কিছু কথা থাকে যা কখনো বলা হয়না । সেই অবাক্ত কিছু কথা বলার ইচ্ছা নিয়েই আজকের এই লেখা । মাঝে মাঝে ভাবি যে কথাগুলো বলার জন্য এত ভনিতা,এত সঙ্কোচ তা কি আদৌ বলা ঠিক হচ্ছে ? সে যাই হোক আজকে আমি আমার সামনে ঘটে যাওয়া এক গল্প শোনাব।যে গল্পে কষ্ট আছে,যাতনা আছে,ভালবাসা আছে,কিন্তু তার মুল্যায়ন নেই।
একটা ছেলে,ধরে নেই তার নাম আকাশ । জীবনের বারোটা বসন্ত পার করে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হলো।তার সঙ্গী হলো কিছু রঙ্গিন স্বপ্ন । স্বপ্নগুলো আরো সুন্দর রুপ পেল বন্ধুদের মাঝে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে পেরে । সে এসেছিল গ্রামের একটা সাধারন পরিবার থেকে । তো তারপর সেই ছেলেটার শুধুই এগিয়ে যাওয়ার গল্প । সুন্দর ভাবে সব কিছু চলল ক্লাস ৯ এর শুরু পর্যন্ত । তারপরেই ঘটল বিপত্তি । ছেলেটা প্রেমে পড়লো।
ধরে নেই মেয়েটার নাম স্মৃতি । সে দেশের একটা স্বনামধন্য বিদ্যালয়ে পরে এবং আকাশের ক্লাসমেট । একদিন ছেলেটা মেয়েটাকে ফেসবুকে বন্ধু হিসাবে অ্যাড করে । ধীরে ধীরে তাদের বন্ধুত্ব গড়ে উঠে । মেয়েটা ছেলেটাকে তার একটা বন্ধু ভাবে,কিন্তু ছেলেটার ভাল লাগা ভালবাসায় রূপ নেয় । পাঠক হয়তবা মনে মনে ভাবছেন খুব সাধারন একটা গল্প,এর মাঝে অসাধারনত্ব কোথায় ? আপনি একবার চিন্তা করুন বাচ্চা একটা ছেলে ভালবেসেছে তার ১৪ বছর বয়সে এবং সেটা অপরিনত ভালবাসা নয় , একদম অন্তর থেকে , তাহলে হয়তবা আপনি কিছুটা প্রভাবিত হবেন।
সে যাই হোক,তাদের বন্ধুত্ব চলতে থাকল । ছেলেটির মনের গভীরে কিছু কথা দানা বাধতে থাকে কিন্তু তা আর বলা হয়ে উঠেনা । একদিন ছেলেটা অন্তরদৈত্ত কে পরাজিত করে বলে ফেললো তার ভালবাসার কথা । আর তার সাথে সাথেই তিক্ত একটা অভিজ্ঞতা হলো ।
যেহেতু আকাশ ভালবেসেছিল এক অপার্থিব ভালবাসায় , সে কখনো ধারনাও করেনি যে স্মৃতি তাকে কখনো বন্ধুর বাইরে অন্য কিছুই ভাবেনি । সে স্মৃতি্র মোহে অন্ধ ছিল । আর তার ফসল তাকে দিতে হল ব্যার্থতার সাগরে হাবুডুবু খেয়ে । সেই উজ্জ্বল ছেলেটি আর উজ্জ্বল রইলোনা । হতাশার কাল চাদরে মুড়িয়ে আজ সে পরাজিত সৈনিকের মত জীবন থেকে পালিয়ে ফেরে । তার গল্পের শেষ টা আর কখনো পাওয়া যায়নি ।
আকাশের জন্যে উপদেশ থাকবে ---- মুভ অন ম্যান।
তোমার ডাক নাম আকাশ না তো আবার ????
আরে না :no: ।আমার ডাক নাম পুরা নাম সবই তন্ময়।আর আমি নিজেকে ডাকি ধ্রুব,জ়ীনা,ধ্রুবতারা না।শুধু ধ্রুব।আর আমি এরকম পোলাইনা......... :shy: ।
চলো বহুদুর.........
শীর্ষেন্দুর ধ্রুব নাকি? অই ব্যাটারে আমি আবার দেখতে পারিনা-আমার প্রিয় চরিত্র কৃষ্ণকান্ত দ্য বস :boss:
একমত, দূরবীন প্রথম বার যখন পড়ি তখন ধ্রুবকেই ভাল লেগেছিল, কিন্তু এর পরে যতবার পড়েছি(অনেকবারই পড়েছি 🙂 ) কৃষ্ণকান্ত কে তত ভাল লেগেছে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আফসোস,বিরাট আফসোস।আমি ঐ ধ্রুবকে দেইখাই তো ধ্রুব হইতে চাইছি।তয় কৃষ্ণকান্তকেও ভাল লাগছে।এইরকম বাপের এইরকম পোলাই দরকার।দুইটাই গ্রেট। 🙂 🙂 🙂
চলো বহুদুর.........
আর আকাশের সাথে দেখা হলে ওকে আমি বলে দিব তোমার উপদেশের কথা।কিন্তু অরে আমি কই পাই?????? 😕 😕 😕 😕 😕
চলো বহুদুর.........
খিয়াল কৈরা খুউব খিয়াল কৈরা...
এই রকম দুঃখ দুঃখ টাইপ গল্প লেখলা ক্যান? এটা গল্প হলে ভালো আর সত্য হলে...... সমবেদনা রইলো। 🙁
অফটপিকঃ আকাশদা তোমাকে আফটার লাঞ্চ দেখা করতে বলছে। :grr:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আগেই দিয়া দেই :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: ।বুঝবার পারিনাইক্কা।
চলো বহুদুর.........
২য়...হই আগে।।পরে কমেন্ট
ভাই তনময়,
লেখাটা তোমার নিজের জীবনের কিনা জানিনা।যদি তোমার হয় তবে বলবো দিস ইজ নট দ্যা এন্ড অফ লাইফ।আমিও জীবনে এমন একটা ঘটনা দেখেছি।সে পালিয়ে ফিরে কিনা জানিনা কিন্তু জীবন গড়ার আসল সময়টাতে সে সব কিছু থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।ডোন্ট ডু দ্যাট।
আর এটা যদি কেবলি গল্প হয়ে থাকে তবে ছোট গল্পকার হিসাবে লেখা চালায় যাও। :clap:
ঠিক যেমন ধারনা করছিলাম যে গল্পটা গল্পের চেয়ে বেশি কিছু হইসে 🙁 । আরে আপু গল্প ইজ গল্প।সেটা জ়ীবন থেকেই আসুক আর যাই হোক গল্পটাকে গল্পের আকারেই রাখি কেমন??? :shy:
চলো বহুদুর.........
মেয়েগুলা বড় নিষ্ঠুর হয় 🙁
আসলে সব মেয়েনা কিন্তু maximum মেয়েগুলার এই অবস্থা।
চলো বহুদুর.........
গল্পটা কষ্টের কিন্তু মেয়েটার নিষ্ঠুরতার কিছু দেখতেসি না।
অন্তর থিকা দেখলে বুঝতে পারতা।কি আর করা,হাজার হইলেও তো তুমি মাইয়া নাকি?? 🙁 🙁 :(( :((
চলো বহুদুর.........
হাতেনাতে প্রমান মিলে গেল 😀
অরপিয়া আপু,মাইন্ড করবেননা প্লীজ,এমনেই একটু মজা করলাম 😀 ।
চলো বহুদুর.........
=)) =)) =)) =))
আরে না মাইন্ড করার কি আছে 🙂 🙂
সব দোষ ফেইসবুক-এর
আমরা কলেজে থাকার সময় ফেইসবুকও ছিল না ... বুকে ব্যাথাও ছিল না
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
এবং খুব্বই ভালো ছিলাম।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
:thumbup: ঐ
ইশ,আপু কি সোন্দর কইরা ফেসবুক এর দোষ দিলেন।কে কইছিল আকাশ রে(nt akash vai) ফেসবুক ইউজ কইরা ছ্যাক খাইতে??
চলো বহুদুর.........
তাইফুর ভাইয়ের হার্ট ভাল ...... 😛
এইটা মানি।
চলো বহুদুর.........
লেখকেরা কি দুনিয়ায় আর কোন নাম খুঁজে পায় না x-( সব গুলার ক্রিয়েটিভি নষ্ঠ হয়ে গ্যাছে ...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
খাইয়্যা ফ্যালা :chup:
ছুডু ভাই লেখাটা আগে পড়ছিলাম। আমার কাছে কিন্তু কিছু ব্যাপার মনে হয়েছে। গল্পটা বেশি একপাক্ষিক হয়ে গেছে। মেয়েটার জায়গায় দাঁড়িয়ে চিন্তা করার ম্যাচুওরিটি লেখক দেখাতে পারেননি। এনিওয়ে গল্প হিসাবে নিয়েই আমার বক্তব্য বলে গেলাম। লেখা চালিয়ে যাও।
সরি ভাই,কিন্তু বেপারটা যে আমার কাছে আসলেও একপাক্ষিক।কিছু কিছু গল্প সাহিত্তের চেয়ে,বাস্তবতার চেয়ে আবেগ দিয়ে বেশি নিয়ন্ত্রিত হয়।এটা ধরে নিন সেরকম একটা গল্পই??? 🙁 🙁 🙁 (সম্পাদিত)
চলো বহুদুর.........
সরি বলার কিছু নাইতো ভাইয়া। গল্প কার হিসাবে তোমাকে সাজেস্ট করছিলাম। যদি তুমি আবেগতড়িত কোন সময়ের কথা দ্বারা ব্যাখ্যা করতে চাও তাহলে আমি বলবো ঠিক আছে। কিন্তু ধর মেয়েটা যদি ছেলেটার ডাকে সাড়া দিত তবে তাদের মাঝে যে ভালোবাসার বন্ধন গড়বার সম্ভাবনা তৈরি হতো তাকে বলা যায় ইমম্যাচিওরড ভালো বাসা । সেটা তাদের দুইজনের জন্যই ক্ষতির সম্ভাবনা নিয়ে বড় হতো। আর একারণেই মেয়েটা আমার কাছে নিষ্ঠুর মনে হয়নি বরং মনে হয়েছে সচেতন। শত হলেও এ জাতীয় কিছু ব্যাপার দেখেছি তো।
তন্ময়, চালায়া যাও ভাইয়া
রঞ্জনা আমি আর আসবো না...
🙁 :shy: :shy: :shy:
চলো বহুদুর.........
ব্যপার না, ছেকা না খাওয়া মানে মনের সবচাইতে জটিল অনুভূতিটার সাথে পরিচয় না হওয়া। তবে মেয়েদের দোষ দেয়া উচিত নয়। আমরা ছেলেরাই সহজেই প্রেমে পড়ে যাই, মেয়েদের জন্য ব্যপারটা আলাদা, ওদের কাছাকাছি যেতে হলে অনেক গুলো পরীক্ষা পাশ করতে হয়। তাও আবার যে সে পরীক্ষা নয় ভাই, কোন সিলেবাস বা সাজেশন পাওয়া যায়না।
এইতা একটা দামী কথা কইেছন। :clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap:
চলো বহুদুর.........
সাজেশন দিলেও ভুয়া দেয় :grr:
:(( :(( :(( :(( :(( :((
চলো বহুদুর.........
ami doa kori smrity tmr kase r smrity thakbena o bastob hoye tmr life e firbe
...