৫১ একরে সীমাবদ্ধ জীবন (শেষ পর্ব)

ক্যাডেট কলেজের প্রেক্ষাপটে মসজিদ একটা বড় ভূমিকা রাখে মাগরিবের নামাজের কারণে। বর্তমানে সামরিক বাহিনীতে সান্ধ্যকালীন রোলকল (যার অন্যতম উদ্দেশ্য সৈনিকের ব্যারাকে উপস্থিতি নিশ্চিত করা) দেখে মনে হয়েছে মাগরিবের নামাজটা হয়তো তারই একটা পরিবর্তিত সংস্করণ। মসজিদে হর হামেশাই নানান ঘটনা ঘটত। পাশাপাশি বসা দুজনের পাঞ্জাবিতে গিঁট মারা এর মধ্যে সবচাইতে চিত্তাকর্ষক বলে মনে হয়েছে। আর যদি সেটা হয় সিনিয়রের পাঞ্জাবিতে তাহলে তো কথাই নেই, অভিযুক্তের উপর প্রিফেক্ট সৃষ্ট নির্ভুল কাড়া নাকাড়ার শব্দ পাওয়া যেত।

বিস্তারিত»

৫১ একরে সীমাবদ্ধ জীবন (দ্বিতীয় পর্ব)

নবমে এসে লেখাপড়ায় একটু সিরিয়াস ভাব আসল। যাই লেখাপড়া হোক না কেন সবই হয় এসএসসি কে টার্গেট করে। এক বন্ধুর বড়ভাই রংপুর ক্যাডেট কলেজে ক্লাস টুয়েলভে ছিলেন। তিনিও চিঠিতে এসএসসি’র কথা গুরুত্ব সহকারে লিখেছিলেন। সায়েন্স আর আর্টস ভাগ হবে। সেটা নিয়ে মোল্লা স্যারের হুমকি ধামকিতে আমরা প্রথম কয়েকমাস বেশ তটস্থ ছিলাম। (জন্মলগ্ন থেকেই স্যার আর কলেজ যেন হরিহর আত্মা, আপন সহোদর। স্যারকে ছাড়া বরিশাল ক্যাডেট কলেজকে চিন্তাই করতে পারি না।

বিস্তারিত»

৫১ একরে সীমাবদ্ধ জীবন (প্রথম পর্ব)

২১ মে ১৯৯২ সাল।

প্রতি বছর নিজের জন্মদিন যতটা না খেয়াল থাকে তার চাইতে বেশি খেয়াল থাকে এই দিনটির কথা । কেননা ২১ মে ১৯৯২ এ পা রেখেছিলাম বরিশাল ক্যাডেট কলেজের বুকে। দুরু দুরু বুকে এক নব্য কিশোরের চোখ দিয়ে দেখছিলাম আমাকে গ্রহণ করার যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা। সেটার শেষ পর্যায়ে দেখেছিলাম আমাকে একা রেখে অশ্রুসজল চোখে বাবা-মা, আত্মীয়দের চলে যাওয়া। একইভাবে আরও ৫৪ জন ছেলে একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিল সেদিন।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি এবং ফুটবল এর গল্প

কালকে রাত এ অফিস এর কিছু প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করছিলাম। কাজ করতে করতে কখন যে রাত পার হয়ে ভোর হয়ে গেছে টের পাই নাই। হঠাৎ তাকিয়ে দেখি ভোরের আলো এবং বৃষ্টি। বৃষ্টি দেখেই মনে পড়ে গেলো কলেজ এর সকাল এর কথা । প্রতিদিন পিটি এর সময় চিন্তা করতাম বৃষ্টি নামে না কেনো? ইস , একটু বৃষ্টি নামলেই ত সবাই দোয়া করতাম আরেকটু জোরে নামতো যদি।

বিস্তারিত»

হে আল্লাহ,আমাদের সুফিকে তুমি দেখে রেখো……

“আমরা গাজীপুর পৌঁছাই ১১টার কিছু আগে। জহিরকে রাখা হয়েছিলো বাসায় ঢোকার আগের খোলা জায়গাটাতে। কেউ একজন এসে কাফনের কাপড়টা সরিয়ে ওর মুখটা দেখালো। চোখের কাছটায় সুরমা দেয়াতে কিছুটা নীলচে হয়ে আছে মনে হলো। এছাড়া অন্যকোনো অস্বাভাবিকতা নেই। প্রথম দেখাতে কোনো অনুভূতিই হলোনা। কিভাবে হবে? আমাদের সুফির লাশ কাফনে মুড়ে খাটিয়াতে শুয়ে আছে আর আমরা ভীড় করে দেখছি, এটা কোনো কথা নাকি?তাই ওই সময়ে ভাবলেশহীন মুখে আমরা দেখে বাড়ির বাইরে এসে দাড়িয়ে থাকলাম।

বিস্তারিত»

আগামীকাল ১৭ জুন

আমরা তিন ভাইয়ের মধ্যে আমরা ছোট দুই জন একেবারে পিঠাপিঠি,নাহ আমাদের পিঠ একসাথে লেগে থাকতো না কিন্তু পিচ্চি কালে সকল কান্ড আর অকান্ডের সাথী আমরা দুইভাই।খালি বাসায় বিছানার উপরে কোলবালিশ দিয়ে মারামারি খেলা আর আম্মু বাসায় আসলে ঘর এলোমেলো করার অপরাধে হালকা মাইর খেতে তখন থেকেই ভালো লাগতো।এই আনন্দের বাধ সাধলো যখন থেকে আমাদের বড় ভাইটা একটু বড় হয়েই আম্মুর খুব বাধ্যগত হয়ে ঘর টর গোছানো শুরু করলো।বড়ভাইয়ার যন্ত্রনায় বিছানার উপরে বসাতো দুরের কথা সোফায় বসার সাহসও পেতাম না।অগত্যা মাটিতে বসে থাকতে হতো আমাদের দুইজন কে।এইটা নিয়ে বড়ভাইয়া এতই অত্যাচার করতো এখনো আমি সাজানো বিছানা অথবা সোফায় বসতে ভয় পাই কখন যেন বড়ভাইয়া চলে আসে।বড়ভাইয়ের এহেন অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস আমার কখনো হয়ে উঠেনি কিন্তু তপু ভাইয়াকে দেখতাম মাঝে মাঝে প্রতিবাদ করে জোর করেই বিছানায় শুয়ে যেত ,আর শুরু হতো সিডর।সেই সিডর এবং সিডর পরবর্তি সময়টাতে আমারই সবচেয়ে সমস্যা হতো।সমস্যাটা হত আমি কাকে সাপোর্ট করবো তা নিয়ে।কারন তিন ভাইয়ের মধ্যে দুইজনের গ্যাঞ্জাম লাগলে অন্যজন যেইদল নিবে সেই দলই জয়ী তাছাড়া আম্মুর জিজ্ঞাসাবাদের সময়ও আমার সেই সাপোর্টএর একটা ভূমিকা ছিলো।সুবিধাবাদী আমি তখন সিডর পূর্ববর্তি সময়ে
আমার সাথে যার খাতির বেশি থাকতো আম্মুর মাইরের হাত থেকে তাকেই বাঁচায় দিতাম।

বিস্তারিত»

ফিরে দেখা -২৯ জুন ১৯৯৭

[অনেকদিন ধরেই আমাদের সিসিবি ডাউন হয়ে আছে। কিন্তু আজ যে আমার একটা লেখা খুব দরকার। সবার সাথে আজ এইটা শেয়ার করা দরকার ছিল। তাই এখানে পোষ্ট করে দিলাম। এখানে মনে হয় লেখা পোষ্ট বন্ধ হয়ে গেছে। তাও দিলাম। ]
আজ ঘুম থেকে উঠলাম ই ফোনটা পেয়ে। শুভ ফোন দিয়ে বলল জাহিদের একটা দুঃসংবাদ আছে। আমরা তিনজন জাপানের একই জায়গায় পড়ি আবার একই ডর্মে থাকি।

বিস্তারিত»

সেন্স অফ প্রোপরসন

অনেক দিন ধরেই কিছু লিখতে পারছিনা,সবার লিখা নীরবে পড়ে যাচ্ছি আর ভাবছি যে কি লেখা যায়।কাল রাতে খবর আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা সাতদিন পিছিয়েছে তাই আজকে বসলাম কিছু আমাকে লিখতেই হবে………………………।

বিস্তারিত»

বাংলাদেশ-পাকিস্তান খেলা নিয়ে…

খেলার লেখা দেখে মনে পরে গেম ১৯৯৯ এর বিশ্বকাপ এর কথা। সেই ঐতিহাসিক বাংলাদেশ পাকিস্তান এর খেলার কথা।

তখন চলছিল আইসিসিএফএম এর প্রাকটিস। যেদিন খেলা সেদিন পুরা কলেজ কে গেমস অফ করা হল। কিন্তু আমাদের মাঠে যেতে হবে। কি মুস্কিল। মাঠে প্রাকটিস করছি আর হউস থেকে চিৎকার শুনছি। মেজাজ টা যে কি গরম লাগতেছিল বলার মত না। কিসের প্রাকটিস। মন তো খেলাতে। যাক তাও ভাল ছিল যে পাকিস্তান আগে ব্যাটিং করেছিল।

বিস্তারিত»

পুরোনা কিন্তু সোনালি স্মৃতি(পর্ব ২)

মনে পড়ে যায় আমাদের একনায়ক ফর্ম লীডার রনির কথা।ও যে তিন মাস ফর্ম লীডার ছিল একনায়কতন্ত্র চালিয়েছিল আমাদের ওপর।আরো মনে পড়ে আরিফ কিংবা খালেক এর জ্ঞানী কথা,আসিফ এর না বুঝেই হাসি,সাগর এর মাহিন ম্যাডামের প্রতি দূর্বলতা,অনিক এর নিজের জোকস এ নিজেই হাসা।মনে আছে একবার ক্লাস সেভেন এ রাইস স্যার ছিলেন আমাদের ফর্ম মাস্টার। এক দিন সাগরকে ধরে কি মারটাই না দিলেন।ওর ফল্ট ছিল ও মারুফকে জড়িয়ে ধরেছিল।মনে পড়ে,

বিস্তারিত»

প্রসঙ্গ এডজুট্যান্টস

‘৯৭-এ যখন ঢুকি তখন কুমিল্লার এডজুটেন্ট ছিলেন মেজর মঈনুদ্দীন মাহমুদ। তাঁরই শাসনামলে আমরা নোভিসেস প্যারেড করি, অতঃপর ক্যাডেট হই। সে সময় অথরিটি বলতে কতো কী বুঝায় কিছুই জানতাম না। সেসব নিয়ে মাথা ঘামানোরও দরকার পড়েনি। যতদূর মনে হতো, এডজুটেন্ট খুব ভালো একজন মানুষ ছিলেন। মার্জিত, শুদ্ধভাষী।
এরপর পেলাম নতুন এডজুটেন্ট, প্রিন্সিপাল।১ দু’জনেই জাঁদরেল। ততোদিনে আমরাও বুঝে গেছি অথরিটির ভূমিকা কী। নাম শুনেছি রেড বুকের,

বিস্তারিত»

পুরোনো কিন্তু সোনালি স্মৃতি(পর্ব-১)

আমি এই ব্লগের একজন নীরব পাঠক।এখানে নতুন লেখা পড়ার জন্য প্রতিদিনই আসা হয়।

অনেক দিন ধরে পড়তে পড়তে হঠাৎ ইচ্ছা জাগলো কিছু লিখি।কি লিখবো খুঁজে পাচ্ছিলাম না।হঠাৎ খুঁজে পেলাম আমার পুরোনো একটা লেখা।এটা লিখেছিলাম কলেজ থেকে বের হবার দুই দিন আগের রাতের বেলা।পুরো লেখাটাকে দুই খন্ড করে আজকে প্রথম অংশটুকু দিলাম।

ঘড়ি বলছে এখন রাত বারোটা বেজে দশ মিনিট।এই চুপচাপ রাতে কোথাও একটা সুর বাজছে।বেদনার এবং বিদায়ের।বারবার যা মনে করিয়ে দিচ্ছে কলেজে আমাদের থাকবার দিন ফুরিয়ে এলো বলে।সত্যিই ভাবতে অনেক অবাক লাগে কেমন করে ছয় ছয়টা বছর পার করে দিলাম।সেই ক্লাস সেভেনে এসেছিলাম।কি সহজ সরল একেকটি মুখ।কত হাসি,কত দুঃখের স্মৃতি।যাবার বেলায় একে একে সব কিছু মনে পড়ছে।

বিস্তারিত»

কিছু কথা….আজো মনে পড়ে..

ক্লাস নাইনের কথা।ইন্টার হাউস বাস্কেট নিয়ে খুব উত্তেজনা…নুতন নতুন ল্যাপ করা শিখেছি..মজাই আলাদা।
দেখতে দেখতে কম্পিটিশন চলে এলো।তিতুমিরের সাথে শাহজালালের খেলা।তো খেলার মাঝখানে আমি একটা ল্যাপ নিয়ে শাহাজালালের জোন ভেঙ্গে ঢুকবো…নতুন নতুন ল্যাপ তো প্রবল বেগে এসে কোনো দিকে না তাকিয়ে ল্যাপ করলাম ঠিক আমাদের এক ফ্রেন্ডের গায়ের উপর।এবং আমার হাটু গিয়ে লাগলো ঠিক ওর মিডল স্ট্যাম্পে…!!!তারপর শুধু দেখলাম ও গ্রাউন্ডে পরে গেলো আর মুখ দিয়ে শুধু পানি পরছে….সাথে সাথে আমাদের ওই প্রায়প্রয়াত বন্ধুটাকে হাসপাতালে নেওয়া হলো।আমার ত তখন মনের অবস্থা বারটা।

বিস্তারিত»

বয়স: এক যুগ

[লেখাটি একক এর রিইউনিয়ন ২০০৮ এর স্যুভেনিরে প্রকাশিত। কুমিল্লা ছাড়া অন্যদের জন্য তুলে দিলাম]কোথায় যেন পড়েছিলাম, দিন যত যায়, স্মৃতি তত মলিন হতে থাকে। যেই পন্ডিত একথা লিখেছিলেন তিনি হয়ত তার জন্মে কোন ক্যাডেট দেখেননি। তা না হলে ক্যাডেটদের জন্য এর থেকে বড় ভুল উক্তি বোধকরি আর দ্বিতীয়টি হয় না। ক্যাডেট কলেজের সাথে সম্পর্কের এক যুগ হয়ে গেল। তার অর্ধেকটা স্মৃতি যোজনের, আর বাকী অর্ধেক রোমহন্থনের।

বিস্তারিত»

আমাদের প্যাঁচালী

(আমার এই লেখাটি ৩১ আগস্ট ২০০২ সালে প্রথম আলোর ছুটির দিনে তে প্রকাশিত হয়েছিল। কপিরাইট আমার। তাই কপি মারায় দোষ কি? ওইটাই তুলে দিলাম।)বছর দুই আগের কথা। আমি তখন কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের একাদশ শ্র্রেনীর ছাত্র। সদ্য স্কুল পেরোন সহপাঠীদের মধ্যে তখন অনেকেই নব প্রেমের জোয়ারে হাবুডুবু খাচ্ছে। আমরা কজন সেই গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে নিরপেক্ষ ভ্যেনুর নিরপেক্ষ গ্যালারীতে বসে তা দেখছি।

বিস্তারিত»