বিকালের রোদ পড়তে শুরু করেছে। আশেপাশের গাছগুলোর পাতাগুলোতে একটা লালাভ আভা। লেকের পাশেই সবুজ ঘাসের পার্ক, সারি সারি বেঞ্চি দেয়া। একটা খালি বেঞ্চি দেখে তাতে বসে পড়লো ইশতিয়াক।
জার্মানীর Darmstadt শহরে এসেছে দুই মাস হলো। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিচিত মানুষ থাকে এই দেশে। প্রায়ই উইকেন্ডে দেখা করে সবাই, আড্ডা দেয়। দেশ ছেড়ে দূরে থাকতে তেমন খারাপ লাগছে না। সারাদিনের ক্লাশের পর খালি এই বিকালের সময়টাতে কেমন সব কিছু খালি খালি লাগে। হাজারো মাইল দূরে থাকা বাবা-মা, ভাই, বোন, বন্ধু, পরিচিতজনদের বেশি মিস করতে থাকে।
আশেপাশের দৃশ্য দেখে মনটাকে অন্যদিকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করতে শুরু করলো ইশতিয়াক। পাশের বেঞ্চিটাতে দুই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বসে আছে। লেকে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে কয়েকজন। কয়েকটা ছেলে-মেয়ে রঙ্গিন সাইকেল চালাচ্ছে। ওজন কমানোর জন্য দ্রুত গতিতে হাঁটছে কয়েকজন পুরুষ- রমনী। চারপাশের মাঝে নিজেকে আরো একাকী লাগে তার।
বাতাস ধীরে ধীরে বাড়ছে, ভারী মোটা কাপড় ভেদ করে ঠান্ডা লাগছে। ব্যাগ থেকে মাঙ্কি ক্যাপটা মাথায় দি্যে হাঁটা শুরু করলো। বাসায় গিয়ে আবার রাতের খাওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। আগে থেকেই রান্না বান্নায় ভালো ছিলো ,এই বিদেশ বিভূইয়ে এসে হাত আরো খুলেছে মনে হয়। খিচুড়ী-মাংস রান্নায় মোটামুটি টমি মিয়া লেভেলে চলে গেছে আজকাল।
পিছনে পড়ন্ত সূর্যটাকে রেখে হাসিমুখে একটা সেলফি তুলে ইশতিয়াক। ইন্সটাগ্রামে দ্রুত এডিট করে দিয়ে দেয় শেয়ার, ” Sunny afternoon is at its best 😀 ”
(পর্ব- ৩ কোন ক্যাডেটকে নিয়ে লেখা না, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছোট ভাইকে নিয়ে লেখা যে বর্তমানে উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানীতে আছে)
nice. my roommate (সম্পাদিত)
Shahnewaz
BCC 21
ভাই, আমি তো এসসিসি 😕
টুকরো টুকরো ছবিগুলো ভালো লাগে।
চলতে থাকুক ইয়েন।
🙂 ধন্যবাদ ভাই।
ইচ্ছা আছে চালিয়ে যাওয়ার। 😀
দৃশ্যকল্পগুলো কি তোমার নিজের মত করে কল্পনা করে নেয়া? আইডিয়াটা চমৎকার
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জ্বি ভাই, নিজের মতো করে চিন্তা করি। তবে তার আগে তাদের ফেসবুকের স্ট্যাটাস, ছবি ইত্যাদি দেখে একটা আইডিয়া নেই। 🙂
কি দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছো :hatsoff:
চলুক...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙂 চেষ্টা থাকবে ভাই।