১৯৭৫ সাল। তখন ক্লাস এইটে পড়ি আমরা। ২১তম ব্যাচে বান্দর হিসাবে চিহ্নিত হয়ে গেছি আমি আর ফয়সাল (অপু)। দুইটা কি তিনটা এক্সট্রা ড্রিল ইতোমধ্যে আমাদের একাউন্টে জমা হয়ে গেছে। ওই সময় ইডিতে ২১তম ব্যাচে আমরা দুজন সিনিয়র ছিলাম। পের অবশ্য ইজাজ আহমেদসহ অনেকেই আমাদের ডিঙ্গিয়ে গেছে।
প্রেপে পড়াশুনা? এটা আবার কি? লাইব্রেরি থেকে ইস্যু করে আনা গল্পের বই তাহলে আছে কি জন্য? আর সেটারও যদি স্টক ফুরিয়ে যায়, বন্ধুদের খোঁচাখুচি, খ্যাপানো তো আছেই। ক্লাস ক্যাপ্টেনের কাজ হচ্ছে প্রেপে পড়াশুনা ছাড়া অন্য কাজে উত্সাহীদের নাম ব্ল্যাকবোর্ডে লিখে রাখা। ডিউটি মাস্টার সেটা দেখে দেখে ইডির তালিকা করেন। ক্লাস ক্যাপ্টেন তখন শাহাদাত (সম্প্রতি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়েছে)। যথারীতি ব্ল্যাকবোর্ডে নাম উঠেছে। ওকে বারবার বলা হচ্ছে নাম মুছে ফেলতে। কিন্তু সে পণ করেছে মুছবে না। অতএব ভিন্ন পথ খোঁজা শুরু।
শাহাদাতের অজান্তে ক্লাসে একটা গ্রুপ তৈরি হয়ে গেল। যারা আজ ক্যাপ্টেনকে একটা শিক্ষা দেবে। একটা সিগনাল দেয়া ছিল সবাইকে। প্রেপের শেষ ঘন্টা বেজে উঠলো। সঙ্গে সঙ্গে ক্লাস রুমের সব লাইট নিভে গেল। অন্ধকারে শোনা গেল ধুপ ধাপ শব্দ আর শাহাদাতের চিত্কার। মিশন শেষ ক্লাস রমের লাইটগুলো জ্বলে উঠলো। আর সুবোধ বালকের মতো সবাই রাতের খাবার খেতে ডাইনিং হলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো।
এরপরের কাহিনী সংক্ষিপ্ত। সবাই যখন লাইন ধরে ডাইনিং হলে খাবারের জন্য ঢুকছে তখন কয়েকজন বালক কানে হাত দিয়ে নিলডাউন হয়ে আছে। সেই বালকদের মধ্যে অঘটনের পরিকল্পনাকারীদের একজন হিসাবে আমিও ছিলাম। পরে সম্ভবত আরো ইডিও এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছিল।
আইজ কি আফনে মুহত তালা দিছুইন? কতা কইবাইন্না নাহি?
ভাই, সেম কাহিনী তো আমারো। অবশ্য আমরা গেছিলাম স্যারকে ফাটা দিতে। সেকেন্ড প্রেপের বেল দিল, আমি আর আদনান দিলাম লাইট অফ করে। ধুম ধুম ধুম ধুম আর চিৎকার করে গালি গালাজ শুনে ভিপি এল। ফলাফল যা তাই হল। পরদিন ফর্ম ক্লাস থেকে মিল্কের আগ পর্যন্ত টানা বেতের বাড়ি খেয়ে গেলাম ভিপি স্যারের হাতে পাঁচ মিনিট পর পর।
তয়, ভাগ্যিস ওই সময় প্রিন্সিপাল ছিল না কলেজে, থাকলে শিওর জরিমানা আর বিউগল। অল্পের জন্য বাঁইচা গেছি। কানের পাশ দিয়া গুল্লি গেছলো।
সবাই তোমার মতো ভাগ্য নিয়া জন্মায় না!!
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ঠিকই আছে।
ধুপ-ধাপ মাইর দরকার ছিলো।
শাহাদাত ভাই কি পরে আর কোনদিন বোর্ডে নাম লিখেছিলেন?
মনে হয় না... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। :-B :-B :-B
মাইরের উপরে ঔষধ নাই। :chup: :chup: :chup:
তাইলে ওষুধডা কুন হানে রাক্সেন?
ঘটনার ফলাফল...
পিডায়া কুনু লাভ হয়নাই...
পিডানোর সুখই আলাদা। শাহাদাতের বাসায় দুই সপ্তাহ আগে দাওয়াত আছিল। বন্ধুরা সব আছিলাম। ও নিজেই গরু-মুর্গি রানছিলো। মাইরটা অহনো ভুলে নাই মনে অয়।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
:khekz: :khekz: :khekz:
শাহাদাত ভাই বনাম সানা ভাই..
অহন মাইরপিট অহলে বোধহয়্ আমিই খামু বেশি। :duel:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
হাসতে হাসতে পিরা (ঠিকাছে তো?) গেলাম!! আজকা থাক, কালকা জবাব দিমুনে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাল করছেন জবাব না দিয়া। আমিও দেই না। ভালো করছি না?
সানাউল্লাহ্ ভাই। আপ্নেও পিরা যাওয়া ধরছেন??
পিরা যাওয়া দেখি পুরা ভাইরাল হয়ে গেছে... :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আগে খালি আমি পিরতাম, এখন দেখি সবাই পিরে
রবিন ভাইরে "পিরা যাওয়ায় জনক" উপাধি দেওয়া হউক 😀
রবিন ভাই,আপনি বাবা হয়েছেন.. 😀
আযান দেন মিয়া.. :grr: :grr:
:khekz: :khekz: :khekz:
হাচা কথা ভাই। 😀
বন্ধুর সঙ্গেই বুঝি এমন করা যায়। মারামারি, গলাগলি। এভাবেই দীর্ঘ পথ চলা। ভালোবাসা।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
বান্দর আবার বান্দর হিসেবে চিহ্নিত হয় ক্যামনে ??
(স্যরি বস, ক্যাডেট হিসেবে 'বান্দর' শব্দটা আমার কাছে কমপ্লিমেন্ট ছাড়া আর কিছুই নয়।)
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
উপপস্ 😉
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ঠিক মাইরের উপর ওষুধ নাই। :chup:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমাদের ব্যাচে জন্মদিনের উপহার ছিল গণ। পোলাপাইন ইচ্ছামতো মারত 🙁 🙁 🙁
😮 😮 😮
আমাদের ব্যাচে আরেকটি মারপিটের ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮০ সালে। এইচএসসি পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। তবে সে গল্প আরেকদিন।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আমি গল্প শুনপো :(( :((
বলছি না। এখন না। ছোট্ট সোনা। এখন ঘুমাও। পরে বলবো। :chup: :chup: :chup:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাই, শুধু কথা দিয়া ওরে ভুলাইতে পারবেন না...এর চাইতে কিছু খাইতে দেন- দেখবেন কেম্নে চুপ কইরা যায়... :khekz:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
না আমি এখন ফিডার খাপো না গল্প শুনপো :(( :(( :((
দেখি সিক রিপোর্টে যাই। ওইখানে পিত্জা, বার্গার থাকলেও থাকতে পারে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"