রেজা, ইকবাল ও আমি

ইকবাল ও রেজা। নাম দুইটা সবসময় একি ব্র্যাকেটে চলে আসে। তার সাথে আসে ১১ই নভেম্বর। প্রতি বছর যখন এই দিনটা আসে আমি রাতে আকাশের তারা দেখি। আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু উত্তর খুজি।

রেজা, ইকবাল আর আমি একি ফরমে ছিলাম। আমাদের প্রথম টেস্টে রেজা হল ৪র্থ আর ইকবাল হল ৯ম। আমার অবস্থা বরাবরের মতই খারাপ।

ফরম মাষ্টার আমার সীট বসাল ইকবালের সামনে।

বিস্তারিত»

কিছু ঘটনা – ২

অনেকদিন আগে এমজিসিসি নিয়া কিছু ঘটনা লিখেছিলাম।কালকে হঠাত আরেকটা মনে পড়ে গেলো।
(যারা পড়েন নাই, তাদের জন্য আগের লিঙ্ক)
হঠাত কালকে আমাদের যুবায়েদ ফোন করে বল্লো “ওই ২৬ তারিখে ফ্রি থাকিস”
আমিঃ কেন?
যুবায়েদঃ “আমার বিয়ের রিসেপশন। সেনা কুঞ্জে।“
আমিঃ “ঠিক আছে। চলে আসবো। নো প্রব্লেম।“

বিস্তারিত»

অন্ধকারে শোনা গেল ধুপ ধাপ শব্দ আর চিত্কার !!

১৯৭৫ সাল। তখন ক্লাস এইটে পড়ি আমরা। ২১তম ব্যাচে বান্দর হিসাবে চিহ্নিত হয়ে গেছি আমি আর ফয়সাল (অপু)। দুইটা কি তিনটা এক্সট্রা ড্রিল ইতোমধ্যে আমাদের একাউন্টে জমা হয়ে গেছে। ওই সময় ইডিতে ২১তম ব্যাচে আমরা দুজন সিনিয়র ছিলাম। পের অবশ্য ইজাজ আহমেদসহ অনেকেই আমাদের ডিঙ্গিয়ে গেছে।

প্রেপে পড়াশুনা? এটা আবার কি? লাইব্রেরি থেকে ইস্যু করে আনা গল্পের বই তাহলে আছে কি জন্য? আর সেটারও যদি স্টক ফুরিয়ে যায়,

বিস্তারিত»

ম্যাডাম ভাল ……… করে

লেখার প্রথমেই বলে নিচ্ছি ভাইরা আমি সিসিবিতে একেবারে নতুন। মাত্র গত ১৫ জুলাই কলেজ থেকে বের হইছি। সিসিবির মোস্ট জুনিইয়র মেম্বার। আর এটাই আমার প্রথম লেখা। কোনরকম ভুল হলে দয়া করে ক্ষমা করবেন। এবার আসল কথায় আসা যাক।

মাত্র ক্লাস নাইন উঠেছি। ক্লাস সেভেন ও এইটে পরাশুনা না করে বাদরামি করার ফলে এইটে বার্ষিক পরীক্ষার পর যখন নিজের নাম মানবিক শাখার একজন যোগ্য সদস্য হিসেবে শুনলাম তখন অবাক হইনি।

বিস্তারিত»

ইংরেজি খাতা

১। টার্ম এন্ড এর খাতা দিতে এসে ‘খান’ সার বললেন, “আই ইয়ে কতা হছছি গিয়ে কতা তা না,তোরা সবাই পাশ করেছিস একজন ছাড়া,আর উনি হলেন…।।”থাক নাম টা বললাম না। এরপর খান সার ওর খাতা থেকে একটি ট্রান্সলেশন আমাদের পড়ে শুনালেন।
মানুষ সৃষিঠর সেরা জীব
ম্যান ইজ দি কিং অফ এনিম্যাল
২। আমাদের এই বন্ধু যখনি আমাদের ডর্মে আসতো,সে বলতো, “ম্যা আই কমিন প্লিজ ছার”

বিস্তারিত»

চুন্নু বৃত্তান্ত

আইজ সারদিন সিসিবিতে থাইকা হাইসা ঠিক তৃপ্তি হয় নাই । অফিসে আর কত হাসুম, রানার আর বিএসএম বাইরে ঘুর ঘুর করে । ভয়ে ভিতরে ঢুকেনা, স্যার না জানি কি পরে…এইসময় ডিস্টার্ব করলে ঝারি নিশ্চিত । অবশ্য তারা ঠিকই আন্দাজ করছিল । তাই অফিস শেষে রুমে গিয়া মুনরে ফোন দিলাম । আরেকদফা হাইসা জানটা জুরাইলো । চুন্নুরে নিয়া হাসতাছিলাম । অবশ্য পরে আমি আর মুন হিসাব কইরা বাইর করলাম যে কলেজের মজার এবং বিরক্তিকর প্রসংগ উঠলে চুন্নু ইজ মাস্ট,

বিস্তারিত»

চাষী মোস্তফা আর যুক্তিবাদী স্যারের গল্প

ক্লাস নাইন বা টেনের কাহিনী।
আমাদের এ্যাডজ়ুটেন্ট তখন মেজর মইনুদ্দিন মাহমুদ স্যার, কমান্ডো। আমাদের মোস্তফা শীতকালে গেইমস টাইমে হাফ শার্ট পড়লে ভিতরে অনেক কিছু পরিস্কার করতে হয় না,এই ডাউটের সুযোগে অনেক যত্নে সে অনেক কিছু চাষবাষ করেছে কয়েক মাস ধরে। হঠাৎ একদিন কি কারনে এ্যাডজ়ুটেন্ট এর সন্দেহ হল সবার শার্ট খুলে ভিতরকার হাইজিন চেক করতে আরম্ভ করল। মোস্তফাকে যখন চেক করল, তখন দেখা গেল ৪ /৫ ইঞ্চি লম্বা কালো ঘাসে আর্মপিট ভর্তি।

বিস্তারিত»

ক্যাম্পাসের রানী শম্পা

আমগোর আছিল শম্পা ম্যাডাম। পুরা কলেজের রানী। আন্ডা-আব্বা হুদা না সিনিয়র-জুনিয়রেরও বালাই নাই। পোলাপাইন খালি তসবি নিয়া জপে শম্পা, শম্পা। কেউ কেউ গভীর রাইতে উদাস হইয়া দরাজ গলায় হিন্দি সুরে গান ধরে “শম্পা শম্পা, ও মাই ডারলিং…..”। হাহ…

এইরকম একদিন সকাল ১০টা-১১টা অইবো। কুনু কারণে নির্ধারিত শিক্ষক ক্লাস নিতে আসে নাই। পোলাপাইন গ্যাজাইতাছে। কেউ কেউ আবার ব্ল্যাকবোর্ডে নানা সৃজনশীল আঁকাঝুকিতে ব্যস্ত। কে হইতে পারে এইডা,

বিস্তারিত»

আমি কবি নই তবু কাক ভালবাসি

কাককে বলা হয় ‘স্মার্ট’ পাখি। সে নগরীতে বসবাসের জন্য নাকি তার ভাবগাম্ভীর্যের জন্য, তা আমার ঠিক জানা নেই।তবে সে যখন ঝট করে ঘাড় নাড়ায় তখন মাল্টিন্যাশনালগুলির তুখোড় এক্সিকিউটিভও হাত তালি দিতে বাধ্য হবেন।বাহ! জোশ একটা মোশন দিল তো!

বৃষ্টি দিনে কেউ ভিজে চুপসে হয়ে আছেন।সাথে সাথে সবার মন্তব্য- কাকভেজা ভিজছেন দেখছি। ভেজা কাককে কিন্তু মানুষের মত এমন চুপসে যেতে কোনদিনই দেখিনি। তবু কাকভেজা কেন বলে,

বিস্তারিত»

“প” নাকি “ফ”

১।
মিলন ষ্টাফ ক্যাডেট পার্খ কে বলতেন, আই ফার্থ……এদিক আয়
আর ক্যাডেট ফাত্তাহ কে বলতেন, আই পাত্তাহ… এদিক আয়
তো এই কথা শুনে ফাত্তাহ ভাই উনা কে জিজ্ঞাশা করলেন যে , ” ষ্টাফ,আপনি সবসময় প কে ফ বলেন কেন?”
মিলন ষ্টাফ এর সহজ উত্তর, “আমি তো “ফ” কে “ফ” ই বলি কিনতু সবাই “ফ” বুঝে…”
২।
পিকনিক এ যাবার সময় বাস এর ব্যাক বেঞ্চে বসে সবাই গান ধরলাম,

বিস্তারিত»

কে বলে দুষ্ট আমি

আমাদের কলেজে একজন হিট ম্যাডাম ছিলেন।
বাংলার সেই ম্যাডাম যিনি পরীক্ষার সময় সেলফ স্টাডি দিয়ে আমার পাশের ডেস্কে বসে ঘুমাচ্ছিলেন। তার সেই ঘুমের ভঙ্গি পুরো ক্লাসের সবার ঘুম হারাম করে দিলো। আমাদের পরীক্ষার বারোটা বাজলো।
আমাদের বন্ধু জিনিয়াস জিন্নাত ম্যাডামকে যেখানেই দেখতো সেখানেই কেমন যেন অস্থির হয়ে যেতো। ম্যাডাম হাউসে আসছে শুনলেই জিন্নাত ওর লং টাওয়েল কে গলায় ঝুলিয়ে শর্ট টাওয়েল কোমরে বেঁধে,

বিস্তারিত»

কিংবদন্তির কথা-২

এষান ভাই প্রসঙ্গে আগের লেখাটায় বলেছি যে “আমাদের মাঝেও কিছু মহান (!!!) ক্যাডেট থাকে। যারা তাদের স্বীয় মহিমায় নিজেকে কিংবদন্তির পযর্য়ে নিয়ে যান। পুংটামিকে যারা শিল্পের পযর্য়ে নিয়ে গেছেন । তো সাধারণভাবে মনে করা হয় যে দীর্ঘদিনের অক্লান্ত ঘাওড়ামি, রগড়ানি, “মাস্তানি “ এইসবই হল কিংবদন্তী হউয়ার মূলমন্ত্র। কিন্তু তারপরও কিছু কথা থেকে যায়। মন্ত্র ছাড়াও কেউ কেউ কিংবদন্তী হয়ে যান। আৎকা কোন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ঘটানো অনেক ঘটনাই হয়ে যায় হিট,

বিস্তারিত»

লোপামুদ্রার “জন্মভূমি”

এমআইএসটি’তে আমাদের মধ্যে গানের সবচেয়ে ভালো সংগ্রহ ছিল মুশফিকের (এমসিসি, ৯২-৯৮)। ওর কাছেই মনে রাখার মতো করে লোপামুদ্রার প্রথম যেই গানটা শুনি সেটা হলো “সাঁকোটা দুলছে”। কৈশোর, বন্ধুত্ব, গ্রামের দূরন্ত জীবন স্মরণ করে এক অবিস্মরণীয় গান।

নিজের কম্পিউটারে লোপামুদ্রাকে আমদানি করার পর আরও অনেকগুলো গান শোনা হয়েছে। যার মধ্যে ‘বেনীমাধব’, ‘আবার আসিব ফিরে’সহ এখানে উল্লেখ করা বেশ কয়েকটা গান আছে। কিন্তু লোপামুদ্রার যেই গানটা আমাকে সবচেয়ে বেশি আলোড়িত করেছে সেটা হল:

“তোমার জন্য মেঘলা দুপুর,

বিস্তারিত»

কিংবদন্তীর সুবেদার ওহাব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা।

ডিপার্টমেন্ট অফ মাস কমিউনিকেশন এন্ড জার্নালিজম এর কোন একটা ব্যাচের ক্লাস নিতে এসেছেন এ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর নাদির জুনায়েদ। ক্লাসে এসেই প্রশ্ন ছুড়লেন সুবেদার ওহাবের নাম কেউ শুনেছে কিনা। পুরো ক্লাস নিস্তব্ধ, নিরুত্তর। দ্বিতীয়বার একই প্রশ্নের উত্তরে যখন মৌনতা পেলেন তখন গেলেন খেপে। চিৎকার করে নিজের বিস্ময় আর রাগ প্রকাশ করলেন কেউ সুবেদার ওহাবকে চেনে না বলে – কেউ তার নাম পর্যন্ত শোনেনি বলে।

বিস্তারিত»

ঈশপের গল্প

ক্লাশ নাইনে আমাদের ব্যাচের একজন ছুটিতে বাসায় গেছে, যথারীতি পরদিন তার মা, তার খাকি ড্রেস নিয়ে ধুতে গেল, তার মা শার্টের পকেটে হাত দিয়ে একটা ভাঁজ করা কাগজ পেল, কাগজটা খুলে তার মা চোখ কপালে তুলে ” কি রে …… এটা তোর পকেটে আসলো কিভাবে?”
ও: ভাজা মাছ না খেতে পারার ভান করে” মামনি, ছুটিতে আসার সময় আব…… এটা আমার পকেটে ঢুকিয়ে দিল। আসি পড়ার সময় পায়নি,

বিস্তারিত»