[গত পরশু রাতে ব্লগে লগ-ইন করলাম এই লেখাটি পোস্ট করার জন্য। তারপরেই দেখলাম তুহিনের ছুরিকাহত হওয়ার সংবাদ নিয়ে পোস্টটা। আমি দুঃখ বিপদ আপদ ঠিক সামাল দিতে পারি না। তারপর থেকে খালি বার বার পোস্টটা রিফ্রেশ দিয়েছি। একটু আগে দেখলাম ভালো সংবাদটা। এই সময়ে বারবারই মনে পড়ছিল দুইটা গেট-টুগেদারে দেখা হাসিখুশি ছেলেটার চেহারা। তাই এই লেখাটা তুহিনের জন্য, সাথে যারা গত দিনদুই ওর পাশে থেকেছে সর্বাত্মকভাবে তাদের জন্যেও!
বিস্তারিত»মসজিদে মোবাইল বন্ধ রাখুন
১ম পর্ব
মাগরিবের নামাজের আযান হয়ে গেছে অনেকক্ষণ আগেই । হতদন্ত হয়ে অজু করে মসজিদে ঢুকেই দেখি মুসুল্লীরা ততক্ষণে রুকুতে চলে গেছেন । আমি যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি শরীক হলাম জামাআতে । সিজদায় গিয়ে হঠাৎ মনে হল “মোবাইলটা কি সুইচ অফ করেছি?”
আমি ঘামতে শুরু করলাম কারণ রিংটোন দেয়া ছিল হাই ভলিয়ম “তেরে নাম”
আমার তো নামাজ থেকে মন উঠে গেল ।
বিস্তারিত»দু’টি গানের ইতিবৃত্ত
সংগীত সাধনার বিষয়, ভালবাসার বিষয়। কখনো কখনো সঙ্গীত পরিশ্রমের বিষয়ও । যার প্রমাণ আমরা পেয়েছি সিলেট ক্যাডেট কলেজের ২০০৭ এর ৫ম পুনমিলনীতে। ওল্ড ক্যাডেটস এসোসিয়েসন সিলেট (ওকাসের) নিবেদিত প্রাণ বড় ও ছোট ভাইয়েরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যখন Reunion এর প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে তখন রংগমঞ্চে আবিভাব ঘটে সবুর ভাইএর। আমাদের কলেজের ৫ম ব্যাচের এই ব্ড় ভাই দেশে এসেছেনই শুধু Reunion এ অংশগ্রহন করার জন্য।
বিস্তারিত»কিছু স্মৃতি কিছু গান …
অনেক দিন পর আজ উইনিং এর ‘ওই দূর পাহাড়ের ধারে’ গানটি শুনছিলাম। এই গানটি প্রথমবার শুনি আমি তখন ক্লাস এইটে, কলেজে রিউনিয়ন চলছে, শেষ দিন কনসার্ট করতে ঢাকা থেকে আসল অবসকিওর। আমাদের মাঝে সারাদিন কি উত্তেজনা! কিন্তু হঠাৎ শুনলাম খবর খারাপ, ঢাকা থেকে আসার পথে বাসের ছাদে রাখা অবসকিওরের ড্রামসেট ফুটা হয়ে গেছে এখন তাঁরা কনসার্ট নাও করতে পারে। আমাদের মন বেশ খারাপ। দুপুর থেকে আমাদের অডিটরিয়াম অবসকিওর দখল করে নিল,
বিস্তারিত»এক্সট্রা ড্রিল
ব্লগের শুরুতেই ডিসক্লেইমার দেওয়ার স্টাইলটা জমে উঠেছে আর তাই আমিও লোভ সামলাতে পারলাম না
সতর্কীকরণঃ ক্যাডেট কলেজ লাইফে কেউ যদি কোন দিন এক্সট্রা ড্রিল না খেয়ে থাকেন তাহলে ক্রেডিট নেওয়ার জন্য বলার দরকার নাই কেননা তাতে প্রোপার ক্যাডেট হিসেবে টিজ খাওয়ার সম্ভাবনা আছে
আমি তখন সবেমাত্র ক্লাস টেনে উঠেছি :-B
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই আকাশ যথেষ্ঠ মেঘলা ছিল ।
ফেল রেকর্ড
“ক্যাডেট কলেজে ছয় বছর থেকে যারা পাক্ষিকে ফেল করে নাই এই পোস্টটি তাদের জন্য নয়”
আমি সেই ক্যাডেট, যে প্রথম পাক্ষিকে অংকে ডাবল জিরো পেয়েও পরের পাক্ষিকে ২৪ পেয়েছিলাম :just:
ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়ার আগে আমি মোটেই খারাপ ছাত্র ছিলাম না । তাই বলে কিন্তু আমি কলেজকে দোষারুপ করছি না 😛 😛
আসলে সবসময় মজা করতে গিয়ে পড়াশুনা থেকে খানিকটা ছিটকে পড়েছিলাম ~x(
ছয় বছরে সেভেন ছাড়া প্রত্যেক ক্লাসের ফার্স্ট টার্ম ইন্ডে আমার ফেল করার বিরল রেকর্ড রয়েছে :just:
নতুন ক্লাসে উঠে আমি খুব ফুর্তিতে থাকতাম :tuski:
মনে হত সারা বছর কষ্ট করে কেবল নতুন ক্লাসে উঠলাম,
প্রবাসের ডায়েরি থেকে…(প্রথম খন্ড) – শেষ
প্রবাসের ডায়েরি থেকে…(প্রথম খন্ড) – ১
প্রবাসের ডায়েরি থেকে…(প্রথম খন্ড) – ২
৭। মাঝে মাঝে উদ্দ্যেশহীন ভাবে সারারাত ঘুরে বেড়াতে আমার ভালোই লাগত। এখানে দিন আর রাতের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। কর্মব্যস্ত দিনের কোলাহল আর চঞ্চলতার পর ক্রমেই শান্ত হতে থাকে শহরটি। শপিং মলগুলো সন্ধ্যায় বন্ধ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে থাকে রাস্তাঘাট। নিরবতা নেমে আসে। নাইট বাসগুলো চলতে শুরু করে।
বিস্তারিত»৩ টি গর্বিত শেল এবং আমার সত্যিকার ক্যাডেট হয়ে উঠা
মূল ঘটনা শুরুর আগে খলর মামা সম্পর্কে কিছু না বললেই নয়। মামাকে আমরা মেছো মামা বলেই ডাকতাম। মাছ সম্পর্কিত কোন ব্যাপার ছিল যা ইন-ডিটেইল না বলাটাই ভদ্রোচিত বোধ করছি। মামা ততদিনে কংশ-মামা :gulli2: হিসেবে আত্নপ্রকাশ করেছেন। আমারাও মামাকে ক্লাসে,মাঠে- ঘাটে আমাদের স্টাইলে অভিবাদন জানাতাম। :duel: আমরা বাংলা বর্ণমালা প্র্যাক্টিস করতাম এভাবে —
ক-লর
খ-লর
গ-লর
ঘ-লর
ঐদিন মিল্ক ব্রেক এর পর মামার ক্লাস ছিল।
ক্যাডেট আইডি কার্ডের ফায়দা
আমার অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল স্টেডিয়ামে গিয়ে লাইভ ক্রিকেট খেলা দেখব :dreamy:
কলেজ থেকে ভ্যাকেশনে বাসায় এলে সাধারণত খেলা থাকত না, আর থাকলেও সময় সুযোগ বের করা কিছুটা কষ্টকর ছিল :bash:
ছয় বছরে ক্যাডেটের আইডি কার্ড দিয়ে কোন ফায়দা লুটতে পারি নাই, না সিএমএইচ, না ছাত্র ভাড়া, না অন্য কোন ডিসকাউন্ট :frontroll:
অথচ ক্লাস সেভেনে যখন আমাদের প্রথম আইডি কার্ড দেয়া হল তখন কার না মনে হয়েছিল এই কার্ড দিয়ে বিশ্ব জয় করা যাবে :just:
১১ অক্টোবর ২০০৮
বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজের ১০-১২ জন বন্ধু মিলে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হলাম বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের ২য় ওয়ানডে ম্যাচ দেখার জন্য :-B
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল আর সেজন্যই সিরিজ জয়ের স্বপ্ন ছিল সবার চোখে :gulti:
স্টেডিয়ামে দর্শকদের একটা বাড়তি চাপও ছিল চোখে পড়ার মতো কারণ এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ আমাদের :clap:
যেহেতু ঢাকায় ছিলাম সেহেতু ম্যাচটি দেখার লোভ সামলাতে পারি নাই :no:
অগ্রিম টিকিটের জন্য অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু কাজ হল না ।
বাসে একদিন
ছাত্র ভাড়া দেয়ার অভ্যাস আমার কোন কালেই ছিল না :clap:
২০০১ সালের ঘটনা :-B
আমি ক্যাডেট কোচিং করছিলাম টাংগাইলে । আকস্মিক ছুটি পেয়ে ৩ দিনের জন্য বাসায় যেতে হল । ছুটি শেষে টাংগাইল ফেরার পথে এলেঙ্গা থেকে বাসে উঠলাম । মাঝামাঝি একটা সিট পেয়ে বেশ ভাল লাগল :guitar:
মাঝে মাঝে কিছু স্মার্ট কন্ট্রাক্টর আছেন যারা ছাত্র ভাড়া দিতে গেলে আইডি কার্ড চেয়ে বসেন ।
বিস্তারিত»হুম্ম, অবশেষে…!
তখন আকাশের ইঞ্জিনিয়ারিং এ চতুর্থ লেভেলের শেষ টার্ম চলছে।
ও খুব শখ করে একটা লাইটার কিনেছিল। ক্যাপ খুললেই বাজনা বাজে আর নীলচে একটু লাইট জ্বলে।
ও সিগারেট ছুঁয়েছে সেই ক্লাস নাইনে। শুরুটা স্বাদ নেয়ার অভিপ্রায়ে রোমাঞ্চকর অভিযান। তারপর সময়ের হাত ধরে এক সময় সে নিজেকে আবিষ্কার করলো মোটামুটি শেকলে বাধা ধুমপায়ী’র আদলে। শুরুতে লুকিয়ে লুকিয়ে অভিসার চলতো। খাবার পর এই একটু হেঁটে আসা টাইপ আর কি!
বিস্তারিত»আশার কাছে খোলা চিঠি
দিনবদলের হাওয়াঃ ক্যাডেট কলেজে প্রেমপত্র
“মেয়েটির সৌজন্যে একটি চিঠি লিখেছিলাম কিন্তু আজো সেটা পোস্ট করা হয় নি”
এর পর থেকে শুরু করছি…
ব্লগের শিরোনামটি মাসরুফ ভাইয়ের দেওয়া । আমি আর পরিবর্তন করার দুঃসাহস দেখাই নি । হাজার হলেও বড় ভাই 😀
আদনান ভাই, তানভীর ভাই, মাসরুফ ভাই, রকিব ভাই এবং মাহমুদ ভাই এর নির্দেশে আমার পোস্ট না করা চিঠির অজুহাতগুলো লিখছি :-B
আমি ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার পর থেকেই চিঠি লিখতে এবং পেতে খুব ভাল লাগত ।
বিস্তারিত»দিনবদলের হাওয়াঃ ক্যাডেট কলেজে প্রেমপত্র
আমি তখন ক্লাস সেভেনে । এক ফ্রেন্ডের কাছে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স দেখে কি মনে করে যেন স্কুল কুইজটা পুরণ করে পাঠিয়ে দিলাম :-B
একরাতে প্রেপের পর সানি ভাই আমাকে বললেন যে আমার একটি পার্সেল আছে । পার্সেল খুলে দেখলাম কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০০২ সালের আগস্ট সংখ্যা । প্রথমে ভেবেছিলাম আব্বু হয়ত বাসা থেকে পাঠিয়েছে । পরবর্তীতে ১০ জন কুইজ বিজয়ীদের তালিকায় নিজের নামটি ১ নাম্বারে দেখে কতটা আনন্দিত এবং বিস্মিত হয়েছিলাম সেটা আমার স্পষ্ট মনে আছে :dreamy:
ক্লাস সেভেন থেকে টেন পর্যন্ত মোট ২৯ বার কুইজ বিজয়ী হয়েছি :clap:
এর মধ্যে ২০০৪ সাল মানে ক্লাস নাইন খুবই ভাল কেটেছে :hug:
যেহেতু প্রায় মাসেই একটি কমন নাম কুইজ বিজয়ীদের তালিকায় থাকত সেহেতু আমি বেশ পরিচিতি লাভ করেছিলাম অচিরেই :shy:
তারপর থেকে শুরু হল আমার চিঠি আসা :chup:
দিনবদলের হাওয়ায় এখন তো সব কলেজেই মোবাইল ফোন দেয়া হয়েছে ।
বিস্তারিত»গোল্লাছোটঃ এক্স-ক্যাডেট বনাম ভিপি স্যার
বাসায় খুব বোরিং সময় কাটছিল 🙁
কোন কাজ নেই, শুধু খাওয়া, ঘুম আর টিভি দেখা ~x(
জোবায়ের ফোন করে জিজ্ঞাসা করল আমি কলেজে যাব কিনা । আমার মনটা নেচে উঠল কারণ এর চেয়ে মজার আর কি হতে পারে :guitar:
আমি ভাবলাম কলেজে গিয়ে সবার সাথে দেখা করে সার্টিফিকেটগুলো নিয়ে আসি । প্রায় ১১ মাস পর কলেজে যাচ্ছি, বেশ ফুর্তিতেই ছিলাম :tuski:
রাজশাহী শহর আমার বেশ ভাল লাগে কারণ এটি অনেক গোছানো :boss:
২৮ মে ২০০৯
সকাল আটটায় চিরচেনা সেই পদ্মাপাড়ে আসলাম :awesome:
ঝলমলে রোদ আর পদ্মার বুকে বয়ে চলেছে ছোট ছোট নৌকা ।
গণ সমাচার
এই পোস্টটি দেয়ার আগে গণ শব্দটি নিয়ে অনেকক্ষণ ভাবলাম :-B
সিনিয়র ক্লাসের সব ক্যাডেট যখন জুনিয়র ক্লাসের সব ক্যাডেটকে একটি নির্দিষ্ট কারণে ধোলাই করে তখন তাকে আমাদের কলেজে গণ বলে :chup:
অন্য কলেজে এটাকে কি বলে সেটা নিয়েই চিন্তা করছিলাম :-/
নাম যেটাই হোক কাজ তো একটাই । গণ হল গণধোলাই এর সংক্ষিপ্ত রুপ ।
সবেমাত্র ক্লাস নাইনে উঠেছি আর তাই রক্ত গরম ।
বিস্তারিত»