তোমার জন্য, প্রেমা

প্রেমা,

আজ তোমাকে খুব খুব মনে পড়ছে। কেমন আছো? নিশ্চয়ই ভালো, কারণ শেষবার যখন তোমাকে দেখি, খুব সুখীই লাগছিলো। ভুলে গেছো, না! আসলে এটাই স্বাভাবিক। জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না। তোমার বা আমার, কারোরই নয়।

জানো, আজ খুব বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিকে আমি বলতাম “রোমান্টিক বৃষ্টি”। বর্ষার এই দিনগুলো তোমার সাথে ব্যালকনিতে বসে থাকতে কি যে ভালো লাগতো! মনে আছে তোমার,

বিস্তারিত»

অবচেতন মনের অসচেতন প্রার্থনা …

পড়ে আছে বাবা, মাথার ক্ষত দিয়ে রক্ত গড়িয়ে ভাসিয়ে দিচ্ছে মেঝে। ক্ষতটা ডানহাতে চেপে ধরে বাবার নিথর দেহটা কোলে নিয়ে বসল সামী। বাবাকে হত্যা’র দায় কাঁধে নিয়ে …

বাবা মা কে সামী কখনই কম ভালবাসেনি, বাসেও না। তাদের কষ্টের সময়ে, অসুস্থতার সময়ে রাতের পর রাত মাথার পাশে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেছে, আদর্শ সন্তানের মত সামলে নিয়েছে সব। অথচ সেই সামী’রই ইদানিং আর বাবাকে, মাকে সময় দেয়ার মত সময় হয়না ।

বিস্তারিত»

অপত্য

নার্স এসে যখন কাপড়ের পুঁটলিতে মোড়ানো ছেলেটাকে দিয়ে গেল তাসলিমের কোলে, ওর বিশ্বাসই হচ্ছিল না বাবা হয়ে গেছে সে এখন। কাপড় সরিয়ে ছেলের মুখের দিকে তাকাল তাসলিম, ঘুমন্ত ছোট একটা মুখ। পাশ থেকে মা বললেন, একদম তোর মতো হয়েছে। তাসলিম অবশ্য কোন মিল খুঁজে পেল না। আনমনে ছেলের মুখ থেকে চোখ না সরিয়েই বলল, হুঁ।

এরপরের কয়টা দিন যে কিভাবে কেটে গেল বুঝতেই পারেনি তাসলিম।

বিস্তারিত»

স্মৃতির শোকেস

২য় বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষার সময় আমার পাশে একটা সিট সবসময় খালি থাকতো। পরীক্ষার্থীর নাম ছিল নীলিমা আচার্য।

মনে পড়ল সেই পরীক্ষারই মাত্র দু’বছর আগে প্রথম যখন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্লাসে ঢুকছিলাম তখন খুব হতাশ হয়েছিলাম, কারণ ক্লাসে ঢুকেই দেখি মাত্র ৪ জন মেয়ে। চামড়ার রঙ দেখে মনে হলো এর মাঝে দু’জন ইউরোপীয়,একজন আফ্রিকান আর একজন আমাদের উপমহাদেশের। স্বল্পবসনা দুই ইউরোপীয় ললনার মাঝে একটা সীট ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও গিয়ে বসলাম পিছনে।

বিস্তারিত»

২৯ সমগ্র

যেহেতু আজ ক্লাস ছিল না,তাই একটু আগে ঘুম থেকে উঠলাম। ঘুম থেকে উঠেই ক্যাডেট কলেজের কথা মনে পড়ে গেল। মনে পড়ে গেল বিভিন্ন সময়ে এক একজনের মুখ থেকে বের হয়া ডায়ালগ গুলো আর মজার মজার সব ঘটনা গুলো। আর তাই শেয়ার করতেই ব্রাশ না করেই ল্যাপটপ নিয়া বসা।

১…আমরা যখন ক্লাস সেভেনে,তখন আমাদের জেপি ভাইয়ার টানটান করে মশারি টাঙ্গানো নিয়া কালজয়ী ডায়ালগ,”পিটি শু  থ্রো করলে যাতে আমার কাসে ব্যাক করে”।

বিস্তারিত»

সহকবর

১.
আমার রুগ্ন, শীর্ণকায় দেহাংশ, আমার বা-পাখানা আজ পারিবারিক কবরস্থানে কবরস্থ করে এলেন বাবা। ফিরে এসে কেমন যেন অপরাধীর মত আমার দিকে তাকালেন। যেন দোষটা তারই। দোষ কি আর তার, দোষ তো আমার ভাগ্যের।

আমার বা-পায়ের ফুটবল কিক আমাদের এলাকা বিখ্যাত ছিল। সবাই বলত, অর্ণব, তোমার বা-পায়ের শটের জুড়ি নেই। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি ছিল আমার তীব্র ঝোঁক। মায়ের নিষেধ, বাবার চোখ রাঙানো,

বিস্তারিত»

অবাক জিজ্ঞাসা…

(প্রারম্ভিকাঃ ক্যাডেট কলেজ ব্লগ এর নীরব পাঠক প্রায় এর জন্মলগ্ন থেকেই। কিন্তু কখনও মাঠে নামার সাহস অর্জন করতে পারিনি। কলেজে যাদের বাংলা লেখার প্রশংসা শুনতে শুনতে বড় হয়েছি, তাদেরকে এই ব্লগে লিখতে দেখে নিজেকে পাঠক হিসেবেই শ্রেয় ভাবতাম, কিন্তু যখন দেখলাম, দুলাভাই এর প্রশয়ে আমার নন-ক্যাডেট বোনও পুরোদস্তুর লেখক, তখন আর আত্মসংবরণ করতে পারলাম না। কলেজের শেষের দিকের লেখা কিছু বাক্যসম্ভার দিয়েই যাত্রা শুরু করলাম।

বিস্তারিত»

বিক্রির জন্য

অবশেষে রব মিয়া বাজারে একটা ভাল জায়গা খুঁজে পেলেন।নিজের  কাঁধ থেকে ব্যাগটা নামিয়ে ভিতরে তাকিয়ে দেখলেন, না কাগজ দুইটা ঠিক আছে।কাগজ দুইটা হাতে নিতেই তার চোখ ঝাপসা হয়ে এলো।
“কাজটা কি ভাল হচ্ছে?” নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করলেন।
হঠাৎ করে অতীত তার মনে উজ্জ্বল হয়ে উঠল………………….
কলেজ থেকে বের হয়েই গ্রামের স্কুলে শিক্ষক হয়ে গেল গ্রামের তাগড়া জোয়ান রব।বাবার ইচ্ছায় বিয়েও করলেন গ্রামের মেয়ে সোহাগীকে।

বিস্তারিত»

অধরা ভালোবাসার কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অণুগল্প অথবা একটি গাঁজাখুরি গল্প

একে একে পাঁচজন উঠে যাই শহীদ ভাইয়ের বাসার ছাদে। এই ছাদটির প্রতি এক ধরণের দুর্বলতা আমাদের সবার মাঝেই যে আছে সেটা বেশ বুঝা যায়। আকাশে জোছনার বৃষ্টি ছড়িয়ে তীব্র চাঁদের স্নিগ্ধ খোমার উপরে ধোঁয়াটে কুয়াশা এক ধরণের রহস্যময় বিষণ্ণতা তৈরি করেছে। একে একে পাঁচজন বসে যাই জায়গা মত। নেশার আহবানে সাড়া দেয়া পাঁচ জোড়া নেশাতুর চোখ ঢুলুঢুলু হয়ে জেগে থাকে বিষণ্ণ কুয়াশার নিচে। ধোঁয়াটে কুয়াশার নিচে খুব আস্তে আস্তে ক্রমে ছড়িয়ে পরে আমাদের ঝাঁঝালো গাঁজার ধোঁয়া।

বিস্তারিত»

স্নো টার্নড ইনটু রেইন

হঠাত করেই দেখা হয়ে গেলো বন্যা র সাথে ।

জব শেষে বাসায় ফিরেই মেজাজটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল, কারন রান্না করার জন্য কুকার জ্বালাতে গিয়ে লাইটার খুঁজে পাচ্ছিলাম না। বাইরে কয়েকদিন ধরে একটানা তুষার পড়ছে। তুষার থামলেই আবার শুরু হয় বৃষ্টি।অদ্ভূত আবহাওয়া এই দেশের, দু’বছরে ও এই দেশের আবহাওয়ার সাথে এতটুকু মিলাতে পারিনি।সারাদিনের ক্লান্তি আর পেটে ক্ষুধা। বার্থা স্ট্রীটের শেষ মাখায় নতুন একটা পিজা শপ খুলেছে,

বিস্তারিত»

নিঃস্বার্থ ভালবাসা

১.

গ্রামের মেঠো পথ। খালের উপর বাঁশের সাকো। আলো আর কৌশিক হাত ধরে পার হল। পার হয়ে খালের পাড়ে সবুজ ঘসের উপর বসলো তারা। যেন কত দিনের চেনা! আসলে বাস্তবটা সেরকম না।

পরিচয় মাত্র ১৩/১৪ দিনের হবে হয়ত। আলো এই এলাকার মেয়ে নয়। বেরাতে এসেছে তার খালার বাসায়। আর কৌশিক আলোর ছোট খালাত বোনের টিউটর। পড়াতে গিয়েই পরিচয়। সেদিন পড়াচ্ছিল কৌশিক।

বিস্তারিত»

রহমত আলির সাথে পাঁচ মিনিট

প্রায় অন্ধকার কক্ষ। আলো বলতে শুধু জানালা থেকে আসা বিকেলের রোদ। বিছানায় দেখা যাচ্ছে একজন নব্যবৃদ্ধিপ্রাপ্ত মেদবিশিষ্ট চল্লিশোর্ধ পুরুষকে। তার শরীর থেকে নেমে আসা ঘাম মৃদু আলোতেও দেখতে কষ্ট হয় না, মাথার উপরে ফ্যান সর্বশক্তি নিয়ে ঘুরছে। একই সাথে তার হাতে একটা পাখাও দেখা যাচ্ছে, সম্ভবত তিনি ফ্যানের পরিচর্যায় সন্তুষ্ট নন। পরনের পাঞ্জাবিটা ঘামে পুরোপুরি ভেজা, অন্যহাতে লুঙ্গি ধরে আছেন। মাথায় টুপি আছে এখনো। খাটের উপর বসে আছেন তিনি,

বিস্তারিত»

মস্তিষ্কে ক্যামিকাল ল্যিচ

বালিশে মাথা দিয়ে শুয়ে আছি। পাশে ফোন, সাইলেন্ট করা। বাতি জ্বলছে-নিভছে… ফোন আসছে। মানুষের চোখ ১৮০ ডিগ্রিতে না দেখলে হয়তো টের পেতাম না। কে ফোন করছে সেটা তুলে দেখতে ইচ্ছা করছে না, ভীষণ ক্লান্তি। অলসতায় পুরো শরীর চেপে ঠেসে আছে বিছানায়। তবু অনেক কষ্টে তুললাম – দেখি বাপ্পী ফোন করেছে। ধরার সাথে সাথে বলল: “ডুড্, কি করিস? কতক্ষণ ধরে ফোন করছি।”
“আমি ঘুমাই; মানে ঘুম থেকে উঠলাম আর কি।”

বিস্তারিত»

ছোটদি (৪)

[ মাঝে মাঝেই কিছু গল্প উপন্যাস পড়ে আমার খুব ইচ্ছে করে এর পরে কি হল কিংবা এই একই ঘটনা যদি অন্য কারো মুখ থেকে আসত তাহলে কি হত। আমার সাথে যদি লেখকদের চেনা জানা থাকত তাহলে আমি খুব অনুরোধ করতাম তাদের এই থিম নিয়ে লেখার জন্য। অনেকদিন ধরে মনে হচ্ছে নিমাই এর মেমসাহেব উপন্যাস (আমার খুবই প্রিয় একটা বই ) এর কথা। মনে হচ্ছিল সেখানে মেমসাহেবের ছোটভাই খোকন এর একটা গল্প বুঝি লুকিয়ে আছে।

বিস্তারিত»

ভালো মেয়ে

শান্ত স্নিগ্ধ সকাল। শহুরে কর্মব্যাস্ততা সবে মাত্র ছুই ছুই করছে জনজীবনকে। বিয়ের ৮ বছরের মাথায় এসে আজ হঠাত উপলব্ধি করল এই সকালটা যেন তার জন্যেই। তারিখটা মনে করার চেষ্টা করল, কোন বিশেষ দিন না তো! নাহ! তবে এমন মনে হবার কারণ কি হতে পারে? এতো ভাবাভাবির সময় নেই, হাতে একগাদা কাজ। নাস্তায় আজ আবার উনি সুজির হালুয়া আর পরটা খাবার সাধ করেছেন! মেয়েটাও রোজ রোজ একই টিফিন নিয়ে যেতে চায় না।

বিস্তারিত»