলাম তখন খুব হতাশ হয়েছিলাম, কারণ ক্লাসে ঢুকেই দেখি মাত্র ৪ জন মেয়ে। চামড়ার রঙ দেখে মনে হলো এর মাঝে দু’জন ইউরোপীয়,একজন আফ্রিকান আর একজন আমাদের উপমহাদেশের। স্বল্পবসনা দুই ইউরোপীয় ললনার মাঝে একটা সীট ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও গিয়ে বসলাম পিছনে।
বিস্তারিত»২৯ সমগ্র
যেহেতু আজ ক্লাস ছিল না,তাই একটু আগে ঘুম থেকে উঠলাম। ঘুম থেকে উঠেই ক্যাডেট কলেজের কথা মনে পড়ে গেল। মনে পড়ে গেল বিভিন্ন সময়ে এক একজনের মুখ থেকে বের হয়া ডায়ালগ গুলো আর মজার মজার সব ঘটনা গুলো। আর তাই শেয়ার করতেই ব্রাশ না করেই ল্যাপটপ নিয়া বসা।
১…আমরা যখন ক্লাস সেভেনে,তখন আমাদের জেপি ভাইয়ার টানটান করে মশারি টাঙ্গানো নিয়া কালজয়ী ডায়ালগ,”পিটি শু থ্রো করলে যাতে আমার কাসে ব্যাক করে”।
বিস্তারিত»সহকবর
১.
আমার রুগ্ন, শীর্ণকায় দেহাংশ, আমার বা-পাখানা আজ পারিবারিক কবরস্থানে কবরস্থ করে এলেন বাবা। ফিরে এসে কেমন যেন অপরাধীর মত আমার দিকে তাকালেন। যেন দোষটা তারই। দোষ কি আর তার, দোষ তো আমার ভাগ্যের।
আমার বা-পায়ের ফুটবল কিক আমাদের এলাকা বিখ্যাত ছিল। সবাই বলত, অর্ণব, তোমার বা-পায়ের শটের জুড়ি নেই। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি ছিল আমার তীব্র ঝোঁক। মায়ের নিষেধ, বাবার চোখ রাঙানো,
বিস্তারিত»অবাক জিজ্ঞাসা…
(প্রারম্ভিকাঃ ক্যাডেট কলেজ ব্লগ এর নীরব পাঠক প্রায় এর জন্মলগ্ন থেকেই। কিন্তু কখনও মাঠে নামার সাহস অর্জন করতে পারিনি। কলেজে যাদের বাংলা লেখার প্রশংসা শুনতে শুনতে বড় হয়েছি, তাদেরকে এই ব্লগে লিখতে দেখে নিজেকে পাঠক হিসেবেই শ্রেয় ভাবতাম, কিন্তু যখন দেখলাম, দুলাভাই এর প্রশয়ে আমার নন-ক্যাডেট বোনও পুরোদস্তুর লেখক, তখন আর আত্মসংবরণ করতে পারলাম না। কলেজের শেষের দিকের লেখা কিছু বাক্যসম্ভার দিয়েই যাত্রা শুরু করলাম।
বিস্তারিত»বিক্রির জন্য
অবশেষে রব মিয়া বাজারে একটা ভাল জায়গা খুঁজে পেলেন।নিজের কাঁধ থেকে ব্যাগটা নামিয়ে ভিতরে তাকিয়ে দেখলেন, না কাগজ দুইটা ঠিক আছে।কাগজ দুইটা হাতে নিতেই তার চোখ ঝাপসা হয়ে এলো।
“কাজটা কি ভাল হচ্ছে?” নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করলেন।
হঠাৎ করে অতীত তার মনে উজ্জ্বল হয়ে উঠল………………….
কলেজ থেকে বের হয়েই গ্রামের স্কুলে শিক্ষক হয়ে গেল গ্রামের তাগড়া জোয়ান রব।বাবার ইচ্ছায় বিয়েও করলেন গ্রামের মেয়ে সোহাগীকে।
অধরা ভালোবাসার কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অণুগল্প অথবা একটি গাঁজাখুরি গল্প
একে একে পাঁচজন উঠে যাই শহীদ ভাইয়ের বাসার ছাদে। এই ছাদটির প্রতি এক ধরণের দুর্বলতা আমাদের সবার মাঝেই যে আছে সেটা বেশ বুঝা যায়। আকাশে জোছনার বৃষ্টি ছড়িয়ে তীব্র চাঁদের স্নিগ্ধ খোমার উপরে ধোঁয়াটে কুয়াশা এক ধরণের রহস্যময় বিষণ্ণতা তৈরি করেছে। একে একে পাঁচজন বসে যাই জায়গা মত। নেশার আহবানে সাড়া দেয়া পাঁচ জোড়া নেশাতুর চোখ ঢুলুঢুলু হয়ে জেগে থাকে বিষণ্ণ কুয়াশার নিচে। ধোঁয়াটে কুয়াশার নিচে খুব আস্তে আস্তে ক্রমে ছড়িয়ে পরে আমাদের ঝাঁঝালো গাঁজার ধোঁয়া।
বিস্তারিত»স্নো টার্নড ইনটু রেইন
হঠাত করেই দেখা হয়ে গেলো বন্যা র সাথে ।
জব শেষে বাসায় ফিরেই মেজাজটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল, কারন রান্না করার জন্য কুকার জ্বালাতে গিয়ে লাইটার খুঁজে পাচ্ছিলাম না। বাইরে কয়েকদিন ধরে একটানা তুষার পড়ছে। তুষার থামলেই আবার শুরু হয় বৃষ্টি।অদ্ভূত আবহাওয়া এই দেশের, দু’বছরে ও এই দেশের আবহাওয়ার সাথে এতটুকু মিলাতে পারিনি।সারাদিনের ক্লান্তি আর পেটে ক্ষুধা। বার্থা স্ট্রীটের শেষ মাখায় নতুন একটা পিজা শপ খুলেছে,
বিস্তারিত»